ধার্মিকতা, ঈশ্বরের আদেশ ও শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন, বাইবেলের একটা মূলনীতি। তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়, সততা এবং সৎভাবে কাজ করার জন্য এটা একটা আহ্বান।
হিতোপদেশের মতো শাস্ত্রে, ধার্মিকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে অনেক জায়গায়। যেমন, “ধার্মিক ব্যক্তি এক নিষ্কলঙ্ক জীবন যাপন করে; তার সন্তানরা তার পরে কতই না সুখী হয়!” (হিতোপদেশ ২০:৭)। এই উক্তিটি আমাদের দেখায় যে ধার্মিকতা কেবল আমাদের নিজেদের জন্যই উপকারী নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ঈশ্বরের আদেশ পালন করা এবং তাঁর পথ অনুসরণ করাই ধার্মিকতা। গীতসংহিতা ১১৯:১১ পদে আমাদের ঈশ্বরের বাক্য হৃদয়ে ধারণ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ না করি। এভাবে, ধার্মিকতা আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য একটা নির্দেশনা হয়ে ওঠে, আমাদের সিদ্ধান্ত এবং আচরণে পথ দেখায়।
বাইবেল আমাদের শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর ধার্মিকতার পুরস্কার দেন। মথি ৫:৬ পদে, যীশু বলেছেন, “ধন্য যারা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত, কারণ তারা তৃপ্ত হবে।” এর অর্থ হল, যারা ন্যায় ও ধার্মিক জীবন যাপন করতে চায় তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও তৃপ্তি পাবে।
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা নিজের শক্তিতে ধার্মিকতা অর্জন করতে পারি না। রোমীয়দের পুস্তকে বলা হয়েছে, "যারা বিশ্বাস করে তাদের সকলের জন্য যীশু খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের ধার্মিকতা লাভ করা যায়" (রোমীয় ৩:২২)। এটা আমাদের নিজস্ব কর্মের ফলাফল নয়, বরং ক্রুশের উপরে যীশুর বলিদানের উপর আস্থা রাখা এবং ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতার সাথে জীবন যাপন করা।
ধার্মিকতা হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ যা আমাদের স্বর্গীয় পিতার নীতি অনুযায়ী জীবনযাপন করতে এবং আমাদের সমস্ত কাজে ন্যায়, সততা এবং সৎভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করে। ধার্মিক জীবন যাপন করে আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও তৃপ্তি লাভ করি।
সেই সকল খোদিত স্তম্ভস্বরূপ; কথা কহিতে পারে না; তাহাদিগকে বহন করিতে হয়, কারণ তাহারা চলিতে পারে না। তোমরা তাহাদের হইতে ভীত হইও না; কারণ তাহারা অহিত করিতে পারে না, হিত করিতেও তাহাদের সাধ্য নাই।
কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
দেখ, তাহার প্রাণ দর্পে স্ফীত, তাহার অন্তর সরল নয়, কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি আপন বিশ্বাস দ্বারা বাঁচিবে।
ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্তে- কারণ প্রভেদ নাই;
পৃথিবী হইতে সাধু উচ্ছিন্ন হইয়াছে, মনুষ্যদের মধ্যে সরল লোক একেবারে নাই; সকলেই রক্তপাত করণার্থে ঘাঁটি বসায়; প্রত্যেক জন আপন আপন ভ্রাতাকে জালে বদ্ধ করিতে চেষ্টা করে।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
যে জন ধার্মিকতার পথে চলে, ও সরল ভাবের কথা কহে, যে উপদ্রবজাত লাভ ঘৃণা করে, যে উৎকোচের স্পর্শ হইতে হস্ত ঝাড়িয়া ফেলে, যে বধ করিবার পরামর্শ শুনিলে কর্ণ রোধ করে ও দুষ্কর্মের দর্শন হইতে চক্ষু মুদ্রিত করে;
তাহারা পাতালের জন্য নিযুক্ত মেষপালবৎ, মৃত্যু তাহাদিগকে চরাইবে; সরলগণ প্রভাতে তাহাদের উপরে কর্তৃত্ব করিবে; তাহাদের রূপ পাতালে নষ্ট হইবে, তাহার কোন বসতিস্থান আর থাকিবে না।
যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
