তোমার জীবনে হয়তো এমন একটা ভালোবাসা এসেছে, যেটা আসলে ঈশ্বরের ভালোবাসা না। সেটা সেই বিশুদ্ধ, সত্যিকারের ভালোবাসা না, যেটা ঈশ্বর আমাদের শেখান। এইরকম ভুল ভালোবাসা তোমাকে বোঝা, অগ্রগতির বাধা, এবং কষ্টের মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
এই ভালোবাসা ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা পরিচালিত নয়। এটা মিলনের বদলে তীব্র মতবিরোধের সৃষ্টি করে। পৌল করিন্থীয় คริสตจักরকে খ্রিস্টীয় জীবন সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং অবিশ্বাসীদের সাথে অসম যোগ স্থাপন করার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। কারণ বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীরা আলো এবং অন্ধকারের মতো বিপরীত, তাদের মধ্যে কোন মিল নেই।
ঠিক তেমনি, যখন ঈশ্বরের কোন সন্তান এমন কাউকে পছন্দ করে যে এখনও খ্রীষ্টকে হৃদয়ে গ্রহণ করেনি এবং প্রকৃত রূপান্তর অনুভব করেনি, তখন একই রকম ঘটনা ঘটে। তাই ঈশ্বরের পথ অনুসরণ করা এবং তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্ধকারের সাথে জড়িত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ শেষ পর্যন্ত তুমি ঈশ্বরকে না ভয় করা লোকদের মতো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। তাই এমন কাউকে খোঁজো যার ঈশ্বরের প্রতি তোমার মতো উৎসাহ এবং ভক্তি আছে, যার সাথে তুমি ঈশ্বরের দয়া অনুভব করতে পারো এবং তাঁর নামে মহান কাজ করতে পারো।
তোমার পাশে এমন কাউকে রাখো যে তোমার বিরোধী নয়, বরং যীশুর ইচ্ছা পূরণ করে একসাথে অগ্রসর হওয়ার এবং বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তোমাকে উৎসাহিত করে। যেমন ১ যোহন ২:১৫-এ বলা হয়েছে, "তোমরা জগৎকে ও জগতের বিষয়গুলোকে ভালোবাসো না। যদি কেউ জগৎকে ভালোবাসে, তবে পিতার প্রেম তার মধ্যে নেই।"
আর তাহাদের সহিত বিবাহ-সম্বন্ধ করিবে না; তুমি তাহার পুত্রকে আপনার কন্যা দিবে না, ও আপন পুত্রের জন্য তাহার কন্যা গ্রহণ করিবে না।কেননা সে তোমার সন্তানকে আমার অনুগমন হইতে ফিরাইবে, আর তাহারা অন্য দেবগণের সেবা করিবে; তাই তোমাদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইবে, এবং তিনি তোমাকে শীঘ্র বিনষ্ট করিবেন।
লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; তুমি এইরূপ লোকদের হইতে সরিয়া যাও।
কেননা আমি স্ত্রীত্যাগ ঘৃণা করি, ইহা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু কহেন, আর যে আপন পরিচ্ছদ দৌরাত্ম্যে আচ্ছাদন করে, [তাহাকে ঘৃণা করি,] ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন। অতএব তোমরা আপন আপন আত্মার বিষয়ে সাবধান হও, বিশ্বাসঘাতকতা করিও না।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
প্রিয়তম, যাহা মন্দ, তাহার অনুকারী হইও না, কিন্তু যাহা উত্তম, তাহার অনুকারী হও। যে উত্তম কার্য করে, সে ঈশ্বর হইতে; যে মন্দ কার্য করে, সে ঈশ্বরকে দর্শন করে নাই।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?আর বলীয়ালের [পাপদেবের] সহিত খ্রীষ্টের কি ঐক্য? অবিশ্বাসীর সহিত বিশ্বাসীরই বা কি অংশ?
