ভাবুন তো, কত যুগ যুগ ধরে আমরা খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা স্বর্গকে ঈশ্বরের বাসস্থান হিসেবে জেনে আসছি। ঈশ্বর নিজেই বলেছেন, "আকাশ আমার সিংহাসন, আর পৃথিবী আমার পায়ের পীঠ; তোমরা আমার জন্য কি রকম গৃহ নির্মাণ করবে? আর আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়?" (যিশাইয় ৬৬:১)।
নূতন নিয়মেও দেখি, যখন সুসমাচার প্রচার করার জন্য স্তিফানকে পাথর মারা হচ্ছিল, তখন পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে সে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরের মহিমা এবং ঈশ্বরের ডানপাশে যীশুকে দেখতে পেলেন (প্রেরিত ৭:৫৪-৫৫)।
ইতিহাস জুড়ে পবিত্র আত্মা আমাদের স্বর্গীয় বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রবর্তিত করেছেন, ঠিক যেমন পৌল বলেছিলেন, "তোমরা উপরের বিষয় চিন্তা কর, পার্থিব বিষয় চিন্তা করো না" (কলসীয় ৩:২)।
নূহের সময় থেকে, যখন তিনি ঈশ্বরের নির্দেশে জাহাজ তৈরি করেছিলেন, তখন থেকেই আমরা শিখে আসছি যে স্বর্গের প্রতি দৃষ্টি রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
খ্রিস্টে বিশ্বাসী হিসেবে আমাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে, একটি পার্থিব, অন্যটি স্বর্গীয়। আমাদের স্বর্গে ধন সঞ্চয় করতে বলা হয়েছে, যেখানে কীট বা কাঁট নাশ করে না, চোর ভেদ করে বা চুরি করে না, যেমন যীশু মথির সুসমাচারে বলেছেন (মথি ৬:১৯-২০)।
তাই আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে, আমরা কি স্বর্গের কথা ভাবছি? আমরা কি সেখানে ধন সঞ্চয় করছি? আমরা কি আমাদের স্বর্গীয় নাগরিকত্বের কথা মনে রাখছি?
গীতরচকের মত বলি, "স্বর্গে আমার কে আছে তোমার ব্যতীত? আর পৃথিবীতে তোমার ব্যতীত আমি কিছুই কামনা করি না" (গীতসংহিতা ৭৩:২৫)।
“স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পাদপীঠ; প্রভু কহেন, তোমরা আমার জন্য কিরূপ গৃহ নির্মাণ করিবে?
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।
আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম জ্ঞাপন করে।তাহা স্বর্ণ ও প্রচুর কাঞ্চন অপেক্ষা বাঞ্ছনীয়, মধু ও মৌচাকের রস হইতেও সুস্বাদু।তোমার দাসও তদ্দ্বারা সুশিক্ষা পায়; তাহা পালন করিলে মহা ফল হয়।ভ্রান্তির কার্য সকল কে বুঝিতে পারে? তুমি গুপ্ত দোষ হইতে আমাকে পরিষ্কার কর।দুঃসাহসজনিত [পাপ] হইতেও নিজ দাসকে পৃথক রাখ, সেই সকল আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক; তখন আমি সিদ্ধ এবং মহাপাতক হইতে শুচি হইব।আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।দিবস দিবসের কাছে বাক্য উচ্চারণ করে, রাত্রি রাত্রির কাছে জ্ঞান প্রচার করে।
কারণ তিনি ভিত্তিমূল বিশিষ্ট সেই নগরের অপেক্ষা করিতেছিলেন, যাহার স্থাপনকর্তা ও নির্মাতা ঈশ্বর।
পরে ঈশ্বরের স্বর্গস্থ মন্দিরের দ্বার মুক্ত হইল, তাহাতে তাঁহার মন্দিরের মধ্যে তাঁহার নিয়ম-সিন্দুক দেখা গেল, এবং বিদ্যুৎ ও রব ও মেঘধ্বনি ও ভূমিকম্প ও মহাশিলাবৃষ্টি হইল।
আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।সেই দিন তোমরা জানিবে যে, আমি আমার পিতাতে আছি, ও তোমরা আমাতে আছ, এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।যে ব্যক্তি আমার আজ্ঞা সকল প্রাপ্ত হইয়া সেই সকল পালন করে, সেই আমাকে প্রেম করে; আর যে আমাকে প্রেম করে, আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন; এবং আমিও তাহাকে প্রেম করিব, আর আপনাকে তাহার কাছে প্রকাশ করিব।তখন যিহূদা- ঈষ্করিয়োতীয় নয়- তাঁহাকে বলিলেন, প্রভু, কি হইয়াছে যে, আপনি আমাদেরই কাছে আপনাকে প্রকাশ করিবেন, আর জগতের কাছে নয়?যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, কেহ যদি আমাকে প্রেম করে, তবে সে আমার বাক্য সকল পালন করিবে; আর আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন, এবং আমরা তাহার নিকটে আসিব ও তাহার সহিত বাস করিব।যে আমাকে প্রেম করে না, সে আমার বাক্য সকল পালন করে না। আর তোমরা যে বাক্য শুনিতে পাইতেছ, তাহা আমার নয়, কিন্তু পিতার, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন।তোমাদের নিকটে থাকিতে থাকিতেই আমি এই সকল কথা কহিলাম।কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি, আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি; জগৎ যেরূপ দান করে, আমি সেইরূপ দান করি না। তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক, ভীতও না হউক।তোমরা শুনিয়াছ যে, আমি তোমাদিগকে বলিয়াছি, আমি যাইতেছি, আবার তোমাদের কাছে আসিতেছি। যদি তোমরা আমাকে প্রেম করিতে, তবে আনন্দ করিতে যে, আমি পিতার নিকটে যাইতেছি; কারণ পিতা আমা অপেক্ষা মহান।আর এখন, ঘটিবার পূর্বে, আমি তোমাদিগকে বলিলাম, যেন ঘটিলে পর তোমরা বিশ্বাস কর।আর আমি যখন যাই ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুনর্বার আসিব, এবং আমার নিকটে তোমাদিগকে লইয়া যাইব; যেন, আমি যেখানে থাকি,
আমার পিতার বাটীতে অনেক বাসস্থান আছে, যদি না থাকিত, তোমাদিগকে বলিতাম; কেননা আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাইতেছি।
কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি;
আর আমি দেখিলাম, “পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম,” স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল।
আর স্বর্গে কেহ উঠে নাই; কেবল যিনি স্বর্গ হইতে নামিয়াছেন, সেই মনুষ্যপুত্র, যিনি স্বর্গে থাকেন।
পরে আমি “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।পরে “তিনি আত্মাতে আমাকে এক উচ্চ মহাপর্বতে লইয়া গিয়া” পবিত্র নগরী যিরূশালেমকে দেখাইলেন, সে স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে,নামিয়া আসিতেছিল, সে ঈশ্বরের প্রতাপ বিশিষ্ট; তাহার জ্যোতি বহুমূল্য মণির, স্ফটিকবৎ নির্মল সূর্যকান্তমণির তুল্য।তাহার বৃহৎ ও উচ্চ প্রাচীর আছে, দ্বাদশ পুরদ্বার আছে; সেই সকল দ্বারে দ্বাদশ দূত থাকেন, এবং “কয়েকটি নাম সেইগুলির উপরে লিখিত আছে, সেই সকল ইস্রায়েল-সন্তানদের দ্বাদশ বংশের নাম;পূর্বদিকে তিন দ্বার, উত্তরদিকে তিন দ্বার, দক্ষিণদিকে তিন দ্বার ও পশ্চিমদিকে তিন দ্বার”।আর নগরের প্রাচীরের দ্বাদশ ভিত্তিমূল, সেইগুলির উপরে মেষশাবকের দ্বাদশ প্রেরিতের দ্বাদশ নাম আছে।আর যিনি আমার সঙ্গে আলাপ করিতেছিলেন, তাঁহার হস্তে ঐ নগর ও তাহার দ্বার সকল ও তাহার প্রাচীর “মাপিবার জন্য একটি সুবর্ণ নল” ছিল।ঐ নগর চতুষ্কোণ, তাহার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান। আর তিনি সেই নল দ্বারা নগর মাপিলে দ্বাদশ সহস্র তীর পরিমাণ হইল, তাহার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান।পরে তাহার প্রাচীর মাপিলে, মনুষ্যের অর্থাৎ দূতের পরিমাণ অনুসারে একশত চুয়াল্লিশ হস্ত হইল।প্রাচীরের গাঁথনি সূর্যকান্তমণির এবং নগর নির্মল কাচের সদৃশ পরিষ্কৃত সুবর্ণময়।নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূল সকল সর্ববিধ মূল্যবান মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্যকান্তের,আর আমি দেখিলাম, “পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম,” স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল।দ্বিতীয় নীলকান্তের, তৃতীয় তাম্রমণির, চতুর্থ মরকতের, পঞ্চম বৈদুর্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার।আর দ্বাদশ দ্বার দ্বাদশটি মুক্তা, এক এক দ্বার এক এক মুক্তায় নির্মিত; এবং নগরের চক স্বচ্ছ কাচবৎ বিমল সুবর্ণময়।আর আমি নগরের মধ্যে কোন মন্দির দেখিলাম না; কারণ সর্বশক্তিমান প্রভু ঈশ্বর এবং মেষশাবক স্বয়ং তাহার মন্দিরস্বরূপ।“আর সেই নগরে দীপ্তিদানার্থে সূর্যের বা চন্দ্রের কিছু প্রয়োজন নাই; কারণ ঈশ্বরের প্রতাপ তাহা আলোকময় করে, এবং মেষশাবক তাহার প্রদীপস্বরূপ।আর জাতিগণ তাহার দীপ্তিতে গমনাগমন করিবে; এবং পৃথিবীর রাজারা তাহার মধ্যে আপন আপন প্রতাপ আনেন।ঐ নগরের দ্বার সকল দিবাতে কখনও বদ্ধ হইবে না, বাস্তবিক সেখানে রাত্রি হইবে না।আর জাতিগণের প্রতাপ ও ঐশ্বর্য তাহার মধ্যে আনীত হইবে।”আর অপবিত্র কিছু অথবা ঘৃণ্যকর্মকারী ও মিথ্যাচারী কেহ কখনও তাহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না; কেবল মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে যাহাদের নাম লিখিত আছে, তাহারাই প্রবেশ করিবে।পরে আমি সিংহাসন হইতে এই উচ্চ বাণী শুনিলাম, দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন।আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।
কিন্তু তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্মিকতা বসতি করে।
হা, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ, তুমিই আপন মহাপরাক্রম ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ; তোমার অসাধ্য কিছুই নাই।
আনন্দ করিও, উল্লসিত হইও, কেননা স্বর্গে তোমাদের পুরস্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের পূর্বে যে ভাববাদিগণ ছিলেন, তাঁহাদিগকে তাহারা সেই মত তাড়না করিত।
আর তোমার দাস ও তোমার লোক ইস্রায়েল যখন এই স্থানের অভিমুখে প্রার্থনা করিবে, তখন তাহাদের বিনতিতে কর্ণপাত করিও; তোমার নিবাস-স্থান স্বর্গে তাহা শুনিও, এবং শুনিয়া ক্ষমা করিও।
পরে আমি “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।
কিন্তু এখন তাঁহারা আরও উত্তম দেশের, অর্থাৎ স্বর্গীয় দেশের, আকাঙ্ক্ষা করিতেছেন। এই জন্য ঈশ্বর তাঁহাদের ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইতে, তাঁহাদের বিষয়ে লজ্জিত নহেন; কারণ তিনি তাঁহাদের নিমিত্ত এক নগর প্রস্তুত করিয়াছেন।
অতএব তোমরা যখন খ্রীষ্টের সহিত উত্থাপিত হইয়াছ, তখন সেই ঊর্ধ্বস্থানের বিষয় চেষ্টা কর, যেখানে খ্রীষ্ট আছেন, ঈশ্বরের দক্ষিণে বসিয়া আছেন।যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে।এই স্থানে গ্রীক কি যিহূদী, ছিন্নত্বক্ কি অচ্ছিন্নত্বক্, বর্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলিয়া কিছু হইতে পারে না, কিন্তু খ্রীষ্টই সর্বেসর্বা।অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।আর এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।আর খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়ে কর্তৃত্ব করুক; তোমরা ত তাহারই নিমিত্ত এক দেহে আহূত হইয়াছ; আর কৃতজ্ঞ হও।খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।নারীগণ, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূত হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত।স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে প্রেম কর, তাহাদের প্রতি কটু ব্যবহার করিও না।ঊর্ধ্বস্থ বিষয় ভাব, পৃথিবীস্থ বিষয় ভাবিও না।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।
