আপনার কথা ভাবুন, অনেক আগে, পবিত্র স্থানগুলোতে, মন্দিরে, উপাসনালয়ে, এমনকি প্রাচীন গির্জায়ও নাচ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন আমরা ঈশ্বরের প্রশংসায় নাচকে একটা মাধ্যম হিসেবে দেখি। যেটা কথায় প্রকাশ করতে পারি না, সেটা আমাদের শরীর দিয়ে প্রকাশ করি। পরম করুণাময়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর, আমাদের আনন্দ প্রকাশ করার, আর প্রতিদিনের ছোট ছোট জয়গুলো উদযাপন করার একটা উপায় হলো নাচ।
বাইবেলে নাচের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় যখন ইস্রায়েলীয়রা লোহিত সাগর পার হয়। যাত্রাপুস্তক ১৫:২০-২১-এ বলা হয়েছে, হারোণের বোন মরিয়ম কেমভাবে একটা খঞ্জনি হাতে নিয়ে নেতৃত্ব দেন, আর অন্যান্য মহিলারাও খঞ্জনি বাজিয়ে নাচতে নাচতে সমুদ্রে মিশরীয় সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার জন্য এবং তাঁর মহিমার জন্য সৃষ্টিকর্তার স্তুতি করেন। লক্ষ্য করুন, এই উদযাপনটা হয়েছিল খোলা আকাশের নিচে। এটা প্রমাণ করে যে ঈশ্বর চান আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায়, উল্লাস, লাফালাফি আর আনন্দে তাঁর কৃতকর্মের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
আর দায়ূদ সদাপ্রভুর সম্মুখে যথাশক্তি নৃত্য করিলেন; তখন দায়ূদ শুক্ল এফোদ পরিধান করিয়াছিলেন।
তুমি আমার বিলাপ নৃত্যে পরিণত করিয়াছ; তুমি আমার চট খুলিয়া আমাকে আনন্দ পটুকায় বদ্ধকটি করিয়াছ,
আর সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক যখন দায়ূদ-নগরে উপস্থিত হইল, তখন শৌলের কন্যা মীখল বাতায়ন দিয়া দৃষ্টিপাত করিলেন, এবং দায়ূদ রাজাকে নৃত্য ও আনন্দ করিতে দেখিয়া মনে মনে তুচ্ছ করিলেন।
পরে হারোণের ভগিনী মরিয়ম ভাববাদিনী হস্তে মৃদঙ্গ লইলেন, এবং তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অন্য স্ত্রীলোকেরা সকলে মৃদঙ্গ লইয়া নৃত্য করিতে করিতে বাহির হইল।
আর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের সমস্ত কুল সদাপ্রভুর সম্মুখে দেবদারু কাষ্ঠনির্মিত সর্বপ্রকার বাদ্যযন্ত্র এবং বীণা, নেবল, তবল, জয়শৃঙ্গ ও করতাল বাজাইলেন।
পরে লোকেরা ফিরিয়া আসিলে যখন দায়ূদ পলেষ্টীয়দিগকে আঘাত করিয়া ফিরিয়া আসিতেছিলেন, তখন শৌল রাজার সঙ্গে সাক্ষাত করিতে ইস্রায়েলের সমস্ত নগর হইতে স্ত্রীলোকেরা তবলধ্বনি, আমোদ ও ত্রিতন্ত্রীবাদ্য সহকারে গান ও নৃত্য করিতে করিতে বাহির হইয়া আসিল।
তাহারা আর অবসন্ন হইবে না। তখন কন্যারা নাচিয়া আনন্দ করিবে, এবং যুবকগণ ও বৃদ্ধেরা একত্র হইয়া আনন্দ করিবে; কারণ আমি তাহাদের শোক আমোদে পরিণত করিব; তাহাদিগকে সান্ত্বনা করিব, ও দুঃখ ঘুচাইয়া আহ্লাদিত করিব।
পরে যিপ্তহ মিস্পায় আপন বাটীতে আসিলেন, আর দেখ, তাঁহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার জন্য তাঁহার কন্যা তবল হস্তে করিয়া নৃত্য করিতে করিতে বাহিরে আসিতেছিল। সে তাঁহার একমাত্র সন্ততি, সে ছাড়া তাঁহার পুত্র কি কন্যা ছিল না।
