তোমাকে বলছি, জীবনে অনেক চিন্তা, অনেক দায়িত্ব থাকে, কিন্তু ঈশ্বর আর তাঁর ধার্মিকতাকে সবার আগে স্থান দেওয়া কত জরুরি, সেটা যীশু আমাদের বুঝিয়েছেন। আমরা অনেকেই হয়তো এটা ভুলে যাই, কিন্তু ঈশ্বরের বানী স্পষ্ট— তাঁর উপর আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে।
অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না, কখন যে ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে, তাঁর উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি না। প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, অন্যের প্রতি ভালোবাসা— এগুলো না করলে আমাদের আধ্যাত্মিক জীবন নিভে যাবে, ঈশ্বরের থেকে দূরে সরে যাব।
তাই প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছে যাওয়া কত জরুরি! প্রতিদিন তাঁর নতুন নতুন রহস্য উন্মোচিত হয়, যা আমাদের মুগ্ধ করে। যে কোন সম্পর্ক টিকে থাকে দুই পক্ষের আন্তরিকতার উপর। ঈশ্বরের প্রেম আমাদের জন্য অপরিবর্তনীয়, এটা মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর আত্মার সাথে মিলে মিশে থাকলে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো আমরা তাঁর সাথেই কাটাতে পারব। ঈশ্বর থেকে দূরে যাওয়া যাবে না। তাঁকে জানার আগ্রহটা বাড়াতে হবে। কারণ তিনি আমাদের ভালোবাসেন, আমাদের কাছে আসতে চান। (মথি ৬:৩৩)
তথাপি তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে, তুমি আপন প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করিয়াছ।
অতএব স্মরণ কর, কোথা হইতে পতিত হইয়াছ, এবং মন ফিরাও ও প্রথম কর্ম সকল কর; কিন্তু যদি মন না ফিরাও, আমি তোমার নিকটে আসিব ও তোমার দীপবৃক্ষ স্বস্থান হইতে দূর করিব।
আর তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ, ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিবে।
তুমি যাও, যিরূশালেমের কর্ণগোচরে এই কথা প্রচার কর, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমার পক্ষে তোমার যৌবনের ভক্তি, তোমার বিবাহকালের প্রেম আমার স্মরণ হয়; তুমি আমার পশ্চাতে প্রান্তরে, যেখানে বপন করা যায় নাই, এমন দেশে গমন করিয়াছিলে।
আর আমি চিরকালের জন্য তোমাকে বাগ্দান করিব; হাঁ, ধার্মিকতায়, ন্যায়বিচারে, দয়াতে ও বহুবিধ অনুকম্পায় তোমাকে বাগ্দান করিব।
তোমরা বিবাদ কর, তোমাদের মাতার সহিত বিবাদ কর, কেননা সে আমার স্ত্রী নয়, এবং আমিও তাহার স্বামী নই; সে আপনার দৃষ্টি হইতে আপন বেশ্যাচার, এবং আপনার স্তনযুগলের মধ্য হইতে আপন ব্যভিচার দূর করুক।
আমি বিশ্বস্ততায় তোমাকে বাগ্দান করিব, তাহাতে তুমি সদাপ্রভুকে জানিবে।
তুমি আমাকে মোহরের ন্যায় তোমার হৃদয়ে, মোহরের ন্যায় তোমার বাহুতে রাখ; কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নির শিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি।
বহু জল প্রেম নির্বাপিত করিতে পারে না, স্রোতস্বতীগণ তাহা ডুবাইয়া দিতে পারে না; কেহ যদি প্রেমের জন্য গৃহের সর্বস্ব দেয়, লোকে তাহাকে যার-পর-নাই তুচ্ছ করে।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”
এইটি মহৎ ও প্রথম আজ্ঞা। আর দ্বিতীয়টি ইহার তুল্য;
আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতু আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।
প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না,
প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,
অধার্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে;
সকলই বহন করে, সকলই বিশ্বাস করে, সকলই প্রত্যাশা করে, সকলই ধৈর্যপূর্বক সহ্য করে।
আর তুমি তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ, তোমার সমস্ত মন ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে।”
