ভাই/বোন, আমাদের সবারই ঈশ্বর এবং যীশু খ্রীষ্টের প্রতি দায়িত্ব আছে যেন আমরা যারা প্রভুর আদেশ অমান্য করে তাদের ভালোবাসার সাথে সংশোধন করি। আমাদের হৃদয়ে যে ভালোবাসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে তারই প্রকাশস্বরূপ, আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাসের ভাই-বোনদের উৎসাহিত করা, অনুপ্রাণিত করা এবং সতর্ক করা উচিত। একে অপরের প্রতি সৎ থাকা এবং করুণার সাথে উপদেশ দেওয়া কোন অপরাধ বা অসম্মান নয়। যদি আমরা সঠিকভাবে এটা করি, তাহলে আমরা একে অপরের জন্য অনেক বড় সাহায্য হতে পারব। "আমি তোমাদের বিষয়ে নিশ্চিত, ভাই ও বোনেরা, তোমরা মঙ্গলে পরিপূর্ণ, সমস্ত জ্ঞানে পূর্ণ এবং একে অপরকে উপদেশ দেওয়ার জন্য সক্ষম।" (রোমীয় ১৫:১৪)
আর যদি তোমার ভ্রাতা তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তোমাতে ও তাহাতে থাক, তখন সেই দোষ তাহাকে বুঝাইয়া দেও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভ্রাতাকে লাভ করিলে।কিন্তু যদি সে না শুনে, তবে আর দুই এক ব্যক্তিকে সঙ্গে লইয়া যাও, যেন “দুই কিম্বা তিন জন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা নিষ্পন্ন হয়।”আর যদি সে তাহাদের কথা অমান্য করে, মণ্ডলীকে বল; আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে, সে তোমার নিকটে পরজাতীয় লোকের ও করগ্রাহীর তুল্য হউক।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
আর যদি কেহ এই পত্র দ্বারা কথিত আমাদের বাক্য না মানে, তবে তাহাকে চিহ্নিত করিয়া রাখ, তাহার সংসর্গে থাকিও না, যেন সে লজ্জিত হয়;অথচ তাহাকে শত্রু জ্ঞান করিও না, কিন্তু ভ্রাতা বলিয়া চেতনা দেও।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।
আমি যত লোককে ভালবাসি, সেই সকলকে অনুযোগ করি ও শাসন করি; অতএব উদ্যোগী হও, ও মন ফিরাও।
দেখ, ধন্য সেই ব্যক্তি, যাহাকে ঈশ্বর অনুযোগ করেন, অতএব তুমি সর্বশক্তিমানের দত্ত শাস্তি তুচ্ছ করিও না।
আর যদি তোমার ভ্রাতা তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তোমাতে ও তাহাতে থাক, তখন সেই দোষ তাহাকে বুঝাইয়া দেও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভ্রাতাকে লাভ করিলে।
তুমি এই সকল কথা বল, এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতার সহিত উপদেশ দেও, ও অনুযোগ কর; তোমাকে তুচ্ছ করিতে কাহাকেও দিও না।
তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে কার্যে অনুরক্ত হও, সম্পূর্ণ সহিষ্ণুতা ও শিক্ষাদান-পূর্বক অনুযোগ কর, ভর্ৎসনা কর, চেতনা দেও।
কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
এবং শিক্ষানুরূপ বিশ্বসনীয় বাক্য ধরিয়া থাকেন, এই প্রকারে যেন তিনি নিরাময় শিক্ষাতে উপদেশ দিতে এবং প্রতিকূলবাদীদের দোষ ব্যক্ত করিতে সমর্থ হন।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।
বস্তুতঃ বাহিরের লোকদের বিচারে আমার কাজ কি? ভিতরের লোকদের বিচার কি তোমরা কর না?কিন্তু বাহিরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করিবেন। তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সেই দুষ্টকে বাহির করিয়া দেও।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
কেননা সদাচরণের নিমিত্ত তিনি তোমার পক্ষে ঈশ্বরেরই পরিচারক। কিন্তু যদি মন্দ আচরণ কর, তবে ভীত হও, কেননা তিনি বৃথা খড়্গ ধারণ করেন না; কারণ তিনি ঈশ্বরের পরিচারক, যে মন্দ আচরণ করে, ক্রোধ সাধনের জন্য তাহার প্রতিশোধদাতা।
তুমি কোন প্রাচীনকে তিরস্কার করিও না, কিন্তু তাঁহাকে পিতার ন্যায়, যুবকদিগকে ভ্রাতার ন্যায়,
নিন্দুককে অনুযোগ করিও না, পাছে সে তোমাকে দ্বেষ করে; জ্ঞানবানকেই অনুযোগ কর, সে তোমাকে প্রেম করিবে।
তুমি যখন অপরাধ প্রযুক্ত মনুষ্যকে ভর্ৎসনা দ্বারা শাসন কর, তখন কীটের ন্যায় তাহার সৌন্দর্য বিলীন করিয়া থাক; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য অসারমাত্র। [সেলা]
ধন্য সেই ব্যক্তি, যাহাকে তুমি শাসন কর, হে সদাপ্রভু, যাহাকে তুমি আপন ব্যবস্থা হইতে শিক্ষা দেও,
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
তুমি সেই শাপগ্রস্ত অহঙ্কারীদিগকে ভর্ৎসনা করিয়াছ, যাহারা তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়ায়।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
