সবকিছুর আগে, তোমার মনকে পাহারা দাও। যা তোমাকে ভালো মানুষ হতে সাহায্য করে না, তা থেকে দূরে থাকা জরুরি। হ্যাঁ, অনেক কিছুই তুমি করতে পারো, কিন্তু সবকিছু তোমার জন্য ভালো না। তাই প্রতিটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাবধান হও। ঈশ্বরের কাছে প্রজ্ঞা চাও এবং তোমার আবেগকে তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিও না, কারণ এটা তোমাকে খারাপ পথে নিয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় শয়তান তোমার সামনে এমন কিছু সমাধান দেখাবে, যা সমস্যার সময় খুব সহজ মনে হবে। কিন্তু সাবধান! এর পরিণতি সবসময় ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ঋণ কখনোই ভালো সমাধান নয়। বরং ঈশ্বরের কাছে যাও, তার কাছেই তুমি সঠিক সময়ে সাহায্য পাবে। যীশু তোমার সব অভাব জানেন এবং তিনি তোমাকে সাহায্য করতে চান। তোমার সব বোঝা তার কাছে রেখে দাও, তাহলে তুমি শান্তি পাবে। তারপর তুমি স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে, তোমার হাতে কি কি উপায় আছে, যা তোমাকে ঋণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। একবার ঋণমুক্ত হলে, আর কখনো ঋণ করো না। কারণ যীশু চান তুমি আশীর্বাদপুষ্ট জীবন যাপন করো, এমনভাবে যেন তোমার লজ্জার কিছু নেই। লোভের বশবর্তী হইও না, যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকো। কারণ তিনি বলেছেন, "আমি তোমাকে কোনো দিন ছাড়ব না, কোনো দিন পরিত্যাগ করব না।" (ইব্রীয় ১৩:৫)
তোমরা কাহারও কিছু ধারিও না, কেবল পরসপর প্রেম ধারিও; কেননা পরকে যে প্রেম করে, সে ব্যবস্থা পূর্ণরূপে পালন করিয়াছে।
যাহার যাহা প্রাপ্য, তাহাকে তাহা দেও। যাঁহাকে কর দিতে হয়, কর দেও; যাঁহাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দেও; যাঁহাকে ভয় করিতে হয়, ভয় কর; যাঁহাকে সমাদর করিতে হয়, সমাদর কর।
কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন তোমার কাছে অঙ্গীকার করিয়াছেন, তেমনি তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন; আর তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না; এবং অনেক জাতির উপরে কর্তৃত্ব করিবে, কিন্তু তাহারা তোমার উপরে কর্তৃত্ব করিবে না।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
যাহাদের মঙ্গল করা উচিত, তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না, যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে।তোমার প্রতিবাসীকে বলিও না, ‘যাও, আবার আসিও, আমি কল্য দিব’, যখন দ্রব্য তোমার হস্তে থাকে।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
বাস্তবিক দুর্গ নির্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদের মধ্যে কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি তাহার আছে কি না?কি জানি ভিত্তিমূল বসাইলে পর যদি সে সমাপ্ত করিতে না পারে, তবে যত লোক তাহা দেখিবে, সকলে তাহাকে বিদ্রূপ করিতে আরম্ভ করিবে,যীশু জিজ্ঞাসা করিয়া ব্যবস্থাবেত্তাদিগকে ও ফরীশীগণকে কহিলেন, বিশ্রামবারে আরোগ্য করা বিধেয় কিনা?বলিবে, এ ব্যক্তি নির্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু সমাপ্ত করিতে পারিল না।
তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তাহার সহিত শীঘ্র মিলন করিও, পাছে বিপক্ষ তোমাকে বিচারকর্তার হস্তে সমর্পণ করে, ও বিচারকর্তা তোমাকে রক্ষীর হস্তে সমর্পণ করে, আর তুমি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হও।আমি তোমাকে সত্য কহিতেছি, যাবৎ শেষ কড়িটা পর্যন্ত পরিশোধ না করিবে, তাবৎ তুমি কোন মতে সেই স্থান হইতে বাহিরে আসিতে পারিবে না।
যাহারা হস্তে তালি দেয় ও ঋণের জামিন হয়, তাহাদের মধ্যে তুমি একজন হইও না।যদি তোমার পরিশোধের সঙ্গতি না থাকে, তবে গায়ের নিচে হইতে তোমার শয্যা নীত হইবে কেন?