হে কুমারি ইস্রায়েল, আমি তোমাকে পুনর্বার গাঁথিয়া তুলিব, তুমি গাঁথা যাইবে, তুমি পুনর্বার আপন তবলে বিভূষিতা হইবে, এবং আনন্দকারীদের শ্রেণীতে নৃত্য করিতে করিতে গমন করিবে।
আর তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, যাও, পুষ্ট দ্রব্য ভোজন কর, মিষ্ট রস পান কর, এবং যাহার জন্য কিছু প্রস্তুত নাই, তাহাকে অংশ পাঠাইয়া দেও; কারণ অদ্যকার দিন আমাদের প্রভুর উদ্দেশে পবিত্র, তোমরা বিষণ্ন হইও না, কেননা সদাপ্রভুতে যে আনন্দ, তাহাই তোমাদের শক্তি।
আর দায়ূদ-নগরে সদাপ্রভুর সিন্দুকের প্রবেশ কালে শৌলের কন্যা মীখল বাতায়ন দিয়া দৃষ্টিপাত করিলেন, এবং সদাপ্রভুর সম্মুখে দায়ূদ রাজাকে লম্ফ দিতে ও নৃত্য করিতে দেখিয়া মনে মনে তুচ্ছ করিলেন।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার সম্মুখে আইস, পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুকে প্রণিপাত কর।
আর দায়ূদ ও সেনাপতিগণ সেবাকর্মের জন্য আসফের, হেমনের ও যিদূথূনের কয়েক জন সন্তানকে পৃথক করিয়া বীণা, নেবল ও করতাল সহযোগে ভাবোক্তি গান করিবার ভার [দিলেন]; তাহাদের সেবাকর্মানুসারে কর্মকারীদের সংখ্যা।
হে পুরদ্বার সকল, মস্তক তোল; হে চিরন্তন কবাট সকল, উত্থিত হও; প্রতাপের রাজা প্রবেশ করিবেন।সেই প্রতাপের রাজা কে? পরাক্রমী ও বীর সদাপ্রভু, যুদ্ধবীর সদাপ্রভু।
হে ঈশ্বর, লোকে তোমার গমন দেখিয়াছে; পবিত্র স্থানে আমার ঈশ্বরের, আমার রাজার, গমন [দেখিয়াছে]।অগ্রে গায়কগণ, পশ্চাতে বাদ্যকরগণ চলিল, বাদ্যবাদিনী কুমারীদের মধ্যস্থানে।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর;সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা কর; আনন্দগানসহ তাঁহার সম্মুখে আইস।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জানাও।তিনি তাহা যাকোবের জন্য বিধি বলিয়া, ইস্রায়েলের জন্য চিরকালীন নিয়ম বলিয়া দাঁড় করাইলেন।তিনি কহিলেন, আমি তোমাকে কনান দেশ দিব, তাহাই তোমাদের নির্ণীত অধিকার।তৎকালে তাহারা সংখ্যাতে অধিক ছিল না, তাহারা অল্পই ছিল, এবং তথায় প্রবাসী ছিল।তাহারা এক জাতি হইতে অন্য জাতির নিকটে, এক রাজ্য হইতে অন্য লোকবৃন্দের নিকটে বেড়াইত।তিনি কোন মনুষ্যকে তাহাদের প্রতি উপদ্রব করিতে দিতেন না, বরং তাহাদের জন্য রাজগণকে অনুযোগ করিতেন;‘আমার অভিষিক্ত ব্যক্তিদিগকে স্পর্শ করিও না, আমার ভাববাদিগণের অপকার করিও না।’আর তিনি দেশে দুর্ভিক্ষ আহ্বান করিলেন, ভক্ষ্যরূপ সমস্ত যষ্টি ভগ্ন করিলেন।তিনি তাহাদের অগ্রে এক পুরুষকে পাঠাইলেন, যোষেফ দাসরূপে বিক্রীত হইলেন।লোকে বেড়ি দ্বারা তাঁহার চরণকে ক্লেশ দিল; তাঁহার প্রাণ লৌহে বদ্ধ হইল।যাবৎ তাঁহার বচন সফল না হইল, তাবৎ সদাপ্রভুর বাক্য তাঁহাকে পরীক্ষা করিল।তাঁহার উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার প্রশংসা গান কর, তাঁহার সকল আশ্চর্য কর্ম ধ্যান কর।
