তোমার জীবনে অবিরাম প্রার্থনা, বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগ থাকলে তুমি অন্যের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। সুপারিশ মানে আল্লাহর সামনে মাথা নত করে ভাই-বোনের প্রয়োজনের জন্য কাতরভাবে প্রার্থনা করা, নিজেকে তাদের জায়গায় রেখে ভাবা। যাতে আল্লাহর অসীম করুণা তাদের উপর বর্ষিত হয়। এই সময়ে তুমি নিজেকে ভুলে যাও এবং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে প্রার্থনা করো যাতে যার জন্য তুমি প্রার্থনা করছো সে যেন তার প্রয়োজনে আল্লাহর মহিমা দেখতে পায়। মনে রেখো, তুমি যদি নিজের প্রয়োজনের কথা যীশুকে নাও বলো, তিনি তোমার খেয়াল রাখবেন এবং তোমাকে তার হাতে ধরে রাখবেন। কারণ যখন তুমি অন্যের জন্য সুপারিশ করো, তখন তুমি নিজের জন্যও প্রার্থনা করো।
তাই, তোমার হৃদয় দয়া-মায়ায় ভরে উঠুক। যতক্ষণ না তুমি দেখছো যে জীবনের কালো ছায়া ফিরে গেছে, প্রচণ্ড ঝড়ের পর শান্তির আলো ফুটে উঠেছে, ততক্ষণ তোমার প্রার্থনা বন্ধ করো না। সুপারিশ হলো ভালোবাসা, কাতর আবেদন এবং আন্তরিক ক্রন্দনের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কারো জীবনের জন্য প্রার্থনা করা। যখন তুমি সুপারিশ করো, তখন তুমি তাদের বেদনা, তাদের অভাব অনুভব করতে পারো। "অতএব, আমি প্রথমেই উৎসাহিত করি যেন সকল মানুষের জন্য মিনতি, প্রার্থনা, নিরন্তর আবেদন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।" (১ তীমথিয় ২:১)
আর তোমরা আমাকে আহ্বান করিবে, এবং গিয়া আমার কাছে প্রার্থনা করিবে, আর আমি তোমাদের কথায় কর্ণপাত করিব।
আমরা মাংসে চলিতেছি বটে, কিন্তু মাংসের বশে যুদ্ধযাত্রা করিতেছি না;
কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
আর সেইরূপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানি না, কিন্তু আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না।
কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী।
রাত্রি প্রায় গেল, দিবস আগত প্রায়; অতএব আইস, আমরা অন্ধকারের ক্রিয়া সকল ত্যাগ করি, এবং দীপ্তির রণসজ্জা পরিধান করি।
আইস, রঙ্গরসে ও মত্ততায় নয়, লমপটতায় ও স্বেচ্ছাচারিতায় নয়, বিবাদে ও ঈর্ষায় নয়, কিন্তু দিবসের উপযুক্ত শিষ্ট ভাবে চলি।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।
ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।
পরে মোশি সদাপ্রভুর নিকটে ফিরিয়া গিয়া কহিলেন, হায় হায়, এই লোকেরা মহাপাপ করিয়াছে, আপনাদের জন্য স্বর্ণ-দেবতা নির্মাণ করিয়াছে।
আহা! এখন ইহাদের পাপ ক্ষমা কর- আর যদি না কর, তবে আমি বিনয় করিতেছি, তোমার লিখিত পুস্তক হইতে আমার নাম কাটিয়া ফেল।
কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।
আমরা মাংসে চলিতেছি বটে, কিন্তু মাংসের বশে যুদ্ধযাত্রা করিতেছি না;
কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী।
আমরা বিতর্ক সকল এবং ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত উচ্চ বস্তু ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছি, এবং সমুদয় চিন্তাকে বন্দি করিয়া খ্রীষ্টের আজ্ঞাবহ করিতেছি;
