তোমার জীবনের এই বয়সটা অনেক মূল্যবান, জানো? ঈশ্বর প্রত্যেকটা বয়সকেই অনেক গুরুত্ব দেন। ছোটবেলায় যোশিয়ার মত যুবকদের কাছে তিনি কাজ করেছেন, আবার অনেক বয়সে অব্রাহামের মতো বৃদ্ধদের কাছেও কাজ করেছেন, যিনি সন্তান লাভের আশা ছাড়েননি। প্রতিটা বয়সেই ঈশ্বরের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা আছে।
১ যোহন ২:১৪ পদে দেখো, তরুণদের শক্তি ও বয়স্কদের ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। লেবীয় পুস্তক ১৯:৩২ পদে বলা হয়েছে, বয়স্কদের সম্মান করতে হবে। তোমার জীবনের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ঈশ্বরের কাছে অনেক মূল্যবান। ইয়োব ১২:১২ পদেও এই কথা বলা হয়েছে।
ঈশ্বর তাদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যারা তার সান্নিধ্যে থাকে। গীতসংহিতা ৯২:১৩-১৪ পদে বলা হয়েছে, বৃদ্ধ বয়সেও তারা সতেজ থাকবে। ঈশ্বর তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। যিশাইয় ৪৬ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বৃদ্ধ বয়সেও তিনি আমাদের সাথে থাকবেন। দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীতে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বর বয়স্কদের ভালোবাসেন এবং তাদের সাথে তিনি নিজেকে যোগ করেন। তুমি একলা নও, ঈশ্বর তোমার সাথে আছেন।
হে ঈশ্বর, বৃদ্ধ বয়স ও পক্বকেশের কাল পর্যন্তও আমাকে পরিত্যাগ করিও না, যাবৎ আমি এই বর্তমান লোকদিগকে তোমার বাহুবল, ভাবী লোক সকলকে তোমার পরাক্রম, জ্ঞাত না করি।
আর তোমাদের বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আমি যে সেই থাকিব, পক্বকেশ হওয়া পর্যন্ত আমিই তুলিয়া বহন করিব; আমিই নির্মাণ করিয়াছি, আমিই বহন করিব; হাঁ, আমিই তুলিয়া বহন করিব, রক্ষা করিব।
মরণকালে মোশির বয়স একশত বিংশতি বৎসর হইয়াছিল। তাঁহার চক্ষু ক্ষীণ হয় নাই, ও তাঁহার তেজও হ্রাস হয় নাই।
তুমি পক্বকেশ প্রাচীনের সম্মুখে উঠিয়া দাঁড়াইবে, বৃদ্ধ লোককে সমাদর করিবে, ও আপন ঈশ্বরের প্রতি ভয় রাখিবে; আমি সদাপ্রভু।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।
সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি সুরার দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন;
পরে অব্রাহাম বৃদ্ধ ও পূর্ণায়ূ হইয়া শুভ বৃদ্ধাবস্থায় প্রাণত্যাগ করিয়া আপন লোকদের নিকটে সংগৃহীত হইলেন।
পর্বতগণের জন্ম হইবার পূর্বে, তুমি পৃথিবী ও জগৎকে জন্ম দিবার পূর্বে, এমন কি, অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
আমি যুবক ছিলাম, এখন বৃদ্ধ হইয়াছি, কিন্তু ধার্মিককে পরিত্যক্ত দেখি নাই, তাহার বংশকে খাদ্য ভিক্ষা করিতে দেখি নাই।
আর তুমি যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ কর, যেহেতু দুঃসময় আসিতেছে, এবং সেই বৎসর সকল সন্নিকট হইতেছে, যখন তুমি বলিবে, ইহাতে আমার প্রীতি নাই।
