হিব্রুদের পুস্তকে, যীশুকে আমাদের জন্য একজন নিখুঁত মহাযাজক হিসেবে দেখানো হয়েছে, যিনি অন্য যেকোনো মহাযাজকের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। একজন মহাযাজকের প্রধান কাজ ছিল ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা, মানুষের পাপের জন্য নৈবেদ্য এবং বলি উৎসর্গ করা।
কিন্তু, যীশু খ্রীষ্ট এই সাময়িক এবং সীমিত কাজের চেয়েও অনেক বেশি কিছু করেছেন। তিনি নিজেই ক্রুশে নিজেকে বলি দিয়ে আমাদের পাপের জন্য নিখুঁত নৈবেদ্য হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থান ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পূর্ণ এবং চিরন্তন মিলনের পথ উন্মুক্ত করেছে।
মহাযাজক হিসেবে, যীশু পিতার কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করেন। তিনি আমাদের দুর্বলতা এবং সংগ্রামগুলো জানেন, কারণ তিনিও পূর্ণরূপে মানবজীবন অতিবাহিত করেছেন। তাঁর করুণা এবং দয়া অসীম, আর তিনি সর্বদা ক্ষমা করতে এবং তাঁর অসীম ভালবাসা দিতে প্রস্তুত।
তাঁর বলিদানের মাধ্যমে, যীশু খ্রীষ্ট আমাদেরকে পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তি এবং পরিত্রাণ লাভের জন্য প্রয়োজনীয় অনুগ্রহ দান করেছেন। একজন মহাযাজকের কাজ হলো মানুষকে শিক্ষা দেওয়া এবং পথ দেখানো। যীশু খ্রীষ্ট এই ভূমিকা অসাধারণভাবে পালন করেছেন, আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন যা আমাদেরকে একটি পরিপূর্ণ জীবন এবং ঈশ্বরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নিয়ে যায়।
তিনিই পথ, সত্য এবং জীবন, আর স্বর্গরাজ্যের নীতি অনুযায়ী জীবনযাপনের জন্য তিনিই আমাদের আদর্শ।
আর সেই স্থানে আমাদের নিমিত্ত অগ্রগামী হইয়া যীশু প্রবেশ করিয়াছেন, মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হইয়াছেন।
ভাল, আমরা এক মহান মহাযাজককে পাইয়াছি, যিনি স্বর্গ সকল দিয়া গমন করিয়াছেন, তিনি যীশু, ঈশ্বরের পুত্র; অতএব আইস, আমরা ধর্ম প্রতিজ্ঞাকে দৃঢ়রূপে ধারণ করি।
আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয়া পড়ে, যখন মল্কীষেদকের সাদৃশ্য অনুযায়ী আর একজন যাজক উৎপন্ন হন,
অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
বস্তুতঃ আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক উপযুক্ত ছিলেন, যিনি সাধু, অহিংসুক, বিমল, পাপিগণ হইতে পৃথক্কৃত, এবং স্বর্গ সকল অপেক্ষা উচ্চীকৃত।
বস্তুতঃ প্রত্যেক মহাযাজক মনুষ্যদের মধ্য হইতে গৃহীত হইয়া মনুষ্যদের পক্ষে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কার্যে নিযুক্ত হন, যেন তিনি পাপার্থক উপহার ও বলি উৎসর্গ করেন।
খ্রীষ্টও তদ্রূপ মহাযাজক হইবার নিমিত্ত আপনি আপনাকে গৌরবান্বিত করিলেন না, কিন্তু তিনিই করিয়াছিলেন, যিনি তাঁহাকে কহিলেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি অদ্য তোমাকে জন্ম দিয়াছি।”সেইরূপ অন্য গীতেও তিনি কহেন, “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”
মোশি যেমন তাঁহার সমস্ত গৃহের মধ্যে ছিলেন, তেমনি তিনিও আপন নিয়োগকর্তার কাছে বিশ্বস্ত ছিলেন।
ঐ মহাযাজকগণের ন্যায় প্রতিদিন অগ্রে নিজ পাপের, পরে প্রজাবৃন্দের পাপের নিমিত্ত নৈবেদ্য উৎসর্গ করা ইঁহার পক্ষে আবশ্যক নয়, কারণ আপনাকে উৎসর্গ করাতে ইনি সেই কার্য একবারে সাধন করিয়াছেন।
তবে, যিনি অনন্তজীবী আত্মা দ্বারা নির্দোষ বলিরূপে আপনাকেই ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ হইতে কত অধিক নিশ্চয় শুচি না করিবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পার!