আর কেহ যদি আপন প্রতিবাসীর পশু চাহিয়া লয়, ও তাহার মালিক তাহার সহিত না থাকিবার সময়ে সেই পশু ভগ্নাঙ্গ হয় কিম্বা মরিয়া যায়, তবে সে অবশ্য ক্ষতিপূরণ করিবে।
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
বৎস, তুমি যদি বন্ধুর জামিন হইয়া থাক, যদি অপরের সহিত হস্তে তালি দিয়া থাক,‘আর একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুইয়া হস্ত জড়সড় করিব’;তাই তোমার দরিদ্রতা দস্যুর ন্যায় আসিবে, তোমার দৈন্যদশা ঢালীর ন্যায় আসিবে।যে ব্যক্তি পাষণ্ড, যে লোক অপরাধী, সে মুখের কুটিলতায় চলে,সে চক্ষু দ্বারা ইঙ্গিত করে, পদ দ্বারা কথা বলে, সে অঙ্গুলি দ্বারা সঙ্কেত করে,তাহার হৃদয়ে কুটিলতা থাকে, সে সতত কুকল্পনা করে, সে বিবাদ ছড়াইয়া দেয়।সেই জন্য অকস্মাৎ তাহার বিপদ আসিবে, হঠাৎ সে ভগ্ন হইবে; আর প্রতিকার হইবে না।এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ,যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।তবে নিজ মুখের কথায় ফাঁদে পতিত হইয়াছ, আপন মুখের কথায় ধৃত হইয়াছ।বৎস, তুমি আপন পিতার আজ্ঞা পালন কর, তোমার মাতার শিক্ষা ত্যাগ করিও না।উহা সর্বদা তোমার হৃদয়ে গাঁথিয়া রাখ, তোমার কন্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ।গমনকালে সে তোমাকে পথ দেখাইবে, শয়নকালে তোমার প্রহরী হইবে, জাগরণকালে তোমার সহিত আলাপ করিবে।কেননা আজ্ঞা প্রদীপ ও ব্যবস্থা আলোক, এবং শিক্ষাজনক অনুযোগ জীবনের পথ;সে তোমাকে রক্ষা করিবে, দুষ্টা স্ত্রী হইতে, বিজাতীয়ার জিহ্বার চাটুবাদ হইতে।তুমি হৃদয়ে উহার সৌন্দর্যে লুব্ধ হইও না, উহার আপাঙ্গ-ভঙ্গিতে ধৃত হইও না।কেননা বারঙ্গনা দ্বারা অন্নাভাব ঘটে, পরস্ত্রী [মনুষ্যের] মহামূল্য প্রাণ মৃগয়া করে।কেহ যদি বক্ষঃস্থলে অগ্নি রাখে, তবে তাহার বস্ত্র কি পুড়িয়া যাইবে না?কেহ যদি জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর দিয়া চলে, তবে তাহার পদতল কি দগ্ধ হইবে না?তদ্রূপ যে প্রতিবাসীর স্ত্রীর কাছে গমন করে; যে তাহাকে স্পর্শ করে, সে অদণ্ডিত থাকিবে না।এখন, বৎস, তুমি এই কার্য কর; আপনাকে উদ্ধার কর; যখন তুমি আপন বন্ধুর হস্তগত হইয়াছ, তখন যাও, বিনত হও, বন্ধুর সাধ্যসাধনা কর;যে ক্ষুধিত হইয়া প্রাণের তৃপ্তির জন্য চুরি করে, লোকে সেই চোরকে উপেক্ষা করে না;কিন্তু ধরা পড়িলে তাহাকে সপ্তগুণ ফিরাইয়া দিতে হইবে, তাহার গৃহের সর্বস্বও সমর্পণ করিতে হইবে।