বৎস, তুমি তোমার পিতার উপদেশ শুন, তোমার মাতার ব্যবস্থা ছাড়িও না।কারণ তাহারা উভয় তোমার মস্তকের সৌন্দর্যস্বরূপ, ও তোমার কন্ঠদেশের হারস্বরূপ হইবে।
মর্ত্য, তাহার আয়ু তৃণ সদৃশ; যেমন মাঠের পুষ্প, তেমনি সে প্রফুল্ল হয়।তাহার উপর দিয়া বায়ু বহিলেই সে আর নাই, তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।
তুমি বলিও না, বর্তমান কাল অপেক্ষা পূর্বকাল কেন ভাল ছিল? কেননা এই বিষয়ে তোমার জিজ্ঞাসা করা প্রজ্ঞা হইতে উৎপন্ন হয় না।
তুমি কোন প্রাচীনকে তিরস্কার করিও না, কিন্তু তাঁহাকে পিতার ন্যায়, যুবকদিগকে ভ্রাতার ন্যায়,এবং যাহার পক্ষে নানা সৎকর্মের প্রমাণ পাওয়া যায়; অর্থাৎ যদি সে সন্তানদের লালন পালন করিয়া থাকে, যদি অতিথিসেবা করিয়া থাকে, যদি পবিত্রদের পা ধুইয়া থাকে, যদি ক্লিষ্টদের উপকার করিয়া থাকে, যদি সমস্ত সৎকর্মের অনুসরণ করিয়া থাকে।কিন্তু যুবতী বিধবাদিগকে অস্বীকার কর, কেননা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে বিলাসিনী হইলে তাহারা বিবাহ করিতে চায়;তাহারা প্রথম বিশ্বাস অগ্রাহ্য করাতে দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত হয়।ইহা ছাড়া তাহারা বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া বেড়াইয়া অলস হইতে শিখে; কেবল অলসও নয়, বরং বাচাল ও অনধিকার-চর্চাকারিণী হইতে ও অনুচিত কথা কহিতে শিখে।অতএব আমার বাসনা এই, যুবতী [বিধবারা] বিবাহ করুক, সন্তান প্রসব করুক, গৃহে কর্তৃত্ব করুক, বিপক্ষকে নিন্দা করিবার কোন সূত্র না দিউক।কেননা ইতিপূর্বেও কেহ কেহ শয়তানের পশ্চাৎ বিপথগামিনী হইয়াছে।যদি কোন বিশ্বাসিনী মহিলার ঘরে বিধবাগণ থাকে, তিনি তাহাদের উপকার করুন; মণ্ডলী ভারগ্রস্ত না হউক, যেন প্রকৃত বিধবাগণের উপকার করিতে পারে।যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন।কারণ শাস্ত্রে বলে, “শস্যমর্দনকারী বলদের মুখে জাল্তি বাঁধিও না;” আর, “কার্যকারী আপন বেতনের যোগ্য।”দুই তিন জন সাক্ষী ব্যতিরেকে কোন প্রাচীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রাহ্য করিও না।প্রাচীনাদিগকে মাতার ন্যায়, যুবতীদিগকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ভাবে ভগিনীর ন্যায় জানিয়া অনুনয় কর।
তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের কীর্তন কর; যিনি মরুভূমি দিয়া বাহনে আসিতেছেন, তাঁহার জন্য রাজপথ বাঁধ; তাঁহার নাম ‘যাঃ’, তাঁহার সাক্ষাতে উল্লাস কর।
বিশ্বাসে যাকোব মৃত্যুকালে যোষেফের উভয় পুত্রকে আশীর্বাদ করিলেন, এবং আপন যষ্টির অগ্রভাগে নির্ভর করিয়া ভজনা করিলেন।
পুরাকালের দিন সকল স্মরণ কর, বহুপুরুষের বৎসর সকল আলোচনা কর; তোমার পিতাকে জিজ্ঞাসা কর, সে জানাইবে; তোমার প্রাচীনদিগকে জিজ্ঞাসা কর, তাহারা বলিবে।
