আমরা অনেকেই ভাবি অনেক টাকা-পয়সা, অনেক সম্পত্তি থাকলেই আর্থিকভাবে সুস্থ আছি। কিন্তু, আল্লাহর বাণীতে তো এমন কিছু বলা নেই। আব্রাহাম, সুলাইমানের মতো ধার্মিক ধনী ব্যক্তিদের কথা বাইবেলে আছে, আবার নাবালের মতো অধার্মিক ধনীর কথাও আছে (১ শমূয়েল ২৫:২-৩৬)। এমনকি খ্রীষ্টও বিলাস-ব্যসনে জীবন কাটাননি, তবুও তার সব প্রয়োজন মিটে যেত।
পবিত্র শাস্ত্রে বলা আছে, "কারণ আমরা এই জগতে কিছুই আনি নাই, এবং এটা নিশ্চিত যে, কিছুই লইয়া যাইতে পারিব না। অতএব, যদি খাবার ও কাপড় থাকে, তাহাতেই আমরা সন্তুষ্ট থাকিব। কারণ ধনী হইবার জন্য যাহারা ব্যগ্র, তাহারা পরীক্ষায়, ফাঁদে এবং অনেক অর্থহীন ও ক্ষতিকারক অভিলাষে পড়ে, যাহা মনুষ্যকে ধ্বংস ও বিনাশের মধ্যে ডুবাইয়া ফেলে। কারণ সমস্ত মন্দের মূল অর্থলিপ্সা, এবং এই লিপ্সার দ্বারা কিছু লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে এবং অনেক দুঃখভোগ করিয়াছে।" (১ তীমথিয় ৬:৭-১০)। জীবনের অন্যান্য দিকের মতো আর্থিক দিকেও আল্লাহকে সম্মান করলে, তাঁর আজ্ঞা পালন করলে আশীর্বাদ ও শান্তি পাব, অন্যদের সাথে সম্পর্কও ভালো হবে।
কিন্তু কেহ যদি আপনার সমপর্কীয় লোকদের বিশেষতঃ নিজ পরিজনগণের জন্য চিন্তা না করে, তাহা হইলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করিয়াছে, এবং অবিশ্বাসী অপেক্ষা অধম হইয়াছে।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।
তোমরা কাহারও কিছু ধারিও না, কেবল পরসপর প্রেম ধারিও; কেননা পরকে যে প্রেম করে, সে ব্যবস্থা পূর্ণরূপে পালন করিয়াছে।
সকল বিষয়ে আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই প্রকারে পরিশ্রম করিয়া দুর্বলদের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত, কেননা তিনি নিজে বলিয়াছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর, তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
কিন্তু যাহার সাংসারিক জীবনোপায় আছে, সে আপন ভ্রাতাকে দীনহীন দেখিলে যদি তাহার প্রতি আপন করুণা রোধ করে, তবে ঈশ্বরের প্রেম কেমন করিয়া তাহার অন্তরে থাকে?
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
আর ফরৌণ এই কর্ম করুন; দেশে অধ্যক্ষগণ নিযুক্ত করিয়া যে সাত বৎসর শস্যবাহুল্য হইবে, সেই সময়ে মিসর দেশ হইতে শস্যের পঞ্চমাংশ গ্রহণ করুন।তাঁহারা সেই আগামী শুভ বৎসরসমূহের খাদ্যশস্য সংগ্রহ করুন, ও ফরৌণের অধীনে নগরে নগরে খাদ্যের জন্য শস্য সঞ্চয় করুন, ও রক্ষা করুন।এইরূপে মিসর দেশে যে দুর্ভিক্ষ হইবে, সেই দুর্ভিক্ষের সাত বৎসরের নিমিত্ত সেই খাদ্যশস্য দেশের জন্য সঞ্চিত থাকিবে, তাহাতে দুর্ভিক্ষে দেশ উচ্ছিন্ন হইবে না।
তুমি যদি আমার প্রজাদের মধ্যে তোমার স্বজাতীয় কোন দীন-দুঃখীকে টাকা ধার দেও, তবে তাহার কাছে সুদগ্রাহীর ন্যায় হইও না; তোমরা তাহার উপরে সুদ চাপাইবে না।
তোমরা সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডারে আন, যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে; আর তোমরা ইহাতে আমার পরীক্ষা কর, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, আমি আকাশের দ্বার সকল মুক্ত করিয়া তোমাদের প্রতি অপরিমেয় আশীর্বাদ বর্ষণ করি কি না।
বাস্তবিক দুর্গ নির্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদের মধ্যে কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি তাহার আছে কি না?