হে ঈশ্বর, আমার চিত্ত সুস্থির; আমি গান করিব, আমার গৌরব সহ স্তব করিব।কে আমাকে ঐ দৃঢ় নগরে লইয়া যাইবে? কে ইদোম পর্যন্ত আমাকে পথ দেখাইয়া দিবে?হে ঈশ্বর, তুমি কি আমাদিগকে ত্যাগ কর নাই? হে ঈশ্বর, তুমি আমাদের বাহিনিগণ সহ গমন কর না।বিপক্ষের প্রতিকূলে আমাদের সাহায্য কর; কেননা মনুষ্যের সাহায্য অলীক।ঈশ্বরের দ্বারা আমরা বীরের কর্ম করিব; তিনিই আমাদের বিপক্ষদিগকে মর্দন করিবেন।জাগ্রত হও, নেবল ও বীণা; আমি ঊষাকে জাগাইব।সদাপ্রভু, আমি জাতিগণের মধ্যে তোমার স্তব করিব, আমি লোকবৃন্দের মধ্যে তোমার প্রশংসা গাহিব।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।ইস্রায়েল আপন নির্মাণকর্তাতে আনন্দ করুক, সিয়োন-সন্তানগণ আপনাদের রাজাতে উল্লসিত হউক।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। ঈশ্বরের পবিত্র স্থানে তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার শক্তির বিতানে তাঁহার প্রশংসা কর।তাঁহার পরাক্রম-কার্য সকলের জন্য তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার মহিমার বাহুল্যানুসারে তাঁহার প্রশংসা কর।তূরীধ্বনি-সহ তাঁহার প্রশংসা কর; নেবল ও বীণাযন্ত্রে তাঁহার প্রশংসা কর।তবল ও নৃত্যযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; তারযুক্ত যন্ত্রে ও বংশীতে তাঁহার প্রশংসা কর;সুশ্রাব্য করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর; উচ্চধ্বনি করতালযোগে তাঁহার প্রশংসা কর।শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আর সেই দিন তোমরা বলিবে, সদাপ্রভুর স্তব কর, তাঁহার নামে ডাক, জাতিগণের মধ্যে তাঁহার ক্রিয়া সকল জ্ঞাত কর, তাঁহার নাম উন্নত, এই বলিয়া কীর্তন কর।সদাপ্রভুর উদ্দেশে সঙ্গীত কর; কেননা তিনি মহিমার কর্ম করিয়াছেন; তাহা সমস্ত পৃথিবীর জ্ঞানগোচর হউক।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
আর প্রতি অমাবস্যায় ও প্রতি বিশ্রামবারে সমস্ত মর্ত্য আমার সম্মুখে প্রণিপাত করিতে আসিবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
‘আমরা তোমাদের নিকটে বাঁশী বাজাইলাম, তোমরা নাচিলে না; আমরা বিলাপ করিলাম, তোমরা বুক চাপড়াইলে না।’
তখন মরিয়ম কহিলেন, আমার প্রাণ প্রভুর মহিমাকীর্তন করিতেছে,আমার আত্মা আমার ত্রাণকর্তা ঈশ্বরে উল্লসিত হইয়াছে।
ধন্য তোমরা, যখন লোকে মনুষ্যপুত্রের নিমিত্ত তোমাদিগকে দ্বেষ করে, আর যখন তোমাদিগকে পৃথক করিয়া দেয়, ও নিন্দা করে, এবং তোমাদের নাম মন্দ বলিয়া দূর করিয়া দেয়।
কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে।
আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল।আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন।
কিন্তু মধ্যরাত্রে পৌল ও সীল প্রার্থনা করিতে করিতে ঈশ্বরের উদ্দেশে স্ত্রোত্রগান করিতেছিলেন, এবং বন্দিগণ তাঁহাদের গান কান পাতিয়া শুনিতেছিল।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তবে দাঁড়াইল কি? আমি আত্মাতে প্রার্থনা করিব, বুদ্ধিতেও প্রার্থনা করিব; আত্মাতে গান করিব, বুদ্ধিতেও গান করিব।
আর ধন্য ঈশ্বর, তিনি সর্বদা আমাদিগকে লইয়া খ্রীষ্টে বিজয়-যাত্রা করেন, এবং তাঁহার সম্বন্ধীয় জ্ঞানের সুগন্ধ আমাদের দ্বারা সর্বস্থানে প্রকাশ করেন;
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।
আমি ইহা স্মরণ করিয়া অন্তরে আপন প্রাণ ঢালি, কেননা আমি লোকারণ্যের সহিত যাত্রা করিতাম, তাহাদিগকে ঈশ্বরের গৃহে লইয়া যাইতাম, আনন্দ ও স্তবগানের ধ্বনির সহিত বহুলোক পর্ব পালন করিত।
