105 ধর্মগ্রন্থের ন্যায়বিচারের বাণী

তোমার সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই, আর তা হলো ঈশ্বরের অটল ন্যায়বিচার। ভাবো, ঈশ্বর কতটা নিখুঁত আর পবিত্র! তার এই পবিত্রতা আর নির্ভুলতার প্রকাশই হলো তার ন্যায়বিচার। যা তার সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ঈশ্বর যা পবিত্র তার বিপরীত যা কিছু অপবিত্র, তার বিরুদ্ধে ঈশ্বর দাঁড়িয়ে আছেন। এভাবেই তিনি তার পরিপূর্ণ পবিত্রতা প্রকাশ করেন। তার ন্যায়বিচার আমাদের জন্য এক অসাধারণ আশ্বাস।

রোমীয় ২:৬-১০ পদে বলা হয়েছে, "ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন। যারা ভালো কাজ করে গৌরব, সম্মান ও অমরত্ব লাভের জন্য চেষ্টা করে, তাদেরকে তিনি অনন্ত জীবন দান করবেন। কিন্তু যারা বিবাদ করে ও সত্যের অবাধ্য হয়ে অন্যায়ের পথে চলে, তাদের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ ও কোপ অপেক্ষা করছে। যারা মন্দ কাজ করে, তাদের উপর ক্লেশ ও দুঃখ নেমে আসবে, প্রথমে ইহুদীদের উপর এবং পরে অন্য সব জাতির উপর। কিন্তু যারা ভালো কাজ করে, তাদের উপর গৌরব, সম্মান ও শান্তি বর্ষিত হবে, প্রথমে ইহুদীদের উপর এবং পরে অন্য সব জাতির উপর।"

ভাবো, ঈশ্বর ন্যায়বান বলেই তার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত। এই ন্যায়বিচার তার সত্তার প্রকাশ। এটা আমাদের জন্য কত বড় আশ্বাসের কথা!

আর স্বর্গ তাঁহার ধর্মশীলতা জ্ঞাত করিবে, কেননা ঈশ্বর স্বয়ং বিচারকর্তা। [সেলা]

আর তোমরা বিচার করিও না, তাহাতে বিচারিত হইবে না। আর দোষী করিও না, তাহাতে দোষীকৃত হইবে না। তোমরা ছাড়িয়া দিও, তাহাতে তোমাদেরও ছাড়িয়া দেওয়া যাইবে।

আমি মনে মনে বলিলাম, ঈশ্বরই ধার্মিকের ও দুষ্টের বিচার করিবেন, কেননা সেখানে সমস্ত ব্যাপারের নিমিত্ত এবং সমস্ত কর্মের নিমিত্ত বিশেষ কাল আছে।

তিনি ধার্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন; পৃথিবী সদাপ্রভুর দয়াতে পরিপূর্ণ।

কেননা আমি সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসি, অধর্মযুক্ত অপহরণ ঘৃণা করি; আর আমি সত্যে তাহাদের ক্রিয়ার ফল দিব, ও তাহাদের সহিত চিরস্থায়ী এক নিয়ম করিব।

সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য; তিনি পরাক্রমে মহান, তিনি ন্যায়বিচার ও প্রচুর ধর্মগুণ বিপরীত করেন না।

হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”

কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।

আমি জানি, সদাপ্রভু দুঃখীর বিবাদ, ও দরিদ্রবর্গের বিচার নিষ্পন্ন করিবেন।

তিনি পিতৃহীনের ও বিধবার বিচার নিষপন্ন করেন, এবং বিদেশীকে প্রেম করিয়া অন্নবস্ত্র দেন।

আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।

প্রত্যেক প্রাণী প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষদের বশীভূত হউক; কেননা ঈশ্বরের নিরূপণ ব্যতিরেকে কর্তৃত্ব হয় না; এবং যে সকল কর্তৃপক্ষ আছেন, তাঁহারা ঈশ্বর নিযুক্ত।

পরে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে কহিলেন, তোমরা মুষ্টি পূর্ণ করিয়া ভাটির ভস্ম লও, পরে মোশি ফরৌণের সাক্ষাতে তাহা আকাশের দিকে ছড়াইয়া দিউক।

আর সেই জন্য সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিবার আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষা করিবেন, আর সেই জন্য তোমাদের প্রতি করুণা করিবার আকাঙ্ক্ষায় ঊর্ধ্বে থাকিবেন; কেননা সদাপ্রভু ন্যায় বিচারের ঈশ্বর; ধন্য তাহারা সকলে, যাহারা তাঁহার অপেক্ষা করে।

তিনি শৈল, তাঁহার কর্ম সিদ্ধ, কেননা তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁহাতে অন্যায় নাই; তিনিই ধর্মময় ও সরল।

ধর্মশীলতা ও ন্যায়বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল; দয়া ও সত্য তোমার শ্রীমুখের অগ্রগামী।

হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?

