যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।
পরামর্শ শুন, শাসন গ্রহণ কর, যেন তুমি শেষকালে জ্ঞানবান হও।মানুষের মনে অনেক সঙ্কল্প হয়, কিন্তু সদাপ্রভুরই মন্ত্রণা স্থির থাকিবে।
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
কেননা, সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের পক্ষে যে সকল সঙ্কল্প করিতেছি, তাহা আমিই জানি; সেই সকল মঙ্গলের সঙ্কল্প, অমঙ্গলের নয়, তোমাদিগকে শেষ ফল ও আশাসিদ্ধি দিবার সঙ্কল্প!
অতএব তোমরা ভাল করিয়া দেখ, কিরূপে চলিতেছ; অজ্ঞানের ন্যায় না চলিয়া জ্ঞানবানের ন্যায় চল।সুযোগ কিনিয়া লও, কেননা এই কাল মন্দ।এই কারণ নির্বোধ হইও না, কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা কি, তাহা বুঝ।
তথাপি আমরা সিদ্ধদের মধ্যে জ্ঞানের কথা কহিতেছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয়, এবং এই যুগের শাসনকর্তাদেরও নয়, ইহারা ত অকিঞ্চন হইয়া পড়িতেছেন।কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা কহিতেছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যাহা ঈশ্বর আমাদের প্রতাপের জন্য যুগপর্যায়ের পূর্বে নিরূপণ করিয়াছিলেন।
সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
অতএব তোমার প্রজাদের বিচার করিতে ও ভাল মন্দের বিশেষ জানিতে তোমার এই দাসকে বুঝিবার চিত্ত প্রদান কর; কারণ তোমার এমন বৃহৎ প্রজাবৃন্দের বিচার করা কাহার সাধ্য?
দানিয়েল কহিলেন, ঈশ্বরের নাম যুগে যুগে চিরকাল ধন্য হউক, কেননা জ্ঞান ও পরাক্রম তাঁহারই।তিনিই কাল ও ঋতু পরিবর্তন করেন; রাজাদিগকে পদভ্রষ্ট করেন, ও রাজাদিগকে পদস্থ করেন; তিনি জ্ঞানীদিগকে জ্ঞান দেন, বিবেচকদিগকে বিবেচনা দেন।
কে সদাপ্রভুর আত্মার পরিমাণ করিয়াছে? কিম্বা তাঁহার মন্ত্রী হইয়া তাঁহাকে শিক্ষা দিয়াছে?তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
প্রজ্ঞা উপার্জন কর, সুবিবেচনা উপার্জন কর, ভুলিও না; আমার মুখের কথা হইতে বিমুখ হইও না।প্রজ্ঞাকে ছাড়িও না, সে তোমাকে রক্ষা করিবে; তাহাকে প্রেম কর, সে তোমাকে সংরক্ষণ করিবে।
কেননা ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞানযুক্ত, এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক সবল।
কেননা প্রজ্ঞা তোমার হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, জ্ঞান তোমার প্রাণের তুষ্টি জন্মাইবে,পরিণামদর্শিতা তোমার প্রহরী হইবে, বুদ্ধি তোমাকে রক্ষা করিবে;
প্রজ্ঞা দ্বারা গৃহ নির্মিত হয়, আর বুদ্ধি দ্বারা তাহা স্থিরীকৃত হয়;আমি অলসের ক্ষেত্রের পার্শ্ব দিয়া গেলাম, হীনবুদ্ধির দ্রাক্ষার উদ্যানের নিকট দিয়া গেলাম;আর দেখ, তৎসমুদয় কাঁটাবন হইয়া উঠিয়াছে, বিছুটি তাহার পৃষ্ঠ আচ্ছন্ন করিয়াছে, তাহার প্রস্তরময় প্রাচীর ভগ্ন হইয়াছে।আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, মনোনিবেশ করিলাম, তাহা দর্শন করিয়া উপদেশ পাইলাম;‘আর একটু নিদ্রা, আর একটু তন্দ্রা, আর একটু শুইয়া হস্ত জড়সড় করিব;’তাই তোমার দরিদ্রতা দস্যুর ন্যায় আসিবে, তোমার দৈন্যদশা ঢালীর ন্যায় আসিবে।জ্ঞান দ্বারা কুঠরি সকল পরিপূর্ণ হয়, বহুমূল্য ও মনোরম্য সমস্ত দ্রব্যে।
কেননা আমি তোমাদিগকে এমন মুখ ও বিজ্ঞতা দিব যে, তোমাদের বিপক্ষেরা কেহ প্রতিরোধ করিতে কি উত্তর দিতে পারিবে না।
আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!
কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
কেননা যে আমাকে পায়, সে জীবন পায়, এবং সদাপ্রভুর অনুগ্রহ ভোগ করে।কিন্তু যে আমার বিরুদ্ধে পাপ করে, সে তাহার প্রাণের অনিষ্ট করে; যে সকল লোক আমাকে ঘৃণা করে, তাহারা মৃত্যুকে ভালবাসে।
আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি! তাহা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।তোমার আজ্ঞা সকল আমাকে শত্রুগণ অপেক্ষা জ্ঞানবান করে; কারণ সেই সকল চিরকাল আমার।
তিনি ধূর্তদের কল্পনা ব্যর্থ করেন, তাহাদের হস্ত সঙ্কল্প সাধন করিতে পারে না।তিনি জ্ঞানীদিগকে তাহাদের ধূর্ততায় ধরেন, কুটিলমনাদের মন্ত্রণা আশু বিফল হইয়া পড়ে।
যেন আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর, প্রতাপের পিতা, আপনার তত্ত্বজ্ঞানে জ্ঞানের ও প্রত্যাদেশের আত্মা তোমাদিগকে দেন;যাহাতে তোমাদের হৃদয়ের চক্ষু আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানিতে পাও, তাঁহার আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্রগণের মধ্যে তাঁহার দায়াধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যায়? সুবিবেচনার স্থানই বা কোথায়?মনুষ্য তাহার মূল্য জানে না, জীবিতদের দেশে তাহা পাওয়া যায় না।
সেই ব্যক্তি কে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে? তিনি তাহাকে ইষ্ট পথ দেখাইয়া দিবেন।তাহার প্রাণ কুশলে বাস করিবে, তাহার বংশ দেশের অধিকারী হইবে।
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে দুষ্টদের মন্ত্রণায় চলে না, পাপীদের পথে দাঁড়ায় না, নিন্দুকদের সভায় বসে না।কিন্তু সদাপ্রভুর ব্যবস্থায় আমোদ করে, তাঁহার ব্যবস্থা দিবারাত্র ধ্যান করে।
উদ্দেশ্য এই, যেন এখন মণ্ডলী দ্বারা স্বর্গীয় স্থানস্থ আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকলকে ঈশ্বরের বহুবিধ প্রজ্ঞা জ্ঞাত করা যায়,
আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।
তোমার আজ্ঞা সকল আমাকে শত্রুগণ অপেক্ষা জ্ঞানবান করে; কারণ সেই সকল চিরকাল আমার।আমার সমস্ত গুরু অপেক্ষা আমি জ্ঞানবান, কেননা আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ ধ্যান করি।
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;
কিন্তু যে জ্ঞান উপর হইতে আইসে, তাহা প্রথমে শুচি, পরে শান্তিপ্রিয়, ক্ষান্ত, সহজে অনুনীত, দয়া ও উত্তম উত্তম ফলে পরিপূর্ণ, ভেদাভেদবিহীন ও নিষ্কপট।
কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁহার আত্মা দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান করেন, ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন।