সেই যে মল্কীষেদক, যিনি শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক ছিলেন, অব্রাহাম যখন রাজাদের সংহার হইতে ফিরিয়া আইসেন, তিনি তখন তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও তাঁহাকে আশীর্বাদ করিলেন,কারণ যখন মল্কীষেদক তাঁহার পিতার সহিত সাক্ষাৎ করেন, তখন লেবি পিতার কটিতে ছিলেন।অতএব যদি লেবীয় যাজকত্ব দ্বারা সিদ্ধি হইতে পারিত- সেই যাজকত্বের অধীনেই ত প্রজাবৃন্দ ব্যবস্থা পাইয়াছিল- তবে আবার কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্যবিধ এক যাজক উৎপন্ন হইবেন, এবং তাঁহাকে হারোণের রীতি অনুযায়ী বলিয়া ধরা হইবে না?যাজকত্ব যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হয়, ইহা আবশ্যক।এই সকল কথা যাঁহার উদ্দেশে বলা যায়, তিনি ত অন্যবিধ বংশভুক্ত; সেই বংশের মধ্যে যজ্ঞবেদির সেবাধিকারী কেহই হয় নাই।ফলতঃ আমাদের প্রভু যিহূদা হইতে উদিত হইয়াছেন, ইহা সুস্পষ্ট; কিন্তু সেই বংশের উদ্দেশে মোশি যাজকদের বিষয়ে কিছুই বলেন নাই।আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয়া পড়ে, যখন মল্কীষেদকের সাদৃশ্য অনুযায়ী আর একজন যাজক উৎপন্ন হন,যিনি মাংসিক বিধির নিয়ম অনুযায়ী হন নাই, কিন্তু অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হইয়াছেন।কেননা তিনি এই সাক্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছেন, “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”কারণ এক পক্ষে পূর্বকার বিধির দুর্বলতা ও নিষ্ফলতা প্রযুক্ত তাহার লোপ হইতেছে-কেননা ব্যবস্থা কিছুই সিদ্ধ করে নাই- পক্ষান্তরে এমন এক শ্রেষ্ঠ প্রত্যাশা আনা হইতেছে, যদ্দ্বারা আমরা ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হই।এবং অব্রাহাম তাঁহাকে সমস্তের দশমাংশ দিলেন। প্রথমে তাঁহার নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করিলে তিনি ‘ধার্মিকতার রাজা’, পরে ‘শালেমের রাজা’, অর্থাৎ শান্তিরাজ;অধিকন্তু ইহা বিনা শপথে হয় নাই। উহারা ত বিনা শপথে যাজক হইয়া আসিতেছে;কিন্তু ইনি শপথ সহকারে তাঁহারই দ্বারা নিযুক্ত, যিনি তাঁহার বিষয়ে কহিলেন, “প্রভু এই শপথ করিলেন, আর তিনি অনুশোচনা করিবেন না, তুমিই অনন্তকালীন যাজক।” অতএব যীশু এইরূপ মহৎ বিষয়েও উৎকৃষ্টতর নিয়মের প্রতিভূ হইয়াছেন।আর উহারা অনেক যাজক হইয়া আসিতেছে, কারণ মৃত্যু উহাদিগকে চিরকাল থাকিতে দেয় না।কিন্তু তিনি ‘অনন্তকাল’ থাকেন, তাই তাঁহার যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়।এই জন্য, যাহারা তাঁহা দিয়া ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহাদের নিমিত্ত অনুরোধ করণার্থে তিনি সতত জীবিত আছেন।বস্তুতঃ আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক উপযুক্ত ছিলেন, যিনি সাধু, অহিংসুক, বিমল, পাপিগণ হইতে পৃথক্কৃত, এবং স্বর্গ সকল অপেক্ষা উচ্চীকৃত।ঐ মহাযাজকগণের ন্যায় প্রতিদিন অগ্রে নিজ পাপের, পরে প্রজাবৃন্দের পাপের নিমিত্ত নৈবেদ্য উৎসর্গ করা ইঁহার পক্ষে আবশ্যক নয়, কারণ আপনাকে উৎসর্গ করাতে ইনি সেই কার্য একবারে সাধন করিয়াছেন।