সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
কেননা তোমার দেশের মধ্যে দরিদ্রের অভাব হইবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি, তুমি আপন দেশে তোমার ভ্রাতার প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলিয়া রাখিবে।
কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দিয়াছিলে; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাইয়াছিলে; অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলে;বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে; পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে; কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।
যে দীনহীনের প্রতি উপদ্রব করে, সে তাহার নির্মাতাকে উপহাস করে; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁহাকে সম্মান করে।
তিনি উত্তর করিয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, যাহার দুইটি আঙ্রাখা আছে, সে, যাহার নাই, তাহাকে একটি দিউক; আর যাহার কাছে খাদ্য দ্রব্য আছে, সেও তদ্রূপ করুক।
ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম।
আমার সকল অস্থি বলিবে, সদাপ্রভু,তোমার তুল্য কে? তুমিই দুঃখীকে তদপেক্ষা বলবান ব্যক্তি হইতে, দুঃখী দরিদ্রকে তাহার লুন্ঠনকারী হইতে, উদ্ধার করিয়া থাক।
যদি কেহ বলে, আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি, আর আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী; কেননা যাহাকে দেখিয়াছে, আপনার সেই ভ্রাতাকে যে প্রেম না করে, সে যাঁহাকে দেখে নাই, সেই ঈশ্বরকে প্রেম করিতে পারে না।
তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
আর তোমার ভ্রাতা যদি দরিদ্র হয় ও তোমার নিকটে শূন্যহস্ত হয়, তবে তুমি তাহার উপকার করিবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর ন্যায় তোমার সহিত জীবন ধারণ করিবে।
দুঃখীদের সর্বনাশ, দীনহীনের কাতরোক্তি প্রযুক্ত, আমি এক্ষণে উঠিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি ত্রাণাকাঙ্ক্ষীর ত্রাণ করিব।
কিন্তু একজন শমরীয় সেই পথ দিয়া যাইতে যাইতে তাহার নিকটে আসিল;আর তাহাকে দেখিয়া করুণাবিষ্ট হইল, এবং নিকটে আসিয়া তৈল ও দ্রাক্ষারস ঢালিয়া দিয়া তাহার ক্ষত সকল বন্ধন করিল; পরে আপন পশুর উপরে তাহাকে বসাইয়া এক পান্থশালায় লইয়া গিয়া তাহার প্রতি যত্ন করিল।
বরং “তোমার শত্রু যদি ক্ষুধিত হয়, তাহাকে ভোজন করাও; যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে পান করাও; কেননা তাহা করিলে তুমি তাহার মস্তকে জ্বলন্ত অঙ্গারের রাশি করিয়া রাখিবে।”
যাহা হউক, “তুমি আপন প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিও,” এই শাস্ত্রীয় বচনানুসারে যদি তোমরা রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে ভাল করিতেছ।
এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকর্মের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথিসেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকর্মের অনুসরণ করিয়া থাকে।
আর যে কেহ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে কোন একজনকে শিষ্য বলিয়া কেবল এক বাটি শীতল জল পান করিতে দেয়, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, সে কোন মতে আপন পুরস্কারে বঞ্চিত হইবে না।
তুমি ক্ষেত্রে আপন শস্য ছেদন কালে যদি এক আটি ক্ষেত্রে ফেলিয়া রাখিয়া আসিয়া থাক, তবে তাহা লইয়া আসিতে ফিরিয়া যাইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে; যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।আর সেই স্ত্রী তাহার বাটী হইতে বাহির হইবার পর গিয়া অন্য পুরুষের স্ত্রী হইতে পারে।যখন তোমার জলপাইবৃক্ষের ফল পাড়, তখন শাখাতে আবার অবশিষ্টের অন্বেষণ করিবে না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে।যখন তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের দ্রাক্ষাফল চয়ন কর, তখন চয়নের পরে আবার কুড়াইও না; তাহা বিদেশীর, পিতৃহীনের ও বিধবার জন্য থাকিবে।
কিন্তু সপ্তম বৎসরে তাহাকে বিশ্রাম দিও, ফেলিয়া রাখিও; তাহাতে তোমার স্বজাতীয় দরিদ্রগণ খাইতে পাইবে, আর তাহারা যাহা অবশিষ্ট রাখে, তাহা বন্য পশুতে খাইবে। তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের ও জলপাইবৃক্ষের বিষয়েও সেইরূপ করিও।
হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, শুন, সংসারে যাহারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাহাদিগকে মনোনীত করেন নাই, যেন তাহারা বিশ্বাসে ধনবান হয়, এবং যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে, তাহাদের কাছে অঙ্গীকৃত রাজ্যের অধিকারী হয়?
তুমি দেখিয়াছ, কেননা তুমি উপদ্রব ও দ্বেষের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছ, যেন তাহার প্রতীকার স্ব-হস্তে কর; অনাথ তোমারই উপরে ভার সমর্পণ করে; তুমিই পিতৃহীনের সহায়।
পরে তিনি ঐ দুই জনকে এই উত্তর দিলেন, তোমরা যাও, যাহা দেখিলে ও শুনিলে, তাহার সংবাদ যোহনকে দেও; অন্ধেরা দেখিতে পাইতেছে, খঞ্জেরা চলিতেছে, কুষ্ঠরোগীরা শুচিকৃত হইতেছে, বধিরেরা শুনিতেছে, মৃতেরা উত্থাপিত হইতেছে, দরিদ্রদের নিকটে সুসমাচার প্রচারিত হইতেছে;
আর খলের যন্ত্র সকল মন্দ; সে মিথ্যা কথা দ্বারা নম্রদিগকে নষ্ট করিবার জন্য, যখন দরিদ্র ব্যক্তি ন্যায় কথা বলে তখনও কুসঙ্কল্প করে।
সৎ লোক পুত্রদের পুত্রগণের জন্য অধিকার রাখিয়া যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্য সঞ্চিত হয়।
কারণ তিনি দরিদ্রের দক্ষিণে দাঁড়াইয়া থাকেন, যেন তাহার প্রাণের বিচারকদের হইতে তাহাকে ত্রাণ করেন।
পরে তিনি আপন শিষ্যগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিলেন, ধন্য দীনহীনেরা, কারণ ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদেরই।
তিনি দুঃখী প্রজাগণের বিচার করিবেন, তিনি দরিদ্রের সন্তানদিগকে ত্রাণ করিবেন, কিন্তু উপদ্রবীকে চূর্ণ করিবেন।
আমি অন্ধের চক্ষু ছিলাম, আমি খঞ্জের চরণ ছিলাম।আমি দরিদ্রগণের পিতা ছিলাম; যাহাকে না জানিতাম, তাহারও বিচারের তদন্ত করিতাম;
তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার নিষপন্ন করেন, এবং বিদেশীকে প্রেম করিয়া অন্নবস্ত্র দেন।
তিনি ধূলি হইতে দীনহীনকে তুলেন, সারের ঢিবি হইতে দরিদ্রকে উঠান, কুলীনদের সঙ্গে বসাইয়া দেন, প্রতাপ-সিংহাসনের অধিকারী করেন। কেননা পৃথিবীর স্তম্ভ সকল সদাপ্রভুর; তিনি সেই সকলের উপরে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন।
এই কথা শুনিয়া যীশু তাহাকে কহিলেন, এখনও এক বিষয়ে তোমার ত্রুটি আছে; তোমার যাহা কিছু আছে, সমস্ত বিক্রয় কর, আর দরিদ্রদিগকে বিতরণ কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
কেননা তুমি দরিদ্রের দৃঢ় দুর্গ, সঙ্কটে দীনহীনের দৃঢ় দুর্গ, ঝটিকানিবারক আশ্রয়, রৌদ্রনিবারক ছায়া হইয়াছ, যখন দুর্দান্তদের নিশ্বাস দেওয়ালে ঝটিকার ন্যায় হয়।
তৃতীয় বৎসরে, অর্থাৎ দশমাংশের বৎসরে, তোমার উৎপন্ন দ্রব্যের সমস্ত দশমাংশ পৃথক্করণ সমাপ্ত করিলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তাহা দিবে, তাহাতে তাহারা তোমার নগরদ্বারের মধ্যে ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে।
কেননা তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ জ্ঞাত আছ; তিনি ধনবান হইলেও তোমাদের নিমিত্ত দরিদ্র হইলেন, যেন তোমরা তাঁহার দরিদ্রতায় ধনবান হও।
সে বিতরণ করিয়াছে, দরিদ্রদিগকে দান করিয়াছে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী; তাহার শৃঙ্গ গৌরবে উন্নত হইবে।
আর যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার প্রাণের ইষ্ট ভক্ষ্য দেও, ও দুঃখার্ত প্রাণীকে আপ্যায়িত কর, তবে অন্ধকারে তোমার দীপ্তি উদিত হইবে, ও তোমার তিমির মধ্যাহ্নের সমান হইবে।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর, তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;
কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন ও দৈনিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে,কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে?
