তোমার সামনে হাত তোলাটা একটা উপাসনা আর আত্মসমর্পণের বহিঃপ্রকাশ। যখন আমি হাত তুলি, তখন আমি তাঁর মহিমা, তাঁর শক্তি আর তাঁর ভালোবাসা স্বীকার করি। স্রষ্টার সামনে এটা একটা বিনয় আর আনুগত্যের ভঙ্গি।
গীতসংহিতা ৬৩:৪ পদে, দায়ূদ বলছেন, “আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন তোমার প্রশংসা করব; তোমার নামে আমি আমার হাত তুলব।” এখানে, দায়ূদ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ঈশ্বরের উপাসনা করার তার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন।
যে কোন পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হাত তোলা তাঁর উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতার একটা কাজ, যখন আমি আর নিজের শক্তির উপর ভরসা করি না, বরং নিজেকে ঈশ্বরের অনন্ত পরিকল্পনার কাছে সমর্পণ করি। এটা এমন একটা ভঙ্গি যা তাঁর শক্তি এবং ইচ্ছার উপর পূর্ণ আস্থা প্রতীকী করে।
যখন আমি হাত তুলি, তখন আমি স্বীকার করি যে তিনিই আমার আশ্রয়, শক্তি এবং সর্বদা সাহায্য। এটা এমন একটা উপায় যার মাধ্যমে আমি আমার বোঝা, ভয় এবং আকাঙ্ক্ষা তাঁর হাতে ছেড়ে দিই, এই বিশ্বাসে যে তিনি আমার পথ দেখাবেন এবং বিপদের মধ্যে আমাকে ধরে রাখবেন।
ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হাত তোলার মাধ্যমে, আমি আমার হৃদয় তাঁর ভালোবাসা এবং করুণার জন্য উন্মুক্ত করি, এই বিশ্বাসে যে তিনি আমার জীবনে হস্তক্ষেপ করেন এবং আমাকে এগিয়ে চলার জন্য শক্তি দেন।
এই সহজ কাজটি আমাকে সরাসরি পবিত্র আত্মার উপস্থিতির সাথে সংযুক্ত করে, আমার মনোবল এবং বিশ্বাসকে নবায়ন করে যে তিনি সর্বদা আমাদের সাথে আছেন, আমাদের কথা শুনতে এবং সবকিছুতে আমাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
অমালেকীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, মোশি আকাশের দিকে হাত তুলেছিলেন। যতক্ষণ তিনি তা করেছিলেন, ইস্রায়েল যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু যখন তিনি হাত নামিয়েছিলেন, অমালেকীয়রা জিতেছিল (যাত্রাপুস্তক ১৭:১১-১২)। এটি আমাদের ঈশ্বরের উপর নির্ভরতা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। আকাশের দিকে তোমার হাত তোলো এবং ঈশ্বরকে তোমার জীবনে কাজ করতে দাও।
পরে ইষ্রা মহান ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিলেন। আর সমস্ত লোক হাত তুলিয়া উত্তর করিল, আমেন, আমেন, এবং মস্তক নমনপূর্বক ভূমিতে মুখ দিয়া সদাপ্রভুর কাছে প্রণিপাত করিল।
আর এইরূপ হইল, মোশি যখন আপন হস্ত তুলিয়া ধরেন, তখন ইস্রায়েল জয়ী হয়, কিন্তু মোশি আপন হস্ত নামাইলে অমালেক জয়ী হয়।
তখন মোশি তাঁহাকে কহিলেন, আমি নগর হইতে বাহিরে গিয়াই সদাপ্রভুর দিকে অঞ্জলি বিস্তার করিব, তাহাতে মেঘগর্জন নিবৃত্ত হইবে, ও শিলাবৃষ্টি আর হইবে না, যেন আপনি জানিতে পারেন যে, পৃথিবী সদাপ্রভুরই।
