তোমার জীবনে কিছু ভালো লাগছে না? হতাশ লাগছে? মনে হচ্ছে যেন কোনো এক অদৃশ্য শিকল তোমাকে বেঁধে রেখেছে? আমি তোমাকে বলছি, ঈশ্বরের প্রশংসা করো। আমরা সবাই তাঁর প্রশংসা করার জন্যই সৃষ্টি হয়েছি। এবং যখন আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তখন আমাদের জীবনেও আশ্চর্য কিছু ঘটে।
প্রেরিত ১৬:২৫-২৬ পদে একটা গল্প আছে। পৌল আর সীল কারাগারে ছিলেন। মধ্যরাতে তারা ঈশ্বরের প্রার্থনা করছিলেন আর গান গাইছিলেন। হঠাৎ করে একটা প্রচণ্ড ভূমিকম্প হলো! কারাগারের ভিত্তি কেঁপে উঠলো, দরজাগুলো খুলে গেলো আর সবার শিকল খুলে গেলো! ভাবো একবার, প্রশংসার কত শক্তি!
আমরা যদি প্রশংসার আসল তাৎপর্য বুঝতে পারতাম, তাহলে সারাক্ষণ ঈশ্বরের গান গাইতাম। আমাদের কণ্ঠ ভালো না খারাপ, তা কোনো ব্যাপার না। যীশুর নাম সবসময় উচ্চারিত হওয়া উচিত। তাঁর মহিমা প্রকাশ করলে, তাঁর শক্তির কথা বললে, আমাদের জীবনের সব বন্ধ দরজা খুলে যাবে, সব শিকল ভেঙে যাবে। বিশ্বাস করো, এটাই সত্য।
কে সদাপ্রভুর বিক্রমের কার্য সকল বর্ণনা করিতে পারে? কে তাঁহার সমস্ত প্রশংসা প্রচার করিতে পারে?
হে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের ত্রাণ কর, জাতিগণের মধ্য হইতে আমাদিগকে সংগ্রহ কর; যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের স্তব করি, যেন তোমার প্রশংসার জয়ধ্বনি করি।
কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।
আমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর স্তব করিব, তোমার সমস্ত আশ্চর্য ক্রিয়া বর্ণনা করিব।
যাহারা তোমার নাম জানে, তাহারা তোমাতে বিশ্বাস রাখিবে; কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি তোমার অন্বেষণকারীদিগকে পরিত্যাগ কর নাই।
তোমরা সিয়োন-নিবাসী সদাপ্রভুর প্রশংসা গাও; জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জ্ঞাত কর।
কেননা যিনি রক্তপাতের অনুসন্ধান করেন, তিনি নিহতদিগকে স্মরণ করেন; তিনি দুঃখীদের ক্রন্দন ভুলিয়া যান না;
হে সদাপ্রভু, আমার প্রতি কৃপা কর; বিদ্বেষী লোকগণ হইতে আমার যে দুঃখ ঘটে, তাহা দেখ, তুমি মৃত্যু-দ্বার হইতে আমার উত্তোলনকর্তা;
এই জন্য আমি তোমার সমস্ত প্রশংসা প্রচার করিব; সিয়োন-কন্যার পুরদ্বারসমূহে, আমি তোমার পরিত্রাণে উল্লাস করিব।
জাতিগণ আপনাদের কৃত খাতে ডুবিয়াছে; তাহারা গোপনে যে জাল পাতিয়াছিল, তাহাতে তাহাদেরই চরণ বদ্ধ হইয়াছে।
সদাপ্রভু আপনার পরিচয় দিয়াছেন; তিনি বিচার সাধন করিয়াছেন; দুষ্ট স্বহস্তের কর্মপাশে বদ্ধ হইয়াছে। [হিগায়োন। সেলা]
দুষ্টেরা পাতালে ফিরিয়া যাইবে, যে জাতিরা ঈশ্বরকে ভুলিয়া যায়, তাহারাও যাইবে।
কারণ দরিদ্র নিয়ত বিস্মৃতিপাত্র থাকিবে না, দুঃখীদের আশা চিরতরে বিনষ্ট হইবে না।
হে সদাপ্রভু, উঠ; মর্ত্য প্রবল না হউক, তোমার সাক্ষাতে জাতিগণ বিচারিত হউক।
আমি তোমাতে আনন্দ ও উল্লাস করিব; পরাৎপর, আমি তোমার নামের প্রশংসা গাহিব।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
তিনি তোমার প্রশংসা-ভূমি, তিনি তোমার ঈশ্বর; তুমি স্বচক্ষে যাহা যাহা দেখিয়াছ, সেই মহৎ ও ভয়ঙ্কর কর্ম সকল তিনিই তোমার জন্য করিয়াছেন।