পরদার পুরুষ বুদ্ধিবিহীন, সে তাহা করিয়া আপনার প্রাণ আপনি নষ্ট করে।সে আঘাত ও অবমাননা পাইবে; তাহার দুর্নাম কখনও ঘুচিবে না।যেহেতু অন্তর্জ্বালা স্বামীর চণ্ডতা, প্রতিশোধের দিনে সে ক্ষমা করিবে না;সে কোন প্রকার প্রায়শ্চিত্ত গ্রাহ্য করিবে না, অনেক উৎকোচ দিলেও সম্মত হইবে না।তোমার চক্ষুকে নিদ্রা যাইতে দিও না, চক্ষুর পাতাকে মুদ্রিত হইতে দিও না;আপনাকে হরিণের ন্যায় [ব্যাধের] হস্ত হইতে, পক্ষীর ন্যায় জালিকের হস্ত হইতে উদ্ধার কর।
আমি যুবক ছিলাম, এখন বৃদ্ধ হইয়াছি, কিন্তু ধার্মিককে পরিত্যক্ত দেখি নাই, তাহার বংশকে খাদ্য ভিক্ষা করিতে দেখি নাই।
তুমি যদি আমার প্রজাদের মধ্যে তোমার স্বজাতীয় কোন দীন-দুঃখীকে টাকা ধার দেও, তবে তাহার কাছে সুদগ্রাহীর ন্যায় হইও না; তোমরা তাহার উপরে সুদ চাপাইবে না।
তোমার সাক্ষ্যকলাপের প্রতি আমার হৃদয় ফিরাও, লোভের প্রতি ফিরাইও না।অলীকতা-দর্শন হইতে আমার চক্ষু ফিরাও, তোমার পথে আমাকে সঞ্জীবিত কর।
তোমার প্রতিবাসীকে কোন প্রকার কিছু ঋণ দিলে তুমি বন্ধকী দ্রব্য লইবার জন্য তাহার গৃহে প্রবেশ করিবে না।তুমি বাহিরে দাঁড়াইয়া থাকিবে, এবং ঋণী ব্যক্তি বন্ধকী দ্রব্য বাহির করিয়া তোমার নিকটে আনিবে।
কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
সৎ লোক পুত্রদের পুত্রগণের জন্য অধিকার রাখিয়া যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্য সঞ্চিত হয়।
ধার্মিকের মুখ জ্ঞানের কথা বলে, তাহার জিহ্বা ন্যায়বিচারের কথা কহে।তাহার ঈশ্বরের ব্যবস্থা তাহার অন্তরে আছে; তাহার পাদবিক্ষেপ টলিবে না।
এবং কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করে নাই, ঋণীকে বন্ধক ফিরাইয়া দিয়াছে, কাহারও দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ করে নাই, ক্ষুধিত লোককে অন্ন দিয়াছে, ও উলঙ্গকে বস্ত্র পরাইয়াছে,
যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে বিশ্বস্ত, সে প্রচুর বিষয়েও বিশ্বস্ত; আর যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে অধার্মিক, সে প্রচুর বিষয়েও অধার্মিক।অতএব তোমরা যদি অধার্মিকতার ধনে বিশ্বস্ত না হইয়া থাক, তবে কে বিশ্বাস করিয়া তোমাদের কাছে সত্য ধন রাখিবে?আর যদি পরের বিষয়ে বিশ্বস্ত না হইয়া থাক, তবে কে তোমাদের নিজ বিষয় তোমাদিগকে দিবে?