তোমার জ্ঞানে ও তোমার বুদ্ধিতে তুমি আপনার জন্য ঐশ্বর্য উপার্জন করিয়াছ, আপন কোষে স্বর্ণ ও রৌপ্য সঞ্চয় করিয়াছ;
অতএব তোমরা যদি অধার্মিকতার ধনে বিশ্বস্ত না হইয়া থাক, তবে কে বিশ্বাস করিয়া তোমাদের কাছে সত্য ধন রাখিবে?
তুমি আপন প্রতিবাসীর উপর অত্যাচার করিও না, এবং তাহার দ্রব্য অপহরণ করিও না। বেতনজীবীর বেতন প্রাতঃকাল পর্যন্ত সমস্ত রাত্রি রাখিও না।
পরে তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, সাবধান, সর্বপ্রকার লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সমপত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
আর তোমার ভ্রাতা যদি দরিদ্র হয় ও তোমার নিকটে শূন্যহস্ত হয়, তবে তুমি তাহার উপকার করিবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর ন্যায় তোমার সহিত জীবন ধারণ করিবে।তুমি তাহা হইতে সুদ কিম্বা বৃদ্ধি লইবে না, কিন্তু আপন ঈশ্বরকে ভয় করিবে, তোমার ভ্রাতাকে তোমার সহিত জীবন ধারণ করিতে দিবে।তুমি সুদের জন্য তাহাকে টাকা দিবে না, ও বৃদ্ধির জন্য তাহাকে অন্ন দিবে না।
অলীকতা ও মিথ্যা কথা আমা হইতে দূর কর; দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও;পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি, সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।
সৎ লোক পুত্রদের পুত্রগণের জন্য অধিকার রাখিয়া যায়; কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকের জন্য সঞ্চিত হয়।
মনুষ্য কি ঈশ্বরকে ঠকাইবে? তোমরা ত আমাকে ঠকাইয়া থাক। কিন্তু তোমরা বলিতেছ, কিসে তোমাকে ঠকাইয়াছি? দশমাংশে ও উপহারে।তোমরা অভিশাপে শাপগ্রস্ত; হাঁ, তোমরা, এই সমস্ত জাতি, আমাকেই ঠকাইতেছ।
পরে তিনি চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, ধনবানেরা ভাণ্ডারে আপন আপন দান রাখিতেছে।পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে।বৃহৎ বৃহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে, আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে;কিন্তু এই সকল ঘটনার পূর্বে লোকেরা তোমাদের উপরে হস্তক্ষেপ করিবে, তোমাদিগকে তাড়না করিবে, সমাজ-গৃহে ও কারাগারে সমর্পণ করিবে; আমার নামের নিমিত্ত তোমরা রাজাদের ও শাসনকর্তাদের সম্মুখে নীত হইবে।সাক্ষ্যের জন্য এই সকল তোমাদের প্রতি ঘটিবে।অতএব মনে মনে স্থির করিও যে, কি উত্তর দিতে হইবে, তাহার নিমিত্ত অগ্রে চিন্তা করিবে না।কেননা আমি তোমাদিগকে এমন মুখ ও বিজ্ঞতা দিব যে, তোমাদের বিপক্ষেরা কেহ প্রতিরোধ করিতে কি উত্তর দিতে পারিবে না।আর তোমরা পিতামাতা, ভ্রাতৃগণ, জ্ঞাতি ও বন্ধুগণ কর্তৃকও সমর্পিত হইবে, এবং তোমাদের কাহাকেও কাহাকেও তাহারা বধ করাইবে।আর আমার নাম প্রযুক্ত তোমরা সকলের ঘৃণিত হইবে।কিন্তু তোমাদের মস্তকের একগাছি কেশও নষ্ট হইবে না।তোমরা নিজ নিজ ধৈর্যে আপন আপন প্রাণ লাভ করিবে।আর তিনি দেখিলেন, একজন দীনহীন বিধবা সেই স্থানে দুইটি সিকি পয়সা রাখিতেছে।আর যখন তোমরা যিরূশালেমকে সেনাসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত দেখিবে, তখন জানিবে যে, তাহার ধ্বংস সন্নিকট।তখন যাহারা যিহূদিয়ায় থাকে, তাহারা পাহাড় অঞ্চলে পলায়ন করুক, এবং যাহারা নগরের মধ্যে থাকে, তাহারা বাহিরে যাউক; আর যাহারা পল্লীগ্রামে থাকে, তাহারা নগরে প্রবেশ না করুক।কেননা তখন প্রতিশোধের সময়, যে সমস্ত কথা লিখিত আছে, সেই সমস্ত পূর্ণ হইবার সময়।হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী স্ত্রীদের সন্তাপ! কেননা দেশে বিষম দুর্গতি এবং এই জাতির প্রতি ক্রোধ বর্তিবে।লোকেরা খড়্গধারে পতিত হইবে; এবং বন্দি হইয়া সকল জাতির মধ্যে নীত হইবে; আর জাতিগণের সময় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যিরূশালেম জাতিগণের পদ-দলিত হইবে।আর সূর্যে, চন্দ্রে ও নক্ষত্রগণে নানা চিহ্ন প্রকাশ পাইবে, এবং পৃথিবীতে জাতিগণের ক্লেশ হইবে, তাহারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্জনে উদ্বিগ্ন হইবে।