কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই ঈশ্বরগণের ঈশ্বর ও প্রভুদের প্রভু, তিনিই মহান, বীর্যবান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর; তিনি কাহারও মুখাপেক্ষা করেন না ও উৎকোচ গ্রহণ করেন না।
হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত।
হা, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ, তুমিই আপন মহাপরাক্রম ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ; তোমার অসাধ্য কিছুই নাই।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
হে সদাপ্রভু, দেবগণের মধ্যে কে তোমার তুল্য? কে তোমার ন্যায় পবিত্রতায় আদরণীয়, প্রশংসায় ভয়ার্হ, আশ্চর্য ক্রিয়াকারী?
কে আপন করতলে জলরাশি মাপিয়াছে, বিঘত দিয়া আকাশমণ্ডল পরিমাণ করিয়াছে, পৃথিবীর ধুলা পালিতে ভরিয়াছে, পাল্লাতে পর্বতগণকে, ও নিক্তিতে উপপর্বতগণকে তৌল করিয়াছে ?
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি অতি মহান; তুমি প্রভা ও প্রতাপ পরিহিত।
সদাপ্রভু সর্বজাতির উপরে উন্নত, তাঁহার গৌরব আকাশমণ্ডলের উপরে উন্নত।কে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর তুল্য? তিনি ঊর্ধ্বে সমাসীন;
কারণ সদাপ্রভু কহেন, আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়, এবং তোমাদের পথ সকল ও আমার পথ সকল এক নয়।কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!কেননা প্রভুর মন কে জানিয়াছে? “তাঁহার মন্ত্রীই বা কে হইয়াছে?”
যাহা সেই পরমধন্য ও একমাত্র সম্রাট, রাজত্বকারীদের রাজা ও প্রভুত্বকারীদের প্রভু, উপযুক্ত সময়-সমূহে প্রদর্শন করিবেন;যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, অগম্য দীপ্তিনিবাসী, যাঁহাকে মনুষ্যদের মধ্যে কেহ কখনও দেখিতে পায় নাই, দেখিতে পারেও না; তাঁহারই সমাদর ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হউক। আমেন।
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের রাজা, তাহার মুক্তিদাতা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমিই আদি, আমিই অন্ত, আমি ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর নাই।
আর পৃথিবী-নিবাসিগণ সকলে অবস্তুবৎ গণ্য; তিনি স্বর্গীয় বাহিনীর ও পৃথিবী-নিবাসীদের মধ্যে আপন ইচ্ছানুসারে কার্য করেন; এবং এমন কেহ নাই যে, তাঁহার হস্ত থামাইয়া দিবে, কিম্বা তাঁহাকে বলিবে, তুমি কি করিতেছ?
এবং বিশ্বাসকারী যে আমরা, আমাদের প্রতি তাঁহার পরাক্রমের অনুপম মহত্ত্ব কি। ইহা তাঁহার শক্তির পরাক্রমের সেই কার্যসাধনের অনুযায়ী,আমাদের পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হইতে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক।যাহা তিনি খ্রীষ্টে সাধন করিয়াছেন; ফলতঃ তিনি তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন, এবং স্বর্গীয়স্থানে নিজ দক্ষিণ পার্শ্বে বসাইয়াছেন,সমস্ত আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম ও প্রভুত্বের উপরে, এবং যত নাম কেবল ইহযুগে নয়, কিন্তু পরযুগেও উল্লেখ করা যায়, তৎসমুদয়ের উপরে পদান্বিত করিলেন।
কেবলমাত্র তুমিই সদাপ্রভু; তুমি স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তাহার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তথাকার সমস্ত এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ, আর তুমি তাহাদের সকলের স্থিতি করিতেছ, এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে প্রণিপাত করে।
দেখ, এই সকল তাহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জন কে বুঝিতে পারে?
[এই] দিবস হইতেও আমিই তিনি, এবং আমার হস্ত হইতে উদ্ধারকারী কেহ নাই; আমি কার্য করিব, কে তাহা অন্যথা করিবে?
