হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়। হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।তুমি আমার পথ ও আমার শয়ন তদন্ত করিতেছ, আমার সমস্ত পথ ভালরূপে জান।যখন আমার জিহ্বাতে একটি কথাও নাই, দেখ, সদাপ্রভু, তুমি উহা সমস্তই জানিতেছ।
আর তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে হিসাব দিতে হইব।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!কেননা প্রভুর মন কে জানিয়াছে? “তাঁহার মন্ত্রীই বা কে হইয়াছে?”
উদরের মধ্যে তোমাকে গঠন করিবার পূর্বে আমি তোমাকে জ্ঞাত ছিলাম, তুমি গর্ভ হইতে বাহির হইয়া আসিবার পূর্বে তোমাকে পবিত্র করিয়াছিলাম; আমি তোমাকে জাতিগণের কাছে ভাববাদী করিয়া নিযুক্ত করিয়াছি।
আর হে আমার পুত্র শলোমন, তুমি আপন পিতার ঈশ্বরকে জ্ঞাত হও, এবং একাগ্র অন্তঃকরণে ও ইচ্ছুক মনে তাঁহার সেবা কর; কেননা সদাপ্রভু সমস্ত অন্তঃকরণের অনুসন্ধান করেন, ও চিন্তার সমস্ত কল্পনা বুঝেন; তুমি যদি তাঁহার অন্বেষণ কর, তবে তিনি তোমাকে আপনার উদ্দেশ পাইতে দিবেন, কিন্তু যদি তাঁহাকে ত্যাগ কর, তবে তিনি তোমাকে চিরকালের জন্য দূর করিবেন।
সদাপ্রভু কহেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেহ লুকাইতে পারে যে, আমি তাহাকে দেখিতে পাইব না? আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্য ব্যাপিয়া থাকি না? ইহা সদাপ্রভু কহেন।
সদাপ্রভু স্বর্গ হইতে দৃষ্টিপাত করেন, তিনি সমুদয় মনুষ্য-সন্তানকে নিরীক্ষণ করেন।তিনি আপন বাসস্থান হইতে দৃষ্টিপাত করেন পৃথিবীর সমস্ত নিবাসীর উপরে।তিনি একে একে তাহাদের হৃদয় গঠন করেন, তিনি তাহাদের সমস্ত কার্যালোচনা করেন।
কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁহার আত্মা দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান করেন, ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন।কারণ মনুষ্যের বিষয়গুলি মনুষ্যদের মধ্যে কে জানে? কেবল মনুষ্যের অন্তরস্থ আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেহ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন।
তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
আর যিনি হৃদয় সকলের অনুসন্ধান করেন, তিনি জানেন, আত্মার ভাব কি, কারণ ইনি পবিত্রগণের পক্ষে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারেই অনুরোধ করেন।
আমি সদাপ্রভু অন্তঃকরণের অনুসন্ধান করি, আমি মর্মের পরীক্ষা করি; আমি প্রত্যেক মনুষ্যকে আপন আপন আচরণানুসারে আপন আপন কর্মের ফল দিয়া থাকি।
অতএব তোমরা তাহাদের মত হইও না, কেননা তোমাদের কি কি প্রয়োজন, তাহা যাচ্ঞা করিবার পূর্বে তোমাদের পিতা জানেন।
তিনিই গভীর ও গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন, অন্ধকারে যাহা আছে, তাহা তিনি জানেন, এবং তাঁহার কাছে জ্যোতি বাস করেন।
কিন্তু যীশু আপনি তাহাদের উপরে আপনার সম্বন্ধে বিশ্বাস করিলেন না,কারণ তিনি সকলকে জানিতেন, এবং কেহ যে মনুষ্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়, ইহাতে তাহার প্রয়োজন ছিল না; কেননা মনুষ্যের অন্তরে কি আছে, তাহা তিনি নিজে জানিতেন।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;আর তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে হিসাব দিতে হইব।
বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।
কে সদাপ্রভুর আত্মার পরিমাণ করিয়াছে? কিম্বা তাঁহার মন্ত্রী হইয়া তাঁহাকে শিক্ষা দিয়াছে?তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
কিন্তু তোমার বসিয়া থাকা, তোমার বাহিরে যাওয়া, তোমার ভিতরে আসা, এবং আমার বিরুদ্ধে তোমার ক্রোধ-প্রকাশ, এই সকল আমি জানি।
তখন সদাপ্রভুর আত্মা আমার উপরে নামিয়া আসিলেন, আর তিনি কহিলেন, তুমি বল, সদাপ্রভু এই কথা কহেন; হে ইস্রায়েল-কুল, তোমরা অমুক অমুক কথা বলিয়াছ; তোমাদের মনে যাহা যাহা উঠিয়াছে, সেই সকল আমি জানি।
যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?