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
তোমরা বিশ্বাসে অটল থাকিয়া তাহার প্রতিরোধ কর; তোমরা জান, জগতে অবস্থিত তোমাদের ভ্রাতৃবর্গেও সেই প্রকার নানা দুঃখভোগ সমপন্ন হইতেছে।
আমার সর্বপ্রথম নিবেদন এই, যেন সকল মনুষ্যের নিমিত্ত, বিনতি, প্রার্থনা, অনুরোধ, ধন্যবাদ করা হয়;
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।
বৎসেরা, তোমরা ঈশ্বর হইতে এবং উহাদিগকে জয় করিয়াছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি জগতের মধ্যবর্তী ব্যক্তি অপেক্ষা মহান।
কিন্তু আমি তোমার নিমিত্ত বিনতি করিয়াছি, যেন তোমার বিশ্বাসের লোপ না হয়; আর তুমিও একবার ফিরিলে পর তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির করিও।
এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সমপন্ন করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে পার।
অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া,
এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক;
এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে;
এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
ইহাতে তোমরাও বিনতি দ্বারা আমাদের পক্ষে সাহায্য করিতেছ, যেন অনেকের দ্বারা যে অনুগ্রহ-দান আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে, তন্নিমিত্ত অনেক মুখ হইতে আমাদের পক্ষে ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।
আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত, এবং আপন আপন সাক্ষ্যের বাক্য প্রযুক্ত, তাহারা তাহাকে জয় করিয়াছে; আর তাহারা মৃত্যু পর্যন্ত আপন আপন প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নাই।
সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক,
কেননা মাংস আত্মার বিরুদ্ধে, এবং আত্মা মাংসের বিরুদ্ধে অভিলাষ করে; কারণ এই দুইয়ের একটি অন্যটির বিপরীত, তাই তোমরা যাহা ইচ্ছা কর, তাহা সাধন কর না।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা আপন আপন শত্রুদিগকে প্রেম করিও, এবং যাহারা তোমাদিগকে তাড়না করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও;
আর লোকেরা বচসাকারীদের মত সদাপ্রভুর কর্ণগোচরে মন্দ কথা কহিতে লাগিল; আর সদাপ্রভু তাহা শুনিলেন, ও তাঁহার ক্রোধ প্রজ্বলিত হইয়া উঠিল; তাহাতে তাহাদের মধ্যে সদাপ্রভুর অগ্নি জ্বলিয়া উঠিয়া শিবিরের প্রান্তভাগ গ্রাস করিতে লাগিল।
মোশি লোকদের রোদন শুনিলেন, তাহারা গোষ্ঠী সকলের মধ্যে প্রত্যেকে আপন আপন তাম্বুদ্বারে কাঁদিতেছিল; আর সদাপ্রভুর ক্রোধ অতিশয় প্রজ্বলিত হইল; মোশিও অসন্তুষ্ট হইলেন।
আর মোশি সদাপ্রভুকে কহিলেন, তুমি কি নিমিত্ত আপন দাসকে এত ক্লেশ দিয়াছ? কি নিমিত্তই বা আমি তোমার অনুগ্রহ পাই নাই যে, তুমি এই সকল লোকের ভার আমার উপরে দিতেছ?
আমি কি এই সমস্ত লোক গর্ভে ধারণ করিয়াছি? আমি কি ইহাদিগকে প্রসব করিয়াছি? সেই জন্য তুমি ইহাদের পুর্বপুরুষদের কাছে যে দেশের বিষয়ে দিব্য করিয়াছিলে, সেই দেশ পর্যন্ত আমাকে কি দুগ্ধপোষ্য শিশু বহনকারী পালকের ন্যায় ইহাদিগকে বক্ষে করিয়া বহন করিতে বলিতেছ?
