তোমার জন্য একটা কথা ভাবো। দান করা, আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় একটা কাজ। যখন তুমি আল্লাহকে কিছু দাও, মনে রাখো, সেটা তোমার সবচেয়ে ভালোটা হওয়া উচিত। আর সবচেয়ে বড় কথা, মন থেকে, আনন্দ নিয়ে দিতে হবে। কারণ, আল্লাহ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন, আমরা যোগ্য না হলেও, তিনি আমাদের উপর অনন্ত রহমত বর্ষণ করেছেন। শুধু অতিরিক্তটা দিলে, জীবন থেকে তুমিও ঠিক তেমনটাই পাবে। নিজের জন্য যেমন করো, ঠিক তেমনি ভেবে দিতে হবে, কোন বাধ্যবাধকতা বা প্রতিদানের আশায় নয়। দেখানোর জন্য বা প্রশংসার লোভে দেওয়া ঠিক নয়। ডান হাত যা দেয়, বাম হাত যেন তা না জানে। আমাদের প্রভু আনন্দ নিয়ে যারা দান করে, তাদের ভালোবাসেন, কারণ তিনি আমাদের অন্তর জানেন। প্রত্যেকে যা মনে করে, তা দিক, কোন দুঃখ বা অভাবের চিন্তায় নয়, কারণ ঈশ্বর আনন্দিত দাতাকে ভালোবাসেন (২ করিন্থীয় ৯:৭)।
দান করা মানে আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন, তার কিছু অংশ তার ইবাদত হিসেবে ফিরিয়ে দেওয়া। আল্লাহ যখন দেন, তিনি প্রচুর ও উদার হস্তে দেন। তাই যখন তুমি মন থেকে দান করো, তখন আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের দরজা তোমার জন্য খুলে যায়। যত বেশি দাও, তত বেশি পাবে।
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।
যদি কেহ সেই শিক্ষা না লইয়া তোমাদের কাছে আইসে, তবে তাহাকে বাটীতে গ্রহণ করিও না, এবং তাহাকে ‘মঙ্গল হউক’ বলিও না।
কেননা যে তাহাকে ‘মঙ্গল হউক’ বলে, সে তাহার দুষ্কর্ম সকলের সহভাগী হয়।
কোপন স্বভাব লোকের সহিত বন্ধুত্ব করিও না, ক্রোধীর সঙ্গে যাতায়াত করিও না;
পাছে তুমি তাহার আচরণ শিক্ষা কর, আপন প্রাণের জন্য ফাঁদ প্রস্তুত কর।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।
কিন্তু এখন তোমাদিগকে লিখিতেছি যে, ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি ব্যভিচারী কি লোভী কি প্রতিমাপূজক কি কটূভাষী কি মাতাল কি পরধনগ্রাহী হয়, তবে তাহার সংসর্গে থাকিতে নাই, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।
যাহার অনেক বন্ধু, তাহার সর্বনাশ হয়; কিন্তু ভ্রাতা অপেক্ষাও অধিক প্রেমাসক্ত এক বন্ধু আছেন।
সে রাত্রে অতিশয় রোদন করে; তাহার গণ্ডে অশ্রু পড়িতেছে; তাহার সমস্ত প্রেমিকের মধ্যে এমন একজনও নাই যে, তাহাকে সান্ত্বনা করিবে; তাহার বন্ধুরা সকলে তাহাকে প্রবঞ্চনা করিয়াছে, তাহারা তাহার শত্রু হইয়া উঠিয়াছে।
যে অধর্ম আচ্ছাদন করে, সে প্রেমের অন্বেষণ করে; কিন্তু যে পুনঃ পুনঃ এক কথা বলে, সে মিত্রভেদ জন্মায়।
আর, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদিগকে এই আদেশ দিতেছি, যে কোন ভ্রাতা অনিয়মিতরূপে চলে, এবং তোমরা আমাদের নিকট হইতে যে শিক্ষা পাইয়াছ, তদনুসারে চলে না, তাহার সঙ্গ ত্যাগ কর;
যে ব্যক্তি দলভেদী, তাহাকে দুই একবার চেতনা দিবার পর অগ্রাহ্য কর;
জানিও, এইরূপ ব্যক্তি বিগড়াইয়া গিয়াছে, এবং সে পাপ করে, আপনি আপনাকেই দোষী করে।
যে আপন জমি চাষ করে, সে যথেষ্ট আহার পায়; কিন্তু যে অসার লোকদের পিছনে পিছনে দৌড়ায়, তাহার ঢের অকুলান হয়।
আর হনানির পুত্র যেহূ দর্শক তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়া যিহোশাফট রাজাকে কহিলেন, দুর্জনের সাহায্য করা এবং সদাপ্রভুর বিদ্বেষীদিগকে প্রেম করা কি আপনার উপযুক্ত? এই জন্য সদাপ্রভু হইতে আপনার উপরে ক্রোধ বর্তিল।
আমি অলীক লোকদের সঙ্গে বসি নাই, আমি ছদ্মবেশীদের সঙ্গে চলিব না।
আমি দুরাচারদের সমাজ ঘৃণা করি, দুষ্টগণের সঙ্গে বসিব না।
আর যদি কেহ এই পত্র দ্বারা কথিত আমাদের বাক্য না মানে, তবে তাহাকে চিহ্নিত করিয়া রাখ, তাহার সংসর্গে থাকিও না, যেন সে লজ্জিত হয়;
অথচ তাহাকে শত্রু জ্ঞান করিও না, কিন্তু ভ্রাতা বলিয়া চেতনা দেও।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।
কিন্তু সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ করে, তাঁহার ব্যবস্থা দিবারাত্র ধ্যান করে।
সে জলস্রোতের তীরে রোপিত বৃক্ষের সদৃশ হইবে, যাহা যথা সময়ে ফল দেয়, যাহার পত্র ম্লান হয় না; আর সে যাহা কিছু করে, তাহাতেই কৃতকার্য হয়।
তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।
তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।
তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়।
হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?
আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।
তোমরা সুন্দররূপে দৌড়াইতেছিলে; কে তোমাদিগকে বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের দ্বারা প্রবর্তিত হও না?
যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, এই প্রবর্তনা তাঁহা হইতে হয় নাই।
অল্প তাড়ী সুজির সমস্ত তাল তাড়ীময় করে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।
কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।
কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সকল হইতে পলায়ন কর; এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, প্রেম, ধৈর্য, মৃদুভাব, এই সকলের অনুধাবন কর।
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
বৎস, যদি পাপীরা তোমাকে প্রলোভন দেখায়, তুমি সম্মত হইও না।
তাহারা যদি বলে, ‘আমাদের সঙ্গে আইস, আমরা রক্তপাত করিবার জন্য লুকাইয়া থাকি, নির্দোষদিগকে অকারণে ধরিবার জন্য গুপ্ত থাকি,
পাতালের ন্যায় তাহাদিগকে জীবন্ত গ্রাস করি, গর্তগামীদের ন্যায় সর্বাঙ্গীণ গ্রাস করি,
আমরা সর্বপ্রকার বহুমূল্য ধন পাইব, লুন্ঠিত দ্রব্যে স্ব স্ব গৃহ পরিপূর্ণ করিব,
তুমি আমাদের মধ্যে একজন অংশী হইবে, আমাদের সকলেরই একটি টাকার থলি হইবে’;
বৎস, তাহাদের সঙ্গে সেই পথে চলিও না, তাহাদের পথ হইতে তোমার চরণ নিবৃত্ত কর;
এই বিষয়ে তোমরা উহাদের সঙ্গে একই নষ্টামির পঙ্কের দিকে ধাবমান হইতেছ না দেখিয়া তাহারা আশ্চর্য জ্ঞান করিয়া নিন্দা করে।
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
তাহারা সর্বপ্রকার অধার্মিকতা, দুষ্টতা, লোভ ও হিংসাতে পরিপূরিত, মাৎসর্য, বধ, বিবাদ, ছল ও দুর্বৃত্তিতে পূর্ণ;
তাহা তাঁহার পুত্র বিষয়ক, যিনি মাংসের সম্বন্ধে দায়ূদের বংশজাত,
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
নির্বোধ, নিয়ম ভঙ্গকারী, স্নেহ-রহিত, নির্দয়।
তাহারা ঈশ্বরের এই বিচার জ্ঞাত ছিল যে, যাহারা এইরূপ আচরণ করে, তাহারা মৃত্যুর যোগ্য, তথাপি তাহারা তদ্রূপ আচরণ করে, কেবল তাহা নয়, কিন্তু তদাচারী সকলের অনুমোদন করে।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।
কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।