তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছো, আমরা কতটা সময় ব্যয় করি নিজেদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের পেছনে? ভালো দেখাতে চাওয়া খারাপ কিছু না, কিন্তু ভেতরের সৌন্দর্যের যত্ন না নিলে জীবনের প্রকৃত অর্থ হারিয়ে যায়। এই ব্যস্ত জীবনে, ব্র্যান্ডের পোশাক আর ফ্যাশনের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা অনেক সময় ভুলেই যাই, আসল গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের অন্তরের সৌন্দর্য।
বাইবেলে ইফিষীয় ৪:২৪ পদে বলা আছে, "ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট নতুন মানুষের মতো জীবন যাপন করো। সেই জীবন ধার্মিক ও পবিত্র।" ঈশ্বর চান না তুমি শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকো, ভেতরে যদি অপবিত্রতা থাকে। তিনি চান না তুমি এমন কিছু ধারণ করো যা অশুচি, যা তাঁর প্রশংসাযোগ্য নয়।
এই মুহূর্তে, পবিত্র আত্মা তোমাকে পবিত্রতার পোশাক পরিধান করার জন্য আহ্বান করছেন। যীশুকে তোমার হৃদয়ে গ্রহণ করার পর, পবিত্রতার মাধ্যমে তোমার পরিত্রাণ বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে, কারণ পবিত্রতা ছাড়া তুমি যীশুকে দেখতে পাবে না।
যা কিছু তোমার অন্তরকে কলুষিত করে, যা কিছু অন্যায়, যা কিছু পবিত্র আত্মাকে দুঃখ দেয় এবং তোমাকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়, সেই সব কিছু থেকে মুক্ত হও। ঈশ্বর চান না তোমার জীবন নষ্ট হোক। এখনই যীশুর সঙ্গে তোমার জীবনকে ঠিক করে নাও, এবং তোমার সর্বোত্তম পোশাক হোক পবিত্রতা।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
এবং সেই নূতন মনুষ্যকে পরিধান কর, যাহা সত্যের ধার্মিকতায় ও সাধুতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হইয়াছে।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম ও তাঁহার স্ত্রীর নিমিত্ত চর্মের বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া তাঁহাদিগকে পরাইলেন।
যে জয় করে, সে তদ্রূপ শুক্ল বস্ত্র পরিহিত হইবে; এবং আমি তাহার নাম কোন ক্রমে জীবন-পুস্তক হইতে মুছিয়া ফেলিব না, কিন্তু আমার পিতার সাক্ষাতে ও তাঁহার দূতগণের সাক্ষাতে তাহার নাম স্বীকার করিব।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
আর তোমার ভ্রাতা হারোণের জন্য, গৌরব ও শোভার নিমিত্তে তুমি পবিত্র বস্ত্র প্রস্তুত করিবে।
এই সকল বস্ত্র তাহারা প্রস্তুত করিবে- বুকপাটা, এফোদ, পরিচ্ছদ, চিত্রিত অঙ্গ রক্ষক বস্ত্র, উষ্ণীষ ও কটিবন্ধন; তাহারা আমার যাজনার্থে তোমার ভ্রাতা হারোণের ও তাহার পুত্রগণের নিমিত্তে পবিত্র বস্ত্র প্রস্তুত করিবে।
তিনি আপনার জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন। তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনে বস্ত্র।
আর বস্ত্রের নিমিত্ত কেন ভাবিত হও? ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেইগুলি কেমন বাড়ে;সেই সকল শ্রম করে না, সূতাও কাটে না; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটির ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না।কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমার দক্ষিণ হস্ত কি করিতেছে, তাহা তোমার বাম হস্তকে জানিতে দিও না।ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?
