তোমাদের সাথে একান্তভাবে কথা বলতে চাই। দশমাংশ, একধরনের কর হিসেবে, পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর লেবীয়দের প্রয়োজন মেটানোর জন্য, মন্দির বা তাঁবুর খরচ চালানোর জন্য এবং বিধবা, এতিম ও দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। ঈশ্বরের বেদীতে দশমাংশ এবং উৎসর্গ দেওয়া কোন সাধারণ বিষয় নয়, কারণ এটি তোমার হৃদয়ের অবস্থা প্রকাশ করে। এটা শুধু টাকা দেওয়ার বিষয় নয়, বরং আন্তরিকতা এবং উদারতা প্রকাশ করার বিষয়।
দশমাংশ দেওয়ার মাধ্যমে তুমি তোমার বিশ্বাস কাজে লাগাও, ঈশ্বরের অফুরন্ত অনুগ্রহের প্রতি তোমার আস্থা প্রকাশ করো। এটি করার মাধ্যমে তুমি তোমার প্রেম প্রকাশ করো, মনে রাখো যে ঈশ্বর তার পুত্র যীশুর মাধ্যমে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম দান করেছেন। তাই, শ্রেষ্ঠভাবে দান করার মানে পরিমাণ নিয়ে অহংকার করা নয়, বরং আনন্দ এবং আনুগত্যের সাথে ঈশ্বরকে প্রেম প্রকাশ করা।
দশমাংশ হল ঈশ্বরকে দেওয়া আয়ের দশভাগের একভাগ। বাইবেলে প্রথম দশমাংশের রেকর্ড হল অব্রাহাম মল্কিষেদক যাজককে কৃতজ্ঞতার চিহ্ন হিসেবে দিয়েছিলেন। তুমি যখন দশমাংশ দাও, তখন তুমি প্রাপ্ত সকল আশীর্বাদের জন্য পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তাঁর করুণা স্বীকার করো এবং তাঁর অনুগ্রহের প্রতিদান দিতে ইচ্ছুক হও।
দশমাংশ এবং উৎসর্গ দেওয়া হল ঈশ্বরের উপাসনার অঙ্গ, এতে অনেক মহৎ কাজ ঘটে। এটি করার মাধ্যমে তুমি ঈশ্বরের তোমার জন্য ব্যবস্থা করা অর্থনৈতিক মুক্তির চক্রে যোগ দাও। যদি তুমি গ্রহণ করো কিন্তু দশমাংশ না দাও, তাহলে তুমি সেই চক্র ভাঙছো। দশমাংশ দেওয়ার প্রধান প্রেরণা হল প্রতিটি বিশ্বাসীর জীবনের জন্য নির্ধারিত ঐশী আশীর্বাদে অংশগ্রহণ করা। এই চেতনা গ্রহণ করলে তোমার জীবন পরিবর্তন হবে।
যারা ব্যক্তিগত কারণে দশমাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাদের উদাহরণ অনুসরণ করো না, কারণ এটি ঈশ্বরের প্রাচুর্যের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে। ঈশ্বরকে দাও কারণ তুমি তাকে ভালোবাসো এবং তিনি তোমার জন্য যা কিছু করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ।
পরে যাকোব প্রত্যূষে উঠিয়া বালিশের নিমিত্ত যে প্রস্তর রাখিয়াছিলেন, তাহা লইয়া স্তম্ভরূপে স্থাপন করিয়া তাহার উপর তৈল ঢালিয়া দিলেন।আর সেই স্থানের নাম বৈথেল [ঈশ্বরের গৃহ] রাখিলেন, কিন্তু পূর্বে ঐ নগরের নাম লূস ছিল।উঠ, পদ্দন-অরামে তোমার মাতামহ বথূয়েলের বাটীতে গিয়া সেই স্থানে আপন মাতুল লাবনের কোন কন্যাকে বিবাহ কর।আর যাকোব মানত করিয়া এই প্রতিজ্ঞা করিলেন, যদি ঈশ্বর আমার সহবর্তী হন, আমার এই গন্তব্য পথে আমাকে রক্ষা করেন, এবং আহারার্থ খাদ্য ও পরিধানার্থ বস্ত্র দেন,আর আমি যদি কুশলে পিত্রালয়ে ফিরিয়া আসিতে পারি, তবে সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর হইবেন,এবং এই যে প্রস্তর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করিয়াছি, ইহা ঈশ্বরের গৃহ হইবে; আর তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে তাহার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দিব।
তুমি তোমার বীজ হইতে উৎপন্ন যাবতীয় শস্যের, বৎসর বৎসর যাহা ক্ষেত্রে উৎপন্ন হয়, তাহার দশমাংশ পৃথক করিবে।আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে তুমি আপন শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের দশমাংশ, এবং গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে তাঁহার সম্মুখে ভোজন করিবে; এইরূপে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সর্বদা ভয় করিতে শিক্ষা করিবে।
তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করিলেন, বলিলেন, অব্রাম স্বর্গমর্ত্যের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বরের আশীর্বাদপাত্র হউন,এবং গোয়ীমের তিদিয়ল রাজার সময়ে ঐ রাজগণ সদোমের রাজা বিরা, ঘমোরার রাজা বির্শা, অদ্মার রাজা শিনাব, সবোয়িমের রাজা শিমেবর ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের রাজার সহিত যুদ্ধ করিলেন।আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি আপনার বিপক্ষগণকে আপনার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁহাকে দিলেন।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।
সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের সংহার হইতে ফিরিয়া আইসেন, তিনি তখন তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও তাঁহাকে আশীর্বাদ করিলেন,কারণ যখন মল্কীষেদক তাঁহার পিতার সহিত সাক্ষাৎ করেন, তখন লেবি পিতার কটিতে ছিলেন।অতএব যদি লেবীয় যাজকত্ব দ্বারা সিদ্ধি হইতে পারিত- সেই যাজকত্বের অধীনেই ত প্রজাবৃন্দ ব্যবস্থা পাইয়াছিল- তবে আবার কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্যবিধ এক যাজক উৎপন্ন হইবেন, এবং তাঁহাকে হারোণের রীতি অনুযায়ী বলিয়া ধরা হইবে না?যাজকত্ব যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ইহা আবশ্যক।এই সকল কথা যাঁহার উদ্দেশে বলা যায়, তিনি ত অন্যবিধ বংশভুক্ত; সেই বংশের মধ্যে যজ্ঞবেদির সেবাধিকারী কেহই হয় নাই।ফলতঃ আমাদের প্রভু যিহূদা হইতে উদিত হইয়াছেন, ইহা সুস্পষ্ট; কিন্তু সেই বংশের উদ্দেশে মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেন নাই।আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয়া পড়ে, যখন মল্কীষেদকের সাদৃশ্য অনুযায়ী আর একজন যাজক উৎপন্ন হন,যিনি মাংসিক বিধির নিয়ম অনুযায়ী হন নাই, কিন্তু অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হইয়াছেন।কেননা তিনি এই সাক্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছেন, “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”কারণ এক পক্ষে পূর্বকার বিধির দুর্বলতা ও নিষ্ফলতা প্রযুক্ত তাহার লোপ হইতেছে-কেননা ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করে নাই- পক্ষান্তরে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা আনা হইতেছে, যদ্দ্বারা আমরা ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হই।এবং অব্রাহাম তাঁহাকে সমস্তের দশমাংশ দিলেন। প্রথমে তাঁহার নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করিলে তিনি ‘ধার্মিকতার রাজা’, পরে ‘শালেমের রাজা’, অর্থাৎ শান্তিরাজ;
আবার তুমি লেবীয়দিগকে কহিবে, তাহাদিগকে বলিবে, আমি তোমাদের অধিকারার্থে ইস্রায়েল-সন্তানগণ হইতে যে দশমাংশ তোমাদিগকে দিলাম, তাহা যখন তোমরা তাহাদের হইতে গ্রহণ করিবে, তৎকালে তোমরা সদাপ্রভুর জন্য উত্তোলনীয় উপহাররূপে সেই দশমাংশের দশমাংশ নিবেদন করিবে।
তৃতীয় বৎসরে, অর্থাৎ দশমাংশের বৎসরে, তোমার উৎপন্ন দ্রব্যের সমস্ত দশমাংশ পৃথক্করণ সমাপ্ত করিলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তাহা দিবে, তাহাতে তাহারা তোমার নগরদ্বারের মধ্যে ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে।পরে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে এই কথা কহিবে, তোমার আজ্ঞাপিত সমস্ত বাক্যানুসারে আমি আপন গৃহ হইতে পবিত্র বস্তু বাহির করিয়া লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে দিয়াছি; তোমার কোন আজ্ঞা লঙ্ঘন করি নাই ও ভুলিয়া যাই নাই।
কিন্তু আমি কে, আমার প্রজারাই বা কে যে, আমরা এই প্রকারে ইচ্ছাপূর্বক দান করিতে সমর্থ হই? সমস্তই ত তোমা হইতে আইসে, এবং তোমার হস্ত হইতে যাহা পাইয়াছি, তাহাই তোমাকে দিলাম।
কেহ কেহ বিতরণ করিয়া আরও বৃদ্ধি পায়; কেহ কেহ বা ন্যায্য ব্যয় অস্বীকার করিয়া কেবল অভাবে পড়ে।দানশীল ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়, জল-সেচনকারী আপনিও জলে সিক্ত হয়।
দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে; লোকে প্রচুর পরিমাণে চাপিয়া ঝাঁকাইয়া উপচিয়া পড়িবার মত করিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের জন্যও পরিমাণ করা যাইবে।
