তোমার জন্য যীশু কত বড় একটা কুরবানী দিয়েছেন ক্রুশে, মৃত্যু পর্যন্ত তোমাকে ভালোবেসে! কত যুগ যুগ ধরে, তার ভালোবাসা একই রকম অটল। এইটা বুঝতে পারা খুবই জরুরী যে, সবচেয়ে বড় কুরবানীটা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। এখন তোমার কাজ হলো ঈশ্বরের কাছে একটা সুন্দর উপহার হওয়া।
তোমার সেবা, তোমার সম্মান, তোমার দান, সবকিছু যেন স্বর্গের পিতার কাছে আনন্দের কারণ হয়। মনে রেখো, যীশু তোমাকে সব দিয়েছেন। তুমি যা-ই দাও, তা তার ভালোবাসার কাছে অতি তুচ্ছ।
ঈশ্বরকে দেওয়া, তাঁর কাজে যোগदान রাখা, এটা ভালোবাসার প্রকাশ। এটা কোন বোঝা বা বাধ্যবাধকতা নয়। বরং ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসার একটা প্রকাশ। যীশুর কুরবানীর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। স্বর্গ তোমাকে যা কিছু দিয়েছে, তার প্রতিদান দেওয়ার একটা ছোট্ট চেষ্টা। ঠিক যেমন খ্রীষ্ট আমাদের ভালোবেসেছিলেন এবং আমাদের জন্য নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সুগন্ধি বলি হিসেবে উৎসর্গ করেছিলেন (ইফিষীয় ৫:২)।
তৎপরে তিনি বলেন, “এবং তাহাদের পাপ ও অধর্ম সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না।”
ভাল, যে স্থলে এই সকলের মোচন হয়, সেই স্থলে পাপার্থক নৈবেদ্য আর হয় না।
এই সকল কথা তিনি ধর্মধামে উপদেশ দিবার সময়ে ভাণ্ডার-গৃহে কহিলেন; এবং কেহ তাঁহাকে ধরিল না, কারণ তখনও তাঁহার সময় উপস্থিত হয় নাই।
তোমরা সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডারে আন, যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে; আর তোমরা ইহাতে আমার পরীক্ষা কর, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, আমি আকাশের দ্বার সকল মুক্ত করিয়া তোমাদের প্রতি অপরিমেয় আশীর্বাদ বর্ষণ করি কি না।
পরে যীশু তাহাকে কহিলেন, দেখিও, এই কথা কাহাকেও বলিও না; কিন্তু যাজকের নিকটে গিয়া নিজেকে দেখাও, এবং মোশির আজ্ঞানুসারে নৈবেদ্য উৎসর্গ কর, তাহাদের কাছে সাক্ষ্য দিবার জন্য।
আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।
পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
আর তিনি ভাণ্ডারের সম্মুখে বসিয়া, লোকেরা ভাণ্ডারের মধ্যে কিরূপে মুদ্রা রাখিতেছে, তাহা দেখিতেছিলেন। তখন অনেক ধনবান তাহার মধ্যে বিস্তর মুদ্রা রাখিল।
পরে একটি দরিদ্র বিধবা আসিয়া দুইটি ক্ষুদ্র মুদ্রা তাহাতে রাখিল, যাহার মূল্য সিকি পয়সা।
তখন তিনি আপন শিষ্যগণকে কাছে ডাকিয়া কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, ভাণ্ডারে যাহারা মুদ্রা রাখিতেছে, তাহাদের সকলের অপেক্ষা এই দরিদ্র বিধবা অধিক রাখিল;
কেননা অন্য সকলে আপন আপন অতিরিক্ত ধন হইতে কিছু কিছু রাখিয়াছে, কিন্তু এ অনটনে থাকিয়াও যাহা কিছু ছিল, সমস্ত জীবনোপায় রাখিল।
আর ভূমির শস্য কিম্বা বৃক্ষের ফল হউক, ভূমির উৎপন্ন সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র।
কিন্তু আমি তোমার উদ্দেশে স্তবধ্বনি সহ বলিদান করিব; আমি যে মানত করিয়াছি, তাহা পূর্ণ করিব; পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে।
ইনি আমাদের নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন, যেন মূল্য দিয়া আমাদিগকে সমস্ত অধর্ম হইতে মুক্ত করেন, এবং আপনার নিমিত্ত নিজস্ব প্রজাবর্গকে, সৎক্রিয়াতে উদ্যোগী প্রজাবর্গকে, শুচি করেন।
যিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না, কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাঁহাকে সমর্পণ করিলেন, তিনি কি তাঁহার সহিত সমস্তই আমাদিগকে অনুগ্রহপূর্বক দান করিবেন না?