কেননা তাহাদের সমস্ত পথে আমার দৃষ্টি আছে, তাহারা আমার সম্মুখ হইতে লুক্কায়িত নহে, এবং তাহাদের অপরাধও আমার দৃষ্টি হইতে গুপ্ত নহে।
সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন, বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি প্রাপ্ত হইবে।তাঁহার জ্ঞান দ্বারা গভীর জলধি সকল খুলিয়া গেল, আর আকাশ বিন্দু বিন্দু শিশির বর্ষণ করিল।
তোমরা এমন মহাশ্লাঘার কথা আর কহিও না, তোমাদের মুখ হইতে দর্প নির্গত না হউক; কেননা সদাপ্রভু জ্ঞানের ঈশ্বর, তাঁহা কর্তৃক কর্ম সকল তুলাতে পরিমিত হয়।
যেহেতু সকলই তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।
সদাপ্রভুর ও তাঁহার শক্তির অনুসন্ধান কর, নিয়ত তাঁহার শ্রীমুখের অন্বেষণ কর।স্মরণ কর তাঁহার কৃত আশ্চর্য কর্ম সকল, তাঁহার অদ্ভুত লক্ষণ ও তাঁহার মুখের শাসন সকল;
কিন্তু এমন ঢাকা কিছুই নাই, যাহা প্রকাশ পাইবে না, এবং এমন গুপ্ত কিছুই নাই, যাহা জানা যাইবে না।
ধিক্ তাহাদিগকে, যাহারা গভীর মন্ত্রণা করতঃ সদাপ্রভু হইতে তাহা গুপ্ত রাখিতে চেষ্টা করে, অন্ধকারে কর্ম করে ও বলে, আমাদিগকে কে দেখিতে পায়? আমাদিগকে কে চিনিতে পারে?
তবে তুমি তোমার নিবাস-স্থান স্বর্গে তাহা শুনিও, এবং ক্ষমা করিও, কার্য করিও, এবং প্রত্যেক জনকে স্ব স্ব পথ অনুযায়ী প্রতিফল দিও তুমি ত তাহাদের অন্তঃকরণ জান, কেননা একমাত্র তুমিই যাবতীয় মনুষ্য সন্তানের অন্তঃকরণ জ্ঞাত আছ
কেননা সদাপ্রভুর প্রতি যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য তাঁহার চক্ষু পৃথিবীর সর্বত্র ভ্রমণ করে। এই বিষয়ে আপনি অজ্ঞানের কার্য করিয়াছেন, কেননা ইহার পরে পুনঃপুনঃ আপনার বিপক্ষে যুদ্ধ উপস্থিত হইবে।
আমিই তাহাদের ক্রিয়া ও কল্পনা সকল [জানি]। [সেই সময়] উপস্থিত, যখন আমি সর্বজাতীয় ও সর্বভাষাবাদী লোককে সংগ্রহ করিব; তাহারা আসিয়া আমার প্রতাপ দর্শন করিবে।
তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? পিতর দুঃখিত হইলেন যে, তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে বলিলেন, ‘তুমি কি আমাকে ভালবাস?’ আর তিনি তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, আপনি সকলই জানেন; আপনি জ্ঞাত আছেন যে, আমি আপনাকে ভালবাসি। যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে চরাও।
তুমি শুনিয়াছ, এই সমস্ত দেখ; তোমরা কি তাহা জ্ঞাত করিবে না? এখন হইতে আমি তোমাকে নূতন নূতন কথা শুনাই, সেই সকল নিগূঢ়, তুমি জানিতে পার নাই।
তথাচ তিনি আমার অবলম্বিত পথ জানেন, তিনি আমার পরীক্ষা করিলে আমি সুবর্ণের ন্যায় উত্তীর্ণ হইব।
ইহাতে আমরা জানি যে, আমরা তাঁহাতে থাকি, এবং তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন, কারণ তিনি আপন আত্মা আমাদিগকে দান করিয়াছেন।
কিন্তু ঈশ্বর কি সত্য সত্যই পৃথিবীতে বাস করিবেন? দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ তোমাকে ধারণ করিতে পারে না, তবে আমার নির্মিত এই গৃহ কি পারিবে?