তোমার উদ্দেশে সঙ্গীত করিবার সময়ে আমার ওষ্ঠাধর আনন্দগান করিবে, আমার প্রাণও করিবে, যাহা তুমি মুক্ত করিয়াছ।
সদাপ্রভুর স্তব করা, হে পরাৎপর, তোমার নামের উদ্দেশে সঙ্গীত করা উত্তম;কিন্তু তুমি আমার শৃঙ্গ গবয়ের শৃঙ্গবৎ উন্নত করিয়াছ; আমি নব তৈলে অভিষিক্ত হইয়াছি।আর আমার চক্ষু আমার শত্রুদের দশা নিরীক্ষণ করিয়াছে; আমার কর্ণ আমার বিরোধী দুরাচারগণের দশা শুনিতে পাইয়াছে।ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।প্রাতঃকালে তোমার দয়া, ও প্রতিরাত্রে তোমার বিশ্বস্ততা প্রচার করা উত্তম,দশতন্ত্রী ও নেবলযন্ত্র সহকারে, গম্ভীর বীণা-ধ্বনি সহকারে।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।
ধার্মিকগণের তাম্বুতে আনন্দের ও পরিত্রাণের ধ্বনি হইতেছে; সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত বিক্রমসাধক।সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত উন্নত, সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত বিক্রমসাধক।
তাহাদের কন্ঠে ঈশ্বরের উচ্চ প্রশংসা, তাহাদের হস্তে দ্বিধার খড়্গ থাকুক;যেন তাহারা জাতিগণকে প্রতিফল দেয়, লোকবৃন্দকে শাস্তি দেয়;যেন তাহাদের রাজগণকে শৃঙ্খলে, তাহাদের মান্যগণ্য লোকদিগকে লৌহনিগড়ে বদ্ধ করে;যেন তাহাদের বিরুদ্ধে লিখিত বিচার নিষপন্ন করে; ইহাই তাঁহার সমস্ত সাধুর মর্যাদা। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
ভাঙ্গিবার কাল ও গাঁথিবার কাল; রোদন করিবার কাল ও হাস্য করিবার কাল; বিলাপ করিবার কাল ও নৃত্য করিবার কাল;
পবিত্র উৎসব-রাত্রির ন্যায় তোমাদের গীত হইবে, এবং লোকে যেমন সদাপ্রভুর পর্বতে ইস্রায়েলের শৈলের কাছে গমন কালে বাঁশী বাজায়, তদ্রূপ তোমাদের চিত্তের আনন্দ হইবে।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
‘আমি কি লইয়া সদাপ্রভুর সম্মুখে উপস্থিত হইব, ঊর্ধ্বস্থ ঈশ্বরের সম্মুখে প্রণত হইব? আমি কি হোমবলি লইয়া, একবর্ষীয় গোবৎসদিগকে লইয়া, তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইব?সহস্র সহস্র মেষে ও অযুত অযুত তৈলপ্রবাহে কি সদাপ্রভু প্রসন্ন হইবেন? আমি আপন অধর্মের নিমিত্ত কি আপনার প্রথমজাত পুত্রকে দিব? আমার প্রাণের পাপ প্রযুক্ত কি শরীরের ফল দান করিব?’হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, বর সঙ্গে থাকিতে কি বাসর ঘরের লোকে বিলাপ করিতে পারে? কিন্তু এমন সময় আসিবে, যখন তাহাদের নিকট হইতে বর নীত হইবেন; তখন তাহারা উপবাস করিবে।
আর দেখ, যীশু তাহাদের সম্মুখবর্তী হইলেন, কহিলেন, তোমাদের মঙ্গল হউক; তখন তাঁহারা নিকটে আসিয়া তাঁহার চরণ ধরিলেন ও তাঁহাকে প্রণাম করিলেন।
সেই দণ্ডে তিনি পবিত্র আত্মায় উল্লসিত হইলেন ও কহিলেন, হে পিতঃ, স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের হইতে এই সকল বিষয় গুপ্ত রাখিয়া শিশুদের নিকটে এই সকল প্রকাশ করিয়াছ। হাঁ, পিতঃ, কেননা ইহা তোমার দৃষ্টিতে প্রীতিজনক হইল।
