আপনাদের জানেন, যারা ঈশ্বরের পথে আমাদের সবাইকে পথ দেখান, সেই পালকদের কত বড় দায়িত্ব! তারা যেন আমাদের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেন, যেন তাদের জীবনে আমরা ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। মনে হয়, ঈশ্বরের কাছে এবং আমাদের সবার কাছে, মন্ডলীর পালক হওয়াটা এক বিরাট সম্মানের। অনেক সময় আমরা হয়তো তাদের পরিশ্রমের সঠিক মূল্য দিতে পারি না, কিন্তু ঈশ্বর সব দেখেন, তিনি তাদের জন্য স্বর্গে অনন্ত পুরষ্কার রেখেছেন।
আমাদের কখনো ভুলে গেলে চলবে না যে, তারাও ঈশ্বরের সন্তান, তারাও মানুষ, তারাও ভুল করেন, তাদেরও আবেগ-অনুভূতি আছে। বিশ্বাস করুন, আমাদের কাছ থেকে উৎসাহের কথা, কৃতজ্ঞতার কথা শুনলে তারাও অনেক খুশি হন।
আসুন, আমরা সবাই তাদের জন্য প্রার্থনা করি, যেন ঈশ্বর তাদের সুরক্ষা করেন, সবসময় তাদের পথ দেখান। আসুন, তাদের জীবনকে সম্মান করি, আন্তরিকভাবে তাদের সেবা করি, যেন তারা বোঝেন যে, তারা আমাদের কাছে কত মূল্যবান।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? পিতর দুঃখিত হইলেন যে, তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে বলিলেন, ‘তুমি কি আমাকে ভালবাস?’ আর তিনি তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, আপনি সকলই জানেন; আপনি জ্ঞাত আছেন যে, আমি আপনাকে ভালবাসি। যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে চরাও।
তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।
সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন, ও তোমাকে রক্ষা করুন;সদাপ্রভু তোমার প্রতি আপন মুখ উজ্জ্বল করুন, ও তোমাকে অনুগ্রহ করুন;সদাপ্রভু তোমার প্রতি নিজ মুখ উত্তোলন করুন, ও তোমাকে শান্তি দান করুন।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা তোমাদিগকে নিবেদন করিতেছি; যাঁহারা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন, এবং তোমাদিগকে চেতনা দেন, তাঁহাদিগকে চিনিয়া লও,আর তাঁহাদের কর্ম প্রযুক্ত তাঁহাদিগকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।
প্রিয়তম, প্রার্থনা করি, যেমন তোমার প্রাণ কুশলপ্রাপ্ত, সর্ববিষয়ে তুমি তেমনি কুশলপ্রাপ্ত ও সুস্থ থাক।
তোমরা আপনাদের বিষয়ে সাবধান, এবং পবিত্র আত্মা তোমাদিগকে অধ্যক্ষ করিয়া যাহার মধ্যে নিযুক্ত করিয়াছেন, সেই সমস্ত পালের বিষয়ে সাবধান হও, ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পালন কর, যাহাকে তিনি নিজ রক্ত দ্বারা ক্রয় করিয়াছেন।
আহা! পর্বতগণের উপরে তাহারই চরণ কেমন শোভা পাইতেছে, যে সুসমাচার প্রচার করে, শান্তি ঘোষণা করে, মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, পরিত্রাণ ঘোষণা করে, সিয়োনকে বলে, তোমার ঈশ্বর রাজত্ব করেন।
অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী, মিতাচারী, আত্মসংযমী, পরিপাটী, অতিথি সেবক এবং শিক্ষাদানে নিপুণ হউন;
আমরা প্রার্থনাকালে তোমাদের নাম উল্লেখ করিয়া তোমাদের সকলের নিমিত্ত সতত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া থাকি;আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কার্য, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিষয়ক প্রত্যাশার ধৈর্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে অবিরত স্মরণ করিয়া থাকি;
প্রথমতঃ আমি যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা তোমাদের সকলের জন্য আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি যে, তোমাদের বিশ্বাস সমস্ত জগতে ঘোষিত হইতেছে।
যাঁহারা তোমাদিগকে ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া গিয়াছেন, তোমাদের সেই নেতাদিগকে স্মরণ কর, এবং তাঁহাদের আচরণের শেষগতি আলোচনা করিতে করিতে তাঁহাদের বিশ্বাসের অনুকারী হও।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন।
আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন,
কেননা ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ বলিয়া অনিন্দনীয় হন; স্বেচ্ছাচারী কি আশুক্রোধী কি মদ্যপানে আসক্ত কি প্রহারক কি কুৎসিত লাভের লোভী না হন,