যদি তুমি আপন প্রতিবাসীর বস্ত্র বন্ধক রাখ, তবে সূর্যাস্তের পূর্বে তাহা ফিরাইয়া দিও;কেননা তাহা তাহার একমাত্র আচ্ছাদন, তাহার গাত্রের বস্ত্র; সে কিসে শয়ন করিবে? আর যদি সে আমার কাছে ক্রন্দন করে, তবে আমি তাহা শুনিব, কেননা আমি কৃপাবান।
তোমরা আমার বিধি সকল পালন করিও। তুমি ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পশুর সহিত আপন পশুদিগকে সংসর্গ করিতে দিও না; তোমার এক ক্ষেত্রে দুই প্রকার বীজ বুনিও না, এবং দুই প্রকার সূত্রে মিশ্রিত বস্ত্র গাত্রে দিও না।
কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে পরিধান কর, অভিলাষ পূর্ণ করিবার জন্য নিজ মাংসের নিমিত্ত চিন্তা করিও না।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি অতি মহান; তুমি প্রভা ও প্রতাপ পরিহিত।তিনি তলভূমিতে প্রবাহ প্রেরণ করিয়া থাকেন; সেই সকল পর্বতগণের মধ্যে ভ্রমণ করে।সেই সকল মাঠের সমস্ত পশুকে জল দেয়; বনগর্দভেরা তৃষ্ণা নিবারণ করে।সেই সকলের তীরে আকাশের পক্ষিগণ বাসা করে, ডালের মধ্য হইতে নিজ নিজ রব শুনায়।তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।পরিতৃপ্ত হইয়াছে সদাপ্রভুর বৃক্ষ সকল, লিবানোনের সেই এরস বৃক্ষরাজি, যাহা তিনি রোপণ করিয়াছেন।তাহার মধ্যে ক্ষুদ্র পক্ষিগণ বাসা করে; দেবদারু বৃক্ষ হাড়গিলার বাটী।উচ্চ পর্বত সকল বনচ্ছাগের আবাস, শৈল সকল শাফন পশুর আশ্রয়।তিনি ঋতুর জন্য চন্দ্র নির্মাণ করিয়াছেন, সূর্য আপন অস্তগমনের সময় জানে।তুমি বস্ত্রের ন্যায় দীপ্তি পরিধান করিয়াছ, আকাশমণ্ডলকে চন্দ্রাতপের ন্যায় বিস্তার করিয়াছ।
আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।
কিন্তু স্ত্রীলোক যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তাহা তাহার গৌরবের বিষয়, কারণ সেই চুল আবরণের পরিবর্তে তাহাকে দেওয়া হইয়াছে।
পরে তাঁহারা হারোণের ও তাঁহার পুত্রগণের জন্য সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা তন্তুবায়ের নির্মিত অঙ্গরক্ষিণী,
সে মসীনার পবিত্র অঙ্গরক্ষিণী পরিধান করিবে, মসীনার জাঙ্গিয়া পরিধান করিবে, মসীনার কটিবদ্ধন পরিবে, এবং মসীনার উষ্ণীষে বিভূষিত হইবে; এই সকল পবিত্র বস্ত্র; সে জলে আপন শরীর ধৌত করিয়া এই সকল পরিধান করিবে।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের- প্রতাপের প্রভুর- বিশ্বাস মুখাপেক্ষার সহিত ধারণ করিও না।কারণ যে কেহ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে, কেবল একটি বিষয়ে উছোট খায়, সে সকলেরই দায়ী হইয়াছে।কেননা যিনি বলিয়াছেন, “ব্যভিচার করিও না,” তিনিই আবার বলিয়াছেন, “নরহত্যা করিও না;” ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করিয়া নরহত্যা কর, তাহা হইলে ব্যবস্থার লঙ্ঘনকারী হইয়াছ।তোমরা স্বাধীনতার ব্যবস্থা দ্বারা বিচারিত হইবে বলিয়া তদনুরূপ কথা বল ও কার্য কর।কেননা যে ব্যক্তি দয়া করে নাই, বিচার তাহার প্রতি নির্দয়; দয়াই বিচারজয়ী হইয়া শ্লাঘা করে।হে আমার ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তাহার কর্ম না থাকে, তবে তাহার কি ফল দর্শিবে? সেই বিশ্বাস কি তাহার পরিত্রাণ করিতে পারে?কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন ও দৈনিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে,কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে?তদ্রূপ বিশ্বাসও কর্মবিহীন হইলে আপনি একা বলিয়া তাহা মৃত।কিন্তু কেহ বলিবে, তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কর্ম আছে; তোমার কর্মবিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কর্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব।তুমি বিশ্বাস করিতেছ যে, ঈশ্বর এক, ভালই করিতেছ; ভূতেরাও তাহা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।কেননা যদি তোমাদের সমাজগৃহে স্বর্ণময় অঙ্গুরীয়ে ও শুভ্র বস্ত্রে ভূষিত কোন ব্যক্তি আইসে, এবং মলিন বস্ত্র পরিহিত কোন দরিদ্রও আইসে,কিন্তু হে অসার মনুষ্য, তুমি কি জানিতে চাও যে, কর্মবিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়।আমাদের পিতা অব্রাহাম কর্মহেতু, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে আপন পুত্র ইস্হাককে উৎসর্গ করণ হেতু, কি ধার্মিক গণিত হইলেন না?