কারণ ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহারা তাঁহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাঁহার গৌরব করে নাই; ধন্যবাদও করে নাই; কিন্তু আপনাদের তর্কবিতর্কে অসার হইয়া পড়িয়াছে, এবং তাহাদের অবোধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে।
আবার লোকে উচ্চস্থান হইতে ভীত হইবে, ও পথে ত্রাস হইবে, কদম্ব পুষিপত হইবে, ফড়িঙ্গ অতি কষ্টে চলিবে; ও কামনা নিস্তেজ হইবে; কেননা মানুষ আপন নিত্যস্থায়ী নিবাসে চলিয়া যাইবে ও বিলাপকারীরা পথে পথে বেড়াইবে।
আমরা সেই সকল তাঁহাদের সন্তানগণের কাছে গুপ্ত রাখিব না, উত্তরকালীন বংশের কাছে সদাপ্রভুর প্রশংসা বর্ণনা করিব, তাঁহার পরাক্রম ও তাঁহার কৃত আশ্চর্য ক্রিয়া সকল বর্ণনা করিব।
সদাপ্রভু, তোমার করুণা ও দয়া স্মরণ কর, কেননা উভয়ই অনাদি।আমার যৌবনের পাপ ও আমার অধর্ম সকল স্মরণ করিও না, সদাপ্রভু, তোমার মঙ্গলভাবের অনুরোধে, তোমার দয়ানুসারে আমাকে স্মরণ কর।
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
যে স্ত্রী প্রকৃত বিধবা ও অনাথা, সে ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখিয়া রাত দিন বিনতি ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকে।কিন্তু যে বিলাসিনী, সে জীবদ্দশায় মৃতা।
দেখ, তুমি আমার আয়ু কতিপয় মুষ্টি পরিমিত করিয়াছ, আমার জীবনকাল তোমার দৃষ্টিতে অবস্তুবৎ; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য স্থিরীকৃত হইলেও নিতান্ত অসার। [সেলা]
তুমি নিজ মুখ আচ্ছাদন করিলে তাহারা বিহ্বল হয়; তুমি তাহাদের নিশ্বাস হরণ করিলে তাহারা মরিয়া যায়, তাহাদের ধূলিতে প্রতিগমন করে।তিনি জলে আপন উপরিস্থ কক্ষের কড়িকাষ্ঠ স্থাপন করিয়াছেন, তিনি মেঘকে আপনার রথ করিয়া থাকেন, বায়ুপক্ষের উপরে গমনাগমন করেন।তুমি নিজ আত্মা পাঠাইলে তাহাদের সৃষ্টি হয়, আর তুমি ভূমিতল নবীন করিয়া থাক।
আমার প্রাণ তৃপ্ত হইবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দপূর্ণ ওষ্ঠাধরে তোমার প্রশংসা করিবে।
কারণ দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারাই দেশের অধিকারী হইবে।
সকল বিষয়েরই সময় আছে, ও আকাশের নিচে সমস্ত ব্যাপারের কাল আছে। জন্মের কাল ও মরণের কাল;ঈশ্বর মনুষ্য-সন্তানদিগকে কষ্টযুক্ত করণার্থে যে কষ্ট দেন, তাহা আমি দেখিয়াছি।তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্যন্ত যে সকল কার্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।আমি জানি, যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না।আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।আমি জানি, ঈশ্বর যাহা কিছু করেন, তাহা চিরস্থায়ী; তাহা বাড়াইতেও পারা যায় না, কমাইতেও পারা যায় না; আর ঈশ্বর তাহা করিয়াছেন, যেন তাঁহার সম্মুখে মনুষ্যগণ ভীত হয়।যাহা আছে, তাহাই ছিল এবং যাহা হইবে, তাহাই ছিল; এবং যাহা চলিয়া গিয়াছে, ঈশ্বর তাহার অনুসন্ধান করেন।আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে।আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।আমি মনে মনে কহিলাম, ইহা মনুষ্য-সন্তানদের নিমিত্ত হইতেছে, যেন ঈশ্বর তাহাদের পরীক্ষা করেন, আর যেন তাহারা দেখিতে পায় যে, তাহারা নিজেই পশুবৎ।কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; এবং তাহাদের সকলেরই নিশ্বাস এক; পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার।রোপণের কাল ও রোপিত বীজ উৎপাটনের কাল;
যেন তোমরা শিথিল না হও, কিন্তু যাহারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতা দ্বারা প্রতিজ্ঞা সমূহের দায়াধিকারী, তাহাদের অনুকারী হও।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
কারণ ঈশ্বর বলিয়াছেন, “তুমি আপন পিতাকে ও আপন মাতাকে সমাদর করিও;” আর “যে কেহ পিতার কি মাতার নিন্দা করে, তাহার প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে।”
কারণ পূর্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সেই সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।
ভাঙ্গিবার কাল ও গাঁথিবার কাল; রোদন করিবার কাল ও হাস্য করিবার কাল; বিলাপ করিবার কাল ও নৃত্য করিবার কাল;
বৎস, আমার বাক্যে অবধান কর, আমার কথায় কর্ণপাত কর।তাহা তোমার দৃষ্টির বহির্ভূত না হউক, তোমার হৃদয়মধ্যে তাহা রাখ।কেননা যাহারা তাহা পায়, তাহাদের পক্ষে তাহা জীবন, তাহা তাহাদের সর্বাঙ্গের স্বাস্থ্যস্বরূপ।
তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।
তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।
জ্ঞানবানের তুল্য কে? কে বাক্যের ভাবার্থ জানে? মানুষের প্রজ্ঞা তাহার মুখ উজ্জ্বল করে, এবং তাহার মুখের কঠিনতা পরিবর্তন হয়।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
সদাপ্রভুর দূত, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, তাহাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন, আর তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
যোশিয় আট বৎসর বয়সে রাজত্ব করিতে আরম্ভ করেন; এবং একত্রিশ বৎসর কাল যিরূশালেমে রাজত্ব করেন।তাঁহারা সদাপ্রভুর গৃহের তত্ত্বাবধায়ক কার্যকারীদের হস্তে তাহা সমর্পণ করিলেন, পরে যে কার্যকারীরা সদাপ্রভুর গৃহে কর্ম করিত, তাহারা সেই গৃহ সারিবার ও মেরামত করিবার জন্য তাহা দিল,অর্থাৎ যিহূদার রাজগণ যে সকল গৃহ বিনষ্ট করিয়াছিলেন, সেই সকলের জন্য ক্ষোদিত প্রস্তর, ও যোড়ের কাষ্ঠ ক্রয় করিতে ও কড়িকাষ্ঠ প্রস্তুত করিতে তাহারা সূত্রধরদিগকে ও গাঁথকদিগকে তাহা দিল।আর সেই লোকেরা বিশ্বস্তরূপে কার্য করিল, এবং মরারি-সন্তানদের মধ্যে দুই জন লেবীয়, অর্থাৎ যহৎ ও ওবদিয়, তাহাদের তত্ত্বাবধায়ক ছিল, এবং কহাৎ-সন্তানদের মধ্যে সখরিয় ও মশুল্লম, এবং অন্য লেবীয়দের মধ্যে বাদ্য বাদনে নিপুণ লোকেরা কর্ম চালাইবার জন্য নিযুক্ত ছিল।