হে সদাপ্রভু, আমাদের প্রভু, সমস্ত পৃথিবীতে তোমার নাম কেমন মহিমান্বিত। তুমি আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বেও তোমার প্রভা সংস্থাপন করিয়াছ।তুমি শিশু ও দুগ্ধপোষ্যদের মুখ হইতে শক্তির ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, তোমার বৈরিগণ হেতুই করিয়াছ, যেন শত্রু ও বিপক্ষকে ক্ষান্ত কর।আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্মিত আকাশ-মণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি,
ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
হে সদাপ্রভু, তোমার তুল্য কেহই নাই; তুমি মহান, তোমার নামও পরাক্রমে মহৎ।হে জাতিগণের রাজন্, তোমাকে কে না ভয় করিবে? তাহা তোমারই পাওনা, কেননা জাতিগণের সমস্ত জ্ঞানী লোকের মধ্যে, তাহাদের সমুদয় রাজ্যের মধ্যে, তোমার তুল্য কেহ নাই।
কেননা আকাশে সদাপ্রভুর সহিত কে উপমা ধরিতে পারে? বীর-পুত্রদের মধ্যেই বা কে সদাপ্রভুর তুল্য? ঈশ্বর পবিত্রগণের সভাতে প্রবল পরাক্রমশালী, আপনার চতুর্দিকস্থ সকলের উপরে ভয়াবহ।
ফলতঃ সদাপ্রভু তাঁহার সম্মুখ দিয়া গমন করতঃ এই ঘোষণা করিলেন, ‘সদাপ্রভু, সদাপ্রভু, স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান;
আর তাঁহারা পরস্পর ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, বাহিনীগণের সদাপ্রভু; সমস্ত পৃথিবী তাঁহার প্রতাপে পরিপূর্ণ।’
সদাপ্রভু কৃপাময় ও স্নেহশীল, ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান।সদাপ্রভু সকলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাঁহার করুণা তাঁহার কৃত সমস্ত পদার্থের উপরে আছে।
আর তাঁহার সাক্ষাতে কোন সৃষ্ট বস্তু অপ্রকাশিত নয়; কিন্তু তাঁহার চক্ষুর্গোচরে সকলই নগ্ন ও অনাবৃত রহিয়াছে, যাঁহার কাছে আমাদিগকে হিসাব দিতে হইব।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়। হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।তুমি আমার পথ ও আমার শয়ন তদন্ত করিতেছ, আমার সমস্ত পথ ভালরূপে জান।যখন আমার জিহ্বাতে একটি কথাও নাই, দেখ, সদাপ্রভু, তুমি উহা সমস্তই জানিতেছ।
আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়; আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; তুমি আমাকে না জানিলেও আমি তোমার কটি বন্ধ করিব;যেন সূর্যোদয়ের স্থানাবধি পশ্চিম দিক্ পর্যন্ত লোকে জানিতে পারে যে, আমি ব্যতীত অন্য নাই; আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।আমি দীপ্তির রচনাকারী ও অন্ধকারের সৃষ্টিকর্তা, আমি শান্তির রচনাকারী ও অনিষ্টের সৃষ্টিকর্তা; আমি সদাপ্রভু এই সকলের সাধনকর্তা।
‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলই সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’
হে ঈশ্বর, পবিত্রতায় তোমার পথ; ঈশ্বরের তুল্য মহান ঈশ্বর কে?তুমিই আশ্চর্য-কার্যকারী ঈশ্বর, তুমি জাতিগণের মধ্যে তোমার পরাক্রম জ্ঞাত করিয়াছ।
তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; তন্নিবাসিগণ ফড়িঙ্গস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের ন্যায় আকাশমণ্ডল বিস্তার করেন, বাসতাম্বুর ন্যায় তাহা টাঙ্গাইয়া দেন।
পর্বতগণের জন্ম হইবার পূর্বে, তুমি পৃথিবী ও জগৎকে জন্ম দিবার পূর্বে, এমন কি, অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।
দানিয়েল কহিলেন, ঈশ্বরের নাম যুগে যুগে চিরকাল ধন্য হউক, কেননা জ্ঞান ও পরাক্রম তাঁহারই।তিনিই কাল ও ঋতু পরিবর্তন করেন; রাজাদিগকে পদভ্রষ্ট করেন, ও রাজাদিগকে পদস্থ করেন; তিনি জ্ঞানীদিগকে জ্ঞান দেন, বিবেচকদিগকে বিবেচনা দেন।তিনিই গভীর ও গুপ্ত বিষয় প্রকাশ করেন, অন্ধকারে যাহা আছে, তাহা তিনি জানেন, এবং তাঁহার কাছে জ্যোতি বাস করেন।