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্তৃত্বকারীরূপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়াই কর।তাহাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হইলে তোমরা ম্লান প্রতাপমুকুট পাইবে।
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ দ্বার দিয়া মেষদের খোঁয়াড়ে প্রবেশ না করে, কিন্তু আর কোন দিক্ দিয়া উঠে, সে চোর ও দস্যু।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;
পরে তিনি দ্বিতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে প্রেম কর? তিনি কহিলেন, হাঁ, প্রভু; আপনি জানেন, আমি আপনাকে ভালবাসি। তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে পালন কর।
তখন যীশু বাহির হইয়া বিস্তর লোক দেখিয়া তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা পালক-বিহীন মেষপালের ন্যায় ছিল; আর তিনি তাহাদিগকে অনেক বিষয় শিক্ষা দিতে লাগিলেন।
আর তিনি বারো জনকে নিযুক্ত করিলেন, যেন তাঁহারা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে থাকেন, ও যেন তিনি তাঁহাদিগকে প্রচার করিবার জন্য প্রেরণ করিতে পারেন,
তিনি আপন দাস দায়ূদকে মনোনীত করিলেন, তাঁহাকে মেষের খোঁয়াড় হইতে গ্রহণ করিলেন;তিনি স্তন্যদাত্রী মেষীদের পশ্চাৎ হইতে তাঁহাকে আনিলেন, আপন প্রজা যাকোবকে ও আপন অধিকার ইস্রায়েলকে চরাইতে দিলেন।আর উনি হৃদয়ের সিদ্ধতানুসারে তাহাদিগকে চরাইলেন, আপন হস্তের দক্ষতায় তাহাদিগকে চালাইলেন।
তিনি মেষপালকের ন্যায় আপন পাল চরাইবেন, তিনি শাবকদিগকে বাহুতে সংগ্রহ করিবেন, এবং কোলে করিয়া বহন করিবেন; দুগ্ধবতী সকলকে তিনি ধীরে ধীরে চালাইবেন।
কেননা যাঁহারা উত্তমরূপে পরিচারকের কার্য করিয়াছেন, তাঁহারা আপনাদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠা, এবং খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাসে অতিশয় সাহস লাভ করেন।
হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি ইস্রায়েলের পালকদের বিরুদ্ধে ভাববাণী বল, ভাববাণী বল, তাহাদিগকে, অর্থাৎ সেই পালকদিগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইস্রায়েলের সেই পালকদিগকে ধিক্, যাহারা আপনাদিগকেই পালন করিতেছে।অতএব প্রভু সদাপ্রভু তাহাদিগকে এই কথা কহেন, দেখ, আমি, আমিই হৃষ্টপুষ্ট মেষের ও কৃশ মেষের মধ্যে বিচার করিব।তোমরা পার্শ্ব ও স্কন্ধ দিয়া দুর্বল সকলকে ঠেলিতেছ, শৃঙ্গ দিয়া ঢুষাইতেছ, তাহাদিগকে বাহিরে ছিন্নভিন্ন না করিয়া ক্ষান্ত হও না।এই জন্য আমি আপন মেষপালকে রক্ষা করিব, তাহারা আর লুটদ্রব্য হইবে না; এবং আমি মেষ ও মেষের মধ্যে বিচার করিব।আর আমি তাহাদের উপরে একমাত্র পালককে উৎপন্ন করিব, তিনি তাহাদিগকে পালন করিবেন, তিনি আমার দাস দায়ূদ; তিনিই তাহাদিগকে চরাইবেন, এবং তিনিই তাহাদের পালক হইবেন।আর আমি সদাপ্রভু তাহাদের ঈশ্বর হইব, এবং আমার দাস দায়ূদ তাহাদের মধ্যে অধ্যক্ষ হইবেন;আমি সদাপ্রভুই ইহা কহিলাম। আমি তাহাদের পক্ষে শান্তির নিয়ম স্থির করিব, ও হিংস্র পশুদিগকে দেশ হইতে শেষ করিব; তাহাতে তাহারা নির্ভয়ে প্রান্তরে বাস করিবে ও বনে নিদ্রা যাইবে।আর আমি তাহাদিগকে ও আমার গিরির চারিদিকের পরিসীমাকে আশীর্বাদস্বরূপ করিব; এবং যথাসময়ে জলধারা বর্ষাইব, আশীর্বাদের ধারা বর্ষিবে।আর ক্ষেত্রের বৃক্ষ ফল উৎপন্ন করিবে, ও ভূমি নিজ শস্য দিবে; এবং তাহারা নির্ভয়ে স্বদেশে থাকিবে, তাহাতে তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু। যখন আমি তাহাদের জোঁয়ালির খিল ভাঙ্গিয়া ফেলিব, এবং যাহারা তাহাদিগকে দাসত্ব করাইয়াছে, তাহাদের হস্ত হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিব।তাহারা আর জাতিগণের লুটদ্রব্য হইবে না, এবং বন্য পশুগণ তাহাদিগকে আর গ্রাস করিবে না; কিন্তু তাহারা নির্ভয়ে বাস করিবে, কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না।আর আমি তাহাদের জন্য যশের উদ্যান উৎপন্ন করিব; তাহাতে দেশের মধ্যে ক্ষুধায় তাহাদের সংহার আর হইবে না, এবং তাহারা জাতিগণের কৃত অপমান আর ভোগ করিবে না।