তোমার কথাগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ, বাইবেলটা সেটাই আমাদের শেখায়। যদি আমরা সুন্দর আর ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে কথা বলি, তাহলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ আমাদের উপর বর্ষিত হবে। কিন্তু যদি আমরা অবিশ্বাস আর খারাপভাবে কথা বলি, তাহলে অভিশাপ আর খারাপ ফল আমাদের পিছু ছাড়বে না। আমাদের কথায় জীবন আছে, আবার মৃত্যুও আছে।
তাই, আমরা যা আশীর্বাদের জন্য বলি, তা-ই আমরা পাবো। আর যা অভিশাপের জন্য বলি, তা ঈশ্বরের মোটেও পছন্দ নয়। আমাদের সবসময় আশীর্বাদের উৎস হতে হবে, অভিশাপ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজেদের উপর সবসময় আশীর্বাদ কামনা করতে হবে। ঈশ্বরের বানীতে মনোযোগ দিলে আর খ্রিস্টের অঙ্গ হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের কাজ বুঝতে পারলে আমরা তা অর্জন করতে পারব।
আমরা আলোর সন্তান, তাই আমাদের কথাবার্তায় স্বর্গের পিতার চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হওয়া উচিত। সবসময় সত্য কথাই বলতে হবে। পৃথিবীর যত কষ্টক্লেশ, তার মাঝেও ঈশ্বরের আশীর্বাদ পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। শান্তি, সম্প্রীতি, শৃঙ্খলা আর ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:২-এ বলা আছে, আমরা যদি প্রভু, আমাদের ঈশ্বরের আज्ञা পালন করি, তাহলে এই সমস্ত আশীর্বাদ আমাদের উপর বর্ষিত হবে এবং আমরা তা লাভ করব।
যাহারা তোমাকে আশীর্বাদ করিবে তাহাদিগকে আমি আশীর্বাদ করিব; যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দিবে, তাহাকে আমি অভিশাপ দিব; এবং তোমাতে ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।
যাহারা তোমাদিগকে শাপ দেয়, তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিও; যাহারা তোমাদিগকে নিন্দা করে, তাহাদের জন্য প্রার্থনা করিও।
অদ্য আমি তোমাদিগকে যে সকল আজ্ঞা জানাইলাম, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সকল আজ্ঞাতে যদি কর্ণপাত কর, তবে আশীর্বাদ পাইবে।
আর হে যিহূদা-কুল ও ইস্রায়েল-কুল, জাতিগণের মধ্যে তোমরা যেমন অভিশাপস্বরূপ ছিলে, তেমনি আমি তোমাদিগকে নিস্তার করিব, আর তোমরা আশীর্বাদস্বরূপ হইবে; ভয় করিও না; তোমাদের হস্ত সবল হউক।
পরে ব্যবস্থাগ্রন্থে যাহা যাহা লিখিত আছে, তদনুসারে তিনি ব্যবস্থার সমস্ত কথা, আশীর্বাদের ও শাপের কথা পাঠ করিলেন।
উহার দ্বারাই আমরা প্রভু পিতার ধন্যবাদ করি, আবার উহার দ্বারাই ঈশ্বরের সাদৃশ্যে জাত মনুষ্যদিগকে শাপ দিই।
খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন; কেননা লেখা আছে, “যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত” ;
কেননা তাহারা অন্ন-জল লইয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের সহিত সাক্ষাৎ করে নাই, বরং তাহাদিগকে শাপ দিতে তাহাদের প্রতিকূলে বিলিয়মকে ঘুষ দিয়াছিল; কিন্তু আমাদের ঈশ্বর সেই শাপ আশীর্বাদে পরিণত করিলেন।
আমি তোমাকে অদ্য যে সকল আজ্ঞা আদেশ করিতেছি, যত্নপূর্বক সেই সকল পালন করিবার জন্য যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ সহকারে কর্ণপাত কর, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীস্থ সমস্ত জাতির উপরে তোমাকে উন্নত করিবেন;