আর এইরূপ হইল, মোশি যখন আপন হস্ত তুলিয়া ধরেন, তখন ইস্রায়েল জয়ী হয়, কিন্তু মোশি আপন হস্ত নামাইলে অমালেক জয়ী হয়।আর মোশির হস্ত ভারী হইতে লাগিল, তখন উঁহারা একখানি প্রস্তর আনিয়া তাঁহার নিচে রাখিলেন, আর তিনি তাহার উপরে বসিলেন, এবং হারোণ ও হূর একজন এক দিকে ও অন্য জন অন্য দিকে তাঁহার হস্ত ধরিয়া রাখিলেন। তাহাতে সূর্য অস্তগত না হওয়া পর্যন্ত তাঁহার হস্ত স্থির থাকিল।
যখন আমি তোমার নিকটে আর্তনাদ করি, যখন তোমার পবিত্র অন্তর্গৃহের দিকে অঞ্জলি উঠাই, তখন তুমি আমার বিনতির রব শ্রবণ করিও।
আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সেই সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।
অতএব আমার বাসনা এই, সকল স্থানে পুরুষেরা বিনা ক্রোধে ও বিনা বির্তকে শুচি হস্ত তুলিয়া প্রার্থনা করুক।
পরে শলোমন সমস্ত ইস্রায়েল-সমাজের সাক্ষাতে সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সম্মুখে দাঁড়াইয়া স্বর্গের দিকে অঞ্জলি বিস্তার করিলেন;
আমার চক্ষু দুঃখে নিস্তেজ হইয়াছে, আমি প্রতিদিন তোমাকে ডাকিয়াছি, হে সদাপ্রভু, তোমার দিকে অঞ্জলি প্রসারণ করিয়াছি।
সদাপ্রভুর নিকটে এই সমস্ত প্রার্থনা ও বিনতি সাঙ্গ করিয়া শলোমন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সম্মুখে হাঁটুপাতন ও স্বর্গের দিকে অঞ্জলি বিস্তারকরণ হইতে উঠিলেন।
উঠ, রাত্রিকালে প্রত্যেক প্রহরের আরম্ভে বিলাপ কর, প্রভুর সম্মুখে আপন হৃদয় জলের ন্যায় ঢালিয়া দেও, তাঁহার উদ্দেশে হস্ত উত্তোলন কর, তোমার শিশুগণের প্রাণরক্ষার্থে, যাহারা প্রতি পথের মস্তকে ক্ষুধায় মূর্চ্ছাপন্ন রহিয়াছে।
তোমরা অঞ্জলি প্রসারণ করিলে আমি তোমাদের হইতে আমার চক্ষু আচ্ছাদন করিব; যদ্যপি অনেক প্রার্থনা কর, তথাপি শুনিব না; তোমাদের হস্ত রক্তে পরিপূর্ণ।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, তোমার নামের প্রশংসা করিব; কেননা তুমি আশ্চর্য কার্য করিয়াছ; পুরাকালীন মন্ত্রণা সকল সাধন করিয়াছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
পরে তিনি তাঁহাদিগকে বৈথনিয়ার সম্মুখ পর্যন্ত লইয়া গেলেন; এবং হাত তুলিয়া তাঁহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন।
আমার প্রার্থনা তোমার সম্মুখে সুগন্ধি ধূপরূপে, আমার অঞ্জলি-প্রসারণ সান্ধ্য উপহাররূপে সাজান হউক।
আমি তোমার উদ্দেশে অঞ্জলি প্রসারণ করিতেছি; [সেলা] শুষ্ক ভূমির ন্যায় আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষী।
পরে তিনি লোকসমূহকে ঘাসের উপরে বসিতে আজ্ঞা করিলেন; আর সেই পাঁচখানি রুটি ও দুইটি মাছ লইয়া স্বর্গের দিকে ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া আশীর্বাদ করিলেন, এবং রুটি কয়খানি ভাঙ্গিয়া শিষ্যদিগকে দিলেন, শিষ্যেরা লোকদিগকে দিলেন।
অতএব তিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ হস্ত দ্বারা উচ্চীকৃত হওয়াতে, এবং পিতার নিকট হইতে অঙ্গীকৃত পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত হওয়াতে, এই যাহা তোমরা দেখিতেছ ও শুনিতেছ, তাহা তিনি সেচন করিলেন।
তাহা শুনিয়া সকলে এক চিত্তে ঈশ্বরের উদ্দেশে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হে স্বামিন্, তুমি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তের নির্মাণকর্তা;
