তোমার সাথে একটা ব্যক্তিগত কথা বলতে চাই। যখন তুমি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে একটা প্রকৃত সাক্ষাৎ লাভ করো, তখন তুমি সত্যের কাছে পৌঁছে যাও। যোহন ১৪:৬ পদে যীশু বলেছেন, "আমিই পথ, সত্য ও জীবন; আমার দ্বারা না হলে কেউ পিতার কাছে আসতে পারে না।" পরম সত্য পবিত্র আত্মার মধ্যেই নিহিত।
আমরা অনেকেই ভাবি আমরা যা বলি সবই ঠিক, ভুল ধারণাগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকি। কিন্তু বাইবেল বলে, পবিত্র আত্মা তোমাকে সমস্ত সত্যের দিকে পরিচালিত করবেন। তাঁর কণ্ঠস্বর তোমাকে সঠিক পথে, অনন্ত জীবনের পথে নিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা বা ক্ষণস্থায়ী কোন কিছুর দিকে নয়। ঈশ্বর চান তুমি তাঁর সত্যের মাধ্যমে সফল হও।
এই পৃথিবীর ব্যবস্থা তোমাকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে, মৃত্যুর পথগুলোকে তোমার সামনে মুক্তির পথ হিসেবে উপস্থাপন করবে। ঈশ্বরের নীতি ও আদেশ থেকে তোমাকে দূরে সরিয়ে নিতে চাইবে। কিন্তু আজ ঈশ্বর তোমাকে বলছেন, তাঁর সত্য জেনে তুমি প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করো।
ঈশ্বর তোমার সম্পর্কে কী ভাবেন, তাঁর বাক্যে তোমার জীবনের জন্য কী লেখা আছে, তা জানলে শত্রুর মিথ্যা থেকে তুমি মুক্তি পাবে। শত্রু তোমাকে মূল্যহীন বোধ করানোর জন্য বিকৃত সত্য দেখাবে। কিন্তু খ্রীষ্ট যীশু তাঁর সত্যে তোমাকে বলছেন, তাঁর বলিদানের দ্বারা তুমি স্বাধীন এবং তাঁর সহ-উত্তরাধিকারী, ঈশ্বরের সন্তান।
তোমার দৃঢ় থাকার জন্য যে পরম সত্যের প্রয়োজন, তা হলো অনন্তকাল থেকে ঈশ্বর তোমার সম্পর্কে যা বলেছেন। পবিত্র আত্মাকে তোমাকে সমস্ত সত্যের দিকে পরিচালিত করতে দাও, আর তুমি তাঁর মহিমা তোমার উপর দেখতে পাবে।
তোমরা এই সকল কার্য করিও, আপন আপন প্রতিবাসীর কাছে সত্য বলিও, তোমাদের নগর-দ্বারে সত্য ও শান্তিজনক বিচার করিও।
তোমার দীপ্তি ও তোমার সত্য প্রেরণ কর; তাহারাই আমার পথপ্রদর্শক হউক, তোমার পবিত্র গিরিতে ও তোমার আবাসে আমাকে উপস্থিত করুক।
তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
তিনি নিজ বাসনায় সত্যের বাক্য দ্বারা আমাদিগকে জন্ম দিয়াছেন, যেন আমরা তাঁহার সৃষ্ট বস্তু সকলের এক প্রকার অগ্রিমাংশ হই।
খ্রীষ্টে থাকিয়া তোমরাও সত্যের বাক্য, তোমাদের পরিত্রাণের সুসমাচার, শুনিয়া এবং তাঁহাতে বিশ্বাসও করিয়া সেই অঙ্গীকৃত পবিত্র আত্মা দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছ;
অতএব তোমরা, যাহা মিথ্যা, তাহা ত্যাগ করিয়া প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও; কারণ আমরা পরস্পর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
হে সদাপ্রভু, তোমার পথ আমাকে শিক্ষা দেও, আমি তোমার সত্যে চলিব; তোমার নাম ভয় করিতে আমার চিত্তকে একাগ্র কর।
আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ।
কারণ ঈশ্বরের ক্রোধ স্বর্গ হইতে সেই মনুষ্যদের সমস্ত ভক্তিহীনতা ও অধার্মিকতার উপরে প্রকাশিত হইতেছে, যাহারা অধার্মিকতায় সত্যের প্রতিরোধ করে।
আমি গোপনে অন্ধকারময় দেশের কোন স্থানে কথা কহি নাই; আমি যাকোবের বংশকে এই বাক্য কহি নাই যে, ‘তোমরা অনর্থক আমার অন্বেষণ কর,’ আমি সদাপ্রভু ন্যায্য বাক্য বলি, সরলতার কথা কহি।
তাহা দূরে থাকুক, বরং ঈশ্বরকে সত্য বলিয়া স্বীকার করা যাউক, মনুষ্যমাত্র মিথ্যাবাদী হয়, হউক; যেমন লেখা আছে, “তুমি যেন তোমার বাক্যে ধর্মময় প্রতিপন্ন হও, এবং তোমার বিচারকালে বিজয়ী হও।”
বরং লজ্জার গুপ্ত কার্যসমূহে জলাঞ্জলি দিয়াছি, ধূর্ততায় চলি না, ঈশ্বরের বাক্যে ভাঁজ দিই না, কিন্তু সত্য প্রকাশ দ্বারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে মনুষ্যমাত্রের বিবেকের কাছে আপনাদিগকে যোগ্যপাত্র দেখাইতেছি।
