যৌনতা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের অনেকেরই একটা লজ্জা বা সংকোচ কাজ করে। অনেকেই এই বিষয়টা এড়িয়ে যাই। কিন্তু একজন খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, মানুষের যৌনতা সম্পর্কে ঈশ্বরের পরিকল্পনা কী? বাইবেল এই বিষয়ে নীরব নয়, বরং কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।
ইব্রীয় ১৩:৪ পদে বলা হয়েছে, "বিবাহ সকলের কাছে সম্মানীয় হোক এবং বিবাহ-শয্যা নিষ্কলঙ্ক হোক; কারণ ব্যভিচারী ও বেশ্যাগামীদের বিচার করবেন ঈশ্বর।" বিবাহ একটা সম্মানজনক প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের সকলেরই এটাকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত। ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে হবে। সকল প্রকার অশুচিতা ঘৃণা করতে হবে, এড়িয়ে যেতে হবে। বিবাহের বাইরে যৌন সম্পর্ক ঈশ্বর ঘৃণা করেন।
যৌনতা নিয়ে মানুষের মনোভাব বিভিন্ন রকম হলেও আমাদের বুঝতে হবে ঈশ্বর সুন্দর জিনিস সৃষ্টি করেন এবং ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন সেটা নিয়ে আমাদের লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। ঈশ্বর যৌনতা সৃষ্টি করেছেন, তাই যৌনতার সঠিক উপভোগ শুধুমাত্র বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিবাহ হলো সেই প্রতিশ্রুতির প্রতীক। ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী যৌনতা শুধুমাত্র বিবাহিত জীবনের জন্য।
ঈশ্বরের নীতি স্পষ্ট করে যে, ঈশ্বর যৌনতা সৃষ্টি করেছেন বিবাহের জন্য, বিবাহের বাইরে যৌনতার জন্য নয়। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন সম্পর্কের কারণে কখনো যৌনরোগ হয় না। কিন্তু যদি কেউ বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে যৌন সম্পর্ক করে, তাহলে যৌনরোগ সহ নানা ধরণের সমস্যার ঝুঁকিতে পড়ে। এটা পাপের ফল।
সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ। অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
সূর্যের নিচে ঈশ্বর তোমাকে অসার জীবনের যত দিন দিয়াছেন, তোমার সেই সমস্ত অসার দিন থাকিতে তুমি আপন প্রিয়া স্ত্রীর সহিত সুখে জীবন যাপন কর, কেননা জীবনের মধ্যে, এবং তুমি সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হইতেছ, তাহার মধ্যে ইহাই তোমার অধিকার।
তুমি আমার মন হরণ করিয়াছ, অয়ি মম ভগিনি! মম কান্তে! তুমি আমার মন হরণ করিয়াছ, তোমার এক নয়নকটাক্ষ দ্বারা, তোমার কন্ঠের এক হার দ্বারা।
তোমার কুচযুগল দুই হরিণ-শাবকের, হরিণীর দুই যমজ বৎসের ন্যায়, যাহারা শোশন পুষ্পবনে চরে।
যাবৎ দিবস শীতল না হয়, ও ছায়া সকল পলায়ন না করে, তাবৎ আমি গন্ধরসের পর্বতে যাইব, আর কুন্দুরুর পর্বতে যাইব।
অয়ি মম প্রিয়ে! তুমি সর্বাঙ্গসুন্দরী, তোমাতে কোন দোষ নাই।
আমার প্রিয় কথা কহিলেন, আমাকে বলিলেন, ‘অয়ি মম প্রিয়ে! উঠ; অয়ি মম সুন্দরি! আইস;
কারণ দেখ, শীতকাল অতীত হইয়াছে, বর্ষা শেষ হইয়াছে, চলিয়া গিয়াছে,
ক্ষেত্রে পুষ্প প্রস্ফুটিত হইয়াছে, [পক্ষিগণের] গানের সময় হইয়াছে, আমাদের দেশে ঘুঘুর রব শুনা যাইতেছে।
ডুমুর গাছের ফল রসযুক্ত হইতেছে, দ্রাক্ষালতা সকল মুকুলিত হইয়াছে, সেইগুলি সৌরভ বিস্তার করিতেছে। অয়ি মম প্রিয়ে! উঠ; অয়ি মম সুন্দরি! আইস।
অয়ি মম কপোতি! তুমি শৈলের ফাটলে, ভূধরের গুপ্ত স্থানে রহিয়াছ, আমাকে তোমার রূপ দেখিতে দেও, তোমার স্বর শুনিতে দেও, কেননা তোমার স্বর মিষ্ট ও তোমার রূপ মনোহর।’