প্রত্যেক জন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত আশীর্বাদানুসারে আপন আপন সঙ্গতি অনুযায়ী উপহার দিবে।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
কেননা যদি আগ্রহ থাকে, তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়।
তোমরা সদাপ্রভুর নিমিত্তে আপনাদের নিকট হইতে উপহার লও; যে কেহ মনে ইচ্ছুক, সে সদাপ্রভুর উপহারস্বরূপ এই সকল দ্রব্য আনিবে-
কিন্তু আমি কে, আমার প্রজারাই বা কে যে, আমরা এই প্রকারে ইচ্ছাপূর্বক দান করিতে সমর্থ হই? সমস্তই ত তোমা হইতে আইসে, এবং তোমার হস্ত হইতে যাহা পাইয়াছি, তাহাই তোমাকে দিলাম।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তুমি তোমার বীজ হইতে উৎপন্ন যাবতীয় শস্যের, বৎসর বৎসর যাহা ক্ষেত্রে উৎপন্ন হয়, তাহার দশমাংশ পৃথক করিবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে তুমি আপন শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের দশমাংশ, এবং গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে তাঁহার সম্মুখে ভোজন করিবে; এইরূপে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সর্বদা ভয় করিতে শিক্ষা করিবে।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করিলেন, বলিলেন, অব্রাম স্বর্গমর্ত্যের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বরের আশীর্বাদপাত্র হউন,
এবং গোয়ীমের তিদিয়ল রাজার সময়ে ঐ রাজগণ সদোমের রাজা বিরা, ঘমোরার রাজা বির্শা, অদ্মার রাজা শিনাব, সবোয়িমের রাজা শিমেবর ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের রাজার সহিত যুদ্ধ করিলেন।
আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি আপনার বিপক্ষগণকে আপনার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁহাকে দিলেন।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।
দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
পরে তিনি চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, ধনবানেরা ভাণ্ডারে আপন আপন দান রাখিতেছে।
পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে।
বৃহৎ বৃহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে, আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে;
কিন্তু এই সকল ঘটনার পূর্বে লোকেরা তোমাদের উপরে হস্তক্ষেপ করিবে, তোমাদিগকে তাড়না করিবে, সমাজ-গৃহে ও কারাগারে সমর্পণ করিবে; আমার নামের নিমিত্ত তোমরা রাজাদের ও শাসনকর্তাদের সম্মুখে নীত হইবে।
সাক্ষ্যের জন্য এই সকল তোমাদের প্রতি ঘটিবে।
অতএব মনে মনে স্থির করিও যে, কি উত্তর দিতে হইবে, তাহার নিমিত্ত অগ্রে চিন্তা করিবে না।
কেননা আমি তোমাদিগকে এমন মুখ ও বিজ্ঞতা দিব যে, তোমাদের বিপক্ষেরা কেহ প্রতিরোধ করিতে কি উত্তর দিতে পারিবে না।
আর তোমরা পিতামাতা, ভ্রাতৃগণ, জ্ঞাতি ও বন্ধুগণ কর্তৃকও সমর্পিত হইবে, এবং তোমাদের কাহাকেও কাহাকেও তাহারা বধ করাইবে।
আর আমার নাম প্রযুক্ত তোমরা সকলের ঘৃণিত হইবে।
কিন্তু তোমাদের মস্তকের একগাছি কেশও নষ্ট হইবে না।
তোমরা নিজ নিজ ধৈর্যে আপন আপন প্রাণ লাভ করিবে।
আর তিনি দেখিলেন, একজন দীনহীন বিধবা সেই স্থানে দুইটি সিকি পয়সা রাখিতেছে।
আর যখন তোমরা যিরূশালেমকে সেনাসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত দেখিবে, তখন জানিবে যে, তাহার ধ্বংস সন্নিকট।
তখন যাহারা যিহূদিয়ায় থাকে, তাহারা পাহাড় অঞ্চলে পলায়ন করুক, এবং যাহারা নগরের মধ্যে থাকে, তাহারা বাহিরে যাউক; আর যাহারা পল্লীগ্রামে থাকে, তাহারা নগরে প্রবেশ না করুক।