ভয়ে এবং ভূমণ্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায়, মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে; কেননা আকাশমণ্ডলের পরাক্রম সকল বিচলিত হইবে।আর তৎকালে তাহারা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রম ও মহাপ্রতাপ সহকারে মেঘযোগে আসিতে দেখিবে।কিন্তু এই সকল ঘটনা আরম্ভ হইলে তোমরা ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও, কেননা তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।আর তিনি তাহাদিগকে একটি দৃষ্টান্ত কহিলেন, ডুমুর গাছ ও আর সকল গাছ দেখ;তখন তিনি কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, এই দরিদ্র বিধবা সকলের অপেক্ষা অধিক রাখিল;যখন সেগুলি পল্লবিত হয়, তখন তাহা দেখিয়া তোমরা আপনারাই বুঝিতে পার যে,এখন গ্রীষমকাল সন্নিকট। সেইরূপ তোমরাও যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, যে পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধ না হইবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হইবে না।আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হইবে, কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হইবে না।কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে;কেননা সেই দিন সমস্ত ভূতল-নিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে।কিন্তু তোমরা সর্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে, শক্তিমান হও।আর তিনি প্রতিদিন ধর্মধামে উপদেশ দিতেন, এবং প্রতিরাত্রে বাহিরে গিয়া জৈতুন নামক পর্বতে অবস্থিতি করিতেন।আর সমস্ত লোক তাঁহার কথা শুনিবার জন্য প্রত্যুষে ধর্মধামে তাঁহার নিকটে আসিত।কেননা ইহারা সকলে আপন আপন অতিরিক্ত ধন হইতে কিছু কিছু দানের মধ্যে রাখিল, কিন্তু এ নিজ অনটন সত্ত্বেও ইহার যাহা কিছু ছিল, সমুদয় জীবনোপায় রাখিল।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, যাহার বিশ্বাসভূমি সদাপ্রভু।সে জলের নিকটে রোপিত এমন বৃক্ষের ন্যায় হইবে, যাহা নদীকূলে মূল বিস্তার করে, গ্রীষেমর আগমনে সে ভয় করিবে না, এবং তাহার পত্র সতেজ থাকিবে; অনাবৃষ্টির বৎসরেও সে নিশ্চিন্ত থাকিবে, ফলদানেও নিবৃত্ত হইবে না।
তোমরা পৃথিবীতে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় করিও না; এখানে ত কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে, এবং এখানে চোরে সিঁধ কাটিয়া চুরি করে।অতএব তুমি যখন দান কর, তখন তোমার সম্মুখে তূরী বাজাইও না, যেমন কপটীরা লোকের কাছে গৌরব পাইবার জন্য সমাজ-গৃহে ও পথে করিয়া থাকে; আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তাহারা আপনাদের পুরস্কার পাইয়াছে।কিন্তু স্বর্গে আপনাদের জন্য ধন সঞ্চয় কর; সেখানে কীটে ও মরিচায় ক্ষয় করে না, সেখানে চোরেও সিঁধ কাটিয়া চুরি করে না।কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকিবে।
কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে স্মরণে রাখিবে, কেননা তিনি তোমার পিতৃপুরুষদের কাছে আপনার যে নিয়ম বিষয়ক দিব্য করিয়াছেন, তাহা অদ্যকার মত স্থির করণার্থে তিনিই তোমাকে ঐশ্বর্য লাভের সামর্থ দিলেন।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতেছেন, তথাকার কোন নগর-দ্বারের ভিতরে যদি তোমার নিকটস্থ কোন ভ্রাতা দরিদ্র হয়, তবে তুমি আপন হৃদয় কঠিন করিও না, বা দরিদ্র ভ্রাতার প্রতি আপন হস্ত রুদ্ধ করিও না;কিন্তু তাহার প্রতি মুক্তহস্ত হইয়া তাহার অভাব হেতু প্রয়োজনানুসারে তাহাকে অবশ্য ঋণ দিও।
তুমি সুদের জন্য, রৌপ্যের সুদ, খাদ্য সামগ্রীর সুদ, কোন দ্রব্যের সুদ পাইবার জন্য, আপন ভ্রাতাকে ঋণ দিবে না।জারজ ব্যক্তি সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করিবে না; তাহার দশম পুরুষ পর্যন্ত ও সদাপ্রভুর সমাজে প্রবেশ করিতে পাইবে না।সুদের জন্য বিদেশীকে ঋণ দিতে পার, কিন্তু সুদের জন্য আপন ভ্রাতাকে ঋণ দিবে না; যেন তুমি যে দেশ অধিকার করিতে যাইতেছ, সেই দেশে তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