তথাপি ঈশ্বর-স্থাপিত দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থির রহিয়াছে, তাহার উপরে এই কথা মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছে, “প্রভু জানেন, কে কে তাঁহার”; এবং “যে কেহ প্রভুর নাম করে, সে অধার্মিকতা হইতে দূরে থাকুক।”
আর তিনি এক ব্যক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তাহারা সমস্ত ভূতলে বাস করে; তিনি তাহাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করিয়া দিয়াছেন;যেন তাহারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, যদি কোন মতে হাতড়াইয়া হাতড়াইয়া তাঁহার উদ্দেশ পায়; অথচ তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন।
সদাপ্রভু যিরূশালেম গাঁথেন, তিনি ইস্রায়েলের দূরীকৃতদিগকে সংগ্রহ করেন।তিনি আর কোন জাতির পক্ষে এইরূপ করেন নাই, তাঁহার শাসনকলাপ তাহারা জানে নাই। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।তিনি ভগ্নচিত্তদিগকে সুস্থ করেন, তাহাদের ক্ষত সকল বাঁধিয়া দেন।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,
আর সদাপ্রভুর আত্মা প্রজ্ঞার ও বিবেচনার আত্মা, মন্ত্রণার ও পরাক্রমের আত্মা, জ্ঞানের ও সদাপ্রভু-ভয়ের আত্মা তাঁহাতে অধিষ্ঠান করিবেন; আর তিনি সদাপ্রভু-ভয়ে আমোদিত হইবেন।
আমরা যদি আপন ঈশ্বরের নাম ভুলিয়া গিয়া থাকি, যদি অন্য দেবের প্রতি অঞ্জলি প্রসারণ করিয়া থাকি,তবে ঈশ্বর কি তাহার সন্ধান পাইবেন না? তিনি ত অন্তঃকরণের গুপ্ত বিষয় সকল জানেন।
তোমরা সংবাদ দেও, কথা উপস্থিত কর; হাঁ, সকলে পরস্পর মন্ত্রণা করুক। পূর্ব হইতে এই কথা কে জ্ঞাত করিয়াছে? সেকাল হইতে কে সংবাদ দিয়াছে? আমি সদাপ্রভু কি করি নাই? আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; আমি ধর্মশীল ও ত্রাণকারী ঈশ্বর; আমি ব্যতীত অন্য নাই।
দানিয়েল কহিলেন, ঈশ্বরের নাম যুগে যুগে চিরকাল ধন্য হউক, কেননা জ্ঞান ও পরাক্রম তাঁহারই।তিনিই কাল ও ঋতু পরিবর্তন করেন; রাজাদিগকে পদভ্রষ্ট করেন, ও রাজাদিগকে পদস্থ করেন; তিনি জ্ঞানীদিগকে জ্ঞান দেন, বিবেচকদিগকে বিবেচনা দেন।তিনিই গভীর ও গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন, অন্ধকারে যাহা আছে, তাহা তিনি জানেন, এবং তাঁহার কাছে জ্যোতি বাস করেন।
যাহা তিনি সমস্ত জ্ঞানে ও বুদ্ধিতে আমাদের প্রতি উপচিয়া পড়িতে দিয়াছেন।ফলতঃ তিনি আমাদিগকে আপন ইচ্ছার নিগূঢ়তত্ত্ব জ্ঞাত করিয়াছেন,
তিনিই ঈশ্বর, তাঁহার পথ সিদ্ধ; সদাপ্রভুর বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ, তিনি নিজ শরণাগত সকলের ঢাল।
যখন আমি পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করি, তখন তুমি কোথায় ছিলে? যদি তোমার বুদ্ধি থাকে তবে বল,যখন তাহারা গুহামধ্যে শয়ন করে, গুপ্ত স্থানে বসিয়া মৃগের অপেক্ষায় থাকে?কে দাঁড়কাককে আহার যোগাইয়া দেয়, যখন তাহার শাবকগণ ঈশ্বরের নিকটে আর্তরব করে, ও খাদ্যের অভাবে ভ্রমণ করে?তুমি কি জান, কে পৃথিবীর পরিমাণ নিরূপণ করিল? কে তাহার উপরে মানরজ্জু ধরিল?
আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।
ইহা পবিত্রতম কহেন। ঊর্ধ্বদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে? তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন; তাঁহার সামর্থের আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত তাহাদের একটিও অনুপস্থিত থাকে না।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, কেননা আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করা উত্তম; তাহা মনোহর; প্রশংসার উপযুক্ত।
কেননা ঈশ্বরের যে মূর্খতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞানযুক্ত, এবং ঈশ্বরের যে দুর্বলতা, তাহা মনুষ্যদের অপেক্ষা অধিক সবল।
তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
এবং যাহা আদি অবধি সমুদয়ের সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের কাছে গুপ্ত থাকিয়া আসিয়াছে, সেই নিগূঢ়তত্ত্বের বিধান কি, তাহা প্রকাশ করি;
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।
কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
পরে সদাপ্রভু ঘূর্ণবায়ুর মধ্য হইতে ইয়োবকে উত্তর দিয়া কহিলেন,আমি তাহার জন্য আমার বিধি নিরূপণ করিলাম, অর্গল ও কবাট স্থাপন করিলাম,বলিলাম, তুমি এই পর্যন্ত আসিতে পার, আর নয়; এই স্থানে তোমার তরঙ্গের গর্ব নিবারিত হইবে।তুমি কি আজন্মকাল কখনও প্রভাতকে আজ্ঞা দিয়াছ, অরুণকে তাহার উদয় স্থান জানাইয়াছ;যেন তাহা পৃথিবীর প্রান্ত সকল ধরে, আর দুষ্টগণকে তাহা হইতে ঝাড়িয়া ফেলা যায়?ভূমণ্ডল মুদ্রাচিহ্নিত মৃত্তিকাবৎ আকারান্তর প্রাপ্ত হয়, সকলই বস্ত্রের ন্যায় প্রকাশ পায়;দুষ্টগণ হইতে তাহাদের দীপ্তি নিবারিত হয়, আর উচ্চ বাহু ভগ্ন হয়।তুমি কি সমুদ্রের উৎসে প্রবেশ করিয়াছ? জলধি-তলে কি পদার্পণ করিয়াছ?তোমার কাছে কি মৃত্যুর কবাট প্রকাশিত হইয়াছে? তুমি কি মৃত্যুচ্ছায়ার দ্বার দেখিয়াছ?তুমি কি ভুবনের বিস্তার জ্ঞাত হইয়াছ? বল, যদি সমস্তই জান।দীপ্তির নিবাসে যাইবার পথ কোথায়? অন্ধকারেরই বা বাসস্থান কোথায়?এ কে, যে জ্ঞানরহিত কথা দ্বারা মন্ত্রণাকে তিমিরাবৃত করে?
কারণ এমন গুপ্ত কিছুই নাই, যাহা প্রকাশিত হইবে না; এবং এমন লুক্কায়িত কিছুই নাই, যাহা জানা যাইবে না ও প্রকাশ পাইবে না।
আমি শেষের বিষয় আদি অবধি জ্ঞাত করি, যাহা সাধিত হয় নাই, তাহা পূর্বে জানাই, আর বলি, আমার মন্ত্রণা স্থির থাকিবে, আমি আপনার সমস্ত মনোরথ সিদ্ধ করিব।
আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!
হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার।
প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি, কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বারা সুস্থির করিতে হয়; তিনি প্রভাতে প্রভাতে জাগরিত করেন, আমার কর্ণ জাগরিত করেন, যেন আমি শিক্ষাগ্রাহীদের ন্যায় শুনিতে পাই।
দেখ, পূর্বকার বিষয় সকল সিদ্ধ হইল; আর আমি নূতন নূতন ঘটনা জ্ঞাত করি, অঙ্কুরিত হইবার পূর্বে তোমাদিগকে তাহা জানাই।
তাহা সেই নিগূঢ়তত্ত্ব, যাহা যুগযুগানুক্রমে ও পুরুষপুরুষানুক্রমে গুপ্ত ছিল, কিন্তু এখন তাঁহার পবিত্রগণের কাছে প্রকাশিত হইল;
দেখ, এই সকল তাহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জন কে বুঝিতে পারে?