কেননা তুমি ধার্মিককে আশীর্বাদ করিবে, হে সদাপ্রভু, তুমি ঢালের ন্যায় তাহাকে প্রসন্নতায় বেষ্টন করিবে।
কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সকল হইতে পলায়ন কর; এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, প্রেম, ধৈর্য, মৃদুভাব, এই সকলের অনুধাবন কর।
ইহা করিলে অরুণের ন্যায় তোমার দীপ্তি প্রকাশ পাইবে, তোমার আরোগ্য শীঘ্রই অঙ্কুরিত হইবে; আর তোমার ধার্মিকতা তোমার অগ্রগামী হইবে; সদাপ্রভুর প্রতাপ তোমার পশ্চাদ্বর্তী হইবে।
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
কিন্তু যে ব্যক্তি কার্য করে না- তাঁহারই উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক গণনা করেন- তাহার বিশ্বাসই ধার্মিকতা বলিয়া গণিত হয়।
আর শান্তিই ধার্মিকতার কার্য হইবে, এবং চিরকালের জন্য সুস্থিরতা ও নিঃশঙ্কতা ধার্মিকতার ফল হইবে।
কারণ সেই একের অপরাধে যখন সেই একের দ্বারা মৃত্যু রাজত্ব করিল, তখন সেই আর এক ব্যক্তি অর্থাৎ, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, যাহারা অনুগ্রহের ও ধার্মিকতা দানের উপচয় পায়, তাহারা কত অধিক নিশ্চিতরূপে জীবনে রাজত্ব করিবে।
কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
‘আমি সদাপ্রভুতে অতিশয় আনন্দ করিব, আমার প্রাণ আমার ঈশ্বরের উল্লাস করিবে; কেননা বর যেমন যাজকীয় সজ্জার ন্যায় শিরোভূষণ পরে, কন্যা যেমন আপন রত্নরাজি দ্বারা আপনাকে অলঙ্কৃতা করে, তেমনি তিনি আমাকে পরিত্রাণ-বস্ত্র পরাইয়াছেন, ধার্মিকতা-পরিচ্ছদে পরিচ্ছন্ন করিয়াছেন।’
কারণ যেমন সেই এক মনুষ্যের অনাজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে পাপী বলিয়া ধরা হইল, তেমনি সেই আর এক ব্যক্তির আজ্ঞাবহতা দ্বারা অনেককে ধার্মিক বলিয়া ধরা হইবে।
এবং তাঁহাতেই যেন আমাকে দেখিতে পাওয়া যায়; আমার নিজের ধার্মিকতা, যাহা ব্যবস্থা হইতে প্রাপ্য, তাহা যেন আমার না হয়, কিন্তু যে ধার্মিকতা খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা হয়, বিশ্বাসমূলক যে ধার্মিকতা ঈশ্বর হইতে পাওয়া যায়, তাহাই যেন আমার হয়;
যেন সিয়োনের শোকার্ত লোকদিগকে বর দিই, যেন তাহাদিগকে ভস্মের পরিবর্তে শিরোভূষণ, শোকের পরিবর্তে আনন্দতৈল, অবসন্ন আত্মার পরিবর্তে প্রশংসারূপ পরিচ্ছদ দান করি; তাই তাহারা ধার্মিকতা-বৃক্ষ ও সদাপ্রভুর রোপিত তাঁহার ভূষণার্থক উদ্যান বলিয়া আখ্যাত হইবে।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
বিশ্বাসে নোহ, যাহা যাহা তখন দেখা যাইতেছিল না, এমন বিষয়ে আদেশ পাইয়া ভক্তিযুক্ত ভয়ে আবিষ্ট হইয়া আপন পরিবারের ত্রাণার্থে এক জাহাজ নির্মাণ করিলেন, এবং তদ্দ্বারা জগৎকে দোষী করিলেন ও আপনি বিশ্বাসানুরূপ ধার্মিকতার অধিকারী হইলেন।
তখন তিনি সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিলেন, আর সদাপ্রভু তাঁহার পক্ষে তাহা ধার্মিকতা বলিয়া গণনা করিলেন।
সর্ববিষয়ের পরীক্ষা কর; যাহা ভাল, তাহা ধরিয়া রাখ।সর্বপ্রকার মন্দ বিষয় হইতে দূরে থাক।
যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।
কিন্তু ধার্মিকদের পথ প্রভাতীয় জ্যোতির ন্যায়, যাহা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত উত্তরোত্তর দেদীপ্যমান হয়।
কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, “কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।”
যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ, জীবনের বাক্য ধরিয়া রহিয়াছ;
হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে? তোমার পবিত্র পর্বতে কে বসতি করিবে?যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্মকর্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।