তাহাতে তোমার সহিত যাহার কোন অংশ কি অধিকার নাই, সেই লেবীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবর্তী এই সকল লোক আসিয়া ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে; এইরূপে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হস্তকৃত সমস্ত কর্মে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
এই আজ্ঞা দেশে ব্যাপ্ত হইবামাত্র ইস্রায়েল-সন্তানগণ শস্য, দ্রাক্ষারস, তৈল ও মধু এবং ভূমির উৎপন্ন সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশ অতি প্রচুররূপে আনিল, এবং সকল দ্রব্যের দশমাংশ প্রচুররূপে আনিল।
আর লেবীর সন্তানদের মধ্যে যাহারা যাজকত্ব প্রাপ্ত হয়, তাহারা ব্যবস্থানুসারে প্রজাবৃন্দের অর্থাৎ নিজ ভ্রাতৃগণের কাছে দশমাংশ গ্রহণ করিবার বিধি পাইয়াছে, যদিও তাহারা অব্রাহামের বংশ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে;
আর যাকোব মানত করিয়া এই প্রতিজ্ঞা করিলেন, যদি ঈশ্বর আমার সহবর্তী হন, আমার এই গন্তব্য পথে আমাকে রক্ষা করেন, এবং আহারার্থ খাদ্য ও পরিধানার্থ বস্ত্র দেন,আর আমি যদি কুশলে পিত্রালয়ে ফিরিয়া আসিতে পারি, তবে সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর হইবেন,এবং এই যে প্রস্তর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করিয়াছি, ইহা ঈশ্বরের গৃহ হইবে; আর তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে তাহার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দিব।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
ইস্রায়েল-সন্তানগণ ইচ্ছাপূর্বক সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার আনিল, সদাপ্রভু মোশি দ্বারা যাহা যাহা করিতে আজ্ঞা করিয়াছিলেন, তাহার কোন প্রকার কর্ম করণার্থে যে পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের হৃদয়ে ইচ্ছা হইল তাহারা প্রত্যেকে উপহার আনিল।
যাহারা এই যুগে ধনবান, তাহাদিগকে এই আজ্ঞা দেও, যেন তাহারা গর্বিতমনা না হয়, এবং ধনের অস্থিরতার উপরে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের ন্যায় সকলই আমাদের ভোগার্থে যোগাইয়া দেন, সেই ঈশ্বরেরই উপরে প্রত্যাশা রাখে;যেন পরের উপকার করে, সৎ ক্রিয়ারূপ ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সহভাগীকরণে তৎপর হয়;এইরূপে তাহারা আপনাদের নিমিত্ত, ভাবীকালের জন্য উত্তম ভিত্তিমূলস্বরূপ নিধি প্রস্তুত করুক, যেন, যাহা প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে পারে।
কেননা যদি আগ্রহ থাকে, তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়।
তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না;তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।
সদাপ্রভুর নামের গৌরব কীর্তন কর, নৈবেদ্য সঙ্গে লইয়া তাঁহার সম্মুখে আইস, পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুকে প্রণিপাত কর।
যাহারা সজল নয়নে বীজ বপন করে, তাহারা আনন্দগান-সহ শস্য কাটিবে।যে ব্যক্তি রোদন করিতে করিতে বপনীয় বীজ লইয়া বাহিরে যায়, সে আনন্দগান-সহ আপন আটি লইয়া আসিবেই আসিবে।
কিন্তু হা ফরীশীরা, ধিক্ তোমাদিগকে, কেননা তোমরা পুদিনা, তেজপত্র ও সকল প্রকার শাকের দশমাংশ দান করিয়া থাক, আর ন্যায়বিচার ও ঈশ্বর-প্রেম উপেক্ষা করিয়া থাক; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকল পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
তোমার ভূমির আশুপক্ব ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনিও। ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে পাক করিও না।
সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখিয়া আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ সঞ্চয় কর; যেন আমি যখন আসিব, তখনই চাঁদা না হয়।