আমাকে আকর্ষণ কর। আমরা তোমার পশ্চাতে দৌড়িব। রাজা আপন অন্তঃপুরে আমাকে আনিয়াছেন। আমরা তোমাতে উল্লসিতা হইব, আনন্দ করিব, দ্রাক্ষারস হইতেও তোমার প্রেমের অধিক উল্লেখ করিব; লোকে ন্যায়তঃ তোমাকে প্রেম করে।
সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা বিমল [হউক]; কেননা ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করিবেন।
এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।
আর যে একাকী, তাহাকে যদ্যপি কেহ পরাস্ত করে, তথাপি দুই জন তাহার প্রতিরোধ করিবে, এবং ত্রিগুণ সূত্র শীঘ্র ছিঁড়ে না।
তুমি আমাকে মোহরের ন্যায় তোমার হৃদয়ে, মোহরের ন্যায় তোমার বাহুতে রাখ; কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নির শিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন;
তুমি আমাকে মোহরের ন্যায় তোমার হৃদয়ে, মোহরের ন্যায় তোমার বাহুতে রাখ; কেননা প্রেম মৃত্যুর ন্যায় বলবান; অন্তর্জ্বালা পাতালের ন্যায় নিষ্ঠুর; তাহার শিখা অগ্নির শিখা, তাহা সদাপ্রভুরই অগ্নি।
বহু জল প্রেম নির্বাপিত করিতে পারে না, স্রোতস্বতীগণ তাহা ডুবাইয়া দিতে পারে না; কেহ যদি প্রেমের জন্য গৃহের সর্বস্ব দেয়, লোকে তাহাকে যার-পর-নাই তুচ্ছ করে।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন;
যেন তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া পবিত্র করেন,
যেন আপনি আপনার কাছে মণ্ডলীকে প্রতাপান্বিত অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তাহার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই প্রকার আর কোন কিছু না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও অনিন্দনীয় হয়।
এইরূপে স্বামীরাও আপন আপন স্ত্রীকে আপন আপন দেহ বলিয়া প্রেম করিতে বাধ্য। আপন স্ত্রীকে যে প্রেম করে, সে আপনাকেই প্রেম করে।
কেহ ত কখনও নিজ মাংসের প্রতি দ্বেষ করে নাই, বরং সকলে তাহার ভরণ পোষণ ও লালন পালন করে; যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর প্রতি করিতেছেন;
কিন্তু বেশ্যাগমনের ও সর্বপ্রকার অশুদ্ধতার বা লোভের নামও যেন তোমাদের মধ্যে না হয়, যেমন পবিত্রগণের উপযুক্ত।
কেননা আমরা তাঁহার দেহের অঙ্গ।
“এই জন্য মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে।”
এই নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের উদ্দেশে ও মণ্ডলীর উদ্দেশে ইহা কহিলাম।
তথাপি তোমরাও প্রত্যেকে আপন আপন স্ত্রীকে তদ্রূপ আপনার মত প্রেম কর; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।
যেমন বনতরুগণের মধ্যে নাগরঙ্গবৃক্ষ, তেমনি যুবকগণের মধ্যে আমার প্রিয়; আমি পরমহর্ষে তাঁহার ছায়াতে বসিলাম, তাঁহার ফল আমার মুখে সুস্বাদু লাগিল।
তিনি আমাকে পান-শালাতে লইয়া গেলেন, আমার উপরে প্রেমই তাঁহার পতাকা হইল।
তোমরা দ্রাক্ষাপূপ দ্বারা আমাকে সুস্থির কর, নাগরঙ্গ দ্বারা আমার প্রাণ জুড়াও; কেননা আমি প্রেম-পীড়িতা।
তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।
তদ্রূপ, হে ভার্যা সকল, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হও;
কারণ, “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়, ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়, সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে, ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।
সে মন্দ হইতে ফিরুক ও সদাচরণ করুক, শান্তির চেষ্টা করুক, ও তাহার অনুধাবন করুক।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
আর যদি তোমরা সদাচরণের পক্ষে উদ্যোগী হও, তবে কে তোমাদের হিংসা করিবে?