যদি আমি মনুষ্যদের, এবং দূতগণেরও ভাষা বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দকারক পিত্তল ও ঝম্ঝম্কারী করতাল হইয়া পড়িয়াছি।
কিন্তু যাহা পূর্ণ তাহা আসিলে, যাহা অংশমাত্র তাহার লোপ হইবে।
আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর ন্যায় কথা কহিতাম, শিশুর ন্যায় চিন্তা করিতাম, শিশুর ন্যায় বিচার করিতাম; এখন মানুষ হইয়াছি বলিয়া শিশুভাবগুলি ত্যাগ করিয়াছি।
কারণ এখন আমরা দর্পণে অস্পষ্ট দেখিতেছি, কিন্তু তৎকালে সম্মুখাসম্মুখি হইয়া দেখিব; এখন আমি কতক অংশে জানিতে পাই, কিন্তু তৎকালে আমি নিজে যেমন পরিচিত হইয়াছি, তেমনি পরিচয় পাইব।
আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা, প্রেম এই তিনটি আছে, আর ইহাদের মধ্যে প্রেমই শ্রেষ্ঠ।
আর যদি ভাববাণী প্রাপ্ত হই, ও সমস্ত নিগূঢ়তত্ত্বে ও সমস্ত জ্ঞানে পারদর্শী হই, এবং যদি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যাহাতে আমি পর্বত স্থানান্তর করিতে পারি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি কিছুই নহি।
আর যথাসর্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই।
হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।
আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
কারণ ঈশ্বরীয় অন্তর্জ্বালায় তোমাদের জন্য আমার অন্তর্জ্বালা হইতেছে, কেননা আমি তোমাদিগকে সতী কন্যা বলিয়া একই বর খ্রীষ্টের হস্তে সমর্পণ করিবার জন্য বাগ্দান করিয়াছি।
হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব; আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত, শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
তিনি আমাদের নিমিত্তে আপন প্রাণ দিলেন, ইহাতে আমরা প্রেম জ্ঞাত হইয়াছি; এবং আমরাও ভ্রাতাদের নিমিত্ত আপন আপন প্রাণ দিতে বাধ্য।
যেন বিশ্বাস দ্বারা খ্রীষ্ট তোমাদের হৃদয়ে বাস করেন; যেন তোমরা প্রেমে বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত হইয়া,
সমস্ত পবিত্রগণের সহিত বুঝিতে সমর্থ হও যে, সেই প্রশস্ততা, দীর্ঘতা, উচ্চতা ও গভীরতা কি, এবং জ্ঞানাতীত যে খ্রীষ্টের প্রেম,
তাহা যেন জানিতে সমর্থ হও, এই প্রকারে যেন ঈশ্বরের সমস্ত পূর্ণতার উদ্দেশে পূর্ণ হও।
কেননা তোমার নির্মাতা তোমার পতি, তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু; আর ইস্রায়েলের পবিত্রতম তোমার মুক্তিদাতা, তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইবেন।
আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
তখন আমি তোমার নিকট দিয়া গমন করিয়া তোমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিলাম, দেখ, তোমার সময় প্রেমের সময়, এই জন্য আমি তোমার উপরে আপন বস্ত্র বিস্তার করিয়া তোমার উলঙ্গতা আচ্ছাদন করিলাম; এবং আমি শপথ করিয়া তোমার সহিত নিয়ম স্থির করিলাম, ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন, তাহাতে তুমি আমার হইলে।
কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে যে বিশ্বাস এবং সমস্ত পবিত্র লোকের প্রতি যে প্রেম তোমাদের আছে, তাহার সংবাদ শুনিয়াছি;
ইহার মূল সেই প্রত্যাশিত বিষয়, যাহা তোমাদের নিমিত্ত স্বর্গে রাখা হইয়াছে। তাহার বৃত্তান্ত তোমরা সেই সুসমাচারের সত্যের বাক্যে পূর্বে শুনিয়াছ,
আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচিয়া পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদিগকে পরস্পরের ও সকলের প্রতি প্রেমে বর্ধিষ্ণু করুন ও উপচিয়া পড়িতে দিউন;
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী; সেই বীর পরিত্রাণ করিবেন, তিনি তোমার বিষয়ে পরম আনন্দ করিবেন; তিনি প্রেমভরে মৌনী হইবেন, আনন্দগান দ্বারা তোমার বিষয়ে উল্লাস করিবেন।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,
কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কিন্তু যে তাঁহার বাক্য পালন করে, তাহার অন্তরে সত্যই ঈশ্বরের প্রেম সিদ্ধ হইয়াছে। ইহাতেই আমরা জানিতে পারি যে, তাঁহাতে আছি;
যে বলে, আমি তাঁহাতে থাকি, তাহার উচিত যে তিনি যেরূপ চলিতেন, সেও তদ্রূপ চলে।
দেখ, পিতা আমাদিগকে কেমন প্রেম প্রদান করিয়াছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া আখ্যাত হই; আর আমরা তাহাই বটে। এই জন্য জগৎ আমাদিগকে জানে না, কারণ সে তাঁহাকে জানে নাই।
প্রিয়তমেরা, আইস, আমরা পরস্পর প্রেম করি; কারণ প্রেম ঈশ্বরের; এবং যে কেহ প্রেম করে, সে ঈশ্বর হইতে জাত এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
যে প্রেম করে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বর প্রেম।
আর ঈশ্বরের যে প্রেম আমাদের মধ্যে আছে, তাহা আমরা জানি ও বিশ্বাস করিয়াছি। ঈশ্বর প্রেম; আর প্রেমে যে থাকে, সে ঈশ্বরে থাকে এবং ঈশ্বর তাহাতে থাকেন।
প্রিয়তমেরা, আইস, আমরা পরস্পর প্রেম করি; কারণ প্রেম ঈশ্বরের; এবং যে কেহ প্রেম করে, সে ঈশ্বর হইতে জাত এবং সে ঈশ্বরকে জানে।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।
অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।
উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;
কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।
দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।
নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,
জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।
তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব, সেই সকল আমি ভালবাসি।
আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সেই সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।
আমি সদাপ্রভুকে প্রেম করি, কারণ তিনি শুনেন আমার রব ও আমার বিনতি।
আমার বিশ্বাস আছে, তাই কথা বলিব; আমি নিতান্ত দুঃখার্ত ছিলাম।
আমি উদ্বেগে বলিয়াছিলাম, মনুষ্যমাত্র মিথ্যাবাদী।
আমি সদাপ্রভু হইতে যে সকল মঙ্গল পাইয়াছি, তাহার পরিবর্তে তাঁহাকে কি ফিরাইয়া দিব?
আমি পরিত্রাণের পানপাত্র গ্রহণ করিব, এবং সদাপ্রভুর নামে ডাকিব।
আমি সদাপ্রভুর কাছে আমার মানত সকল পূর্ণ করিব; তাঁহার সমস্ত প্রজার সাক্ষাতেই করিব।
সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে বহুমূল্য তাঁহার সাধুগণের মৃত্যু।
বিনয় করি, সদাপ্রভু, আমি তোমার দাস; আমি তোমার দাস, তোমার দাসীর পুত্র; তুমি আমার বন্ধন সকল মুক্ত করিয়াছ।
আমি তোমার উদ্দেশে স্তব-বলি উৎসর্গ করিব, আর সদাপ্রভুর নামে ডাকিব।
সদাপ্রভুর কাছে আমার মানত সকল পূর্ণ করিব, তাঁহার সমস্ত প্রজার সাক্ষাতেই করিব;
সদাপ্রভুর গৃহের প্রাঙ্গণে, হে যিরূশালেম, তোমারই মধ্যে পূর্ণ করিব। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
তিনি আমার প্রতি কর্ণপাত করিয়াছেন, তজ্জন্য আমি যাবজ্জীবন তাঁহাকে ডাকিব।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,
মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
আর আমি এই প্রার্থনা করিয়া থাকি, তোমাদের প্রেম যেন তত্ত্বজ্ঞানে ও সর্বপ্রকার সূক্ষ্মচৈতন্যে উত্তর উত্তর উপচিয়া পড়ে;
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।
প্রাচীন লোক হইতেও আমি বুদ্ধিমান, কারণ আমি তোমার নিদেশ সকল পালন করিয়াছি।
আমি সমস্ত কুপথ হইতে আমার চরণ নিবৃত্ত করিয়াছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।
আমি তোমার শাসনপথ হইতে ফিরি নাই, কারণ তুমিই আমাকে শিক্ষা দিয়াছ।
তোমার বচন সকল আমার তালুতে কেমন মিষ্ট লাগে! তাহা আমার মুখে মধু হইতেও মধুর!
তোমার নিদেশমালা দ্বারা আমার বুদ্ধিলাভ হয়, তাই আমি সমুদয় মিথ্যাপথ ঘৃণা করি।
তোমার বাক্য আমার চরণের প্রদীপ, আমার পথের আলোক।
আমি শপথ করিয়াছি, স্থির করিয়াছি, তোমার ধর্মময় শাসন সকল পালন করিব।
আমি অতিশয় দুঃখার্ত; হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্যানুসারে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
আমার প্রাণ নিরন্তর আমার করতলে, তথাপি আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলিয়া যাই নাই।
তোমার বচন আমি হৃদয়মধ্যে সঞ্চয় করিয়াছি, যেন তোমার বিরুদ্ধে পাপ না করি।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
কারণ খ্রীষ্টের প্রেম আমাদিগকে বশে রাখিয়া চালাইতেছে; কেননা আমরা এইরূপ বিচার করিয়াছি যে, একজন সকলের জন্য মরিলেন, সুতরাং সকলেই মরিল;
আর তিনি সকলের জন্য মরিলেন, যেন, যাহারা জীবিত আছে, তাহারা আর আপনাদের উদ্দেশে নয়, কিন্তু তাঁহারই উদ্দেশে জীবন ধারণ করে, যিনি তাহাদের জন্য মরিয়াছিলেন, ও উত্থাপিত হইলেন।
আমার যৌবনের পাপ ও আমার অধর্ম সকল স্মরণ করিও না, সদাপ্রভু, তোমার মঙ্গলভাবের অনুরোধে, তোমার দয়ানুসারে আমাকে স্মরণ কর।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;
এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়।
সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;
পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;
পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল।
তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্তনের স্থান পাইল না।
কারণ তোমরা সেই স্পৃশ্য ও অগ্নিতে প্রজ্বলিত পর্বত, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, তূরীর ধ্বনি ও বাক্যের শব্দ এই সকলের নিকট উপস্থিত হও নাই।
সেই শব্দ যাহারা শুনিয়াছিল, তাহারা প্রার্থনা করিয়াছিল, যেন তাহাদের কাছে আর কথা বলা না হয়;
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
আমরা সর্বদা তোমাদের নিমিত্তে প্রার্থনাকালে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি;
কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে যে বিশ্বাস এবং সমস্ত পবিত্র লোকের প্রতি যে প্রেম তোমাদের আছে, তাহার সংবাদ শুনিয়াছি;
ইহার মূল সেই প্রত্যাশিত বিষয়, যাহা তোমাদের নিমিত্ত স্বর্গে রাখা হইয়াছে। তাহার বৃত্তান্ত তোমরা সেই সুসমাচারের সত্যের বাক্যে পূর্বে শুনিয়াছ,
প্রেমে ভয় নাই, বরং সিদ্ধ প্রেম ভয়কে বাহির করিয়া দেয়, কেননা ভয় দণ্ডযুক্ত, আর যে ভয় করে, সে প্রেমে সিদ্ধ হয় নাই।
কেননা ঈশ্বরের প্রতি প্রেম এই, যেন আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি; আর তাঁহার আজ্ঞা সকল দুর্বহ নয়;