যথাকালে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হস্তের সমস্ত কর্মে আশীর্বাদ করিতে সদাপ্রভু আপনার আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলিয়া দিবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না।
যেহেতু সর্বপ্রকার সম্পত্তির বাহুল্যপ্রযুক্ত তুমি আনন্দ-পূর্বক প্রফুল্লচিত্তে আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর দাসত্ব করিতে না;এই জন্য সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে যে শত্রুগণকে পাঠাইবেন, তুমি ক্ষুধায়, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সকল বিষয়ের অভাব ভোগ করিতে করিতে তাহাদের দাসত্ব করিবে; এবং যে পর্যন্ত তিনি তোমার বিনাশ না করেন, সেই পর্যন্ত তোমার গ্রীবাতে লৌহের জোয়ালি দিয়া রাখিবেন।
যথাকালে তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হস্তের সমস্ত কর্মে আশীর্বাদ করিতে সদাপ্রভু আপনার আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলিয়া দিবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দিবে, কিন্তু আপনি ঋণ লইবে না।আর সদাপ্রভু তোমাকে মস্তকস্বরূপ করিবেন, পুচ্ছস্বরূপ করিবেন না; তুমি অবনত না হইয়া কেবল উন্নত হইবে; কেবল তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সকল আজ্ঞা যত্নপূর্বক পালন করিতে আমি তোমাকে অদ্য আদেশ করিতেছি, এই সকলেতে কর্ণপাত করিতে হইবে;
তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার।
হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার পবিত্র নামের উদ্দেশে এক গৃহ নির্মাণ করিবার জন্য আমরা এই যে দ্রব্যরাশির আয়োজন করিয়াছি, এই সকল তোমার হস্ত হইতেই আসিয়াছে, এবং সকলই তোমার।
তখন ঈশ্বর শলোমনকে কহিলেন, ইহাই তোমার মনে উদয় হইয়াছে; তুমি ঐশ্বর্য, সম্পত্তি, গৌরব কিম্বা বৈরীদের প্রাণ যাচ্ঞা কর নাই, দীর্ঘায়ুও যাচ্ঞা কর নাই; কিন্তু আমি আমার যে প্রজাদের উপরে তোমাকে রাজা করিয়াছি, তুমি তাহাদের বিচার করিবার জন্য আপনার নিমিত্ত বুদ্ধি ও জ্ঞান যাচ্ঞা করিয়াছ।বুদ্ধি ও জ্ঞান তোমাকে দত্ত হইল; অধিকন্তু তোমার পূর্বে কোন রাজার যাদৃশ হয় নাই, এবং তোমার পরেও যাদৃশ হইবে না, তাদৃশ ঐশ্বর্য, সম্পত্তি ও গৌরব আমি তোমাকে দিব।
এই আজ্ঞা দেশে ব্যাপ্ত হইবামাত্র ইস্রায়েল-সন্তানগণ শস্য, দ্রাক্ষারস, তৈল ও মধু এবং ভূমির উৎপন্ন সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশ অতি প্রচুররূপে আনিল, এবং সকল দ্রব্যের দশমাংশ প্রচুররূপে আনিল।আর ইস্রায়েলের ও যিহূদার যে সন্তানগণ যিহূদার নগরসমূহে বাস করিত, তাহারাও গরুর ও মেষের দশমাংশ এবং আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্রীকৃত পবিত্র দ্রব্যের দশমাংশ আনিয়া রাশি রাশি করিল।
হিষ্কিয়ের অতি প্রচুর ধন ও প্রতাপ ছিল, তিনি আপনার জন্য রৌপ্যের, স্বর্ণের, মণির, সুগন্ধি দ্রব্যের, ঢালের ও সর্বপ্রকার মনোহর পাত্রের কোষাগার প্রস্তুত করিলেন,আর শস্য, দ্রাক্ষারস ও তৈলের জন্য ভাণ্ডার, এবং সর্বপ্রকার পশুর ঘর ও মেষপালের খোঁয়াড় করিলেন।আর তিনি আপনার জন্য নানা নগর ও গোমেষাদি অনেক পশুধন প্রস্তুত করিলেন, যেহেতু ঈশ্বর তাঁহাকে অতি প্রচুর ধন দিয়াছিলেন।
তোমরা উহাদের শস্যক্ষেত্র, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, জলপাইক্ষেত্র ও গৃহ সকল, এবং রৌপ্যের, শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের শতকরা যে বৃদ্ধি লইয়া তাহাদিগকে ঋণ দিয়াছ, তাহা অদ্যই তাহাদিগকে ফিরাইয়া দেও।
হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই,তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে, শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
নিজের ধনবৃদ্ধির জন্য যে দরিদ্রদের প্রতি উপদ্রব করে, আর যে ধনবানকে দান করে, উভয়েরই অভাব ঘটে।
যাহারা হস্তে তালি দেয় ও ঋণের জামিন হয়, তাহাদের মধ্যে তুমি একজন হইও না।যদি তোমার পরিশোধের সঙ্গতি না থাকে, তবে গায়ের নিচে হইতে তোমার শয্যা নীত হইবে কেন?