মেষগণকেই পালন করা কি পালকদের কর্তব্য নয়? তোমরা মেদ খাইয়া থাক, মেষলোম পরিধান করিয়া থাক, পুষ্ট মেষ বলিদান করিয়া থাক, কিন্তু মেষগণকে পালন কর না।আর তাহারা জানিবে যে, আমি সদাপ্রভু, তাহাদের সহবর্তী ঈশ্বর, ও তাহারা আমার প্রজা ইস্রায়েল-কুল, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।আর তোমরা আমার মেষ, আমার চরাণির মেষ; তোমরা মনুষ্য, আমিই তোমাদের ঈশ্বর; ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।তোমরা দুর্বলদিগকে সবল কর নাই, পীড়িতের চিকিৎসা কর নাই, ভগ্নাঙ্গের ক্ষত বাঁধ নাই, দূরীকৃতকে ফিরাইয়া আন নাই, হারানের অন্বেষণ কর নাই, কিন্তু বল ও উপদ্রবপূর্বক তাহাদের শাসন করিয়াছ।
কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি, আমিই আপন মেষগণের অন্বেষণ করিব, তাহাদিগকে খুঁজিয়া বাহির করিব।পালক আপন ছিন্নভিন্ন মেষগণের মধ্যে থাকিবার দিনে যেমন আপন পাল খুঁজিয়া বাহির করে, তেমনি আমি আপন মেষগণকে খুঁজিয়া বাহির করিব, এবং যে সকল স্থানে তাহারা মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকারময় দিবসে ছিন্নভিন্ন হইয়াছে, সেই সকল স্থান হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিব।
আমি হারানো মেষের অন্বেষণ করিব, দূরীকৃতকে ফিরাইয়া আনিব, ভগ্নাঙ্গের ক্ষত বাঁধিব, ও পীড়িতকে সবল করিব, এবং হৃষ্টপুষ্ট ও বলবানকে সংহার করিব; আমি বিচারমতে তাহাদিগকে পালন করিব।
কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।
তোমরা পরজাতিগণের পথে যাইও না, এবং শমরীয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষগণের কাছে যাও।
তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি একশত মেষ থাকে, আর তাহাদের মধ্যে একটি হারাইয়া যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটা ছাড়িয়া পর্বতে গিয়া ঐ হারান মেষটির অন্বেষণ করে না?আর যদি সে কোন ক্রমে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে নিরানব্বইটা হারাইয়া যায় নাই, তাহাদের অপেক্ষা সেইটির নিমিত্ত সে অধিক আনন্দ করে।সেইরূপ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে একজনও যে বিনষ্ট হয়, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার এমন ইচ্ছা নয়।
তোমাদের মধ্যে সেইরূপ হইবে না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে;এবং তোমাদের মধ্যে যে কেহ প্রধান হইতে চায়, সে তোমাদের দাস হইবে;যেমন মনুষ্যপুত্র পরিচর্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।
কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দিয়াছিলে; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাইয়াছিলে; অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলে;বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে; পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে; কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।তখন ধার্মিকেরা উত্তর করিয়া তাঁহাকে বলিবে, প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত দেখিয়া ভোজন করাইয়াছিলাম, কিম্বা পিপাসিত দেখিয়া পান করাইয়াছিলাম?কবেই বা আপনাকে অতিথি দেখিয়া আশ্রয় দিয়াছিলাম, কিম্বা বস্ত্রহীন দেখিয়া বস্ত্র পরাইয়াছিলাম?কবেই বা আপনাকে পীড়িত কিম্বা কারাগারস্থ দেখিয়া আপনার নিকটে গিয়াছিলাম?কিন্তু সুবুদ্ধিরা আপন আপন প্রদীপের সহিত পাত্রে করিয়া তৈল লইল।তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;আর দেখ, মহা-ভূমিকম্প হইল; কেননা প্রভুর এক দূত স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়া সেই পাথরখানি সরাইয়া দিলেন, এবং তাহার উপরে বসিলেন।আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
প্রভু কহিলেন, সেই বিশ্বস্ত, সেই বুদ্ধিমান গৃহাধ্যক্ষ কে, যাহাকে তাহার প্রভু নিজ পরিজনদের উপরে নিযুক্ত করিবেন, যেন সে তাহাদিগকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্যের নিরূপিত অংশ দেয়?
তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি- যাহার একশত মেষ আছে, ও সেই সকলের মধ্যে একটি হারাইয়া যায়- নিরানব্বইটা প্রান্তরে ছাড়িয়া যায় না, আর যে পর্যন্ত সেই হারানোটি না পায়, সেই পর্যন্ত তাহার অন্বেষণ করিতে যায় না?আর তাহা পাইলে সে আনন্দপূর্বক কাঁধে তুলিয়া লয়।পরে ঘরে আসিয়া বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবাসীদিগকে ডাকিয়া বলে, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে মেষটি হারাইয়া গিয়াছিল, তাহা পাইয়াছি।আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তদ্রূপ একজন পাপী মন ফিরাইলে স্বর্গে আনন্দ হইবে; যাহাদের মন ফিরান অনাবশ্যক, এমন নিরানব্বই জন ধার্মিকের বিষয়ে তত আনন্দ হইবে না।
আমিই উত্তম মেষপালক; আমার নিজের সকলকে আমি জানি, এবং আমার নিজের সকলে আমাকে জানে,যেমন পিতা আমাকে জানেন, ও আমি পিতাকে জানি; এবং মেষদের জন্য আমি আপন প্রাণ সমর্পণ করি।
তাঁহারা আহার করিলে পর যীশু শিমোন পিতরকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, ইহাদের অপেক্ষা তুমি কি আমাকে অধিক প্রেম কর? তিনি কহিলেন, হাঁ, প্রভু; আপনি জানেন, আমি আপনাকে ভালবাসি। তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষশাবকগণকে চরাও।পরে তিনি দ্বিতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে প্রেম কর? তিনি কহিলেন, হাঁ, প্রভু; আপনি জানেন, আমি আপনাকে ভালবাসি। তিনি তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে পালন কর।তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে কহিলেন, হে যোহনের পুত্র শিমোন, তুমি কি আমাকে ভালবাস? পিতর দুঃখিত হইলেন যে, তিনি তৃতীয় বার তাঁহাকে বলিলেন, ‘তুমি কি আমাকে ভালবাস?’ আর তিনি তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, আপনি সকলই জানেন; আপনি জ্ঞাত আছেন যে, আমি আপনাকে ভালবাসি। যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমার মেষগণকে চরাও।
আর আমাদিগকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বর প্রাপ্ত হইয়াছি, তখন সেই বর যদি ভাববাণী হয়, তবে আইস, বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি;অথবা তাহা যদি পরিচর্যা হয়, তবে সেই পরিচর্যায় নিবিষ্ট হই; অথবা যে শিক্ষা দেয়, সে শিক্ষাদানে,কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক।
লোকে আমাদিগকে এইরূপ মনে করুক যে, আমরা খ্রীষ্টের সেবক ও ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্বরূপ ধনের অধ্যক্ষ।আমরা খ্রীষ্টের নিমিত্ত মূর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে বুদ্ধিমান; আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা বলবান; তোমরা গৌরবান্বিত, কিন্তু আমরা অনাদৃত।এখনকার এই দণ্ড পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও বস্ত্রহীন রহিয়াছি, আর মুষ্টাঘাতে আহত হইতেছি, ও অস্থির-বাস রহিয়াছি;এবং স্বহস্তে কার্য করিয়া পরিশ্রম করিতেছি; নিন্দিত হইতে হইতে আশীর্বাদ করিতেছি, তাড়িত হইতে হইতে সহ্য করিতেছি,অপবাদিত হইতে হইতে বিনয় করিতেছি; অদ্য পর্যন্ত আমরা যেন জগতের আবর্জনা, সকল বস্তুর জঞ্জাল হইয়া রহিয়াছি।আমি তোমাদিগকে লজ্জা দিবার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় বৎস বলিয়া তোমাদিগকে চেতনা দিবার জন্য এই সকল লিখিতেছি।কেননা যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ সহস্র পরিপালক থাকে, তথাচ পিতা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচার দ্বারা আমিই তোমাদিগকে জন্ম দিয়াছি।অতএব তোমাদিগকে বিনয় করি, তোমরা আমার অনুকারী হও।এই অভিপ্রায়ে আমি তীমথিয়কে তোমাদের নিকটে পাঠাইয়াছি; তিনি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত বৎস; তিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় আমার পন্থা সকল স্মরণ করাইবেন, যাহা আমি সর্বত্র সর্ব মণ্ডলীতে শিক্ষা দিয়া থাকি।আমি তোমাদের নিকটে আসিব না বলিয়া কেহ কেহ গর্বিত হইয়া উঠিয়াছে।কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি অবিলম্বে তোমাদের নিকটে আসিব, এবং যাহারা গর্বিত হইয়া উঠিয়াছে, তাহাদের কথা নয়, কিন্তু পরাক্রম জানিব।আর এই স্থলে ধনাধ্যক্ষের এই গুণ চাই, যেন তাহাকে বিশ্বস্ত দেখিতে পাওয়া যায়।
আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদিগণকে, তৃতীয়তঃ উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন; তৎপরে নানাবিধ পরাক্রমকার্য, তৎপরে আরোগ্যসাধক অনুগ্রহ-দান, উপকার, শাসনপদ, নানাবিধ ভাষা [দিয়াছেন]।
আমরা যে তোমাদের বিশ্বাসের উপরে প্রভুত্ব করি, এমন নয়, বরং তোমাদের আনন্দের সহকারী হই; কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাঁড়াইয়া আছ।
আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন,পবিত্রগণকে পরিপক্ব করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়,
যখনই তোমাদিগকে স্মরণ হয়, সর্বদাই আমি আমার ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিয়া,কারণ আমাতে যেরূপ দেখিয়াছ, এবং এখনও আমাতে হইতেছে শুনিতেছ, সেইরূপ প্রাণপণ তোমাদেরও হইতেছে।আমার সমস্ত বিনতিতে তোমাদের সকলের জন্য আনন্দ সহকারে প্রার্থনা করিয়া থাকি;কারণ প্রথম দিবসাবধি অদ্য পর্যন্ত সুসমাচারের পক্ষে তোমাদের সহভাগিতা আছে।
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;
এই কথা বিশ্বসনীয়, যদি কেহ অধ্যক্ষপদের আকাঙ্ক্ষী হন, তবে তিনি উত্তম কার্য বাঞ্ছা করেন।আর অগ্রে তাঁহাদেরও পরীক্ষা করা হউক, যদি তাঁহারা অনিন্দনীয় হন, তবে পরিচারকের কর্ম করুন।তদ্রূপ স্ত্রীলোকেরাও ধীর, অনপবাদিকা, মিতাচারিণী এবং সর্ববিষয়ে বিশ্বস্ত হউন।পরিচারকেরা এক একজন এক এক স্ত্রীর স্বামী হউন, এবং সন্তান-সন্ততি ও আপন আপন ঘর উত্তমরূপে শাসন করুন।কেননা যাঁহারা উত্তমরূপে পরিচারকের কার্য করিয়াছেন, তাঁহারা আপনাদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠা, এবং খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাসে অতিশয় সাহস লাভ করেন।আমি শীঘ্রই তোমার নিকটে উপস্থিত হইব, এমন আশা করিয়া তোমাকে এই সকল লিখিলাম;কিন্তু যদি আমার বিলম্ব হয়, তবে যেন তুমি জানিতে পার যে, ঈশ্বরের গৃহমধ্যে কেমন আচার-ব্যবহার করিতে হয়; সেই গৃহ ত জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী, সত্যের স্তম্ভ ও দৃঢ় ভিত্তি।আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহা সর্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন।অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী, মিতাচারী, আত্মসংযমী, পরিপাটী, অতিথি সেবক এবং শিক্ষাদানে নিপুণ হউন;মদ্যপানে আসক্ত কিম্বা প্রহারক না হন, কিন্তু ক্ষান্ত, নির্বিরোধ ও অর্থলোভ-শূন্য হন,আপন ঘরের শাসন উত্তমরূপে করেন, এবং সম্পূর্ণ ধীরতা সহকারে সন্তানগণকে বশে রাখেন;কিন্তু যদি কেহ ঘর শাসন করিতে না জানে, সে কেমন করিয়া ঈশ্বরের মণ্ডলীর তত্ত্বাবধান করিবে?তিনি নূতন শিষ্য না হউন, পাছে গর্বান্ধ হইয়া দিয়াবলের বিচারে পতিত হন।আর বহিঃস্থ লোকদের কাছেও উত্তম সাক্ষ্য প্রাপ্ত হওয়া তাঁহার আবশ্যক, পাছে তিরস্কারে ও দিয়াবলের জালে পতিত হন।
তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে কার্যে অনুরক্ত হও, সম্পূর্ণ সহিষ্ণুতা ও শিক্ষাদান-পূর্বক অনুযোগ কর, ভর্ৎসনা কর, চেতনা দেও।
আমি তোমাকে এই কারণে ক্রীতীতে রাখিয়া আসিয়াছি, যেন যাহা যাহা অসম্পূর্ণ, তুমি তাহা ঠিক করিয়া দেও, এবং যেমন আমি তোমাকে আদেশ দিয়াছিলাম, প্রত্যেক নগরে প্রাচীনদিগকে নিযুক্ত কর;যে ব্যক্তি অনিন্দনীয় ও কেবল এক স্ত্রীর স্বামী, যাঁহার সন্তানগণ বিশ্বাসী, নষ্টামি দোষে অপবাদিত বা অদম্য নয় (তাহাকে নিযুক্ত কর)।কেননা ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষ বলিয়া অনিন্দনীয় হন; স্বেচ্ছাচারী কি আশুক্রোধী কি মদ্যপানে আসক্ত কি প্রহারক কি কুৎসিত লাভের লোভী না হন,কিন্তু অতিথিসেবক, সৎপ্রেমিক, সংযত, ন্যায়পরায়ণ, সাধু ও জিতেন্দ্রিয় হন,এবং শিক্ষানুরূপ বিশ্বসনীয় বাক্য ধরিয়া থাকেন, এই প্রকারে যেন তিনি নিরাময় শিক্ষাতে উপদেশ দিতে এবং প্রতিকূলবাদীদের দোষ ব্যক্ত করিতে সমর্থ হন।
তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।
কেননা তোমরা “মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও অধ্যক্ষের কাছে ফিরিয়া আসিয়াছ।