কেননা ব্যবস্থা যে মহাযাজকদিগকে নিযুক্ত করে, তাহারা দুর্বলতাবিশিষ্ট মনুষ্য; কিন্তু ব্যবস্থার পশ্চাৎকালীয় ঐ শপথের বাক্য যাঁহাকে নিযুক্ত করে, তিনি অনন্তকালের জন্য সিদ্ধিপ্রাপ্ত পুত্র।তাঁহার পিতা নাই, মাতা নাই, পূর্বপুরুষাবলি নাই, আয়ুর আদি কি জীবনের অন্ত নাই; কিন্তু তিনি ঈশ্বরের পুত্রের সদৃশীকৃত; তিনি নিত্যই যাজক থাকেন।
অতএব সর্ববিষয়ে আপন ভ্রাতৃগণের তুল্য হওয়া তাঁহার উচিত ছিল, যেন তিনি প্রজাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কার্যে দয়ালু ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হন।
অতএব যদি লেবীয় যাজকত্ব দ্বারা সিদ্ধি হইতে পারিত- সেই যাজকত্বের অধীনেই ত প্রজাবৃন্দ ব্যবস্থা পাইয়াছিল- তবে আবার কি প্রয়োজন ছিল যে, মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অন্যবিধ এক যাজক উৎপন্ন হইবেন, এবং তাঁহাকে হারোণের রীতি অনুযায়ী বলিয়া ধরা হইবে না?
কিন্তু নিজ রক্তের গুণে- একবারে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অনন্তকালীয় মুক্তি অর্জন করিয়াছেন।
আমাদের কথা আরও অধিক স্পষ্ট হইয়া পড়ে, যখন মল্কীষেদকের সাদৃশ্য অনুযায়ী আর একজন যাজক উৎপন্ন হন,যিনি মাংসিক বিধির নিয়ম অনুযায়ী হন নাই, কিন্তু অবিনশ্বর জীবনের শক্তি অনুযায়ী হইয়াছেন।কেননা তিনি এই সাক্ষ্য প্রাপ্ত হইতেছেন, “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।”
অতএব যীশু এইরূপ মহৎ বিষয়েও উৎকৃষ্টতর নিয়মের প্রতিভূ হইয়াছেন।আর উহারা অনেক যাজক হইয়া আসিতেছে, কারণ মৃত্যু উহাদিগকে চিরকাল থাকিতে দেয় না।কিন্তু তিনি ‘অনন্তকাল’ থাকেন, তাই তাঁহার যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়।
কেননা আমরা এমন মহাযাজককে পাই নাই, যিনি আমাদের দুর্বলতাঘটিত দুঃখে দুঃখিত হইতে পারেন না, কিন্তু তিনি সর্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন, বিনা পাপে।
বস্তুতঃ আমাদের জন্য এমন এক মহাযাজক উপযুক্ত ছিলেন, যিনি সাধু, অহিংসুক, বিমল, পাপিগণ হইতে পৃথক্কৃত, এবং স্বর্গ সকল অপেক্ষা উচ্চীকৃত।ঐ মহাযাজকগণের ন্যায় প্রতিদিন অগ্রে নিজ পাপের, পরে প্রজাবৃন্দের পাপের নিমিত্ত নৈবেদ্য উৎসর্গ করা ইঁহার পক্ষে আবশ্যক নয়, কারণ আপনাকে উৎসর্গ করাতে ইনি সেই কার্য একবারে সাধন করিয়াছেন।
এই জন্য, যাহারা তাঁহা দিয়া ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহাদিগকে তিনি সম্পূর্ণরূপে পরিত্রাণ করিতে পারেন, কারণ তাহাদের নিমিত্ত অনুরোধ করণার্থে তিনি সতত জীবিত আছেন।
এই সমস্ত কথার সার এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা-সিংহাসনের দক্ষিণে, উপবিষ্ট হইয়াছেন।
তিনি পবিত্র স্থানের, এবং যে তাম্বু মনুষ্যকর্তৃক নয়, কিন্তু প্রভুকর্তৃক স্থাপিত হইয়াছে, সেই প্রকৃত তাম্বুর সেবক।
