তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলিয়া; কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যদি তোমাদের একটি সরিষা-দানার ন্যায় বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পর্বতকে বলিবে, ‘এখান হইতে ঐখানে সরিয়া যাও,’
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলি, যাহা কিছু তোমরা প্রার্থনা ও যাচ্ঞা কর, বিশ্বাস করিও যে, তাহা পাইয়াছ, তাহাতে তোমাদের জন্য তাহাই হইবে।
কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান;
কিন্তু সে বিশ্বাসপূর্বক যাচ্ঞা করুক, কিছু সন্দেহ না করুক; কেননা যে সন্দেহ করে, সে বায়ুতাড়িত বিলোড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের তুল্য।
কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।
কিন্তু বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।
তোমরা তাঁহাকে না দেখিয়াও প্রেম করিতেছ; এখন দেখিতে পাইতেছ না, তথাপি তাঁহাতে বিশ্বাস করিয়া অনির্বচনীয় ও গৌরবযুক্ত আনন্দে উল্লাস করিতেছ,এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম, অর্থাৎ আত্মার পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইতেছ।
তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি লক্ষ্য করিয়া অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করিলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে বলবান হইলেন,ঈশ্বরের গৌরব করিলেন এবং নিশ্চয় জানিলেন, ঈশ্বর যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা সফল করিতে সমর্থও আছেন।
কারণ যাহা কিছু ঈশ্বর হইতে জাত, তাহা জগৎকে জয় করে; এবং যে জয় জগৎকে জয় করিয়াছে, তাহা এই, আমাদের বিশ্বাস।
আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।
অতএব বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হওয়াতে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে সন্ধি লাভ করিয়াছি;কেননা যখন আমরা শত্রু ছিলাম, তখন যদি ঈশ্বরের সহিত তাঁহার পুত্রের মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত হইলাম, তবে সম্মিলিত হইয়া কত অধিক নিশ্চিত যে, তাঁহার জীবনে পরিত্রাণ পাইব।কেবল তাহা নয়, কিন্তু আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা ঈশ্বরে শ্লাঘাও করিয়া থাকি, যাঁহার দ্বারা এখন আমরা সেই সম্মিলন লাভ করিয়াছি।অতএব যেমন এক মনুষ্য দ্বারা পাপ ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল;কারণ ব্যবস্থার পূর্বেও জগতে পাপ ছিল; কিন্তু ব্যবস্থা না থাকিলে পাপ গণিত হয় না।তথাপি যাহারা আদমের আজ্ঞালঙ্ঘনের সাদৃশ্যে পাপ করে নাই, আদম অবধি মোশি পর্যন্ত তাহাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করিয়াছিল। আর আদম সেই ভাবী ব্যক্তির প্রতিরূপ।কিন্তু অপরাধ যেরূপ, অনুগ্রহ-দানটি সেইরূপ নয়। কেননা সেই একের অপরাধে যখন অনেকে মরিল, তখন ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং আর এক ব্যক্তির- যীশু খ্রীষ্টের- অনুগ্রহে দত্ত দান, অনেকের প্রতি আরও অধিক উপচিয়া পড়িল।আর, এক ব্যক্তি পাপ করাতে যেমন ফল হইল, এই দান তেমন নয়; কেননা বিচার এক ব্যক্তি হইতে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত, কিন্তু অনুগ্রহ-দান অনেক অপরাধ হইতে ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত।কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।