এ পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কিছু যাচ্ঞা কর নাই; যাচ্ঞা কর, তাহাতে পাইবে, যেন তোমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
আর সে লম্ফ দিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল, ও হাঁটিয়া বেড়াইতে লাগিল, এবং বেড়াইতে বেড়াইতে, লম্ফ দিতে দিতে, ঈশ্বরের প্রশংসা করিতে করিতে তাঁহাদের সহিত ধর্মধামে প্রবেশ করিল।
কারণ আমি প্রভু হইতে এই শিক্ষা পাইয়াছি এবং তোমাদিগকে সমর্পণও করিয়াছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটি লইলেন,এবং ধন্যবাদপূর্বক ভাঙ্গিলেন, ও কহিলেন, ‘ইহা আমার শরীর, ইহা তোমাদের জন্য; আমার স্মরণার্থে ইহা করিও’।সেই প্রকারে তিনি ভোজনের পর পানপাত্রও লইয়া কহিলেন, ‘এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করিবে, আমার স্মরণার্থে ইহা করিও’।কারণ যত বার তোমরা এই রুটি ভোজন কর, এবং এই পানপাত্রে পান কর, তত বার প্রভুর মৃত্যু প্রচার করিয়া থাক, যে পর্যন্ত তিনি না আইসেন।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।যেহেতু সমস্ত ব্যবস্থা এই একটি বচনে পূর্ণ হইয়াছে, যথা, “তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,
আর তদ্দ্বারা প্রভুর যোগ্যরূপে সর্বতোভাবে প্রীতিজনক আচরণ কর, সমস্ত সৎকর্মে ফলবান ও ঈশ্বরের তত্ত্বজ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও,
আর তোমরা বহু ক্লেশের মধ্যে পবিত্র আত্মার আনন্দে সেই বাক্য গ্রহণ করিয়া আমাদের এবং প্রভুরও অনুকারী হইয়াছ;
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ।
আমরা যাহা দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি, তাহার সংবাদ তোমাদিগকেও দিতেছি, যেন আমাদের সহিত তোমাদেরও সহভাগিতা হয়। আর আমাদের যে সহভাগিতা, তাহা পিতার এবং তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহিত।
আর তাহারা সিংহাসনের সম্মুখে ও সেই চারি প্রাণীর ও প্রাচীনবর্গের সম্মুখে নূতন একটি গীত গান করে; পৃথিবী হইতে ক্রীত সেই এক লক্ষ চুয়াল্লিশ সহস্র লোক ব্যতিরেকে আর কেহ সেই গীত শিখিতে পারিল না।
এই সকলের পরে আমি যেন স্বর্গস্থিত বৃহৎ লোকারণ্যের মহারব শুনিলাম, তাহারা বলিতেছে- হাল্লিলূয়া, পরিত্রাণ ও প্রতাপ ও পরাক্রম আমাদের ঈশ্বরেরই;তখন আমি তাঁহাকে ভজনা করিবার জন্য তাঁহার চরণে পড়িলাম। তাহাতে তিনি আমাকে কহিলেন, দেখিও, এমন কর্ম করিও না; আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার যে ভ্রাতৃগণ যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদেরও সহদাস; ঈশ্বরেরই ভজনা কর; কেননা যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববাণীর আত্মা।পরে আমি দেখিলাম, স্বর্গ খুলিয়া গেল, আর দেখ, শ্বেতবর্ণ একটি অশ্ব; যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন, তিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় নামে আখ্যাত, এবং তিনি ধর্মশীলতায় বিচার ও যুদ্ধ করেন।তাঁহার চক্ষু অগ্নিশিখা, এবং তাঁহার মস্তকে অনেক কিরীট; এবং তাঁহার একটি লিখিত নাম আছে, যাহা তিনি ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং “ঈশ্বরের বাক্য” এই নামে আখ্যাত।