ঈশ্বরকে বল, তোমার কর্ম সকল কি ভয়াবহ! তোমার পরাক্রমের মহত্ত্বে তোমার শত্রুগণ তোমার কর্তৃত্ব স্বীকার করিবে।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।
সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমিই বাহুল্যরূপে সাধন করিয়াছ আমাদের পক্ষে তোমার আশ্চর্য কার্য সকল ও তোমার সঙ্কল্প সকল; তোমার তুল্য কেহ নাই; আমি সেই সকল বলিতাম ও বর্ণনা করিতাম, কিন্তু সেই সকল গণনা করা যায় না।
তাঁহার পরাক্রম-কার্য সকলের জন্য তাঁহার প্রশংসা কর; তাঁহার মহিমার বাহুল্যানুসারে তাঁহার প্রশংসা কর।
কেননা, হে সদাপ্রভু, তুমিই সমস্ত ভূ-মণ্ডলের ঊর্ধ্বে পরাৎপর, তুমি সমস্ত দেবতা হইতে অতিশয় উন্নত।
যথা, সদাপ্রভু, যিনি এই কার্য সাধন করেন, যিনি ইহা সুস্থির করিবার জন্য নিরূপণ করেন, যাঁহার নাম সদাপ্রভু, তিনি এই কথা কহেন;যথা, সদাপ্রভু কহেন, তোমরা যদি দিবস সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম কিম্বা রাত্রি সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম এইরূপ ভঙ্গ করিতে পার যে, যথাসময়ে দিবস কি রাত্রি না হয়,তবে আমার দাস দায়ূদের সহিত আমার যে নিয়ম আছে, তাহাও ভঙ্গ করা যাইবে, তাহার সিংহাসনে বসিতে তাহার বংশজাত লোকের অভাব হইবে; এবং আমার পরিচারক লেবীয় যাজকদের সহিত কৃত আমার নিয়মও ভঙ্গ করা হইবে।আকাশমণ্ডলের বাহিনী যেমন গণনা করা যায় না, ও সমুদ্রের বালি যেমন পরিমাণ করা যায় না, তেমনি আমি আপন দাস দায়ূদের বংশকে ও আমার পরিচারক লেবীয়দিগকে বৃদ্ধি করিব।আবার যিরমিয়ের নিকটে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হইল,এই লোকেরা কি বলিয়াছে, তাহা কি তুমি টের পাও নাই? তাহারা বলিয়াছে, সদাপ্রভু যে দুই গোষ্ঠীকে মনোনীত করিয়াছিলেন, তাহাদিগকে অগ্রাহ্য করিয়াছেন; এইরূপে তাহারা আমার প্রজাবৃন্দকে তুচ্ছজ্ঞান করে, তাহাদের সম্মুখে তাহারা আর জাতি বলিয়া গণ্য হয় না।সদাপ্রভু এই কথা কহেন, যদি দিবস ও রাত্রি সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম না থাকে, যদি আমি আকাশের ও পৃথিবীর বিধি সকল নিরূপণ না করিয়া থাকি,তাহা হইলেই আমি যাকোবের ও আপন দাস দায়ূদের বংশকে অগ্রাহ্য করিয়া অব্রাহামের, ইস্হাকের ও যাকোবের বংশের শাসনকর্তা করিবার জন্য তাহার বংশ হইতে লোকও গ্রহণ করিব না; সত্যই আমি তাহাদের বন্দিদশা ফিরাইব ও তাহাদের প্রতি করুণা করিব।তুমি আমাকে আহ্বান কর, আর আমি তোমাকে উত্তর দিব, এবং এমন মহৎ ও দুরূহ নানা বিষয় তোমাকে জানাইব, যাহা তুমি জান না।
সদাপ্রভু আমার সপক্ষ, আমি ভয় করিব না; মনুষ্য আমার কি করিতে পারে?সদাপ্রভু আমার সপক্ষ, আমার সহায়দের মধ্যবর্তী; তাই আমি আপন বিদ্বেষীদের দশা দেখিব।
আদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের সহিত ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন।তিনি জগতে ছিলেন, এবং জগৎ তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, আর জগৎ তাঁহাকে চিনিল না।তিনি নিজ অধিকারে আসিলেন, আর যাহারা তাঁহার নিজের, তাহারা তাঁহাকে গ্রহণ করিল না।কিন্তু যত লোক তাঁহাকে গ্রহণ করিল, সেই সকলকে, যাহারা তাঁহার নামে বিশ্বাস করে তাহাদিগকে, তিনি ঈশ্বরের সন্তান হইবার ক্ষমতা দিলেন।তাহারা রক্ত হইতে নয়, মাংসের ইচ্ছা হইতে নয়, মানুষের ইচ্ছা হইতেও নয়, কিন্তু ঈশ্বর হইতে জাত।আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ। যোহন তাঁহার বিষয়ে সাক্ষ্য দিলেন, আর উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, ইনি সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে আমি বলিয়াছি, যিনি আমার পশ্চাৎ আসিতেছেন, তিনি আমার অগ্রগণ্য হইলেন, কেননা তিনি আমার পূর্বে ছিলেন।