অতএব যেমন এক অপরাধ দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে দণ্ডাজ্ঞা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল, তেমনি ধার্মিকতার একটি কার্য দ্বারা সকল মনুষ্যের কাছে জীবনদায়ক ধার্মিক-গণনা পর্যন্ত ফল উপস্থিত হইল।কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে পাপী বলিয়া ধরা হইল, তেমনি সেই আর এক ব্যক্তির আজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে ধার্মিক বলিয়া ধরা হইবে।আর তাঁহারই দ্বারা আমরা বিশ্বাসে এই অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছি, যাহার মধ্যে দাঁড়াইয়া আছি, এবং ঈশ্বরের প্রতাপের প্রত্যাশায় শ্লাঘা করিতেছি।
তখন যীশু মুখ ফিরাইয়া তাহাকে দেখিয়া কহিলেন, বৎসে সাহস কর, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করিল। সেই দণ্ড অবধি স্ত্রীলোকটি সুস্থ হইল।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
কিন্তু ব্যবস্থার দ্বারা কেহই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক গণিত হয় না, ইহা সুস্পষ্ট, কারণ “ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।
মনুষ্যে নির্ভর করণাপেক্ষা সদাপ্রভুর শরণ লওয়া উত্তম। প্রধানবর্গে নির্ভর করণাপেক্ষা সদাপ্রভুর শরণ লওয়া উত্তম।
তিনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে পর সেই অন্ধেরা তাঁহার নিকটে আসিল; তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি ইহা করিতে পারি? তাহারা তাঁহাকে বলিল, হাঁ, প্রভু।তখন তিনি তাহাদের চক্ষু স্পর্শ করিলেন, আর কহিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হউক।
তাহাতে বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে, এবং প্রভু তাহাকে উঠাইবেন; আর সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।
এই সকল ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যাহার দ্বারা তোমরা সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ নির্বাপিত করিতে পারিবে;
আমরা যে তোমাদের বিশ্বাসের উপরে প্রভুত্ব করি, এমন নয়, বরং তোমাদের আনন্দের সহকারী হই; কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাঁড়াইয়া আছ।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
কিন্তু যে ব্যক্তি কার্য করে না- তাঁহারই উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক গণনা করেন- তাহার বিশ্বাসই ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হয়।
এই কারণ এত দুঃখভোগও করিতেছি, তথাপি লজ্জিত হই না, কেননা যাঁহাকে বিশ্বাস করিয়াছি, তাঁহাকে জানি, এবং দৃঢ়রূপে প্রত্যয় করিতেছি যে, আমি তাঁহার কাছে যাহা গচ্ছিত রাখিয়াছি, তিনি সেই দিনের জন্য তাহা রক্ষা করিতে সমর্থ।
যদ্যপি সৈন্যদল আমার বিরুদ্ধে শিবির স্থাপন করে, তথাপি আমার অন্তঃকরণ ভীত হইবে না; যদ্যপি আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তথাপি তখনও আমি সাহস করিব।
আর তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন।যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।
আর অধিক কি বলিব? গিদিয়োন, বারক, শিম্শোন, যিপ্তহ এবং দায়ূদ ও শমূয়েল ও ভাববাদিগণ, এই সকলের বৃত্তান্ত বলিতে গেলে সময়ের অকুলান হইবে।বিশ্বাস দ্বারা ইঁহারা নানা রাজ্য পরাজিত করিলেন, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করিলেন, নানা প্রতিজ্ঞার ফলপ্রাপ্ত হইলেন, সিংহদের মুখ বদ্ধ করিলেন,অগ্নির তেজ নির্বাপিত করিলেন, খড়্গের মুখ এড়াইলেন, দুর্বলতা হইতে বলপ্রাপ্ত হইলেন, যুদ্ধে বিক্রান্ত হইলেন, অন্যজাতীয়দের সৈন্যশ্রেণী তাড়াইয়া দিলেন।