আর তিনি আমাকে “জীবন-জলের নদী” দেখাইলেন, তাহা স্ফটিকের ন্যায় উজ্জ্বল, তাহা ঈশ্বরের ও মেষশাবকের সিংহাসন হইতে নির্গত হইয়া তথাকার চকের মধ্যস্থানে বহিতেছে;আর তিনি আমাকে কহিলেন, তুমি এই গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল মুদ্রাঙ্কিত করিও না; কেননা সময় সন্নিকট।যে অধর্মচারী, সে ইহার পরেও অধর্মাচরণ করুক; এবং যে কলুষিত, সে ইহার পরেও কলুষিত হউক; এবং যে ধার্মিক, সে ইহার পরেও ধর্মাচরণ করুক; এবং যে পবিত্র, সে ইহার পরেও পবিত্রীকৃত হউক।“দেখ, আমি শীঘ্র আসিতেছি; এবং আমার দাতব্য পুরস্কার আমার সহবর্তী, যাহার যেমন কার্য, তাহাকে তেমন ফল দিব।আমি আল্ফা এবং ওমিগা, প্রথম ও শেষ,” আদি এবং অন্ত।ধন্য তাহারা, যাহারা আপন আপন পরিচ্ছদ ধৌত করে, যেন তাহারা জীবন-বৃক্ষের অধিকারী হয়, এবং দ্বার সকল দিয়া নগরে প্রবেশ করে।বাহিরে রহিয়াছে কুকুরগণ, মায়াবিগণ, বেশ্যাগামীরা, নরঘাতকেরা ও প্রতিমাপূজকেরা, এবং যে কেহ মিথ্যা কথা ভালবাসে ও রচনা করে।আমি যীশু আপন দূতকে পাঠাইলাম, যেন সে মণ্ডলীগণের নিমিত্ত তোমাদের কাছে এই সকল সাক্ষ্য দেয়। আমি দায়ূদের মূল ও বংশ, উজ্জ্বল প্রভাতীয় নক্ষত্র।আর আত্মা ও কন্যা কহিতেছেন, আইস। যে শুনে, সেও বলুক, আইস। আর যে পিপাসিত, সে আইসুক; যে ইচ্ছা করে, সে বিনামূল্যেই জীবন-জল গ্রহণ করুক।যাহারা এই গ্রন্থের ভাববাণীর বচন সকল শুনে, তাহাদের প্রত্যেক জনের কাছে আমি সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি, যদি কেহ ইহার সহিত আর কিছু যোগ করে, তবে ঈশ্বর সেই ব্যক্তিতে এই গ্রন্থে লিখিত আঘাত সকল যোগ করিবেন;আর যদি কেহ এই ভাববাণী-গ্রন্থের বচন হইতে কিছু হরণ করে, তবে ঈশ্বর এই গ্রন্থে লিখিত জীবন-বৃক্ষ হইতে ও পবিত্র নগর হইতে তাহার অংশ হরণ করিবেন।“নদীর এপারে ওপারে জীবন-বৃক্ষ আছে, তাহা দ্বাদশ বার ফল উৎপন্ন করে, এক এক মাসে আপন আপন ফল দেয়, এবং সেই বৃক্ষের পত্র জাতিগণের আরোগ্যনিমিত্তক”;যিনি এই সকল কথার সাক্ষ্য দেন, তিনি কহিতেছেন, সত্য, আমি শীঘ্র আসিতেছি। আমেন; প্রভু যীশু, আইস।প্রভু যীশুর অনুগ্রহ পবিত্রগণের সঙ্গে থাকুক। আমেন।এবং “কোন অভিশাপ আর হইবে না;” আর ঈশ্বরের ও মেষশাবকের সিংহাসন তাহার মধ্যে থাকিবে; এবং তাঁহার দাসেরা তাঁহার আরাধনা করিবে,ও তাঁহার মুখ দর্শন করিবে, এবং তাঁহার নাম তাহাদের ললাটে থাকিবে।সেখানে রাত্রি আর হইবে না, এবং প্রদীপের আলোকে কিম্বা সূর্যের আলোকে লোকদের কিছু প্রয়োজন হইবে না, কারণ “প্রভু ঈশ্বর তাহাদিগকে আলোকিত করিবেন; এবং তাহারা যুগপর্যায়ের যুগে যুগে রাজত্ব করিবে”।
কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।
কারণ দেখ, আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।
“আর সেই নগরে দীপ্তিদানার্থে সূর্যের বা চন্দ্রের কিছু প্রয়োজন নাই; কারণ ঈশ্বরের প্রতাপ তাহা আলোকময় করে, এবং মেষশাবক তাহার প্রদীপস্বরূপ।
সদাপ্রভু আপন পবিত্র মন্দিরে আছেন; সদাপ্রভু, তাঁহার সিংহাসন স্বর্গে; তাঁহার চক্ষু নিরীক্ষণ করিতেছে, তাঁহার চক্ষুর পাতা মনুষ্য-সন্তানদের পরীক্ষা করিতেছে।
কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;