কারণ যিরূশালেমস্থ পবিত্রগণের মধ্যে যাহারা দীনহীন, তাহাদের জন্য মাকিদনিয়া ও আখায়া দেশীয়েরা প্রীত হইয়া সহভাগিতা-সূচক কিছু চাঁদা সংগ্রহ করিয়াছে।
আর আমার ঈশ্বর গৌরবে খ্রীষ্ট যীশুতে স্থিত আপন ধন অনুসারে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকার পূর্ণরূপে সাধন করিবেন।
তুমি তাহাকে অবশ্য দিবে, দিবার সময়ে হৃদয়ে দুঃখিত হইবে না; কেননা এই কার্য প্রযুক্ত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সমস্ত কর্মে, এবং তুমি যাহাতে যাহাতে হস্তক্ষেপ করিবে সেই সকলেতে তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।আর আইস, আমরা সৎকর্ম করিতে করিতে নিরুৎসাহ না হই; কেননা ক্লান্ত না হইলে যথাসময়ে শস্য পাইব।
কিন্তু তুমি যখন দান কর, তখন তোমার দক্ষিণ হস্ত কি করিতেছে, তাহা তোমার বাম হস্তকে জানিতে দিও না।ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এইরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে,‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে, এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে।কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।অতএব কল্যকার নিমিত্ত ভাবিত হইও না, কেননা কল্য আপনার বিষয় আপনি ভাবিত হইবে; দিনের কষ্ট দিনের জন্যই যথেষ্ট।এইরূপে তোমার দান যেন গোপনে হয়; তাহাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দিবেন।
যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদরের যোগ্য গণিত হউন।
যে দীনহীনের প্রতি উপদ্রব করে, সে তাহার নির্মাতাকে উপহাস করে; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁহাকে সম্মান করে।
আর আপন আপন হোম, বলি, দশমাংশ, হস্তের উত্তোলনীয় উপহার, মানতের দ্রব্য, স্ব-ইচ্ছায় দত্ত নৈবেদ্য ও গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে সেই স্থানে আনয়ন করিবে;
সে বিতরণ করিয়াছে, দরিদ্রদিগকে দান করিয়াছে, তাহার ধার্মিকতা নিত্যস্থায়ী; তাহার শৃঙ্গ গৌরবে উন্নত হইবে।
মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি।কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হইবে, সেই পর্যন্ত ব্যবস্থার এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হইবে না, সমস্তই সফল হইবে।অতএব যে কেহ এই সকল ক্ষুদ্রতম আজ্ঞার মধ্যে কোন একটি আজ্ঞা লঙ্ঘন করে, ও লোকদিগকে সেইরূপ শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ক্ষুদ্র বলা যাইবে; কিন্তু যে কেহ সেই সকল পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গ-রাজ্যে মহান বলা যাইবে।
তোমার পক্ব শস্য ও দ্রাক্ষারস নিবেদন করিতে বিলম্ব করিও না। তোমার প্রথমজাত পুত্রগণ আমাকে দিও।
কেননা তাহারা সদাপ্রভুর কার্য ও তাঁহার হস্তের কর্ম বিবেচনা করে না; তিনি তাহাদিগকে ভাঙ্গিয়া ফেলিবেন, গাঁথিয়া তুলিবেন না।
তৎকালে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে তোমরা আমার আদিষ্ট সমস্ত দ্রব্য, আপন আপন হোম, বলি, দশমাংশ, হস্তের উত্তোলনীয় উপহার ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রতিশ্রুত মানতের উৎকৃষ্ট দ্রব্য সকল আনিবে।
তুমি নিজ ভূমির আশুপক্ব ফলের অগ্রিমাংশ আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনিবে। তুমি ছাগবৎসকে তাহার মাতার দুগ্ধে সিদ্ধ করিবে না।
আর অগ্রিমাংশ যদি পবিত্র হয়, তবে সুজির তালও পবিত্র; এবং মূল যদি পবিত্র হয়, তবে শাখা সকলও পবিত্র।
কিন্তু আমি বলি এই, যে অল্প পরিমাণে বীজ বুনে, সে অল্প পরিমাণে শস্যও কাটিবে; আর যে ব্যক্তি আশীর্বাদের সহিত বীজ বুনে, সে আশীর্বাদের সহিত শস্যও কাটিবে।
যীশু তাহাকে কহিলেন, যদি সিদ্ধ হইতে ইচ্ছা কর, তবে চলিয়া যাও, তোমার যাহা যাহা আছে, বিক্রয় কর, এবং দরিদ্রদিগকে দান কর, তাহাতে স্বর্গে ধন পাইবে; আর আইস, আমার পশ্চাদ্গামী হও।