কিন্তু সদাপ্রভু চিরকাল সমাসীন থাকিবেন; তিনি বিচারার্থে আপন সিংহাসন স্থাপন করিয়াছেন।আর তিনিই ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, ন্যায়ে জাতিগণের শাসন করিবেন।

তিনি ত প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কার্যানুযায়ী ফল দিবেন,

দীনহীন ও পিতৃহীন লোকদের বিচার কর; দুঃখী ও অকিঞ্চনদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার কর।দীনহীন ও দরিদ্রকে নিস্তার কর; দুষ্ট লোকদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার কর।

ন্যায়াচরণ ধার্মিকের পক্ষে আনন্দ, কিন্তু অধর্মাচারীদের পক্ষে তাহা সর্বনাশ।

তিনি উপদ্রুতদের পক্ষে ন্যায়বিচার করেন, তিনি ক্ষুধিতদিগকে খাদ্য দান করেন; সদাপ্রভু বন্দিদিগকে মুক্ত করেন।সদাপ্রভু অন্ধদের চক্ষু খুলিয়া দেন; সদাপ্রভু অবনতদিগকে উত্থাপন করেন; সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে প্রেম করেন।সদাপ্রভু বিদেশীদের রক্ষাকারী; তিনি পিতৃহীন ও বিধবাকে সুস্থির রাখেন, কিন্তু দুষ্টগণের পথ বক্র করেন।

কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব;” আবার, “প্রভু আপন প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।”

তোমার বাক্যের সমষ্টি সত্য, তোমার ধর্মময় প্রত্যেক শাসন চিরস্থায়ী।

বাস্তবিক ঈশ্বরের কাছে ইহা ন্যায্য যে, যাহারা তোমাদিগকে ক্লেশ দেয়, তিনি তাহাদিগকে প্রতিফলরূপে ক্লেশ দিবেন,

সদাপ্রভু ধর্মকার্য সাধন করেন, উপদ্রুত লোকদের পক্ষে বিচার নিষপত্তি করেন।

হে ঈশ্বর, তুমি রাজাকে আপনার শাসন, রাজপুত্রকে আপনার ধর্মশীলতা প্রদান কর।তর্শীশ ও দ্বীপগণের রাজগণ নৈবেদ্য আনিবেন; শিবা ও সবার রাজগণ উপহার দিবেন।হাঁ, সমুদয় রাজা তাঁহার কাছে প্রণিপাত করিবেন; সমুদয় জাতি তাঁহার দাস হইবে।কেননা তিনি আর্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন।তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন।তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে;আর তাহারা জীবিত থাকিবে; ও তাঁহাকে শিবার সুবর্ণ দান করা যাইবে, লোকে তাঁহার নিমিত্ত নিরন্তর প্রার্থনা করিবে, সমস্ত দিন তাঁহার ধন্যবাদ করিবে।দেশমধ্যে পর্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে, তাহার ফল লিবানোনের ন্যায় দোলায়মান হইবে; এবং নগরবাসীরা ভূমির তৃণের ন্যায় প্রফুল্ল হইবে।তাঁহার নাম অনন্তকাল থাকিবে; সূর্যের স্থিতি পর্যন্ত তাঁহার নাম সতেজ থাকিবে; মনুষ্যেরা তাঁহাতে আশীর্বাদ পাইবে; সমুদয় জাতি তাঁহাকে ধন্য ধন্য বলিবে।ধন্য সদাপ্রভু ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর; কেবল তিনিই আশ্চর্য ক্রিয়া করেন।তাঁহার গৌরবান্বিত নাম অনন্তকাল ধন্য; তাঁহার গৌরবে সমস্ত পৃথিবী পরিপূর্ণ হউক। আমেন, আমেন।তিনি ধার্মিকতায় তোমার প্রজাগণের, ন্যায়ে তোমার দুঃখীদের বিচার করিবেন।

