তোমাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই। বাইবেল আমাদের বারবার বলেছে যে আমরা যেন একসাথে মিলিত হওয়া বন্ধ না করি, একে অপরকে উৎসাহিত করি, বিশেষ করে যখন আমরা প্রভুর দিনের জন্য অপেক্ষা করছি। এই একত্রিত হওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, এটা ঈশ্বরকে সম্মান করার এবং তাঁর উপাসনা করার একটা উপায়। হিব্রু ১০:২৫ পদে বলা আছে, "আমরা কিছু লোকের অভ্যাসের মতো আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ করব না, বরং একে অপরকে উৎসাহিত করব, বিশেষ করে এখন যখন আমরা দেখছি সেই দিন কাছে আসছে।"
দ্বিতীয়ত, একসাথে মিলিত হওয়া আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে বেড়ে ওঠার একটা উপায়। যখন আমরা অন্যান্য খ্রিস্টানদের সাথে মিলিত হই, তখন আমরা তাদের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শিখতে পারি। আমরা আমাদের পালক, শিক্ষক এবং গির্জার প্রেসবিটারদের কাছ থেকে শিক্ষা এবং দিকনির্দেশনাও পেতে পারি।
তৃতীয়ত, একত্রিত হওয়া অন্যান্য বিশ্বাসীদের সাথে আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটা উপায়। খ্রিস্টান সম্প্রদায় কঠিন সময়ে সমর্থন এবং উৎসাহের একটা উৎস। এছাড়াও, আমরা বন্ধু এবং প্রার্থনার সঙ্গী খুঁজে পেতে পারি যারা আমাদের বিশ্বাসে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
একসাথে মিলিত হওয়ার আরও অনেক উপকারিতা আছে। এটা আমাদের বিশ্বাস এবং ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ককে শক্তিশালী করে, আধ্যাত্মিক বৃদ্ধি এবং শিক্ষার সুযোগ করে দেয়, কঠিন সময়ে সমর্থন এবং উৎসাহ প্রদান করে, অর্থপূর্ণ বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক গড়ে তোলে, অন্যদের সেবা করার এবং আমাদের সম্প্রদায়ে পরিবর্তন আনার সুযোগ করে দেয় এবং জীবনে অন্তর্ভুক্তির এবং উদ্দেশ্যের অনুভূতি জাগ্রত করে।
মনে রাখবেন, একসাথে মিলিত হওয়া ঈশ্বরের পরিকল্পনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এখানেই আমরা তাঁর অনন্ত উদ্দেশ্যে অটল থাকি এবং যীশুতে দৃঢ়ভাবে এবং পূর্ণভাবে জীবনযাপন করি।
এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
সদাপ্রভুর কাছে আমি একটি বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।
কেননা তোমার প্রাঙ্গণে এক দিনও সহস্র দিন অপেক্ষা উত্তম; বরং আমার ঈশ্বরের গৃহের গোবরাটে দাঁড়াইয়া থাকা আমার বাঞ্ছনীয়, তবু দুষ্টতার তাম্বুতে বাস করা বাঞ্ছনীয় নয়।
আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদিগণকে, তৃতীয়তঃ উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন; তৎপরে নানাবিধ পরাক্রমকার্য, তৎপরে আরোগ্যসাধক অনুগ্রহ-দান, উপকার, শাসনপদ, নানাবিধ ভাষা [দিয়াছেন]।
তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
পবিত্রগণকে পরিপক্ব করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়,
কেননা যেমন দেহ এক, আর তাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, এবং দেহের সমুদয় অঙ্গ অনেক হইলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেইরূপ।ফলতঃ আমরা কি যিহূদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সকলেই এক দেহ হইবার জন্য একই আত্মাতে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, এবং সকলেই এক আত্মা হইতে পায়িত হইয়াছি।আর বাস্তবিক দেহ একটি অঙ্গ নয়, অনেক অঙ্গের সমষ্টি।
আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন,পবিত্রগণকে পরিপক্ব করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়,যাবৎ আমরা সকলে ঈশ্বরের পুত্র বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত, অগ্রসর না হই;
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
অতএব যেমন তোমরা করিয়াও থাক, তেমনি তোমরা পরস্পরকে আশ্বাস দেও, এবং একজন অন্যকে গাঁথিয়া তুল।
কেননা যেমন আমাদের এক দেহে অনেক অঙ্গ, কিন্তু সকল অঙ্গের একরূপ কার্য নয়,তেমনি এই অনেক যে আমরা, আমরা খ্রীষ্টে এক দেহ এবং প্রত্যেকে পরস্পর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
আর তাঁহারা প্রতিদিন ধর্মধামে ও বাটীতে উপদেশ দিতেন, এবং যীশুই যে খ্রীষ্ট, এই সুসমাচার প্রচার করিতেন, ক্ষান্ত হইতেন না।
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
অতএব তোমরা আর অসমপর্কীয় ও প্রবাসী নহ, কিন্তু পবিত্রগণের সহপ্রজা এবং ঈশ্বরের বাটীর লোক।সেই সকলেতে তোমরা পূর্বে চলিতে, এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য করিতেছে, সেই আত্মার অধিপতির অনুসারে চলিতে।তোমাদিগকে প্রেরিত ও ভাববাদিগণের ভিত্তিমূলের উপরে গাঁথিয়া তোলা হইয়াছে; তাহার প্রধান কোণস্থ প্রস্তর স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশু।তাঁহাতেই প্রত্যেক গাঁথনি সুসংলগ্ন হইয়া প্রভুতে পবিত্র মন্দির হইবার জন্য বৃদ্ধি পাইতেছে;তাঁহাতে আত্মাতে ঈশ্বরের আবাস হইবার নিমিত্ত তোমাদিগকেও একসঙ্গে গাঁথিয়া তোলা হইতেছে।
কেবল, খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর; আমি আসিয়া তোমাদিগকে দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনিতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ;
আর যে বহুসংখ্যক লোক বিশ্বাস করিয়াছিল, তাহারা একচিত্ত ও একপ্রাণ ছিল। তাহাদের একজনও আপন সমপত্তির মধ্যে কিছুই নিজের বলিত না; কিন্তু তাহাদের সকল বিষয় সাধারণে থাকিত।
আর তিনিই দেহের অর্থাৎ মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আদি, মৃতগণের মধ্য হইতে প্রথমজাত, যেন সর্ববিষয়ে তিনি অগ্রগণ্য হন।
কিন্তু হে ভ্রাতৃগণ, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলি, তোমরা সকলে একই কথা বল, তোমাদের মধ্যে দলাদলি না হউক, কিন্তু এক মনে ও এক বিচারে পরিপক্ব হও।
হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তোমার আবাস কেমন প্রিয়!কেননা তোমার প্রাঙ্গণে এক দিনও সহস্র দিন অপেক্ষা উত্তম; বরং আমার ঈশ্বরের গৃহের গোবরাটে দাঁড়াইয়া থাকা আমার বাঞ্ছনীয়, তবু দুষ্টতার তাম্বুতে বাস করা বাঞ্ছনীয় নয়।কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ধন্য সেই ব্যক্তি, যে তোমার উপরে নির্ভর করে।আমার প্রাণ সদাপ্রভুর প্রাঙ্গণের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে, এমন কি, মূর্চ্ছিত হয়, আমার হৃদয় ও আমার মাংস জীবন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশে উচ্চধ্বনি করে।
অতএব যেমন খ্রীষ্ট তোমাদিগকে গ্রহণ করিলেন, তেমনি ঈশ্বরের গৌরবের জন্য তোমরা একজন অন্যকে গ্রহণ কর।
বরং তোমরা দিন দিন পরস্পর চেতনা দেও, যাবৎ ‘অদ্য’ নামে আখ্যাত সময় থাকে, যেন তোমাদের মধ্যে কেহ পাপের প্রতারণায় কঠিনীভূত না হয়।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
বিস্তর অনুনয় সহকারে সেই অনুগ্রহের সম্বন্ধে, এবং পবিত্রগণের পরিচর্যায় সহভাগিতার সম্বন্ধে, আমাদের কাছে অনুরোধ করিয়াছিল।