ইহা প্রথম পুনরুত্থান। যে কেহ এই প্রথম পুরুত্থানের অংশী হয়, সে ধন্য ও পবিত্র; তাহাদের উপরে দ্বিতীয় মৃত্যুর কোন কর্তৃত্ব নাই; কিন্তু তাহারা ঈশ্বরের ও খ্রীষ্টের যাজক হইবে, এবং সেই সহস্র বৎসর তাঁহার সঙ্গে রাজত্ব করিবে।
তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন; এবং সমস্ত পৃথিবী হইতে আপন প্রজাদের দুর্নাম দূর করিবেন; কারণ সদাপ্রভুই এই কথা কহিয়াছেন।
কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।
তুমি আমাকে জীবনের পথ জ্ঞাত করিবে, তোমার সম্মুখে তৃপ্তিকর আনন্দ, তোমার দক্ষিণ হস্তে নিত্য সুখভোগ।
কিন্তু, যেমন লেখা আছে, “চক্ষু যাহা দেখে নাই, কর্ণ যাহা শুনে নাই, এবং মনুষ্যের হৃদয়াকাশে যাহা উঠে নাই, যাহা ঈশ্বর, যাহারা তাঁহাকে প্রেম করে, তাহাদের জন্য প্রস্তুত করিয়াছেন।”
যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে।
আর অপবিত্র কিছু অথবা ঘৃণ্যকর্মকারী ও মিথ্যাচারী কেহ কখনও তাহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না; কেবল মেষশাবকের জীবন-পুস্তকে যাহাদের নাম লিখিত আছে, তাহারাই প্রবেশ করিবে।
কারণ আমি যে নূতন আকাশমণ্ডল ও নূতন পৃথিবী গঠন করিব, তাহা যেমন আমার সম্মুখে থাকিবে, তেমনি তোমাদের বংশ ও তোমাদের নাম থাকিবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
তখন রাজা আপনার দক্ষিণ দিকে স্থিত লোকদিগকে বলিবেন, আইস, আমার পিতার আশীর্বাদ-পাত্রেরা, জগতের পত্তনাবধি যে রাজ্য তোমাদের জন্য প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার অধিকারী হও।
কিন্তু তোমরা এই সকলের নিকটে উপস্থিত হইয়াছ, যথা, সিয়োন পর্বত, জীবন্ত ঈশ্বরের পুরী স্বর্গীয় যিরূশালেম,অযুত অযুত দূত, স্বর্গে লিখিত প্রথমজাতদের সাধারণ সভা ও মণ্ডলী, সকলের বিচারকর্তা ঈশ্বর, সিদ্ধিপ্রাপ্ত ধার্মিকগণের আত্মা,
এবং তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদিগকে তাঁহার সহিত উঠাইলেন ও তাঁহার সহিত স্বর্গীয় স্থানে বসাইলেন;
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
যে জয় করে, তাহাকে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরে স্তম্ভস্বরূপ করিব, এবং সে আর কখনও তথা হইতে বাহিরে যাইবে না; এবং তাহার উপরে আমার ঈশ্বরের নাম লিখিব, এবং আমার ঈশ্বরের নগরী যে নূতন যিরূশালেম স্বর্গ হইতে, আমার ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিবে, তাহার নাম এবং আমার নূতন নাম লিখিব।
হে ক্ষুদ্র মেষপাল, ভয় করিও না, কেননা তোমাদিগকে সেই রাজ্য দিতে তোমাদের পিতার হিতসংকল্প হইয়াছে।
আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই, তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না।
ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।তাহারা সমস্ত দিন তোমার নামে উল্লাস করে, তাহারা তোমার ধর্মশীলতায় উন্নত হয়;
তখন ধার্মিকেরা আপনাদের পিতার রাজ্যে সূর্যের ন্যায় দেদীপ্যমান হইবে। যাহার কান থাকে, সে শুনুক।