এখন দেখ, তোমাদের কেহ কেহ বলে, অদ্য কিম্বা কল্য, আমরা অমুক নগরে যাইব, এবং সেখানে এক বৎসর যাপন করিব, বাণিজ্য করিব ও লাভ করিব।তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা ত বাষপস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।
তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র্র্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।
কিন্তু তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, আরও অধিক উপচিয়া পড়, আর শান্ত ভাবে থাকিতে ও আপন আপন কার্য করিতে এবং স্বহস্তে পরিশ্রম করিতে সযত্ন হও-
এই জন্য স্বর্গ-রাজ্য এমন একজন রাজার তুল্য, যিনি আপন দাসগণের কাছে হিসাব লইতে চাহিলেন।তিনি হিসাব আরম্ভ করিলে, একজন তাঁহার নিকটে আনীত হইল, যে তাঁহার দশ সহস্র তালন্ত ধারিত।কিন্তু তাহার পরিশোধ করিবার সঙ্গতি না থাকাতে তাহার প্রভু তাহাকে ও তাহার স্ত্রী পুত্রাদি এবং সর্বস্ব বিক্রয় করিয়া আদায় করিতে আজ্ঞা করিলেন।তাহাতে সেই দাস তাঁহার চরণে পড়িয়া প্রণিপাত করিয়া কহিল, হে প্রভু, আমার প্রতি ধৈর্য ধরুন, আমি আপনার সমস্তই পরিশোধ করিব।তখন সেই দাসের প্রভু করুণাবিষ্ট হইয়া তাহাকে মুক্ত করিলেন ও তাহার ঋণ ক্ষমা করিলেন।কিন্তু সেই দাস বাহিরে গিয়া তাহার সহদাসদের মধ্যে একজনকে দেখিতে পাইল, যে তাহার একশত সিকি ধারিত; সে তাহাকে ধরিয়া গলা টিপি দিয়া কহিল, তুই যা ধারিস্, তাহা পরিশোধ কর্।তখন তাহার সহদাস তাহার চরণে পড়িয়া বিনতিপূর্বক কহিল, আমার প্রতি ধৈর্য ধর, আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করিব।এবং কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না।তবুও সে সম্মত হইল না, কিন্তু গিয়া তাহাকে কারাগারে ফেলিয়া রাখিল, যে পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ না করে।এই ব্যাপার দেখিয়া তাহার সহদাসেরা বড়ই দুঃখিত হইল, আর আপনাদের প্রভুর কাছে গিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত বলিয়া দিল।তখন তাহার প্রভু তাহাকে কাছে ডাকাইয়া কহিলেন, দুষ্ট দাস! তুমি আমার কাছে বিনতি করাতে আমি তোমার ঐ সমস্ত ঋণ ক্ষমা করিয়াছিলাম;আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া করিয়াছিলাম, তেমনি তোমার সহদাসের প্রতি দয়া করা কি তোমারও উচিৎ ছিল না?আর তাহার প্রভু ক্রুদ্ধ হইয়া পীড়নকারীদের নিকটে তাহাকে সমর্পণ করিলেন, যে পর্যন্ত সে সমস্ত ঋণ পরিশোধ না করে।আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এইরূপ করিবেন, যদি তোমরা প্রতিজন অন্তঃকরণের সহিত আপন আপন ভ্রাতাকে ক্ষমা না কর।
তুমি সাত বৎসরের শেষে ঋণ ক্ষমা করিবে।তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না; কেননা এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কর্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।কেননা তোমার দেশের মধ্যে দরিদ্রের অভাব হইবে না; অতএব আমি তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি, তুমি আপন দেশে তোমার ভ্রাতার প্রতি, তোমার দুঃখী ও দীনহীনের প্রতি, তোমার হাত অবশ্য খুলিয়া রাখিবে।