যে ব্যক্তি স্তবের বলি উৎসর্গ করে, সেই আমার গৌরব করে; যে ব্যক্তি নিজ পথ সরল করে, তাহাকে আমি ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখাইব।
তাহাদের দেয় এই; যে কেহ গণিত লোকদের মধ্যে আসিবে, সে পবিত্র স্থানের শেকল অনুসারে অর্ধ শেকল দিবে; বিংশতি গেরাতে এক শেকল হয়; সেই অর্ধ শেকল সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার হইবে।
তোমরা কি জান না যে, পবিত্র বিষয়ের কার্য যাহারা করে, তাহারা পবিত্র স্থানের বস্তু খায়, এবং যজ্ঞবেদির সেবা যাহারা করে, তাহারা যজ্ঞবেদির সহিত অংশী হয়?সেইরূপে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই বিধান করিয়াছেন যে, তাহাদের উপজীবিকা সুসমাচার হইতে হইবে।
তখন তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তবে কৈসরের যাহা যাহা, কৈসরকে দেও, আর ঈশ্বরের যাহা যাহা, ঈশ্বরকে দেও।
হে ঈশ্বর, জাতিগণ তোমার স্তব করুক, সমস্ত জাতি তোমার স্তব করুক।পৃথিবী নিজ ফল দিয়াছে; ঈশ্বর, আমাদের ঈশ্বর, আমাদিগকে আশীর্বাদ করিবেন।ঈশ্বর আমাদিগকে আশীর্বাদ করিবেন, আর পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত তাঁহাকে ভয় করিবে।
পরে তিনি চক্ষু তুলিয়া দেখিলেন, ধনবানেরা ভাণ্ডারে আপন আপন দান রাখিতেছে।পরে তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে।বৃহৎ বৃহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে, আর আকাশে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর লক্ষণ ও মহৎ মহৎ চিহ্ন হইবে;কিন্তু এই সকল ঘটনার পূর্বে লোকেরা তোমাদের উপরে হস্তক্ষেপ করিবে, তোমাদিগকে তাড়না করিবে, সমাজ-গৃহে ও কারাগারে সমর্পণ করিবে; আমার নামের নিমিত্ত তোমরা রাজাদের ও শাসনকর্তাদের সম্মুখে নীত হইবে।সাক্ষ্যের জন্য এই সকল তোমাদের প্রতি ঘটিবে।অতএব মনে মনে স্থির করিও যে, কি উত্তর দিতে হইবে, তাহার নিমিত্ত অগ্রে চিন্তা করিবে না।কেননা আমি তোমাদিগকে এমন মুখ ও বিজ্ঞতা দিব যে, তোমাদের বিপক্ষেরা কেহ প্রতিরোধ করিতে কি উত্তর দিতে পারিবে না।আর তোমরা পিতামাতা, ভ্রাতৃগণ, জ্ঞাতি ও বন্ধুগণ কর্তৃকও সমর্পিত হইবে, এবং তোমাদের কাহাকেও কাহাকেও তাহারা বধ করাইবে।আর আমার নাম প্রযুক্ত তোমরা সকলের ঘৃণিত হইবে।কিন্তু তোমাদের মস্তকের একগাছি কেশও নষ্ট হইবে না।তোমরা নিজ নিজ ধৈর্যে আপন আপন প্রাণ লাভ করিবে।আর তিনি দেখিলেন, একজন দীনহীন বিধবা সেই স্থানে দুইটি সিকি পয়সা রাখিতেছে।আর যখন তোমরা যিরূশালেমকে সেনাসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত দেখিবে, তখন জানিবে যে, তাহার ধ্বংস সন্নিকট।তখন যাহারা যিহূদিয়ায় থাকে, তাহারা পাহাড় অঞ্চলে পলায়ন করুক, এবং যাহারা নগরের মধ্যে থাকে, তাহারা বাহিরে যাউক; আর যাহারা পল্লীগ্রামে থাকে, তাহারা নগরে প্রবেশ না করুক।কেননা তখন প্রতিশোধের সময়, যে সমস্ত কথা লিখিত আছে, সেই সমস্ত পূর্ণ হইবার সময়।হায়, সেই সময়ে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী স্ত্রীদের সন্তাপ! কেননা দেশে বিষম দুর্গতি এবং এই জাতির প্রতি ক্রোধ বর্তিবে।লোকেরা খড়্গধারে পতিত হইবে; এবং বন্দি হইয়া সকল জাতির মধ্যে নীত হইবে; আর জাতিগণের সময় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত যিরূশালেম জাতিগণের পদ-দলিত হইবে।আর সূর্যে, চন্দ্রে ও নক্ষত্রগণে নানা চিহ্ন প্রকাশ পাইবে, এবং পৃথিবীতে জাতিগণের ক্লেশ হইবে, তাহারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্জনে উদ্বিগ্ন হইবে।ভয়ে এবং ভূমণ্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায়, মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে; কেননা আকাশমণ্ডলের পরাক্রম সকল বিচলিত হইবে।আর তৎকালে তাহারা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রম ও মহাপ্রতাপ সহকারে মেঘযোগে আসিতে দেখিবে।কিন্তু এই সকল ঘটনা আরম্ভ হইলে তোমরা ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও, কেননা তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।