কারণ তিনি যাহাদিগকে পূর্বে জানিলেন, তাহাদিগকে আপন পুত্রের প্রতিমূর্তির অনুরূপ হইবার জন্য পূর্বে নিরূপণও করিলেন; যেন ইনি অনেক ভ্রাতার মধ্যে প্রথমজাত হন।
যিনি যুগপর্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই সমাদর ও মহিমা হউক। আমেন।
নিগূঢ় বিষয় সকল আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অধিকার; কিন্তু প্রকাশিত বিষয় সকল আমাদের ও যুগে যুগে আমাদের সন্তানদের অধিকার, যেন এই ব্যবস্থার সমস্ত কথা আমরা পালন করিতে পারি।
সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ; যে কেহ তদনুযায়ী কর্ম করে, সে সদ্বুদ্ধি পায়; তাঁহার প্রশংসা নিত্যস্থায়ী।
কেননা আমরা এমন মহাযাজককে পাই নাই, যিনি আমাদের দুর্বলতাঘটিত দুঃখে দুঃখিত হইতে পারেন না, কিন্তু তিনি সর্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন, বিনা পাপে।
কে আপন করতলে জলরাশি মাপিয়াছে, বিঘত দিয়া আকাশমণ্ডল পরিমাণ করিয়াছে, পৃথিবীর ধুলা পালিতে ভরিয়াছে, পাল্লাতে পর্বতগণকে, ও নিক্তিতে উপপর্বতগণকে তৌল করিয়াছে ?
তুমি কি অনুসন্ধান দ্বারা ঈশ্বরকে পাইতে পার? সর্বশক্তিমানের সম্পূর্ণ তত্ত্ব পাইতে পার?সেই তত্ত্ব গগনবৎ উচ্চ; তুমি কি করিতে পার? পাতাল অপেক্ষাও অগাধ; তুমি কি জানিতে পার?পৃথিবী হইতেও তাহার পরিমাণ দীর্ঘ, সমুদ্র হইতেও তাহার পরিসর অধিক।
যদি কেহ মনে করে, সে কিছু জানে, তবে যেরূপ জানিতে হয়, তদ্রূপ এখনও জানে না;কিন্তু যদি কেহ ঈশ্বরকে প্রেম করে, সেই তাঁহার জানা লোক।
আমি সদাপ্রভু, ইহাই আমার নাম; আমি আপন গৌরব অন্যকে, কিম্বা আপন প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাগণকে দিব না।দেখ, পূর্বকার বিষয় সকল সিদ্ধ হইল; আর আমি নূতন নূতন ঘটনা জ্ঞাত করি, অঙ্কুরিত হইবার পূর্বে তোমাদিগকে তাহা জানাই।
তথাপি আমরা সিদ্ধদের মধ্যে জ্ঞানের কথা কহিতেছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয়, এবং এই যুগের শাসনকর্তাদেরও নয়, ইহারা ত অকিঞ্চন হইয়া পড়িতেছেন।কিন্তু আমরা নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা কহিতেছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যাহা ঈশ্বর আমাদের প্রতাপের জন্য যুগপর্যায়ের পূর্বে নিরূপণ করিয়াছিলেন।
আমি তোমাকে বুদ্ধি দিব, ও তোমার গন্তব্য পথ দেখাইব, তোমার উপরে দৃষ্টি রাখিয়া তোমাকে পরামর্শ দিব।
আর সেইরূপে আত্মাও আমাদের দুর্বলতায় সাহায্য করেন; কেননা উচিত মতে কি প্রার্থনা করিতে হয়, তাহা আমরা জানি না, কিন্তু আত্মা আপনি অবক্তব্য আর্তস্বর দ্বারা আমাদের পক্ষে অনুরোধ করেন।আর যিনি হৃদয় সকলের অনুসন্ধান করেন, তিনি জানেন, আত্মার ভাব কি, কারণ ইনি পবিত্রগণের পক্ষে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারেই অনুরোধ করেন।