এই সমস্ত লোককে দিবার জন্য আমি কোথায় মাংস পাইব? ইহারা ত আমার কাছে রোদন করিয়া বলিতেছে, আমাদিগকে মাংস দেও, আমরা খাইব।
এত লোকের ভার সহ্য করা একাকী আমার অসাধ্য; কেননা তাহা আমার শক্তির অতিরিক্ত।
তুমি যদি আমার প্রতি এইরূপ ব্যবহার কর, তবে বিনয় করি, আমি তোমার দৃষ্টিতে যদি অনুগ্রহ পাইয়া থাকি, আমাকে একবারে বধ কর; আমি যেন আমার দুর্গতি না দেখি।
তখন সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি যাহাদিগকে লোকদের প্রাচীন ও অধ্যক্ষ বলিয়া জান, ইস্রায়েলের এমন সত্তর জন প্রাচীন লোককে আমার কাছে সংগ্রহ কর; তাহাদিগকে সমাগম-তাম্বুর নিকটে আন; তাহারা তোমার সহিত সেই স্থানে দাঁড়াইবে।
পরে আমি সেই স্থানে নামিয়া তোমার সহিত কথা কহিব, এবং তোমার উপরে যে আত্মা অধিষ্ঠান করেন, তাঁহার কিয়দংশ লইয়া তাহাদের উপরে অধিষ্ঠান করাইব, তাহাতে তুমি যেন একাকী লোকদের ভার বহন না কর, এই জন্য তাহারা তোমার সহিত লোকদের ভার বহিবে।
আর তুমি লোকদিগকে বল, তোমরা কল্যের জন্য আপনাদিগকে পবিত্র কর, মাংস ভোজন করিতে পাইবে; কেননা তোমরা সদাপ্রভুর কর্ণগোচরে রোদন করিয়াছ, বলিয়াছ, ‘আমাদিগকে মাংস ভোজন করিতে কে দিবে? বরং মিসর দেশে আমাদের মঙ্গল ছিল;’ অতএব সদাপ্রভু তোমাদিগকে মাংস দিবেন, তোমরা খাইবে।
এক দিন কি দুই দিন কি পাঁচ দিন কি দশ দিন কি বিংশতি দিন তাহা খাইবে, এমন নয়;
তখন লোকেরা মোশির নিকটে ক্রন্দন করিল; তাহাতে মোশি সদাপ্রভুর নিকটে প্রার্থনা করিলে সেই অগ্নি নির্বাপিত হইল।
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা পৃথিবীতে যাহা কিছু বদ্ধ করিবে, তাহা স্বর্গে বদ্ধ হইবে; এবং পৃথিবীতে যাহা কিছু মুক্ত করিবে, তাহা স্বর্গে মুক্ত হইবে।
এবং কোন বিষয়ে বিপক্ষগণ কর্তৃক ত্রাসযুক্ত হইতেছ না; তাহা উহাদের জন্য বিনাশের, কিন্তু তোমাদের পরিত্রাণের প্রমাণ, আর এটি ঈশ্বরদত্ত।
কিন্তু আবার আমার জন্য ঘরও প্রস্তুত করিয়া রাখিও, কেননা আশা করি, তোমাদের প্রার্থনার দ্বারা আমাকে তোমাদের নিকটে প্রদত্ত হইবে।
দেখ, আমি তোমাদিগকে সর্প ও বৃশ্চিক পদতলে দলিত করিবার, এবং শত্রুর সমস্ত শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করিবার ক্ষমতা দিয়াছি। কিছুতেই কোন মতে তোমাদের হানি করিবে না;
পরে ইয়োব আপন বন্ধুগণের নিমিত্ত প্রার্থনা করিলে সদাপ্রভু তাঁহার দুর্দশার পরিবর্তন করিলেন; বস্তুতঃ সদাপ্রভু ইয়োবকে পূর্ব সম্পদের দ্বিগুণ সম্পদ দিলেন।
এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সমপন্ন করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে পার।
অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া,
এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক;
এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে;
এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক,
আর আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকল দূর করিয়া দিয়া ক্রুশেই সেই সকলের উপরে বিজয়-যাত্রা করিয়া তাহাদিগকে স্পষ্টরূপে দেখাইয়া দিলেন।
পরে তিনি হাঁটু পাতিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, প্রভু, ইহাদের বিপক্ষে এই পাপ ধরিও না। ইহা বলিয়া তিনি নিদ্রাগত হইলেন। আর শৌল তাঁহার হত্যার অনুমোদন করিতেছিলেন।
দেখ, কেন্দুয়াদের মধ্যে যেমন মেষ, তেমনি আমি তোমাদিগকে প্রেরণ করিতেছি; অতএব তোমরা সর্পের ন্যায় সতর্ক ও কপোতের ন্যায় অমায়িক হও।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
ধন্য সদাপ্রভু, আমার শৈল, তিনিই আমার হস্তকে যুদ্ধ শিখান, আমার অঙ্গুলি সকলকে সংগ্রাম শিক্ষা দেন।
তুমি খ্রীষ্ট যীশুর উত্তম যোদ্ধার মত [আমার] সহিত ক্লেশভোগ স্বীকার কর।
কেহ যুদ্ধ করিবার সময়ে আপনাকে সাংসারিক ব্যাপাররূপ পাশে বদ্ধ হইতে দেয় না, যেন তাহাকে যে ব্যক্তি যোদ্ধা করিয়া নিযুক্ত করিয়াছে, তাহারই তুষ্টিকর হইতে পারে।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;
এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়।
সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;
পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;
পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল।
তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্তনের স্থান পাইল না।
কারণ তোমরা সেই স্পৃশ্য ও অগ্নিতে প্রজ্বলিত পর্বত, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, তূরীর ধ্বনি ও বাক্যের শব্দ এই সকলের নিকট উপস্থিত হও নাই।
সেই শব্দ যাহারা শুনিয়াছিল, তাহারা প্রার্থনা করিয়াছিল, যেন তাহাদের কাছে আর কথা বলা না হয়;
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
কারণ তুমি যুদ্ধার্থে বল দিয়া আমার কটি বন্ধন করিয়াছ; যাহারা আমার বিরুদ্ধে উঠিয়াছিল, তাহাদিগকে তুমি আমার অধীনে নত করিয়াছ।
রাত্রি প্রায় গেল, দিবস আগত প্রায়; অতএব আইস, আমরা অন্ধকারের ক্রিয়া সকল ত্যাগ করি, এবং দীপ্তির রণসজ্জা পরিধান করি।
আর যখন তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদিগকেও জীবিত করিলেন;
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
অতএব স্মরণ কর, পূর্বে মাংসের সম্বন্ধে পরজাতীয় তোমরা, মাংসে হস্তকৃত ত্বক্ছেদপ্রাপ্ত নামে যাহারা আখ্যাত, তাহাদের নিকটে তোমরা অত্বক্ছেদপ্রাপ্ত নামে আখ্যাত ছিলে।
স্মরণ কর, তৎকালে তোমরা ছিলে খ্রীষ্ট বিহীন, ইস্রায়েলের প্রজাধিকারের বহিঃস্থ, এবং প্রতিজ্ঞাযুক্ত নিয়মগুলির অসমপর্কীয়; তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বরবিহীন ছিলে।
কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ।
কেননা তিনিই আমাদের সন্ধি; তিনি উভয়কে এক করিয়াছেন, এবং মধ্যবর্তী বিচ্ছেদের দেওয়াল ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছেন।
শত্রুতাকে, বিধিবদ্ধ আজ্ঞাকলাপরূপ ব্যবস্থাকে, নিজ মাংসে লুপ্ত করিয়াছেন; যেন উভয়কে আপনাতে একই নূতন মনুষ্যরূপে সৃষ্টি করেন, এইরূপে সন্ধি করেন;
এবং ক্রুশে শত্রুতাকে বধ-করণ পূর্বক সেই ক্রুশ দ্বারা এক দেহে ঈশ্বরের সহিত উভয় পক্ষের মিলন করিয়া দেন।
আর তিনি আসিয়া “দূরবর্তী” যে তোমরা, তোমাদের কাছে “সন্ধির, নিকটবর্তীদের কাছেও সন্ধির” সুসমাচার জানাইয়াছেন।
কেননা তাঁহারই দ্বারা আমরা উভয় পক্ষের লোক এক আত্মায় পিতার নিকটে উপস্থিত হইবার ক্ষমতা পাইয়াছি।
অতএব তোমরা আর অসমপর্কীয় ও প্রবাসী নহ, কিন্তু পবিত্রগণের সহপ্রজা এবং ঈশ্বরের বাটীর লোক।
সেই সকলেতে তোমরা পূর্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।
তোমাদিগকে প্রেরিত ও ভাববাদিগণের ভিত্তিমূলের উপরে গাঁথিয়া তোলা হইয়াছে; তাহার প্রধান কোণস্থ প্রস্তর স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু।
তাঁহাতেই প্রত্যেক গাঁথনি সুসংলগ্ন হইয়া প্রভুতে পবিত্র মন্দির হইবার জন্য বৃদ্ধি পাইতেছে;
তাঁহাতে আত্মাতে ঈশ্বরের আবাস হইবার নিমিত্ত তোমাদিগকেও একসঙ্গে গাঁথিয়া তোলা হইতেছে।
সেই লোকদের মধ্যে আমরাও সকলে পূর্বে আপন আপন মাংসের অভিলাষ অনুসারে আচরণ করিতাম, মাংসের ও মনের বিবিধ ইচ্ছা পূর্ণ করিতাম, এবং অন্য সকলের ন্যায় স্বভাবতঃ ক্রোধের সন্তান ছিলাম।
সেই সকলেতে তোমরা পূর্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।
পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটি অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন।
তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটি লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।
আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং “ঈশ্বরের বাক্য” এই নামে আখ্যাত।
আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত।
আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন।
আর তাঁহার ও ঊরুদেশে এই নাম লেখা আছে- “রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু।”