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;কেননা যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন যদি ঈশ্বরের সহিত তাঁহার পুত্রের মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত হইলাম, তবে সম্মিলিত হইয়া কত অধিক নিশ্চিত যে, তাঁহার জীবনে পরিত্রাণ পাইব।কেবল তাহা নয়, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরে শ্লাঘাও করিয়া থাকি, যাঁহার দ্বারা এখন আমরা সেই সম্মিলন লাভ করিয়াছি।অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল;কারণ ব্যবস্থার পূর্বেও জগতে পাপ ছিল; কিন্তু ব্যবস্থা না থাকিলে পাপ গণিত হয় না।তথাপি যাহারা আদমের আজ্ঞালঙ্ঘনের সাদৃশ্যে পাপ করে নাই, আদম অবধি মোশি পর্যন্ত তাহাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করিয়াছিল। আর আদম সেই ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ।কিন্তু অপরাধ যেরূপ, অনুগ্রহ-দানটি সেইরূপ নয়। কেননা সেই একের অপরাধে যখন অনেকে মরিল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আর এক ব্যক্তির- যীশু খ্রীষ্টের- অনুগ্রহে দত্ত দান, অনেকের প্রতি আরও অধিক উপচিয়া পড়িল।আর, এক ব্যক্তি পাপ করাতে যেমন ফল হইল, এই দান তেমন নয়; কেননা বিচার এক ব্যক্তি হইতে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত, কিন্তু অনুগ্রহ-দান অনেক অপরাধ হইতে ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত।কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।অতএব যেমন এক অপরাধ দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল, তেমনি ধার্মিকতার একটি কার্য দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে জীবনদায়ক ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল।কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে পাপী বলিয়া ধরা হইল, তেমনি সেই আর এক ব্যক্তির আজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে ধার্মিক বলিয়া ধরা হইবে।আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
এই জন্য ইহারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে আছে; এবং তাহারা দিবারাত্র তাঁহার মন্দিরে তাঁহার আরাধনা করে, আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তিনি ইহাদের উপরে আপন তাম্বু বিস্তার করিবেন।“ইহারা আর কখনও ক্ষুধিত হইবে না, আর কখনও তৃষ্ণার্তও হইবে না, এবং ইহাদের কোন রৌদ্র বা কোন উত্তাপ লাগিবে না;কারণ সিংহাসনের মধ্যস্থিত মেষশাবক ইহাদিগকে পালন করিবেন, এবং জীবন-জলের উনুইয়ের নিকটে গমন করাইবেন, আর ঈশ্বর ইহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন।
পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার।সেই প্রতাপের রাজা কে? বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তিনিই প্রতাপের রাজা। [সেলা]কেননা তিনিই সমুদ্রগণের উপরে তাহা স্থাপন করিয়াছেন, নদীগণের উপরে তাহা দৃঢ় করিয়া রাখিয়াছেন।
আর তিনি তাঁহাকে কহিলেন, সত্য সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা দেখিবে, স্বর্গ খুলিয়া গিয়াছে, এবং ঈশ্বরের দূতগণ মনুষ্যপুত্রের উপর দিয়া উঠিতেছেন ও নামিতেছেন।
ইহার মূল সেই প্রত্যাশিত বিষয়, যাহা তোমাদের নিমিত্ত স্বর্গে রাখা হইয়াছে। তাহার বৃত্তান্ত তোমরা সেই সুসমাচারের সত্যের বাক্যে পূর্বে শুনিয়াছ,
কিন্তু যীশু কহিলেন, শিশুদিগকে আমার নিকটে আসিতে দেও, বারণ করিও না; কেননা স্বর্গ-রাজ্য এই মত লোকদেরই।
কেননা তিনি আপন উচ্চ ধর্মধাম হইতে অবলোকন করিলেন; সদাপ্রভু স্বর্গ হইতে পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করিলেন;সঙ্কটের দিনে আমা হইতে মুখ লুকাইও না, আমার দিকে কর্ণপাত কর; যে দিন আমি ডাকি, ত্বরায় আমাকে উত্তর দিও।বন্দির হাহাকার শুনিবার জন্য, মৃত্যুর সন্তানদিগকে মুক্ত করিবার জন্য;