অতএব তোমাদের মধ্যে যে প্রাচীনবর্গ আছেন, তাঁহাদিগকে আমি- সহপ্রাচীন, খ্রীষ্টের দুঃখভোগের সাক্ষী, এবং প্রকাশিতব্য ভাবী প্রতাপের সহভাগী আমি- বিনতি করিতেছি;আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই পরাক্রম হউক। আমেন।বিশ্বস্ত ভ্রাতা সীলের দ্বারা- তাঁহাকে আমি সেইরূপই জ্ঞান করি- সংক্ষেপে তোমাদিগকে লিখিয়া প্রবোধ দিলাম, এবং ইহা যে ঈশ্বরের সত্য অনুগ্রহ, এমন সাক্ষ্যও দিলাম; তোমরা ইহাতে স্থির থাক।তোমাদের সহমনোনীতা বাবিলস্থা [মণ্ডলী] এবং আমার পুত্র মার্ক তোমাদিগকে মঙ্গলবাদ করিতেছেন।তোমরা প্রেমচুম্বনে পরস্পর মঙ্গলবাদ কর। তোমরা যত লোক খ্রীষ্টে আছ, তোমাদের সকলের প্রতি শান্তি বর্তুক।তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্তৃত্বকারীরূপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়াই কর।তাহাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হইলে তোমরা ম্লান প্রতাপমুকুট পাইবে।
বংশানুক্রমে এক পুরুষ অন্য পুরুষের কাছে তোমার ক্রিয়া সকলের প্রশংসা করিবে, তোমার পরাক্রমের কার্য সকল প্রচার করিবে।তোমার প্রভার গৌরবযুক্ত প্রতাপ, ও তোমার আশ্চর্য ক্রিয়া সকল আমি ধ্যান করিব।
তুমি আপন মেষপালের অবস্থা জানিয়া লও, আপন পশুপালে মনোযোগ কর;কেননা ধন চিরস্থায়ী নয়, মুকুট কি পুরুষানুক্রমে থাকে?ঘাস লইয়া গেলে পর নবীন তৃণ দেখা দেয়, এবং পর্বতগণের ওষধি সংগ্রহ করা যায়।মেষশাবকেরা তোমাকে বস্ত্র দিবে, ছাগেরা ক্ষেত্রের মূল্যস্বরূপ হইবে;তোমার খাদ্যের জন্য, তোমার পরিবারের খাদ্যের জন্য ছাগীরা যথেষ্ট দুগ্ধ দিবে, তোমার যুবতী দাসীদের প্রতিপালন করিবে।
প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কেননা নম্রগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করিতে সদাপ্রভু আমাকে অভিষেক করিয়াছেন; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমি ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দিই; যেন বন্দি লোকদের কাছে মুক্তি, ও কারাবদ্ধ লোকদের কাছে কারামোচন প্রচার করি;‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’বস্তুতঃ ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।যেন সদাপ্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ও আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন ঘোষণা করি; যেন সমস্ত শোকার্তকে সান্ত্বনা করি;
তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।তোমরা তাহাদের ফল দ্বারাই তাহাদিগকে চিনিতে পারিবে। লোকে কি কাঁটা গাছ হইতে দ্রাক্ষাফল, কিম্বা শিয়ালকাঁটা হইতে ডুমুর ফল সংগ্রহ করে?সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে।ভাল গাছে মন্দ ফল ধরিতে পারে না, এবং মন্দ গাছে ভাল ফল ধরিতে পারে না।যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তাহা কাটিয়া আগুনে ফেলিয়া দেওয়া যায়।কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে।অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।
তখন তিনি আপন শিষ্যদিগকে কহিলেন, শস্য প্রচুর বটে, কিন্তু কার্যকারী লোক অল্প;অতএব শস্যক্ষেত্রের স্বামীর নিকটে প্রার্থনা কর, যেন তিনি নিজ শস্যক্ষেত্রে কার্যকারী লোক পাঠাইয়া দেন।
“দেখ, আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত, আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিব, আর তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করিবেন।
তাহাকেই দ্বারী দ্বার খুলিয়া দেয়, এবং মেষেরা তাহার রব শুনে; আর সে নাম ধরিয়া তাহার নিজের মেষদিগকে ডাকে, ও বাহিরে লইয়া যায়।আমি ও পিতা, আমরা এক।যিহূদীরা আবার তাঁহাকে মারিবার জন্য পাথর তুলিল।যীশু তাহাদিগকে উত্তর করিলেন, পিতা হইতে তোমাদিগকে অনেক উত্তম কার্য দেখাইয়াছি, তাহার কোন্ কার্য প্রযুক্ত আমাকে পাথর মার?যিহূদীরা তাঁহাকে এই উত্তর দিল, উত্তম কার্যের জন্য তোমাকে পাথর মারি না, কিন্তু ঈশ্বর-নিন্দার জন্য, কারণ তুমি মানুষ হইয়া আপনাকে ঈশ্বর করিয়া তুলিতেছ, এই জন্য।যীশু তাহাদিগকে উত্তর করিলেন, তোমাদের ব্যবস্থায় কি লিখিত নাই, “আমি বলিলাম, তোমরা ঈশ্বর”?যাহাদের নিকটে ঈশ্বরের বাক্য উপস্থিত হইয়াছিল, তিনি যদি তাহাদিগকে ঈশ্বর বলিলেন- আরশাস্ত্রের খণ্ডন ত হইতে পারে না- তবে যাঁহাকে পিতা পবিত্র করিলেন ও জগতে প্রেরণ করিলেন, তোমরা কি তাঁহাকে বল যে, তুমি ঈশ্বর-নিন্দা করিতেছ, কেননা আমি বলিলাম যে, আমি ঈশ্বরের পুত্র?আমার পিতার কার্য যদি না করি, তবে আমাকে বিশ্বাস করিও না।কিন্তু যদি করি, আমাকে বিশ্বাস না করিলেও, সেই কার্যে বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানিতে পার ও বুঝিতে পার যে, পিতা আমাতে আছেন, এবং আমি পিতাতে আছি।তাহারা আবার তাহাকে ধরিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু তিনি তাহাদের হাত এড়াইয়া বাহির হইয়া গেলেন।যখন সে নিজের সকলগুলিকে বাহির করে, তখন তাহাদের অগ্রে অগ্রে গমন করে; আর মেষেরা তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলে, কারণ তাহারা তাহার রব জানে।
কিন্তু হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা আপনাদের মধ্য হইতে সুখ্যাতিপন্ন এবং আত্মায় ও বিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ সাত জনকে দেখিয়া লও; তাঁহাদিগকে আমরা এই কার্যের ভার দিব।
কেননা আমি তোমাদিগকে দেখিবার আকাঙ্ক্ষা করিতেছি, যেন তোমাদিগকে এমন কোন আত্মিক বর প্রদান করি, যাহাতে তোমরা স্থিরীকৃত হও;অর্থাৎ যাহাতে তোমাদের ও আমার, উভয় পক্ষের, আন্তরিক বিশ্বাস দ্বারা তোমাদিগেতে আমি নিজেও সঙ্গে সঙ্গে আশ্বাস পাই।
ভাল, আপল্লো কি? আর পৌল কি? তাহারা ত পরিচারকমাত্র, যাহাদের দ্বারা তোমরা বিশ্বাসী হইয়াছ, প্রত্যেককে প্রভু যেমন দায়িত্ব দিয়াছেন।আমি রোপণ করিলাম, আপল্লো জল সেচন করিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকিলেন।অতএব রোপক কিছু নয়, সেচকও কিছু নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সার।আর রোপক ও সেচক উভয়েই এক, এবং যাহার যেরূপ নিজের শ্রম, সে তদ্রূপ নিজের বেতন পাইবে।কারণ আমরা ঈশ্বরেরই সহকার্যকারী; তোমরা ঈশ্বরেরই ক্ষেত্র, ঈশ্বরেরই গাঁথনি।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
অতএব খ্রীষ্টের পক্ষেই আমরা রাজ-দূতের কর্ম করিতেছি; ঈশ্বর যেন আমাদের দ্বারা নিবেদন করিতেছেন; আমরা খ্রীষ্টের পক্ষে এই বিনতি করিতেছি, তোমরা ঈশ্বরের সহিত সম্মিলিত হও।
আমি কি এখন মানুষকে লওয়াইতেছি না ঈশ্বরকে? অথবা আমি কি মানুষকে সন্তুষ্ট করিতে চেষ্টা করিতেছি? যদি এখনও মানুষকে সন্তুষ্ট করিতাম, তবে খ্রীষ্টের দাস হইতাম না।
কিন্তু প্রেমে সত্যনিষ্ঠ হইয়া সর্ববিষয়ে তাঁহার উদ্দেশে বৃদ্ধি পাই,যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁহা হইতে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তদ্দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হইয়া প্রত্যেক ভাগের স্ব স্ব পরিমাণানুযায়ী কার্য অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করিতেছে, আপনাকেই প্রেমে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য করিতেছে।
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।এবং প্রত্যেক জন আপনার বিষয়ে নয়, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ।
খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।
তোমরা ত জান, পিতা যেমন আপন সন্তানদিগকে, তেমনি আমরা তোমাদের প্রত্যেক জনকে আশ্বাস দিতাম, সান্ত্বনা করিতাম, ও দৃঢ়রূপে আদেশ দিতাম,যেন তোমরা ঈশ্বরের যোগ্য রূপে চল, যিনি আপন রাজ্যে ও প্রতাপে তোমাদিগকে আহ্বান করিতেছেন।
শেষকথা এই; হে ভ্রাতৃগণ, আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর; যেন, যেমন তোমাদের মধ্যে হইতেছে, তেমনি প্রভুর বাক্য দ্রুতগতি ও গৌরবান্বিত হয়,
বৎস তীমথিয়, তোমার বিষয়ে পূর্বকার সকল ভাববাণী অনুসারে আমি তোমার নিকটে এই আদেশ সমর্পণ করিলাম, যেন তুমি সেই সকলের গুণে উত্তম যুদ্ধ করিতে পার,
আমি এই উদ্দেশ্যে প্রচারক ও প্রেরিত বলিয়া নিযুক্ত; সত্য বলিতেছি, মিথ্যা বলিতেছি না; বিশ্বাসে ও সত্যে আমি পরজাতীয়দের শিক্ষক।
আর আপনি সর্ববিষয়ে সৎক্রিয়ার আদর্শ হও, শিক্ষাতে অবিকার্যতা, ধীরতা,এবং অদূষ্য নিরাময় বাক্য প্রদর্শন কর; যেন বিপক্ষ আমাদের বিষয়ে মন্দ বলিবার সূত্র না পাওয়াতে লজ্জিত হয়।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
যুবসিংহদের অনটন ও ক্ষুধায় ক্লেশ হয়, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে, তাহাদের কোন মঙ্গলের অভাব হয় না।
হে ঈশ্বর, তুমি বাল্যকালাবধি আমাকে শিক্ষা দিয়া আসিতেছ; আর এই পর্যন্ত আমি তোমার আশ্চর্য ক্রিয়া সকল প্রচার করিতেছি।হে ঈশ্বর, বৃদ্ধ বয়স ও পক্বকেশের কাল পর্যন্তও আমাকে পরিত্যাগ করিও না, যাবৎ আমি এই বর্তমান লোকদিগকে তোমার বাহুবল, ভাবী লোক সকলকে তোমার পরাক্রম, জ্ঞাত না করি।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা উপার্জন কর; সমস্ত উপার্জন দিয়া সুবিবেচনা উপার্জন কর।তাহাকে শিরোধার্য কর, সে তোমাকে উন্নত করিবে, যখন তাহাকে আলিঙ্গন কর, সে তোমাকে মান্য করিবে।সে তোমার মস্তকে লাবণ্যভূষণ দিবে, সে তোমাকে শোভার মুকুট প্রদান করিবে।
আর প্রভু যদ্যপি তোমাদিগকে সঙ্কটের খাদ্য ও কষ্টের জল দেন, তথাপি তোমার শিক্ষকগণ আর গুপ্ত থাকিবে না, বরং তোমার চক্ষু তোমার শিক্ষকগণকে দেখিতে পাইবে।আর দক্ষিণে কি বামে ফিরিবার সময়ে তোমার কর্ণ পশ্চাৎ হইতে এই বাণী শুনিতে পাইবে, এই পথ, তোমরা এই পথেই চল।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।তিনি একটি শিশুকে আপনার নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদের মধ্যে দাঁড় করাইলেন,কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।
তৎপরে প্রভু আরও সত্তর জনকে নিযুক্ত করিলেন, আর আপনি যেখানে যেখানে যাইতে উদ্যত ছিলেন, সেই সমস্ত নগরে ও স্থানে আপনার অগ্রে দুই দুই জন করিয়া তাহাদিগকে প্রেরণ করিলেন।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
কেননা যেমন দেহ এক, আর তাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, এবং দেহের সমুদয় অঙ্গ অনেক হইলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেইরূপ।ফলতঃ আমরা কি যিহূদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সকলেই এক দেহ হইবার জন্য একই আত্মাতে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, এবং সকলেই এক আত্মা হইতে পায়িত হইয়াছি।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।যেহেতু সমস্ত ব্যবস্থা এই একটি বচনে পূর্ণ হইয়াছে, যথা, “তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।”
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
কেবল, খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর; আমি আসিয়া তোমাদিগকে দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনিতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ;
তোমরা বাহিরের লোকদের প্রতি বুদ্ধিপূর্বক আচরণ কর, সুযোগ কিনিয়া লও।তোমাদের বাক্য সর্বদা অনুগ্রহযুক্ত হউক, লবণে আস্বাদযুক্ত হউক, কাহাকে কেমন উত্তর দিতে হয়, তাহা যেন তোমরা জানিতে পার।
আর যেমন আমরাও তোমাদের প্রতি উপচিয়া পড়ি, তেমনি প্রভু তোমাদিগকে পরস্পরের ও সকলের প্রতি প্রেমে বর্ধিষ্ণু করুন ও উপচিয়া পড়িতে দিউন;
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
ভ্রাতৃপ্রেম স্থির থাকুক। তোমরা অতিথি সেবা ভুলিয়া যাইও না।আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, তাহার সামগ্রী ভোজন করিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই, যাহারা তাম্বু সম্বন্ধে আরাধনা করে।কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপার্থক উপহাররূপে মহাযাজকের দ্বারা পবিত্র স্থানের ভিতরে লইয়া যাওয়া হয়, সেই সকলের দেহ শিবিরের বাহিরে পোড়াইয়া দেওয়া যায়।এই কারণ যীশুও, নিজ রক্ত দ্বারা প্রজাবৃন্দকে পবিত্র করিবার নিমিত্ত, পুরদ্বারের বাহিরে মৃত্যু ভোগ করিলেন।অতএব আইস, আমরা তাঁহার দুর্নাম বহন করিতে করিতে শিবিরের বাহিরে তাঁহার নিকটে গমন করি।কারণ এখানে আমাদের চিরস্থায়ী নগর নাই; কিন্তু আমরা সেই আগামী নগরের অন্বেষণ করিতেছি।অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।আর উপকার ও সহভাগিতার কার্য ভুলিও না, কেননা সেই প্রকার যজ্ঞে ঈশ্বর প্রীত হন।তোমরা তোমাদের নেতাদের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য করিতেছেন- যেন তাঁহারা আনন্দপূর্বক সেই কার্য করেন, আর্তস্বরপূর্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, কেননা আমরা নিশ্চয় জানি, আমাদের সৎবিবেক আছে, সর্ববিষয়ে সদাচরণ করিতে বাঞ্ছা করিতেছি।পরন্তু আমি যেন শীঘ্রই তোমাদিগকে পুনর্দত্ত হই, তজ্জন্য অধিক বিনতিপূর্বক তোমাদিগকে প্রার্থনা করিতে বলিলাম।কেননা তদ্দ্বারা কেহ কেহ না জানিয়া দূতগণেরও আতিথ্য করিয়াছেন।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
তিনি আমাদের নিমিত্তে আপন প্রাণ দিলেন, ইহাতে আমরা প্রেম জ্ঞাত হইয়াছি; এবং আমরাও ভ্রাতাদের নিমিত্ত আপন আপন প্রাণ দিতে বাধ্য।