হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।
আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।
হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”
কিন্তু সদাপ্রভু চিরকাল সমাসীন থাকিবেন; তিনি বিচারার্থে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন।আর তিনিই ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, ন্যায়ে জাতিগণের শাসন করিবেন।
কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
এখন অবধি আমার নিমিত্ত ধার্মিকতার মুকুট তোলা রহিয়াছে; প্রভু, সেই ধর্মময় বিচারকর্তা, সেই দিন আমাকে তাহা দিবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁহার প্রকাশপ্রাপ্তি ভালবাসিয়াছে, সেই সকলকেও দিবেন।
তিনি শৈল, তাঁহার কর্ম সিদ্ধ, কেননা তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁহাতে অন্যায় নাই; তিনিই ধর্মময় ও সরল।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, এবং লুণ্ঠিত ব্যক্তিকে উপদ্রবকারীর হস্ত হইতে উদ্ধার কর; বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার করিও না, এবং এই স্থানে নির্দোষের রক্তপাত করিও না।
দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার কর; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।দীনহীন ও দরিদ্রকে নিস্তার কর; দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার কর।
তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল, অনাথ সকলের জন্য খোল।তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর, দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর।
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, কেননা আমার পরিত্রাণ আগতপ্রায়, এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ সন্নিকট।
তিনি ত প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কার্যানুযায়ী ফল দিবেন,সৎক্রিয়ায় ধৈর্য সহযোগে যাহারা প্রতাপ, সমাদর ও অক্ষয়তার অন্বেষণ করে, তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিবেন;কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
কেননা সদাপ্রভুই প্রজ্ঞা দান করেন, তাঁহারই মুখ হইতে জ্ঞান ও বুদ্ধি নির্গত হয়।তিনি সরলদের জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধি রাখেন, যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের ঢাল স্বরূপ।তিনি ন্যায়বিচারের পথ সকল রক্ষা করেন, তাঁহার সাধুদের পথ সংরক্ষণ করেন।অতএব তুমি ধার্মিকতা ও বিচার বুঝিবে, ন্যায় ও সমস্ত উত্তম পথ অবগত হইবে।
ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্তে- কারণ প্রভেদ নাই;কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্মিক গণিত হয়।
তুমি ধার্মিকতাকে প্রেম, ও দুষ্টতাকে ঘৃণা করিয়াছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, তোমার সখাগণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণে আনন্দ-তৈলে।”
বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলিয়াছেন, তোমরা যথার্থ বিচার কর, এবং প্রত্যেকে আপন আপন ভ্রাতার সহিত সদয় ও করুণার ব্যবহার কর;
কিন্তু যে ব্যক্তি শ্লাঘা করে, সে এই বিষয়ের শ্লাঘা করুক যে, সে বুঝিতে পারে ও আমার এই পরিচয় পাইয়াছে যে, আমি সদাপ্রভু পৃথিবীতে দয়া, বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করি, কারণ ঐ সকলে আমি প্রীত, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
ঐ দেখ, আমার দাস, আমি তাঁহাকে ধারণ করি; তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত; আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিলাম; তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায় বিচার উপস্থিত করিবেন।
যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।
আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।
“দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত, আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিব, আর তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করিবেন।তিনি কলহ করিবেন না, উচ্চশব্দও করিবেন না, পথে কেহ তাঁহার রব শুনিতে পাইবে না।কিন্তু ফরীশীরা তাহা দেখিয়া তাঁহাকে বলিল, দেখ, বিশ্রামবারে যাহা করা বিধেয় নয়, তাহাই তোমার শিষ্যগণ করিতেছে।তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না, সধূম শলিতা নির্বাণ করিবেন না, যে পর্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন।
কিন্তু বাহিনীগণের সদাপ্রভু বিচারে উন্নত হন, পবিত্রতম ঈশ্বর ধর্মশীলতায় পবিত্র বলিয়া মান্য হন।
সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য; তিনি পরাক্রমে মহান, তিনি ন্যায়বিচার ও প্রচুর ধর্মগুণ বিপরীত করেন না।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
কিন্তু তাহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান- ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং মুক্তি-
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;
রাজার বলও বিচার ভালবাসেন; তুমি ন্যায়বিধি অটল করিয়া থাক, তুমি যাকোবের মধ্যে বিচার ও ধার্মিকতা সাধন করিয়া থাক।
আমার ধর্মশীলতা নিকটবর্তী, আমার পরিত্রাণ নির্গত হইল, এবং আমার বাহু জাতিগণের বিচার নিষপন্ন করিবে; উপকূল সকল আমারই অপেক্ষায় থাকিবে, ও আমার বাহুতে প্রত্যাশা রাখিবে।
পরন্তু কোন ব্যক্তি যদি ধার্মিক হয় এবং ন্যায় ও ধর্মাচরণ করে,পর্বতের উপরে ভোজন করে নাই, ইস্রায়েল-কুলের পুত্তলিগণের প্রতি দৃষ্টিপাত করে নাই, আপন প্রতিবাসীর স্ত্রীকে ভ্রষ্ট করে নাই, ও ঋতুমতী স্ত্রীর নিকটেও যায় নই;এবং কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করে নাই, ঋণীকে বন্ধক ফিরাইয়া দিয়াছে, কাহারও দ্রব্য বলপূর্বক অপহরণ করে নাই, ক্ষুধিত লোককে অন্ন দিয়াছে, ও উলঙ্গকে বস্ত্র পরাইয়াছে,সুদের লোভে ঋণ দেয় নাই, কিছু বৃদ্ধি লয় নাই, অন্যায় হইতে আপন হস্ত ফিরাইয়াছে, মনুষ্যদের মধ্যে যথার্থ বিচার করিয়াছে,আমার বিধিপথে গমন করিয়াছে, এবং সত্য আচরণের উদ্দেশে আমার শাসনকলাপ পালন করিয়াছে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে অবশ্য বাঁচিবে; ইহা প্রভু সদাপ্রভু কহেন।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
আমি সদাপ্রভু অন্তঃকরণের অনুসন্ধান করি, আমি মর্মের পরীক্ষা করি; আমি প্রত্যেক মনুষ্যকে আপন আপন আচরণানুসারে আপন আপন কর্মের ফল দিয়া থাকি।
তাহার মধ্যবর্তী সদাপ্রভু ধর্মশীল; তিনি অন্যায় করেন না, প্রতি প্রভাতে তিনি আপন বিচার আলোকে স্থাপন করেন, ক্রটি করেন না; কিন্তু অন্যায়াচারী লজ্জা জানে না।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
এই জন্য বিচার আমাদের হইতে দূরে থাকে, ধার্মিকতা আমাদের সঙ্গ ধরিতে পারে না; আমরা দীপ্তির অপেক্ষা করি, কিন্তু দেখ, অন্ধকার; আলোকের অপেক্ষা করি, কিন্তু তিমিরে ভ্রমণ করি।
ধন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আপনাকে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসাইবার জন্য আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন; সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে চিরকাল প্রেম করেন, এই জন্য বিচার ও ধর্ম প্রচলিত করিতে আপনাকে রাজা করিয়াছেন।
হে সদাপ্রভু, তুমি নম্রদের আকাঙ্ক্ষা শুনিয়াছ; তুমি তাহাদের চিত্ত সুস্থির করিবে, তুমি কর্ণপাত করিবে;পিতৃহীনের ও উপদ্রুত লোকদের বিচার করিবার জন্য, যেন মৃত্তিকাজাত মর্ত্য আর দুর্দান্ত না থাকে।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