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।
আর বিবাহিত লোকদিগকে এই আজ্ঞা দিতেছি- আমি দিতেছি তাহা নয়, কিন্তু প্রভুই দিতেছেন- স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে চলিয়া না যাউক-যদি চলিয়া যায়, তবে সে অবিবাহিতা থাকুক, কিম্বা স্বামীর সহিত সম্মিলিতা হউক- আর স্বামীও স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করুক।কিন্তু আর সকলকে আমি বলি, প্রভু নয়; যদি কোন ভ্রাতার অবিশ্বাসিনী স্ত্রী থাকে, আর সেই নারী তাহার সহিত বাস করিতে সম্মত হয়, তবে সে তাহাকে পরিত্যাগ না করুক;আবার যে স্ত্রীর অবিশ্বাসী স্বামী আছে, আর সেই ব্যক্তি তাহার সহিত বাস করিতে সম্মত হয়, তবে সে স্বামীকে পরিত্যাগ না করুক।কেননা অবিশ্বাসী স্বামী সেই স্ত্রীতে পবিত্রীকৃত হইয়াছে, এবং অবিশ্বাসিনী স্ত্রী সেই ভ্রাতাতে পবিত্রীকৃতা হইয়াছে; তাহা না হইলে তোমাদের সন্তানগণ অশুচি হইত, কিন্তু বাস্তবিক তাহারা পবিত্র।তথাপি অবিশ্বাসী যদি চলিয়া যায়, চলিয়া যাউক; এমন স্থলে সেই ভ্রাতা কি সেই ভগিনী দাসত্বে বদ্ধ নহে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদিগকে শান্তিতেই আহ্বান করিয়াছেন।কারণ, হে নারি, তুমি কি করিয়া জান যে, তুমি তোমার স্বামীকে পরিত্রাণ করিবে কি না? অথবা হে স্বামি, তুমি কি করিয়া জান যে, তুমি তোমার স্ত্রীকে পরিত্রাণ করিবে কি না?
নতুবা যদি কোন প্রকারে পশ্চাতে ফিরিয়া যাও, এবং এই জাতিগণের শেষ যে লোকেরা তোমাদের অবশিষ্ট আছে, তাহাদের প্রতি আসক্ত হও, তাহাদের সঙ্গে বিবাহ সম্বন্ধ স্থাপন কর, এবং তাহাদের নিকটে তোমাদের ও তোমাদের নিকটে তাহাদের সমাগম হয়;তবে নিশ্চয় জানিবে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দৃষ্টিগোচর হইতে এই জাতিদিগকে আর তাড়াইয়া দিবেন না, কিন্তু তাহারা তোমাদের ফাঁদ ও পাশ এবং তোমাদের কক্ষে কশাঘাত ও তোমাদের চক্ষুর কণ্টকস্বরূপ হইয়া থাকিবে, যে পর্যন্ত তোমরা এই উত্তম ভূমি হইতে বিনষ্ট না হও, যে ভূমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদিগকে দিয়াছেন।
যে জাতিগণের বিষয়ে সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বলিয়াছিলেন, তোমরা তাহাদের কাছে যাইও না, এবং তাহাদিগকে আপনাদের কাছে আসিতে দিও না, কেননা তাহারা অবশ্য তোমাদের হৃদয়কে আপনাদের দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিবে, শলোমন তাহাদেরই প্রতি প্রেমাসক্ত হইলেন।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
স্বাধীনতার নিমিত্তই খ্রীষ্ট আমাদিগকে স্বাধীন করিয়াছেন; অতএব তোমরা স্থির থাক, এবং দাসত্ব-জোঁয়ালিতে আর বদ্ধ হইও না।
অতএব তোমরা তাহাদের পুত্রগণের সহিত তোমাদের কন্যাগণের বিবাহ দিও না, ও তোমাদের পুত্রগণের জন্য তাহাদের কন্যাগণকে গ্রহণ করিও না, এবং তাহাদের শান্তি ও মঙ্গল কখনও চেষ্টা করিও না; যেন তোমরা বলবান হও, যেন দেশের উত্তম দ্রব্য ভোগ করিতে, ও চিরকালের নিমিত্ত আপন সন্তানদের জন্য অধিকারস্বরূপ তাহা রাখিয়া যাইতে পার।
যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী নিদ্রাগত হইলে পর সে স্বাধীন হয়, যাহাকে ইচ্ছা করে, তাহার সহিত বিবাহিতা হইতে পারে, কিন্তু কেবল প্রভুতেই।
যে জাতিগণের বিষয়ে সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানগণকে বলিয়াছিলেন, তোমরা তাহাদের কাছে যাইও না, এবং তাহাদিগকে আপনাদের কাছে আসিতে দিও না, কেননা তাহারা অবশ্য তোমাদের হৃদয়কে আপনাদের দেবগণের অনুগমনে বিপথগামী করিবে, শলোমন তাহাদেরই প্রতি প্রেমাসক্ত হইলেন।আর তহ্পনেষের ভগিনী তাঁহার জন্য গনুবৎ নামে এক পুত্র প্রসব করেন, এবং তহ্পনেষ ফরৌণের বাটীতে তাহার স্তন্য ত্যাগ করান, আর গনুবৎ ফরৌণের বাটীতে ফরৌণের পুত্রদের মধ্যে ছিল।পরে যখন হদদ মিসরে শুনিলেন যে, দায়ূদ আপন পিতৃলোকদের সহিত নিদ্রাগত হইয়াছেন ও যোয়াব সেনাপতি মরিয়াছেন, তখন হদদ ফরৌণকে কহিলেন, আমাকে বিদায় করুন, আমি স্বদেশে যাই।ফরৌণ তাঁহাকে কহিলেন, আমার এখানে তোমার কিসের অভাব হইয়াছে যে, দেখ, তুমি স্বদেশে যাইতে চেষ্টা করিতেছ? তিনি কহিলেন, অভাব হয় নাই, তথাপি কোন প্রকারে আমাকে বিদায় করুন।ঈশ্বর শলোমনের আর একজন বিপক্ষ উৎপন্ন করিলেন; তিনি ইলিয়াদার পুত্র রষোণ; সেই ব্যক্তি সোবার রাজা হদদেষর নামক আপন প্রভুর নিকট হইতে পলায়ন করিয়াছিলেন।আর যে সময়ে দায়ূদ [সোবার] লোকদিগকে আঘাত করেন, তৎকালে ইনি আপনার নিকটে লোক সংগ্রহ করিয়া দলপতি হইয়াছিলেন। পরে তাঁহারা দম্মেশকে গিয়া সেখানে বাস করিলেন, এবং দম্মেশকে রাজত্ব করিলেন।হদদের কৃত অপকার ছাড়া ইনি শলোমনের সমস্ত জীবনকাল ব্যাপিয়া ইস্রায়েলের বিপক্ষ ছিলেন, এবং ইস্রায়েলকে দ্বেষ করিলেন, আর অরামের উপরে রাজত্ব করিলেন।আর সরেদা-নিবাসী ইফ্রয়িমীয় নবাটের পুত্র যারবিয়াম শলোমনের দাস ছিলেন; তাঁহার মাতার নাম সরূয়া, তিনি বিধবা; সেই ব্যক্তিও রাজার বিরুদ্ধে হস্ত তুলিলেন।রাজার বিরুদ্ধে তাঁহার হস্ত তুলিবার কারণ এই; শলোমন মিল্লো গাঁথিতেছিলেন, ও আপন পিতা দায়ূদের নগরের ভগ্নস্থান বদ্ধ করিয়া দিতেছিলেন।আর যারবিয়াম লোকটি বলবান বীর ছিলেন; এবং শলোমন এই যুবা লোকটিকে কার্যদক্ষ দেখিয়া যোষেফ-কুলের সমস্ত ভারের অধ্যক্ষ করেন।তৎকালে যারবিয়াম যিরূশালেমের বাহিরে গেলে শীলোনীয় অহিয় ভাববাদী পথে তাঁহার দেখা পাইলেন; অহিয় নূতন বস্ত্র পরিহিত ছিলেন, এবং মাঠে কেবল তাঁহারা দুই জন ছিলেন।সাত শত রমণী তাঁহার পত্নী, ও তিনশত তাঁহার উপপত্নী ছিল; তাঁহার সেই স্ত্রীরা তাঁহার হৃদয়কে বিপথগামী করিল।
শলোমন রাজা ফরৌণের কন্যা ব্যতিরেকে আরও অনেক বিদেশীয়া রমণীকে, অর্থাৎ মোয়াবীয়া, অম্মোণীয়া, ইদোমীয়া, সীদোনীয়া ও হিত্তীয়া রমণীকে প্রেম করিতেন।