ধন সঞ্চয় করিতে অত্যন্ত যত্ন করিও না, তোমার নিজ বুদ্ধি হইতে ক্ষান্ত হও।তুমি যখন ধনের দিকে চাহিতেছ? তাহা আর নাই; কারণ ঈগল যেমন আকাশে উড়িয়া যায়, তেমনি ধন আপনার জন্য নিশ্চয়ই পক্ষ প্রস্তুত করে।
তুমি আপন মেষপালের অবস্থা জানিয়া লও, আপন পশুপালে মনোযোগ কর;কেননা ধন চিরস্থায়ী নয়, মুকুট কি পুরুষানুক্রমে থাকে?
আবার ঈশ্বর যে কোন ব্যক্তিকে ধন-সম্পত্তি দান করেন, তাহাকে তাহা ভোগ করিতে, আপন অংশ লইতে ও আপন পরিশ্রমে আনন্দ করিতে ক্ষমতা দেন, ইহাই ঈশ্বরের দান।
কেননা প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
কেন অখাদ্যের নিমিত্ত রৌপ্য তৌল করিতেছ, যাহাতে তৃপ্তি নাই, তাহার জন্য স্ব স্ব শ্রমফল দিতেছ? শুন, আমার কথা শুন, উত্তম ভক্ষ্য ভোজন কর, পুষ্টিকর দ্রব্যে তোমাদের প্রাণ আপ্যায়িত হউক।
প্রসব না করিলেও যেমন তিত্তির পক্ষী শাবকদিগকে সংগ্রহ করে, তেমনি সেই ব্যক্তি যে অন্যায়ে ধন সঞ্চয় করে, সেই ধন অর্ধ বয়সে তাহাকে ছাড়িয়া যাইবে, এবং শেষকালে সে মূঢ় হইয়া পড়িবে।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিবে?
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে তখনই গেল, তাহা দিয়া ব্যবসা করিল, এবং আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিল।যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও তদ্রূপ করিয়া আর দুই তালন্ত লাভ করিল।কিন্তু যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সে গিয়া ভূমিতে গর্ত খুঁড়িয়া আপন প্রভুর টাকা লুকাইয়া রাখিল।দীর্ঘকালের পর সেই দাসদের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।তখন যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আসিয়া আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া বলিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে দুই তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর দুই তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম; দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।কিন্তু তাহার প্রভু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট অলস দাস, তুমি নাকি জানিতে, আমি যেখানে বুনি নাই, সেখানে কাটি, এবং যেখানে ছড়াই নাই, সেখানে কুড়াই?তবে পোদ্দারদের হাতে আমার টাকা রাখিয়া দেওয়া তোমার উচিৎ ছিল; তাহা করিলে আমি আসিয়া আমার যাহা তাহা সুদের সহিত পাইতাম।অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, এবং যাহার দশ তালন্ত আছে, তাহাকে দেও;কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না;আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
যাহারা বাক্যটি শুনিয়াছে, কিন্তু সংসারের চিন্তা, ধনের মায়া ও অন্যান্য বিষয়ের অভিলাষ ভিতরে গিয়া ঐ বাক্য চাপিয়া রাখে,
তোমাদের যাহা আছে, বিক্রয় করিয়া দান কর। আপনাদের জন্য এমন থলি প্রস্তুত কর, যাহা জীর্ণ হয় না; স্বর্গে অক্ষয় ধন সঞ্চয় কর, যেখানে চোর নিকটে আইসে না, কীটেও ক্ষয় করে না;কেননা যেখানে তোমাদের ধন, সেখানে তোমাদের মনও থাকিবে।