আর তিনি তাহাদিগকে একটি দৃষ্টান্ত কহিলেন, ডুমুর গাছ ও আর সকল গাছ দেখ;তখন তিনি কহিলেন, আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, এই দরিদ্র বিধবা সকলের অপেক্ষা অধিক রাখিল;যখন সেগুলি পল্লবিত হয়, তখন তাহা দেখিয়া তোমরা আপনারাই বুঝিতে পার যে,এখন গ্রীষমকাল সন্নিকট। সেইরূপ তোমরাও যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, যে পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধ না হইবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হইবে না।আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হইবে, কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হইবে না।কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে;কেননা সেই দিন সমস্ত ভূতল-নিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে।কিন্তু তোমরা সর্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে, শক্তিমান হও।আর তিনি প্রতিদিন ধর্মধামে উপদেশ দিতেন, এবং প্রতিরাত্রে বাহিরে গিয়া জৈতুন নামক পর্বতে অবস্থিতি করিতেন।আর সমস্ত লোক তাঁহার কথা শুনিবার জন্য প্রত্যুষে ধর্মধামে তাঁহার নিকটে আসিত।কেননা ইহারা সকলে আপন আপন অতিরিক্ত ধন হইতে কিছু কিছু দানের মধ্যে রাখিল, কিন্তু এ নিজ অনটন সত্ত্বেও ইহার যাহা কিছু ছিল, সমুদয় জীবনোপায় রাখিল।
তোমরা স্তব সহকারে তাঁহার দ্বারে প্রবেশ কর, প্রশংসা সহকারে তাঁহার প্রাঙ্গণে প্রবেশ কর; তাঁহার স্তব কর, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর।কেননা সদাপ্রভু মঙ্গলময়; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী; তাঁহার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী।
যাহাদের মঙ্গল করা উচিত, তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিও না, যখন তাহা করিবার ক্ষমতা তোমার হাতে থাকে।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
আর, হে ফিলিপীয়েরা, তোমরাও জান, সুসমাচারের আদিতে, যখন আমি মাকিদনিয়া হইতে প্রস্থান করিয়াছিলাম, তখন কোন মণ্ডলী দেনা-পাওনা বিষয়ে আমার সহভাগী হয় নাই, কেবল তোমরাই হইয়াছিলে।
আমি সদাপ্রভু হইতে যে সকল মঙ্গল পাইয়াছি, তাহার পরিবর্তে তাঁহাকে কি ফিরাইয়া দিব?আমি পরিত্রাণের পানপাত্র গ্রহণ করিব, এবং সদাপ্রভুর নামে ডাকিব।আমি সদাপ্রভুর কাছে আমার মানত সকল পূর্ণ করিব; তাঁহার সমস্ত প্রজার সাক্ষাতেই করিব।
তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারার্থে যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, তুমি যখন সেই দেশে প্রবিষ্ট হইয়া তাহা অধিকার করিবে, ও তথায় বাস করিবে;এখন, হে সদাপ্রভু, দেখ, তুমি আমাকে যে ভূমি দিয়াছ, তাহার ফলের অগ্রিমাংশ আমি আনিয়াছি। এই বলিয়া তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে তাহা রাখিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে প্রণিপাত করিবে।আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার পরিবারকে যে যে মঙ্গল দান করিয়াছেন, সেই সকলেতে তুমি ও লেবীয় ও তোমার মধ্যবর্তী বিদেশী, তোমরা সকলে আনন্দ করিবে।তৃতীয় বৎসরে, অর্থাৎ দশমাংশের বৎসরে, তোমার উৎপন্ন দ্রব্যের সমস্ত দশমাংশ পৃথক্করণ সমাপ্ত করিলে পর তুমি লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে তাহা দিবে, তাহাতে তাহারা তোমার নগরদ্বারের মধ্যে ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে।পরে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে এই কথা কহিবে, তোমার আজ্ঞাপিত সমস্ত বাক্যানুসারে আমি আপন গৃহ হইতে পবিত্র বস্তু বাহির করিয়া লেবীয়কে, বিদেশীকে, পিতৃহীনকে ও বিধবাকে দিয়াছি; তোমার কোন আজ্ঞা লঙ্ঘন করি নাই ও ভুলিয়া যাই নাই।আমার শোকের সময় আমি তাহার কিছুই ভোজন করি নাই, অশুচি অবস্থায় তাহার কিছুই বাহির করি নাই, এবং মৃত লোকের উদ্দেশে তাহার কিছুই দিই নাই, আমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কর্ণপাত করিয়াছি; তোমার আজ্ঞা অনুসারেই সমস্ত কর্ম করিয়াছি।