তোমার মনটাকে একটা বাগানের মতো ভাবো। এই বাগানে ভালো আর খারাপ, দুই ধরণের গাছই জন্মাতে পারে। মথি ১২:৩০ পদে যেমন বলা হয়েছে, আমাদের সর্বান্তঃকরণ দিয়ে ঈশ্বরকে ভালবাসতে হবে। কারণ আমাদের মনই হল সেই জায়গা যেখানে ভালো আর খারাপ, দুই-ই জন্ম নেয়।
এই মনেই আমরা স্বপ্ন দেখি, কল্পনা করি, আশীর্বাদ করি, আবার কখনো অভিশাপও দিই। সুখের স্মৃতিগুলোকে আগলে রাখি, আবার যেগুলো আমাদের কষ্ট দেয়, সেগুলোকে ফেলে দিতেও চেষ্টা করি। আমাদের মনে কী রাখবো আর কী রাখবো না, সেটা আমরাই ঠিক করি। কিন্তু ঈশ্বর চান না আমরা শুধু নিজের ইচ্ছামতো চলি। তিনি আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান, আমাদের আত্মার জন্য যা ভালো, তা শিখাতে চান।
সর্বান্তঃকরণ দিয়ে, সত্যিকারের ভালবাসায়, কোনো প্রতারণা ছাড়াই, আমাদের ঈশ্বরকে ভালবাসতে হবে। আমাদের চিন্তাভাবনা আর অনুভূতিকে তাঁর ভালবাসার দ্বারা পরিচালিত হতে দিতে হবে। তাহলেই আমরা তাঁর সন্তোষজনক জীবন যাপন করতে পারবো। ঠিক যেমন একটা বাগানের মালী তাঁর বাগানের যত্ন নেন, তেমনি ঈশ্বরও আমাদের মনের যত্ন নিতে চান। আমরা যদি তাঁকে আমাদের মনের দরজা খুলে দিই, তাহলেই তিনি আমাদের মনকে সুন্দর এবং ফলবতী করে তুলবেন।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
তিনি তাহাকে কহিলেন, “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে প্রেম করিবে, ”
আমরা বিতর্ক সকল এবং ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সমস্ত উচ্চ বস্তু ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছি, এবং সমুদয় চিন্তাকে বন্দি করিয়া খ্রীষ্টের আজ্ঞাবহ করিতেছি;
যাহার মন তোমাতে সুস্থির, তুমি তাহাকে শান্তিতে, শান্তিতেই রাখিবে, কেননা তোমাতেই তাহার নির্ভরতা।
কেননা “কে প্রভুর মন জানিয়াছে যে, তাঁহাকে উপদেশ দিতে পারে?” কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।
আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।
আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি। অতএব আমি নিজে মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ-ব্যবস্থার দাসত্ব করি।
কিন্তু হে ভ্রাতৃগণ, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে আমি তোমাদিগকে বিনয় করিয়া বলি, তোমরা সকলে একই কথা বল, তোমাদের মধ্যে দলাদলি না হউক, কিন্তু এক মনে ও এক বিচারে পরিপক্ব হও।
কেননা সে অন্তরে যেমন ভাবে, নিজেও তেমনি; সে তোমাকে বলে, তুমি ভোজন পান কর, কিন্তু তাহার চিত্ত তোমার সহবর্তী নয়।
অতএব তোমরা আপন আপন মনের কটি বাঁধিয়া মিতাচারী হও, এবং যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে যে অনুগ্রহ তোমাদের নিকটে আনীত হইবে, তাহার অপেক্ষাতে সম্পূর্ণ প্রত্যাশা রাখ।
হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
আর যেমন তাহারা ঈশ্বরকে আপনাদের জ্ঞানে ধারণ করিতে সম্মত হয় নাই, তেমনি ঈশ্বর তাহাদিগকে অনুচিত ক্রিয়া করিতে ভ্রষ্ট মতিতে সমর্পণ করিলেন।
তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি, তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও, কিন্তু দিয়াবলের শয়তানের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও।ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।
বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
তাহাদের পরিণাম বিনাশ; উদর তাহাদের ঈশ্বর, এবং নিজ লজ্জাতেই তাহাদের গৌরব; তাহারা পার্থিব বিষয় ভাবে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
কেননা যাহারা মাংসের বশে আছে, তাহারা মাংসিক বিষয় ভাবে; কিন্তু যাহারা আত্মার বশে আছে, তাহারা আত্মিক বিষয় ভাবে।কারণ মাংসের ভাব মৃত্যু, কিন্তু আত্মার ভাব জীবন ও শান্তি।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের নিমিত্ত শান্তি নিরূপণ করিবে, কেননা আমাদের সমস্ত কার্যই তুমি আমাদের নিমিত্ত সাধন করিয়া আসিতেছ।
এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্যিক মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।
কেবল, খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর; আমি আসিয়া তোমাদিগকে দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনিতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ;
দেখিও, দর্শন বিদ্যা ও অনর্থক প্রতারণা দ্বারা কেহ যেন তোমাদিগকে বন্দি করিয়া লইয়া না যায়; তাহা মনুষ্যদের পরমপরাগত শিক্ষার অনুরূপ, জগতের অক্ষরমালার অনুরূপ, খ্রীষ্টের অনুরূপ নয়;
তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।
কেননা অন্তঃকরণ হইতে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চৌর্য, মিথ্যাসাক্ষ্য, নিন্দা আইসে।
কেননা মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা, কারণ তাহা ঈশ্বরের ব্যবস্থার বশীভূত হয় না, বাস্তবিক হইতে পারেও না।
তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।
কেহ আপনাকে বঞ্চনা না করুক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে এই যুগে জ্ঞানবান বলিয়া মনে করে, তবে সে জ্ঞানবান হইবার জন্য মূর্খ হউক।
হে সদাপ্রভু, তোমার পথ আমাকে শিক্ষা দেও, আমি তোমার সত্যে চলিব; তোমার নাম ভয় করিতে আমার চিত্তকে একাগ্র কর।
কিন্তু তুমি যৌবনকালের অভিলাষ হইতে পলায়ন কর; এবং যাহারা শুচি হৃদয়ে প্রভুকে ডাকে, তাহাদের সহিত ধার্মিকতা, বিশ্বাস, প্রেম ও শান্তির অনুধাবন কর।
আমার প্রাণ নীরবে ঈশ্বরের অপেক্ষা করিতেছে, তাঁহা হইতেই আমার পরিত্রাণ।তোমরা উপদ্রবে নির্ভর করিও না, অপহরণের শ্লাঘা করিও না; ঐশ্বর্যের বাহুল্য হইলে তাহাতে মন দিও না।ঈশ্বর একবার বলিয়াছেন, দুই বার আমি এই কথা শুনিয়াছি; পরাক্রম ঈশ্বরেরই।আর, হে প্রভু, দয়া তোমার, কারণ তুমিই প্রত্যেককে তাহার কর্মানুরূপ ফল দিয়া থাক।কেবল তিনিই মম শৈল ও মম পরিত্রাণ; তিনি মম উচ্চদুর্গ, আমি অতিশয় বিচলিত হইব না।
আহা! তুমি কেন আমার আজ্ঞাতে অবধান কর নাই? করিলে তোমার শান্তি নদীর ন্যায়, তোমার ধার্মিকতা সমুদ্র-তরঙ্গের ন্যায় হইত;
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।
একজন এক দিন হইতে অন্য দিন অধিক মান্য করে; আর একজন সকল দিনকেই সমানরূপে মান্য করে; প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন মনে সুনিশ্চিত হউক।
অতএব যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন করে, তাহাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে পাষাণের উপরে তাহার গৃহ নির্মাণ করিল।পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে লাগিল, তথাপি তাহা পড়িল না, কারণ পাষাণের উপরে তাহার ভিত্তিমূল স্থাপিত হইয়াছিল।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
আর পূর্বে চিত্তে দুষ্ক্রিয়াতে বহিঃস্থ ও শত্রু ছিলে যে তোমরা,তোমাদিগকে তিনি এখন খ্রীষ্টের মাংসময় দেহে মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত করিলেন, যেন পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ করিয়া আপনার সাক্ষাতে উপস্থিত করেন,
সেই পরজাতীয়দের ন্যায় কামাভিলাষে নয়, কিন্তু পবিত্রতায় ও সমাদরে নিজ নিজ পাত্র লাভ করিতে জানে।
আমি সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছি; আমার প্রাণ অপেক্ষা করিতেছে; আমি তাঁহার বাক্যে প্রত্যাশা করিতেছি।
ভ্রাতৃগণ, আমি যে তাহা ধরিয়াছি, আপনার বিষয়ে এমন বিচার করি না; কিন্তু একটি কাজ করি, পশ্চাৎ স্থিত বিষয় সকল ভুলিয়া গিয়া সম্মুখস্থ বিষয়ের চেষ্টায় একাগ্র হইয়া,লক্ষ্যের অভিমুখে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের কৃত ঊর্ধ্বদিক্স্থ আহ্বানের পণ পাইবার জন্য যত্ন করিতেছি।
প্রজ্ঞাই প্রধান বিষয়, তুমি প্রজ্ঞা উপার্জন কর; সমস্ত উপার্জন দিয়া সুবিবেচনা উপার্জন কর।তাহাকে শিরোধার্য কর, সে তোমাকে উন্নত করিবে, যখন তাহাকে আলিঙ্গন কর, সে তোমাকে মান্য করিবে।
আমরা মাংসে চলিতেছি বটে, কিন্তু মাংসের বশে যুদ্ধযাত্রা করিতেছি না;কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র মাংসিক নহে, কিন্তু দুর্গসমূহ ভাঙ্গিয়া ফেলিবার জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে পরাক্রমী।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
সদাপ্রভু, তোমার পথ সকল আমাকে জ্ঞাত কর; তোমার পন্থা সকল আমাকে বুঝাইয়া দেও।তোমার সত্যে আমাকে চালাও, আমাকে শিক্ষা দেও, কেননা তুমিই আমার ত্রাণেশ্বর; আমি সমস্ত দিন তোমার অপেক্ষায় থাকি।
কিন্তু সেই কালের পর আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, ইহা প্রভু বলেন; আমি তাহাদের চিত্তে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহাদের হৃদয়ে তাহা লিখিব, এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
কিন্তু আন্তরিক যে যিহূদী সেই যিহূদী, এবং হৃদয়ের যে ত্বক্ছেদ, যাহা আক্ষরিক নয়, আত্মায়, তাহাই ত্বক্ছেদ, তাহার প্রশংসা মনুষ্য হইতে হয় না, কিন্তু ঈশ্বর হইতে হয়।
কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।
বস্তুতঃ মনুষ্য যদি সমুদয় জগৎ লাভ করিয়া আপন প্রাণ হারায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে? কিম্বা মনুষ্য আপন প্রাণের পরিবর্তে কি দিবে?
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।