তোমরা, যাহারা ধার্মিকতার অনুগামী, যাহারা সদাপ্রভুর অন্বেষণ করিতেছ, তোমরা আমার বাক্যে কর্ণপাত কর; তোমরা যে শৈল হইতে তক্ষিত ও যে কূপের ছিদ্র হইতে খনিত হইয়াছ, তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত কর।
বক্রচিত্তেরা সদাপ্রভুর ঘৃণার পাত্র; কিন্তু যাহারা আপন পথে সিদ্ধ, তাহারা তাঁহার সন্তোষের পাত্র।
হে সদাপ্রভু, আমার গুপ্ত শত্রুগণ হেতু তুমি আপন ধর্মশীলতায় আমাকে চালাও, আমার সম্মুখে তোমার পথ সরল কর।
কারণ সদাপ্রভু ঈশ্বর সূর্য ও ঢাল; সদাপ্রভু অনুগ্রহ ও প্রতাপ প্রদান করেন; যাহারা সিদ্ধতায় চলে, তিনি তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।
এখন অবধি আমার নিমিত্ত ধার্মিকতার মুকুট তোলা রহিয়াছে; প্রভু, সেই ধর্মময় বিচারকর্তা, সেই দিন আমাকে তাহা দিবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁহার প্রকাশপ্রাপ্তি ভালবাসিয়াছে, সেই সকলকেও দিবেন।
তাহা আমাদিগকে শাসন করিতেছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও সাংসারিক অভিলাষ সকল অস্বীকার করিয়া সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্তমান যুগে জীবন যাপন করি,
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ন্যায়বিচার রক্ষা কর, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান কর, কেননা আমার পরিত্রাণ আগতপ্রায়, এবং আমার ধার্মিকতার প্রকাশ সন্নিকট।
কিন্তু তাহা হইতে তোমরা সেই খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান- ধার্মিকতা ও পবিত্রতা এবং মুক্তি-
যাহার অঞ্জলি নির্দোষ ও অন্তঃকরণ বিমল, যে অলীকতার দিকে প্রাণ উত্তোলন করে নাই, ছলভাবে শপথ করে নাই।সেই সদাপ্রভু হইতে আশীর্বাদ পাইবে, আপন ত্রাণেশ্বর হইতে ধার্মিকতা পাইবে।
তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,ও ধৈর্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।
এইরূপে তোমরা যেন, যাহা যাহা ভিন্ন প্রকার, তাহা পরীক্ষা করিয়া চিনিতে পার, খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত যেন তোমরা সরল ও বিঘ্নরহিত থাক,যেন ধার্মিকতার সেই ফলে পূর্ণ হও, যাহা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা পাওয়া যায়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা হয়।
যেন পাপ যেমন মৃত্যুতে রাজত্ব করিয়াছিল, তেমনি আবার অনুগ্রহ ধার্মিকতা দ্বারা, অনন্ত জীবনের নিমিত্ত, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, রাজত্ব করে।
তুমি ধার্মিকতাকে প্রেম, ও দুষ্টতাকে ঘৃণা করিয়াছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, তোমার সখাগণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণে আনন্দ-তৈলে।”
তুমি ধার্মিকতায় স্থিরীকৃত হইবে; তুমি উপদ্রব হইতে দূরে থাকিবে, বস্তুতঃ তুমি ভীত হইবে না; এবং ত্রাস হইতে দূরে থাকিবে, বাস্তবিক তাহা তোমার নিকটে আসিবে না।
নোহের বংশ-বৃত্তান্ত এই। নোহ তৎকালীন লোকদের মধ্যে ধার্মিক ও সিদ্ধ লোক ছিলেন, নোহ ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন।
ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,
কিন্তু ধর্মশীলতায় দীনহীনদের বিচার করিবেন, সরলতায় পৃথিবীস্থ নম্রদের জন্য নিষপত্তি করিবেন; তিনি আপন মুখস্থিত দণ্ড দ্বারা পৃথিবীকে আঘাত করিবেন, আপন ওষ্ঠাধরের নিশ্বাস দ্বারা দুষ্টকে বধ করিবেন।আর ধর্মশীলতা তাঁহার কটিদেশের পটুকা ও বিশ্বস্ততা তাঁহার কক্ষের পটুকা হইবে।
কেননা আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, অধ্যাপক ও ফরীশীদের অপেক্ষা তোমাদের ধার্মিকতা যদি অধিক না হয়, তবে তোমরা কোন মতে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে না।