কিন্তু যদিও ধার্মিকতার নিমিত্ত দুঃখভোগ কর, তবু তোমরা ধন্য। আর তোমরা উহাদের ভয়ে ভীত হইও না, এবং উদ্বিগ্ন হইও না, বরং হৃদয়মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু বলিয়া পবিত্র করিয়া মান।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
যেন যাহারা তোমাদের খ্রীষ্টগত সদাচরণের দুর্নাম করে, তাহারা তোমাদের পরিবাদ করণ বিষয়ে লজ্জা পায়।
কারণ দুরাচরণের জন্য দুঃখভোগ করণ অপেক্ষা বরং- ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়- সদাচরণের জন্য দুঃখভোগ করা আরও ভাল।
কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন।
আবার আত্মাতে গমন করিয়া কারাবদ্ধ সেই আত্মাদের কাছে ঘোষণা করিলেন,
যেন কেহ কেহ যদিও বাক্যের অবাধ্য হয়, তথাপি যখন তাহারা তোমাদের সভয় বিশুদ্ধ আচার-ব্যবহার স্বচক্ষে দেখিতে পায়, তখন কোন বাক্য বিহীনে আপন আপন ভার্যার আচার-ব্যবহার দ্বারা তাহাদিগকে লাভ করা হয়।
যাহারা পূর্বকালে, নোহের সময়ে, জাহাজ প্রস্তুত হইতে হইতে যখন ঈশ্বরের দীর্ঘসহিষ্ণুতা বিলম্বিত করিতেছিল, তখন তাহারা অবাধ্য ছিল। সেই জাহাজে অল্প লোক অর্থাৎ আটটি প্রাণ, জল দ্বারা রক্ষা পাইয়াছিল।
আর এখন উহার প্রতিরূপ বাপ্তিস্ম- অর্থাৎ মাংসের মালিন্যত্যাগ নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিকটে সৎবিবেকের নিবেদন- তাহাই যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদিগকে পরিত্রাণ করে।
তিনি স্বর্গে গমন করিয়া ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন; দূতগণ ও কর্তৃত্ব সকল ও পরাক্রমসমূহ তাঁহার বশীকৃত হইয়াছে।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,
কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
কেননা পূর্বকালের যে পবিত্র নারীগণ ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখিতেন, তাঁহারাও সেই প্রকারে আপনাদিগকে ভূষিত করিতেন, আপন আপন স্বামীর বশীভূত হইতেন;
যেমন সারা অব্রাহামের আজ্ঞা মানিতেন, নাথ বলিয়া তাঁহাকে ডাকিতেন; তোমরা যদি সদাচরণ কর ও কোন মহাভয়ে ভীত না হও, তবে তাঁহারই সন্তান হইয়া উঠিয়াছ।
তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন;
যেন তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া পবিত্র করেন,
প্রেম কখনও শেষ হয় না। কিন্তু যদি ভাববাণী থাকে, তাহার লোপ হইবে; যদি বিশেষ বিশেষ ভাষা থাকে, সেই সকল শেষ হইবে; যদি জ্ঞান থাকে, তাহার লোপ হইবে।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়, আমি তাহার জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী নির্মাণ করি।
তিনটা আমার জ্ঞানের অগম্য, চারিটা আমি বুঝিতে পারি না;
ঈগল পক্ষীর পথ আকাশে, সর্পের পথ শৈলের উপরে, জাহাজের পথ সমুদ্রের মধ্যস্থলে, পুরুষের পথ যুবতীতে।
তিনি উত্তর করিলেন, তোমরা কি পাঠ কর নাই যে, সৃষ্টিকর্তা আদিতে পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে নির্মাণ করিয়াছিলেন, আর বলিয়াছিলেন,
“এই কারণ মনুষ্য পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং সেই দুই জন একাঙ্গ হইবে”?