তাঁহার ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে।
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;
আমি তোমার ধর্মশীলতা নিজ হৃদয়মধ্যে সঙ্গোপন করি নাই, তোমার বিশ্বস্ততা ও তোমার পরিত্রাণ প্রচার করিয়াছি; তোমার দয়া ও সত্য মহাসমাজ হইতে গুপ্ত রাখি নাই।
তোমরা সত্যের আজ্ঞাবহতায় অকল্পিত ভ্রাতৃপ্রেমের নিমিত্ত আপন আপন প্রাণকে বিশুদ্ধ করিয়াছ বলিয়া অন্তঃকরণে পরসপর একাগ্রভাবে প্রেম কর;
তোমরা সুন্দররূপে দৌড়াইতেছিলে; কে তোমাদিগকে বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের দ্বারা প্রবর্তিত হও না?
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
তোমরা সত্য জান না বলিয়া যে আমি তোমাদিগকে লিখিলাম, তাহা নয়; বরং সত্য জান, এবং কোন মিথ্যা কথা সত্য হইতে হয় না বলিয়া লিখিলাম।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
ইহার মূল সেই প্রত্যাশিত বিষয়, যাহা তোমাদের নিমিত্ত স্বর্গে রাখা হইয়াছে। তাহার বৃত্তান্ত তোমরা সেই সুসমাচারের সত্যের বাক্যে পূর্বে শুনিয়াছ,
কেননা আমাদের উপরে তাঁহার দয়া মহৎ, ও সদাপ্রভুর সত্য অনন্তকালস্থায়ী। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।
আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।
আর যাহা উত্তম ভূমিতে পড়িল, তাহা এমন লোক, যাহারা সৎ ও উত্তম হৃদয়ে বাক্য শুনিয়া ধরিয়া রাখে, এবং ধৈর্য সহকারে ফল উৎপন্ন করে।
আর বিচার পশ্চাতে হটিয়া পড়িয়াছে, এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে; বস্তুতঃ চকে সত্য উছোট খাইয়া পড়িয়াছে, ও সরলতা প্রবেশ করিতে পায় না।
আর তাহারা হেরোদীয়দের সহিত আপনাদের শিষ্যগণকে দিয়া তাঁহাকে বলিয়া পাঠাইল, গুরু, আমরা জানি, আপনি সত্য এবং সত্যরূপে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিতেছেন, এবং আপনি কাহারও বিষয়ে ভীত নহেন, কেননা আপনি মনুষ্যের মুখাপেক্ষা করেন না।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
আমরা এক দণ্ডমাত্রও অধীনতা স্বীকার দ্বারা তাহাদের বশবর্তী হইলাম না, যেন সুসমাচারের সত্য তোমাদের নিকটে থাকে।
দয়া ও সত্য তোমাকে ত্যাগ না করুক; তুমি ইহাদের তোমার কণ্ঠদেশে বাঁধিয়া রাখ, তোমার হৃদয়-ফলকে লিখিয়া রাখ।অকারণে কোন ব্যক্তির সহিত বিরোধ করিও না, যদি সে তোমার অপকার না করিয়া থাকে।উপদ্রবকারীর প্রতি ঈর্ষা করিও না, আর তাহার কোন পথ মনোনীত করিও না;কেননা যে ব্যক্তি খল সে সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু সরলগণের সহিত তাঁহার ঘনিষ্টতা আছে।দুষ্টের গৃহে সদাপ্রভুর অভিশাপ থাকে, কিন্তু তিনি ধার্মিকদের নিবাসকে আশীর্বাদ করেন।নিশ্চয়ই তিনি নিন্দুকদের নিন্দা করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন,জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হইবে, কিন্তু অবজ্ঞাই হীনবুদ্ধিদের উন্নতি।তাহা করিলে অনুগ্রহ ও সুবুদ্ধি পাইবে, ঈশ্বরের ও মনুষ্যের দৃষ্টিতে পাইবে;
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
তব পবিত্র মন্দিরের অভিমুখে প্রণিপাত করিব, তব দয়া ও তব সত্য প্রযুক্ত তোমার নামের স্তব করিব; কেননা তোমার সমস্ত নাম অপেক্ষা তুমি আপন বচন মহিমান্বিত করিয়াছ।
আর যে সকল লোক এই সূত্রানুসারে চলিবে, তাহাদের উপরে “শান্তি” ও দয়া বর্তুক, ঈশ্বরের “ইস্রায়েলের উপরে বর্তুক”।
কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হইবে, সেই পর্যন্ত ব্যবস্থার এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হইবে না, সমস্তই সফল হইবে।
পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
তোমার বংশীয় লোকেরা পুরাকালের উৎসন্ন স্থান সকল নির্মাণ করিবে; তুমি বহু পুরুষ পূর্বের ভিত্তিমূল সকলের উপরে গাঁথিয়া তুলিবে, এবং ভগ্নস্থান-সংস্কারক ও নিবাসার্থক পথসমূহের উদ্ধারক বলিয়া আখ্যাত হইবে।
যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে বিশ্বস্ত, সে প্রচুর বিষয়েও বিশ্বস্ত; আর যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে অধার্মিক, সে প্রচুর বিষয়েও অধার্মিক।
কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।
তিনি আপন পালখে তোমাকে আবৃত করিবেন, তাঁহার পক্ষের নিচে তুমি আশ্রয় পাইবে; তাঁহার সত্য ঢাল ও তনুত্রাণস্বরূপ।
কিন্তু আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বর্ধিষ্ণু হও। এখন ও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁহার গৌরব হউক। আমেন।
আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।
একজন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা কহিও না; কেননা তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াসুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ, এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান করিয়াছ,
কেননা ফল দ্বারাই গাছ চেনা যায়। হে সর্পের বংশেরা, তোমরা মন্দ হইয়া কেমন করিয়া ভাল কথা কহিতে পার? কেননা হৃদয় হইতে যাহা ছাপিয়া উঠে, মুখ তাহাই বলে।
কিন্তু ঈশ্বরের কাছে নাই; কেননা শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল।”
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;সেই ব্যক্তি উচ্চস্থানে বাস করিবে, শৈলগণের দুরাক্রম স্থান তাহার দুর্গস্বরূপ হইবে; তাহাকে ভক্ষ্য দেওয়া যাইবে, সে নিশ্চয়ই জল পাইবে।
হে অবোধ গালাতীয়েরা, কে তোমাদিগকে মুগ্ধ করিল? তোমাদেরই চক্ষের সম্মুখে যীশু খ্রীষ্ট ত ক্রুশারোপিত বলিয়া স্পষ্টাক্ষরে লিখিত হইয়াছিলেন।
অতএব আইস, আমরা পুরাতন তাড়ী দিয়া নয়, হিংসা ও দুষ্টতার তাড়ী দিয়া নয়, কিন্তু সরলতা ও সত্যশীলতার তাড়ীশূন্য রুটি দিয়া পর্বটি পালন করি।
হে সদাপ্রভু, আমাদিগকে নয়, আমাদিগকে নয়, কিন্তু তোমারই নাম গৌরবান্বিত কর, তোমার দয়ার অনুরোধে, তোমার সত্যের অনুরোধে।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আমি আপন নামে শপথ করিয়াছি, আমার মুখ হইতে ধার্মিকতা নির্গত হইয়াছে, একটি বাক্য, যাহা ফিরিয়া আসিবে না, বস্তুতঃ আমার কাছে প্রত্যেক হাঁটু পাতিত হইবে, প্রত্যেক জিহ্বা শপথ করিবে।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আমরা যদি বলি যে, তাঁহার সহিত আমাদের সহভাগিতা আছে, আর যদি অন্ধকারে চলি, তবে মিথ্যা বলি, সত্য আচরণ করি না।
কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক যে, তোমরা পাপের দাস ছিলে বটে, পরন্তু শিক্ষার যে আদর্শে সমর্পিত হইয়াছ, অন্তঃকরণের সহিত সেই আদর্শের আজ্ঞাবহ হইয়াছ;
কারণ ঈশ্বরের যত প্রতিজ্ঞা, তাঁহাতেই সেই সকলের ‘হাঁ’ হয়, সেই জন্য তাঁহার দ্বারা ‘আমেন’ও হয়, যেন আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের গৌরব হয়।
ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
অতএব যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন করে, তাহাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে পাষাণের উপরে তাহার গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে লাগিল, তথাপি তাহা পড়িল না, কারণ পাষাণের উপরে তাহার ভিত্তিমূল স্থাপিত হইয়াছিল।