তুমি দেখিতেছ, বিশ্বাস তাহার ক্রিয়ার সহকারী ছিল, এবং কর্ম হেতু বিশ্বাস সিদ্ধ হইল;তাহাতে এই শাস্ত্রীয় বচন পূর্ণ হইল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল”, আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পাইলেন।তোমরা দেখিতেছ, কর্মহেতু মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়, শুধু বিশ্বাস হেতু নয়।আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই প্রকারে কর্মহেতু ধার্মিকা গণিত হইল না? সে ত দূতগণকে অতিথি করিয়াছিল, এবং অন্য পথ দিয়া বাহিরে পাঠাইয়া দিয়াছিল।বাস্তবিক যেমন আত্মাবিহীন দেহ মৃত, তেমন কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত।আর তোমরা সেই শুভ্রবস্ত্র পরিহিত ব্যক্তির মুখ চাহিয়া বল, ‘আপনি এখানে উত্তম স্থানে বসুন,’ কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, ‘তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পাদপীঠের তলে বস,’তাহা হইলে তোমরা কি আপনাদের মধ্যে ভেদাভেদ করিতেছ না, এবং মন্দ বিতর্কে লিপ্ত বিচারকর্তা হইতেছ না?
সদাপ্রভু আরও কহিলেন, সিয়োনের কন্যাগণ গর্বিতা, তাহারা গলা বাড়াইয়া কটাক্ষ করিয়া বেড়ায়, লঘু পদসঞ্চারে চলে, ও চরণে রুণু রুণু শব্দ করে।অতএব প্রভু সিয়োনের কন্যাগণের মস্তক টাকপড়া করিবেন, ও সদাপ্রভু তাহাদের গুহ্যস্থান অনাবৃত করিবেন।সেই দিন প্রভু তাহাদের নূপুর, জালিবস্ত্র,চন্দ্রহার, ঝুম্কা, চুড়ি, ঘোমটা, ললাটভূষণ,বীর ও যোদ্ধা, বিচারকর্তা, ভাববাদী, মন্ত্রজ্ঞ ও বৃদ্ধ,পায়ের মল, হেলিয়া , আতরের কৌটা,বাজু অঙ্গুরীয়ক, নথ, চিত্রবস্ত্র,ঘাগরা, শাল, গেঁজিয়া, দর্পণ, মসীনা-বস্ত্র,উষ্ণীষ ও আবরক বস্ত্ররূপ বেশভূষা খুলিয়া লইবেন।আর সুগন্ধির পরিবর্তে পচন, হেলিয়ার পরিবর্তে রজ্জু, সুন্দর কেশবিন্যাসের পরিবর্তে টাক, চাদরের পরিবর্তে চটের পটুকা, ও সৌন্দর্যের পরিবর্তে দাগ হইবে।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
আর তুমি নির্মল স্বর্ণের এক পাত প্রস্তুত করিয়া মুদ্রার ন্যায় তাহার উপরে ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র’ এই কথা খোদাই করিবে।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আমার প্রাণ তৃপ্ত হইবে, যেমন মেদ ও মজ্জাতে হয়, আমার মুখ আনন্দপূর্ণ ওষ্ঠাধরে তোমার প্রশংসা করিবে।
এই কথা আমি অনটন সম্বন্ধে বলিতেছি না, কেননা আমি যে অবস্থায় থাকি, তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে শিখিয়াছি।আমি অবনত হইতে জানি, উপচয় ভোগ করিতেও জানি; প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি।
অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে,‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে, এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে।
সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাহাকেও দেখিয়া ফিরিয়া যায় না;যুদ্ধের অশ্ব, আর ছাগ, এবং রাজা, যাঁহার বিরুদ্ধে কেহ উঠে না।
যোষেফ ইস্রায়েলের বৃদ্ধাবস্থার সন্তান, এই জন্য ইস্রায়েল সকল পুত্র অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালবাসিতেন, এবং তাহাকে একখানি চোগা প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন।
তুমি ভীত হইও না, যখন কেহ ধনবান হয়, যখন তাহার কুলের ঐশ্বর্য বৃদ্ধি পায়,কেননা মরণকালে সে কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইবে না, তাহার ঐশ্বর্য তাহার অনুগমন করিবে না।
তুমি চারিদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, এই সকলে একত্র হইয়া তোমার কাছে আসিতেছে। সদাপ্রভু কহেন, আমার জীবনের দিব্য, তুমি ভূষণের ন্যায় এই সকলকে পরিধান করিবে, কন্যার মেখলার ন্যায় এই সকলকে ধারণ করিবে।
কেননা পূর্বকালের যে পবিত্র নারীগণ ঈশ্বরে প্রত্যাশা রাখিতেন, তাঁহারাও সেই প্রকারে আপনাদিগকে ভূষিত করিতেন, আপন আপন স্বামীর বশীভূত হইতেন;
তুমি তাহা জলধি-বস্ত্রে আচ্ছাদন করিয়াছিলে; পর্বতগণের উপরে জল দাঁড়াইয়াছিল।তোমার ভর্ৎসনায় সেই জল পলায়ন করিল, তোমার বজ্রনাদে তাহা বেগে প্রস্থান করিল।পর্বতগণ উচ্চ হইল, সমস্থলী নিম্ন হইল, তুমি জলের জন্য যে স্থান প্রস্তুত করিয়াছিলে, জল তথায় গেল।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?