কেননা তোমরা বন্দিগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলে, এবং আনন্দপূর্বক আপন আপন সমপত্তির লুট স্বীকার করিয়াছিলে, কারণ তোমরা জানিতে, তোমাদের আরও উত্তম নিজ সমপত্তি আছে, আর তাহা নিত্যস্থায়ী।
কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।
পরে তিনি স্বপ্ন দেখিলেন, আর দেখ, পৃথিবীর উপরে এক সিঁড়ি স্থাপিত, তাহার মস্তক গগনস্পর্শী, আর দেখ, তাহা দিয়া ঈশ্বরের দূতগণ উঠিতেছেন ও নামিতেছেন।
আমি এই বলি, ভ্রাতৃগণ, রক্ত মাংস ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হইতে পারে না; এবং ক্ষয় অক্ষয়তার অধিকারী হয় না।
বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকাল স্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে;আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে।যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।
ঈশ্বর উঠুন, তাঁহার শত্রুগণ ছিন্নভিন্ন হউক, তাঁহার বিদ্বেষিগণ তাঁহার সম্মুখ হইতে পলায়ন করুক।তোমার সমাজ তাহার মধ্যে বাস করিল; হে ঈশ্বর, তুমি আপন মঙ্গলভাবে দুঃখীর নিমিত্ত আয়োজন করিলে।প্রভু বাক্য দেন, শুভবার্তার প্রচারিকাগণ মহাবাহিনী।বাহিনীগণের রাজারা পলায়ন করেন, পলায়ন করেন, আর গৃহস্বামিনী দ্রব্য বিভাগ করিয়া লয়।তোমরা কি বাথান মধ্যে শয়ন করিবে, রৌপ্যমণ্ডিত কপোতের পক্ষবৎ হইবে, যাহার পালখ হরিৎ সুবর্ণমণ্ডিত?সর্বশক্তিমান যখন রাজাদিগকে দেশে ছিন্নভিন্ন করিলেন, তখন সল্মোন পর্বতে [যেন] তুষার পড়িল।বাশন পর্বত ঈশ্বরের পর্বত; বাশন পর্বত বহুশৃঙ্গ পর্বত।হে বহুশৃঙ্গ পর্বতগণ, ঈশ্বর আপন নিবাসের নিমিত্ত যে পর্বতে প্রীত হইয়াছেন, তৎপ্রতি তোমরা কেন কুটিল দৃষ্টি করিতেছ? অবশ্য সদাপ্রভু চিরকাল তথায় বাস করিবেন।ঈশ্বরের রথ অযুত অযুত ও লক্ষ লক্ষ, প্রভু সেই সকলের মধ্যবর্তী; যেমন সীনয়ে, তাঁহার পবিত্র স্থানে তুমি ঊর্ধ্বে উঠিয়াছ, বন্দিগণকে বন্দি করিয়াছ, মনুষ্যদের মধ্যে দান গ্রহণ করিয়াছ; এমন কি, বিদ্রোহীদের মধ্যেও গ্রহণ করিয়াছ, যেন সদাপ্রভু ঈশ্বর [তথায়] বাস করেন।ধন্য প্রভু, যিনি দিন দিন আমাদের ভার বহন করেন; সেই ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ। [সেলা]যেমন ধূম চালিত হয়, তেমনি তুমি তাহাদিগকে চালিত কর; যেমন অগ্নির সম্মুখে মোম গলিয়া যায়, তেমনি ঈশ্বরের সম্মুখে দুষ্টগণ বিনষ্ট হউক।
স্বাধীনতার নিমিত্তই খ্রীষ্ট আমাদিগকে স্বাধীন করিয়াছেন; অতএব তোমরা স্থির থাক, এবং দাসত্ব-জোঁয়ালিতে আর বদ্ধ হইও না।
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি আমাদিগকে সমস্ত আত্মিক আশীর্বাদে স্বর্গীয় স্থানে খ্রীষ্টে আশীর্বাদ করিয়াছেন;
আর ইহা তাঁহারই সেই প্রতিজ্ঞা, যাহা তিনি নিজে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা অনন্ত জীবন।
আর সদাপ্রভুর নিস্তারিত লোকেরা ফিরিয়া আসিবে, আনন্দগান পূর্বক সিয়োনে আসিবে, এবং তাহাদের মস্তকে নিত্যস্থায়ী হর্ষমুকুট থাকিবে; তাহারা আমোদ ও আনন্দ প্রাপ্ত হইবে, এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পলায়ন করিবে।
কিন্তু ঈশ্বর পাতালের হস্ত হইতে আমার প্রাণ মুক্ত করিবেন; কেননা তিনি আমাকে গ্রহণ করিবেন। [সেলা]
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়। হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।তুমি আমার পথ ও আমার শয়ন তদন্ত করিতেছ, আমার সমস্ত পথ ভালরূপে জান।