আর ঈশ্বর শলোমনকে বিপুল জ্ঞান ও সূক্ষ্মবুদ্ধি, এবং সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় চিত্তের বিস্তীর্ণতা দিলেন।
প্রজ্ঞা কি ডাকে না? বুদ্ধি কি উচ্চৈঃস্বর করে না?আমার শাসনই গ্রহণ কর, রৌপ্য নয়, উৎকৃষ্ট সুবর্ণ অপেক্ষা জ্ঞান লও।কেননা প্রজ্ঞা মুক্তা হইতেও উত্তম, কোন অভীষ্ট বস্তু তাহার সমান নয়।আমি প্রজ্ঞা, চতুরতার সহিত বাস করি, পরিণামদর্শিতার তত্ত্ব জানি।সদাপ্রভুর ভয় দুষ্টতার প্রতি ঘৃণা; অহঙ্কার, দাম্ভিকতা ও কুপথ, এবং কুটিল মুখও আমি ঘৃণা করি।পরামর্শ ও বুদ্ধিকৌশল আমার, আমিই সুবিবেচনা, পরাক্রম আমার।আমা দ্বারা রাজগণ রাজত্ব করেন, মন্ত্রিগণ ধর্মব্যবস্থা স্থাপন করেন।আমা দ্বারা শাসনকর্তারা শাসন করেন, অধিপতিরা, পৃথিবীর সমস্ত বিচারকর্তারা, শাসন করেন।যাহারা আমাকে প্রেম করে, আমিও তাহাদিগকে প্রেম করি, যাহারা সযত্নে আমার অন্বেষণ করে, তাহারা আমাকে পায়।আমার কাছে রহিয়াছে ঐশ্বর্য ও সম্মান, অক্ষয় সম্পত্তি ও ধার্মিকতা।কাঞ্চন ও নির্মল সুবর্ণ অপেক্ষাও আমার ফল উত্তম, উৎকৃষ্ট রৌপ্য হইতেও আমার উপস্বত্ব উত্তম।সে পথের পার্শ্বস্থ উচ্চস্থানের চূড়ায়, মার্গ সকলের সংযোগস্থানে দাঁড়ায়;
যেহেতু এই জগতের যে জ্ঞান, তাহা ঈশ্বরের নিকটে মূর্খতা। কারণ লেখা আছে, “তিনি জ্ঞানবানদিগকে তাহাদের ধূর্ততায় ধরেন।”
আর সদাপ্রভুর আত্মা প্রজ্ঞার ও বিবেচনার আত্মা, মন্ত্রণার ও পরাক্রমের আত্মা, জ্ঞানের ও সদাপ্রভু-ভয়ের আত্মা তাঁহাতে অধিষ্ঠান করিবেন; আর তিনি সদাপ্রভু-ভয়ে আমোদিত হইবেন।
আমি যেন এই লোকদের সাক্ষাতে বাহিরে যাইতে ও ভিতরে আসিতে পারি, সেই জন্য এখন আমাকে বুদ্ধি ও জ্ঞান দেও; কারণ তোমার এমন বৃহৎ প্রজাবৃন্দের বিচার করা কাহার সাধ্য?
ইহা দ্বারা প্রজ্ঞা ও উপদেশ পাওয়া যায়, বুদ্ধির কথা বুঝা যায়;প্রজ্ঞা পথে পথে উচ্চৈঃস্বরে ডাকে, হাটে-বাজারে নিজ রব ছাড়ে;সে জনাকীর্ণ পথের চত্বরে আহ্বান করে, নগর-দ্বার সকলের প্রবেশ-স্থানে, নগরে, সে এই কথা বলে;‘অবোধেরা, কত দিন নির্বুদ্ধিতা ভালবাসিবে? নিন্দুকেরা কত দিন নিন্দায় রত থাকিবে? হীনবুদ্ধিরা, কত দিন জ্ঞানকে ঘৃণা করিবে?তোমরা আমার অনুযোগে ফির; দেখ, আমি তোমাদের উপরে আমার আত্মা সেচন করিব, আমার কথা তোমাদিগকে জ্ঞাত করিব।’আমি ডাকিলে তোমরা অসম্মত হইলে, আমি হস্ত বিস্তার করিলে কেহ মনোযোগ করিলে না;তোমরা আমার সমস্ত পরামর্শ অগ্রাহ্য করিলে, আমার অনুযোগ শুনিতে চাহিলে না।এই জন্য তোমাদের বিপদে আমিও হাসিব, তোমাদের ভয় উপস্থিত হইলে পরিহাস করিব;যখন ঝটিকার ন্যায় তোমাদের ভয় উপস্থিত হইবে, ঘূর্ণবায়ুর ন্যায় তোমাদের বিপদ আসিবে, যখন সঙ্কট ও সঙ্কোচ তোমাদের কাছে আসিবে।