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার অন্বেষণ করিয়াছি, আমাকে তোমার আজ্ঞা-পথ ছাড়িয়া ঘুরিয়া বেড়াইতে দিও না।
অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়।
সদাপ্রভু, বিনয় করি, আমার স্বেচ্ছায় দত্ত মুখের উপহার সকল গ্রাহ্য কর, ও তোমার শাসনকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।
অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদিগকে জয় প্রদান করেন।
পরে দায়ূদ সমস্ত সমাজকে কহিলেন, এখন তোমরা আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। তাহাতে সমস্ত সমাজ আপনাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিল, এবং মস্তক নমন করিয়া সদাপ্রভুর ও রাজার কাছে প্রণিপাত করিল।
তাহাতে আমি ঈশ্বরের বেদির কাছে যাইব, আমার পরমানন্দজনক ঈশ্বরের সম্মুখে যাইব; আর হে ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর, আমি বীণাযন্ত্রে তোমার স্তব করিব।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।
হে প্রভু, তোমার বিরচিত সর্বজাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে প্রণিপাত করিবে, তাহারা তোমার নামের গৌরব করিবে।
পরে তিনি কিঞ্চিৎ অগ্রে গিয়া উবুড় হইয়া পড়িয়া প্রার্থনা করিয়া কহিলেন, হে আমার পিতঃ, যদি হইতে পারে, তবে এই পানপাত্র আমার নিকট হইতে দূরে যাউক; তথাপি আমার ইচ্ছামত না হউক, তোমার ইচ্ছামত হউক।
পরে তিনি তাঁহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া তাহাকে তুলিলেন; তাহাতে তৎক্ষণাৎ তাহার চরণ ও গোড়ালি সবল হইল।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
আর শৌলও গিবিয়ায় আপন বাটীতে গেলেন; এবং ঈশ্বর যাহাদের হৃদয় স্পর্শ করিলেন, এমন এক দল সৈন্য তাঁহার সহিত গমন করিল।
তব পবিত্র মন্দিরের অভিমুখে প্রণিপাত করিব, তব দয়া ও তব সত্য প্রযুক্ত তোমার নামের স্তব করিব; কেননা তোমার সমস্ত নাম অপেক্ষা তুমি আপন বচন মহিমান্বিত করিয়াছ।
সঙ্কটের দিনে আমি প্রভুর অন্বেষণ করিলাম; রাত্রিকালে আমার হস্ত বিস্তারিত থাকিল, সঙ্কুচিত হইল না; আমার প্রাণ প্রবোধ মানিল না।
আইস, আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনন্দগান করি, আমাদের ত্রাণ-শৈলের উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত আমি সেই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম, আমি বলিয়াছিলাম, ইহারা ভ্রান্তচিত্ত লোক; ইহারা আমার পথ জ্ঞাত হইল না।অতএব আমি আপন ক্রোধে শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামস্থানে প্রবেশ করিবে না।আমরা স্তবসহ তাঁহার সম্মুখে গমন করি, সঙ্গীত দ্বারা তাঁহার উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।
এই জন্য আইস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমরা ত হৃদয়প্রোক্ষণ-পূর্বক মন্দ হইতে মুক্ত, এবং শুচি জলে স্নাত দেহবিশিষ্ট হইয়াছি;