আর পৃথিবীর সমস্ত জাতি দেখিতে পাইবে যে, তোমার উপরে সদাপ্রভুর নাম কীর্তিত হইয়াছে, এবং তাহারা তোমা হইতে ভীত হইবে।
আর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে তোমার পিতৃপুরুষদের নিকটে দিব্য করিয়াছেন, সেই দেশে তিনি মঙ্গলার্থেই তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্যশালী করিবেন।
যথাকালে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হস্তের সমস্ত কর্মে আশীর্বাদ করিতে সদাপ্রভু আপনার আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলিয়া দিবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না।
আর সদাপ্রভু তোমাকে মস্তকস্বরূপ করিবেন, পুচ্ছস্বরূপ করিবেন না; তুমি অবনত না হইয়া কেবল উন্নত হইবে; কেবল তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সকল আজ্ঞা যত্নপূর্বক পালন করিতে আমি তোমাকে অদ্য আদেশ করিতেছি, এই সকলেতে কর্ণপাত করিতে হইবে;
আর অদ্য আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা আজ্ঞা করিতেছি, অন্য দেবগণের সেবা করণার্থে তাহাদের অনুগামী হইবার জন্য তোমাকে সেই সকল কথার দক্ষিণে কি বামে ফিরিতে হইবে না।
কিন্তু যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত না কর, আমি অদ্য তোমাকে তাঁহার যে সমস্ত আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করিতেছি, যত্নপূর্বক সেই সকল পালন না কর, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি বর্তিবে ও তোমাকে আশ্রয় করিবে।
তুমি নগরে শাপগ্রস্ত হইবে ও ক্ষেত্রে শাপগ্রস্ত হইবে।
তোমার ফসলের ঝুড়ি ও তোমার ময়দার কাঠুয়া শাপগ্রস্ত হইবে।
তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল এবং তোমার গোবৎস ও তোমার মেষীদের শাবক শাপগ্রস্ত হইবে।
ভিতরে আসিবার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হইবে, ও বাহিরে যাইবার সময়ে তুমি শাপগ্রস্ত হইবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত করিলে এই সকল আশীর্বাদ তোমার উপরে বর্তিবে ও তোমাকে আশ্রয় করিবে।
কিন্তু যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত না কর, আমি অদ্য তোমাকে তাঁহার যে সমস্ত আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করিতেছি, যত্নপূর্বক সেই সকল পালন না কর, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি বর্তিবে ও তোমাকে আশ্রয় করিবে।
আমি অদ্য তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করিয়া বলিতেছি যে, আমি তোমার সম্মুখে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখিলাম। অতএব জীবন মনোনীত কর, যেন তুমি সবংশে বাঁচিতে পার;
সেখানে যদি তুমি মনে চেতনা পাও, এবং তুমি ও তোমার সন্তানগণ যদি সমস্ত হৃদয়ের ও সমস্ত প্রাণের সহিত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে ফিরিয়া আইস, এবং অদ্য আমি তোমাকে যে সকল আজ্ঞা দিতেছি, তদনুসারে যদি তাঁহার রবে অবধান কর;
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর, তাঁহার রবে অবধান কর ও তাঁহাতে আসক্ত হও; কেননা তিনিই তোমার জীবন ও তোমার দীর্ঘ পরমায়ুস্বরূপ; তাহা হইলে সদাপ্রভু তোমার পিতৃপুরুষদিগকে, অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে, যে দেশ দিতে দিব্য করিয়াছিলেন, সেই দেশে তুমি বাস করিতে পাইবে।
কেননা তাঁহার আশীর্বাদের পাত্রেরা দেশের অধিকারী হইবে, কিন্তু তাঁহার শাপের পাত্রেরা উচ্ছিন্ন হইবে।