কারণ তাঁহার পূর্ণতা হইতে আমরা সকলে পাইয়াছি, আর অনুগ্রহের উপরে অনুগ্রহ পাইয়াছি;কারণ ব্যবস্থা মোশি দ্বারা দত্ত হইয়াছিল, অনুগ্রহ ও সত্য যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা উপস্থিত হইয়াছে।ঈশ্বরকে কেহ কখনও দেখে নাই; একজাত পুত্র, যিনি পিতার ক্রোড়ে থাকেন, তিনিই [তাঁহাকে] প্রকাশ করিয়াছেন। আর যোহনের সাক্ষ্য এই- যখন যিহূদিগণ কয়েক জন যাজক ও লেবীয়কে দিয়া যিরূশালেম হইতে তাঁহার কাছে এই কথা জিজ্ঞাসা করিয়া পাঠাইল, ‘আপনি কে?’তিনি আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন।তখন তিনি স্বীকার করিলেন, অস্বীকার করিলেন না; তিনি স্বীকার করিলেন যে, আমি সেই খ্রীষ্ট নই।তাহারা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তবে কি? আপনি কি এলিয়? তিনি বলিলেন, আমি নই। আপনি কি সেই ভাববাদী? তিনি উত্তর করিলেন, না।তখন তাহারা তাঁহাকে কহিল, আপনি কে? যাঁহারা আমাদিগকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাদিগকে যেন উত্তর দিতে পারি। আপনার বিষয়ে আপনি কি বলেন?তিনি কহিলেন, আমি “প্রান্তরে একজনের রব, যে ঘোষণা করিতেছে, তোমরা প্রভুর পথ সরল কর,” যেমন যিশাইয় ভাববাদী বলিয়াছিলেন।তাহারা ফরীশীগণের নিকট হইতে প্রেরিত হইয়াছিল।আর তাহারা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নহেন, এলিয়ও নহেন, সেই ভাববাদীও নহেন, তবে বাপ্তাইজ করিতেছেন কেন?যোহন উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, আমি জলে বাপ্তাইজ করিতেছি; তোমাদের মধ্যে একজন দাঁড়াইয়া আছেন, যাঁহাকে তোমরা জান না, যিনি আমার পশ্চাৎ আসিতেছেন; আমি তাঁহার পাদুকার বন্ধন খুলিবারও যোগ্য নহি।যর্দনের অন্য পারে, বৈথনিয়াতে, যেখানে যোহন বাপ্তাইজ করিতেছিলেন,সেখানে এই সকল ঘটিল।পরদিন তিনি যীশুকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিলেন, আর কহিলেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান।সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই।
কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে- ‘আশ্চর্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’।
কে তোমার তুল্য ঈশ্বর? অপরাধ ক্ষমাকারী, ও আপন অধিকারের অবশিষ্টাংশের অধর্মের প্রতি উপেক্ষাকারী! তিনি চিরকাল ক্রোধ রাখেন না, কারণ তিনি দয়ায় প্রীত।তিনি ফিরিয়া আমাদের প্রতি করুণা করিবেন; তিনি আমাদের অপরাধ সকল পদতলে মর্দিত করিবেন; হাঁ, তুমি আপন লোকদের সমস্ত পাপ সমুদ্রের অগাধ জলে নিক্ষেপ করিবে।
ঈশ্বর মোশিকে কহিলেন, “আমি যে আছি, সেই আছি;” আরও কহিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে এইরূপ বলিও, “আছি” তোমাদের নিকটে আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।
আমি সদাপ্রভু, ইহাই আমার নাম; আমি আপন গৌরব অন্যকে, কিম্বা আপন প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাগণকে দিব না।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।
আমি আল্ফা এবং ওমিগা, আদি এবং অন্ত, ইহা প্রভু ঈশ্বর কহিতেছেন, যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসিতেছেন, যিনি সর্বশক্তিমান।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,মণ্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সমস্ত পুরুষানুক্রমে তাঁহারই মহিমা হউক। আমেন।
সদাপ্রভু কহেন, এমন গুপ্ত স্থানে কি কেহ লুকাইতে পারে যে, আমি তাহাকে দেখিতে পাইব না? আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্য ব্যাপিয়া থাকি না? ইহা সদাপ্রভু কহেন।
তোমার মুক্তিদাতা এবং গর্ভাবধি তোমার গঠনকারী সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু সর্ববস্তু-নির্মাতা, আমি একাকী আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছি, আমি ভূতল বিছাইয়াছি; আমার সঙ্গী কে?