কিন্তু ধর্মশীলতায় দীনহীনদের বিচার করিবেন, সরলতায় পৃথিবীস্থ নম্রদের জন্য নিষপত্তি করিবেন; তিনি আপন মুখস্থিত দণ্ড দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করিবেন, আপন ওষ্ঠাধরের নিশ্বাস দ্বারা দুষ্টকে বধ করিবেন।
যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।
যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহাকে ঘৃণা করিবে।কিন্তু যাহারা তাহাকে ধমক্ দেয়, তাহারা প্রীতি-পাত্র হইবে, তাহাদের প্রতি উত্তম আশীর্বাদ বর্তিবে।
হে ঈশ্বর, তুমি রাজাকে আপনার শাসন, রাজপুত্রকে আপনার ধর্মশীলতা প্রদান কর।তর্শীশ ও দ্বীপগণের রাজগণ নৈবেদ্য আনিবেন; শিবা ও সবার রাজগণ উপহার দিবেন।হাঁ, সমুদয় রাজা তাঁহার কাছে প্রণিপাত করিবেন; সমুদয় জাতি তাঁহার দাস হইবে।কেননা তিনি আর্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন।তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন।তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে;আর তাহারা জীবিত থাকিবে; ও তাঁহাকে শিবার সুবর্ণ দান করা যাইবে, লোকে তাঁহার নিমিত্ত নিরন্তর প্রার্থনা করিবে, সমস্ত দিন তাঁহার ধন্যবাদ করিবে।দেশমধ্যে পর্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে, তাহার ফল লিবানোনের ন্যায় দোলায়মান হইবে; এবং নগরবাসীরা ভূমির তৃণের ন্যায় প্রফুল্ল হইবে।তাঁহার নাম অনন্তকাল থাকিবে; সূর্যের স্থিতি পর্যন্ত তাঁহার নাম সতেজ থাকিবে; মনুষ্যেরা তাঁহাতে আশীর্বাদ পাইবে; সমুদয় জাতি তাঁহাকে ধন্য ধন্য বলিবে।ধন্য সদাপ্রভু ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; কেবল তিনিই আশ্চর্য ক্রিয়া করেন।তাঁহার গৌরবান্বিত নাম অনন্তকাল ধন্য; তাঁহার গৌরবে সমস্ত পৃথিবী পরিপূর্ণ হউক। আমেন, আমেন।তিনি ধার্মিকতায় তোমার প্রজাগণের, ন্যায়ে তোমার দুঃখীদের বিচার করিবেন।
আর আমি ন্যায়বিচারকে মানরজ্জু, ও ধার্মিকতাকে ওলোনসূত্র করিব; শিলাবৃষ্টি ঐ অলীকতারূপ আশ্রয় ফেলিয়া দিবে, এবং বন্যা ঐ লুকাইবার স্থান ভাসাইয়া লইয়া যাইবে।
সর্বতোভাবে যাহা ন্যায্য তাহারই অনুগামী হইবে, তাহাতে তুমি জীবিত থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত দেশ অধিকার করিবে।
তবে ঈশ্বর কি আপনার সেই মনোনীতদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন না, যাহারা দিবারাত্র তাহার কাছে রোদন করে, যদিও তিনি তাঁহাদের বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু?আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তিনি শীঘ্রই তাহাদের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিকার করিবেন। কিন্তু মনুষ্যপুত্র যখন আসিবেন, তখন কি পৃথিবীতে বিশ্বাস পাইবেন?
হে আমার প্রজাগণ, আমার বাক্যে অবধান কর; হে আমার জনবৃন্দ, আমার বচনে কর্ণপাত কর; কেননা আমা হইতে ব্যবস্থা নির্গত হইবে, আমি জাতিগণের দীপ্তির জন্য আপন বিচার স্থাপন করিব।আমার ধর্মশীলতা নিকটবর্তী, আমার পরিত্রাণ নির্গত হইল, এবং আমার বাহু জাতিগণের বিচার নিষপন্ন করিবে; উপকূল সকল আমারই অপেক্ষায় থাকিবে, ও আমার বাহুতে প্রত্যাশা রাখিবে।
সদাপ্রভু উন্নত; তিনি ত ঊর্ধ্বলোকে বাস করেন, তিনি সিয়োনকে ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতায় পূর্ণ করিয়াছেন।
তখন পিতর মুখ খুলিয়া কহিলেন, আমি সত্যই বুঝিলাম, ঈশ্বর মুখাপেক্ষা করেন না;কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।
তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার নিষপন্ন করেন, এবং বিদেশীকে প্রেম করিয়া অন্নবস্ত্র দেন।
তোমার ধর্মশীলতা ঈশ্বরের পর্বতসমূহের তুল্য, তোমার শাসন সকল মহাজলধিস্বরূপ; সদাপ্রভু, তুমি মনুষ্য ও পশু রক্ষা করিয়া থাক।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?