কিন্তু এখন ইনি সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পাইয়াছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক শ্রেষ্ঠ নিয়মের মধ্যস্থ হইয়াছেন, যাহা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞাকলাপের উপরে স্থাপিত হইয়াছে।
কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত উত্তম উত্তম বিষয়ের মহাযাজকরূপে উপস্থিত হইয়া, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাম্বু অহস্তকৃত, অর্থাৎ এই সৃষ্টির অসমপর্কীয়, সেই তাম্বু দিয়া- ছাগদের ও গোবৎসদের রক্তের গুণে নয়,
আর এই কারণ তিনি এক নূতন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মোচনার্থ মৃত্যু ঘটিয়াছে বলিয়া, যাহারা আহূত হইয়াছে, তাহারা অনন্তকালীয় দায়াধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল প্রাপ্ত হয়।
কেননা খ্রীষ্ট হস্তকৃত পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন নাই- এ ত প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র- কিন্তু স্বর্গেই প্রবেশ করিয়াছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হন।
কেননা তাহা হইলে জগতের পত্তনাবধি অনেক বার তাহাকে মৃত্যু ভোগ করিতে হইত। কিন্তু বাস্তবিক তিনি একবার, যুগপর্যায়ের পরিণামে, আত্মযজ্ঞ দ্বারা পাপ নাশ করিবার নিমিত্ত, প্রকাশিত হইয়াছেন।
সেই ইচ্ছাক্রমে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গকরণ দ্বারা, আমরা পবিত্রীকৃত হইয়া রহিয়াছি।
কারণ যাহারা পবিত্রীকৃত হয়, তাহাদিগকে তিনি একই নৈবেদ্য দ্বারা চিরকালের জন্য সিদ্ধ করিয়াছেন।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;
অতএব, হে পবিত্র ভ্রাতৃগণ, স্বর্গীয় আহ্বানের অংশিগণ, তোমরা আমাদের ধর্ম-প্রতিজ্ঞার প্রেরিত ও মহাযাজকের প্রতি, যীশুর প্রতি, দৃষ্টি রাখ;
এবং সেই দুর্বলতা হেতু যেমন প্রজাগণের জন্য, তেমনি আপনার জন্যও পাপনিমিত্তক নৈবেদ্য উৎসর্গ করা তাঁহার অবশ্য কর্তব্য।
আর তুমি আমার যাজক হইবার জন্য ইস্র্রায়েল-সন্তানগণের মধ্য হইতে তোমার ভ্রাতা হারোণকে ও তাহার সঙ্গে তাহার পুত্রগণকে আপনার নিকটে উপস্থিত করিবে। হারোণ এবং হারোণের পুত্র নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরকে উপস্থিত করিবে।
পিতার স্থানে যাজন কর্ম করিতে যাহাকে অভিষেক ও হস্তপূরণ দ্বারা নিযুক্ত করা যাইবে, সেই যাজক প্রায়শ্চিত্ত করিবে, এবং মসীনা-বস্ত্র অর্থাৎ পবিত্র বস্ত্র সকল পরিধান করিবে।আর সে পবিত্র ধর্মধামের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে, এবং সমাগম-তাম্বুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে, এবং যাজকগণের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে।ইস্রায়েল-সন্তানগণের জন্য তাহাদের সমস্ত পাপপ্রযুক্ত বৎসরের মধ্যে একবার প্রায়শ্চিত্ত করা তোমাদের পক্ষে চিরস্থায়ী বিধি হইবে। তখন [হারোণ] মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আজ্ঞা অনুসারে কর্ম করিলেন।
আর আপন ভ্রাতাদের মধ্যে প্রধান যাজক, যাহার মস্তকে অভিষেক-তৈল ঢালা হইয়াছে, যে ব্যক্তি হস্তপূরণ দ্বারা পবিত্র বস্ত্র পরিধান করিবার অধিকারী হইয়াছে, সে আপন মস্তক মুক্তকেশ করিবে না ও আপন বস্ত্র চিরিবে না।
কেননা ব্যবস্থা যে মহাযাজকদিগকে নিযুক্ত করে, তাহারা দুর্বলতাবিশিষ্ট মনুষ্য; কিন্তু ব্যবস্থার পশ্চাৎকালীয় ঐ শপথের বাক্য যাঁহাকে নিযুক্ত করে, তিনি অনন্তকালের জন্য সিদ্ধিপ্রাপ্ত পুত্র।
ফলতঃ প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করিতে নিযুক্ত হন, অতএব ইঁহারও অবশ্য কিছু উৎসর্জনীয় আছে।
খ্রীষ্ট যীশু ত মরিলেন বরং উত্থাপিতও হইলেন; আর তিনিই ঈশ্বরের দক্ষিণে আছেন, আবার আমাদের পক্ষে অনুরোধ করিতেছেন।
হে আমার বৎসেরা, তোমাদিগকে এই সকল লিখিতেছি, যেন তোমরা পাপ না কর। আর যদি কেহ পাপ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক যীশু খ্রীষ্ট।
কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল, এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল।
এই জন্য আমি মহানদের মধ্যে তাঁহাকে অংশ দিব, তিনি পরাক্রমীদের সহিত লুট বিভাগ করিবেন, কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য আপন প্রাণ ঢালিয়া দিলেন, তিনি অধর্মীদের সহিত গণিত হইলেন; আর তিনিই অনেকের পাপভার তুলিয়া লইয়াছেন, এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করিতেছেন।
হাঁ, তিনিই সদাপ্রভুর মন্দির গাঁথিবেন, তিনিই প্রভা ধারণ করিবেন, আপন সিংহাসনে বসিয়া কর্তৃত্ব করিবেন, এবং আপন সিংহাসনের উপরে উপবিষ্ট যাজক হইবেন, তাহাতে এই দুইয়ের মধ্যে শান্তির মন্ত্রণা থাকিবে।
কারণ যে যে প্রাণীর রক্ত পাপার্থক উপহাররূপে মহাযাজকের দ্বারা পবিত্র স্থানের ভিতরে লইয়া যাওয়া হয়, সেই সকলের দেহ শিবিরের বাহিরে পোড়াইয়া দেওয়া যায়।এই কারণ যীশুও, নিজ রক্ত দ্বারা প্রজাবৃন্দকে পবিত্র করিবার নিমিত্ত, পুরদ্বারের বাহিরে মৃত্যু ভোগ করিলেন।
আর তোমরা আমার নামে যাহা কিছু যাচ্ঞা করিবে, তাহা আমি সাধন করিব, যেন পিতা পুত্রে মহিমান্বিত হন।যদি আমার নামে আমার কাছে কিছু যাচ্ঞা কর, তবে আমি তাহা করিব।
পিতঃ, আমার ইচ্ছা এই, আমি যেখানে থাকি, তুমি আমায় যাহাদিগকে দিয়াছ, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে, যেন তাহারা আমার সেই মহিমা দেখিতে পায়, যাহা তুমি আমাকে দিয়াছ, কেননা জগৎ পত্তনের পূর্বে তুমি আমাকে প্রেম করিয়াছিলে।
তেমনি খ্রীষ্টও ‘অনেকের পাপভার তুলিয়া লইবার’ নিমিত্ত একবার উৎসৃষ্ট হইয়াছেন; তিনি দ্বিতীয় বার, বিনা পাপে, তাহাদিগকে দর্শন দিবেন, যাহারা পরিত্রাণের নিমিত্ত তাঁহার অপেক্ষা করে।
আর শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্তকালস্থায়ী নিয়মের রক্ত প্রযুক্ত সেই মহান পাল-রক্ষককে, আমাদের প্রভু যীশুকে, মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন,তিনি আপন ইচ্ছা সাধনার্থে তোমাদিগকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করুন, আপনার দৃষ্টিতে যাহা প্রীতিজনক, তাহা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, সমপন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁহার মহিমা হউক। আমেন।
তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন।
ইহাতেই প্রেম আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে প্রেম করিয়াছিলাম, তাহা নয়; কিন্তু তিনিই আমাদিগকে প্রেম করিলেন, এবং আপন পুত্রকে আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত হইবার জন্য প্রেরণ করিলেন।
যদিও তিনি পুত্র ছিলেন, তথাপি যে সকল দুঃখভোগ করিয়াছিলেন, তদ্দ্বারা আজ্ঞাবহতা শিক্ষা করিলেন;এবং সিদ্ধ হইয়া আপনার আজ্ঞাবহ সকলের অনন্ত পরিত্রাণের কারণ হইলেন;
সুতরাং সমপ্রতি তাঁহার রক্তে যখন ধার্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক নিশ্চিত যে, তাঁহা দ্বারা ঈশ্বরের ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ পাইব।
যাঁহাতে আমরা তাঁহার রক্ত দ্বারা মুক্তি, অর্থাৎ অপরাধ সকলের মোচন পাইয়াছি; ইহা তাঁহার সেই অনুগ্রহ-ধন অনুসারে হইয়াছে,
ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি, এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন,
এবং তাঁহার ক্রুশের রক্ত দ্বারা সন্ধি করিয়া, তাঁহার দ্বারা যেন আপনার সহিত কি স্বর্গস্থিত, কি মর্ত্যস্থিত, সকলই সম্মিলিত করেন, তাঁহার দ্বারাই করেন।
কেননা তাঁহারই দ্বারা আমরা উভয় পক্ষের লোক এক আত্মায় পিতার নিকটে উপস্থিত হইবার ক্ষমতা পাইয়াছি।
এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ;
আমি তাহাদেরই নিমিত্ত নিবেদন করিতেছি; জগতের নিমিত্ত নিবেদন করিতেছি না, কিন্তু যে সকল আমাকে দিয়াছ, তাহাদের নিমিত্ত;
সদাপ্রভু আমার প্রভুকে বলেন, তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি।
কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক মেষশাবকস্বরূপ খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত হইয়াছ।অনুগ্রহ ও শান্তি প্রচুররূপে তোমাদের প্রতি বর্তুক।তিনি জগৎ পত্তনের অগ্রে পূর্বলক্ষিত ছিলেন, কিন্তু কালের পরিণামে তোমাদের নিমিত্ত প্রকাশিত হইলেন;
কিন্তু দূতগণ অপেক্ষা যিনি অল্পই ন্যূনীকৃত হইলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখিতেছি, তিনি মৃত্যুভোগ হেতু প্রতাপ ও সমাদর-মুকুটে বিভূষিত হইয়াছেন, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সকলের নিমিত্ত মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তাহা প্রাণের নোঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, এবং তিরস্করিণীর ভিতরে যায়।
আর, কেহ আপনার জন্য সেই সমাদর লয় না, কিন্তু ঈশ্বরকর্তৃক আহূত হইয়াই তাহা পায়; হারোণও সেই প্রকারে পাইয়াছিলেন।
কারণ ছাগদের ও বৃষদের রক্ত এবং অশুচিদের উপরে প্রোক্ষিপ্ত গাভীভস্ম যদি মাংসের শুচিতার জন্য পবিত্র করে,তবে, যিনি অনন্তজীবী আত্মা দ্বারা নির্দোষ বলিরূপে আপনাকেই ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ হইতে কত অধিক নিশ্চয় শুচি না করিবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পার!