পরে স্বর্গে ও পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচে ও সমুদ্রের উপরে যে সকল সৃষ্ট বস্তু, এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তেরই এই বাণী শুনিলাম, ‘যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি ধন্যবাদ ও সমাদর ও গৌরব ও কর্তৃত্ব যুগপর্যায়ের যুগে যুগে বর্তুক।’
‘মেষশাবক, যিনি হত হইয়াছিলেন, তিনিই পরাক্রম ও ধন ও জ্ঞান ও শক্তি ও সমাদর ও গৌরব ও ধন্যবাদ, এই সকল গ্রহণ করিবার যোগ্য।’
সদাপ্রভু আমার বল ও আমার ঢাল; আমার অন্তঃকরণ তাঁহার উপরে নির্ভর করিয়াছে, তাই আমি সাহায্য পাইয়াছি; এই জন্য আমার অন্তঃকরণ উল্লসিত হইয়াছে, আমি নিজ গীত দ্বারা তাঁহার প্রশংসা করিব।
ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
পরে লোকেরা সিংহনাদ করিল; ও [যাজকেরা] তূরী বাজাইল; আর লোকেরা তূরীধ্বনি শুনিয়া অতি উচ্চৈঃস্বরে সিংহনাদ করিয়া উঠিল, তাহাতে প্রাচীর স্বস্থানে পড়িয়া গেল; পরে লোকেরা প্রত্যেক জন সম্মুখ পথে নগরে উঠিয়া গিয়া নগর হস্তগত করিল।
তখন মোশি ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই গীত গান করিলেন; তাঁহারা বলিলেন, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; কেননা তিনি মহিমান্বিত হইলেন, তিনি অশ্ব ও তদারোহীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলেন।
হে সমুদয় জাতি, করতালি দেও; আনন্দরবে ঈশ্বরের উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর।
কেননা পরাৎপর সদাপ্রভু ভয়াবহ, তিনি সমস্ত পৃথিবীর উপরে মহান রাজা।
যে ব্যক্তি স্তবের বলি উৎসর্গ করে, সেই আমার গৌরব করে; যে ব্যক্তি নিজ পথ সরল করে, তাহাকে আমি ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখাইব।
আমার চিত্ত সুস্থির, হে ঈশ্বর, আমার চিত্ত সুস্থির; আমি গান করিব, আমি স্তব করিব।
হে আমার গৌরব, জাগ্রত হও; নেবল ও বীণে, জাগ্রত হও; আমি ঊষাকে জাগাইব।
হে প্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, আমি লোকবৃন্দের মধ্যে তোমার প্রশংসা গাহিব।
কারণ তোমার দয়া জীবন হইতেও উত্তম; আমার ওষ্ঠাধর তোমার প্রশংসা করিবে।
এইরূপে আমি যাবজ্জীবন তোমার ধন্যবাদ করিব, আমি তোমার নামে অঞ্জলি উঠাইব।
সমস্ত পৃথিবী! ঈশ্বরের উদ্দেশে আনন্দধ্বনি কর।
কেননা, হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের পরীক্ষা করিয়াছ, রৌপ্য পোড় দিবার ন্যায় আমাদিগকে পোড় দিয়াছ;
তুমি আমাদিগকে জালে ফেলিয়াছ, আমাদের কটিদেশ ভারগ্রস্ত করিয়াছ।
তুমি আমাদের মস্তকের উপর দিয়া অশ্বারোহী মনুষ্যদিগকে চালাইয়াছ; আমরা অগ্নি ও জলমধ্য দিয়া গমন করিয়াছি; তথাপি তুমি আমাদিগকে সমৃদ্ধি-স্থানে আনিয়াছ।
আমি হোমবলি লইয়া তোমার গৃহে প্রবেশ করিব, তোমার উদ্দেশে আমার সেই মানত সকল পূর্ণ করিব,
যাহা আমার ওষ্ঠাধর উচ্চারণ করিয়াছে, যাহা সঙ্কটের সময়ে আমার মুখ বলিয়াছে।
আমি তোমার উদ্দেশে মেদযুক্ত হোমবলি উৎসর্গ করিব, তাহার সহিত মেষরূপ ধূপদাহ করিব; ছাগদের সহিত বৃষদিগকেও বলিদান করিব। [সেলা]
হে ঈশ্বর-ভীত লোক সকলে, তোমরা আসিয়া শ্রবণ কর; আমার প্রাণের জন্য তিনি যাহা করিয়াছেন, তাহার বর্ণনা করি।
আমি নিজ মুখে তাঁহাকে ডাকিলাম, তাঁহার প্রতিষ্ঠা আমার জিহ্বাগ্রে ছিল।
যদি চিত্তে অধর্মের প্রতি তাকাইতাম, তবে প্রভু শুনিতেন না।
কিন্তু সত্যই ঈশ্বর শুনিয়াছেন; তিনি আমার প্রার্থনার রবে অবধান করিয়াছেন।
তাঁহার নামের গৌরব কীর্তন কর, তাঁহার প্রশংসা গৌরবান্বিত কর।