তুমি তাহাদের হইতে ত্রাস যুক্ত হইও না, কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্যবর্তী, তিনি মহান ও ভয়ঙ্কর ঈশ্বর।
এইরূপে আমি পবিত্র স্থানে তোমার মুখ চাহিয়া থাকিতাম, তোমার পরাক্রম ও তোমার গৌরব দেখিবার জন্য।কারণ তোমার দয়া জীবন হইতেও উত্তম; আমার ওষ্ঠাধর তোমার প্রশংসা করিবে।
সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; তিনি মহিমাতে সজ্জিত; সদাপ্রভু সজ্জিত, তিনি পরাক্রমে বদ্ধকটি; আর জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না।
যেহেতু সকলই তাঁহা হইতে ও তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁহারই গৌরব হউক। আমেন।
তোমরা জানিও, সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনিই আমাদিগকে নির্মাণ করিয়াছেন, আমরা তাঁহারই; আমরা তাঁহার প্রজা ও তাঁহার চরাণির মেষ।
সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর ও পরাক্রমে মহান, এবং তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন; ঘূর্ণবায়ু ও ঝড় সদাপ্রভুর পথ, মেঘ তাঁহার পদধূলি।
সদাপ্রভু সর্বজাতির দৃষ্টিতে আপন পবিত্র বাহু অনাবৃত করিয়াছেন; আর পৃথিবীর সমুদয় প্রান্ত আমাদের ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখিবে।
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।
সর্বশক্তিমান! তিনি আমাদের বোধের অগম্য; তিনি পরাক্রমে মহান, তিনি ন্যায়বিচার ও প্রচুর ধর্মগুণ বিপরীত করেন না।
কিন্তু ঈশ্বর কি সত্য সত্যই পৃথিবীতে বাস করিবেন? দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ তোমাকে ধারণ করিতে পারে না, তবে আমার নির্মিত এই গৃহ কি পারিবে?
বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি তোমার প্রতিষ্ঠা করিব, তোমার নামের প্রশংসা করিব; কেননা তুমি আশ্চর্য কার্য করিয়াছ; পুরাকালীন মন্ত্রণা সকল সাধন করিয়াছ, বিশ্বস্ততায় ও সত্যে।
সদাপ্রভু মম শৈল, মম দুর্গ, ও মম রক্ষাকর্তা, মম ঈশ্বর, মম দৃঢ় শৈল, আমি তাঁহার শরণাগত; মম ঢাল, মম ত্রাণশৃঙ্গ, মম উচ্চদুর্গ।
ঈশ্বর, সদাপ্রভু ঈশ্বর কথা কহিয়াছেন, সূর্যের উদয়স্থান অবধি অস্তস্থান পর্যন্ত তিনি পৃথিবীকে আহ্বান করিয়াছেন।কেননা বনের সমস্ত জন্তু আমার, সহস্র সহস্র পর্বতীয় পশু আমার।আমি পর্বতগণের সমস্ত পক্ষীকে জানি, মাঠের প্রাণী সকল আমার সম্মুখবর্তী।আমি ক্ষুধিত হইলে তোমাকে বলিব না; কেননা জগৎ ও তাহার সমস্তই আমার।আমি কি বৃষমাংস ভোজন করিব? আমি কি ছাগরক্ত পান করিব?তুমি ঈশ্বরের উদ্দেশে স্তববলি উৎসর্গ কর, পরাৎপরের নিকটে আপন মানত পূর্ণ কর;আর সঙ্কটের দিনে আমাকে ডাকিও; আমি তোমাকে উদ্ধার করিব, ও তুমি আমার গৌরব করিবে।কিন্তু দুষ্টকে ঈশ্বর কহেন, আমার বিধি প্রচার করিতে তোমার কি অধিকার? তুমি আমার নিয়ম কেন মুখে আনিয়াছ?তুমি ত শাসন ঘৃণা করিয়া থাক, আমার বাক্য পশ্চাতে ফেলিয়া থাক।চোরকে দেখিলে তুমি তাহার সহিত প্রণয় করিতে, তুমি ব্যভিচারীদের সহভাগী হইতে।তুমি মন্দ বিষয়ে মুখ বাড়াইয়া দিয়া থাক, তোমার জিহ্বা ছল রচনা করে।সিয়োন হইতে, পরম সৌন্দর্যের স্থান হইতে, ঈশ্বর দেদীপ্যমান হইয়াছেন।