তোমার ভ্রাতা অর্থাৎ কোন ইব্রীয় পুরুষ কিম্বা ইব্রীয় স্ত্রীলোক যদি তোমার নিকটে বিক্রীত হয়, এবং ছয় বৎসর পর্যন্ত তোমার দাস্যকর্ম করে; তবে সপ্তম বৎসরে তুমি তাহাকে মুক্ত করিয়া আপনার নিকট হইতে বিদায় দিবে।আর মুক্ত করিয়া তোমার নিকট হইতে বিদায় দিবার সময়ে তুমি তাহাকে রিক্তহস্তে বিদায় করিবে না;তুমি আপন পাল, শস্য ও দ্রাক্ষারস হইতে তাহাকে প্রচুর পুরস্কার দিবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যেমন আশীর্বাদ করিয়াছেন, তদনুসারে তাহাকে দিবে।আর স্মরণে রাখিবে, তুমি মিসর দেশে দাস ছিলে, এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে মুক্ত করিয়াছেন; এই জন্য আমি অদ্য তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি।পরন্তু তোমার নিকটে সুখে থাকাতে সে তোমাকে ও তোমার পরিজনগণকে ভালবাসে বলিয়া যদি বলে, আমি তোমাকে ছাড়িয়া যাইব না;তবে তুমি এক গুঁজি লইয়া কপাটের সহিত তাহার কর্ণ বিঁধিয়া দিবে, তাহাতে সে নিত্য তোমার দাস থাকিবে; আর দাসীর প্রতিও তদ্রূপ করিবে।ছয় বৎসর পর্যন্ত সে তোমার কাছে বেতনজীবীর বেতন অপেক্ষা দ্বিগুণ দাস্যকর্ম করিয়াছে, এই কারণ তাহাকে মুক্ত করিয়া বিদায় দেওয়া কঠিন মনে করিবে না; তাহাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সকল কার্যে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।তুমি তোমার গোমেষাদি পশুপাল হইতে উৎপন্ন সমস্ত প্রথমজাত পুং পশুকে আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র করিবে; তুমি গরুর প্রথমজাত দ্বারা কোন কর্ম করিবে না, এবং তোমার প্রথম জাত মেষের লোম ছেদন করিবে না।সেই ঋণক্ষমার এই ব্যবস্থা; যে কোন মহাজন আপন প্রতিবাসীকে ঋণ দিয়াছে, সে তাহার দত্ত সেই ঋণ ক্ষমা করিবে, আপন প্রতিবাসী কিম্বা ভ্রাতার নিকট হইতে ঋণ আদায় করিবে না, কেননা সদাপ্রভুর [আদেশে] ঋণক্ষমার ঘোষণা হইয়াছে।
তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।
কেননা দুষ্টতার রাজদণ্ড ধার্মিকদের অধিকারের উপরে থাকিবে না, যেন ধার্মিকগণ অন্যায়ে হস্তক্ষেপ না করে।
হাস্যের নিমিত্ত ভোজ প্রস্তুত করা হয়, এবং দ্রাক্ষারস জীবন আনন্দযুক্ত করে, আর রৌপ্য সকলই যোগায়।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।তিনি মেষলোম ও মসীনা অন্বেষণ করেন, প্রফুল্লভাবে আপন হস্তে কর্ম করেন।তিনি বাণিজ্য-জাহাজ সমূহের ন্যায়, তিনি দূর হইতে আপন খাদ্যসামগ্রী আনয়ন করেন।তিনি রাত্রি থাকিতে উঠেন, আর নিজ পরিজনদিগকে খাদ্য দেন, নিজ দাসীদিগকে নিরূপিত কর্ম দেন। তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে সঙ্কল্প করিয়া তাহা ক্রয় করেন, স্বহস্তের ফল দিয়া দ্রাক্ষার উদ্যান প্রস্তুত করেন।তিনি বলে কটি বন্ধন করেন, আপন বাহুযুগল বলশালী করেন।তিনি দেখিতে পান, তাঁহার ব্যবসায় উত্তম, রাত্রিতে তাঁহার দীপ নির্বাপিত হয় না।তিনি টেকুয়া লইতে আপন হস্ত প্রসারণ করেন, তাঁহার করদ্বয় পাঁজ ধরে।হে বৎস, কি বলিব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলিব? হে আমার মানতের পুত্র, কি বলিব?তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের প্রতি হস্ত প্রসারণ করেন।তিনি নিজ পরিবারের বিষয়ে তুষার হইতে ভয় পান না; কারণ তাঁহার সমস্ত পরিজন লাল বস্ত্র পরিধান করে।