সুতরাং তাহারা আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ। অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।
অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।
উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;
কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।
দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।
নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,
জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।
তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
নারীগণ, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূত হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত।
স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে প্রেম কর, তাহাদের প্রতি কটু ব্যবহার করিও না।
প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম মধুর, ঈর্ষা করে না,
প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব করে না, অশিষ্টাচরণ করে না, স্বার্থ চেষ্টা করে না, রাগিয়া উঠে না, অপকার গণনা করে না,
অধার্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে;
সকলই বহন করে, সকলই বিশ্বাস করে, সকলই প্রত্যাশা করে, সকলই ধৈর্যপূর্বক সহ্য করে।
পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন।
পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।
নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও।
কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা;
কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বশীভূত, তেমনি নারীগণ, সর্ববিষয়ে আপন আপন স্বামীর বশীভূত হউক।
সম্পূর্ণ নম্রতা ও মৃদুতা সহকারে, দীর্ঘসহিষ্ণুতা সহকারে চল;
কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে এইরূপ শিক্ষা পাও নাই;
তাঁহারই বাক্য ত শুনিয়াছ, এবং যীশুতে যে সত্য আছে, তদনুসারে তাঁহাতেই শিক্ষিত হইয়াছ;
যেন তোমরা পূর্বকালীন আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরাতন মনুষ্যকে ত্যাগ কর, যাহা প্রতারণার বিবিধ অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হইয়া পড়িতেছে।
আর আপন আপন মনের ভাবে যেন ক্রমশঃ নবীনীকৃত হও,
এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে।
অতএব তোমরা, যাহা মিথ্যা, তাহা ত্যাগ করিয়া প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও; কারণ আমরা পরস্পর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
ক্রুদ্ধ হইলে পাপ করিও না; সূর্য অস্ত না যাইতে যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক;
আর দিয়াবলকে স্থান দিও না।
চোর আর চুরি না করুক, বরং স্বহস্তে সদ্ব্যাপারে পরিশ্রম করুক, যেন দীনহীনকে দিবার জন্য তাহার হাতে কিছু থাকে।
তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজন মতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।
প্রেমে পরস্পর ক্ষমাশীল হও, শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করিতে যত্নবান হও।
কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
যে ব্যক্তি যে আহ্বানে আহূত হইয়াছে, সে তাহাতেই থাকুক।
তুমি কি দাস হইয়াই আহূত হইয়াছ? ভাবিত হইও না; কিন্তু যদি স্বাধীন হইতে পার, বরং তাহা অবলম্বন কর।
কেননা প্রভুতে আহূত যে দাস, সে প্রভুর স্বাধীনীকৃত লোক; তদ্রূপ আহূত যে স্বাধীন লোক, সে খ্রীষ্টের দাস।
তোমরা মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ, মনুষ্যদের দাস হইও না।
হে ভ্রাতৃগণ, প্রত্যেক জন যে অবস্থায় আহূত হইয়াছে, সেই অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে থাকুক।
আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন আজ্ঞা পাই নাই, কিন্তু বিশ্বস্ত হইবার জন্য প্রভুর দয়াপ্রাপ্ত লোকের ন্যায় আমার মত প্রকাশ করিতেছি।
ফলে আমার বোধ হয়, উপস্থিত সঙ্কট প্রযুক্ত ইহাই ভাল, অর্থাৎ অমনি থাকা মনুষ্যের পক্ষে ভাল।
তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত? মুক্ত হইতে চেষ্টা করিও না। তুমি কি স্ত্রী হইতে মুক্ত? স্ত্রীর চেষ্টা করিও না।
কিন্তু বিবাহ করিলেও তোমার পাপ হয় না; আর কুমারী যদি বিবাহ করে, তবে তাহারও পাপ হয় না। তথাপি এইরূপ লোকদের দৈহিক ক্লেশ ঘটিবে; আর তোমাদের প্রতি আমার মমতা হইতেছে।
কিন্তু আমি এই কথা বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, সময় সংকুচিত, এখন হইতে যাহাদের স্ত্রী আছে, তাহারা এমন চলুক, যেন তাহাদের স্ত্রী নাই;
স্বামী স্ত্রীকে তাহার প্রাপ্য দিউক; আর তদ্রূপ স্ত্রীও স্বামীকে দিউক।
এবং যাহারা রোদন করিতেছে, তাহারা যেন রোদন করিতেছে না; যাহারা আনন্দ করিতেছে, তাহারা যেন আনন্দ করিতেছে না; যাহারা ক্রয় করিতেছে, তাহারা যেন কিছুই রাখে নাই;
আর যাহারা সংসার ভোগ করিতেছে, যেন পূর্ণমাত্রায় করিতেছে না, যেহেতু এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে।
কিন্তু আমার বাসনা এই যে, তোমরা চিন্তা-রহিত হও। যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে প্রভুকে সন্তুষ্ট করিবে।
কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করিবে;
তাই তাহার স্বার্থের বিভক্তি ঘটে। আর অবিবাহিতা স্ত্রী ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও আত্মাতে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্বামীকে সন্তুষ্ট করিবে।
এই কথা আমি তোমাদের নিজের হিতের জন্য বলিতেছি; তোমাদের গলায় রজ্জু দিবার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন শিষ্টাচরণ কর, এবং একাগ্রমনে প্রভুতে আসক্ত থাক।
কিন্তু যদি কাহারও বোধ হয় যে, সে তাহার কুমারী কন্যার প্রতি অশিষ্টাচরণ করিতেছে, যদি সৌকুমার্য অতীত হইয়া থাকে, আর এই প্রকার হওয়া আবশ্যক হয়, তবে সে যাহা ইচ্ছা করে, তাহা করুক; ইহাতে তাহার পাপ নাই, বিবাহ হউক।
কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে স্থির, যাহার কোন প্রয়োজন নাই, এবং আপনি আপন ইচ্ছা সম্বন্ধে কর্তা, সে যদি আপন কন্যাকে কুমারী রাখিতে হৃদয়ে স্থির করিয়া থাকে, তবে ভাল করে।
অতএব যে আপন কুমারী কন্যার বিবাহ দেয়, সে ভাল করে; এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।
যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী নিদ্রাগত হইলে পর সে স্বাধীন হয়, যাহাকে ইচ্ছা করে, তাহার সহিত বিবাহিতা হইতে পারে, কিন্তু কেবল প্রভুতেই।
নিজ দেহের উপরে স্ত্রীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তদ্রূপ নিজ দেহের উপরে স্বামীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।
তথাপি আমার মতানুসারে সে অমনি থাকিলে আরও ধন্যা। আর আমার বোধ হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পাইয়াছি।
তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করিও না; কেবল প্রার্থনার নিমিত্তে অবকাশ পাইবার জন্য উভয়ে এক পরামর্শ হইয়া কিছু কাল পৃথক থাকিতে পার; পরে পুনর্বার একত্র হইবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমের কারণে তোমাদিগকে পরীক্ষায় না ফেলে।
কিন্তু ব্যভিচার নিবারণের জন্য প্রত্যেক পুরুষের নিজের নিজের ভার্যা থাকুক, এবং প্রত্যেক স্ত্রীর নিজের নিজের স্বামী থাকুক।
যে ব্যক্তি যে আহ্বানে আহূত হইয়াছে, সে তাহাতেই থাকুক।
তুমি কি দাস হইয়াই আহূত হইয়াছ? ভাবিত হইও না; কিন্তু যদি স্বাধীন হইতে পার, বরং তাহা অবলম্বন কর।
কেননা প্রভুতে আহূত যে দাস, সে প্রভুর স্বাধীনীকৃত লোক; তদ্রূপ আহূত যে স্বাধীন লোক, সে খ্রীষ্টের দাস।