অনেকে শাসনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করে; কিন্তু মনুষ্যের বিচার সদাপ্রভু হইতেই হয়।

ঐ দেখ, আমার দাস, আমি তাঁহাকে ধারণ করি; তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত; আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিলাম; তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায় বিচার উপস্থিত করিবেন।

তিনি দীপ্তির ন্যায় তোমার ধর্ম, মধ্যাহ্নের ন্যায় তোমার বিচার প্রকাশ করিবেন।

মেঘ ও অন্ধকার তাঁহার চারিদিকে বিদ্যমান, ধর্মশীলতা ও বিচার তাঁহার সিংহাসনের ভিত্তিমূল।

দরিদ্র প্রতিবাসীর বিচারে তাহার প্রতি অন্যায় করিও না।মিথ্যা বিষয় হইতে দূরে থাকিও, এবং নির্দোষের কি ধার্মিকের প্রাণ নষ্ট করিও না, কেননা আমি দুষ্টকে নির্দোষ করিব না।

ধিক্‌ সেই ব্যবস্থাপকদিগকে, যাহারা অধর্মের ব্যবস্থা স্থাপন করে, ও সেই লেখকদিগকে, যাহারা উপদ্রব লিখে;সেই সকল প্রতিমার রাজ্য আমার হস্তগত হইয়াছে, সেইগুলির ক্ষোদিত মূর্তি যিরূশালেমের ও শমরিয়ার মূর্তি সকল অপেক্ষা উত্তম;আমি শমরিয়াকে ও তাহার প্রতিমা সকলকে যেরূপ করিয়াছি, যিরূশালেমকে ও তাহার পুত্তলী সকলকেও কি সেইরূপ করিব না?’অতএব এইরূপ ঘটিবে; সিয়োন পর্বতে ও যিরূশালেমে প্রভু আপনার সমস্ত কার্য সমাপ্ত করিলে পর আমি অশূর-রাজের চিত্তস্ফীতিরূপ ফলের ও তাহার উচ্চদৃষ্টিরূপ আড়ম্বরের প্রতিফল দিব।কেননা সে বলিয়াছে, ‘আমার হস্তের বল ও আমার বিজ্ঞতা দ্বারা আমি কার্য সিদ্ধ করিয়াছি, কেননা আমি বুদ্ধিমান; আমি জাতিগণের সীমা সকল দূর করিয়াছি, ও তাহাদের সঞ্চিত ধন লুট করিয়াছি; এবং বীরের ন্যায় আমি সুখাসীনদিগকে নিচে নামাইয়াছি।আর পক্ষীর বাসার ন্যায় জাতিগণের ধন আমার হস্তগত হইয়াছে; লোকে যেমন পরিত্যক্ত ডিম্ব কুড়ায়, তেমনি আমি সমস্ত পৃথিবীকে সংগ্রহ করিয়াছি; পক্ষ নাড়িতে, কি ঠোঁট খুলিতে, কি চিঁ চিঁ শব্দ করিতে কেহ ছিল না।’কুড়ালি কি ছেদকের বিপরীতে দর্প করিবে? করপত্র কি করপত্রী হইতে আপনাকে শ্রেষ্ঠ মানিবে? যাহারা দণ্ড তুলে, দণ্ড যেন তাহাদিগকে চালনা করিতেছে; যে কাষ্ঠ নয়, যষ্টি যেন তাহাকে উঠাইতেছে। অতএব প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তাহার স্থূলকায় লোকদের মধ্যে কৃশতা প্রেরণ করিবেন, ও তাহার প্রতাপের নিচে অগ্নিদাহের ন্যায় দাহ হইবে।বাস্তবিক ইস্রায়েলের জ্যোতি অগ্নিস্বরূপ হইবেন, ও যিনি তাহার পবিত্রতম, তিনি শিখাসদৃশ হইবেন; তাহা এক দিনে উহার শ্যাকুল ও কণ্টক দগ্ধ করিয়া ভস্ম করিবে।আর তিনি তাহার বনের ও উদ্যানের গৌরবকে, প্রাণ ও শরীরকে, সংহার করিবেন; তাহাতে সে রোগীর ন্যায় ক্ষয় পাইবে।আর তাহার বনের অবশিষ্ট বৃক্ষ এমন অল্প হইবে যে, বালক তাহা গণনা করিয়া লিখিতে পারিবে।যেন দরিদ্রগণকে ন্যায়বিচার হইতে ফিরাইয়া দেয়, ও আমার দুঃখী প্রজাদের অধিকার হরণ করে, যেন বিধবারা তাহাদের লুটদ্রব্য হয়, আর তাহারা পিতৃহীনদিগকে তাহাদের লুন্ঠিত দ্রব্য করিতে পারে।