আমি তোমার সম্মুখে এই যে আশীর্বাদ ও অভিশাপ স্থাপন করিলাম, ইহার সমস্ত কথা যখন তোমাতে ফলিবে, তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সকল জাতির মধ্যে তোমাকে দূর করিবেন,
এবং স্বহস্তে কার্য করিয়া পরিশ্রম করিতেছি; নিন্দিত হইতে হইতে আশীর্বাদ করিতেছি, তাড়িত হইতে হইতে সহ্য করিতেছি,
দেখ, অদ্য আমি তোমাদের সম্মুখে আশীর্বাদ ও অভিশাপ রাখিলাম।
অদ্য আমি তোমাদিগকে যে সকল আজ্ঞা জানাইলাম, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেই সকল আজ্ঞাতে যদি কর্ণপাত কর, তবে আশীর্বাদ পাইবে।
আর যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞাতে কর্ণপাত না কর, এবং আমি অদ্য তোমাদিগকে যে পথের বিষয়ে আজ্ঞা করিলাম, যদি সেই পথ ছাড়িয়া তোমাদের অজ্ঞাত অন্য দেবগণের পশ্চাতে গমন কর, তবে অভিশাপগ্রস্ত হইবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত করিলে এই সকল আশীর্বাদ তোমার উপরে বর্তিবে ও তোমাকে আশ্রয় করিবে।
আর তিনি আদমকে কহিলেন, যে বৃক্ষের ফলের বিষয়ে আমি তোমাকে বলিয়াছিলাম, তুমি তাহা ভোজন করিও না, তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনিয়া তাহার ফল ভোজন করিয়াছ, এই জন্য তোমার নিমিত্ত ভূমি অভিশপ্ত হইল; তুমি যাবজ্জীবন ক্লেশে উহা ভোগ করিবে;
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
আমি অদ্য তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করিয়া বলিতেছি যে, আমি তোমার সম্মুখে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখিলাম। অতএব জীবন মনোনীত কর, যেন তুমি সবংশে বাঁচিতে পার;
উহারা কেবল তাহার উচ্চপদ হইতে তাহাকে নিপাত করিবার মন্ত্রণা করিতেছে; উহারা মিথ্যা কথায় আমোদ করে, উহারা মুখে আশীর্বাদ করে, কিন্তু অন্তরে শাপ দেয়। [সেলা]
এখন নিবেদন করি, আপনি আসিয়া আমার নিমিত্তে সেই লোকদিগকে শাপ দিউন; কেননা আমা হইতে তাহারা বলবান। হয় ত আমি তাহাদিগকে আঘাত করিয়া দেশ হইতে দূর করিয়া দিতে পারিব; কেননা আমি জানি, আপনি যাহাকে আশীর্বাদ করেন, সে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, ও যাহাকে শাপ দেন, সে শাপগ্রস্ত হয়।
তুমি কি নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান লোক দেখিতেছ? তাহা অপেক্ষা, বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক প্রত্যাশা আছে।
যে কেহ আপন পিতাকে কিম্বা মাতাকে শাপ দেয়, তাহার প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে; পিতামাতাকে শাপ দেওয়াতে তাহার রক্ত তাহারই উপরে বর্তিবে।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, যদি আমার নামের মহিমা স্বীকার করিবার জন্য তোমরা কথা না শুন, ও মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের উপরে অভিশাপ প্রেরণ করিব, ও তোমাদের আশীর্বাদের পাত্র সকলকে শাপ দিব; বাস্তবিক আমি সেই সমস্তকে শাপ দিয়াছি, কেননা তোমরা মনোযোগ কর না।
সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন, ও তোমাকে রক্ষা করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি আপন মুখ উজ্জ্বল করুন, ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন;
সদাপ্রভু তোমার প্রতি নিজ মুখ উত্তোলন করুন, ও তোমাকে শান্তি দান করুন।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।