তাঁহাকেই ঈশ্বর তাঁহার রক্তে বিশ্বাস দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত বলিরূপে প্রদর্শন করিয়াছেন; যেন তিনি আপন ধার্মিকতা দেখান- কেননা ঈশ্বরের সহিষ্ণুতায় পূর্বকালে কৃত পাপ সকলের প্রতি উপেক্ষা করা হইয়াছিল-
আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশে, সৌরভের নিমিত্ত, উপহার ও বলিরূপে আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।
ইনি আমাদের পাপসমূহের জন্য আপনাকে প্রদান করিলেন, যেন আমাদের ঈশ্বর ও পিতার ইচ্ছানুসারে আমাদিগকে এই উপস্থিত মন্দ যুগ হইতে উদ্ধার করেন।
এই সমস্ত কথার সার এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা-সিংহাসনের দক্ষিণে, উপবিষ্ট হইয়াছেন।কিন্তু সেই কালের পর আমি ইস্রায়েল-কুলের সহিত এই নিয়ম স্থির করিব, ইহা প্রভু বলেন; আমি তাহাদের চিত্তে আমার ব্যবস্থা দিব, আর তাহাদের হৃদয়ে তাহা লিখিব, এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।আর তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন সহপ্রজাকে, এবং প্রত্যেকে আপন আপন ভ্রাতাকে শিক্ষা দিবে না, বলিবে না, ‘তুমি প্রভুকে জ্ঞাত হও’; কারণ তাহারা ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই আমাকে জ্ঞাত হইবে।কেননা আমি তাহাদের অপরাধ সকল ক্ষমা করিব, এবং তাহাদের পাপ সকল আর কখনও স্মরণে আনিব না।” ‘নূতন’ বলাতে তিনি প্রথমটি পুরাতন করিয়াছেন; কিন্তু যাহা পুরাতন ও জীর্ণ হইতেছে, তাহা অন্তর্হিত হইতে উদ্যত।তিনি পবিত্র স্থানের, এবং যে তাম্বু মনুষ্যকর্তৃক নয়, কিন্তু প্রভুকর্তৃক স্থাপিত হইয়াছে, সেই প্রকৃত তাম্বুর সেবক।
আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রের মধ্যে আছে।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
যিনি পাপ জানেন নাই, তাঁহাকে তিনি আমাদের পক্ষে পাপস্বরূপ করিলেন, যেন আমরা তাঁহাতে ঈশ্বরের ধার্মিকতাস্বরূপ হই।
তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন; আমার ধার্মিক দাস আপনার জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন, এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।
ফলতঃ তাঁহার যে মৃত্যু হইয়াছে, তদ্দ্বারা তিনি পাপের সম্বন্ধে একবারই মরিলেন; এবং তাঁহার যে জীবন আছে, তদ্দ্বারা তিনি ঈশ্বরের সম্বন্ধে জীবিত আছেন।
ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
তাহাদিগকে সত্যে পবিত্র কর; তোমার বাক্যই সত্যস্বরূপ।তুমি যেমন আমাকে জগতে প্রেরণ করিয়াছ, তদ্রূপ আমিও তাহাদিগকে জগতে প্রেরণ করিয়াছি।আর তাহাদের নিমিত্ত আমি আপনাকে পবিত্র করি, যেন তাহারাও সত্যই পবিত্রীকৃত হয়।
পরে তিনি রুটি লইয়া ধন্যবাদপূর্বক ভাঙ্গিলেন, এবং তাঁহাদিগকে দিলেন, বলিলেন, ইহা আমার শরীর, যাহা তোমাদের নিমিত্ত দেওয়া যায় , ইহা আমার স্মরণার্থে করিও।আর প্রধান যাজকগণ ও অধ্যাপকেরা কি প্রকারে তাঁহাকে বধ করিতে পারে, তাহারই চেষ্টা করিতেছিল, কেননা তাহারা লোকদিগকে ভয় করিত।আর সেইরূপে তিনি ভোজন শেষ হইলে পানপাত্রটি লইয়া কহিলেন, এই পানপাত্র আমার রক্তে নূতন নিয়ম, যে রক্ত তোমাদের নিমিত্ত পাতিত হয়।
আর দেখ, মন্দিরের তিরস্করিণী উপর হইতে নিচ পর্যন্ত চিরিয়া দুইখান হইল, ভূমিকম্প হইল, ও শৈল সকল বিদীর্ণ হইল,
ভাবিয়া দেখ, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের পুত্রকে পদতলে দলিত করিয়াছে, এবং নিয়মের যে রক্ত দ্বারা সে পবিত্রীকৃত হইয়াছিল, তাহা সামান্য জ্ঞান করিয়াছে, এবং অনুগ্রহের আত্মার অপমান করিয়াছে, সে কত অধিক নিশ্চয় ঘোরতর দণ্ডের যোগ্য না হইবে!