তোমরা বিচারে কাহারও মুখাপেক্ষা করিবে না; সমভাবে ক্ষুদ্র ও মহান উভয়ের কথা শুনিবে। মনুষ্যের মুখ দেখিয়া ভয় করিবে না, কেননা বিচার ঈশ্বরের; এবং যে কথা তোমাদের পক্ষে কঠিন, তাহা আমার কাছে আনিবে, আমি তাহা শুনিব।
কিন্তু আমাদের অধার্মিকতা যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা সাব্যস্ত করে, তবে কি বলিব? ঈশ্বর, যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায়ী?- আমি মানুষের মত কহিতেছি-তাহা দূরে থাকুক, কেননা তাহা হইলে ঈশ্বর কেমন করিয়া জগতের বিচার করিবেন?
তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
প্রতিশোধ ও প্রতিফলদান আমারই কর্ম, যে সময়ে তাহাদের পা পিছলিয়া যাইবে; কেননা তাহাদের বিপদের দিন নিকটবর্তী, তাহাদের জন্য যাহা যাহা নিরূপিত, শীঘ্রই আসিবে।কারণ সদাপ্রভু আপন প্রজাদের বিচার করিবেন, আপন দাসদের উপরে সদয় হইবেন; যেহেতু তিনি দেখিবেন, তাহাদের শক্তি গিয়াছে, বদ্ধ কি মুক্ত কেহই নাই।
তিনি কাহার কাছে মন্ত্রণা গ্রহণ করিয়াছেন? কে তাঁহাকে বুদ্ধি দিয়াছে, ও বিচারপথ দেখাইয়াছে, তাঁহাকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়াছে, ও বিবেচনার মার্গ জানাইয়াছে?
আর পূর্বে যেমন ছিল, তেমনি পুনর্বার তোমাকে বিচারকর্তৃগণ দিব; প্রথমে যেমন ছিল, তেমনি মন্ত্রিগণ দিব; তৎপরে তুমি ‘ধার্মিকতার পুরী, সতী নগরী’ নামে আখ্যাত হইবে।
কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।
তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্মিকতা দেখান- কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল-
ধর্মশীলতা ও ন্যায়বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল; দয়া ও সত্য তোমার শ্রীমুখের অগ্রগামী।ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।
অতএব, হে বুদ্ধিমানেরা, আমার কথা শুনুন, ইহা দূরে থাকুক যে, ঈশ্বর দুষ্কার্য করিবেন, সর্বশক্তিমান অন্যায় করিবেন।কারণ তিনি মনুষ্যের কর্মের ফল তাহাকে দেন, মনুষ্যের গতি অনুসারে তাহার দশা ঘটান।ঈশ্বর ত কখনও দুষ্টাচরণ করেন না, সর্বশক্তিমান কভু বিচার বিপরীত করেন না।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
তাঁহারা দুই জন ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক ছিলেন, প্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ও বিধি অনুসারে নির্দোষরূপে চলিতেন।
কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন।
তিনি দুষ্টদের প্রাণ রক্ষা করেন না, কিন্তু দুঃখীদের পক্ষে ন্যায় বিচার করেন।তিনি ধার্মিকদের হইতে চক্ষু ফিরান না; কিন্তু সিংহাসনে উপবিষ্ট রাজগণের সঙ্গে তাহাদিগকে চিরকালের তরে বসান, তাহারা উন্নত হয়।
কিন্তু যে ব্যক্তি কার্য করে না- তাঁহারই উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক গণনা করেন- তাহার বিশ্বাসই ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হয়।
আর সদাপ্রভু দৃষ্টিপাত করিলেন, ন্যায়বিচার না থাকাতে অসন্তুষ্ট হইলেন। তিনি দেখিলেন, কোন পুরুষ বর্তমান নাই; এবং চমকিত হইলেন, কেননা অনুরোধকারী কেহ নাই; এই হেতু তাঁহারই বাহু তাঁহার জন্য পরিত্রাণ সাধন করিল, তাঁহারই ধর্মশীলতা তাঁহাকে তুলিয়া ধরিল।তিনি ধর্মশীলতারূপ বুকপাটা বাঁধিলেন, মস্তকে ত্রাণরূপ শিরস্ত্র ধারণ করিলেন, তিনি প্রতিশোধরূপ বস্ত্র পরিধান করিলেন, পরিচ্ছদের ন্যায় উদ্যোগ-পরিহিত হইলেন।
তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না; সধূম শলিতা নির্বাপিত করিবেন না; সত্যে তিনি ন্যায়বিচার প্রচলিত করিবেন।
অতএব সদাপ্রভুর ভয় তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠিত হউক; তোমরা সাবধান হইয়া কার্য কর, কেননা অন্যায়, কি মুখাপেক্ষা, কি উৎকোচ গ্রহণে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মতি নাই।
দায়ূদের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে কর্তৃত্ববৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে না, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায়বিচারে ও ধার্মিকতা সহকারে, এখন অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে।
সেই সকল দিনে ও সেই সময়ে আমি দায়ূদের বংশে ধার্মিকতার এক পল্লবকে উৎপন্ন করিব; তিনি দেশে ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করিবেন।
ইহাতে ঈশ্বরের সন্তানগণ এবং দিয়াবলের সন্তানগণ প্রকাশ হইয়া পড়ে; যে কেহ ধর্মাচরণ না করে, এবং যে ব্যক্তি আপন ভ্রাতাকে প্রেম না করে, সে ঈশ্বরের লোক নয়।
দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?
কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব;” আবার, “প্রভু আপন প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।”
আর দয়াতে এক সিংহাসন স্থাপিত হইবে, একজন সত্যের প্রভাবে দায়ূদের তাম্বুতে সেই আসনে বসিবেন; তিনি বিচারকর্তা, বিচারে যত্নবান ও ধার্মিকতা-সাধনে সত্বর হইবেন।
ঈশ্বর ঈশ্বরের মণ্ডলীতে দণ্ডায়মান, তিনি ঈশ্বরদের মধ্যে বিচার করেন।তোমরা কতকাল অন্যায় বিচার করিবে, ও দুষ্টলোকদের মুখাপেক্ষা করিবে? [সেলা]
আমি হারানো মেষের অন্বেষণ করিব, দূরীকৃতকে ফিরাইয়া আনিব, ভগ্নাঙ্গের ক্ষত বাঁধিব, ও পীড়িতকে সবল করিব, এবং হৃষ্টপুষ্ট ও বলবানকে সংহার করিব; আমি বিচারমতে তাহাদিগকে পালন করিব।
বিনয় করি, দুষ্টগণের দুষ্টতা শেষ হউক, কিন্তু তুমি ধার্মিককে সুস্থির কর; ধর্মময় ঈশ্বর ত অন্তঃকরণ ও মর্মের পরীক্ষক।
সদাপ্রভু ধার্মিকের পরীক্ষা করেন, কিন্তু দুষ্ট ও দৌরাত্ম্যপ্রিয় লোক তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ।তিনি দুষ্টদের উপরে পাঁশ বর্ষণ করিবেন, অগ্নি, গন্ধক ও উত্তপ্ত বায়ু তাহাদের পানপাত্রের পেয় দ্রব্য।কেননা সদাপ্রভু ধর্মময়, ধর্মকর্মই ভালবাসেন; সরল লোক তাঁহার শ্রীমুখ দর্শন করিবে।
যেন আমরা যাহারা মাংসের বশে নয়, কিন্তু আত্মার বশে চলিতেছি, ব্যবস্থার ধর্মবিধি সেই আমাদের মধ্যে সিদ্ধ হয়।
কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।
ধার্মিকগণের প্রতি সদাপ্রভুর দৃষ্টি আছে, তাহাদের আর্তনাদের প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে।সদাপ্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল; তিনি ভূতল হইতে তাহাদের স্মরণ উচ্ছেদ করিবেন।
তিনি সরলদের জন্য সূক্ষ্ম বুদ্ধি রাখেন, যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের ঢাল স্বরূপ।তিনি ন্যায়বিচারের পথ সকল রক্ষা করেন, তাঁহার সাধুদের পথ সংরক্ষণ করেন।
“প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুদান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য,প্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ঘোষণা করিবার জন্য”।
কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, যে দিনে আপনার নিরূপিত ব্যক্তি দ্বারা ন্যায়ে জগৎ সংসারের বিচার করিবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়াছেন, ফলতঃ মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে উঠাইয়াছেন।