আর তোমার ভ্রাতার চক্ষে যে কুটা আছে, তাহাই কেন দেখিতেছ, কিন্তু তোমার নিজের চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা কেন ভাবিয়া দেখিতেছ না?অথবা তুমি কেমন করিয়া আপন ভ্রাতাকে বলিবে, আইস, আমি তোমার চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিয়া দিই? আর দেখ, তোমার নিজের চক্ষে কড়িকাট রহিয়াছে!হে কপটি, আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাট বাহির করিয়া ফেল, আর তখন তোমার ভ্রাতার চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিবার নিমিত্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইবে।
পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।
পরে লোকেরা এক সঙ্গে দৌড়াইয়া আসিতেছে দেখিয়া যীশু সেই অশুচি আত্মাকে ধমকাইয়া কহিলেন, হে বধির গোঁগা আত্মা, আমিই তোমাকে আজ্ঞা দিতেছি, ইহা হইতে বাহির হও, আর কখনও ইহার মধ্যে প্রবেশ করিও না।
যাহার কর্ণ জীবনদায়ক তিরস্কার শুনে, সে জ্ঞানীদের মধ্যে অবস্থিতি করিবে।যে শাসন অমান্য করে, সে তাহার প্রাণকে তুচ্ছ করে; কিন্তু যে অনুযোগ শুনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
আমাদের প্রভু যীশুর পরাক্রম সহকারে তাদৃশ্য ব্যক্তিকে মাংসের বিনাশার্থে শয়তানের হস্তে সমর্পণ করিতে হইবে, যেন প্রভু যীশুর দিনে আত্মা পরিত্রাণ পায়।
অধিকাংশ লোকের দ্বারা তাদৃশ ব্যক্তি যে দণ্ড পাইয়াছে, তাহাই তাহার পক্ষে যথেষ্ট।অতএব তোমরা বরং তাহাকে ক্ষমা করিলে ও সান্ত্বনা করিলে ভাল হয়, পাছে অতিরিক্ত মনোদুঃখে তাদৃশ ব্যক্তি কবলিত হয়।এই কারণ বিনতি করি, তোমরা তাহার প্রতি প্রেম পুনঃস্থাপন কর।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।
আপনাদের মধ্যে ঐক্য রাখ। আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে বিনয় করিতেছি, যাহারা অনিয়মিতরূপে চলে, তাহাদিগকে চেতনা দেও, ক্ষীণসাহসদিগকে সান্ত্বনা কর, দুর্বলদের সাহায্য কর, সকলের প্রতি দীর্ঘসহিষ্ণু হও।
ধার্মিক লোক আমাকে প্রহার করুক, সেটি দয়া; সে আমাকে অনুযোগ করুক, তাহা মস্তকের তৈল; আমার মস্তক তাহা অগ্রাহ্য না করুক, উহাদের দুষ্টতাসমূহের মধ্যেও আমি প্রার্থনা করিব।
অতএব আইস, আমরা যত লোক সিদ্ধ, সকলে এই বিষয় ভাবি; আর যদি কোন বিষয়ে তোমাদের অন্যবিধ ভাব থাকে, তবে ঈশ্বর তোমাদের কাছে তাহাও প্রকাশ করিবেন।
অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির নিকটে আপন নৈবেদ্য উৎসর্গ করিতেছ, তখন সেই স্থানে যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভ্রাতার কোন কথা আছে,তবে সেই স্থানে বেদির সম্মুখে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলিয়া যাও, প্রথমে তোমার ভ্রাতার সহিত সম্মিলিত হও, পরে আসিয়া তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ করিও।
এই সাক্ষ্য সত্য; এই জন্য তুমি তাহাদিগকে তীক্ষ্ণভাবে অনুযোগ কর; যেন তাহারা বিশ্বাসে নিরাময় হয়,
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;
কিন্তু যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে, তাহা প্রথমে শুচি, পরে শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত, সহজে অনুনীত, দয়া ও উত্তম উত্তম ফলে পরিপূর্ণ, ভেদাভেদবিহীন ও নিষ্কপট।
কিন্তু কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসিলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁহার প্রতিরোধ করিলাম, কারণ তিনি দোষী হইয়াছিলেন।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।
বরং তোমরা দিন দিন পরস্পর চেতনা দেও, যাবৎ ‘অদ্য’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেহ পাপের প্রতারণায় কঠিনীভূত না হয়।
যদি কেহ আপন ভ্রাতাকে এমন পাপ করিতে দেখে, যাহা মৃত্যুজনক নয়, তবে সে যাচ্ঞা করিবে, এবং [ঈশ্বর] তাহাকে জীবন দিবেন- যাহারা মৃত্যুজনক পাপ করে না, তাহাদিগকেই দিবেন। মৃত্যুজনক পাপ আছে, সেই বিষয়ে আমি বলি না যে, তাহাকে বিনতি করিতে হইবে।
আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা পৃথিবীতে যাহা কিছু বদ্ধ করিবে, তাহা স্বর্গে বদ্ধ হইবে; এবং পৃথিবীতে যাহা কিছু মুক্ত করিবে, তাহা স্বর্গে মুক্ত হইবে।
আমি যখন চুপ করিয়াছিলাম, আমার অস্থি সকল ক্ষয় পাইতেছিল, কারণ আমি সমস্ত দিন আর্তনাদ করিতেছিলাম।কারণ দিবারাত্র আমার উপরে তোমার হস্ত ভারী ছিল, আমার সরসতা গ্রীষ্মকালের শুষ্কতায় পরিণত হইয়াছিল। [সেলা]
হে তীমথিয়, তোমার কাছে যাহা গচ্ছিত হইয়াছে, তাহা সাবধানে রাখ; যাহা অযথারূপে বিদ্যা নামে আখ্যাত, তাহার ধর্মবিরোধী নিঃসার শব্দাড়ম্বর ও বিরোধবাণী হইতে বিমুখ হও;সেই বিদ্যা অঙ্গীকার করিয়া কেহ কেহ বিশ্বাস সম্বন্ধে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়াছে। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হউক।