আর স্বর্গস্থ সৈন্যগণ তাঁহার অনুগমন করে, তাহারা শুক্লবর্ণ অশ্বে আরোহী, এবং শ্বেত শুচি মসীনা-বস্ত্র পরিহিত।আর তাঁহার মুখ হইতে এক তীক্ষ্ণ তরবারি নির্গত হয়, যেন তদ্দ্বারা তিনি জাতিগণকে আঘাত করেন; আর তিনি লৌহদণ্ড দ্বারা তাহাদিগকে শাসন করিবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধরূপ মদিরাকুণ্ড দলন করেন।আর তাঁহার ও ঊরুদেশে এই নাম লেখা আছে- “রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু।”পরে আমি দেখিলাম, একজন দূত সূর্যের মধ্যে দাঁড়াইয়া আছেন; আর তিনি উচ্চ রবে চিৎকার করিয়া, আকাশের মধ্যপথে যে সকল পক্ষী উড়িয়া যাইতেছে, সেই সকলকে কহিলেন, আইস, ঈশ্বরের মহাভোজে একত্র হও,যেন রাজগণের মাংস, সহস্রপতিবর্গের মাংস, শক্তিমান লোকদের মাংস, অশ্বগণের ও তদারোহীদের মাংস, এবং স্বাধীন ও দাস, ক্ষুদ্র ও মহান সকল মনুষ্যের মাংস ভক্ষণ কর।পরে আমি দেখিলাম, ঐ অশ্বারোহী ব্যক্তির ও তাঁহার সৈন্যের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য সেই পশু ও পৃথিবীর রাজগণ ও তাহাদের সৈন্যগণ একত্র হইল।কেননা তাঁহার বিচারাজ্ঞা সকল সত্য ও ন্যায্য; কারণ যে মহাবেশ্যা আপন বেশ্যাক্রিয়া দ্বারা পৃথিবীকে ভ্রষ্ট করিত, তিনি তাহার বিচার করিয়াছেন, তাহার হস্ত হইতে আপন দাসগণের রক্তপাতের পরিশোধ লইয়াছেন।তাহাতে সেই পশু ধরা পড়িল, এবং যে ভাক্ত ভাববাদী তাহার সাক্ষাতে চিহ্ন-কার্য করিয়া পশুর ছাপধারী ও তাহার প্রতিমার ভজনাকারীদের ভ্রান্তি জন্মাইত, সেও তাহার সংগে ধরা পড়িল; তাহারা উভয়ে জীবন্তই প্রজ্বলিত গন্ধকময় অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।আর অবশিষ্ট সকলে সেই অশ্বারোহী ব্যক্তির মুখ হইতে নির্গত তরবারি দ্বারা হত হইল; এবং সমস্ত পক্ষী তাহাদের মাংসে তৃপ্ত হইল।পরে তাহারা দ্বিতীয় বার কহিল, হাল্লিলূয়া; আর যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সেই বেশ্যার ধূম উঠিতেছে।
আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম জ্ঞাপন করে।তাহা স্বর্ণ ও প্রচুর কাঞ্চন অপেক্ষা বাঞ্ছনীয়, মধু ও মৌচাকের রস হইতেও সুস্বাদু।তোমার দাসও তদ্দ্বারা সুশিক্ষা পায়; তাহা পালন করিলে মহা ফল হয়।ভ্রান্তির কার্য সকল কে বুঝিতে পারে? তুমি গুপ্ত দোষ হইতে আমাকে পরিষ্কার কর।দুঃসাহসজনিত [পাপ] হইতেও নিজ দাসকে পৃথক রাখ, সেই সকল আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক; তখন আমি সিদ্ধ এবং মহাপাতক হইতে শুচি হইব।আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।দিবস দিবসের কাছে বাক্য উচ্চারণ করে, রাত্রি রাত্রির কাছে জ্ঞান প্রচার করে।
আমার প্রাণ তৃপ্ত হইবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দপূর্ণ ওষ্ঠাধরে তোমার প্রশংসা করিবে।
ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।
আর সদাপ্রভুর নিস্তারিত লোকেরা ফিরিয়া আসিবে, আনন্দগান পূর্বক সিয়োনে আসিবে, এবং তাহাদের মস্তকে নিত্যস্থায়ী হর্ষমুকুট থাকিবে; তাহারা আমোদ ও আনন্দ প্রাপ্ত হইবে, এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পলায়ন করিবে।