“আমি যখন নিরূপিত সময় উপস্থিত করিব, তখন আমিই ন্যায্য বিচার করিব।পৃথিবী ও তন্নিবাসিগণ বিলীন হইতেছে; আমি তাহার স্তম্ভ সকল স্থাপন করিয়াছি। [সেলা]

ঈশ্বর কি বিচারবিরুদ্ধ কর্ম করেন? সর্বশক্তিমান কি ধর্মবিপর্যয় করেন?

দুঃখীদের সর্বনাশ, দীনহীনের কাতরোক্তি প্রযুক্ত, আমি এক্ষণে উঠিব, ইহা সদাপ্রভু কহেন, আমি ত্রাণাকাঙ্ক্ষীর ত্রাণ করিব।

আর দয়াতে এক সিংহাসন স্থাপিত হইবে, একজন সত্যের প্রভাবে দায়ূদের তাম্বুতে সেই আসনে বসিবেন; তিনি বিচারকর্তা, বিচারে যত্নবান ও ধার্মিকতা-সাধনে সত্বর হইবেন।

অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।

যে দুষ্টকে নির্দোষ করে, ও যে ধার্মিককে দোষী করে, তাহারা উভয়েই সদাপ্রভুর ঘৃণাস্পদ।

সদাপ্রভু আপনার সমস্ত পথে ধর্মশীল, আপনার সমস্ত কার্যে দয়াবান।

রাত্রিকালে আমি প্রাণের সহিত তোমার আকাঙ্ক্ষা করিয়াছি; হাঁ, সযত্নে আমার অন্তরস্থ আত্মা দ্বারা তোমার অন্বেষণ করিব, কেননা পৃথিবীতে তোমার শাসন-কলাপ প্রচলিত হইলে, জগন্নিবাসীরা ধার্মিকতা শিক্ষা করিবে।

ধন্য যাহারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধিত ও তৃষিত, কারণ তাহারা পরিতৃপ্ত হইবে।

লোকবৃন্দ আহ্লাদিত হইয়া আনন্দগান করুক; যেহেতু তুমি ন্যায়ে জাতিগণের বিচার করিবে, পৃথিবীতে লোকবৃন্দের শাসন করিবে। [সেলা]

তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।

যেন এক্ষণে যথাকালে আপন ধার্মিকতা দেখান, যেন তিনি নিজে ধার্মিক থাকেন, এবং যে কেহ যীশুতে বিশ্বাস করে, তাহাকেও ধার্মিক গণনা করেন।

কেননা সদাপ্রভু ধর্মময়, ধর্মকর্মই ভালবাসেন; সরল লোক তাঁহার শ্রীমুখ দর্শন করিবে।

তুমি দেশে দরিদ্রের পীড়ন, কিম্বা বিচারের ও ধার্মিকতার খণ্ডন দেখিলে সেই ব্যাপারে চমৎকৃত হইও না, কেননা উচ্চপদান্বিত লোক অপেক্ষা উচ্চতর পদান্বিত এক রক্ষক আছেন; আবার যিনি উচ্চতম, তিনি উভয়ের কর্তা।আর দেশের ফল সকলেরই জন্য; ভূমির দ্বারা রাজা সেবিত হন।

রাজশাসন ফিরিয়া ধার্মিকতার কাছে আসিবে; সরলচিত্ত সকলে তাহার অনুগামী হইবে।

সদাপ্রভু বিদেশীদের রক্ষাকারী; তিনি পিতৃহীন ও বিধবাকে সুস্থির রাখেন, কিন্তু দুষ্টগণের পথ বক্র করেন।

আর বিচার পশ্চাতে হটিয়া পড়িয়াছে, এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে; বস্তুতঃ চকে সত্য উছোট খাইয়া পড়িয়াছে, ও সরলতা প্রবেশ করিতে পায় না।সত্য হারাইয়া গিয়াছে, দুষ্কর্মত্যাগী লোক লুণ্ঠিত হইতেছে।