সদাপ্রভুর স্তব করা, হে পরাৎপর, তোমার নামের উদ্দেশে সঙ্গীত করা উত্তম;
কিন্তু তুমি আমার শৃঙ্গ গবয়ের শৃঙ্গবৎ উন্নত করিয়াছ; আমি নব তৈলে অভিষিক্ত হইয়াছি।
আর আমার চক্ষু আমার শত্রুদের দশা নিরীক্ষণ করিয়াছে; আমার কর্ণ আমার বিরোধী দুরাচারগণের দশা শুনিতে পাইয়াছে।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।
যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।
তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;
তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।
প্রাতঃকালে তোমার দয়া, ও প্রতিরাত্রে তোমার বিশ্বস্ততা প্রচার করা উত্তম,
তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও।
জাতিগণের মধ্যে বল, সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না; তিনি ন্যায়ে জাতিগণের বিচার করিবেন।
আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লসিত হউক; সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সকলই গর্জন করুক;
ক্ষেত্র ও তথাকার সকলই উল্লসিত হউক; তখন বনের সমস্ত বৃক্ষ আনন্দে গান করিবে;
সদাপ্রভুর সাক্ষাতেই করিবে, কেননা তিনি আসিতেছেন, তিনি পৃথিবীর বিচার করিতে আসিতেছেন; তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, আপন বিশ্বস্ততায় জাতিগণের বিচার করিবেন।
সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর; হে আমার অন্তরস্থ সকল, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
তিনি আমাদের প্রতি আমাদের পাপানুযায়ী ব্যবহার করেন নাই, আমাদের অধর্মানুযায়ী প্রতিফল আমাদিগকে দেন নাই।
কারণ পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে তাঁহার দয়া তত মহৎ।
পশ্চিমদিক্ হইতে পূর্বদিক্ যেমন দূরবর্তী, তিনি আমাদের হইতে আমাদের অপরাধ সকল তেমনি দূরবর্তী করিয়াছেন।
পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুণা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুণা করেন।
কারণ তিনিই আমাদের গঠন জানেন; আমরা যে ধূলিমাত্র, ইহা তাঁহার স্মরণে আছে।
মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।
তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।
কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,
তাহাদের প্রতি, যাহারা তাঁহার নিয়ম রক্ষা করে, ও তাঁহার বিধি সকল পালনার্থে স্মরণ করে।
সদাপ্রভু স্বর্গে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন, তাঁহার রাজ্য কর্তৃত্ব করে সমস্তের উপরে।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না।
সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জানাও।
তিনি তাহা যাকোবের জন্য বিধি বলিয়া, ইস্রায়েলের জন্য চিরকালীন নিয়ম বলিয়া দাঁড় করাইলেন।
তিনি কহিলেন, আমি তোমাকে কনান দেশ দিব, তাহাই তোমাদের নির্ণীত অধিকার।
তৎকালে তাহারা সংখ্যাতে অধিক ছিল না, তাহারা অল্পই ছিল, এবং তথায় প্রবাসী ছিল।
তাহারা এক জাতি হইতে অন্য জাতির নিকটে, এক রাজ্য হইতে অন্য লোকবৃন্দের নিকটে বেড়াইত।
তিনি কোন মনুষ্যকে তাহাদের প্রতি উপদ্রব করিতে দিতেন না, বরং তাহাদের জন্য রাজগণকে অনুযোগ করিতেন;
‘আমার অভিষিক্ত ব্যক্তিদিগকে স্পর্শ করিও না, আমার ভাববাদিগণের অপকার করিও না।’
আর তিনি দেশে দুর্ভিক্ষ আহ্বান করিলেন, ভক্ষ্যরূপ সমস্ত যষ্টি ভগ্ন করিলেন।
তিনি তাহাদের অগ্রে এক পুরুষকে পাঠাইলেন, যোষেফ দাসরূপে বিক্রীত হইলেন।
লোকে বেড়ি দ্বারা তাঁহার চরণকে ক্লেশ দিল; তাঁহার প্রাণ লৌহে বদ্ধ হইল।
যাবৎ তাঁহার বচন সফল না হইল, তাবৎ সদাপ্রভুর বাক্য তাঁহাকে পরীক্ষা করিল।
তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার প্রশংসা গান কর, তাঁহার সকল আশ্চর্য কর্ম ধ্যান কর।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; সদাপ্রভুর স্তব কর, কেননা তিনি মঙ্গলময়, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী।
হে সদাপ্রভু, আমাদিগকে নয়, আমাদিগকে নয়, কিন্তু তোমারই নাম গৌরবান্বিত কর, তোমার দয়ার অনুরোধে, তোমার সত্যের অনুরোধে।
সমস্ত জাতি, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; সমস্ত লোকবৃন্দ, তাঁহার সঙ্কীর্তন কর।
কেননা আমাদের উপরে তাঁহার দয়া মহৎ, ও সদাপ্রভুর সত্য অনন্তকালস্থায়ী। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার স্তব করিব, দেবগণের সাক্ষাতে তোমার কীর্তন করিব।
তব পবিত্র মন্দিরের অভিমুখে প্রণিপাত করিব, তব দয়া ও তব সত্য প্রযুক্ত তোমার নামের স্তব করিব; কেননা তোমার সমস্ত নাম অপেক্ষা তুমি আপন বচন মহিমান্বিত করিয়াছ।
আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, হে আমার ঈশ্বর, হে রাজন্, আমি অনন্তকাল তোমার নামের ধন্যবাদ করিব।
হে সদাপ্রভু, তোমার সমস্ত পদার্থ তোমার প্রশংসা করে, এবং তোমার সাধুগণ তোমার ধন্যবাদ করে।
তাহারা তোমার রাজ্যের গৌরব বর্ণনা করে, তোমার পরাক্রমের কথা বলে,
যেন মনুষ্য-সন্তানগণকে জানাইতে পারে তাঁহার পরাক্রমের কার্য সকল, এবং তাঁহার রাজ্যের প্রতাপের গৌরব।
তোমার রাজ্য সর্বযুগের রাজ্য, তোমার কর্তৃত্ব পুরুষে পুরুষে চিরস্থায়ী।
সদাপ্রভু পতনোম্মুখ সকলকে ধরিয়া রাখেন, অবনত সকলকে উত্থাপন করেন।
সকলের চক্ষু তোমার অপেক্ষা করে, তুমিই যথাসময়ে তাহাদিগকে ভক্ষ্য দিতেছ।
তুমিই আপন হস্ত মুক্ত করিয়া থাক, সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাক।
সদাপ্রভু আপনার সমস্ত পথে ধর্মশীল, আপনার সমস্ত কার্যে দয়াবান।
সদাপ্রভু সেই সকলেরই নিকটবর্তী, যাহারা তাঁহাকে ডাকে, যাহারা সত্যে তাঁহাকে ডাকে।
যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তিনি তাহাদের বাঞ্ছা পূর্ণ করেন, আর তাহাদের আর্তনাদ শুনিয়া তাহাদিগকে ত্রাণ করেন।
প্রতিদিন আমি তোমার ধন্যবাদ করিব, যুগে যুগে চিরকাল তোমার নামের প্রশংসা করিব।
যাহারা সদাপ্রভুকে প্রেম করে, তিনি তাহাদের সকলকে রক্ষা করেন, কিন্তু তিনি সমুদয় দুষ্টকে সংহার করিবেন।
আমার মুখ সদাপ্রভুর প্রশংসা বর্ণনা করিবে; আর সমুদয় প্রাণী যুগে যুগে চিরকাল তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ করুক।
সদাপ্রভু মহান ও অতীব প্রশংসনীয়; তাঁহার মহিমার তত্ত্ব পাওয়া যায় না।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
সদাপ্রভু অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন; তোমার ঈশ্বর, হে সিয়োন, পুরুষানুক্রমে করিবেন। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর প্রশংসা করিব; আমি যত কাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, কেননা আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করা উত্তম; তাহা মনোহর; প্রশংসার উপযুক্ত।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার শক্তির বিতানে তাঁহার প্রশংসা কর।
তাঁহার পরাক্রম-কার্য সকলের জন্য তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার মহিমার বাহুল্যানুসারে তাঁহার প্রশংসা কর।
তূরীধ্বনি-সহ তাঁহার প্রশংসা কর; নেবল ও বীণাযন্ত্রে তাঁহার প্রশংসা কর।
তবল ও নৃত্যযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; তারযুক্ত যন্ত্রে ও বংশীতে তাঁহার প্রশংসা কর;
সুশ্রাব্য করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; উচ্চধ্বনি করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর।
শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
সদাপ্রভু আমার বল ও গান, তিনি আমার পরিত্রাণ হইলেন; এই আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহার প্রশংসা করিব; আমার পৈতৃক ঈশ্বর, আমি তাঁহার প্রতিষ্ঠা করিব।
এই কারণ, হে সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, তব নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব।
সমস্ত ভুবন! সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।
প্রচার কর জাতিগণের মধ্যে তাঁহার গৌরব, সমস্ত লোক-সমাজে তাঁহার আশ্চর্য কর্ম সকল।
কেননা সদাপ্রভু মহান ও অতি কীর্তনীয়, তিনি সমস্ত দেবতা অপেক্ষা ভয়ার্হ।
আর দায়ূদ সমস্ত সমাজের সাক্ষাতে সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিলেন। দায়ূদ কহিলেন, হে সদাপ্রভু, আমাদের পিতৃপুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত ধন্য।
হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।
তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার।
আর এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, আমরা তোমার স্তব করিতেছি, তোমার গৌরবান্বিত নামের প্রশংসা করিতেছি।
সেই তূরীবাদকেরা ও গায়কেরা সকলে একরবে সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিবার জন্য এক ব্যক্তির ন্যায় উপস্থিত ছিল; এবং যখন তাহারা তূরী ও করতালাদি বাদ্যের সহিত মহাশব্দ করিয়া ‘তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ এই কথা বলিয়া সদাপ্রভুর প্রশংসা করিল, তৎকালে গৃহ, সদাপ্রভুর গৃহ মেঘে এমন পরিপূর্ণ হইল যে,
মেঘ প্রযুক্ত যাজকেরা পরিচর্যা করিবার জন্য দাঁড়াইতে পারিল না; কেননা ঈশ্বরের গৃহ সদাপ্রভুর প্রতাপে পরিপূর্ণ হইয়াছিল।
আর তিনি লোকদের সহিত পরামর্শ করিয়া লোক নিযুক্ত করিলেন, [যেন তাহারা] সৈন্যশ্রেণীর অগ্রে অগ্রে গিয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত ও পবিত্র শোভায় প্রশংসা করে, এবং এই কথা বলে, “সদাপ্রভুর স্তবগান কর, কেননা তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী”।
যখন তাহারা আনন্দ গান ও প্রশংসা করিতে আরম্ভ করিল, তখন সদাপ্রভু যিহূদার বিরুদ্ধে আগত অম্মোনের ও মোয়াবের সন্তানগণের ও সেয়ীর পর্বতীয় লোকদের বিরুদ্ধে লুক্কায়িত সৈন্যদিগকে নিযুক্ত করিলেন; তাহাতে তাহারা পরাহত হইল।
তাহারা সদাপ্রভুর প্রশংসা ও স্তব করিয়া পালানুসারে এই গান করিল; “তিনি মঙ্গলময়, ইস্রায়েলের প্রতি তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী”। আর সদাপ্রভুর গৃহের ভিত্তিমূল স্থাপনের সময়ে সদাপ্রভুর প্রশংসা করিতে করিতে সমস্ত লোক উচ্চৈঃস্বরে জয়ধ্বনি করিল।
পরে যেশূয় ও কদ্মীয়েল, বানি, হশব্নিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয়, পথাহিয়, এই কয়েক জন লেবীয় এই কথা কহিল, উঠ, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, যিনি অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল পর্যন্ত [ধন্য]। তোমার প্রতাপান্বিত নামের ধন্যবাদ হউক, যাহা যাবতীয় ধন্যবাদ ও প্রশংসার অতীত।
কেবলমাত্র তুমিই সদাপ্রভু; তুমি স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তাহার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তথাকার সমস্ত এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ, আর তুমি তাহাদের সকলের স্থিতি করিতেছ, এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে প্রণিপাত করে।
আর কহিলেন, আমি মাতার গর্ভ হইতে উলঙ্গ আসিয়াছি, আর উলঙ্গ সেই স্থানে ফিরিয়া যাইব; সদাপ্রভু দিয়াছিলেন, সদাপ্রভুই লইয়াছেন; সদাপ্রভুর নাম ধন্য হউক।
আর সেই দিন তোমরা বলিবে, সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জ্ঞাত কর, তাঁহার নাম উন্নত, এই বলিয়া কীর্তন কর।
সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর; কেননা তিনি মহিমার কর্ম করিয়াছেন; তাহা সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানগোচর হউক।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, তোমার নামের প্রশংসা করিব; কেননা তুমি আশ্চর্য কার্য করিয়াছ; পুরাকালীন মন্ত্রণা সকল সাধন করিয়াছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
হে সমুদ্রগামীরা ও সাগরস্থ সকলে, হে উপকূলসমূহ ও তন্নিবাসীরা, তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও, পৃথিবীর প্রান্ত হইতে তাঁহার প্রশংসা গাও।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
আমি সদাপ্রভুর নানাবিধ দয়া কীর্তন করিব; সদাপ্রভু আমাদের যে সকল উপকার করিয়াছেন, এবং আপনার নানাবিধ করুণা ও প্রচুর দয়ানুসারে ইস্রায়েল কুলের যে প্রচুর মঙ্গল করিয়াছেন, তদনুসারে আমি সদাপ্রভুর প্রশংসা কীর্র্তন করিব।
তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান কর, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, কারণ তিনি দুরাচারদের হস্ত হইতে দরিদ্র লোকের প্রাণ উদ্ধার করিয়াছেন।
যদিও ডুমুরবৃক্ষ পুষ্পিত হইবে না, দ্রাক্ষালতায় ফল ধরিবে না, জলপাইবৃক্ষ ফলদানে বঞ্চনা করিবে, ও ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য উপন্ন হইবে না, খোঁয়াড় হইতে মেষপাল উচ্ছিন্ন হইবে, গোষ্ঠে গরু থাকিবে না;
তথাপি আমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করিব, আমার ত্রাণেশ্বরে উল্লসিত হইব।
হে সিয়োন-কন্যা অতিশয় উল্লাস কর; হে যিরূশালেম-কন্যা, জয়ধ্বনি কর। দেখ, তোমার রাজা তোমার নিকটে আসিতেছেন; তিনি ধর্মময় ও পরিত্রাণযুক্ত, তিনি নম্র ও গর্দভে উপবিষ্ট, গর্দভীর শাবকে উপবিষ্ট।
আর যে সকল লোক তাঁহার অগ্রপশ্চাৎ যাইতেছিল, তাহারা চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন; ঊর্ধ্বলোকে হোশান্না।
এবং তাঁহাকে কহিল, শুনিতেছ, ইহারা কি বলিতেছে? যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, হাঁ; তোমরা কি কখনও পাঠ কর নাই যে, “তুমি শিশু ও দুগ্ধপোষ্যদের মুখ হইতে স্তব সমপন্ন করিয়াছ”?
তখন মরিয়ম কহিলেন, আমার প্রাণ প্রভুর মহিমাকীর্তন করিতেছে,
আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরে উল্লসিত হইয়াছে।
পরে হঠাৎ স্বর্গীয় বাহিনীর এক বৃহৎ দল ঐ দূতের সঙ্গী হইয়া ঈশ্বরের স্তব গান করিতে করিতে কহিতে লাগিলেন,
ঊর্ধ্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি।
আর তিনি নিকটবর্তী হইতেছেন, জৈতুন পর্বত হইতে নামিবার স্থানে উপস্থিত হইয়াছেন, এমন সময়ে, সমুদয় শিষ্যদল যে সকল পরাক্রম-কার্য দেখিয়াছিল, সেই সমস্তের জন্য আনন্দপূর্বক উচ্চ রবে ঈশ্বরের প্রশংসা করিয়া বলিতে লাগিল,
“ধন্য সেই রাজা, যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন; স্বর্গে শান্তি এবং ঊর্ধ্বলোকে মহিমা।”
কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।
ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে।
আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল।
আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন।
কিন্তু মধ্যরাত্রে পৌল ও সীল প্রার্থনা করিতে করিতে ঈশ্বরের উদ্দেশে স্ত্রোত্রগান করিতেছিলেন, এবং বন্দিগণ তাঁহাদের গান কান পাতিয়া শুনিতেছিল।
তখন হঠাৎ মহাভূমিকম্প হইল, এমন কি, কারাগারের ভিত্তিমূল কাঁপিয়া উঠিল; আর অমনি সমস্ত দ্বার খুলিয়া গেল, ও সকলের বন্ধন মুক্ত হইল।
এবং পরজাতীয়েরা যেন ঈশ্বরের দয়ার জন্যই তাঁহার গৌরব করে; যেমন লিখিত আছে, “এই জন্য আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার গৌরব স্বীকার করিব, তোমার নামের উদ্দেশে স্তোত্র গান করিব।”
ভ্রাতৃগণ, তবে দাঁড়াইল কি? তোমরা যখন সমবেত হও, তখন কাহারও গীত থাকে, কাহারও উপদেশ থাকে, কাহারও প্রত্যাদেশ থাকে, কাহারও বিশেষ ভাষা থাকে, কাহারও অর্থ ব্যাখ্যা থাকে, সকলই গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত হউক।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনিই করুণা-সমষ্টির পিতা এবং সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর;
তিনি আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমাদিগকে সান্ত্বনা করেন, যেন আমরা নিজে ঈশ্বর-দত্ত যে সান্ত্বনায় সান্ত্বনা প্রাপ্ত হই, সেই সান্ত্বনা দ্বারা সমস্ত ক্লেশের পাত্রদিগকে সান্ত্বনা করিতে পারি।
উদ্দেশ্য এই, পূর্ব হইতে খ্রীষ্টে প্রত্যাশা করিয়াছি যে আমরা, আমাদের দ্বারা যেন ঈশ্বরের প্রতাপের প্রশংসা হয়।
আর দ্রাক্ষারসে মত্ত হইও না, তাহাতে নষ্টামি আছে;
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
সর্বদা সর্ববিষয়ের নিমিত্ত আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ কর;
যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আর পিতার ধন্যবাদ কর, যিনি তোমাদিগকে দীপ্তিতে পবিত্রগণের অধিকারের অংশীদার হইবার উপযুক্ত করিয়াছেন।
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।
সতত আনন্দ কর;
অবিরত প্রার্থনা কর;
সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
যিনি যুগপর্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই সমাদর ও মহিমা হউক। আমেন।
তিনি বলেন, “আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব, মণ্ডলীর মধ্যে তোমার প্রশংসা-গান করিব।”
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,
যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।
আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;
এবং ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত মহান এক যাজকও আমাদের আছেন;
এই জন্য আইস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমরা ত হৃদয়প্রোক্ষণ-পূর্বক মন্দ হইতে মুক্ত, এবং শুচি জলে স্নাত দেহবিশিষ্ট হইয়াছি;
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
দেখ, পিতা আমাদিগকে কেমন প্রেম প্রদান করিয়াছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া আখ্যাত হই; আর আমরা তাহাই বটে। এই জন্য জগৎ আমাদিগকে জানে না, কারণ সে তাঁহাকে জানে নাই।
আর যিনি তোমাদিগকে উছোট খাওয়া হইতে রক্ষা করিতে, এবং আপন প্রতাপের সাক্ষাতে নির্দোষ অবস্থায় সানন্দে উপস্থিত করিতে পারেন,
যিনি একমাত্র ঈশ্বর আমাদের ত্রাণকর্তা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা তাঁহারই প্রতাপ, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব হউক, সকল যুগের পূর্বাবধি, আর এখন এবং সমস্ত যুগপর্যায়ে হউক। আমেন।
এবং আমাদিগকে রাজ্যস্বরূপ ও আপন ঈশ্বর ও পিতার যাজক করিয়াছেন, তাঁহার মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে হউক। আমেন।
‘মেষশাবক, যিনি হত হইয়াছিলেন, তিনিই পরাক্রম ও ধন ও জ্ঞান ও শক্তি ও সমাদর ও গৌরব ও ধন্যবাদ, এই সকল গ্রহণ করিবার যোগ্য।’
পরে স্বর্গে ও পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচে ও সমুদ্রের উপরে যে সকল সৃষ্ট বস্তু, এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তেরই এই বাণী শুনিলাম, ‘যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি ধন্যবাদ ও সমাদর ও গৌরব ও কর্তৃত্ব যুগপর্যায়ের যুগে যুগে বর্তুক।’
‘হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান, তুমি আছ ও ছিলে, আমরা তোমার ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তুমি আপন মহাপরাক্রম গ্রহণ করিয়া রাজত্ব করিয়াছ।
তখন আমি স্বর্গে এই উচ্চ রব শুনিলাম, ‘এখন পরিত্রাণ, পরাক্রম, আমাদের ঈশ্বরের রাজ্য এবং তাঁহার খ্রীষ্টের কর্তৃত্ব উপস্থিত হইল; কেননা যে আমাদের ভ্রাতৃগণের উপরে দোষারোপকারী, যে দিবারাত্র আমাদের ঈশ্বরের সম্মুখে তাহাদের নামে দোষারোপ করে, সে নিপাতিত হইল।
আর মেষশাবকের রক্ত প্রযুক্ত, এবং আপন আপন সাক্ষ্যের বাক্য প্রযুক্ত, তাহারা তাহাকে জয় করিয়াছে; আর তাহারা মৃত্যু পর্যন্ত আপন আপন প্রাণও প্রিয় জ্ঞান করে নাই।
আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্!
হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”
এই সকলের পরে আমি যেন স্বর্গস্থিত বৃহৎ লোকারণ্যের মহারব শুনিলাম, তাহারা বলিতেছে- হাল্লিলূয়া, পরিত্রাণ ও প্রতাপ ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই;
পরে সেই সিংহাসন হইতে এই বাণী নির্গত হইল, হে ঈশ্বরের দাসগণ, তোমরা যাহারা তাঁহাকে ভয় কর, তোমরা ক্ষুদ্র কি মহান সকলে আমাদের ঈশ্বরের স্তবগান কর।
পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন।
আইস, আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনন্দগান করি, আমাদের ত্রাণ-শৈলের উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।
চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত আমি সেই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম, আমি বলিয়াছিলাম, ইহারা ভ্রান্তচিত্ত লোক; ইহারা আমার পথ জ্ঞাত হইল না।
অতএব আমি আপন ক্রোধে শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামস্থানে প্রবেশ করিবে না।
আমরা স্তবসহ তাঁহার সম্মুখে গমন করি, সঙ্গীত দ্বারা তাঁহার উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর; উচ্চধ্বনি কর, আনন্দগান কর, প্রশংসা গাও।
গান কর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বীণা সহকারে, বীণা সহকারে ও গানের রবে।
তূরী ও ভেরিবাদ্য সহকারে রাজা সদাপ্রভুর সম্মুখে জয়ধ্বনি কর।
সদাপ্রভু অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন; তোমার ঈশ্বর, হে সিয়োন, পুরুষানুক্রমে করিবেন। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
যখন অগ্নি নামিল, এবং সদাপ্রভুর প্রতাপ গৃহের উপরে [বিরাজমান] হইল, তখন ইস্রায়েল-সন্তানগণ সকলে তাহা দেখিতে পাইল, আর তাহারা নত হইয়া প্রস্তর-বাঁধানো ভূমিতে উবুড় হইয়া প্রণিপাত করিল, এবং সদাপ্রভুর স্তব করিয়া কহিল, তিনি মঙ্গলময়, হাঁ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী।
খর্জুর-পত্র লইয়া তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহির হইল, আর উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হোশান্না; ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন, যিনি ইস্রায়েলের রাজা।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।
ইস্রায়েল আপন নির্মাণকর্তাতে আনন্দ করুক, সিয়োন-সন্তানগণ আপনাদের রাজাতে উল্লসিত হউক।
তাহারা নৃত্যযোগে তাঁহার নামের প্রশংসা করুক, তবল ও বীণাযোগে তাঁহার প্রশংসা গান করুক।