আর সেই দিন তোমরা বলিবে, সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জ্ঞাত কর, তাঁহার নাম উন্নত, এই বলিয়া কীর্তন কর।
ধন্য সদাপ্রভু, আমার শৈল, তিনিই আমার হস্তকে যুদ্ধ শিখান, আমার অঙ্গুলি সকলকে সংগ্রাম শিক্ষা দেন।
কেননা শলোমন পাঁচ হস্ত দীর্ঘ, পাঁচ হস্ত প্রস্থ ও তিন হস্ত উচ্চ পিত্তলময় এক মঞ্চ নির্মাণ করিয়া প্রাঙ্গণের মধ্যস্থলে রাখিয়াছিলেন; তিনি তাহার উপরে দাঁড়াইলেন, পরে সমস্ত ইস্রায়েল-সমাজের সম্মুখে হাঁটু পাতিয়া স্বর্গের দিকে অঞ্জলি বিস্তার করিলেন।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, সর্বদাই আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া,কারণ আমাতে যেরূপ দেখিয়াছ, এবং এখনও আমাতে হইতেছে শুনিতেছ, সেইরূপ প্রাণপণ তোমাদেরও হইতেছে।আমার সমস্ত বিনতিতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে প্রার্থনা করিয়া থাকি;কারণ প্রথম দিবসাবধি অদ্য পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতা আছে।
কিন্তু তুমি যখন প্রার্থনা কর, তখন তোমার অন্তরাগারে প্রবেশ করিও, আর দ্বার রুদ্ধ করিয়া তোমার পিতা, যিনি গোপনে বর্তমান, তাঁহার নিকটে প্রার্থনা করিও; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।
পরে সেই ব্যক্তিরা তথা হইতে ফিরিয়া সদোমের দিকে গমন করিলেন; কিন্তু অব্রাহাম তখনও সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দণ্ডায়মান থাকিলেন।
পরে তিনি সেই পাঁচখানা রুটি ও দুইটি মাছ লইয়া স্বর্গের দিকে ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া সেইগুলিকে আশীর্বাদ করিলেন, ও ভাঙ্গিলেন; আর লোকদের সম্মুখে রাখিবার জন্য শিষ্যগণকে দিতে লাগিলেন।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
আমি নিজ রবে সদাপ্রভুর কাছে ক্রন্দন করি, নিজ রবে সদাপ্রভুর কাছে বিনতি করি।আমি তাঁহার কাছে আমার খেদের কথা ভাঙ্গিয়া বলি, তাঁহাকে আমার সঙ্কট জানাই।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁহার উপরে ফেলিয়া দেও; কেননা তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর;সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা কর; আনন্দগানসহ তাঁহার সম্মুখে আইস।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার সম্মুখে আইস, পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুকে প্রণিপাত কর।
কেননা লিখিত আছে, “প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে।”
তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের কীর্তন কর; যিনি মরুভূমি দিয়া বাহনে আসিতেছেন, তাঁহার জন্য রাজপথ বাঁধ; তাঁহার নাম ‘যাঃ’, তাঁহার সাক্ষাতে উল্লাস কর।
যেন আমার গৌরব তোমার প্রশংসা গান করে, নীরব না থাকে। সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি চিরকাল তোমার স্তব করিব।
তখন কয়েক জন অধ্যাপক ও ফরীশী তাঁহাকে বলিল, হে গুরু, আমরা আপনার কাছে কোন চিহ্ন-কার্য দেখিতে ইচ্ছা করি।তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, এই কালের দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।