আর বৎসরের মধ্যে একবার হারোণ তাহার শৃঙ্গের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে। তোমাদের পুরুষানুক্রমে বৎসরের মধ্যে একবার প্রায়শ্চিত্তার্থক পাপবলির রক্ত দিয়া তাহার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে; এই বেদি সদাপ্রভুর উদ্দেশে অতি পবিত্র।
সে ঐ পাপার্থক বলির বৎসকে যেরূপ করে, ইহাকেও তদ্রূপ করিবে। এইরূপে যাজক তাহাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে, তাহাতে তাহাদের পাপের ক্ষমা হইবে।
কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
আমিই সেই জীবন্ত খাদ্য, যাহা স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছে। কেহ যদি এই খাদ্য খায়, তবে সে অনন্তকাল জীবিত থাকিবে, আর আমি যে খাদ্য দিব, সে আমার মাংস, জগতের জীবনের জন্য।
‘নূতন’ বলাতে তিনি প্রথমটি পুরাতন করিয়াছেন; কিন্তু যাহা পুরাতন ও জীর্ণ হইতেছে, তাহা অন্তর্হিত হইতে উদ্যত।
তোমরা ত জান, তোমাদের পিতৃপুরুষগণের সমর্পিত অলীক আচার-ব্যবহার হইতে তোমরা ক্ষয়ণীয় বস্তু দ্বারা, রৌপ্য বা স্বর্ণ দ্বারা, মুক্ত হও নাই,কিন্তু নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্ক মেষশাবকস্বরূপ খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দ্বারা মুক্ত হইয়াছ।
আর দ্বিতীয় তিরস্করিণীর পরে অতি পবিত্র স্থান নামক তাম্বু ছিল;তাহা সুবর্ণময় ধূপধানী ও সর্বদিকে স্বর্ণমণ্ডিত নিয়ম-সিন্দুক বিশিষ্ট; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী স্বর্ণময় ঘট, ও হারোণের মঞ্জুরিত যষ্টি, ও নিয়মের দুই প্রস্তরফলক,
তোমাদিগকে তিনি এখন খ্রীষ্টের মাংসময় দেহে মৃত্যু দ্বারা সম্মিলিত করিলেন, যেন পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও নির্দোষ করিয়া আপনার সাক্ষাতে উপস্থিত করেন,
এবং তাঁহাতেই যেন আমাকে দেখিতে পাওয়া যায়; আমার নিজের ধার্মিকতা, যাহা ব্যবস্থা হইতে প্রাপ্য, তাহা যেন আমার না হয়, কিন্তু যে ধার্মিকতা খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা হয়, বিশ্বাসমূলক যে ধার্মিকতা ঈশ্বর হইতে পাওয়া যায়, তাহাই যেন আমার হয়;
সেই তাম্বু এই উপস্থিত সময়ের নিমিত্ত দৃষ্টান্ত; সেই দৃষ্টান্ত অনুসারে এমন উপহার ও যজ্ঞ উৎসর্গ করা হয়, যাহা আরাধনাকারীকে বিবেকগত সিদ্ধি দিতে পারে না;
কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ।