পুরাতন নিয়মে, আনন্দ উৎসব আর পরবের মাধ্যমে প্রকাশ করা হত। আমাদের আনন্দ, ঈশ্বরের ইচ্ছা আবিষ্কার করার মধ্য দিয়ে আসে, যা আমাদের জীবনে ভালো, সুন্দর এবং পরিপূর্ণ। এটা ক্ষণিকের অনুভূতি নয়, বরং মুক্তির আনন্দে সত্যিকারের আনন্দ খুঁজে পাওয়া।
আজ তোমাকে বলছি, সব দুঃখ বিসর্জন দাও, মনের সব ক্ষোভ ও অভিমান ত্যাগ কর। যীশুর অনন্ত আনন্দ তোমার অন্তরকে পূর্ণ করে তুলুক। তাহলেই তুমি দেখবে হাসির কারণ অনেক, আর মনের দুঃখের কারণ কম।
মনে রাখবে, তোমার চারপাশের সবকিছু ঈশ্বর তোমার আনন্দের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই তার জন্য হাসো, তার উপস্থিতিতে প্রেমের নিঃশ্বাস ফেল। কারণ কষ্টের দিন শেষ হবে, আর তিনি তোমার জন্য রংধনু আঁকবেন।
ঈশ্বর আমাদের বিলাপকে নৃত্যে পরিণত করেছেন, আমাদের আনন্দে পূর্ণ করেছেন। জীবনের সব সময় সুখ না থাকলেও, ঈশ্বরে আমরা শান্তি পাই, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি যা করেন, আমাদের ভালোর জন্যই করেন।
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
তুমি আমাকে জীবনের পথ জ্ঞাত করিবে, তোমার সম্মুখে তৃপ্তিকর আনন্দ, তোমার দক্ষিণ হস্তে নিত্য সুখভোগ।
সতত আনন্দ কর;অবিরত প্রার্থনা কর;সর্ববিষয়ে ধন্যবাদ কর; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ইহাই তোমাদের উদ্দেশে ঈশ্বরের ইচ্ছা।
ভাল, তোমরাও এখন দুঃখ পাইতেছ, কিন্তু আমি তোমাদিগকে আবার দেখিব তাহাতে তোমাদের হৃদয় আনন্দিত হইবে, এবং তোমাদের সেই আনন্দ কেহ তোমাদের হইতে হরণ করে না।
সমস্ত পৃথিবী! সদাপ্রভুর উদ্দেশে জয়ধ্বনি কর;সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা কর; আনন্দগানসহ তাঁহার সম্মুখে আইস।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী; সেই বীর পরিত্রাণ করিবেন, তিনি তোমার বিষয়ে পরম আনন্দ করিবেন; তিনি প্রেমভরে মৌনী হইবেন, আনন্দগান দ্বারা তোমার বিষয়ে উল্লাস করিবেন।
আমি ইহা স্মরণ করিয়া অন্তরে আপন প্রাণ ঢালি, কেননা আমি লোকারণ্যের সহিত যাত্রা করিতাম, তাহাদিগকে ঈশ্বরের গৃহে লইয়া যাইতাম, আনন্দ ও স্তবগানের ধ্বনির সহিত বহুলোক পর্ব পালন করিত।
তুমি যাও, আনন্দপূর্বক তোমার খাদ্য ভোজন কর, হৃষ্টচিত্তে তোমার দ্রাক্ষারস পান কর, কেননা ঈশ্বর পূর্ব কাল হইতে তোমার কর্ম সকল গ্রাহ্য করিয়া আসিতেছেন।
সদাপ্রভু আমার বল ও আমার ঢাল; আমার অন্তঃকরণ তাঁহার উপরে নির্ভর করিয়াছে, তাই আমি সাহায্য পাইয়াছি; এই জন্য আমার অন্তঃকরণ উল্লসিত হইয়াছে, আমি নিজ গীত দ্বারা তাঁহার প্রশংসা করিব।
আমি জানি, যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না।আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।
যদিও ডুমুরবৃক্ষ পুষ্পিত হইবে না, দ্রাক্ষালতায় ফল ধরিবে না, জলপাইবৃক্ষ ফলদানে বঞ্চনা করিবে, ও ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য উপন্ন হইবে না, খোঁয়াড় হইতে মেষপাল উচ্ছিন্ন হইবে, গোষ্ঠে গরু থাকিবে না;তথাপি আমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করিব, আমার ত্রাণেশ্বরে উল্লসিত হইব।
তোমরা তাঁহাকে না দেখিয়াও প্রেম করিতেছ; এখন দেখিতে পাইতেছ না, তথাপি তাঁহাতে বিশ্বাস করিয়া অনির্বচনীয় ও গৌরবযুক্ত আনন্দে উল্লাস করিতেছ,
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
তুমি আমার বিলাপ নৃত্যে পরিণত করিয়াছ; তুমি আমার চট খুলিয়া আমাকে আনন্দ পটুকায় বদ্ধকটি করিয়াছ,
কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমি আপন কার্য দ্বারা আমাকে আহ্লাদিত করিয়াছ; আমি তোমার হস্তকৃত কার্য সকলে জয়ধ্বনি করিব।
দীপ্তি বপন করা গিয়াছে ধার্মিকের জন্য, আর সরলচিত্তদের জন্য আনন্দ।হে ধার্মিকগণ, সদাপ্রভুতে আনন্দ কর, তাঁহার পবিত্র নামের ধন্যবাদ কর।
তৎকালে আমাদের মুখ হাস্যে পূর্ণ হইল, আমাদের জিহ্বা আনন্দগানে পূর্ণ হইল; তৎকালে জাতিগণের মধ্যে লোকে বলিল, সদাপ্রভু উহাদের নিমিত্ত মহৎ মহৎ কর্ম করিয়াছেন।সদাপ্রভু আমাদের নিমিত্ত মহৎ মহৎ কর্ম করিয়াছেন, সেই জন্য আমরা আনন্দিত হইয়াছি।
বস্তুতঃ যে ব্যক্তি [ঈশ্বরের] প্রীতিজনক, তাহাকে তিনি প্রজ্ঞা, বিদ্যা ও আনন্দ দেন; কিন্তু পাপীকে কষ্ট দেন, যেন সে ঈশ্বরের প্রীতিজনক ব্যক্তিকে দিবার জন্য ধন সংগ্রহ ও সঞ্চয় করে। ইহাও অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র।
আবার ঈশ্বর যে কোন ব্যক্তিকে ধন-সম্পত্তি দান করেন, তাহাকে তাহা ভোগ করিতে, আপন অংশ লইতে ও আপন পরিশ্রমে আনন্দ করিতে ক্ষমতা দেন, ইহাই ঈশ্বরের দান।
দেখ, ঈশ্বর আমার পরিত্রাণ; আমি সাহস করিব, ভীত হইব না; কেননা সদাপ্রভু যিহোবা আমার বল ও গান; তিনি আমার পরিত্রাণ হইয়াছেন।এই জন্য তোমরা আহ্লাদ সহকারে পরিত্রাণের উনুই সকল হইতে জল তুলিবে।
আর সদাপ্রভুর নিস্তারিত লোকেরা ফিরিয়া আসিবে, আনন্দগান পূর্বক সিয়োনে আসিবে, এবং তাহাদের মস্তকে নিত্যস্থায়ী হর্ষমুকুট থাকিবে; তাহারা আমোদ ও আনন্দ প্রাপ্ত হইবে, এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পলায়ন করিবে।
সদাপ্রভুর নিস্তারিত লোকেরা ফিরিয়া আসিবে, আনন্দগান পূর্বক সিয়োনে আসিবে, এবং তাহাদের মস্তকে নিত্যস্থায়ী হর্ষমুকুট থাকিবে; তাহারা আমোদ ও আনন্দ প্রাপ্ত হইবে, এবং খেদ ও আর্তস্বর দূরে পলায়ন করিবে।
কারণ তোমরা আনন্দ সহকারে বাহিরে যাইবে, এবং শান্তিতে তোমাদিগকে লইয়া যাওয়া হইবে। পর্বত ও উপপর্বতগণ তোমাদের সমক্ষে উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান করিবে, এবং ক্ষেত্রের সমস্ত বৃক্ষ হাততালি দিবে।
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
তোমার বাক্য সকল পাওয়া গেল, আর আমি সেইগুলি ভক্ষণ করিলাম, তোমার বাক্য সকল আমার আমোদ ও চিত্তের হর্ষজনক ছিল; কেননা হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, আমার উপরে তোমার নাম কীর্তিত।
তাহারা আর অবসন্ন হইবে না। তখন কন্যারা নাচিয়া আনন্দ করিবে, এবং যুবকগণ ও বৃদ্ধেরা একত্র হইয়া আনন্দ করিবে; কারণ আমি তাহাদের শোক আমোদে পরিণত করিব; তাহাদিগকে সান্ত্বনা করিব, ও দুঃখ ঘুচাইয়া আহ্লাদিত করিব।
আনন্দ করিও, উল্লসিত হইও, কেননা স্বর্গে তোমাদের পুরস্কার প্রচুর; কারণ তোমাদের পূর্বে যে ভাববাদিগণ ছিলেন, তাঁহাদিগকে তাহারা সেই মত তাড়না করিত।
তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।
তখন তাঁহারা সভয়ে ও মহানন্দে শীঘ্র কবর হইতে প্রস্থান করিয়া তাঁহার শিষ্যদিগকে সংবাদ দিবার জন্য দৌড়াইয়া গেলেন।
ধন্য তোমরা, যাহারা এখন ক্ষুধিত, কারণ তোমরা পরিতৃপ্ত হইবে। ধন্য তোমরা, যাহারা এক্ষণে রোদন কর, কারণ তোমরা হাসিবে।
তথাপি আত্মারা যে তোমাদের বশীভূত হয়, ইহাতে আনন্দ করিও না; কিন্তু তোমাদের নাম যে স্বর্গে লিখিত আছে, ইহাতেই আনন্দ কর।
আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তদ্রূপ একজন পাপী মন ফিরাইলে স্বর্গে আনন্দ হইবে; যাহাদের মন ফিরান অনাবশ্যক, এমন নিরানব্বই জন ধার্মিকের বিষয়ে তত আনন্দ হইবে না।
এই সকল কথা তোমাদিগকে বলিয়াছি, যেন আমার আনন্দ তোমাদের মধ্যে থাকে, এবং তোমাদের আনন্দ সম্পূর্ণ হয়।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা ক্রন্দন ও বিলাপ করিবে, কিন্তু জগৎ আনন্দ করিবে; তোমরা দুঃখার্ত হইবে, কিন্তু তোমাদের দুঃখ আনন্দে পরিণত হইবে।
কিন্তু এখন আমি তোমার নিকটে আসিতেছি, আর জগতে এই সকল কথা কহিতেছি, যেন তাহারা আমার আনন্দ তাহাদের মধ্যে সম্পূর্ণ রূপে প্রাপ্ত হয়।
আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।আর ব্যবস্থা তৎপরে পার্শ্বে উপস্থিত হইল, যেন অপরাধের বাহুল্য হয়; কিন্তু যেখানে পাপের বাহুল্য হইল, সেখানে অনুগ্রহ আরও উপচিয়া পড়িল;যেন পাপ যেমন মৃত্যুতে রাজত্ব করিয়াছিল, তেমনি আবার অনুগ্রহ ধার্মিকতা দ্বারা, অনন্ত জীবনের নিমিত্ত, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, রাজত্ব করে।কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
তোমাদের কাছে আমার বড়ই সাহস; তোমাদের পক্ষে আমি বড়ই শ্লাঘা করি; আমাদের সমস্ত ক্লেশের মধ্যে আমি সান্ত্বনাতে পরিপূর্ণ, আমি আনন্দে উথলিয়া পড়িতেছি।
শেষ কথা এই, হে আমার ভ্রাতৃগণ, প্রভুতে আনন্দ কর। একই কথা তোমাদিগকে পুনঃ পুনঃ লিখিতে আমার আয়াস বোধ হয় না, আর তাহা তোমাদের রক্ষার নিমিত্ত।
তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
আনন্দের সহিত সম্পূর্ণ ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা প্রকাশার্থে তাঁহার প্রতাপের পরাক্রম অনুসারে সমস্ত শক্তিতে শক্তিমান হও;
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
আর তোমরা বহু ক্লেশের মধ্যে পবিত্র আত্মার আনন্দে সেই বাক্য গ্রহণ করিয়া আমাদের এবং প্রভুরও অনুকারী হইয়াছ;
তোমার অশ্রুপাত স্মরণ করিয়া রাত দিন তোমাকে দেখিবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি, যেন আনন্দে পূর্ণ হই;
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা যখন নানাবিধ পরীক্ষায় পড়, তখন তাহা সর্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিও;কারণ মনুষ্যের ক্রোধ ঈশ্বরের ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করে না।অতএব তোমরা সকল অশুচিতা এবং দুষ্টতার উচ্ছ্বাস ফেলিয়া দিয়া, মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ কর, যাহা তোমাদের প্রাণের পরিত্রাণ সাধন করিতে পারে।আর বাক্যের কার্যকারী হও, আপনাদিগকে ভুলাইয়া শ্রোতামাত্র হইও না।কেননা যে কেহ বাক্যের শ্রোতামাত্র, কার্যকারী নয়, সে এমন ব্যক্তির তুল্য, যে দর্পণে আপনার স্বাভাবিক মুখ দেখে;কারণ সে আপনাকে দেখিল, চলিয়া গেল আর সে কিরূপ লোক, তাহা তখনই ভুলিয়া গেল।কিন্তু যে কেহ হেঁট হইয়া স্বাধীনতার সিদ্ধ ব্যবস্থায় দৃষ্টিপাত করে, ও তাহাতে নিবিষ্ট থাকে, ভুলিয়া যাইবার শ্রোতা না হইয়া কার্যকারী হয়, সেই আপন কার্যে ধন্য হইবে।যে ব্যক্তি আপনাকে ধর্মশীল বলিয়া মনে করে, আর আপন জিহ্বাকে বল্গা দ্বারা বশে না রাখে, কিন্তু নিজ হৃদয়কে ভুলায় তাহার ধর্ম অলীক।ক্লেশাপন্ন পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করা, এবং সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাই পিতা ঈশ্বরের কাছে শুচি ও বিমল ধর্ম।জানিও, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাসিদ্ধতা ধৈর্য সাধন করে।
বরং যে পরিমাণে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের সহভাগী হইতেছ, সেই পরিমাণে আনন্দ কর, যেন তাঁহার প্রতাপের প্রকাশকালে উল্লাস সহকারে আনন্দ করিতে পার।
কিন্তু তোমার শরণাপন্ন সকলে আহ্লাদিত হউক, তাহারা চিরকাল আনন্দগান করুক, কেননা তুমি তাহাদিগকে রক্ষা করিতেছ; যাহারা তোমার নাম ভালবাসে, তাহারা তোমাতে উল্লাস করুক।
ধন্য সেই প্রজারা, যাহারা সেই আনন্দধ্বনি জানে, হে সদাপ্রভু, তাহারা তোমার মুখের দীপ্তিতে গমনাগমন করে।তাহারা সমস্ত দিন তোমার নামে উল্লাস করে, তাহারা তোমার ধর্মশীলতায় উন্নত হয়;
আইস, আমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনন্দগান করি, আমাদের ত্রাণ-শৈলের উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।চল্লিশ বৎসর পর্যন্ত আমি সেই জাতির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম, আমি বলিয়াছিলাম, ইহারা ভ্রান্তচিত্ত লোক; ইহারা আমার পথ জ্ঞাত হইল না।অতএব আমি আপন ক্রোধে শপথ করিলাম, ইহারা আমার বিশ্রামস্থানে প্রবেশ করিবে না।আমরা স্তবসহ তাঁহার সম্মুখে গমন করি, সঙ্গীত দ্বারা তাঁহার উদ্দেশে জয়ধ্বনি করি।
যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে।যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
তুমি সেই জাতির বৃদ্ধি করিয়াছ, তাহাদের আনন্দ বাড়াইয়াছ; তাহারা তোমার সাক্ষাতে শস্যচ্ছেদন সময়ের ন্যায় আহ্লাদ করে, যেমন লুট বিভাগ করিবার সময়ে লোকেরা উল্লসিত হয়।
নম্রগণও সদাপ্রভুতে উত্তরোত্তর আনন্দিত হইবে, এবং মনুষ্যদের মধ্যবর্তী দরিদ্রগণ ইস্রায়েলের পবিত্রতমে উল্লাস করিবে।
আকাশমণ্ডল, আনন্দ-রব কর, পৃথিবী, উল্লসিত হও; পর্বতগণ, উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান কর; কেননা সদাপ্রভু আপন প্রজাগণকে সান্ত্বনা করিয়াছেন, আর আপন দুঃখীদের প্রতি করুণা করিবেন।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
এই সকল দেখিলে তোমাদের হৃদয় প্রফুল্ল হইবে, তোমাদের অস্থি সকল নবীন তৃণের ন্যায় সতেজ হইবে; এবং সদাপ্রভুর হস্ত আপন দাসদের পক্ষে আত্ম পরিচয় দিবে, আর তিনি আপন শত্রুদের প্রতি কুপিত হইবেন।
হে কুমারি ইস্রায়েল, আমি তোমাকে পুনর্বার গাঁথিয়া তুলিব, তুমি গাঁথা যাইবে, তুমি পুনর্বার আপন তবলে বিভূষিতা হইবে, এবং আনন্দকারীদের শ্রেণীতে নৃত্য করিতে করিতে গমন করিবে।
এই স্থানে পুনর্বার আমোদের রব ও আনন্দের রব, বরের রব ও কন্যার রব শুনা যাইবে; এবং তাহাদেরও রব শুনা যাইবে, যাহারা বলে, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, কেননা সদাপ্রভু মঙ্গলস্বরূপ, তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী,’ আর যাহারা সদাপ্রভুর গৃহে স্তবগানরূপ উপহার আনয়ন করে। কেননা পূর্বকালের ন্যায় আমি এই দেশের বন্দিদশা ফিরাইব, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
তখন দূত তাহাদিগকে কহিলেন, ভয় করিও না, কেননা দেখ, আমি তোমাদিগকে মহানন্দের সুসমাচার জানাইতেছি; সেই আনন্দ সমুদয় লোকেরই হইবে;
যে ব্যক্তি কন্যাকে পাইয়াছে, সেই বর; কিন্তু বরের মিত্র যে দাঁড়াইয়া তাঁহার কথা শুনে, সে বরের রবে অতিশয় আনন্দিত হয়; অতএব আমার এই আনন্দ পূর্ণ হইল।
অতএব মণ্ডলী তাহাদিগকে আগবাড়ান দিয়া পাঠাইয়া দিলে তাঁহারা ফৈনীকিয়া ও শমরিয়া দেশ দিয়া গমন করিতে করিতে পরজাতীয়দের ফিরিয়া আসিবার বিষয় বর্ণনা করিলেন, এবং সমস্ত ভ্রাতৃগণের পরমানন্দ জন্মাইলেন।
ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি যেন তোমাদের নিকটে আনন্দে উপস্থিত হইয়া তোমাদের সঙ্গে প্রাণ জুড়াইতে পারি।
অবশেষে বলি, হে ভ্রাতৃগণ, আনন্দ কর, পরিপক্ব হও, আশ্বাস গ্রহণ কর, একভাববিশিষ্ট হও, শান্তিতে থাক; তাহাতে প্রেমের ও শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিবেন।
অতএব, হে আমার ভ্রাতৃগণ, প্রিয়তমেরা ও আকাঙ্ক্ষার পাত্রেরা, আমার আনন্দ ও মুকুটস্বরূপেরা, প্রিয়তমেরা, তোমরা এই প্রকারে পপ্রভুতে স্থির থাক।
এখন তোমাদের নিমিত্ত আমার যে সকল দুঃখভোগ হইয়া থাকে, তাহাতে আনন্দ করিতেছি, এবং খ্রীষ্টের ক্লেশভোগের যে অংশ অপূর্ণ রহিয়াছে তাহা আমার মাংসে তাঁহার দেহের নিমিত্ত পূর্ণ করিতেছি; সেই দেহ মণ্ডলী।
কেননা আমাদের প্রত্যাশা, বা আনন্দ, বা শ্লাঘার মুকুট কি? আমাদের প্রভু যীশুর সাক্ষাতে তাঁহার আগমনকালে তোমরাই কি নও?বরং ফিলিপীতে পূর্বে দুঃখভোগ ও অপমান ভোগ করিলে পর, তোমরা জান, আমরা আমাদের ঈশ্বরে সাহসী হইয়া অতিশয় প্রাণপণে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচারের কথা বলিয়াছিলাম।বাস্তবিক তোমরাই আমাদের গৌরব ও আনন্দভূমি।
বাস্তবিক তোমাদের কারণ আমরা আপন ঈশ্বরের সাক্ষাতে যে সকল আনন্দে আনন্দ করি, তাহার প্রতিদান বলিয়া তোমাদের জন্য ঈশ্বরকে কি প্রকার ধন্যবাদ দিতে পারি?
আমি অতিশয় আনন্দ করি, কেননা দেখিতে পাইয়াছি, যেমন আমরা পিতা হইতে আদেশ প্রাপ্ত হইয়াছি, তোমার সন্তানদের মধ্যে কেহ কেহ তেমনি সত্যে চলিতেছে।
কারণ আমি অতিশয় আনন্দিত হইলাম যে, ভ্রাতৃগণ আসিয়া তোমার সত্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন, যেমন তুমি সত্যে চলিতেছ।আমার সন্তানগণ সত্যে চলে, ইহা শুনিলে যে আনন্দ হয়, তদপেক্ষা মহত্তর আনন্দ আমার নাই।
আর যিনি তোমাদিগকে উছোট খাওয়া হইতে রক্ষা করিতে, এবং আপন প্রতাপের সাক্ষাতে নির্দোষ অবস্থায় সানন্দে উপস্থিত করিতে পারেন,