কারণ তোমার দয়া জীবন হইতেও উত্তম; আমার ওষ্ঠাধর তোমার প্রশংসা করিবে।এইরূপে আমি যাবজ্জীবন তোমার ধন্যবাদ করিব, আমি তোমার নামে অঞ্জলি উঠাইব।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
হে ঈশ্বর, আমার উদ্ধারার্থে [ত্বরা কর]; হে সদাপ্রভু, আমার সাহায্য করিতে ত্বরা কর।যাহারা আমার প্রাণের অন্বেষণ করে, তাহারা লজ্জিত ও হতাশ হউক; যাহারা আমার বিপদে প্রীত হয়, তাহারা ফিরিয়া যাউক, অপমানিত হউক।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।
সদাপ্রভু আমার পক্ষে সকলই সিদ্ধ করিবেন; হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তোমার স্বহস্তের কর্ম পরিত্যাগ করিও না।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর; হে আমার অন্তরস্থ সকল, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।তিনি আমাদের প্রতি আমাদের পাপানুযায়ী ব্যবহার করেন নাই, আমাদের অধর্মানুযায়ী প্রতিফল আমাদিগকে দেন নাই।কারণ পৃথিবীর উপরে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে তাঁহার দয়া তত মহৎ।পশ্চিমদিক্ হইতে পূর্বদিক্ যেমন দূরবর্তী, তিনি আমাদের হইতে আমাদের অপরাধ সকল তেমনি দূরবর্তী করিয়াছেন।পিতা সন্তানদের প্রতি যেমন করুণা করেন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করে, তাহাদের প্রতি তিনি তেমনি করুণা করেন।কারণ তিনিই আমাদের গঠন জানেন; আমরা যে ধূলিমাত্র, ইহা তাঁহার স্মরণে আছে।মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।কিন্তু সদাপ্রভুর দয়া, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের উপরে অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত থাকে; এবং তাঁহার ধর্মশীলতা পুত্র পৌত্রদের প্রতি বর্তে,তাহাদের প্রতি, যাহারা তাঁহার নিয়ম রক্ষা করে, ও তাঁহার বিধি সকল পালনার্থে স্মরণ করে।সদাপ্রভু স্বর্গে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন, তাঁহার রাজ্য কর্তৃত্ব করে সমস্তের উপরে।হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না।
তোমরা অঞ্জলি প্রসারণ করিলে আমি তোমাদের হইতে আমার চক্ষু আচ্ছাদন করিব; যদ্যপি অনেক প্রার্থনা কর, তথাপি শুনিব না; তোমাদের হস্ত রক্তে পরিপূর্ণ।তোমরা আপনাদিগকে ধৌত কর, বিশুদ্ধ কর, আমার নয়নগোচর হইতে তোমাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা দূর কর; কদাচরণ ত্যাগ কর;
সঙ্কটে তাহারা সদাপ্রভুর কাছে ক্রন্দন করে, আর তিনি তাহাদিগকে কষ্ট হইতে বাহির করেন।তিনি ঝটিকা প্রশমিত করেন; তাহাতে জলরাশির তরঙ্গ সকল নিস্তব্ধ হয়।যাহাদিগকে তিনি সংগ্রহ করিয়াছেন নানা দেশ হইতে, পূর্ব ও পশ্চিম হইতে, উত্তর ও দক্ষিণ হইতে।তখন তাহারা আনন্দ করে, কেননা শান্তি হইল, আর তিনি তাহাদিগকে তাহাদের অভীষ্ট পোতাশ্রয়ে লইয়া যান।
আইস, আমরা প্রণিপাত করি, প্রণত হই, আমাদের নির্মাতা সদাপ্রভুর সাক্ষাতে জানু পাতি।কেননা তিনিই আমাদের ঈশ্বর, আমরা তাঁহার চরাণির প্রজা ও তাঁহার হস্তের মেষ। আহা! অদ্যই তোমরা তাঁহার রব শ্রবণ কর!