উদ্দেশ্য এই, যেন এখন মণ্ডলী দ্বারা স্বর্গীয় স্থানস্থ আধিপত্য ও কর্তৃত্ব সকলকে ঈশ্বরের বহুবিধ প্রজ্ঞা জ্ঞাত করা যায়,
আর তাহারা প্রতিদিন একচিত্তে ধর্মধামে নিবিষ্ট থাকিয়া এবং বাটীতে রুটি ভাঙ্গিয়া উল্লাসে ও হৃদয়ের সরলতায় খাদ্য গ্রহণ করিত; তাহারা ঈশ্বরের প্রশংসা করিত, এবং সমস্ত লোকের প্রীতির পাত্র হইল।আর যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছিল, প্রভু দিন দিন তাহাদিগকে তাহাদের সহিত সংযুক্ত করিতেন।
আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচিয়া পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদিগকে পরস্পরের ও সকলের প্রতি প্রেমে বর্ধিষ্ণু করুন ও উপচিয়া পড়িতে দিউন;এইরূপে আপনার সমস্ত পবিত্রগণ সহ আমাদের প্রভু যীশুর আগমন কালে যেন তিনি আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে তোমাদের হৃদয় পবিত্রতায় অনিন্দনীয়রূপে সুস্থির করেন।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
আর সপ্তাহের প্রথম দিনে আমরা রুটি ভাঙ্গিবার জন্য একত্র হইলে পৌল পরদিন প্রস্থান করিতে উদ্যত ছিলেন বলিয়া শিষ্যদের কাছে কথা প্রসঙ্গ করিয়া মধ্যরাত্রি পর্যন্ত বক্তৃতা করিলেন।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।
তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
অতএব যে যে বিষয় শান্তিজনক, ও যে যে বিষয়ের দ্বারা পরস্পরকে গাঁথিয়া তুলিতে পারি, আমরা সেই সকলের অনুধাবন করি।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর। সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সাধুগণের সমাজে তাঁহার প্রশংসা গাও।
আর তাঁহারা সম্পূর্ণ এক বৎসর কাল মণ্ডলীতে একত্র হইতেন, এবং অনেক লোককে উপদেশ দিলেন; আর প্রথমে আন্তিয়খিয়াতেই শিষ্যেরা ‘খ্রীষ্টীয়ান’ নামে আখ্যাত হইল।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
কেননা আমি তোমাদিগকে দেখিবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি, যেন তোমাদিগকে এমন কোন আত্মিক বর প্রদান করি, যাহাতে তোমরা স্থিরীকৃত হও;অর্থাৎ যাহাতে তোমাদের ও আমার, উভয় পক্ষের, আন্তরিক বিশ্বাস দ্বারা তোমাদিগেতে আমি নিজেও সঙ্গে সঙ্গে আশ্বাস পাই।
অসম্পূর্ণকে অধিক আদর করিয়াছেন, যেন দেহের মধ্যে বিচ্ছেদ না হয়, বরং অঙ্গ সকল যেন পরস্পরের জন্য সমভাবে চিন্তা করে।আর এক অঙ্গ দুঃখ পাইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই দুঃখ পায়, এবং এক অঙ্গ গৌরব প্রাপ্ত হইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই আনন্দ করে।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
কিন্তু আত্মাতে পরিপূর্ণ হও; গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তনে পরস্পর আলাপ কর; আপন আপন অন্তঃকরণে প্রভুর উদ্দেশে গান ও বাদ্য কর;
তাহাদিগকে আমি আপন পবিত্র পর্বতে আনিব, এবং আমার প্রার্থনা-গৃহে আনন্দিত করিব; তাহাদের হোমবলি ও অন্য বলি সকল আমার যজ্ঞবেদির উপরে গ্রাহ্য হইবে, যেহেতু আমার গৃহ সর্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ বলিয়া আখ্যাত হইবে।
তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও; সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও।জাতিগণের মধ্যে বল, সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না; তিনি ন্যায়ে জাতিগণের বিচার করিবেন।আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লসিত হউক; সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সকলই গর্জন করুক;ক্ষেত্র ও তথাকার সকলই উল্লসিত হউক; তখন বনের সমস্ত বৃক্ষ আনন্দে গান করিবে;সদাপ্রভুর সাক্ষাতেই করিবে, কেননা তিনি আসিতেছেন, তিনি পৃথিবীর বিচার করিতে আসিতেছেন; তিনি ধর্মশীলতায় জগতের বিচার করিবেন, আপন বিশ্বস্ততায় জাতিগণের বিচার করিবেন।সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।প্রচার কর জাতিগণের মধ্যে তাঁহার গৌরব, সমস্ত লোক-সমাজে তাঁহার আশ্চর্য কর্ম সকল।
আর প্রতিমাদের সহিত ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সমপর্ক? আমরাই ত জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, যেমন ঈশ্বর বলিয়াছেন, “আমি তাহাদের মধ্যে বসতি করিব ও গমনাগমন করিব; এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।”
হে যিরূশালেম, তুমি নির্মিত হইয়াছ একত্র সংযুক্ত নগরের ন্যায়।সেই স্থানে বংশ সকল, সদাপ্রভুর বংশ সকল উঠে, ইস্রায়েলকে দত্ত সাক্ষ্যের [নিমিত্ত], সদাপ্রভুর নামের স্তব করিবার জন্য।কেননা সেই স্থানে বিচারার্থক সিংহাসন সকল, দায়ূদ-কুলের সিংহাসন সকল স্থাপিত।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
অতএব, হে আমার ভ্রাতৃগণ, প্রিয়তমেরা ও আকাঙ্ক্ষার পাত্রেরা, আমার আনন্দ ও মুকুটস্বরূপেরা, প্রিয়তমেরা, তোমরা এই প্রকারে পপ্রভুতে স্থির থাক।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।
ভ্রাতৃগণ, তবে দাঁড়াইল কি? তোমরা যখন সমবেত হও, তখন কাহারও গীত থাকে, কাহারও উপদেশ থাকে, কাহারও প্রত্যাদেশ থাকে, কাহারও বিশেষ ভাষা থাকে, কাহারও অর্থ ব্যাখ্যা থাকে, সকলই গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত হউক।
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
তখন যাহারা তাঁহার কথা গ্রাহ্য করিল, তাহারা বাপ্তাইজিত হইল; তাহাতে সেই দিন কমবেশ তিন হাজার লোক তাঁহাদের সহিত সংযুক্ত হইল।আর তাহারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায়, রুটি ভাঙ্গায় ও প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকিল।
হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।আমার বিপক্ষেরা আমাকে তিরস্কার করে, যেন অস্থি পর্যন্ত চূর্ণ করে, তাহারা সমস্ত দিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?হে আমার প্রাণ, কেন অবসন্ন হও? আমার অন্তরে কেন ক্ষুব্ধ হও? ঈশ্বরের অপেক্ষা কর; কেননা আমি আবার তাঁহার স্তব করিব; তিনি আমার মুখের পরিত্রাণ ও আমার ঈশ্বর।ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
অর্থাৎ যাহাতে তোমাদের ও আমার, উভয় পক্ষের, আন্তরিক বিশ্বাস দ্বারা তোমাদিগেতে আমি নিজেও সঙ্গে সঙ্গে আশ্বাস পাই।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
কিন্তু সেই মস্তক ধারণ করে না, যাঁহা হইতে সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন দ্বারা পরিপুষ্ট ও সংসক্ত হইয়া, ঈশ্বরীয় বৃদ্ধিতে বৃদ্ধি পাইতেছে।
আর এই জন্য আমরাও অবিরত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি যে, আমাদের কাছে ঈশ্বরের বার্তারূপ বাক্য প্রাপ্ত হইয়া তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছিলে; তাহা ঈশ্বরের বাক্যই বটে, এবং বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য সাধনও করিতেছে।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