বাস্তবিক দুর্গ নির্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদের মধ্যে কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি তাহার আছে কি না?কি জানি ভিত্তিমূল বসাইলে পর যদি সে সমাপ্ত করিতে না পারে, তবে যত লোক তাহা দেখিবে, সকলে তাহাকে বিদ্রূপ করিতে আরম্ভ করিবে,যীশু জিজ্ঞাসা করিয়া ব্যবস্থাবেত্তাদিগকে ও ফরীশীগণকে কহিলেন, বিশ্রামবারে আরোগ্য করা বিধেয় কিনা?বলিবে, এ ব্যক্তি নির্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, কিন্তু সমাপ্ত করিতে পারিল না।
যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে বিশ্বস্ত, সে প্রচুর বিষয়েও বিশ্বস্ত; আর যে ক্ষুদ্রতম বিষয়ে অধার্মিক, সে প্রচুর বিষয়েও অধার্মিক।অতএব তোমরা যদি অধার্মিকতার ধনে বিশ্বস্ত না হইয়া থাক, তবে কে বিশ্বাস করিয়া তোমাদের কাছে সত্য ধন রাখিবে?আর যদি পরের বিষয়ে বিশ্বস্ত না হইয়া থাক, তবে কে তোমাদের নিজ বিষয় তোমাদিগকে দিবে?
কোন ভৃত্য দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না, কেননা সে হয় একজনকে ঘৃণা করিবে, অন্যকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনে অনুরক্ত হইবে, অন্যকে তুচ্ছ করিবে। তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
যখন তাহারা এই সকল কথা শুনিতেছিল, তখন তিনি একটি দৃষ্টান্তও কহিলেন, কারণ তিনি যিরূশালেমের নিকটে উপস্থিত হইয়াছিলেন; আর তাহারা অনুমান করিতেছিল যে, ঈশ্বরের রাজ্যের প্রকাশ তখনই হইবে।অতএব তিনি কহিলেন, ভদ্রবংশীয় এক ব্যক্তি দূরদেশে গেলেন, অভিপ্রায় এই যে, আপনার জন্য রাজপদ লইয়া ফিরিয়া আসিবেন।আর তিনি আপনার দশ জন দাসকে ডাকিয়া দশটি মুদ্রা দিয়া কহিলেন, আমি যে পর্যন্ত না আসি, ব্যবসা কর।কিন্তু তাঁহার প্রজাগণ তাঁহাকে দ্বেষ করিত, তাহারা তাঁহার পশ্চাৎ দূত পাঠাইয়া দিল, কহিল, আমাদের ইচ্ছা নয় যে, এই ব্যক্তি আমাদের উপরে রাজত্ব করে।পরে তিনি রাজপদ প্রাপ্ত হইয়া যখন ফিরিয়া আসিলেন, তখন, যাহাদিগকে টাকা দিয়াছিলেন, সেই দাসদিগকে তাঁহার কাছে ডাকিয়া আনিতে বলিলেন, যেন তিনি জানিতে পারেন, তাহারা ব্যবসায়ে কে কত লাভ করিয়াছে।তখন প্রথম ব্যক্তি নিকটে আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার মুদ্রায় আর দশ মুদ্রা হইয়াছে।তিনি তাহাকে কহিলেন, ধন্য! উত্তম দাস, তুমি অতি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে; এই জন্য দশ নগরের উপরে কর্তৃত্ব কর।দ্বিতীয় ব্যক্তি আসিয়া কহিল, প্রভু, আপনার মুদ্রায় আর পাঁচ মুদ্রা হইয়াছে।তিনি তাহাকেও কহিলেন, তুমিও পাঁচ নগরের কর্তা হও।আর দেখ, সক্কেয় নামে এক ব্যক্তি; সে একজন প্রধান করগ্রাহী, এবং সে ধনবান ছিল।পরে আর একজন আসিয়া কহিল, প্রভু, দেখুন, এই আপনার মুদ্রা।আমি ইহা রুমালে বাঁধিয়া রাখিয়াছিলাম; কারণ আমি আপনা হইতে ভীত ছিলাম, কেননা আপনি কঠিন লোক, যাহা রাখেন নাই, তাহা তুলিয়া লন, এবং যাহা বুনেন নাই, তাহা কাটেন।তিনি তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট দাস, আমি তোমার নিজ মুখের প্রমাণে তোমার বিচার করিব। তুমি না জানিতে, আমি কঠিন লোক, যাহা রাখি নাই তাহাই তুলিয়া লই, এবং যাহা বুনি নাই, তাহাই কাটি?তবে আমার টাকা পোদ্দারদের কাছে কেন রাখ নাই? তাহা করিলে আমি আসিয়া সুদের সহিত তাহা আদায় করিতাম।আর যাহারা নিকটে দাঁড়াইয়াছিল, তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, ইহার নিকট হইতে ঐ মুদ্রা লও, এবং যাহার দশ মুদ্রা আছে, তাহাকে দেও।তাহারা তাঁহাকে কহিল, প্রভু, উহার যে দশ মুদ্রা আছে।আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কাহারও আছে, তাহাকে দেওয়া যাইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে লওয়া যাইবে।পরন্তু আমার এই যে শত্রুগণ ইচ্ছা করে নাই যে, আমি তাহাদের উপরে রাজত্ব করি, তাহাদিগকে এই স্থানে আন, আর আমার সাক্ষাতে বধ কর।