সমস্ত জাতি, সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; সমস্ত লোকবৃন্দ, তাঁহার সঙ্কীর্তন কর।কেননা আমাদের উপরে তাঁহার দয়া মহৎ, ও সদাপ্রভুর সত্য অনন্তকালস্থায়ী। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
ধন্য সেই, যাহার অধর্ম ক্ষমা হইয়াছে, যাহার পাপ আচ্ছাদিত হইয়াছে।দুষ্টের অনেক যাতনা হয়; কিন্তু যে ব্যক্তি সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, সে দয়াতে বেষ্টিত হইবে।ধার্মিকগণ, সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, উল্লাস কর; হে সরলচিত্ত সকলে, তোমরা আনন্দ ধ্বনি কর।ধন্য সেই ব্যক্তি, যাহার পক্ষে সদাপ্রভু অপরাধ গণনা করেন না, ও যাহার আত্মায় প্রবঞ্চনা নাই।
কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর।তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
আমি সর্বান্তঃকরণে তোমার মুখের প্রসন্নতা চেষ্টা করিয়াছি; তোমার বচনানুসারে আমার প্রতি কৃপা কর।
আমি সঙ্কটের মধ্য হইতে সদাপ্রভুকে ডাকিলাম; সদাপ্রভু আমাকে উত্তর দিয়া প্রশস্ত স্থানে [আনিলেন]।
আর তোমরা পুত্র, এই কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন; ইনি “আব্বা, পিতা” বলিয়া ডাকেন।
আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা তোমার সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।
আমার প্রাণ তৃপ্ত হইবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দপূর্ণ ওষ্ঠাধরে তোমার প্রশংসা করিবে।
ভ্রাতৃগণ, আমার হৃদয়ের সুবাসনা এবং তাহাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে বিনতি এই, যেন তাহাদের পরিত্রাণ হয়।
বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল; ধন্যবাদ সহকারে গ্রহণ করিলে কিছুই অগ্রাহ্য নয়,কেননা ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনা দ্বারা তাহা পবিত্রীকৃত হয়।
হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখ; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।
আর তিনি প্রার্থনা করিতেছেন, এমন সময়ে তাঁহার মুখের দৃশ্য অন্যরূপ হইল, এবং তাঁহার বস্ত্র শুভ্র ও চাক্চক্যময় হইল।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
আমিই সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমাকে মিসর দেশ হইতে উঠাইয়া আনিয়াছি, তোমার মুখ খুলিয়া বিস্তার কর, আমি তাহা পূর্ণ করিব।
সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
বস্তুতঃ যিরূশালেমে, সিয়োনে প্রজাগণ বাস করিবে; তুমি আর রোদন করিবে না; তোমার ক্রন্দনের রবে তিনি অবশ্য তোমাকে কৃপা করিবেন; শুনিবা মাত্রই তোমাকে উত্তর দিবেন।
হে লোক সকল, সতত তাঁহাতে নির্ভর কর, তাঁহারই সম্মুখে তোমাদের মনের কথা ভাঙ্গিয়া বল; ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয়। [সেলা]
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