আসিয়া জীবন্ত প্রস্তরের ন্যায় আত্মিক গৃহস্বরূপে গাঁথিয়া তোলা যাইতেছ, যেন পবিত্র যাজকবর্গ হইয়া যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরের গ্রাহ্য আত্মিক বলি উৎসর্গ করিতে পার।
হে ঈশ্বর, বৃদ্ধ বয়স ও পক্বকেশের কাল পর্যন্তও আমাকে পরিত্যাগ করিও না, যাবৎ আমি এই বর্তমান লোকদিগকে তোমার বাহুবল, ভাবী লোক সকলকে তোমার পরাক্রম, জ্ঞাত না করি।
তাঁহারা প্রার্থনা করিলে, যে স্থানে তাঁহারা সমবেত হইয়াছিলেন, সেই স্থান কাঁপিয়া উঠিল; এবং তাঁহারা সকলেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন ও সাহসপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য বলিতে থাকিলেন।
কিন্তু যদি আমার বিলম্ব হয়, তবে যেন তুমি জানিতে পার যে, ঈশ্বরের গৃহমধ্যে কেমন আচার-ব্যবহার করিতে হয়; সেই গৃহ ত জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী, সত্যের স্তম্ভ ও দৃঢ় ভিত্তি।
আমরা যে তোমাদের বিশ্বাসের উপরে প্রভুত্ব করি, এমন নয়, বরং তোমাদের আনন্দের সহকারী হই; কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাঁড়াইয়া আছ।
তবে তাহারা যাঁহাতে বিশ্বাস করে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাকে ডাকিবে? আর যাঁহার কথা শুনে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাতে বিশ্বাস করিবে? আর প্রচারক না থাকিলে কেমন করিয়া শুনিবে?
কিন্তু তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন, আমরাও যদি তেমনি জ্যোতিতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে, এবং তাঁহার পুত্র যীশুর রক্ত আমাদিগকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে।
এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাইলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছাপূর্বক পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোন যজ্ঞ অবশিষ্ট থাকে না,
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;এবং ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত মহান এক যাজকও আমাদের আছেন;এই জন্য আইস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমরা ত হৃদয়প্রোক্ষণ-পূর্বক মন্দ হইতে মুক্ত, এবং শুচি জলে স্নাত দেহবিশিষ্ট হইয়াছি;
তোমার বংশীয় লোকেরা পুরাকালের উৎসন্ন স্থান সকল নির্মাণ করিবে; তুমি বহু পুরুষ পূর্বের ভিত্তিমূল সকলের উপরে গাঁথিয়া তুলিবে, এবং ভগ্নস্থান-সংস্কারক ও নিবাসার্থক পথসমূহের উদ্ধারক বলিয়া আখ্যাত হইবে।
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
আমি যাবজ্জীবন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; আমি যতকাল বাঁচিয়া থাকি, আমার ঈশ্বরের প্রশংসা গান করিব।
ধৈর্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও,যেন তোমরা একচিত্তে এক মুখে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।
তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
তুমি আপন তাম্বুর স্থান পরিসর কর, তোমার শিবিরের যবনিকা বিস্তারিত হউক, ব্যয়শঙ্কা করিও না; তোমার রজ্জু সকল দীর্ঘ কর, তোমার গোঁজ সকল দৃঢ় কর।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
আর, হে আমার ভ্রাতৃগণ, আমি নিজেও তোমাদের বিষয়ে নিশ্চয় বুঝিতেছি যে, তোমরা নিজেরা মঙ্গলভাবে পরিপূর্ণ, সমুদয় জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরস্পরকে চেতনা প্রদানেও সমর্থ।