কিন্তু সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ করে, তাঁহার ব্যবস্থা দিবারাত্র ধ্যান করে।
সে জলস্রোতের তীরে রোপিত বৃক্ষের সদৃশ হইবে, যাহা যথা সময়ে ফল দেয়, যাহার পত্র ম্লান হয় না; আর সে যাহা কিছু করে, তাহাতেই কৃতকার্য হয়।
তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজন মতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।
খ্রীষ্টই মূল্য দিয়া আমাদিগকে ব্যবস্থার শাপ হইতে মুক্ত করিয়াছেন, কারণ তিনি আমাদের নিমিত্তে শাপস্বরূপ হইলেন; কেননা লেখা আছে, “যে ব্যক্তিকে গাছে টাঙ্গান যায়, সে শাপগ্রস্ত” ;
যেন অব্রাহামের প্রাপ্ত আশীর্বাদ খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতিগণের প্রতি বর্তে, আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা অঙ্গীকৃত আত্মাকে প্রাপ্ত হই।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার আজ্ঞাতে অতিমাত্র প্রীত হয়।
দুষ্ট লোক তাহা দেখিয়া বিরক্ত হইবে; সে দন্ত ঘর্ষণ করিবে, ও গলিয়া যাইবে; দুষ্টগণের অভীষ্ট বিনষ্ট হইবে।
তাহার বংশ পৃথিবীতে বিক্রমশালী হইবে; সরল লোকের গোষ্ঠী ধন্য হইবে।
তাহার গৃহে ধন ও ঐশ্বর্য থাকে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী।
আমি তোমাকে অদ্য যে সকল আজ্ঞা আদেশ করিতেছি, যত্নপূর্বক সেই সকল পালন করিবার জন্য যদি তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ সহকারে কর্ণপাত কর, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীস্থ সমস্ত জাতির উপরে তোমাকে উন্নত করিবেন;
আর পৃথিবীর সমস্ত জাতি দেখিতে পাইবে যে, তোমার উপরে সদাপ্রভুর নাম কীর্তিত হইয়াছে, এবং তাহারা তোমা হইতে ভীত হইবে।
আর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে তোমার পিতৃপুরুষদের নিকটে দিব্য করিয়াছেন, সেই দেশে তিনি মঙ্গলার্থেই তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্যশালী করিবেন।
যথাকালে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হস্তের সমস্ত কর্মে আশীর্বাদ করিতে সদাপ্রভু আপনার আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলিয়া দিবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না।
আর সদাপ্রভু তোমাকে মস্তকস্বরূপ করিবেন, পুচ্ছস্বরূপ করিবেন না; তুমি অবনত না হইয়া কেবল উন্নত হইবে; কেবল তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সকল আজ্ঞা যত্নপূর্বক পালন করিতে আমি তোমাকে অদ্য আদেশ করিতেছি, এই সকলেতে কর্ণপাত করিতে হইবে;
আর অদ্য আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা আজ্ঞা করিতেছি, অন্য দেবগণের সেবা করণার্থে তাহাদের অনুগামী হইবার জন্য তোমাকে সেই সকল কথার দক্ষিণে কি বামে ফিরিতে হইবে না।
তিনি তাহাদের অধর্ম তাহাদেরই উপরে বর্তাইয়াছেন, তাহাদের দুষ্টতায় তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন; সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন।
আর কহিলেন, আমি মাতার গর্ভ হইতে উলঙ্গ আসিয়াছি, আর উলঙ্গ সেই স্থানে ফিরিয়া যাইব; সদাপ্রভু দিয়াছিলেন, সদাপ্রভুই লইয়াছেন; সদাপ্রভুর নাম ধন্য হউক।
একই মুখ হইতে ধন্যবাদ ও শাপ বাহির হয়। হে আমার ভ্রাতৃগণ, এই সকল এমন হওয়া অনুচিত।
উনুই কি একই ছিদ্র দিয়া মিষ্ট ও তিক্ত দুই প্রকার জল বাহির করে?