আমি স্বরবে ঈশ্বরের কাছে ক্রন্দন করিব; স্বরবে ঈশ্বরের কাছে ক্রন্দন করিব, তিনি আমার প্রতি কর্ণপাত করিবেন।পরে আমি কহিলাম, ইহা আমার পীড়া, পরাৎপরের দক্ষিণ হস্তের বৎসর সকল [স্মরণ করিব]। আমি সদাপ্রভুর কর্ম সকল উল্লেখ করিব; তোমার পূর্বকালীন আশ্চর্য ক্রিয়া সকল স্মরণ করিব।আমি তোমার সমস্ত কর্ম ধ্যানও করিব, তোমার ক্রিয়া সকল আলোচনা করিব।হে ঈশ্বর, পবিত্রতায় তোমার পথ; ঈশ্বরের তুল্য মহান ঈশ্বর কে?তুমিই আশ্চর্য-কার্যকারী ঈশ্বর, তুমি জাতিগণের মধ্যে তোমার পরাক্রম জ্ঞাত করিয়াছ।তুমি বাহুবল দ্বারা আপন প্রজাদিগকে, যাকোবের ও যোষেফের সন্তানগণকে, মুক্ত করিয়াছ। [সেলা]হে ঈশ্বর, জলসমূহ তোমাকে দেখিল; জলসমূহ তোমাকে দেখিল, কম্পিত হইল, জলধি সকলও বিচলিত হইল।জলধর সকল জলধারা বর্ষণ করিল, মেঘমালা গর্জন করিল, তোমার বাণ সকলও বিক্ষিপ্ত হইল।চক্রবাতে তোমার বজ্রের ধ্বনি হইল, বিদ্যুৎ জগৎকে দেদীপ্যমান করিল, পৃথিবী কম্পমান ও টলটলায়মান হইল।সমুদ্রের মধ্যে তোমার পথ ছিল, বহু জলরাশির মধ্যে তোমার মার্গ ছিল, তোমার পদচিহ্ন জানা গেল না।সঙ্কটের দিনে আমি প্রভুর অন্বেষণ করিলাম; রাত্রিকালে আমার হস্ত বিস্তারিত থাকিল, সঙ্কুচিত হইল না; আমার প্রাণ প্রবোধ মানিল না।
যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের “সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
সদাপ্রভু, তোমারই দিকে আমি নিজ প্রাণ উত্তোলন করি।যাহারা তাঁহার নিয়ম ও সাক্ষ্য পালন করে, তাহাদের পক্ষে সদাপ্রভুর সমস্ত পথ দয়া ও সত্য।তোমার নামের গুণে, হে সদাপ্রভু, আমার অপরাধ ক্ষমা কর, কেননা তাহা গুরুতর।সেই ব্যক্তি কে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে? তিনি তাহাকে ইষ্ট পথ দেখাইয়া দিবেন।তাহার প্রাণ কুশলে বাস করিবে, তাহার বংশ দেশের অধিকারী হইবে।সদাপ্রভুর গূঢ় মন্ত্রণা তাঁহার ভয়কারীদের অধিকার, তিনি তাহাদিগকে আপন নিয়ম জানাইবেন।আমার দৃষ্টি নিরন্তর সদাপ্রভুর দিকে, কেননা তিনিই আমার চরণ জাল হইতে উদ্ধার করিবেন।আমার প্রতি ফির, আমার প্রতি কৃপা কর, কেননা আমি একাকী ও দুঃখী।আমার অন্তঃকরণের যন্ত্রণা বাড়িয়াছে, আমার কষ্ট সকল হইতে আমাকে নিস্তার কর।আমার দুঃখ ও আয়াশের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, আমার সমস্ত পাপ ক্ষমা কর।আমার শত্রুগণকে দেখ, কেননা তাহারা অনেক; তাহারা দুরন্ত দ্বেষভাবে আমাকে দ্বেষ করে।হে আমার ঈশ্বর, আমি তোমারই শরণ লইয়াছি, আমাকে লজ্জিত হইতে দিও না; আমার শত্রুগণ আমার উপরে উল্লাস না করুক।
তালচোঁচের ন্যায়, সারসের ন্যায় আমি চিঁ চিঁ শব্দ করিতেছিলাম, ঘুঘুর ন্যায় কাতরোক্তি করিতেছিলাম; ঊর্ধ্বদিকে দৃষ্টিপাত করিতে করিতে আমার চক্ষু ক্ষীণ হইল; হে সদাপ্রভু, আমি উপদ্রুত, তুমি আমার প্রতিভূ হও।
হে ঈশ্বর, আমার কাকূক্তি শ্রবণ কর, আমার প্রার্থনায় অবধান কর।চিত্ত অবসন্ন হইলে আমি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে তোমাকে ডাকিব; আমা অপেক্ষা উচ্চ শৈলে আমাকে লইয়া যাও।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
আর সেইরূপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানি না, কিন্তু আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।
আর তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।আর যদি জানি যে, আমরা যাহা যাচ্ঞা করি, তিনি তাহা শুনেন তবে ইহাও জানি যে, আমরা তাঁহার কাছে যাহা যাচ্ঞা করিয়াছি সেই সকল পাইয়াছি।
যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, বর সঙ্গে থাকিতে কি বাসর ঘরের লোকে বিলাপ করিতে পারে? কিন্তু এমন সময় আসিবে, যখন তাহাদের নিকট হইতে বর নীত হইবেন; তখন তাহারা উপবাস করিবে।