তুমি আপন পবিত্র নিবাস হইতে, স্বর্গ হইতে, দৃষ্টিপাত কর, তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ কর, এবং আমাদের পিতৃপুরুষদের নিকটে কৃত তোমার দিব্যানুসারে যে ভূমি আমাদিগকে দিয়াছ, সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশকেও আশীর্বাদ কর।এই সকল বিধি ও শাসন পালন করিতে অদ্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আজ্ঞা করিতেছেন, তুমি যত্নপূর্বক তোমার সমস্ত হৃদয় ও তোমার সমস্ত প্রাণের সহিত এই সমস্ত রক্ষা ও পালন করিবে।অদ্য তুমি এই অঙ্গীকার করিয়াছ যে, সদাপ্রভুই তোমার ঈশ্বর হইবেন, এবং তুমি তাঁহার পথে চলিবে, তাঁহার বিধি, তাঁহার আজ্ঞা ও তাঁহার শাসন সকল পালন করিবে, এবং তাঁহার রবে কর্ণপাত করিবে।আর অদ্য সদাপ্রভুও এই অঙ্গীকার করিয়াছেন যে, তাঁহার প্রতিজ্ঞানুসারে তুমি তাঁহার নিজস্ব প্রজা হইবে ও তাঁহার সমস্ত আজ্ঞা পালন করিবে;আর তিনি আপনার রচিত সমস্ত জাতি অপেক্ষা তোমাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া প্রশংসা, কীর্তি ও মর্যাদাস্বরূপ করিবেন, এবং তিনি যেমন বলিয়াছেন, তদনুসারে তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র প্রজা হইবে।তৎকালে তুমি ভূমির যাবতীয় ফলের, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাকে দিতেছেন, সেই দেশে উৎপন্ন ফলের অগ্রিমাংশ হইতে কিছু কিছু লইয়া ঝুড়িতে করিয়া তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে গমন করিবে।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
আমি আপন প্রাণকে শান্ত দান্ত করিয়াছি, সেই শিশুর ন্যায়, যে স্তন্য ছাড়িয়া মাতার সঙ্গে আছে, আমার প্রাণ ত্যক্তস্তন্য শিশুর ন্যায় আমার সঙ্গে আছে।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আর যদি ক্ষুধিত লোককে তোমার প্রাণের ইষ্ট ভক্ষ্য দেও, ও দুঃখার্ত প্রাণীকে আপ্যায়িত কর, তবে অন্ধকারে তোমার দীপ্তি উদিত হইবে, ও তোমার তিমির মধ্যাহ্নের সমান হইবে।আর সদাপ্রভু নিয়ত তোমাকে পথ প্রদর্শন করিবেন, মরুভূমিতে তোমার প্রাণ তৃপ্ত করিবেন, ও তোমার অস্থি সকল বলবান করিবেন, তাহাতে তুমি জলসিক্ত উদ্যানের ন্যায় হইবে, এবং এমন জলের উনুইয়ের ন্যায় হইবে, যাহার জল শুকায় না।
আবার এই স্থলে মরণশীল মনুষ্যেরাই দশমাংশ পায়, কিন্তু ঐ স্থলে তিনি পান, যাঁহার বিষয়ে এমন সাক্ষ্য দেওয়া হইয়াছে যে, তিনি জীবনবিশিষ্ট।
কিন্তু যে না জানিয়া প্রহারের যোগ্য কর্ম করিয়াছে, সে অল্প প্রহারে প্রহারিত হইবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে অধিক দত্ত হইয়াছে, তাহার নিকটে অধিক দাবি করা যাইবে; এবং লোকে যাহার কাছে অধিক রাখিয়াছে, তাহার নিকটে অধিক চাহিবে।
ধন্য সেই জন, যে কেহ সদাপ্রভুকে ভয় করে, যে তাঁহার সকল পথে চলে।বাস্তবিক তুমি স্বহস্তের শ্রম-ফল ভোগ করিবে, তুমি ধন্য হইবে, ও তোমার মঙ্গল হইবে।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
তখন রাজা উত্তর করিয়া তাহাদিগকে বলিবেন, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, আমার এই ভ্রাতৃগণের- এই ক্ষুদ্রতমদের- মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।
কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।
আমি যুবক ছিলাম, এখন বৃদ্ধ হইয়াছি, কিন্তু ধার্মিককে পরিত্যক্ত দেখি নাই, তাহার বংশকে খাদ্য ভিক্ষা করিতে দেখি নাই।সে সমস্ত দিন দয়া করে, ও ধার দেয়, তাহার বংশ আশীর্বাদ পায়।
কেননা তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ জ্ঞাত আছ; তিনি ধনবান হইলেও তোমাদের নিমিত্ত দরিদ্র হইলেন, যেন তোমরা তাঁহার দরিদ্রতায় ধনবান হও।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”অতএব আমরা সাহসপূর্বক বলিতে পারি, “প্রভু আমার সহায়, আমি ভয় করিব না; মনুষ্য আমার কি করিবে?”