তিনি আপনার জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন। তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনে বস্ত্র।তাঁহার স্বামী নগর-দ্বারে প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনবর্গের সহিত বসেন।তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করেন, বণিকের হস্তে কটিবস্ত্র সমর্পণ করেন।বল ও সমাদর তাঁহার পরিচ্ছদ; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাস্য করেন।তিনি প্রজ্ঞার সহিত মুখ খোলেন, তাঁহার জিহ্বাগ্রে দয়ার ব্যবস্থা থাকে।তিনি আপন পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি আলস্যের খাদ্য খান না।তাঁহার সন্তানগণ উঠিয়া তাঁহাকে ধন্য বলে; তাঁহার স্বামীও বলেন, আর তাঁহার এইরূপ প্রশংসা করেন-“অনেক মেয়ে গুণবত্তা প্রদর্শন করিয়াছে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”তুমি নারিগণকে আপন শক্তি দিও না, যাহা রাজগণের বিনাশক, তাহাতে লিপ্ত হইও না।লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।তোমরা তাঁহার হস্তের ফল তাঁহাকে দেও, নগর-দ্বারসমূহে তাঁহার ক্রিয়া তাঁহার প্রশংসা করুক।
তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
কিন্তু যাহার সন্দেহ আছে, সে যদি ভোজন করে, তবে সে দোষী সাব্যস্ত হইল, কারণ তাহার ভোজন বিশ্বাসমূলক নয়; আর যাহা কিছু বিশ্বাসমূলক নয়, তাহাই পাপ।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
আর কেহ যদি আপন প্রতিবাসীর পশু চাহিয়া লয়, ও তাহার মালিক তাহার সহিত না থাকিবার সময়ে সেই পশু ভগ্নাঙ্গ হয় কিম্বা মরিয়া যায়, তবে সে অবশ্য ক্ষতিপূরণ করিবে।যদি তাহার মালিক তাহার কাছে থাকে, তবে সে ক্ষতিপূরণ করিবে না; তাহা যদি ভাড়া করা পশু হয়, তবে তাহার ভাড়াতে শোধ হইল।
কেননা তাঁহার আশীর্বাদের পাত্রেরা দেশের অধিকারী হইবে, কিন্তু তাঁহার শাপের পাত্রেরা উচ্ছিন্ন হইবে।
স্বাধীনতার নিমিত্তই খ্রীষ্ট আমাদিগকে স্বাধীন করিয়াছেন; অতএব তোমরা স্থির থাক, এবং দাসত্ব-জোঁয়ালিতে আর বদ্ধ হইও না।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আমি তোমার কাছে দুই বর ভিক্ষা করিয়াছি, আমার জীবন থাকিতে তাহা অস্বীকার করিও না;অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
ঈশ্বরের নিকটে মানত করিলে তাহা পরিশোধ করিতে বিলম্ব করিও না, কারণ হীনবুদ্ধি লোকদের উপর তাঁহার সন্তোষ নাই; যাহা মানত করিবে, তাহা পরিশোধ করিও।
তোমার অধ্যক্ষগণ বিদ্রোহী এবং চোরদের সখা; তাহাদের প্রত্যেক জন উৎকোচ ভালবাসে ও পারিতোষিকের অনুধাবন করে; তাহারা পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি করে না, এবং বিধবার বিবাদ তাহাদের নিকটে আসিতে পারে না।
আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
যথাকালে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হস্তের সমস্ত কর্মে আশীর্বাদ করিতে সদাপ্রভু আপনার আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলিয়া দিবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না।
মহাসমাজে তোমা হইতে আমার প্রশংসা জন্মে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের সাক্ষাতে আমি আপন মানত সকল পূর্ণ করিব।