অতএব খ্রীষ্টে যদি কোন আশ্বাস, যদি প্রেমের কোন সান্ত্বনা, যদি আত্মার কোন সহভাগিতা, যদি কোন স্নেহ ও করুণা থাকে,যেন যীশুর নামে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল-নিবাসীদের “সমুদয় জানু পাতিত হয়,এবং সমুদয় জিহ্বা যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এইরূপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন। অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।তোমরা বচসা ও তর্কবিতর্ক বিনা সমস্ত কার্য কর,যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;ইহাতে খ্রীষ্টের দিনে আমি এই শ্লাঘা করিবার হেতু পাইব যে, আমি বৃথা দৌড়াই নাই, বৃথা পরিশ্রমও করি নাই।কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের যজ্ঞে ও সেবায় যদি আমি পেয় নৈবেদ্যরূপে সেচিতও হই, তথাপি আনন্দ করিতেছি, আর তোমাদের সকলের সঙ্গে আনন্দ করিতেছি।সেই প্রকারে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করিতেছি যে, তীমথিয়কে শীঘ্রই তোমাদের কাছে পাঠাইব, যেন তোমাদের অবস্থা জানিয়া আমারও প্রাণ জুড়ায়।তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর- একই বিষয় ভাব, এক প্রেমের প্রেমী, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও।
যাইতে যাইতে তাঁহারা শিষ্যদের মন সুস্থির করিলেন, এবং তাঁহাদিগকে আশ্বাস দিতে লাগিলেন, যেন তাহারা বিশ্বাসে স্থির থাকে, আর কহিলেন, অনেক ক্লেশের মধ্য দিয়া আমাদিগকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইবে।
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।
যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।কেননা সদাপ্রভু মঙ্গলময়; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তাঁহার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে নিবেদন করিতেছি; যাঁহারা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদিগকে চেতনা দেন, তাঁহাদিগকে চিনিয়া লও,আর তাঁহাদের কর্ম প্রযুক্ত তাঁহাদিগকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।
যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে।যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
অতএব খ্রীষ্টের পক্ষেই আমরা রাজ-দূতের কর্ম করিতেছি; ঈশ্বর যেন আমাদের দ্বারা নিবেদন করিতেছেন; আমরা খ্রীষ্টের পক্ষে এই বিনতি করিতেছি, তোমরা ঈশ্বরের সহিত সম্মিলিত হও।
এই জন্য আমরা একমত হইয়া কয়েক জনকে মনোনীত করিয়া,আমাদের প্রিয় যে বার্ণবা ও পৌল আমাদের প্রভু যীশুর খ্রীষ্টের নামের নিমিত্ত প্রাণপণ করিয়াছেন, তাঁহাদের সঙ্গে উঁহাদিগকে তোমাদের নিকটে পাঠাইতে বিহিত বুঝিলাম।
শেষকথা এই; হে ভ্রাতৃগণ, আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর; যেন, যেমন তোমাদের মধ্যে হইতেছে, তেমনি প্রভুর বাক্য দ্রুতগতি ও গৌরবান্বিত হয়,
আমরা যাহা দেখিয়াছি ও শুনিয়াছি, তাহার সংবাদ তোমাদিগকেও দিতেছি, যেন আমাদের সহিত তোমাদেরও সহভাগিতা হয়। আর আমাদের যে সহভাগিতা, তাহা পিতার এবং তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সহিত।
সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, কেননা আমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা গান করা উত্তম; তাহা মনোহর; প্রশংসার উপযুক্ত।
আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।তিনি একটি শিশুকে আপনার নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদের মধ্যে দাঁড় করাইলেন,কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।