দেখ, জাতিগণ কলসের একটি জলবিন্দুর তুল্য, আর পাল্লাতে লগ্ন ধূলিকণার ন্যায় গণ্য; দেখ, তিনি দ্বীপ সকলকে একটি পরমাণুর ন্যায় তুলেন।আর জ্বাল দিবার নিমিত্তে লিবানোনে, হোমবলির নিমিত্ত তাহার জন্তু সকলে কুলায় না।তাঁহার সম্মুখে সমস্ত জাতি অবস্তুবৎ, তিনি তাহাদিগকে অসার ও শূন্য জ্ঞান করেন।
তিনি শৈল, তাঁহার কর্ম সিদ্ধ, কেননা তাঁহার সমস্ত পথ ন্যায্য; তিনি বিশ্বাস্য ঈশ্বর, তাঁহাতে অন্যায় নাই; তিনিই ধর্মময় ও সরল।
সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।সদাপ্রভুর বিধি সকল যথার্থ, চিত্তের আনন্দবর্ধক; সদাপ্রভুর আজ্ঞা নির্মল, চক্ষুর দীপ্তিজনক।সদাপ্রভুর ভয় শুচি, চিরস্থায়ী, সদাপ্রভুর শাসন সকল সত্য, সর্বাংশে ন্যায্য।
আকাশমণ্ডল, আনন্দ-রব কর, পৃথিবী, উল্লসিত হও; পর্বতগণ, উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান কর; কেননা সদাপ্রভু আপন প্রজাগণকে সান্ত্বনা করিয়াছেন, আর আপন দুঃখীদের প্রতি করুণা করিবেন।
হে সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর! হে যাঃ, তোমার তুল্য বিক্রমী কে? আর তোমার বিশ্বস্ততা তোমার চারিদিকে বিদ্যমান।তুমিই সাগর-দর্পের উপরে কর্তৃত্ব করিতেছ, তাহার তরঙ্গমালা উঠিলে তুমি তাহা প্রশান্ত করিয়া থাক।
দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ যাবতীয় বস্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর।
তখন তিনি কহিলেন, বিনয় করি, তুমি আমাকে তোমার প্রতাপ দেখিতে দেও।ঈশ্বর কহিলেন, আমি তোমার সম্মুখ দিয়া আপনার সমস্ত উত্তমতা গমন করাইব, ও তোমার সম্মুখে সদাপ্রভুর নাম ঘোষণা করিব; আর আমি যাহাকে দয়া করি, তাহাকে দয়া করিব ও যাহার প্রতি করুণা করি, তাহার প্রতি করুণা করিব।
এই সকল কাহার কৃত, কাহার সাধিত? কে বংশ পরমপরাকে আদি অবধি আহ্বান করেন? আমি সদাপ্রভু আদি, এবং সেই আমি শেষকালীন লোকদের সহবর্তী।
অতএব, হে সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি মহান; কারণ তোমার তুল্য কেহই নাই, ও তুমি ব্যতীত কোন ঈশ্বর নাই; আমরা স্বকর্ণে যাহা যাহা শুনিয়াছি, তদনুসারে ইহা জানি।
পরে যেশূয় ও কদ্মীয়েল, বানি, হশব্নিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয়, পথাহিয়, এই কয়েক জন লেবীয় এই কথা কহিল, উঠ, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর, যিনি অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল পর্যন্ত [ধন্য]। তোমার প্রতাপান্বিত নামের ধন্যবাদ হউক, যাহা যাবতীয় ধন্যবাদ ও প্রশংসার অতীত।
আমি ত জানি, সদাপ্রভু মহান, আমাদের প্রভু সমস্ত দেবতা অপেক্ষা মহান।সদাপ্রভু যাহা ইচ্ছা করিয়াছেন, তাহাই করিয়াছেন, আকাশে, পৃথিবীতে, সমুদ্রসমূহে ও সমস্ত জলধি-মধ্যে করিয়াছেন।
তথাপি আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁহা হইতে সকলই হইয়াছে, ও আমরা যাঁহারই জন্য; এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, এবং আমরা যাঁহারই দ্বারা বিদ্যমান আছি।
অতএব অদ্য জ্ঞাত হও, মনে রাখ যে, উপরিস্থ স্বর্গে ও নিচস্থ পৃথিবীতে সদাপ্রভুই ঈশ্বর, অন্য কেহ নাই।