পৃথিবীতে এই চারিটি অতি ক্ষুদ্র, তথাপি তাহারা বড় বুদ্ধি ধরে;পিপীলিকা শক্তিমান জাতি নয়, তবু গ্রীষমকালে স্ব স্ব খাদ্যের আয়োজন করে;
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
যাহারা অনিষ্ট কল্পনা করে, তাহারা কি ভ্রান্ত হয় না? কিন্তু যাহারা মঙ্গল কল্পনা করে, তাহারা দয়া ও সত্য পায়।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই,তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে, শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।
আমি অলসের ক্ষেত্রের পার্শ্ব দিয়া গেলাম, হীনবুদ্ধির দ্রাক্ষার উদ্যানের নিকট দিয়া গেলাম;আর দেখ, তৎসমুদয় কাঁটাবন হইয়া উঠিয়াছে, বিছুটি তাহার পৃষ্ঠ আচ্ছন্ন করিয়াছে, তাহার প্রস্তরময় প্রাচীর ভগ্ন হইয়াছে।আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, মনোনিবেশ করিলাম, তাহা দর্শন করিয়া উপদেশ পাইলাম;‘আর একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুইয়া হস্ত জড়সড় করিব;’তাই তোমার দরিদ্রতা দস্যুর ন্যায় আসিবে, তোমার দৈন্যদশা ঢালীর ন্যায় আসিবে।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
কোন ব্যক্তি একা থাকে, তাহার দ্বিতীয় কেহ নাই, পুত্রও নাই, ভ্রাতাও নাই, তথাপি তাহার পরিশ্রমের সীমা নাই, তাহার চক্ষুও ধনে তৃপ্ত হয় না। [সে বলে,] তবে আমি কাহার নিমিত্ত পরিশ্রম করিতেছি, ও আপন প্রাণকে মঙ্গল হইতে বঞ্চিত করিতেছি? ইহাও অসার ও ভারী কষ্টজনক।
হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, শুন, সংসারে যাহারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাহাদিগকে মনোনীত করেন নাই, যেন তাহারা বিশ্বাসে ধনবান হয়, এবং যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে, তাহাদের কাছে অঙ্গীকৃত রাজ্যের অধিকারী হয়?
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;
তাহারা যে সযত্নে তোমাদের অন্বেষণ করিতেছে, তাহা ভাল ভাবে করে না; বরং তাহারা তোমাদিগকে বাহিরে রাখিতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাহাদেরই অন্বেষণ কর।
কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে;
যেমন গ্রীষমকালে তুষার ও শস্যচ্ছেদনকালে বৃষ্টি, তেমনি হীনবুদ্ধির পক্ষে সম্মান অনুপযুক্ত।যেমন ধনুর্ধর সকলকে ক্ষতবিক্ষত করে, তেমনি সেই ব্যক্তি, যে হীনবুদ্ধিকে বেতন দেয়, আর যে পথের লোককে বেতন দেয়।যেমন কুকুর আপন বমির প্রতি ফিরে, তেমনি হীনবুদ্ধি নিজ অজ্ঞানতার প্রতি ফিরে।তুমি কি নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান লোক দেখিতেছ? তাহা অপেক্ষা, বরং হীনবুদ্ধির বিষয়ে অধিক প্রত্যাশা আছে।অলস বলে, পথে সিংহ আছে, চৌরাস্তায় কেশরী থাকে।কব্জাতে যেমন কবাট ঘুরে, তেমনি অলস আপন খাটিয়াতে ঘুরে।অলস থালে হস্ত ডুবায়, পুনর্বার মুখে তুলিতে তাহার ক্লেশ বোধ হয়।সুবিচারসিদ্ধ উত্তরদাতা সাত জন অপেক্ষা অলস নিজের দৃষ্টিতে অধিক জ্ঞানবান।যে জন পথে যাইতে যাইতে আপনার অসমপর্কীয় বিবাদে রুষ্ট হয়, সে কুকুরের কান ধরে।যে পাগল জ্বলন্ত বাণ নিক্ষেপ করে, তীর ও মৃত্যু নিক্ষেপ করে, সে যেমন,তেমনি সেই ব্যক্তি, যে প্রতিবাসীকে প্রতারণা করে, আর বলে, আমি কি খেলা করিতেছি না?যেমন চটক ভ্রমণ করে, তালচোঁচ উড়িতে থাকে, তেমনি অকারণে দত্ত শাপ নিকটে আইসে না।