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
কিন্তু তুমি যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন দরিদ্র, নুলা, খঞ্জ ও অন্ধদিগকে নিমন্ত্রণ করিও;তাহাতে ধন্য হইবে, কেননা তোমার প্রতিদান করিতে তাহাদের কিছু নাই, তাই ধার্মিকগণের পুনরুত্থানের সময়ে তুমি প্রতিদান পাইবে।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
নিজের ধনবৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।
“প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুদান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,
দুঃখী দরিদ্রগণ জল অন্বেষণ করে কিন্তু জল নাই, তাহাদের জিহ্বা তৃষ্ণাতে শুষ্ক হইয়াছে; আমি সদাপ্রভু তাহাদিগকে উত্তর দিব, আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাহাদিগকে ত্যাগ করিব না।
যে দরিদ্র লোক দীনহীনদের প্রতি উপদ্রব করে, সে এমন প্লাবক বৃষ্টির তুল্য, যাহার পরে ভক্ষ্য থাকে না।
সাবধান, লোককে দেখাইবার জন্য তাহাদের সাক্ষাতে তোমাদের ধর্মকর্ম করিও না, করিলে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার নিকটে তোমাদের পুরস্কার নাই।তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক;আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আজ আমাদিগকে দেও; আর আমাদের অপরাধ সকল ক্ষমা কর, যেমন আমরাও আপন আপন অপরাধীদিগকে ক্ষমা করিয়াছি;আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না, কিন্তু মন্দ হইতে রক্ষা কর। কারণ তোমরা যদি লোকের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তোমাদিগকেও ক্ষমা করিবেন।কিন্তু তোমরা যদি লোকদিগকে ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের পিতা তোমাদেরও অপরাধ ক্ষমা করিবেন না।আর তোমরা যখন উপবাস কর, তখন কপটীদের ন্যায় বিষণ্ন-বদন হইও না; কেননা তাহারা লোককে উপবাস দেখাইবার নিমিত্ত আপনাদের মুখ মলিন করে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু তুমি যখন উপবাস কর, তখন মাথায় তৈল মাখিও, এবং মুখ ধুইও;যেন লোকে তোমার উপবাস দেখিতে না পায়, কিন্তু তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তিনিই দেখিতে পান; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।
আমি যদি দরিদ্রদিগকে তাহাদের অভীষ্ট বস্তু হইতে বঞ্চিত করিয়া থাকি, যদি বিধবার নয়ন নিস্তেজ করিয়া থাকি,যদি আমার খাদ্য একা খাইয়া থাকি, পিতৃহীন তাহার কিছু খাইতে না পাইয়া থাকে,
দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, তথাকার কোন নগর-দ্বারের ভিতরে যদি তোমার নিকটস্থ কোন ভ্রাতা দরিদ্র হয়, তবে তুমি আপন হৃদয় কঠিন করিও না, বা দরিদ্র ভ্রাতার প্রতি আপন হস্ত রুদ্ধ করিও না;কিন্তু তাহার প্রতি মুক্তহস্ত হইয়া তাহার অভাব হেতু প্রয়োজনানুসারে তাহাকে অবশ্য ঋণ দিও।
এমন কি, তাহাদের মধ্যে কেহই দীনহীন ছিল না; কারণ যাহারা ভূমির অথবা বাটীর অধিকারী ছিল, তাহারা তাহা বিক্রয় করিয়া, বিক্রীত সমপত্তির মূল্য আনিয়া প্রেরিতদের চরণে রাখিত;পরে যাহার যেমন প্রয়োজন, তাহাকে তেমনি দেওয়া হইত।
কারণ আমি আর্তনাদকারী দুঃখীকে, এবং পিতৃহীন ও অসহায়কে উদ্ধার করিতাম।নষ্টকল্পের আশীর্বাদ আমার উপরে বর্তিত; আমি বিধবার চিত্তকে আনন্দগান করাইতাম।
কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমার দক্ষিণ হস্ত কি করিতেছে, তাহা তোমার বাম হস্তকে জানিতে দিও না।ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে,‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে, এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে।কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।এইরূপে তোমার দান যেন গোপনে হয়; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।