তখন সকলে আমাকে ডাকিবে, কিন্তু আমি উত্তর দিব না, তাহারা সযত্নে আমার অন্বেষণ করিবে, কিন্তু আমাকে পাইবে না;কারণ তাহারা জ্ঞানকে ঘৃণা করিত, সদাপ্রভুর ভয় মনোনীত করিত না;উপদেশ পাওয়া যায় বিজ্ঞতার আচরণ সম্বন্ধে, ধার্মিকতা, বিচার ও ন্যায় সম্বন্ধে;আমার পরামর্শে সম্মত হইত না, আমার সমস্ত অনুযোগ তুচ্ছ করিত;তাই তাহারা স্ব স্ব আচরণের ফল ভোগ করিবে, স্ব স্ব কুপরামর্শের ফল দিয়া উদর পূর্ণ করিবে।ফলে, অবোধদের বিপথগমন তাহাদিগকে বধ করিবে, হীনবুদ্ধিদের নিশ্চিন্ততা তাহাদিগকে বিনষ্ট করিবে;কিন্তু যে জন আমার কথা শুনে, সে নির্ভয়ে বাস করিবে, শান্ত থাকিবে, অমঙ্গলের আশঙ্কা করিবে না।অবোধদিগকে চতুরতা প্রদান করা যায়, যুবক জ্ঞান ও পরিণামদর্শিতা প্রাপ্ত হয়।
সদাপ্রভুর ভয় জীবনে লইয়া যায়, যাহার তাহা আছে, সে তৃপ্ত হইয়া বসতি করে, অমঙ্গল তাহার নিকটে যায় না।
জানিও, তোমার প্রাণের পক্ষে প্রজ্ঞা তদ্রূপ; তাহা পাইলে শেষ ফল হইবে, তোমার আশা ছিন্ন হইবে না।
কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।
আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।আমি সতত তোমার ব্যবস্থা পালন করিব, যুগে যুগে চিরকাল করিব।
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
আর তোমার সময়ে সুস্থিরতা হইবে, ত্রাণের, প্রজ্ঞার ও জ্ঞানের বাহুল্য হইবে; সদাপ্রভুর ভয় তাহার ধনকোষ।
হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই,তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে, শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।
বৎস, আমার বাক্যে অবধান কর, আমার কথায় কর্ণপাত কর।তাহা তোমার দৃষ্টির বহির্ভূত না হউক, তোমার হৃদয়মধ্যে তাহা রাখ।
বৎস, তুমি আপন পিতার আজ্ঞা পালন কর, তোমার মাতার শিক্ষা ত্যাগ করিও না।উহা সর্বদা তোমার হৃদয়ে গাঁথিয়া রাখ, তোমার কন্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ।গমনকালে সে তোমাকে পথ দেখাইবে, শয়নকালে তোমার প্রহরী হইবে, জাগরণকালে তোমার সহিত আলাপ করিবে।
আমি যে দুঃখার্ত হইয়াছি, এ আমার পক্ষে উত্তম, যেন আমি তোমার বিধি শিখিতে পাই।তোমার মুখের ব্যবস্থা আমার পক্ষে উত্তম, সহস্র্র্র সহস্র স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা অপেক্ষা উত্তম।
বৎস, তোমার চিত্ত যদি জ্ঞানশালী হয়, তবে আমারও চিত্ত আনন্দিত হইবে;বাস্তবিক আমার চিত্ত উল্লসিত হইবে। যখন তোমার ওষ্ঠ ন্যায়বাদী হয়,