কারণ এখন আমরা দর্পণে অস্পষ্ট দেখিতেছি, কিন্তু তৎকালে সম্মুখাসম্মুখি হইয়া দেখিব; এখন আমি কতক অংশে জানিতে পাই, কিন্তু তৎকালে আমি নিজে যেমন পরিচিত হইয়াছি, তেমনি পরিচয় পাইব।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পাদপীঠ; তোমরা আমার জন্য কিরূপ গৃহ নির্মাণ করিবে? আমার বিশ্রাম স্থান কোন্ স্থান?তোমরা যাহারা যিরূশালেমকে ভালবাস, তোমরা সকলে তাহার সহিত আনন্দ কর, তাহার বিষয়ে উল্লাস কর; তোমরা যাহারা তাহার জন্য শোকান্বিত, তোমরা সকলে তাহার সহিত অতিশয় প্রফুল্ল হও;যেন তোমরা তাহার সান্ত্বনারূপ স্তন চুষিয়া তৃপ্ত হও, যেন তাহাকে দোহন করিয়া তাহার প্রতাপ-বাহুল্যে আমোদিত হও।কারণ সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি তাহার দিকে নদীর ন্যায় শান্তি ও উত্থলিত বন্যার ন্যায় জাতিগণের প্রতাপ বহাইব, তাহাতে তোমরা স্তন্য পান করিবে, কক্ষদেশে করিয়া তোমাদিগকে বহন করা যাইবে, হাঁটুর উপরে নাচান যাইবে।মাতা যেমন আপন পুত্রকে সান্ত্বনা করে, তেমনি আমি তোমাদিগকে সান্ত্বনা করিব; তোমরা যিরূশালেমে সান্ত্বনা পাইবে।এই সকল দেখিলে তোমাদের হৃদয় প্রফুল্ল হইবে, তোমাদের অস্থি সকল নবীন তৃণের ন্যায় সতেজ হইবে; এবং সদাপ্রভুর হস্ত আপন দাসদের পক্ষে আত্ম পরিচয় দিবে, আর তিনি আপন শত্রুদের প্রতি কুপিত হইবেন।কারণ দেখ, সদাপ্রভু অগ্নিসহ আগমন করিবেন, তাঁহার রথ সকল ঘূর্ণবায়ুর ন্যায় হইবে; তিনি মহাতাপে আপন ক্রোধ, প্রজ্বলিত অগ্নি দ্বারা আপন ভর্ৎসনা কার্যে পরিণত করিবেন।কেননা সদাপ্রভু অগ্নি দ্বারা ও আপন খড়্গ দ্বারা সমস্ত মর্ত্যের সহিত আপনার বিবাদ নিষপন্ন করিবেন; আর সদাপ্রভু কর্তৃক অনেক লোক নিহত হইবে।যাহারা মধ্যবর্তী এক ব্যক্তির পশ্চাতে পশ্চাতে উদ্যানে [যাইবার জন্য] আপনাদের পবিত্র ও শুচি করে, শূকরের মাংস, ঘৃণ্য দ্রব্য ও মূষিক খায়, তাহারা একসঙ্গে বিনষ্ট হইবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন।আমিই তাহাদের ক্রিয়া ও কল্পনা সকল [জানি]। [সেই সময়] উপস্থিত, যখন আমি সর্বজাতীয় ও সর্বভাষাবাদী লোককে সংগ্রহ করিব; তাহারা আসিয়া আমার প্রতাপ দর্শন করিবে।আর আমি তাহাদের মধ্যে এক চিহ্ন স্থাপন করিব; এবং তাহাদের মধ্য হইতে উত্তীর্ণ লোকদিগকে জাতিগণের কাছে, তর্শীশ, পূল ও ধনুর্ধর লূদ, এবং তূবল ও যবনের কাছে, যে দূরস্থ উপকূল সমূহ কখনও আমার খ্যাতি শুনে নাই ও আমার প্রতাপ দেখে নাই, তাহাদের কাছে প্রেরণ করিব; এবং তাহারা জাতিগণের মধ্যে আমার প্রতাপ জ্ঞাত করিবে।এ সকলই ত আমার হস্ত দ্বারা নির্মিত, তাই এই সকল উৎপন্ন হইল, ইহা সদাপ্রভু কহেন। কিন্তু এই ব্যক্তির প্রতি, অর্থাৎ যে দুঃখী, ভগ্নাত্মা ও আমার বাক্যে কম্পমান, তাহার প্রতি আমি দৃষ্টিপাত করিব।
যাহাতে তোমাদের হৃদয়ের চক্ষু আলোকময় হয়, যেন তোমরা জানিতে পাও, তাঁহার আহ্বানের প্রত্যাশা কি, পবিত্রগণের মধ্যে তাঁহার দায়াধিকারের প্রতাপ-ধন কি,
তুমি আমার ভ্রমণ গণনা করিতেছ; আমার নেত্রজল তোমার কুপাতে রাখ; তাহা কি তোমার পুস্তকে লিখিত নাই?