হে আমার ভ্রাতৃগণ, ডুমুরগাছে কি জলপাই ফল, অথবা দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুর ফল ধরিতে পারে? লোনা জলও মিষ্ট জল দিতে পারে না।
মন্দের পরিশোধে মন্দ করিও না, এবং নিন্দার পরিশোধে নিন্দা করিও না; বরং আশীর্বাদ কর, কেননা আশীর্বাদের অধিকারী হইবার নিমিত্তই তোমরা আহূত হইয়াছ।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
ধন্য সেই, যাহাকে তুমি মনোনীত করিয়া নিকটে আন, সে তোমার প্রাঙ্গণে বাস করিবে; আমরা পরিতৃপ্ত হইব, তোমার গৃহের উত্তম দ্রব্যে, তোমার পবিত্র মন্দিরের উত্তম দ্রব্যে।
তখন রাজা আপনার দক্ষিণ দিকে স্থিত লোকদিগকে বলিবেন, আইস, আমার পিতার আশীর্বাদ-পাত্রেরা, জগতের পত্তনাবধি যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার অধিকারী হও।
তিনি তাহাদিগকে আশীর্বাদ করেন, তাই তাহারা অতিশয় বৃদ্ধি পায়, এবং তিনি তাহাদের পশুগণকে হ্রাস পাইতে দেন না।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার আজ্ঞাতে অতিমাত্র প্রীত হয়।
তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তোমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করিও; তাহাতে তিনি তোমার অন্নজলে আশীর্বাদ করিবেন, এবং আমি তোমার মধ্য হইতে রোগ দূর করিব।
তোমার দেশে কাহারও গর্ভপাত হইবে না, এবং কেহ বন্ধ্যা হইবে না; আমি তোমার আয়ুর পরিমাণ পূর্ণ করিব।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
ধন্য সেই জন, যে কেহ সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার সকল পথে চলে।
বাস্তবিক তুমি স্বহস্তের শ্রম-ফল ভোগ করিবে, তুমি ধন্য হইবে, ও তোমার মঙ্গল হইবে।
কিন্তু বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।
তৎকালে তুমি ভূমির যাবতীয় ফলের, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, সেই দেশে উৎপন্ন ফলের অগ্রিমাংশ হইতে কিছু কিছু লইয়া ঝুড়িতে করিয়া তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে গমন করিবে।
সদাপ্রভু আমার দায়াংশ ও আমার পানপাত্র; তুমিই আমার অধিকার স্থায়ী করিতেছ।
আমার জন্য মানরজ্জু মনোহর স্থানে পড়িয়াছে, আমার অধিকার আমার পক্ষে শোভাযুক্ত।
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে আপনাকে আশীর্বাদ করিবে, সে সত্যের ঈশ্বরের নামে আপনাকে আশীর্বাদ করিবে; এবং যে ব্যক্তি পৃথিবীতে শপথ করিবে, সে সত্যের ঈশ্বরের নামে শপথ করিবে; কেননা পূর্বকালীন সমস্ত সঙ্কট লোকে ভুলিয়া যাইবে, ও আমার দৃষ্টি হইতে তাহা লুকাইবে।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, যাহার বিশ্বাসভূমি সদাপ্রভু।
সে জলের নিকটে রোপিত এমন বৃক্ষের ন্যায় হইবে, যাহা নদীকূলে মূল বিস্তার করে, গ্রীষেমর আগমনে সে ভয় করিবে না, এবং তাহার পত্র সতেজ থাকিবে; অনাবৃষ্টির বৎসরেও সে নিশ্চিন্ত থাকিবে, ফলদানেও নিবৃত্ত হইবে না।
আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব, এবং তোমাকে আশীর্বাদ করিয়া তোমার নাম মহৎ করিব; তাহাতে তুমি আশীর্বাদের আকর হইবে।
তখন ফরৌণ লোকদিগকে তাঁহার বিষয়ে আজ্ঞা দিলেন, আর তাহারা সর্বস্বের সহিত তাঁহাকে ও তাঁহার স্ত্রীকে বিদায় করিল।
যাহারা তোমাকে আশীর্বাদ করিবে তাহাদিগকে আমি আশীর্বাদ করিব; যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দিবে, তাহাকে আমি অভিশাপ দিব; এবং তোমাতে ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হইবে।