কিন্তু তুমি কেন তোমার ভ্রাতার বিচার কর? কেনই বা তুমি তোমার ভ্রাতাকে তুচ্ছ কর? আমরা সকলেই ত ঈশ্বরের বিচারাসনের সম্মুখে দাঁড়াইব।কেননা লিখিত আছে, “প্রভু কহিতেছেন, আমার জীবনের দিব্য, আমার কাছে প্রত্যেক জানু পাতিত হইবে, এবং প্রত্যেক জিহ্বা ঈশ্বরের গৌরব স্বীকার করিবে।” সুতরাং আমাদের প্রত্যেক জনকে ঈশ্বরের কাছে আপন আপন নিকাশ দিতে হইবে।

সদাপ্রভু আপনার পরিচয় দিয়াছেন; তিনি বিচার সাধন করিয়াছেন; দুষ্ট স্বহস্তের কর্মপাশে বদ্ধ হইয়াছে। [হিগায়োন। সেলা]

সদাপ্রভুর চক্ষু সর্বস্থানেই আছে, তাহা অধম ও উত্তমদের প্রতি দৃষ্টি রাখে।

সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।

আমার চক্ষু ক্ষীণ হইতেছে, তোমার পরিত্রাণের জন্য, ও তোমার ধর্মময় বচনের জন্য।

কিন্তু বিচার জলবৎ প্রবাহিত হউক, ধার্মিকতা চিরপ্রবহমান স্রোতের ন্যায় বহুক।

অতএব, হে মনুষ্য, তুমি যে বিচার করিতেছ, তুমি যে কেহ হও, তোমার উত্তর দিবার পথ নাই; কারণ যে বিষয়ে তুমি পরের বিচার করিয়া থাক, সেই বিষয়ে আপনাকেই দোষী করিয়া থাক; কেননা তুমি যে বিচার করিতেছ, তুমি সেই মত আচরণ করিয়া থাক।

হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে? তোমার পবিত্র পর্বতে কে বসতি করিবে?যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্মকর্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।

পাপী যদিও শত বার দুষ্কর্ম করিয়া দীর্ঘকাল থাকে, তথাপি আমি নিশ্চয় জানি, ঈশ্বর-ভীত লোকদের, যাহারা ঈশ্বরের সাক্ষাতে ভীত হয়, তাহাদের মঙ্গল হইবে;

যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।

হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্‌ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।

ধন্য তাহারা, যাহারা ন্যায় রক্ষা করে, ধন্য সে, যে সতত ধর্মাচরণ করে।

দুষ্টের মুখাপেক্ষা করা ভাল নয়, তাহা করিলে বিচারে ধার্মিককে ঠেলিয়া ফেলা হয়।

ঈশ্বর নিতান্তই মঙ্গলস্বরূপ, ইস্রায়েলের পক্ষে, যাহারা শুদ্ধচিত্ত তাহাদের পক্ষে।

সর্বতোভাবে যাহা ন্যায্য তাহারই অনুগামী হইবে, তাহাতে তুমি জীবিত থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত দেশ অধিকার করিবে।

কিন্তু আমাদের অধার্মিকতা যদি ঈশ্বরের ধার্মিকতা সাব্যস্ত করে, তবে কি বলিব? ঈশ্বর, যিনি ক্রোধে প্রতিফল দেন, তিনি কি অন্যায়ী?- আমি মানুষের মত কহিতেছি-তাহা দূরে থাকুক, কেননা তাহা হইলে ঈশ্বর কেমন করিয়া জগতের বিচার করিবেন?

তখন সেই প্রান্তরে ন্যায়বিচার বাস করিবে, সেই ফলশালী ক্ষেত্রে ধার্মিকতা বসতি করিবে।আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।

তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না।আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই।কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতিকূলে কুসঙ্কল্প করে, তাহার বিরুদ্ধে দন্তঘর্ষণ করে।প্রভু তাহাকে উপহাস করিবেন, কেননা তিনি দেখেন, তাহার দিন আসিতেছে। দুষ্টেরা খড়্‌গ নিষ্কোষ ও ধনুক আকর্ষণ করিয়াছে,যেন দুঃখী ও দরিদ্রকে নিপাত করিতে পারে, যেন সরলপথগামীদিগকে বধ করিতে পারে,তাহাদের খড়্‌গ তাহাদেরই হৃদয়ে প্রবেশ করিবে, তাহাদের ধনুক ভাঙ্গিয়া যাইবে।ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল, বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে; কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন।সদাপ্রভু সিদ্ধদের দিন সকল জানেন; তাহাদের অধিকার চিরকাল থাকিবে।তাহারা বিপদকালে লজ্জিত হইবে না, দুর্ভিক্ষের সময়ে তৃপ্ত হইবে।কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে।