আর আমি তোমাকে অন্ধকারাবৃত ধনকোষ ও গুপ্ত স্থানে সঞ্চিত নিধি দিব; যেন তুমি জানিতে পার, আমি সদাপ্রভুই তোমার নাম ধরিয়া ডাকি, আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর।
বস্তুতঃ যে ব্যক্তি [ঈশ্বরের] প্রীতিজনক, তাহাকে তিনি প্রজ্ঞা, বিদ্যা ও আনন্দ দেন; কিন্তু পাপীকে কষ্ট দেন, যেন সে ঈশ্বরের প্রীতিজনক ব্যক্তিকে দিবার জন্য ধন সংগ্রহ ও সঞ্চয় করে। ইহাও অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র।
তোমার চক্ষু সরল দৃষ্টি করুক, তোমার চক্ষুর পাতা সোজাভাবে সম্মুখে দেখুক।তোমার চরণের পথ সমান কর, তোমার গতি ব্যবস্থিত হউক।দক্ষিণে কি বামে ফিরিও না, মন্দ হইতে চরণ নিবৃত্ত কর।
আমি সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করিব, তিনিই আমাকে মন্ত্রণা দিয়াছেন, রাত্রিতেও আমার চিত্ত আমাকে প্রবোধ দেয়।
বৎস, আমার প্রজ্ঞায় অবধান কর, আমার বুদ্ধির প্রতি কর্ণপাত কর;পাছে অপর লোকে তোমার ধনে তৃপ্ত হয়, আর তোমার পরিশ্রমের ফল বিজাতীয়ের গৃহে থাকে;পাছে শেষকালে তুমি অনুশোচনা কর, যখন তোমার মাংস ও শরীর ক্ষয় পায়;পাছে বল, ‘হায়, আমি উপদেশ ঘৃণা করিয়াছি, আমার চিত্ত অনুযোগ তুচ্ছ করিয়াছে;আমি নিজ গুরুদের কথা শুনি নাই, নিজ শিক্ষকদের বাক্যে কর্ণপাত করি নাই;আমি প্রায় সর্বপ্রকার মন্দে পড়িয়াছিলাম সমাজের ও মণ্ডলীর মধ্যে।’তুমি নিজ জলাশয়ের জল পান কর, নিজ কূপের স্রোতের জল পান কর।তোমার উনুই কি বাহিরে বিস্তারিত হইবে? চকে কি জলস্রোত বহিয়া যাইবে?উহা কেবল তোমারই হইক, তোমার সহিত অপর লোকের না হউক।তোমার উনুই ধন্য হউক, তুমি তোমার যৌবনের ভার্যায় আমোদ কর।সে প্রেমিকা হরিণী ও কমনীয়া বাতপ্রমীবৎ; তাহারই কুচযুগ দ্বারা তুমি সর্বদা আপ্যায়িত হও, তাহার প্রেমে তুমি সতত মোহিত থাক।যেন তুমি পরিণামদর্শিতা রক্ষা কর, যেন তোমার ওষ্ঠাধর জ্ঞানের কথা পালন করে।
আর আমরা জানি যে, ঈশ্বরের পুত্র আসিয়াছেন, এবং আমাদিগকে এমন বুদ্ধি দিয়াছেন, যাহাতে আমরা সেই সত্যময়কে জানি; এবং আমরা সেই সত্যময়ে, তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টে আছি; তিনিই সত্যময় ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন।
কুটিল ব্যক্তির পথে কণ্টক ও ফাঁদ থাকে; যে আপন প্রাণ রক্ষা করে, সে তাহাদের হইতে দূরে থাকিবে।
পৈতৃক ধনের ন্যায় প্রজ্ঞা ভাল; তাহা সূর্যদর্শী লোকদের পক্ষে আরও উৎকৃষ্ট।কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
কারণ তোমরা এক সময়ে অন্ধকার ছিলে, কিন্তু এখন প্রভুতে দীপ্তি হইয়াছ;দীপ্তির সন্তানদের ন্যায় চল- কেননা সর্বপ্রকার মঙ্গলভাবে, ধার্মিকতায় ও সত্যে দীপ্তির ফল হয়-