সে বিতরণ করিয়াছে, দরিদ্রদিগকে দান করিয়াছে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী; তাহার শৃঙ্গ গৌরবে উন্নত হইবে।
আর তুমি চিত্রিত সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা অঙ্গ রক্ষিণী বুনিবে, ও সাদা মসীনা সূত্র দ্বারা উষ্ণীষ প্রস্তুত করিবে; এবং কটিবন্ধনটি সূচি দ্বারা শিল্পিত করিবে।
অতএব আমার বাসনা এই, সকল স্থানে পুরুষেরা বিনা ক্রোধে ও বিনা বির্তকে শুচি হস্ত তুলিয়া প্রার্থনা করুক।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?
আত্মপূজা, নম্রতা ও কৃচ্ছ্রসাধন এই সকল জ্ঞান নামে কীর্তিত বটে, তথাপি মাংসের পোষকতার বিরুদ্ধে কিছুর মধ্যে গণ্য নহে।
সে অভিশাপকে বস্ত্রের ন্যায় পরিধান করিত, তাহা তাহার অন্তরে জলের ন্যায় প্রবেশ করিল, তাহার অস্থিতে তৈলের ন্যায় প্রবিষ্ট হইল।
যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
পরে রাজা অতিথিদিগকে দেখিবার জন্যে ভিতরে আসিয়া এমন এক ব্যক্তিকে দেখিতে পাইলেন, যাহার বিবাহ-বস্ত্র ছিল না;তিনি তাহাকে কহিলেন, হে বন্ধু, তুমি কেমন করিয়া বিবাহ-বস্ত্র বিনা এখানে প্রবেশ করিলে?
আমি অলসের ক্ষেত্রের পার্শ্ব দিয়া গেলাম, হীনবুদ্ধির দ্রাক্ষার উদ্যানের নিকট দিয়া গেলাম;আর দেখ, তৎসমুদয় কাঁটাবন হইয়া উঠিয়াছে, বিছুটি তাহার পৃষ্ঠ আচ্ছন্ন করিয়াছে, তাহার প্রস্তরময় প্রাচীর ভগ্ন হইয়াছে।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাঁহাকে তোমরা ঈশ্বর হইতে প্রাপ্ত হইয়াছ?অথবা তোমরা কি জান না যে, পবিত্রগণ জগতের বিচার করিবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমাদের দ্বারা হয়, তবে তোমরা কি যৎসামান্য বিষয়ের বিচার করিবার অযোগ্য?আর তোমরা নিজের নও, কারণ মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছ। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের গৌরব কর।
আর যখন হারোণ ও তাহার পুত্রগণ সমাগম-তাম্বুতে প্রবেশ করিবে, কিম্বা পবিত্র স্থানে পরিচর্যা করণার্থে বেদির নিকটবর্তী হইবে, তৎকালে যেন অপরাধ বহিয়া না মরে, এই জন্য তাহারা এই বস্ত্র পরিধান করিবে। ইহা হারোণ ও তাহার ভাবী বংশের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি।
তিনি আপন পালখে তোমাকে আবৃত করিবেন, তাঁহার পক্ষের নিচে তুমি আশ্রয় পাইবে; তাঁহার সত্য ঢাল ও তনুত্রাণস্বরূপ।
পুরাতন বস্ত্রে কেহ নূতন কাপড়ের তালি দেয় না, কেননা তাহার তালিতে বস্ত্র ছিঁড়িয়া যায়, এবং আরও মন্দ ছিদ্র হয়।
তিনি প্রত্যেক জনকে এক এক জোড়া বস্ত্র দিলেন, কিন্তু বিন্যামীনকে তিনশত রৌপ্যমুদ্রা ও পাঁচ জোড়া বস্ত্র দিলেন।
যাহারা হস্তে তালি দেয় ও ঋণের জামিন হয়, তাহাদের মধ্যে তুমি একজন হইও না।যদি তোমার পরিশোধের সঙ্গতি না থাকে, তবে গায়ের নিচে হইতে তোমার শয্যা নীত হইবে কেন?