তখন যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, হে নারি, তোমার বড়ই বিশ্বাস, তোমার যেমন ইচ্ছা, তেমনি তোমার প্রতি হউক। আর সেই দণ্ড অবধি তাহার কন্যা সুস্থ হইল।
কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতুই বাঁচিবে, আর যদি সরিয়া পড়ে, তবে আমার প্রাণ তাহাতে প্রীত হইবে না।”
যে সময়ে আমার ভয় লাগে, আমি তোমাতে নির্ভর করিব।ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
প্রিয়তমেরা, আমাদের হৃদয় যদি আমাদিগকে দোষী না করে, তবে ঈশ্বরের উদ্দেশে আমাদের সাহস লাভ হয়;
আবার আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, পৃথিবীতে তোমাদের দুই জন যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, সেই বিষয়ে যদি একচিত্ত হয়, তবে আমার স্বর্গস্থ পিতা কর্তৃক তাহাদের জন্য তাহা করা যাইবে।তিনি একটি শিশুকে আপনার নিকটে ডাকিয়া তাঁহাদের মধ্যে দাঁড় করাইলেন,কেননা যেখানে দুই কি তিন জন আমার নামে একত্র হয়, সেখানে আমি তাহাদের মধ্যে আছি।
পরন্তু বিশ্বাসের সেই আত্মা আমাদের আছে, যেরূপ লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করিলাম, তাই কথা কহিলাম;” তেমনি আমরাও বিশ্বাস করিতেছি, তাই কথাও কহিতেছি;
তুমি যখন জলের মধ্য দিয়া গমন করিবে, আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকিব; যখন নদ-নদীর মধ্য দিয়া গমন করিবে, সেই সকল তোমাকে মগ্ন করিবে না; যখন অগ্নির মধ্য দিয়া চলিবে, তুমি পুড়িবে না, তাহার শিখা তোমার উপরে জ্বলিবে না।
‘সে আমাতে আসক্ত, তজ্জন্য আমি তাহাকে বাঁচাইব; আমি তাহাকে উচ্চে স্থাপন করিব, কারণ সে আমার নাম জ্ঞাত হইয়াছে।সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
যদি তোমরা বিশ্বাসে বদ্ধমূল ও অটল হইয়া স্থির থাক, এবং সেই সুসমাচারের প্রত্যাশা হইতে বিচলিত না হও, যাহা শুনিয়াছ, যাহা আকাশমণ্ডলের অধঃস্থিত সমস্ত সৃষ্টির কাছে প্রচারিত হইয়াছে, আমি পৌল যাহার পরিচারক হইয়াছি।
কেননা যেরূপ উহাদের নিকটে তদ্রূপ আমাদের নিকটেও সুসমাচার প্রচারিত হইয়াছিল বটে, তথাপি সেই শ্রুত বাক্যে উহাদের কোন ফল দর্শিল না, কারণ শ্রোতাদের কাছে তাহা বিশ্বাসের সহিত মিশ্রিত ছিল না।
পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের বিশ্বাস কোথায়? তখন তাঁহারা ভীত হইয়া আশ্চর্য জ্ঞান করিলেন, পরস্পর কহিলেন, ইনি তবে কে যে বায়ুকে ও জলকেও আজ্ঞা দেন, আর তাহারা ইহাঁর আজ্ঞা মানে?
কারণ তুমি যদি ‘মুখে’ যীশুকে প্রভু বলিয়া স্বীকার কর, এবং ‘হৃদয়ে’ বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপন করিয়াছেন, তবে পরিত্রাণ পাইবে।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।
কেননা আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হইয়াছি, যদি আদি হইতে আমাদের নিশ্চয়জ্ঞান শেষ পর্যন্ত দৃঢ় করিয়া ধারণ করি।
যেন বিশ্বাস ও সৎবিবেক রক্ষা কর; সৎবিবেক দূরে ফেলাতে কাহারও কাহারও বিশ্বাস-রূপ নৌকা ভগ্ন হইয়াছে।
কিন্তু হে সদাপ্রভু, আমি তোমারই নিকটে প্রসন্নতার সময়ে প্রার্থনা করিতেছি; হে ঈশ্বর, তোমার দয়ার বাহুল্যে, তোমার পরিত্রাণের সত্যে, আমাকে উত্তর দেও।
বিশ্বাসানুরূপে ইঁহারা সকলে মরিলেন; ইঁহারা প্রতিজ্ঞাকলাপের ফল প্রাপ্ত হন নাই, কিন্তু দূর হইতে তাহা দেখিতে পাইয়া সাদর সম্ভাষণ করিয়াছিলেন, এবং আপনারা যে পৃথিবীতে বিদেশী ও প্রবাসী, ইহা স্বীকার করিয়াছিলেন।
কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে ত্বক্ছেদের কোন শক্তি নাই, অত্বক্ছেদেরও নাই, কিন্তু প্রেম দ্বারা কার্যসাধক বিশ্বাসই শক্তিযুক্ত।
হে আমার প্রাণ, নীরবে ঈশ্বরেরই অপেক্ষা কর; কেননা তাঁহা হইতেই আমার প্রত্যাশা।কেবল তিনিই মম শৈল ও মম পরিত্রাণ; তিনি মম উচ্চদুর্গ, আমি বিচলিত হইব না।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
কেননা পাপ তোমাদের উপরে আর কর্তৃত্ব করিবে না; কারণ তোমরা ব্যবস্থার অধীন নহ, কিন্তু অনুগ্রহের অধীন।
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
মনুষ্য যাহা সহ্য করিতে পারে, তাহা ছাড়া অন্য পরীক্ষা তোমাদের প্রতি ঘটে নাই; আর ঈশ্বর বিশ্বাস্য; তিনি তোমাদের প্রতি তোমাদের শক্তির অতিরিক্ত পরীক্ষা ঘটিতে দিবেন না, বরং পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষার পথও করিয়া দিবেন, যেন তোমরা সহ্য করিতে পার।
তখন তিনি সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভু তাঁহার পক্ষে তাহা ধার্মিকতা বলিয়া গণনা করিলেন।
পরে তাঁহারা লোকসমূহের নিকটে আসিলে এক ব্যক্তি তাঁহার কাছে আসিয়া জানু পাতিয়া কহিল,প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি দয়া করুন, কেননা সে মৃগীরোগগ্রস্ত, এবং অত্যন্ত ক্লেশ পাইতেছে, কারণ সে বার বার আগুনে ও বার বার জলে পড়িয়া থাকে।আর আমি আপনার শিষ্যদের নিকটে তাহাকে আনিয়াছিলাম, কিন্তু তাঁহারা তাহাকে সুস্থ করিতে পারিলেন না।যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকিব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব? তোমরা উহাকে এখানে আমার কাছে আন।পরে যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে সেই ভূত তাহাকে ছাড়িয়া গেল, আর বালকটি সেই দণ্ড অবধি সুস্থ হইল।তখন শিষ্যেরা বিরলে যীশুর নিকটে আসিয়া কহিলেন, কি জন্য আমরা উহা ছাড়াইতে পারিলাম না?পরে তিনি তাঁহাদের সাক্ষাতে রূপান্তরিত হইলেন; তাঁহার মুখ সূর্যের ন্যায় দেদীপ্যমান, এবং তাঁহার বস্ত্র দীপ্তির ন্যায় শুভ্র হইল।তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলিয়া; কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যদি তোমাদের একটি সরিষা-দানার ন্যায় বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পর্বতকে বলিবে, ‘এখান হইতে ঐখানে সরিয়া যাও,’
আমরা যদি অবিশ্বস্ত হই, তথাপি তিনি বিশ্বস্ত থাকেন; কারণ তিনি আপনাকে অস্বীকার করিতে পারেন না।
আর বিশ্বাস প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান, অদৃশ্য বিষয়ের প্র্রমাণপ্রাপ্তি।কারণ তিনি ভিত্তিমূল বিশিষ্ট সেই নগরের অপেক্ষা করিতেছিলেন, যাহার স্থাপনকর্তা ও নির্মাতা ঈশ্বর।বিশ্বাসে স্বয়ং সারাও বংশ উৎপাদনের শক্তি পাইলেন, যদিও তাঁহার অতিরিক্ত বয়স হইয়াছিল, কেননা তিনি প্রতিজ্ঞাকারীকে বিশ্বাস্য জ্ঞান করিয়াছিলেন।এই জন্য এক ব্যক্তি হইতে, এমন কি, মৃতকল্প ব্যক্তি হইতে, এত লোক উৎপন্ন হইল, যাহারা সংখ্যায় আকাশের তারাগণের তুল্য, এবং সমুদ্রতীরস্থ গণনাতীত বালুকার তুল্য। বিশ্বাসানুরূপে ইঁহারা সকলে মরিলেন; ইঁহারা প্রতিজ্ঞাকলাপের ফল প্রাপ্ত হন নাই, কিন্তু দূর হইতে তাহা দেখিতে পাইয়া সাদর সম্ভাষণ করিয়াছিলেন, এবং আপনারা যে পৃথিবীতে বিদেশী ও প্রবাসী, ইহা স্বীকার করিয়াছিলেন।কারণ যাঁহারা এইরূপ কথা বলেন, তাঁহারা যে নিজ দেশের অন্বেষণ করিতেছেন, ইহাই স্পষ্ট ব্যক্ত করেন।আর যে দেশ হইতে বাহির হইয়াছিলেন, সেই দেশ যদি মনে রাখিতেন, তবে ফিরিয়া যাইবার সুযোগ অবশ্য পাইতেন।কিন্তু এখন তাঁহারা আরও উত্তম দেশের, অর্থাৎ স্বর্গীয় দেশের, আকাঙ্ক্ষা করিতেছেন। এই জন্য ঈশ্বর তাঁহাদের ঈশ্বর বলিয়া আখ্যাত হইতে, তাঁহাদের বিষয়ে লজ্জিত নহেন; কারণ তিনি তাঁহাদের নিমিত্ত এক নগর প্রস্তুত করিয়াছেন।বিশ্বাসে অব্রাহাম পরীক্ষিত হইয়া ইস্হাককে উৎসর্গ করিয়াছিলেন; এমন কি, যিনি প্রতিজ্ঞা সকল সানন্দে গ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি আপনার সেই একজাত পুত্রকে উৎসর্গ করিতেছিলেন,যাঁহার বিষয়ে তাঁহাকে বলা হইয়াছিল, “ইস্হাকে তোমার বংশ আখ্যাত হইবে”;তিনি মনে স্থির করিয়াছিলেন, ঈশ্বর মৃতগণের মধ্য হইতেও উত্থাপন করিতে সমর্থ; আবার তিনি তথা হইতে দৃষ্টান্তরূপে তাঁহাকে ফিরিয়া পাইলেন।কারণ এই সম্বন্ধেই প্রাচীনগণের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইয়াছিল।
সেই দিন আমার শত্রুগণ ফিরিয়া যাইবে, যে দিন আমি তোমাকে ডাকি, আমি ইহা জানি যে, ঈশ্বর আমার সপক্ষ।
কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান;তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে।
যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করে।
কিন্তু ঈশ্বরের কাছে নাই; কেননা শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হইল।”
কেবল তাহা নয়, কিন্তু নানাবিধ ক্লেশেও শ্লাঘা করিতেছি, কারণ আমরা জানি, ক্লেশ ধৈর্যকে,ধৈর্য পরীক্ষাসিদ্ধতাকে এবং পরীক্ষাসিদ্ধতা প্রত্যাশাকে উৎপন্ন করে;
লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
বিশ্বাসে স্বয়ং সারাও বংশ উৎপাদনের শক্তি পাইলেন, যদিও তাঁহার অতিরিক্ত বয়স হইয়াছিল, কেননা তিনি প্রতিজ্ঞাকারীকে বিশ্বাস্য জ্ঞান করিয়াছিলেন।
তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্মিক গণিত হয়। সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য হেতু কোন মনুষ্য ধার্মিক গণিত হইবে না।
তোমরা বরং পূর্বকার সেই সময় স্মরণ কর, যখন তোমরা দীপ্তি প্রাপ্ত হইয়া নানা দুঃখভোগরূপ ভারী সংগ্রাম সহ্য করিয়াছিলে,একে ত তিরস্কারে ও ক্লেশে কৌতুকাস্পদ হইয়াছিলে, তাহাতে আবার সেই প্রকার দুর্দশাপন্ন লোকদের সহভাগী হইয়াছিলে।কেননা তোমরা বন্দিগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়াছিলে, এবং আনন্দপূর্বক আপন আপন সমপত্তির লুট স্বীকার করিয়াছিলে, কারণ তোমরা জানিতে, তোমাদের আরও উত্তম নিজ সমপত্তি আছে, আর তাহা নিত্যস্থায়ী।
কিন্তু যাহার সন্দেহ আছে, সে যদি ভোজন করে, তবে সে দোষী সাব্যস্ত হইল, কারণ তাহার ভোজন বিশ্বাসমূলক নয়; আর যাহা কিছু বিশ্বাসমূলক নয়, তাহাই পাপ।
কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।
কেননা যদিও আমি মাংসে অনুপস্থিত, তথাপি আত্মাতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, এবং আনন্দপূর্বক তোমাদের সুশৃঙ্খলা ও খ্রীষ্টে বিশ্বাস রূপ সুদৃঢ় গাঁথনি দেখিতে পাইতেছি।
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
এবং ঈশ্বরের শক্তিতে তোমরাও পরিত্রাণের নিমিত্ত বিশ্বাস দ্বারা রক্ষিত হইতেছ, যে পরিত্রাণ শেষকালে প্রকাশিত হইবার জন্য প্রস্তুত আছে।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
সদাপ্রভু, তোমারই দিকে আমি নিজ প্রাণ উত্তোলন করি।যাহারা তাঁহার নিয়ম ও সাক্ষ্য পালন করে, তাহাদের পক্ষে সদাপ্রভুর সমস্ত পথ দয়া ও সত্য।তোমার নামের গুণে, হে সদাপ্রভু, আমার অপরাধ ক্ষমা কর, কেননা তাহা গুরুতর।সেই ব্যক্তি কে যে সদাপ্রভুকে ভয় করে? তিনি তাহাকে ইষ্ট পথ দেখাইয়া দিবেন।তাহার প্রাণ কুশলে বাস করিবে, তাহার বংশ দেশের অধিকারী হইবে।সদাপ্রভুর গূঢ় মন্ত্রণা তাঁহার ভয়কারীদের অধিকার, তিনি তাহাদিগকে আপন নিয়ম জানাইবেন।আমার দৃষ্টি নিরন্তর সদাপ্রভুর দিকে, কেননা তিনিই আমার চরণ জাল হইতে উদ্ধার করিবেন।আমার প্রতি ফির, আমার প্রতি কৃপা কর, কেননা আমি একাকী ও দুঃখী।আমার অন্তঃকরণের যন্ত্রণা বাড়িয়াছে, আমার কষ্ট সকল হইতে আমাকে নিস্তার কর।আমার দুঃখ ও আয়াশের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, আমার সমস্ত পাপ ক্ষমা কর।আমার শত্রুগণকে দেখ, কেননা তাহারা অনেক; তাহারা দুরন্ত দ্বেষভাবে আমাকে দ্বেষ করে।হে আমার ঈশ্বর, আমি তোমারই শরণ লইয়াছি, আমাকে লজ্জিত হইতে দিও না; আমার শত্রুগণ আমার উপরে উল্লাস না করুক।
এই জন্য আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, ‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়?আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
তথাপি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি লক্ষ্য করিয়া অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করিলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে বলবান হইলেন,
আমি তোমার কাছে কাঁদিলাম, হে সদাপ্রভু, আমি কহিলাম, তুমিই আমার আশ্রয়, তুমি জীবিত লোকদের দেশে আমার অধিকার।
আর তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।
সদাপ্রভুতে নির্ভর রাখ, সদাচরণ কর, দেশে বাস কর, বিশ্বস্ততাক্ষেত্রে চর। ধার্মিকের মুখ জ্ঞানের কথা বলে, তাহার জিহ্বা ন্যায়বিচারের কথা কহে।তাহার ঈশ্বরের ব্যবস্থা তাহার অন্তরে আছে; তাহার পাদবিক্ষেপ টলিবে না।দুষ্ট লোক ধার্মিকের প্রতি লক্ষ্য রাখে, তাহাকে বধ করিতে চেষ্টা করে।সদাপ্রভু তাহাকে উহার হস্তে ছাড়িয়া দিবেন না, তাহার বিচারকালে তাহাকে দোষী করিবেন না।সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাক, তাঁহার পথে চল; তাহাতে তিনি তোমাকে দেশের অধিকার ভোগের জন্য উন্নত করিবেন; দুষ্টগণের উচ্ছেদ হইলে তুমি তাহা দেখিতে পাইবে।আমি দুষ্টকে মহাক্ষমতাশালী দেখিয়াছি, উৎপত্তি স্থানের সতেজ বৃক্ষের ন্যায় প্রসারিত দেখিয়াছি।কিন্তু আমি সেই পথে গেলাম, দেখ, সে নাই, আমি অন্বেষণ করিলাম, কিন্তু তাহাকে পাওয়া গেল না।সিদ্ধকে অবধারণ কর, সরলকে নিরীক্ষণ কর; শান্তিপ্রিয় ব্যক্তির শেষ ফল আছে।অধর্মাচারিগণ সকলেই বিনষ্ট হইবে; দুষ্টদের শেষ ফল উচ্ছিন্ন হইবে।কিন্তু ধার্মিকদের পরিত্রাণ সদাপ্রভু হইতে, তিনি সঙ্কটকালে তাহাদের দৃঢ় দুর্গ।আর সদাপ্রভুতে আমোদ কর, তিনি তোমার মনোবাঞ্ছা সকল পূর্ণ করিবেন।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
সেই সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা পূর্বকার কার্য সকল মনে করিও না, পুরাতন ক্রিয়া সকল আলোচনা করিও না।দেখ, আমি এক নূতন কার্য করিব, তাহা এখনই অঙ্কুরিত হইবে; তোমরা কি তাহা জানিবে না? এমন কি, আমি প্রান্তরের মধ্যে পথ, ও মরুভূমিতে নদনদী করিয়া দিব।
পরন্তু আমার ভ্রাতা, সহকর্মী ও সহসেনা, এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারার্থক সেবক ইপাফ্রদীতকে তোমাদের নিকটে পাঠাইয়া দেওয়া আমার আবশ্যক বোধ হইল।কেননা তিনি তোমাদের সকলকে দেখিবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন, এবং তোমরা তাঁহার পীড়ার সংবাদ শুনিয়াছ বলিয়া তিনি ব্যাকুল হইয়াছিলেন।আর বাস্তবিক তিনি পীড়ায় মৃতকল্প হইয়াছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁহার প্রতি দয়া করিয়াছেন, আর কেবল তাঁহার প্রতি নয়, আমার প্রতিও দয়া করিয়াছেন, যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়।এই জন্য আমি অধিক যত্নপূর্বক তাঁহাকে পাঠাইলাম, যেন তোমরা তাঁহাকে দেখিয়া পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়।অতএব তোমরা তাঁহাকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দ সহকারে গ্রহণ করিও, এবং এই প্রকার লোকদিগকে সমাদর করিও;প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;কেননা খ্রীষ্টের কার্যের নিমিত্তে তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হইয়াছিলেন, ফলতঃ আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরণার্থে প্রাণপণ করিয়াছিলেন।
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;
কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।
জানিও, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাসিদ্ধতা ধৈর্য সাধন করে।আর সেই ধৈর্য সিদ্ধ কার্যবিশিষ্ট হউক, যেন তোমরা সিদ্ধ ও সম্পূর্ণ হও, কোন বিষয়ে তোমাদের অভাব না থাকে।
বৎসেরা, তোমরা ঈশ্বর হইতে এবং উহাদিগকে জয় করিয়াছ; কারণ যিনি তোমাদের মধ্যবর্তী, তিনি জগতের মধ্যবর্তী ব্যক্তি অপেক্ষা মহান।
এই কথা শুনিয়া যীশু আশ্চর্য জ্ঞান করিলেন, এবং যাহারা পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছিল, তাহাদিগকে কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, ইস্রায়েলের মধ্যে কাহারও এত বড় বিশ্বাস দেখিতে পাই নাই।
ধৈর্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও,যেন তোমরা একচিত্তে এক মুখে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।
কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।
তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
কিন্তু শাস্ত্র সকলই পাপের অধীনতায় রুদ্ধ করিয়াছে, যেন প্রতিজ্ঞার ফল, যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু, বিশ্বাসীদিগকে দেওয়া যায়।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
যদিও আমি সঙ্কটের মধ্য দিয়া গমন করি, তবু তুমি আমাকে সঞ্জীবিত করিবে; তুমি আমার শত্রুদের ক্রোধের প্রতিকূলে তোমার হস্ত বিস্তার করিবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে পরিত্রাণ করিবে।
ঈশ্বরে আমি তাঁহার বাক্যের প্রশংসা করিব; আমি ঈশ্বরে নির্ভর করিয়াছি, ভয় করিব না; মাংসপিণ্ড আমার কি করিতে পারে?
সে আমাকে ডাকিবে, আমি তাহাকে উত্তর দিব; আমি সঙ্কটে তাহার সঙ্গে থাকিব; আমি তাহাকে উদ্ধার করিব, গৌরবান্বিতও করিব।
ঈশ্বর বিশ্বাস্য, যাঁহার দ্বারা তোমরা তাঁহার পুত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতার নিমিত্ত আহূত হইয়াছ।
তখনই যীশু হাত বাড়াইয়া তাঁহাকে ধরিলেন, আর তাঁহাকে কহিলেন, হে অল্পবিশ্বাসী, কেন সন্দেহ করিলে?
কেননা আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর তোমার দক্ষিণ হস্ত ধারণ করিব; তোমাকে বলিব, ভয় করিও না, আমি তোমার সাহায্য করিব।