কেননা আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু, স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি এই কথা কহেন, আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
হে সদাপ্রভু, তোমার দক্ষিণ হস্ত পরাক্রমে গৌরবান্বিত; হে সদাপ্রভু, তোমার দক্ষিণ হস্ত শত্রু চূর্ণকারী।
তুমি পুরাকালে পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমি স্থির থাকিবে; সে সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে, তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় তাহাদিগকে খুলিবে, ও তাহাদের পরিবর্তন হইবে।কিন্তু তুমি যে সেই আছ, তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন। নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।
আমারই হস্ত পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছে, আমার দক্ষিণ হস্ত আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছে; আমি তাহাদিগকে ডাকিলে সেই সমস্ত একসঙ্গে দাঁড়ায়।
যিনি যুগপর্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই সমাদর ও মহিমা হউক। আমেন।
তোমার বাহু পরাক্রমবিশিষ্ট, তোমার হস্ত শক্তিমান, তোমার দক্ষিণ হস্ত উচ্চ।ধর্মশীলতা ও ন্যায়বিচার তোমার সিংহাসনের ভিত্তিমূল; দয়া ও সত্য তোমার শ্রীমুখের অগ্রগামী।
বস্তুতঃ পর্বতগণ সরিয়া যাইবে, উপপর্বতগণ টলিবে; কিন্তু আমার দয়া তোমা হইতে সরিয়া যাইবে না, এবং আমার শান্তি-নিয়ম টলিবে না; যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন, সেই সদাপ্রভু ইহা কহেন।
পরে আমি বৃহৎ লোকারণ্যের রব ও বহুজলের কল্লোল ও প্রবল মেঘগর্জনের ন্যায় এই বাণী শুনিলাম, হাল্লিলূয়া, কেননা আমাদের ঈশ্বর প্রভু, যিনি সর্বশক্তিমান, তিনি রাজত্ব গ্রহণ করিলেন।
কেননা সদাপ্রভু মহান ঈশ্বর, তিনি সমুদয় দেবতার উপরে মহান রাজা।পৃথিবীর গভীর স্থান সকল তাঁহার হস্তগত, পর্বতগণের চূড়া সকলও তাঁহারই।সমুদ্র তাঁহার, তিনিই তাহা নির্মাণ করিয়াছেন, তাঁহারই হস্ত শুষ্ক ভূমি গঠন করিয়াছে।
অনাদি ঈশ্বর তোমার বাসস্থান, নিম্নে অনন্তস্থায়ী বাহুযুগল; তিনি তোমার সম্মুখ হইতে শত্রুকে দূর করিলেন, আর বলিলেন, বিনাশ কর।
আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।
আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়; আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; তুমি আমাকে না জানিলেও আমি তোমার কটি বন্ধ করিব;যেন সূর্যোদয়ের স্থানাবধি পশ্চিম দিক্ পর্যন্ত লোকে জানিতে পারে যে, আমি ব্যতীত অন্য নাই; আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
কেননা প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়, কিন্তু যিনি সকলই সংস্থাপন করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।
তিনিই ঈশ্বর, তাঁহার পথ সিদ্ধ; সদাপ্রভুর বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ, তিনি নিজ শরণাগত সকলের ঢাল।কারণ সদাপ্রভু ব্যতীত আর ঈশ্বর কে আছে? আমাদের ঈশ্বর ব্যতীত আর শৈল কে আছে?