আর যাহারা বিশ্বাস করিল, তাহারা সকলে একসঙ্গে সমস্তই সাধারণে রাখিত;আর স্থাবর অস্থাবর সমপত্তি বিক্রয় করিয়া, যাহার যেমন প্রয়োজন, তদনুসারে সকলকে অংশ করিয়া দিত।
এমন কি, তাহাদের মধ্যে কেহই দীনহীন ছিল না; কারণ যাহারা ভূমির অথবা বাটীর অধিকারী ছিল, তাহারা তাহা বিক্রয় করিয়া, বিক্রীত সমপত্তির মূল্য আনিয়া প্রেরিতদের চরণে রাখিত;পরে যাহার যেমন প্রয়োজন, তাহাকে তেমনি দেওয়া হইত।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
ফলতঃ ক্লেশরূপ মহাপরীক্ষার মধ্যেও তাহাদের আনন্দের উপচয় এবং তাহাদের অগাধ দীনতা তাহাদের দানশীলতারূপ ধনের উদ্দেশে উপচিয়া পড়িয়াছে।
কেননা তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ জ্ঞাত আছ; তিনি ধনবান হইলেও তোমাদের নিমিত্ত দরিদ্র হইলেন, যেন তোমরা তাঁহার দরিদ্রতায় ধনবান হও।
কিন্তু আমি বলি এই, যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনে, সে অল্প পরিমাণে শস্যও কাটিবে; আর যে ব্যক্তি আশীর্বাদের সহিত বীজ বুনে, সে আশীর্বাদের সহিত শস্যও কাটিবে।প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
আর যিনি বপনকারীকে বীজ ও আহারের জন্য খাদ্য যোগাইয়া থাকেন, তিনি তোমাদের বপনের বীজ যোগাইবেন এবং প্রচুর করিবেন, আর তোমাদের ধার্মিকতার ফল বৃদ্ধি করিবেন;এইরূপে তোমরা সর্বপ্রকার দানশীলতার নিমিত্তে সর্ববিষয়ে ধনবান হইবে, আর এই দানশীলতা আমাদের দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি ধন্যবাদ সমপন্ন করে।
এই কথা আমি অনটন সম্বন্ধে বলিতেছি না, কেননা আমি যে অবস্থায় থাকি, তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে শিখিয়াছি।আমি অবনত হইতে জানি, উপচয় ভোগ করিতেও জানি; প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি।যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি।
যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;
কিন্তু তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলিতেছি, ভ্রাতৃগণ, আরও অধিক উপচিয়া পড়, আর শান্ত ভাবে থাকিতে ও আপন আপন কার্য করিতে এবং স্বহস্তে পরিশ্রম করিতে সযত্ন হও-যেমন আমরা তোমাদিগকে আদেশ দিয়াছি- যেন বহিঃস্থ লোকদের প্রতি তোমরা শিষ্টাচারী হও, এবং তোমাদের কিছুরই অভাব না থাকে।
যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
আর আমাদের লোকেরাও প্রয়োজনীয় উপকারার্থে সৎকার্যে ব্যাপৃত হইতে অভ্যাস করুক, যেন ফলহীন হইয়া না পড়ে।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
কোন ভ্রাতা কিম্বা ভগিনী বস্ত্রহীন ও দৈনিক খাদ্যবিহীন হইলে যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহাদিগকে বলে,কুশলে যাও, উষ্ণ ও তৃপ্ত হও, কিন্তু তোমরা তাহাদিগকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দেও, তবে তাহাতে কি ফল দর্শিবে?