কেননা মনুষ্যপুত্র আপন দূতগণের সহিত আপন পিতার প্রতাপে আসিবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার ক্রিয়ানুসারে প্রতিফল দিবেন।
হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।
এবং শালেমের রাজা মল্কীষেদক রুটি ও দ্রাক্ষারস বাহির করিয়া আনিলেন; তিনি ছিলেন পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক।তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করিলেন, বলিলেন, অব্রাম স্বর্গমর্ত্যের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বরের আশীর্বাদপাত্র হউন,এবং গোয়ীমের তিদিয়ল রাজার সময়ে ঐ রাজগণ সদোমের রাজা বিরা, ঘমোরার রাজা বির্শা, অদ্মার রাজা শিনাব, সবোয়িমের রাজা শিমেবর ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের রাজার সহিত যুদ্ধ করিলেন।আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি আপনার বিপক্ষগণকে আপনার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁহাকে দিলেন।
আর যাহাদের হৃদয়ে প্রবৃত্তি ও মনে ইচ্ছা হইল, তাহারা সকলে সমাগম-তাম্বু নির্মাণের জন্য এবং তৎসম্বন্ধীয় সমস্ত কার্যের ও পবিত্র বস্ত্রের জন্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার আনিল।পুরুষ ও স্ত্রী যত লোক মনে ইচ্ছুক হইল, তাহারা সকলে আসিয়া বলয়, কুণ্ডল, অঙ্গুরীয় ও হার, স্বর্ণময় সর্বপ্রকার অলংকার আনিল। যে কেহ সদাপ্রভুর উদ্দেশে স্বর্ণের উপহার আনিতে চাহিল, সে আনিল।আর যাহাদের নিকটে নীল, বেগুনে, লাল, ও সাদা মসীনা সূত্র, ছাগলোম, পরিশোধিত মেষচর্ম ও তহশ চর্ম ছিল, তাহারা প্রত্যেকে তাহা আনিল।যে কেহ রৌপ্য ও পিত্তলের উপহার উপস্থিত করিল, সে সদাপ্রভুর উদ্দেশে সেই উপহার আনিল, এবং যাহার নিকটে কোন কার্যে প্রয়োগের নিমিত্তে শিটীম কাষ্ঠ ছিল, সে তাহা আনিল।আর বিজ্ঞমনা স্ত্রীলোকেরা আপন আপন হস্তে সূতা কাটিয়া, তাহাদের কাটা নীল, বেগুনে, লাল ও সাদা মসীনা সূত্র আনিল।আর বিজ্ঞানে প্রবৃত্তমনা স্ত্রীলোকেরা সকলে ছাগলোমের সূতা কাটিল।আর অধ্যক্ষগণ এফোদের ও বুকপাটার জন্য গোমেদক ও অন্যান্য খচনার্থক মণি,এবং দীপের, অভিষেকার্থ তৈলের ও সুগন্ধি ধূপের নিমিত্ত গন্ধদ্রব্য ও তৈল আনিলেন।ইস্রায়েল-সন্তানগণ ইচ্ছাপূর্বক সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার আনিল, সদাপ্রভু মোশি দ্বারা যাহা যাহা করিতে আজ্ঞা করিয়াছিলেন, তাহার কোন প্রকার কর্ম করণার্থে যে পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের হৃদয়ে ইচ্ছা হইল তাহারা প্রত্যেকে উপহার আনিল।
হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়া থাক; আর ব্যবস্থার মধ্যে গুরুতর বিষয়- ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস- পরিত্যাগ করিয়াছ; কিন্তু এই সকল পালন করা, এবং ঐ সকলও পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিৎ ছিল।অন্ধ পথ-দর্শকেরা, তোমরা মশা ছাঁকিয়া ফেল, কিন্তু উট গিলিয়া থাক।
আর ভূমির শস্য কিম্বা বৃক্ষের ফল হউক, ভূমির উৎপন্ন সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তাহা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র।
আর পরাৎপর ঈশ্বর ধন্য হউন, যিনি আপনার বিপক্ষগণকে আপনার হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। তখন অব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁহাকে দিলেন।
এবং এই যে প্রস্তর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করিয়াছি, ইহা ঈশ্বরের গৃহ হইবে; আর তুমি আমাকে যাহা কিছু দিবে তাহার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দিব।
তোমরা সমস্ত দশমাংশ ভাণ্ডারে আন, যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে; আর তোমরা ইহাতে আমার পরীক্ষা কর, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন, আমি আকাশের দ্বার সকল মুক্ত করিয়া তোমাদের প্রতি অপরিমেয় আশীর্বাদ বর্ষণ করি কি না।
প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।
আর দেখ, লেবির সন্তানগণ যে সেবাকর্ম করিতেছে, সমাগম-তাম্বু সম্বন্ধীয় তাহাদের সেই সেবাকর্মের বেতনরূপে আমি তাহাদের অধিকারার্থে ইস্রায়েলের মধ্যে সমস্ত দশমাংশ দিলাম।
মনুষ্য কি ঈশ্বরকে ঠকাইবে? তোমরা ত আমাকে ঠকাইয়া থাক। কিন্তু তোমরা বলিতেছ, কিসে তোমাকে ঠকাইয়াছি? দশমাংশে ও উপহারে।
তৃতীয় বৎসরের শেষে তুমি সেই বৎসরে উৎপন্ন আপন শস্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বাহির করিয়া আনিয়া আপন নগর-দ্বারের ভিতরে সঞ্চয় করিয়া রাখিবে;
আর লেবীয়দের দশমাংশ আদায় কালে হারোণের সন্তান যাজক লেবীয়দের সঙ্গে থাকিবে; পরে লেবীয়েরা দশমাংশের দশমাংশ আমাদের ঈশ্বরের গৃহে, কুঠরি সমূহে, ভাণ্ডার-গৃহে আনিবে।
আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপন নামের বাসার্থে যে স্থান মনোনীত করিবেন, সেই স্থানে তুমি আপন শস্যের, দ্রাক্ষারসের ও তৈলের দশমাংশ, এবং গোমেষাদি পালের প্রথমজাতদিগকে তাঁহার সম্মুখে ভোজন করিবে; এইরূপে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সর্বদা ভয় করিতে শিক্ষা করিবে।