কিন্তু সদাপ্রভু শমূয়েলকে কহিলেন, তুমি উহার মুখশ্রীর বা কায়িক দীর্ঘতার প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না; কারণ আমি উহাকে অগ্রাহ্য করিলাম। কেননা মনুষ্য যাহা দেখে, তাহা কিছু নয়; যেহেতু মনুষ্য প্রত্যক্ষ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, কিন্তু সদাপ্রভু অন্তঃকরণের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।
হে সদাপ্রভু, তোমার দৃষ্টি কি সত্যের প্রতি নয়? তুমি তাহাদিগকে প্রহার করিলেও তাহারা দুঃখার্ত হইল না; তাহাদিগকে জীর্ণ করিলেও তাহারা শাসন গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিল; তাহারা আপন আপন মুখ পাষাণ হইতেও কঠিন করিল; তাহারা ফিরিয়া আসিতে অস্বীকার করিল।
বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, যুগকলাপ ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা রচিত হইয়াছে, সুতরাং কোন প্রত্যক্ষ বস্তু হইতে এই সকল দৃশ্য বস্তুর উৎপত্তি হয় নাই।
যে দিন ঈশ্বর আমার সুসমাচার অনুসারে যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা মনুষ্যদের গুপ্ত বিষয় সকলের বিচার করিবেন।
সকলই আমার পিতা কর্তৃক আমাকে সমর্পিত হইয়াছে; আর পুত্রকে কেহ জানে না, কেবল পিতা জানেন; এবং পিতাকে কেহ জানে না, কেবল পুত্র জানেন, এবং পুত্র যাহার নিকটে তাঁহাকে প্রকাশ করিতে ইচ্ছা করেন, সে জানে।
তিনি মনুষ্য-সন্তানদের নিকট হইতে দূরীকৃত হইলেন, তাঁহার হৃদয় পশুর সমান হইল, ও বন্য-গর্দভের সহিত তাঁহার বাস হইল; তিনি বলদের ন্যায় তৃণ ভোজন করিতেন, এবং তাঁহার শরীর আকাশের শিশিরে ভিজিত; যে পর্যন্ত না তিনি জানিতে পারিলেন যে, মনুষ্যদের রাজ্যে পরাৎপর ঈশ্বর কর্তৃত্ব করেন, ও তাহার উপরে যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে নিযুক্ত করেন।
পাঁচটি চড়াই পাখী কি দুই পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তাহাদের মধ্যে একটিও ঈশ্বরের দৃষ্টিগোচরে গুপ্ত নয়।এমন কি, তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে। ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।
যখন সন্তানেরা ভূমিষ্ঠ হয় নাই, এবং ভাল-মন্দ কিছুই করে নাই, তখন- ঈশ্বরের নির্বাচনানুরূপ সঙ্কল্প যেন স্থির থাকে, কর্ম হেতু নয়, কিন্তু আহ্বানকারীর ইচ্ছা হেতু- তাঁহাকে বলা গিয়াছিল,
বাহিনীগণের সদাপ্রভু শপথ করিয়া বলিয়াছেন, অবশ্যই, আমি যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছি, তদ্রূপ ঘটিবে; আমি যে মন্ত্রণা করিয়াছি, তাহা স্থির থাকিবে।
কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই এক কথা ভুলিও না যে, প্রভুর কাছে এক দিন সহস্র বৎসরের সমান, এবং সহস্র বৎসর এক দিনের সমান।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।