তাহা মস্তকে নিষিক্ত উৎকৃষ্ট তৈল-সদৃশ, যাহা দাড়িতে, হারোণের দাড়িতে ক্ষরিয়া পড়িল, তাঁহার বস্ত্রের গলায় ক্ষরিয়া পড়িল।
আবার ঈশ্বর যে কোন ব্যক্তিকে ধন-সম্পত্তি দান করেন, তাহাকে তাহা ভোগ করিতে, আপন অংশ লইতে ও আপন পরিশ্রমে আনন্দ করিতে ক্ষমতা দেন, ইহাই ঈশ্বরের দান।
আর খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়ে কর্তৃত্ব করুক; তোমরা ত তাহারই নিমিত্ত এক দেহে আহূত হইয়াছ; আর কৃতজ্ঞ হও।খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
সদাপ্রভু, আমার চিত্ত গর্বিত নয়, আমার দৃষ্টি উচ্চ নয়, আমি ব্যাপৃত হই নাই মহৎ বিষয়ে, আমার বোধের অতীত আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয়ে।আমি আপন প্রাণকে শান্ত দান্ত করিয়াছি, সেই শিশুর ন্যায়, যে স্তন্য ছাড়িয়া মাতার সঙ্গে আছে, আমার প্রাণ ত্যক্তস্তন্য শিশুর ন্যায় আমার সঙ্গে আছে।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
আর সুগন্ধির পরিবর্তে পচন, হেলিয়ার পরিবর্তে রজ্জু, সুন্দর কেশবিন্যাসের পরিবর্তে টাক, চাদরের পরিবর্তে চটের পটুকা, ও সৌন্দর্যের পরিবর্তে দাগ হইবে।তোমরা পুরুষেরা খড়্গ দ্বারা, ও তোমার বিক্রমিগণ সংগ্রামে পতিত হইবে।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
দরিদ্র আপন প্রতিবাসীরও ঘৃণিত, কিন্তু ধনবানের অনেক বন্ধু আছে।যে প্রতিবাসীকে তুচ্ছ করে, সে পাপ করে; কিন্তু যে দীনহীনদের প্রতি দয়া করে, সে ধন্য।
তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,
কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।
তখন যাকোব আপন পরিজন ও সঙ্গী লোক সকলকে কহিলেন, তোমাদের কাছে যে সকল বিজাতীয় দেবতা আছে তাহাদিগকে দূর কর এবং শুচি হও, ও অন্য বস্ত্র পর।
কিন্তু এখন, হে যাকোব, তোমার সৃষ্টিকর্তা, হে ইস্রায়েল, তোমার নির্মাণকর্তা সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ভয় করিও না, কেননা আমি তোমাকে মুক্ত করিয়াছি, আমি তোমার নাম ধরিয়া তোমাকে ডাকিয়াছি, তুমি আমার।
সদাপ্রভুর কাছে আমি একটি বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।
বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে; পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে; কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।
কারণ তোমরা যত লোক খ্রীষ্টের উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছ, সকলে খ্রীষ্টকে পরিধান করিয়াছ।যিহূদী কি গ্রীক আর হইতে পারে না, দাস কি স্বাধীন আর হইতে পারে না, নর ও নারী আর হইতে পারে না, কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে তোমরা সকলেই এক।
তিনি মেষলোমের সদৃশ তুষার দেন, তিনি ভস্মের ন্যায় নীহার ছড়াইয়া দেন।তিনি খণ্ড খণ্ড করিয়া আপন হিমানী পাঠান; তাঁহার শীতের সম্মুখে কে দাঁড়াইতে পারে?তিনি আপন বাক্য পাঠাইয়া সেই সমস্ত দ্রবীভূত করেন, তিনি আপন বায়ু বহাইলে জল প্রবাহিত হয়।