কোন কর্ম কি সদাপ্রভুর অসাধ্য? নিরূপিত সময়ে এই ঋতু আবার উপস্থিত হইলে আমি তোমার কাছে ফিরিয়া আসিব, আর সারার পুত্র হইবে।
তাঁহার পবিত্র নামের শ্লাঘা কর; সদাপ্রভুর অন্বেষণকারীদের চিত্ত আনন্দ করুক।উহাদের দেশ ভেকে আকীর্ণ হইল, উহাদের রাজগণের অন্তঃপুরে [তাহা প্রবেশ করিল]।তিনি বলিলেন, আর দংশকের ঝাঁক আসিল, পিশুগণ উহাদের সমস্ত অঞ্চলে আসিল।তিনি উহাদিগকে বৃষ্টির পরিবর্তে শিলা দিলেন, উহাদের দেশে শিখাযুক্ত অগ্নি বর্ষণ করিলেন।আর তিনি উহাদের দ্রাক্ষালতা ও ডুমুরগাছে আঘাত করিলেন, উহাদের অঞ্চলের বৃক্ষসকল ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন।তিনি বলিলেন, আর পঙ্গপাল আসিল, অসংখ্য পতঙ্গ আসিল।তাহারা উহাদের দেশের সমস্ত ওষধি গ্রাস করিল, উহাদের ভূমির ফল খাইয়া ফেলিল।আর তিনি উহাদের দেশে প্রথমজাত সকলকে, উহাদের সমস্ত শক্তির প্রথম ফলকে, আঘাত করিলেন।পরে তিনি লোকদিগকে রৌপ্য ও স্বর্ণের সহিত বাহির করিয়া আনিলেন, তাঁহার গোষ্ঠীদের মধ্যে একজনও উছোট খায় নাই।তাহারা প্রস্থান করিলে মিসর আনন্দ করিল, কারণ উহারা তাহাদের হইতে ত্রাসাপন্ন হইয়াছিল।তিনি চন্দ্রাতপের জন্য মেঘ বিস্তার করিলেন, তিনি রাত্রি আলোকময় করণার্থে অগ্নি দিলেন।সদাপ্রভুর ও তাঁহার শক্তির অনুসন্ধান কর, নিয়ত তাঁহার শ্রীমুখের অন্বেষণ কর।
হে ইয়োব, আপনি ইহাতে কর্ণপাত করুন, স্থির থাকুন, ঈশ্বরের আশ্চর্য কার্য সকল বিবেচনা করুন।আপনি কি জানেন, ঈশ্বর কিরূপে এই সকলের উপরে ভার রাখেন, আর আপনি মেঘের দীপ্তি বিরাজমান করেন?আপনি কি মেঘমালার দোলন জানেন? পরম জ্ঞানীর আশ্চর্য ক্রিয়া সকল জানেন?
তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নূতন গীত গাও, কেননা তিনি আশ্চর্য আশ্চর্য কর্ম করিয়াছেন; তাঁহার দক্ষিণ হস্ত ও তাঁহার পবিত্র বাহু তাঁহার পক্ষে পরিত্রাণ সাধন করিয়াছে।
প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কেননা নম্রগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করিতে সদাপ্রভু আমাকে অভিষেক করিয়াছেন; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমি ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দিই; যেন বন্দি লোকদের কাছে মুক্তি, ও কারাবদ্ধ লোকদের কাছে কারামোচন প্রচার করি;‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’বস্তুতঃ ভূমি যেমন আপন অঙ্কুর নির্গত করে, উদ্যান যেমন আপনার মধ্যে উপ্ত বীজ অঙ্কুরিত করে, তেমনি প্রভু সদাপ্রভু সমুদয় জাতির সাক্ষাতে ধার্মিকতা ও প্রশংসা অঙ্কুরিত করিবেন।যেন সদাপ্রভুর প্রসন্নতার বৎসর ও আমাদের ঈশ্বরের প্রতিশোধের দিন ঘোষণা করি; যেন সমস্ত শোকার্তকে সান্ত্বনা করি;যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
ঈশ্বরের পরাক্রম কীর্তন কর; তাঁহার মহিমা ইস্রায়েলের উপরে, তাঁহার পরাক্রম আকাশমণ্ডলে রহিয়াছে।হে ঈশ্বর, তুমি তোমার ধর্মধামে ভয়াবহ; ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তিনিই আপন প্রজাদিগকে পরাক্রম ও শক্তি দেন। ধন্য ঈশ্বর।
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।তিনি রব ছাড়িলে আকাশে জলরাশির শব্দ হয়, তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে বাষপ উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির নিমিত্ত বিদ্যুৎ গঠন করেন, তিনি আপন ভাণ্ডার হইতে বায়ু বাহির করিয়া আনেন।
আর তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, “মহৎ ও আশ্চর্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্বশক্তিমান; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।”
উনি কে, যিনি ইদোম হইতে আসিতেছেন, রক্তরঞ্জিত বস্ত্র পরিয়া বস্রা হইতে আসিতেছেন? উনি কে, যিনি আপন পরিচ্ছদে প্রতাপান্বিত, আপন শক্তির বাহুল্যে চলিয়া আসিতেছেন? ‘এ আমি, যিনি ধর্মশীলতায় কথা বলেন, ও যিনি পরিত্রাণ করণে বলবান।’
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
যিনি একমাত্র ঈশ্বর আমাদের ত্রাণকর্তা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা তাঁহারই প্রতাপ, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব হউক, সকল যুগের পূর্বাবধি, আর এখন এবং সমস্ত যুগপর্যায়ে হউক। আমেন।