খ্রীষ্টের প্রেম হইতে কে আমাদিগকে পৃথক করিবে? কি ক্লেশ? কি সঙ্কট? কি তাড়না? কি দুর্ভিক্ষ? কি উলঙ্গতা?কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ? যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন নিহত হইতেছি; আমরা বধ্য মেষের ন্যায় গণিত হইলাম।” কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
আহা! তোমার দত্ত মঙ্গল কেমন মহৎ, যাহা তুমি তোমার ভয়কারীদের জন্য সঞ্চয় করিয়াছ, যাহা মনুষ্য-সন্তানদের সাক্ষাতে তোমার শরণাপন্নদের পক্ষে সাধন করিয়াছ।
আর, হে বালক, তুমি পরাৎপরের ভাববাদী বলিয়া আখ্যাত হইবে, কারণ তুমি প্রভুর সম্মুখে চলিবে, তাঁহার পথ প্রস্তুত করিবার জন্য;তাঁহার প্রজাদের পাপমোচনে তাহাদিগকে পরিত্রাণের জ্ঞান দিবার জন্য।ইহা আমাদের ঈশ্বরের সেই কৃপাযুক্ত স্নেহহেতু হইবে, যদ্দ্বারা ঊর্ধ্ব হইতে ঊষা আমাদের তত্ত্বাবধান করিবে,যাহারা অন্ধকারে ও মৃত্যুচ্ছায়ায় বসিয়া আছে, তাহাদের উপরে দীপ্তি দিবার জন্য, আমাদের চরণ শান্তিপথে চালাইবার জন্য।
কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে।পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
প্রাচীরের গাঁথনি সূর্যকান্তমণির এবং নগর নির্মল কাচের সদৃশ পরিষ্কৃত সুবর্ণময়।নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূল সকল সর্ববিধ মূল্যবান মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্যকান্তের,আর আমি দেখিলাম, “পবিত্র নগরী, নূতন যিরূশালেম,” স্বর্গ হইতে, ঈশ্বরের নিকট হইতে নামিয়া আসিতেছে; সে আপন বরের নিমিত্ত বিভূষিতা কন্যার ন্যায় প্রস্তুত হইয়াছিল।দ্বিতীয় নীলকান্তের, তৃতীয় তাম্রমণির, চতুর্থ মরকতের, পঞ্চম বৈদুর্যের, ষষ্ঠ সার্দ্দীয় মণির, সপ্তম স্বর্ণমণির, অষ্টম গোমেদকের, নবম পদ্মরাগের, দশম লশুনীয়ের, একাদশ পেরোজের, দ্বাদশ কটাহেলার।আর দ্বাদশ দ্বার দ্বাদশটি মুক্তা, এক এক দ্বার এক এক মুক্তায় নির্মিত; এবং নগরের চক স্বচ্ছ কাচবৎ বিমল সুবর্ণময়।
কেবল মঙ্গল ও দয়াই আমার জীবনের সমুদয় দিন আমার অনুচর হইবে, আর আমি সদাপ্রভুর গৃহে চিরদিন বসতি করিব।
দেখ, ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ; আমি সাহস করিব, ভীত হইব না; কেননা সদাপ্রভু যিহোবা আমার বল ও গান; তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
পিতঃ, আমার ইচ্ছা এই, আমি যেখানে থাকি, তুমি আমায় যাহাদিগকে দিয়াছ, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে, যেন তাহারা আমার সেই মহিমা দেখিতে পায়, যাহা তুমি আমাকে দিয়াছ, কেননা জগৎ পত্তনের পূর্বে তুমি আমাকে প্রেম করিয়াছিলে।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়। সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল।তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্তনের স্থান পাইল না। কারণ তোমরা সেই স্পৃশ্য ও অগ্নিতে প্রজ্বলিত পর্বত, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, তূরীর ধ্বনি ও বাক্যের শব্দ এই সকলের নিকট উপস্থিত হও নাই।সেই শব্দ যাহারা শুনিয়াছিল, তাহারা প্রার্থনা করিয়াছিল, যেন তাহাদের কাছে আর কথা বলা না হয়;বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
ধার্মিক লোক তালতরুর ন্যায় উৎফুল্ল হইবে, সে লিবানোনের এরস বৃক্ষের ন্যায় বাড়িবে।যাহারা সদাপ্রভুর বাটীতে রোপিত, তাহারা আমাদের ঈশ্বরের প্রাঙ্গণে উৎফুল্ল হইবে।তাহারা বৃদ্ধ বয়সেও ফল উৎপন্ন করিবে, তাহারা সরস ও তেজস্বী হইবে;তদ্দ্বারা প্রচারিত হইবে যে, সদাপ্রভু সরল; তিনি আমার শৈল, এবং তাঁহাতে অন্যায় নাই।