তোমরা মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ, মনুষ্যদের দাস হইও না।
হে ভ্রাতৃগণ, প্রত্যেক জন যে অবস্থায় আহূত হইয়াছে, সেই অবস্থায় ঈশ্বরের কাছে থাকুক।
আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন আজ্ঞা পাই নাই, কিন্তু বিশ্বস্ত হইবার জন্য প্রভুর দয়াপ্রাপ্ত লোকের ন্যায় আমার মত প্রকাশ করিতেছি।
ফলে আমার বোধ হয়, উপস্থিত সঙ্কট প্রযুক্ত ইহাই ভাল, অর্থাৎ অমনি থাকা মনুষ্যের পক্ষে ভাল।
তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত? মুক্ত হইতে চেষ্টা করিও না। তুমি কি স্ত্রী হইতে মুক্ত? স্ত্রীর চেষ্টা করিও না।
কিন্তু বিবাহ করিলেও তোমার পাপ হয় না; আর কুমারী যদি বিবাহ করে, তবে তাহারও পাপ হয় না। তথাপি এইরূপ লোকদের দৈহিক ক্লেশ ঘটিবে; আর তোমাদের প্রতি আমার মমতা হইতেছে।
কিন্তু আমি এই কথা বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, সময় সংকুচিত, এখন হইতে যাহাদের স্ত্রী আছে, তাহারা এমন চলুক, যেন তাহাদের স্ত্রী নাই;
স্বামী স্ত্রীকে তাহার প্রাপ্য দিউক; আর তদ্রূপ স্ত্রীও স্বামীকে দিউক।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।
তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।
আর উক্ত হইয়াছিল, “যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাহাকে ত্যাগপত্র দিউক”।
কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ ব্যভিচার ভিন্ন অন্য কারণে আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে, সে তাহাকে ব্যভিচারিণী করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।
যদি সদাপ্রভু গৃহ নির্মাণ না করেন, তবে নির্মাতারা বৃথাই পরিশ্রম করে; যদি সদাপ্রভু নগর রক্ষা না করেন, রক্ষক বৃথাই জাগরণ করে।
তখন ইস্হাক রিবিকাকে গ্রহণ করিয়া সারা মাতার তাম্বুতে লইয়া গিয়া তাঁহাকে বিবাহ করিলেন, এবং তাঁহাকে প্রেম করিলেন। তাহাতে ইস্হাক মাতৃবিয়োগের শোক হইতে সান্ত্বনা পাইলেন।
আর বিবাহিত লোকদিগকে এই আজ্ঞা দিতেছি- আমি দিতেছি তাহা নয়, কিন্তু প্রভুই দিতেছেন- স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে চলিয়া না যাউক-
যদি চলিয়া যায়, তবে সে অবিবাহিতা থাকুক, কিম্বা স্বামীর সহিত সম্মিলিতা হউক- আর স্বামীও স্ত্রীকে পরিত্যাগ না করুক।
তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
কারণ আমার কাছে এমন সমপ্রাণ কেহই নাই যে, প্রকৃতরূপে তোমাদের বিষয় চিন্তা করিবে।
কেননা উহারা সকলে যীশু খ্রীষ্টের বিষয় নয়, কিন্তু আপন আপন বিষয় চেষ্টা করে।
কিন্তু তোমরা ইঁহার পক্ষে এই প্রমাণ জ্ঞাত আছ যে, পিতার সহিত সন্তান যেমন, আমার সহিত ইনি তেমনি সুসমাচারের নিমিত্ত দাস্যকর্ম করিয়াছেন।
অতএব আশা করি, আমার কি ঘটে, তাহা দেখিতে পাইলেই তাঁহাকে তোমাদের নিকটে পাঠাইয়া দিব।
আর প্রভুতে আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, আমি নিজেও ত্বরায় উপস্থিত হইব।
পরন্তু আমার ভ্রাতা, সহকর্মী ও সহসেনা, এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারার্থক সেবক ইপাফ্রদীতকে তোমাদের নিকটে পাঠাইয়া দেওয়া আমার আবশ্যক বোধ হইল।
কেননা তিনি তোমাদের সকলকে দেখিবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন, এবং তোমরা তাঁহার পীড়ার সংবাদ শুনিয়াছ বলিয়া তিনি ব্যাকুল হইয়াছিলেন।
আর বাস্তবিক তিনি পীড়ায় মৃতকল্প হইয়াছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁহার প্রতি দয়া করিয়াছেন, আর কেবল তাঁহার প্রতি নয়, আমার প্রতিও দয়া করিয়াছেন, যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়।
এই জন্য আমি অধিক যত্নপূর্বক তাঁহাকে পাঠাইলাম, যেন তোমরা তাঁহাকে দেখিয়া পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়।