আর তাহারা ভারবাহকদের অধ্যক্ষ, আর কর্ম চালাইবার জন্য সর্বপ্রকার সেবাকর্মকারীদের উপরে নিযুক্ত ছিল, এবং লেবীয়দের মধ্যে কেহ কেহ লেখক, কর্মচারী ও দ্বারপাল ছিল।তাহারা যখন সদাপ্রভুর গৃহে আনীত সকল রৌপ্য বাহির করিল, তখন হিল্কিয় যাজক মোশি দ্বারা দত্ত সদাপ্রভুর ব্যবস্থা-পুস্তকখানি পাইলেন।পরে হিল্কিয় শাফন লেখককে কহিলেন, আমি সদাপ্রভুর গৃহে ব্যবস্থা-পুস্তকখানি পাইয়াছি; পরে হিল্কিয় শাফনকে সেই পুস্তক দিলেন।আর শাফন সেই পুস্তক রাজার কাছে লইয়া গিয়া এই নিবেদন করিলেন, আপনার দাসদের প্রতি আদিষ্ট সমস্ত কর্ম করা যাইতেছে;তাঁহারা সদাপ্রভুর গৃহে প্রাপ্ত সমস্ত টাকা একত্র করিয়া তত্ত্বাবধায়কদের ও কর্মকারীদের হস্তে দিয়াছেন।পরে শাফন লেখক রাজাকে এই কথা জ্ঞাত করিলেন, হিল্কিয় যাজক আমাকে একখানি পুস্তক দিয়াছেন; আর শাফন রাজার সাক্ষাতে তাহা পাঠ করিতে লাগিলেন।তখন রাজা ব্যবস্থার বাক্য সকল শুনিয়া আপনার বস্ত্র ছিঁড়িলেন।সদাপ্রভুর সাক্ষাতে যাহা ন্যায্য, তিনি তাহাই করিতেন, ও আপন পিতৃপুরুষ দায়ূদের পথে চলিতেন, তাহার দক্ষিণে কি বামে ফিরিতেন না।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
বৎস, তুমি আমার ব্যবস্থা ভুলিও না; তোমার চিত্ত আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক।তাহাতে তোমার গোলাঘর সকল বহু শস্যে পূর্ণ হইবে, তোমার কুণ্ডে নূতন দ্রাক্ষারস উথলিয়া পড়িবে।বৎস, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ করিও না, তাঁহার অনুযোগে ক্লান্ত হইও না;কেননা সদাপ্রভু যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাস্তি প্রদান করেন, যেমন পিতা প্রিয় পুত্রের প্রতি করেন।ধন্য সেই ব্যক্তি যে প্রজ্ঞা পায়, সেই ব্যক্তি যে বুদ্ধি লাভ করে;কেননা রৌপ্যের বাণিজ্য অপেক্ষাও তাহার বাণিজ্য উত্তম, সুবর্ণ অপেক্ষাও প্রজ্ঞা-লাভ উত্তম।তাহা মুক্তা হইতেও বহুমূল্য; তোমার অভীষ্ট কোন বস্তু তাহার সমান নয়।তাহার দক্ষিণ হস্তে দীর্ঘ পরমায়ু, তাহার বাম হস্তে ধন ও সম্মান থাকে।তাহার পথ সকল মনোরঞ্জনের পথ, তাহার সমস্ত মার্গ শান্তিময়।যাহারা তাহাকে ধরিয়া রাখে, তাহাদের কাছে তাহা জীবনবৃক্ষ; যে কেহ তাহা গ্রহণ করে, সে ধন্য।সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন, বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি প্রাপ্ত হইবে।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
কেননা তোমার প্রাঙ্গণে এক দিনও সহস্র দিন অপেক্ষা উত্তম; বরং আমার ঈশ্বরের গৃহের গোবরাটে দাঁড়াইয়া থাকা আমার বাঞ্ছনীয়, তবু দুষ্টতার তাম্বুতে বাস করা বাঞ্ছনীয় নয়।
আর সদাপ্রভু নিয়ত তোমাকে পথ প্রদর্শন করিবেন, মরুভূমিতে তোমার প্রাণ তৃপ্ত করিবেন, ও তোমার অস্থি সকল বলবান করিবেন, তাহাতে তুমি জলসিক্ত উদ্যানের ন্যায় হইবে, এবং এমন জলের উনুইয়ের ন্যায় হইবে, যাহার জল শুকায় না।
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।