এখন দেখ, তোমাদের কেহ কেহ বলে, অদ্য কিম্বা কল্য, আমরা অমুক নগরে যাইব, এবং সেখানে এক বৎসর যাপন করিব, বাণিজ্য করিব ও লাভ করিব।তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা ত বাষপস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।উহার পরিবর্তে বরং ইহা বল, ‘প্রভুর ইচ্ছা হইলেই আমরা বাঁচিয়া থাকিব, এবং এ কাজটি বা ও কাজটি করিব’।
এখন দেখ, হে ধনবানেরা, তোমাদের উপরে যে সকল দুর্দশা আসিতেছে, সেই সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার কর।হে ভ্রাতৃগণ, যে ভাববাদীরা প্রভুর নামে কথা বলিয়াছিলেন, তাহাদিগকে দুঃখভোগের ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার দৃষ্টান্ত বলিয়া মান।দেখ, যাহারা স্থির রহিয়াছে, তাহাদিগকে আমরা ধন্য বলি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনিয়াছ; প্রভুর পরিণামও দেখিয়াছ, ফলতঃ প্রভু স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।আবার, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমার সর্বপ্রধান কথা এই, তোমরা দিব্য করিও না; স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য করিও না। বরং তোমাদের হাঁ হাঁ এবং না না হউক, পাছে বিচারে পতিত হও। তোমাদের মধ্যে কেহ কি দুঃখভোগ করিতেছে? সে প্রার্থনা করুক। কেহ কি প্রফুল্ল আছে? সে গান করুক।তোমাদের মধ্যে কেহ কি রোগগ্রস্ত? সে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে আহ্বান করুক; এবং তাঁহারা প্রভুর নামে তাহাকে তৈলাভিষিক্ত করিয়া তাহার উপরে প্রার্থনা করুন।তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন; আর তিনি দৃঢ়তার সহিত প্রার্থনা করিলেন, যেন বৃষ্টি না হয়, এবং তিন বৎসর ছয় মাস ভূমিতে বৃষ্টি হইল না।পরে তিনি আবার প্রার্থনা করিলেন; আর আকাশ জল প্রদান করিল, এবং ভূমি নিজ ফল উৎপন্ন করিল। হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।আর তাহার কলঙ্ক তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে, এবং অগ্নির ন্যায় তোমাদের মাংস খাইবে। তোমরা শেষকালে ধন-সঞ্চয় করিয়াছ।
দেখ, যে মজুরেরা তোমাদের ক্ষেত্রের শস্য কাটিয়াছে, তাহারা তোমাদের দ্বারা যে বেতনে বঞ্চিত হইয়াছে, তাহার চিৎকার করিতেছে, এবং সেই শস্যচ্ছেদকদের আর্তনাদ বাহিনীগণের প্রভুর কর্ণে প্রবিষ্ট হইয়াছে।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্তৃত্বকারীরূপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়াই কর।
প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার প্রাণ কুশলপ্রাপ্ত, সর্ববিষয়ে তুমি তেমনি কুশলপ্রাপ্ত ও সুস্থ থাক।
তুমি কহিতেছ, আমি ধনবান, ধন সঞ্চয় করিয়াছি, আমার কিছুরই অভাব নাই; কিন্তু জান না যে, তুমিই দুর্ভাগ্য, কৃপাপাত্র, দরিদ্র, অন্ধ ও উলঙ্গ।আমি তোমাকে এক পরামর্শ দিই; তুমি আমার কাছে এই সকল দ্রব্য ক্রয় কর- অগ্নি দ্বারা পরিষ্কৃত স্বর্ণ, যেন ধনবান হও; শুক্ল বস্ত্র, যেন বস্ত্রপরিহিত হও, আর তোমার উলঙ্গতার লজ্জা প্রকাশিত না হয়; চক্ষুতে লেপনীয় অঞ্জন, যেন দেখিতে পাও।
তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না; কেননা এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কর্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
তুমি জলের উপরে আপন ভক্ষ্য ছড়াইয়া দেও, কেননা অনেক দিনের পরে তাহা পাইবে।অতএব তোমার হৃদয় হইতে বিরক্তি দূর কর, শরীর হইতে দুঃখ অপসারণ কর, কেননা তরুণ বয়স ও জীবনের অরুণোদয়কাল অসার।সাত জনকে, এমন কি, আট জনকেও অংশ বিতরণ কর, কেননা পৃথিবীতে কি আপদ ঘটিবে, তাহা তুমি জান না।
যোহানা, যিনি হেরোদের বিষয়াধ্যক্ষ কূষের স্ত্রী, এবং শোশন্না ও অন্য অনেক স্ত্রীলোক ছিলেন; তাঁহারা আপন আপন সমপত্তি হইতে তাঁহাদের পরিচর্যা করিতেন।