অতএব তোমরা তাঁহাকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দ সহকারে গ্রহণ করিও, এবং এই প্রকার লোকদিগকে সমাদর করিও;
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।
এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,
মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী, মিতাচারী, আত্মসংযমী, পরিপাটী, অতিথি সেবক এবং শিক্ষাদানে নিপুণ হউন;
অতএব যেমন তোমরা করিয়াও থাক, তেমনি তোমরা পরস্পরকে আশ্বাস দেও, এবং একজন অন্যকে গাঁথিয়া তুল।
ধন্য সেই জন, যে কেহ সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার সকল পথে চলে।
বাস্তবিক তুমি স্বহস্তের শ্রম-ফল ভোগ করিবে, তুমি ধন্য হইবে, ও তোমার মঙ্গল হইবে।
তোমার গৃহের অন্তঃপুরে তোমার স্ত্রী ফলবতী দ্রাক্ষালতার ন্যায় হইবে, তোমার মেজের চারিদিকে তোমার সন্তানগণ জলপাই বৃক্ষের চারার ন্যায় হইবে।
দেখ, যে ব্যক্তি সদাপ্রভুকে ভয় করে, সে এইরূপে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়।
তোমরা কাহারও কিছু ধারিও না, কেবল পরসপর প্রেম ধারিও; কেননা পরকে যে প্রেম করে, সে ব্যবস্থা পূর্ণরূপে পালন করিয়াছে।
ধৈর্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও,
যেন তোমরা একচিত্তে এক মুখে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।
সন্তানেরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহা ন্যায্য।
শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।
ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।
কেননা রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু আধিপত্য সকলের সহিত, কর্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।
এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা গ্রহণ কর, যেন সেই কুদিনে প্রতিরোধ করিতে এবং সকলই সমপন্ন করিয়া দাঁড়াইয়া থাকিতে পার।
অতএব সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি হইয়া, ধার্মিকতার বুকপাটা পরিয়া,
এবং শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দিয়া দাঁড়াইয়া থাক;
এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে;
এবং পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়্গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
সর্ববিধ প্রার্থনা ও বিনতি সহকারে সর্বসময়ে আত্মাতে প্রার্থনা কর, এবং ইহার নিমিত্ত সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও বিনতিসহ জাগিয়া থাক,
সমস্ত পবিত্র লোকের জন্য এবং আমার পক্ষে বিনতি কর, যেন মুখ খুলিবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া যায়, যাহাতে আমি সাহসপূর্বক সেই সুসমাচারের নিগূঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করিতে পারি,
“তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও,” এ ত প্রতিজ্ঞাসহযুক্ত প্রথম আজ্ঞা-
যাহার নিমিত্ত আমি শৃঙ্খলে বদ্ধ হইয়া রাজদূতের কর্ম করিতেছি; যেমন কথা বলা আমার উচিত, তেমনি যেন সেই বিষয়ে সাহস দেখাইতে পারি।
আর আমার বিষয়, আমার কিরূপ চলিতেছে, তাহা যেন তোমরাও জানিতে পার, তন্নিমিত্ত প্রভুতে প্রিয় ভ্রাতা ও বিশ্বস্ত পরিচারক যে তুখিক, তিনি তোমাদিগকে সকলই জ্ঞাত করিবেন।
আমি তাঁহাকে তোমাদের কাছে সেই জন্যই পাঠাইলাম, যেন তোমরা আমাদের সমস্ত সংবাদ জ্ঞাত হও, এবং তিনি যেন তোমাদের হৃদয়ে আশ্বাস দেন।
পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হইতে শান্তি, এবং বিশ্বাসের সহিত প্রেম, ভ্রাতৃগণের প্রতি বর্তুক।
আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যাহারা অক্ষয়ভাবে প্রেম করে, অনুগ্রহ সেই সকলের সহবর্তী হউক।
“যেন তোমার মঙ্গল হয়, এবং তুমি দেশে দীর্ঘায়ু হও।”