কেননা তখন প্রতিশোধের সময়, যে সমস্ত কথা লিখিত আছে, সেই সমস্ত পূর্ণ হইবার সময়।
হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী স্ত্রীদের সন্তাপ! কেননা দেশে বিষম দুর্গতি এবং এই জাতির প্রতি ক্রোধ বর্তিবে।
লোকেরা খড়্গধারে পতিত হইবে; এবং বন্দি হইয়া সকল জাতির মধ্যে নীত হইবে; আর জাতিগণের সময় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যিরূশালেম জাতিগণের পদ-দলিত হইবে।
আর সূর্যে, চন্দ্রে ও নক্ষত্রগণে নানা চিহ্ন প্রকাশ পাইবে, এবং পৃথিবীতে জাতিগণের ক্লেশ হইবে, তাহারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্জনে উদ্বিগ্ন হইবে।
ভয়ে এবং ভূমণ্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায়, মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে; কেননা আকাশমণ্ডলের পরাক্রম সকল বিচলিত হইবে।
আর তৎকালে তাহারা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রম ও মহাপ্রতাপ সহকারে মেঘযোগে আসিতে দেখিবে।
কিন্তু এই সকল ঘটনা আরম্ভ হইলে তোমরা ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও, কেননা তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।
আর তিনি তাহাদিগকে একটি দৃষ্টান্ত কহিলেন, ডুমুর গাছ ও আর সকল গাছ দেখ;
তখন তিনি কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, এই দরিদ্র বিধবা সকলের অপেক্ষা অধিক রাখিল;
যখন সেগুলি পল্লবিত হয়, তখন তাহা দেখিয়া তোমরা আপনারাই বুঝিতে পার যে,
এখন গ্রীষমকাল সন্নিকট। সেইরূপ তোমরাও যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।
আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, যে পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধ না হইবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হইবে না।
আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হইবে, কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হইবে না।
কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে;
কেননা সেই দিন সমস্ত ভূতল-নিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে।
কিন্তু তোমরা সর্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে, শক্তিমান হও।
আর তিনি প্রতিদিন ধর্মধামে উপদেশ দিতেন, এবং প্রতিরাত্রে বাহিরে গিয়া জৈতুন নামক পর্বতে অবস্থিতি করিতেন।
আর সমস্ত লোক তাঁহার কথা শুনিবার জন্য প্রত্যুষে ধর্মধামে তাঁহার নিকটে আসিত।
কেননা ইহারা সকলে আপন আপন অতিরিক্ত ধন হইতে কিছু কিছু দানের মধ্যে রাখিল, কিন্তু এ নিজ অনটন সত্ত্বেও ইহার যাহা কিছু ছিল, সমুদয় জীবনোপায় রাখিল।
আর তাহারা উপহার, দশমাংশ ও পবিত্রীকৃত বস্তু বিশ্বস্তরূপে ভিতরে আনিল; এবং তাহাদের উপরে লেবীয় কনানিয় অধ্যক্ষ ছিলেন ও তাহার ভ্রাতা শিমিয়ি দ্বিতীয় ছিলেন।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
আমার সকলই আছে, বরঞ্চ উপচিয়া পড়িতেছে; আমি তোমাদের হইতে ইপাফ্রদীতের হাতে যাহা যাহা পাইয়াছি তাহাতে পরিপূর্ণ হইয়াছি, তাহা সৌরভস্বরূপ ঈশ্বরের প্রীতিজনক গ্রাহ্য বলি।
আর যে কেহ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে কোন একজনকে শিষ্য বলিয়া কেবল এক বাটি শীতল জল পান করিতে দেয়, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, সে কোন মতে আপন পুরস্কারে বঞ্চিত হইবে না।
দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?
ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
যাহাদের মঙ্গল করা উচিত, তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না, যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে।
তোমার প্রতিবাসীকে বলিও না, ‘যাও, আবার আসিও, আমি কল্য দিব’, যখন দ্রব্য তোমার হস্তে থাকে।
কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে শিক্ষা পায়, সে শিক্ষককে সমস্ত উত্তম বিষয়ে সহভাগী করুক।
যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;
যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;
এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে আমার নিমিত্তে উপহার সংগ্রহ করিতে বল; হৃদয়ের ইচ্ছায় যে নিবেদন করে, তাহা হইতে তোমরা আমার সেই উপহার গ্রহণ করিও।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারার্থে যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, তুমি যখন সেই দেশে প্রবিষ্ট হইয়া তাহা অধিকার করিবে, ও তথায় বাস করিবে;
এখন, হে সদাপ্রভু, দেখ, তুমি আমাকে যে ভূমি দিয়াছ, তাহার ফলের অগ্রিমাংশ আমি আনিয়াছি। এই বলিয়া তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে তাহা রাখিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে প্রণিপাত করিবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার পরিবারকে যে যে মঙ্গল দান করিয়াছেন, সেই সকলেতে তুমি ও লেবীয় ও তোমার মধ্যবর্তী বিদেশী, তোমরা সকলে আনন্দ করিবে।
তৃতীয় বৎসরে, অর্থাৎ দশমাংশের বৎসরে, তোমার উৎপন্ন দ্রব্যের সমস্ত দশমাংশ পৃথক্করণ সমাপ্ত করিলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তাহা দিবে, তাহাতে তাহারা তোমার নগরদ্বারের মধ্যে ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে।
পরে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে এই কথা কহিবে, তোমার আজ্ঞাপিত সমস্ত বাক্যানুসারে আমি আপন গৃহ হইতে পবিত্র বস্তু বাহির করিয়া লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে দিয়াছি; তোমার কোন আজ্ঞা লঙ্ঘন করি নাই ও ভুলিয়া যাই নাই।
আমার শোকের সময় আমি তাহার কিছুই ভোজন করি নাই, অশুচি অবস্থায় তাহার কিছুই বাহির করি নাই, এবং মৃত লোকের উদ্দেশে তাহার কিছুই দিই নাই, আমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত করিয়াছি; তোমার আজ্ঞা অনুসারেই সমস্ত কর্ম করিয়াছি।
তুমি আপন পবিত্র নিবাস হইতে, স্বর্গ হইতে, দৃষ্টিপাত কর, তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ কর, এবং আমাদের পিতৃপুরুষদের নিকটে কৃত তোমার দিব্যানুসারে যে ভূমি আমাদিগকে দিয়াছ, সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশকেও আশীর্বাদ কর।
এই সকল বিধি ও শাসন পালন করিতে অদ্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আজ্ঞা করিতেছেন, তুমি যত্নপূর্বক তোমার সমস্ত হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সহিত এই সমস্ত রক্ষা ও পালন করিবে।
অদ্য তুমি এই অঙ্গীকার করিয়াছ যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর হইবেন, এবং তুমি তাঁহার পথে চলিবে, তাঁহার বিধি, তাঁহার আজ্ঞা ও তাঁহার শাসন সকল পালন করিবে, এবং তাঁহার রবে কর্ণপাত করিবে।
আর অদ্য সদাপ্রভুও এই অঙ্গীকার করিয়াছেন যে, তাঁহার প্রতিজ্ঞানুসারে তুমি তাঁহার নিজস্ব প্রজা হইবে ও তাঁহার সমস্ত আজ্ঞা পালন করিবে;
আর তিনি আপনার রচিত সমস্ত জাতি অপেক্ষা তোমাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া প্রশংসা, কীর্তি ও মর্যাদাস্বরূপ করিবেন, এবং তিনি যেমন বলিয়াছেন, তদনুসারে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র প্রজা হইবে।
তৎকালে তুমি ভূমির যাবতীয় ফলের, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, সেই দেশে উৎপন্ন ফলের অগ্রিমাংশ হইতে কিছু কিছু লইয়া ঝুড়িতে করিয়া তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে গমন করিবে।
সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের সংহার হইতে ফিরিয়া আইসেন, তিনি তখন তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও তাঁহাকে আশীর্বাদ করিলেন,
কারণ যখন মল্কীষেদক তাঁহার পিতার সহিত সাক্ষাৎ করেন, তখন লেবি পিতার কটিতে ছিলেন।
অতএব যদি লেবীয় যাজকত্ব দ্বারা সিদ্ধি হইতে পারিত- সেই যাজকত্বের অধীনেই ত প্রজাবৃন্দ ব্যবস্থা পাইয়াছিল- তবে আবার কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্যবিধ এক যাজক উৎপন্ন হইবেন, এবং তাঁহাকে হারোণের রীতি অনুযায়ী বলিয়া ধরা হইবে না?
যাজকত্ব যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ইহা আবশ্যক।
এই সকল কথা যাঁহার উদ্দেশে বলা যায়, তিনি ত অন্যবিধ বংশভুক্ত; সেই বংশের মধ্যে যজ্ঞবেদির সেবাধিকারী কেহই হয় নাই।
ফলতঃ আমাদের প্রভু যিহূদা হইতে উদিত হইয়াছেন, ইহা সুস্পষ্ট; কিন্তু সেই বংশের উদ্দেশে মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেন নাই।
আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয়া পড়ে, যখন মল্কীষেদকের সাদৃশ্য অনুযায়ী আর একজন যাজক উৎপন্ন হন,
যিনি মাংসিক বিধির নিয়ম অনুযায়ী হন নাই, কিন্তু অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হইয়াছেন।
কেননা তিনি এই সাক্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছেন, “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”
কারণ এক পক্ষে পূর্বকার বিধির দুর্বলতা ও নিষ্ফলতা প্রযুক্ত তাহার লোপ হইতেছে-
কেননা ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করে নাই- পক্ষান্তরে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা আনা হইতেছে, যদ্দ্বারা আমরা ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হই।
এবং অব্রাহাম তাঁহাকে সমস্তের দশমাংশ দিলেন। প্রথমে তাঁহার নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করিলে তিনি ‘ধার্মিকতার রাজা’, পরে ‘শালেমের রাজা’, অর্থাৎ শান্তিরাজ;
সদাপ্রভু যাহা ইচ্ছা করিয়াছেন, তাহাই করিয়াছেন, আকাশে, পৃথিবীতে, সমুদ্রসমূহে ও সমস্ত জলধি-মধ্যে করিয়াছেন।
তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে বাষপ উত্থাপন করেন, তিনি বৃষ্টির নিমিত্ত বিদ্যুৎ গঠন করেন, আপন ভাণ্ডার হইতে বায়ু বাহির করিয়া আনেন।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে স্মরণে রাখিবে, কেননা তিনি তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে আপনার যে নিয়ম বিষয়ক দিব্য করিয়াছেন, তাহা অদ্যকার মত স্থির করণার্থে তিনিই তোমাকে ঐশ্বর্য লাভের সামর্থ দিলেন।
আর আমি জানি, হে আমার ঈশ্বর, তুমি অন্তঃকরণের পরীক্ষা করিয়া থাক, ও তুমি সরলতায় প্রসন্ন; আমি আপন অন্তঃকরণের সরলতায় ইচ্ছাপূর্বক এই সকল দ্রব্য দিলাম, এবং এখন এই স্থানে সমাগত তোমার প্রজাদিগকেও আনন্দ সহকারে তোমার উদ্দেশে ইচ্ছাপূর্বক দান করিতে দেখিলাম।
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;
কেননা যেখানে তোমাদের ধন, সেখানে তোমাদের মনও থাকিবে।
অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।
কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।
কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
চক্ষুই শরীরের প্রদীপ; অতএব তোমার চক্ষু যদি সরল হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর দীপ্তিময় হইবে।
কিন্তু তোমার চক্ষু যদি মন্দ হয়, তবে তোমার সমস্ত শরীর অন্ধকারময় হইবে। অতএব তোমার আন্তরিক দীপ্তি যদি অন্ধকার হয়, সেই অন্ধকার কত বড়!
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?
আর তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্ত মাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে?
আর বস্ত্রের নিমিত্ত কেন ভাবিত হও? ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেইগুলি কেমন বাড়ে;
সেই সকল শ্রম করে না, সূতাও কাটে না; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটির ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না।
কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমার দক্ষিণ হস্ত কি করিতেছে, তাহা তোমার বাম হস্তকে জানিতে দিও না।
ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?
অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে,
‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে, এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।
এইরূপে তোমার দান যেন গোপনে হয়; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।
এবং এই যে প্রস্তর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করিয়াছি, ইহা ঈশ্বরের গৃহ হইবে; আর তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে তাহার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দিব।
কারণ যিরূশালেমস্থ পবিত্রগণের মধ্যে যাহারা দীনহীন, তাহাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়েরা প্রীত হইয়া সহভাগিতা-সূচক কিছু চাঁদা সংগ্রহ করিয়াছে।
তাহাতে মোশি আজ্ঞা দিয়া শিবিরের সর্বত্র এই ঘোষণা করিয়া দিলেন যে, পুরুষ কিম্বা স্ত্রীলোক পবিত্র স্থানের জন্য আর উপহার প্রস্তুত না করুক।
তাহাতে লোকেরা আনিতে নিবৃত্ত হইল। কেননা সকল কর্ম করণার্থে তাহাদের যথেষ্ট, এমন কি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য প্রস্তুত ছিল।
আমি তোমার উদ্দেশে স্ব-ইচ্ছার বলি উৎসর্গ করিব; হে সদাপ্রভু, তোমার নামের স্তব করিব, কেননা তাহা উত্তম।
তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কার্য যাহারা করে, তাহারা পবিত্র স্থানের বস্তু খায়, এবং যজ্ঞবেদির সেবা যাহারা করে, তাহারা যজ্ঞবেদির সহিত অংশী হয়?
সেইরূপে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই বিধান করিয়াছেন যে, তাহাদের উপজীবিকা সুসমাচার হইতে হইবে।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর, তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
পরে কালানুক্রমে কয়িন উপহার রূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভূমির ফল উৎসর্গ করিল।
আর হেবলও আপন পালের প্রথমজাত কয়েকটি পশু ও তাহাদের মেদ উৎসর্গ করিল। তখন সদাপ্রভু হেবলকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন;
কিন্তু কয়িনকে ও তাহার উপহার গ্রাহ্য করিলেন না; এই নিমিত্ত কয়িন অতিশয় ক্রুদ্ধ হইল, তাহার মুখ বিষণ্ন হইল।
হে জাতিগণের গোষ্ঠী সকল, সদাপ্রভুর কীর্তন কর, সদাপ্রভুর গৌরব ও শক্তি কীর্তন কর।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার প্রাঙ্গণে আইস।
যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
তুমি নিজ ভূমির আশুপক্ব ফলের অগ্রিমাংশ আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনিবে। তুমি ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে সিদ্ধ করিবে না।
যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন।
কারণ শাস্ত্রে বলে, “শস্যমর্দনকারী বলদের মুখে জাল্তি বাঁধিও না;” আর, “কার্যকারী আপন বেতনের যোগ্য।”
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;
পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
আর, হে ফিলিপীয়েরা, তোমরাও জান, সুসমাচারের আদিতে, যখন আমি মাকিদনিয়া হইতে প্রস্থান করিয়াছিলাম, তখন কোন মণ্ডলী দেনা-পাওনা বিষয়ে আমার সহভাগী হয় নাই, কেবল তোমরাই হইয়াছিলে।
বাস্তবিক থিষলনীকীতেও তোমরা একবার, বরং দুই বার আমার প্রয়োজনীয় উপকার পাঠাইয়াছিলে।
সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না।
তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান।
আবার সেই পবিত্র গৃহের নিমিত্ত যাহা যাহা আয়োজন করিয়াছি, তদ্ব্যতীত আমার নিজস্ব স্বর্ণ ও রৌপ্যধনও আছে; আমার ঈশ্বরের গৃহের প্রতি অনুরাগ প্রযুক্ত আমি আপন ঈশ্বরের গৃহের জন্য তাহাও দিলাম;
আর যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার প্রাণের ইষ্ট ভক্ষ্য দেও, ও দুঃখার্ত প্রাণীকে আপ্যায়িত কর, তবে অন্ধকারে তোমার দীপ্তি উদিত হইবে, ও তোমার তিমির মধ্যাহ্নের সমান হইবে।
ধন্য সেই জন, যে দীনহীনের পক্ষে চিন্তাশীল; বিপদের দিনে সদাপ্রভু তাহাকে নিস্তার করিবেন।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রতি কৃপা কর, আমাকে উঠাও, যেন আমি উহাদিগকে প্রতিফল দিই।
আমি ইহাতেই জানি যে, তুমি আমাতে প্রীত, কেননা আমার শত্রু আমার উপরে জয়ধ্বনি করে না,
তুমি আমার সিদ্ধতায় আমাকে ধরিয়া রাখিয়াছ, এবং চিরতরে আপনার সাক্ষাতে স্থাপন করিয়াছ।
ধন্য সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল পর্যন্ত। আমেন ও আমেন।
সদাপ্রভু তাহাকে রক্ষা করিবেন, জীবিত রাখিবেন, দেশে সে আশীর্বাদ পাইবে; তুমি শত্রুগণের ইচ্ছাতে তাহাকে সমর্পণ করিও না।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।
অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।
কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।
কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না; কেননা এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কর্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
সে বিতরণ করিয়াছে, দরিদ্রদিগকে দান করিয়াছে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী; তাহার শৃঙ্গ গৌরবে উন্নত হইবে।
আর ভ্রাতৃগণ, মাকিদনিয়া দেশস্থ মণ্ডলীসমূহে ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহা আমরা তোমাদিগকে জ্ঞাত করিতেছি।
আর এই বিষয়ে আমার মত জানাইতেছি; কারণ তোমাদের পক্ষে ইহা মঙ্গলকর, যেহেতু তোমরা গত বৎসর হইতে কেবল কার্য করিতে নয়, কিন্তু ইচ্ছা করিতেও প্রথমে আরম্ভ করিয়াছ।
আর এখন সেই কার্যও সমাপ্ত কর; যেমন ইচ্ছা করায় আগ্রহ ছিল, তদ্রূপ যাহার যাহা আছে, তদনুসারে যেন সমাপ্তিও হয়।
কেননা যদি আগ্রহ থাকে, তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়।
কেননা এই কথা বলি না যে, অন্য সকলের আরাম ও তোমাদের যেন ক্লেশ হয়, বরং সাম্যভাবের নিয়মানুসারে হউক;
এই বর্তমান সময়ে তোমাদের উপচয়ে উহাদের অভাব পূর্ণ হউক, যেন আবার উহাদের উপচয়ে তোমাদের অভাব পূর্ণ হয়, এইরূপে যেন সাম্যভাব হয়;
যেমন লেখা আছে, “যে অধিক সংগ্রহ করিল, তাহার অতিরিক্ত হইল না; এবং যে অল্প সংগ্রহ করিল, তাহার অভাব হইল না।”
কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক, তিনি তীতের হৃদয়ে তোমাদের নিমিত্ত সেই প্রকার যত্ন প্রদান করিয়াছেন;
তীত আমাদের অনুরোধ গ্রাহ্য করিলেন বটে, কিন্তু তিনি নিজে অধিক যত্নবান হওয়াতে স্ব-ইচ্ছায় তোমাদের নিকটে চলিলেন।
আর আমরা তাঁহার সঙ্গে সেই ভ্রাতাকে পাঠাইলাম, সুসমাচার সম্বন্ধীয় যাঁহার প্রশংসা সমুদয় মণ্ডলীতে ব্যাপিয়াছে;
কেবল তাহা নয়, কিন্তু তিনি সেই অনুগ্রহ-কার্য সম্বন্ধে আমাদের সহচর হইবার জন্য মণ্ডলীগণ কর্তৃক নির্বাচিতও হইয়াছেন, যে কার্য প্রভুর গৌরব ও আমাদের আগ্রহ প্রকাশার্থে আমাদের পরিচর্যায় সমপাদিত হইতেছে।
ফলতঃ ক্লেশরূপ মহাপরীক্ষার মধ্যেও তাহাদের আনন্দের উপচয় এবং তাহাদের অগাধ দীনতা তাহাদের দানশীলতারূপ ধনের উদ্দেশে উপচিয়া পড়িয়াছে।
আমরা সাবধানে চলিতেছি, পাছে এই যে মহাদানের পরিচর্যা আমাদের দ্বারা সমপাদিত হইতেছে, এই বিষয়ে কেহ আমাদের উপরে দোষারোপ করে।
কারণ কেবল প্রভুর সাক্ষাতে নয়, মনুষ্যদের সাক্ষাতে যাহা উত্তম, তাহাও আমরা চিন্তা করি।
আর উঁহাদের সহিত আমাদের সেই ভ্রাতাকে পাঠাইলাম, যাঁহাকে আমরা অনেক বার অনেক বিষয়ে পরীক্ষা করিয়া যত্নবান দেখিয়াছি, এবং তোমাদের প্রতি তাঁহার দৃঢ় বিশ্বাস হেতু এইবার আরও যত্নবান দেখিতেছি।
তীতের বিষয় যদি বলিতে হয়, তবে তিনি আমার সহভাগী ও তোমাদের পক্ষে আমার সহকারী। আমাদের ভ্রাতৃগণের বিষয় যদি বলিতে হয়, তাঁহারা মণ্ডলীগণের প্রেরিত, খ্রীষ্টের গৌরব।
অতএব তোমাদের প্রেম এবং তোমাদের পক্ষে আমাদের শ্লাঘা, এই উভয়ের প্রমাণ মণ্ডলীগণের সাক্ষাতে তাঁহাদিগকে প্রদর্শন কর।
কেননা আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, তাহারা সাধ্য পর্যন্ত, বরং সাধ্যের অতিরিক্ত পরিমাণে স্ব-ইচ্ছায় দান করিয়াছিল,
বিস্তর অনুনয় সহকারে সেই অনুগ্রহের সম্বন্ধে, এবং পবিত্রগণের পরিচর্যায় সহভাগিতার সম্বন্ধে, আমাদের কাছে অনুরোধ করিয়াছিল।
ইহাতে তাহারা যে আমাদের আশামত কর্ম করিল, কেবল তাহা নয়, বরং ঈশ্বরের ইচ্ছাক্রমে আপনাদিগকেই প্রথমে প্রভুর এবং আমাদের উদ্দেশে প্রদান করিল।
আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি আপনার বিপক্ষগণকে আপনার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁহাকে দিলেন।
তাহাতে প্রজারা ইচ্ছাপূর্বক দান করা হেতু আনন্দ করিল, কেননা তাহারা একাগ্রচিত্তে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ইচ্ছাপূর্বক দান করিল, এবং দায়ূদ রাজাও মহানন্দে আনন্দ করিলেন।
কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।
পরে আমি উপস্থিত হইলে, তোমরা যাহাদিগকে যোগ্য মনে করিবে, আমি তাহাদিগকে পত্র দিয়া তাহাদের দ্বারা তোমাদের সেই দান যিরূশালেমে পাঠাইয়া দিব।
আর আমারও যদি যাওয়া উপযুক্ত হয়, তবে তাহারা আমার সঙ্গে যাইবে।
এইরূপে তোমরা সর্বপ্রকার দানশীলতার নিমিত্তে সর্ববিষয়ে ধনবান হইবে, আর এই দানশীলতা আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি ধন্যবাদ সমপন্ন করে।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
অতএব তোমরা মন্দ হইয়াও যদি তোমাদের সন্তানদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিতে জান, তবে ইহা কত অধিক নিশ্চয় যে, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা, যাহারা তাঁহার কাছে যাচ্ঞা করে, তাহাদিগকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করিবেন।
তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
তিনি ধূলি হইতে দীনহীনকে তুলেন, সারের ঢিবী হইতে দরিদ্রকে উঠান;
যেন তিনি তাহাকে বসাইয়া দেন কুলীনদের সঙ্গে, আপন প্রজাদেরই কুলীনদের সঙ্গে।
বিবেচনা করিয়া দেখ, তিনি কেমন মহান, যাঁহাকে সেই পিতৃকুলপতি অব্রাহাম উত্তম উত্তম লুটদ্রব্য লইয়া দশমাংশ দান করিয়াছিলেন।