আবার সেই সময়ে আমি দেখিলাম, যিহূদিগণের কেহ কেহ অস্দোদীয়া, অম্মোনীয়া ও মোয়াবীয়া স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছে;এবং তাহাদের সন্তানেরা অর্ধ অস্দোদীয় ভাষায় কথা কহিতেছে, যিহূদীদের ভাষায় কথা কহিতে জানে না, কিন্তু স্ব স্ব জাতির ভাষানুসারে কথা কহে।তাহাতে আমি তাহাদের সঙ্গে বিবাদ করিলাম, তাহাদিগকে তিরস্কার করিলাম, এবং তাহাদের কোন কোন ব্যক্তিকে প্রহার ও তাহাদের কেশ উৎপাটন করিলাম, এবং ঈশ্বরের নামে তাহাদিগকে [এই বলিয়া] দিব্য করাইলাম, তোমরা উহাদের পুত্রদের সহিত আপন আপন কন্যাদের বিবাহ দিবে না, ও আপন আপন পুত্রদের জন্য কিম্বা আপনাদের জন্য উহাদের কন্যাদিগকে গ্রহণ করিবে না।ইস্রায়েল-রাজ শলোমন এই সকল কার্য করিয়া কি অপরাধী হন নাই? কিন্তু অনেক জাতির মধ্যে তাঁহার তুল্য কোন রাজা ছিল না; আর তিনি আপন ঈশ্বরের প্রিয় পাত্র ছিলেন, এবং ঈশ্বর তাঁহাকে সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজা করিয়াছিলেন; তথাপি বিজাতীয় স্ত্রীরা তাঁহাকেও পাপ করাইয়াছিল।অতএব আমরা কি তোমাদের এই কথায় কর্ণপাত করিব যে, তোমরা বিজাতীয় কন্যাদিগকে বিবাহ করিয়া আমাদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সত্যলঙ্ঘন করিবার নিমিত্তে এই সমস্ত মহাপাপ করিবে?
কোপন স্বভাব লোকের সহিত বন্ধুত্ব করিও না, ক্রোধীর সঙ্গে যাতায়াত করিও না;পাছে তুমি তাহার আচরণ শিক্ষা কর, আপন প্রাণের জন্য ফাঁদ প্রস্তুত কর।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।কিন্তু সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ করে, তাঁহার ব্যবস্থা দিবারাত্র ধ্যান করে।
তোমরা যদি জগতের হইতে, তবে জগৎ আপনার নিজস্ব বলিয়া ভাল বাসিত; কিন্তু তোমরা ত জগতের নহ, বরং আমি তোমাদিগকে জগতের মধ্য হইতে মনোনীত করিয়াছি, এই জন্য জগৎ তোমাদিগকে দ্বেষ করে।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আর ঈশ্বর আপন পরাক্রমের দ্বারা প্রভুকে উঠাইয়াছেন, আমাদিগকেও উঠাইবেন।তোমরা কি জান না যে, তোমাদের দেহ খ্রীষ্টের অঙ্গ? তবে আমি কি খ্রীষ্টের অঙ্গ লইয়া গিয়া বেশ্যার অঙ্গ করিব? তাহা দূরে থাকুক।অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তাহার সহিত একদেহ হয়? কারণ তিনি বলেন, “সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।”
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
পরে আমি স্বর্গ হইতে এইরূপ আর এক বাণী শুনিলাম, ‘হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও।
অতএব “তোমরা তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, ও পৃথক হও, ইহা প্রভু কহিতেছেন, এবং অশুচি বস্তু স্পর্শ করিও না; তাহাতে আমিই তোমাদিগকে প্রহণ করিব,
অতএব তাহাদের সহভাগী হইও না;কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে দীপ্তি হইয়াছ;
কাহারও উপরে হস্তার্পণ করিতে সত্বর হইও না, এবং অন্যের পাপের ভাগী হইও না, আপনাকে শুদ্ধ করিয়া রক্ষা কর।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
আজ্ঞাবহতার সন্তান বলিয়া তোমরা তোমাদের পূর্বকার অজ্ঞানতাকালের অভিলাষের অনুরূপ হইও না,কিন্তু যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, সেই পবিত্রতমের ন্যায় আপনারাও সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও;কেননা লেখা আছে, “তোমরা পবিত্র হইবে, কারণ আমি পবিত্র”।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।