দুরাচারেরা বিচার বুঝে না, কিন্তু সদাপ্রভুর অন্বেষীরা সকলই বুঝে।

তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাহার উপর ভার রাখিতেন।

তিনি নির্মাণ করিয়াছেন আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও তাহার মধ্যে যাহা কিছু আছে; তিনি অনন্তকাল সত্য পালন করেন।

দুষ্ট লোক কৃপা পাইলেও ধার্মিকতা শিখে না; সরলতার দেশে সে অন্যায় করে, সদাপ্রভুর মহিমা দেখে না।

আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।

তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, “চক্ষুর পরিশোধে চক্ষু ও দন্তের পরিশোধে দন্ত”।কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা দুষ্টের প্রতিরোধ করিও না; বরং যে কেহ তোমার দক্ষিণ গালে চড় মারে, অন্য গাল তাহার দিকে ফিরাইয়া দেও।

দয়া ও সত্য পরস্পর মিলিল, ধার্মিকতা ও শান্তি পরস্পর চুম্বন করিল।

আরও আমি সূর্যের নিচে, বিচারের স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে; এবং ধার্মিকতার স্থানে দেখিলাম, সেখানে দুষ্টতা আছে।

তোমার বিরুদ্ধে, কেবল তোমারই বিরুদ্ধে আমি পাপ করিয়াছি, তোমার দৃষ্টিতে যাহা কুৎসিত, তাহাই করিয়াছি; অতএব তুমি আপনার বাক্যে ধর্মময়, আপনার বিচারে নির্দোষ রহিয়াছ।

কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।

অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।

যে দুষ্টকে বলে, তুমি ধার্মিক, জাতিগণ তাহাকে শাপ দিবে, লোকবৃন্দ তাহাকে ঘৃণা করিবে।কিন্তু যাহারা তাহাকে ধমক্‌ দেয়, তাহারা প্রীতি-পাত্র হইবে, তাহাদের প্রতি উত্তম আশীর্বাদ বর্তিবে।

হে ঈশ্বর, উঠ, পৃথিবীর বিচার কর; কারণ তুমিই সমস্ত জাতিকে অধিকার করিবে।

কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল, এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল।

কে তোমার তুল্য ঈশ্বর? অপরাধ ক্ষমাকারী, ও আপন অধিকারের অবশিষ্টাংশের অধর্মের প্রতি উপেক্ষাকারী! তিনি চিরকাল ক্রোধ রাখেন না, কারণ তিনি দয়ায় প্রীত।

কিন্তু ধার্মিকদের পরিত্রাণ সদাপ্রভু হইতে, তিনি সঙ্কটকালে তাহাদের দৃঢ় দুর্গ।আর সদাপ্রভুতে আমোদ কর, তিনি তোমার মনোবাঞ্ছা সকল পূর্ণ করিবেন।সদাপ্রভু তাহাদের সাহায্য করেন, তাহাদিগকে রক্ষা করেন, তিনি দুষ্টদের হইতে তাহাদিগকে রক্ষা করেন, ও তাহাদের পরিত্রাণ করেন, কারণ তাহারা তাঁহার শরণ লইয়াছে।

যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।

সদাপ্রভুর ভয় শুচি, চিরস্থায়ী, সদাপ্রভুর শাসন সকল সত্য, সর্বাংশে ন্যায্য।

অন্যায়কারী ধার্মিকদের ঘৃণাস্পদ; আর সরলাচারী দুষ্টের ঘৃণাস্পদ।

আমি আপন অসারতার কালে এই সমস্তই দেখিয়াছি; কোন ধার্মিক লোক নিজ ধার্মিকতায় বিনষ্ট হয়, এবং কোন দুষ্ট লোক নিজ দুষ্টতায় দীর্ঘ কাল যাপন করে।

সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; পৃথিবী উল্লসিত হউক, দ্বীপসমূহ আনন্দ করুক;হে সদাপ্রভুর প্রেমিকগণ, দুষ্টতাকে ঘৃণা কর; তিনি আপন সাধুবর্গের প্রাণ রক্ষা করেন, দুষ্টগণের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।দীপ্তি বপন করা গিয়াছে ধার্মিকের জন্য, আর সরলচিত্তদের জন্য আনন্দ।হে ধার্মিকগণ, সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।মেঘ ও অন্ধকার তাঁহার চারিদিকে বিদ্যমান, ধর্মশীলতা ও বিচার তাঁহার সিংহাসনের ভিত্তিমূল।

তোমরা আপনাদিগকে ধৌত কর, বিশুদ্ধ কর, আমার নয়নগোচর হইতে তোমাদের ক্রিয়ার দুষ্টতা দূর কর; কদাচরণ ত্যাগ কর;সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।

আমি ত ধার্মিকতায় তোমার মুখ দর্শন করিব, জাগিয়া তোমার মূর্তিতে তৃপ্ত হইব।

তাহারা ঈশ্বরের এই বিচার জ্ঞাত ছিল যে, যাহারা এইরূপ আচরণ করে, তাহারা মৃত্যুর যোগ্য, তথাপি তাহারা তদ্রূপ আচরণ করে, কেবল তাহা নয়, কিন্তু তদাচারী সকলের অনুমোদন করে।

মন্দকে ঘৃণা কর ও উত্তমকে ভালবাস, এবং নগর-দ্বারে ন্যায়বিচার স্থাপন কর; হয় ত বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভু যোষেফের অবশিষ্টাংশের প্রতি কৃপা করিবেন।

হে ঈশ্বর, আমার বিচার কর, অসাধু জাতির সহিত আমার বিবাদ নিষপন্ন কর; ছলপ্রিয় ও অন্যায়কারী মনুষ্য হইতে আমাকে উদ্ধার কর।

ছলনার নিক্তি সদাপ্রভুর ঘৃণিত; কিন্তু ন্যায্য বাটখারা তাঁহার তুষ্টিকর।

সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, কেননা আমার পরিত্রাণ আগতপ্রায়, এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ সন্নিকট।

ধার্মিকগণের তাম্বুতে আনন্দের ও পরিত্রাণের ধ্বনি হইতেছে; সদাপ্রভুর দক্ষিণ হস্ত বিক্রমসাধক।

হে সদাপ্রভুর সমস্ত সাধু, তোমরা তাঁহাকে প্রেম কর; সদাপ্রভু বিশ্বস্তদিগকে রক্ষা করেন, কিন্তু গর্বচারীকে অনেক প্রতিফল দেন।

দুষ্টতার গাঁট সকল খুলিয়া দেওয়া, জোঁয়ালির খিল মুক্ত করা, এবং দলিত লোকদিগকে স্বাধীন করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া, ও প্রত্যেক জোঁয়ালি ভগ্ন করা কি নয়?ক্ষুধিত লোককে তোমার খাদ্য বণ্টন করা, তাড়িত দুঃখীদিগকে গৃহে আশ্রয় দেওয়া, ইহা কি নয়? উলঙ্গকে দেখিলে তাহাকে বস্ত্র দান করা, তোমার নিজ মাংস হইতে আপনার গা না ঢাকা, ইহা কি নয়?

কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।

কে আমার পক্ষে দুরাচারগণের বিরুদ্ধে উঠিবে? কে আমার পক্ষে অধর্মাচারিগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াইবে?সদাপ্রভু যদি আমার সাহায্য না করিতেন, আমার প্রাণ শীঘ্র নিঃশব্দ-স্থানে বসতি করিত।

যদি বল, দেখ, আমরা ইহা জানিতাম না, তবে যিনি হৃদয় তৌল করেন, তিনি কি তাহা বুঝেন না? যিনি তোমার প্রাণ রক্ষা করেন, তিনি কি তাহা জানিতে পারেন না? তিনি কি প্রত্যেক মনুষ্যকে তাহার কর্মানুযায়ী ফল দিবেন না?

আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।

তুমি মন্দ হইতে দূরে যাও, সদাচরণ কর, চিরকাল বাস করিবে।

সদাপ্রভু, তোমার মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের পবিত্রতম, এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার উপকারজনক শিক্ষা দান করি, ও তোমার গন্তব্য পথে তোমাকে গমন করাই।

ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা