আমি জানি, আমরা সবাই পাপী, আঁধার আর পাপের মধ্যে বাস করি। কিন্তু ঈশ্বর, তাঁর অসীম করুণায়, আমাদের নাম ধরে ডেকেছেন, যাতে আমরা পরিত্রাণ পাই। যীশুর ক্রুশের বলিদানের মাধ্যমে, তাঁর অমূল্য রক্তের বিনিময়ে, আমরা মুক্তি পেয়েছি।
তাই, আমাদের আর নিরাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ যীশু আমাদের রাখাল হয়েছেন। যারা সুসমাচারের মাধ্যমে নতুন জীবন লাভ করেছে, তারা সবাই যীশুর। তিনিই আমাদের সর্বোচ্চ রাখাল, যিনি আমাদের প্রত্যেকের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন।
আমাদের আর লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর দরকার নেই। কারণ আমরা সবচেয়ে মহান রাখাল, যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ পেয়েছি, যিনি আমাদের অনন্ত প্রেমে ভালোবাসেন।
ঈশ্বর আমাদের আত্মিক জীবনের জন্য রাখাল নিয়োগ করলেও, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা ঈশ্বরেরই, তাঁর পালের ভেড়া। ঈশ্বরের সন্তানরা ভেড়ার মতো, ছাগল, সাপ বা সিংহের মতো নয়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে তিনি ছাগলকেও ভেড়ায় পরিণত করতে পারেন। যোহন ১০:২৭ পদে বলা হয়েছে, “আমার মেষেরা আমার কথা শোনে, আমি তাদেরকে চিনি, আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।”
কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।
আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি, প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন।
তখন যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, এই রাত্রিতে তোমরা সকলে আমাতে বিঘ্ন পাইবে; কেননা লেখা আছে, “আমি পালরক্ষককে আঘাত করিব, তাহাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হইয়া যাইবে।”
আমার প্রজারা হারান মেষ হইয়া পড়িয়াছে, তাহাদের পালকগণ তাহাদিগকে ভ্রান্ত করিয়াছে, নানা পর্বতে পথহারা করিয়া ফেলিয়াছে; উহারা পর্বত হইতে উপপর্বতে গমন করিয়াছে, আপনাদের শয়নস্থান ভুলিয়া গিয়াছে।
তখন তোমরা বলিবে, আপনার এই দাসগণ পিতৃপুরুষানুক্রমে বাল্যাবধি অদ্য পর্যন্ত পশুপাল রাখিয়া আসিতেছে; তাহাতে তোমরা গোশন প্রদেশে বাস করিতে পাইবে; কেননা পশুপালক মাত্রেই মিসরীয়দের ঘৃণাস্পদ।
সমস্ত ইস্রায়েল-মণ্ডলীকে এই কথা বল, তোমরা এই মাসের দশম দিনে তোমাদের পিতৃকুলানুসারে প্রত্যেক গৃহস্থ এক এক বাটীর জন্য এক একটি মেষশাবক লইবে।
তোমরা জানিও, সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনিই আমাদিগকে নির্মাণ করিয়াছেন, আমরা তাঁহারই; আমরা তাঁহার প্রজা ও তাঁহার চরাণির মেষ।
তোমরা পরজাতিগণের পথে যাইও না, এবং শমরীয়দের কোন নগরে প্রবেশ করিও না; বরং ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষগণের কাছে যাও।
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।
কিন্তু আপন প্রজাদিগকে মেষবৎ চালাইলেন, পালের মত প্রান্তর দিয়া লইয়া আসিলেন।তিনি তাহাদিগকে নিরাপদে লইয়া আসিলেন, তাহারা উদ্বিগ্ন হইল না, কিন্তু সমুদ্র তাহাদের শত্রুগণকে আচ্ছাদন করিল।
যাকোব তাহাদের সহিত এইরূপ কথাবার্তা কহিতেছেন, এমন সময়ে রাহেল আপন পিতার মেষপাল লইয়া উপস্থিত হইলেন, কেননা তিনি মেষপালিকা ছিলেন।
কেননা তিনিই আমাদের ঈশ্বর, আমরা তাঁহার চরাণির প্রজা ও তাঁহার হস্তের মেষ। আহা! অদ্যই তোমরা তাঁহার রব শ্রবণ কর!
তিনি মেষপালকের ন্যায় আপন পাল চরাইবেন, তিনি শাবকদিগকে বাহুতে সংগ্রহ করিবেন, এবং কোলে করিয়া বহন করিবেন; দুগ্ধবতী সকলকে তিনি ধীরে ধীরে চালাইবেন।
কারণ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি, আমিই আপন মেষগণের অন্বেষণ করিব, তাহাদিগকে খুঁজিয়া বাহির করিব।পালক আপন ছিন্নভিন্ন মেষগণের মধ্যে থাকিবার দিনে যেমন আপন পাল খুঁজিয়া বাহির করে, তেমনি আমি আপন মেষগণকে খুঁজিয়া বাহির করিব, এবং যে সকল স্থানে তাহারা মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকারময় দিবসে ছিন্নভিন্ন হইয়াছে, সেই সকল স্থান হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিব।
আমি হারানো মেষের অন্বেষণ করিব, দূরীকৃতকে ফিরাইয়া আনিব, ভগ্নাঙ্গের ক্ষত বাঁধিব, ও পীড়িতকে সবল করিব, এবং হৃষ্টপুষ্ট ও বলবানকে সংহার করিব; আমি বিচারমতে তাহাদিগকে পালন করিব।
তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি একশত মেষ থাকে, আর তাহাদের মধ্যে একটি হারাইয়া যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটা ছাড়িয়া পর্বতে গিয়া ঐ হারান মেষটির অন্বেষণ করে না?আর যদি সে কোন ক্রমে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে নিরানব্বইটা হারাইয়া যায় নাই, তাহাদের অপেক্ষা সেইটির নিমিত্ত সে অধিক আনন্দ করে।সেইরূপ এই ক্ষুদ্রগণের মধ্যে একজনও যে বিনষ্ট হয়, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার এমন ইচ্ছা নয়।
আর যখন মনুষ্যপুত্র সমুদয় দূত সঙ্গে করিয়া আপন প্রতাপে আসিবেন, তখন তিনি নিজ প্রতাপের সিংহাসনে বসিবেন।আর সমুদয় জাতি তাঁহার সম্মুখে একত্রীকৃত হইবে; পরে তিনি তাহাদের একজন হইতে অন্য জনকে পৃথক করিবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগ হইতে মেষ পৃথক করে;আর তিনি মেষদিগকে আপনার দক্ষিণদিকে ও ছাগদিগকে বামদিকে রাখিবেন।
আর করগ্রাহী ও পাপীরা সকলে তাঁহার বাক্য শুনিবার জন্য তাঁহার নিকটে আসিতেছিল।তদ্রূপ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, একজন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।আর তিনি কহিলেন, এক ব্যক্তির দুই পুত্র ছিল;তাহাদের মধ্যে কনিষ্ঠ আপন পিতাকে কহিল, পিতঃ, সমপত্তির যে অংশ আমার ভাগে পড়ে, তাহা আমাকে দেও। তাহাতে তিনি তাহাদের মধ্যে ধন বিভাগ করিয়া দিলেন।অল্প দিন পরে সেই কনিষ্ঠ পুত্র সমস্ত একত্র করিয়া লইয়া দূরদেশে চলিয়া গেল, আর তথায় সে অনাচারে নিজ সমপত্তি উড়াইয়া দিল।সে সমস্ত ব্যয় করিয়া ফেলিলে পর সেই দেশে ভারী আকাল হইল, তাহাতে সে কষ্টে পড়িতে লাগিল।তখন সে গিয়া সেই দেশের একজন গৃহস্থের আশ্রয় লইল; আর সে তাহাকে শূকর চরাইবার জন্য আপনার মাঠে পাঠাইয়া দিল;তখন, শূকরে যে শুঁটি খাইত, তাহা দিয়া সে উদর পূর্ণ করিতে বাঞ্ছা করিত, আর কেহই তাহাকে দিত না।কিন্তু চেতনা পাইলে সে বলিল, আমার পিতার কত মজুর বেশী বেশী খাদ্য পাইতেছে, কিন্তু আমি এখানে ক্ষুধায় মরিতেছি।আমি উঠিয়া আমার পিতার নিকটে যাইব, তাঁহাকে বলিব, পিতঃ, স্বর্গের বিরুদ্ধে এবং তোমার সাক্ষাতে আমি পাপ করিয়াছি;আমি আর তোমার পুত্র নামের যোগ্য নই; তোমার একজন মজুরের মত আমাকে রাখ।তাহাতে ফরীশীরা ও অধ্যাপকেরা বচসা করিয়া বলিতে লাগিল, এই ব্যক্তি পাপীদিগকে গ্রহণ করে, ও তাহাদের সহিত আহার ব্যবহার করে।পরে সে উঠিয়া আপন পিতার নিকটে আসিল। সে দূরে থাকিতেই তাহার পিতা তাহাকে দেখিতে পাইলেন, ও করুণাবিষ্ট হইলেন, আর দৌড়াইয়া গিয়া তাহার গলা ধরিয়া তাহাকে চুম্বন করিতে থাকিলেন।তখন পুত্র তাঁহাকে কহিল, পিতঃ, স্বর্গের বিরুদ্ধে ও তোমার সাক্ষাতে আমি পাপ করিয়াছি, আমি আর তোমার পুত্র নামের যোগ্য নই।কিন্তু পিতা আপন দাসদিগকে বলিলেন, শীঘ্র করিয়া সবচেয়ে ভাল কাপড়খানি আন, আর ইহাকে পরাইয়া দেও, এবং ইহার হাতে অঙ্গুরী দেও ও পায়ে পাদুকা দেও; আর হৃষ্টপুষ্ট বাছুরটি আনিয়া মার;আমরা ভোজন করিয়া আমোদ প্রমোদ করি;কারণ আমার এই পুত্র মরিয়া গিয়াছিল, এখন বাঁচিল; হারাইয়া গিয়াছিল, এখন পাওয়া গেল। তাহাতে তাহারা আমোদ প্রমোদ করিতে লাগিল।তখন তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্ষেত্রে ছিল; পরে সে আসিতে আসিতে যখন বাটীর নিকটে পৌঁছাইল, তখন বাদ্য ও নৃত্যের শব্দ শুনিতে পাইল।আর সে একজন দাসকে কাছে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, এই সকল কি?সে তাহাকে বলিল, তোমার ভাই আসিয়াছে, এবং তোমার পিতা হৃষ্টপুষ্ট বাছুরটি মারিয়াছেন, কেননা তিনি তাহাকে সুস্থ পাইয়াছেন।তাহাতে সে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিল, ভিতরে যাইতে চাহিল না; তখন তাহার পিতা বাহিরে আসিয়া তাহাকে সাধ্য সাধনা করিতে লাগিলেন।কিন্তু সে উত্তর করিয়া পিতাকে কহিল, দেখ, এত বৎসর আমি তোমার সেবা করিয়া আসিতেছি, কখনও তোমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করি নাই, তথাপি আমাকে কখনও একটি ছাগবৎস দেও নাই, যেন আমি নিজ মিত্রগণের সহিত আমোদ প্রমোদ করিতে পারি।তখন তিনি তাহাদিগকে এই দৃষ্টান্ত কহিলেন।কিন্তু তোমার এই যে পুত্র বেশ্যাদের সঙ্গে তোমার ধন খাইয়া ফেলিয়াছে, সে যখন আসিল, তাহারই জন্য হৃষ্টপুষ্ট বাছুরটি মারিলে।তিনি তাহাকে বলিলেন, বৎস, তুমি সর্বদাই আমার সঙ্গে আছ, আর যাহা যাহা আমার, সকলই তোমার।কিন্তু আমাদের আমোদ প্রমোদ ও আনন্দ করা উচিত হইয়াছে, কারণ তোমার এই ভাই মরিয়া গিয়াছিল, এখন বাঁচিল; হারাইয়া গিয়াছিল, এখন পাওয়া গেল।তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি- যাহার একশত মেষ আছে, ও সেই সকলের মধ্যে একটি হারাইয়া যায়- নিরানব্বইটা প্রান্তরে ছাড়িয়া যায় না, আর যে পর্যন্ত সেই হারানোটি না পায়, সেই পর্যন্ত তাহার অন্বেষণ করিতে যায় না?আর তাহা পাইলে সে আনন্দপূর্বক কাঁধে তুলিয়া লয়।পরে ঘরে আসিয়া বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবাসীদিগকে ডাকিয়া বলে, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে মেষটি হারাইয়া গিয়াছিল, তাহা পাইয়াছি।আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তদ্রূপ একজন পাপী মন ফিরাইলে স্বর্গে আনন্দ হইবে; যাহাদের মন ফিরান অনাবশ্যক, এমন নিরানব্বই জন ধার্মিকের বিষয়ে তত আনন্দ হইবে না।
কারণ এই প্রতিজ্ঞা তোমাদের জন্য ও তোমাদের সন্তানগণের জন্য এবং দূরবর্তী সকলের জন্য যত লোককে আমাদের ঈশ্বর প্রভু ডাকিয়া আনিবেন।
কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁহার নিজের প্রেম প্রদর্শন করিতেছেন; কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন।
খ্রীষ্টের প্রেম হইতে কে আমাদিগকে পৃথক করিবে? কি ক্লেশ? কি সঙ্কট? কি তাড়না? কি দুর্ভিক্ষ? কি উলঙ্গতা?কি প্রাণ-সংশয়? কি খড়্গ? যেমন লেখা আছে, “তোমার জন্য আমরা সমস্ত দিন নিহত হইতেছি; আমরা বধ্য মেষের ন্যায় গণিত হইলাম।” কিন্তু যিনি আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন, তাঁহারই দ্বারা আমরা এই সকল বিষয়ে বিজয়ী অপেক্ষাও অধিক বিজয়ী হই।কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন হইয়া উঠিয়াছে।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
কিন্তু ঈশ্বর, দয়াধনে ধনবান বলিয়া, আপনার যে মহাপ্রেমে আমাদিগকে প্রেম করিলেন,তৎপ্রযুক্ত আমাদিগকে, এমন কি, অপরাধে মৃত আমাদিগকে, খ্রীষ্টের সহিত জীবিত করিলেন- অনুগ্রহেই তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ-
অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।
তিনিই আমাদিগকে অন্ধকারের কর্তৃত্ব হইতে উদ্ধার করিয়া আপন প্রেমভূমি পুত্রের রাজ্যে আনয়ন করিয়াছেন;ইঁহাতেই আমরা মুক্তি, পাপের মোচন, প্রাপ্ত হইয়াছি।
এই কথা বিশ্বসনীয় ও সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য যে, খ্রীষ্ট যীশু পাপীদের পরিত্রাণ করিবার জন্য জগতে আসিয়াছেন; তাহাদের মধ্যে আমি অগ্রগণ্য;
আর শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্তকালস্থায়ী নিয়মের রক্ত প্রযুক্ত সেই মহান পাল-রক্ষককে, আমাদের প্রভু যীশুকে, মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়া আনিয়াছেন,তিনি আপন ইচ্ছা সাধনার্থে তোমাদিগকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করুন, আপনার দৃষ্টিতে যাহা প্রীতিজনক, তাহা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, সমপন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁহার মহিমা হউক। আমেন।
হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়, এবং কেহ তাহাকে ফিরাইয়া আনে,তোমাদের ধন পচিয়া গিয়াছে, ও তোমাদের বস্ত্র সকল কীট-ভক্ষিত হইয়াছে; তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য কলঙ্কিত হইয়াছে;তবে জানিও, যে ব্যক্তি কোন পাপীকে তাহার পথ-ভ্রান্তি হইতে ফিরাইয়া আনে, সে তাহার প্রাণকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিবে, এবং পাপরাশি আচ্ছাদন করিবে।
কেননা তোমরা “মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও অধ্যক্ষের কাছে ফিরিয়া আসিয়াছ।
তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; অধ্যক্ষের কার্য কর, আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয়, কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক, ঈশ্বরের অভিমতে, কুৎসিত লাভার্থে নয়, কিন্তু উৎসুক ভাবে কর;নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্তৃত্বকারীরূপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়াই কর।তাহাতে প্রধান পালক প্রকাশিত হইলে তোমরা ম্লান প্রতাপমুকুট পাইবে।
দেখ, আমি দ্বারে দাঁড়াইয়া আছি, ও আঘাত করিতেছি; কেহ যদি আমার রব শুনে ও দ্বার খুলিয়া দেয়, তবে আমি তাহার কাছে প্রবেশ করিব, ও তাহার সহিত ভোজন করিব, এবং সেও আমার সহিত ভোজন করিবে।
আমি হারানো মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; নিজ দাসের অন্বেষণ কর; কেননা আমি তোমার আজ্ঞাকলাপ ভুলিয়া যাই নাই।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।কেননা যে কেহ যাচ্ঞা করে, সে গ্রহণ করে; এবং যে অন্বেষণ করে, সে পায়; আর যে আঘাত করে, তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে, যে একটি মেষ রাখে, আর সেটি যদি বিশ্রামবারে গর্তে পড়িয়া যায়, সে কি তাহা ধরিয়া তুলিবে না?তবে মেষ হইতে মনুষ্য আরও কত শ্রেষ্ঠ! অতএব বিশ্রামবারে সৎকর্ম করা বিধেয়।
কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।
তোমরা কি বল না, আর চারি মাস পরে শস্য কাটিবার সময় হইবে? দেখ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, চক্ষু তুলিয়া ক্ষেত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত কর, শস্য এখনই কাটিবার মত শ্বেতবর্ণ হইয়াছে।
কেননা আমি সুসমাচার সম্বন্ধে লজ্জিত নহি; কারণ উহা প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে পরিত্রাণার্থে ঈশ্বরের শক্তি; প্রথমতঃ যিহূদীর পক্ষে, আর গ্রীকেরও পক্ষে।
কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে-উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্মিক গণিত হয়।
দুর্বলদিগকে লাভ করিবার জন্য আমি দুর্বলদের কাছে দুর্বল হইলাম, সর্বদা কতকগুলি লোককে পরিত্রাণ করিবার জন্য আমি সর্বজনের কাছে সর্ববিধ হইলাম।
কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে।তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি তাহাদের প্রতি উদয় না হয়।
আমার আশ্চর্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ্র তাঁহা হইতে অন্যবিধ সুসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।
যাঁহাতে আমরা তাঁহার রক্ত দ্বারা মুক্তি, অর্থাৎ অপরাধ সকলের মোচন পাইয়াছি; ইহা তাঁহার সেই অনুগ্রহ-ধন অনুসারে হইয়াছে,
কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান;তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে।
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে, অপরাধে ও তোমাদের মাংসের ত্বক্ছেদে মৃত তোমাদিগকে, তাঁহার সহিত জীবিত করিয়াছেন, আমাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করিয়াছেন;আমাদের প্রতিকূল যে বিধিবদ্ধ হস্তলেখ্য আমাদের বিরুদ্ধ ছিল, তাহা মুছিয়া ফেলিয়াছেন, এবং ক্রুশে প্রেকবিদ্ধ করিয়া দূর করিয়াছেন।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, প্রভুর প্রিয়তমেরা, আমরা তোমাদের নিমিত্ত সর্বদা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; কেননা ঈশ্বর আদি হইতে তোমাদিগকে আত্মার পবিত্রতা প্রদানে ও সত্যের বিশ্বাসে পরিত্রাণের জন্য মনোনীত করিয়াছেন;এবং সেই অভিপ্রায়ে আমাদের সুসমাচার দ্বারা তোমাদিগকে আহ্বানও করিয়াছেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপ লাভ করিতে পার।
তাঁহার ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে।
কিন্তু দূতগণ অপেক্ষা যিনি অল্পই ন্যূনীকৃত হইলেন, সেই ব্যক্তিকে অর্থাৎ যীশুকে দেখিতেছি, তিনি মৃত্যুভোগ হেতু প্রতাপ ও সমাদর-মুকুটে বিভূষিত হইয়াছেন, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে সকলের নিমিত্ত মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন।
কেননা আমরা এমন মহাযাজককে পাই নাই, যিনি আমাদের দুর্বলতাঘটিত দুঃখে দুঃখিত হইতে পারেন না, কিন্তু তিনি সর্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন, বিনা পাপে।অতএব আইস, আমরা সাহসপূর্বক অনুগ্রহ-সিংহাসনের নিকটে উপস্থিত হই, যেন দয়া লাভ করি, এবং সময়ের উপযোগী উপকারার্থে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হই।
যদি তোমাদের কাহারও জ্ঞানের অভাব হয়, তবে সে ঈশ্বরের কাছে যাচ্ঞা করুক; তিনি সকলকে অকাতরে দিয়া থাকেন, তিরস্কার করেন না; তাহাকে দত্ত হইবে।
যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক, সুতরাং আমাদের পাপ সকল মোচন করিবেন, এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন।
আমাদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ইহাতেই প্রকাশিত হইয়াছে যে, ঈশ্বর আপনার একজাত পুত্রকে জগতে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমরা তাঁহার দ্বারা জীবন লাভ করিতে পারি।
ইহার পরে আমি দৃষ্টিপাত করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না; তাহারা সিংহাসনের সম্মুখে ও মেষ শাবকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; তাহারা শুক্লবস্ত্র পরিহিত, ও তাহাদের হস্তে খর্জুর-পত্র;
আমি ধৈর্যসহ সদাপ্রভুর অপেক্ষা করিতেছিলাম, তিনি আমার প্রতি মনোযোগ করিয়া আমার আর্তনাদ শুনিলেন।আমি তোমার ধর্মশীলতা নিজ হৃদয়মধ্যে সঙ্গোপন করি নাই, তোমার বিশ্বস্ততা ও তোমার পরিত্রাণ প্রচার করিয়াছি; তোমার দয়া ও সত্য মহাসমাজ হইতে গুপ্ত রাখি নাই।হে সদাপ্রভু, তুমিও আমা হইতে আপন করুণা রুদ্ধ করিও না; তব দয়া ও তব সত্য সতত আমাকে রক্ষা করুক।কেননা অসংখ্য বিপদ আমাকে ঘেরিয়াছে; আমার অপরাধ সকল আমাকে ধরিয়াছে; আমি দেখিতে পাইতেছি না; আমার মস্তকের কেশ অপেক্ষাও সেই সকল অধিক, আমার হৃদয় আমাকে ছাড়িয়াছে।সদাপ্রভু, অনুগ্রহ করিয়া আমাকে উদ্ধার কর, সদাপ্রভু, আমার সাহায্য করিতে সত্বর হও।তাহারা সকলেই লজ্জিত ও হতাশ হউক, যাহারা সংহার করিতে আমার প্রাণের অন্বেষণ করে, তাহারা ফিরিয়া যাউক, অপমানিত হউক, যাহারা আমার বিপদে প্রীত হয়।তাহারা আপনাদের লজ্জা প্রযুক্ত স্তম্ভিত হউক, যাহারা আমাকে বলে, অহো! অহো!যাহারা তোমার অন্বেষণ করে, তাহারা সকলে তোমাতে আমোদ ও আনন্দ করুক; যাহারা তোমার পরিত্রাণ ভালবাসে, তাহারা সতত বলুক, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন।আমি দুঃখী ও দরিদ্র, প্রভুই আমার পক্ষে চিন্তা করেন; তুমি আমার সহায় ও আমার নিস্তারকর্তা; হে আমার ঈশ্বর, বিলম্ব করিও না।তিনি বিনাশের গর্ত হইতে, পঙ্কময় ভূমি হইতে, আমাকে তুলিলেন, তিনি শৈলের উপরে আমার চরণ রাখিলেন, আমার পাদসঞ্চার দৃঢ় করিলেন।তিনি আমার মুখে নূতন গীত, আমাদের ঈশ্বরের স্তব দিলেন; অনেকে ইহা দেখিবে, ভীত হইবে, ও সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করিবে।
সত্য, আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন, আমাদের ব্যথা সকল তিনি বহন করিয়াছেন; তবু আমরা মনে করিলাম, তিনি আহত, ঈশ্বরকর্তৃক প্রহারিত ও দুঃখার্ত।কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন; আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল, এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল।
আমি ক্ষুদ্র নিমেষ কালের জন্য তোমাকে ত্যাগ করিয়াছি, কিন্তু মহাকরুণায় তোমাকে সংগ্রহ করিব।আমি কোপাবেশে এক নিমেষমাত্র তোমা হইতে আপন মুখ লুকাইয়াছিলাম, কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী দয়াতে তোমার প্রতি করুণা করিব, ইহা তোমার মুক্তিদাতা সদাপ্রভু কহেন।
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব।আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।‘যাঁহার আগমন হইবে, সেই ব্যক্তি কি আপনি? না আমরা অন্যের অপেক্ষায় থাকিব?’কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।
তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না, সধূম শলিতা নির্বাণ করিবেন না, যে পর্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন।
তখন ফরীশীরা ও তাহাদের অধ্যাপকেরা তাঁহার শিষ্যদের বিরুদ্ধে বচসা করিয়া কহিতে লাগিল, তোমরা কি কারণে করগ্রাহী ও পাপীদের সঙ্গে ভোজন পান করিতেছ?যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, সুস্থ লোকদের চিকিৎসকের প্রয়োজন নাই, কিন্তু পীড়িত লোকদেরই প্রয়োজন আছে।আমি ধার্মিকদিগকে নয়, কিন্তু পাপীদিগকেই ডাকিতে আসিয়াছি, যেন তাহারা মন ফিরায়।
তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি- যাহার একশত মেষ আছে, ও সেই সকলের মধ্যে একটি হারাইয়া যায়- নিরানব্বইটা প্রান্তরে ছাড়িয়া যায় না, আর যে পর্যন্ত সেই হারানোটি না পায়, সেই পর্যন্ত তাহার অন্বেষণ করিতে যায় না?আর তাহা পাইলে সে আনন্দপূর্বক কাঁধে তুলিয়া লয়।পরে ঘরে আসিয়া বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবাসীদিগকে ডাকিয়া বলে, আমার সঙ্গে আনন্দ কর, কারণ আমার যে মেষটি হারাইয়া গিয়াছিল, তাহা পাইয়াছি।
তখন ফিলিপ মুখ খুলিয়া শাস্ত্রের সেই বচন হইতে আরম্ভ করিয়া তাঁহার কাছে যীশু-বিষয়ক সুসমাচার প্রচার করিলেন।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।ভ্রাতৃপ্রেমে পরস্পর স্নেহশীল হও; সমাদরে একজন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।যত্নে শিথিল হইও না, আত্মায় উত্তপ্ত হও, প্রভুর দাসত্ব কর,প্রত্যাশায় আনন্দ কর, ক্লেশে ধৈর্যশীল হও, প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাক,পবিত্রগণের অভাবের সহভাগী হও, অতিথি-সেবায় রত হও।যাহারা তাড়না করে, তাহাদিগকে আশীর্বাদ কর, আশীর্বাদ কর, শাপ দিও না।যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ কর; যাহারা রোদন করে, তাহাদের সহিত রোদন কর।তোমরা পরস্পরের প্রতি একমনা হও, উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, কিন্তু অবনত বিষয় সকলের সহিত আকর্ষিত হও। আপনাদের জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না।মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না; সকল মনুষ্যের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম, ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর।যদি সাধ্য হয়, তোমাদের যত দূর হাত থাকে, মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক।হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ লইও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া দেও, কারণ লেখা আছে, “প্রতিশোধ লওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব, ইহা প্রভু বলেন।”আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আর, সকলই ঈশ্বর হইতে হইয়াছে; তিনি খ্রীষ্ট দ্বারা আপনার সহিত আমাদের সম্মিলন করিয়াছেন, এবং সম্মিলনের পরিচর্যা-পদ আমাদিগকে দিয়াছেন;
কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি;
অতএব তোমরা যখন খ্রীষ্টের সহিত উত্থাপিত হইয়াছ, তখন সেই ঊর্ধ্বস্থানের বিষয় চেষ্টা কর, যেখানে খ্রীষ্ট আছেন, ঈশ্বরের দক্ষিণে বসিয়া আছেন।যে আপন সৃষ্টিকর্তার প্রতিমূর্তি অনুসারে তত্ত্বজ্ঞানের নিমিত্ত নূতনীকৃত হইতেছে।এই স্থানে গ্রীক কি যিহূদী, ছিন্নত্বক্ কি অচ্ছিন্নত্বক্, বর্বর, স্কুথীয়, দাস, স্বাধীন বলিয়া কিছু হইতে পারে না, কিন্তু খ্রীষ্টই সর্বেসর্বা।অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।আর এই সকলের উপরে প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।আর খ্রীষ্টের শান্তি তোমাদের হৃদয়ে কর্তৃত্ব করুক; তোমরা ত তাহারই নিমিত্ত এক দেহে আহূত হইয়াছ; আর কৃতজ্ঞ হও।খ্রীষ্টের বাক্য প্রচুররূপে তোমাদের অন্তরে বাস করুক; তোমরা সমস্ত বিজ্ঞতায় গীত, স্তোত্র ও আত্মিক সঙ্কীর্তন দ্বারা পরস্পর শিক্ষা ও চেতনা দান কর; অনুগ্রহে আপন আপন হৃদয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে গান কর।আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।নারীগণ, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূত হও, যেমন প্রভুতে উপযুক্ত।স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে প্রেম কর, তাহাদের প্রতি কটু ব্যবহার করিও না।ঊর্ধ্বস্থ বিষয় ভাব, পৃথিবীস্থ বিষয় ভাবিও না।সন্তানেরা, তোমরা সর্ববিষয়ে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহাই প্রভুতে তুষ্টিজনক।পিতারা, তোমরা আপন আপন সন্তানদিগকে ক্রুদ্ধ করিও না, পাছে তাহাদের মনোভঙ্গ হয়।দাসেরা, যাহারা মাংসের সম্বন্ধে তোমাদের প্রভু, তোমরা তাহাদের আজ্ঞাবহ হও; চাক্ষুষ সেবা দ্বারা মনুষ্যের তুষ্টিকরের মত নয়, কিন্তু অন্তঃকরণের সরলতায় প্রভুকে ভয় করিয়া আজ্ঞাবহ হও।যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;তোমরা প্রভু খ্রীষ্টেরই দাসত্ব করিতেছ; বস্তুতঃ যে অন্যায় করে, সে আপনার কৃত অন্যায়ের প্রতিফল পাইবে; আর [প্রভুর কাছে] মুখাপেক্ষা নাই।কেননা তোমরা মরিয়াছ, এবং তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সহিত ঈশ্বরে গুপ্ত রহিয়াছে।আমাদের জীবনস্বরূপ খ্রীষ্ট যখন প্রকাশিত হইবেন, তখন তোমরাও তাঁহার সহিত সপ্রতাপে প্রকাশিত হইবে।
এই কারণ এত দুঃখভোগও করিতেছি, তথাপি লজ্জিত হই না, কেননা যাঁহাকে বিশ্বাস করিয়াছি, তাঁহাকে জানি, এবং দৃঢ়রূপে প্রত্যয় করিতেছি যে, আমি তাঁহার কাছে যাহা গচ্ছিত রাখিয়াছি, তিনি সেই দিনের জন্য তাহা রক্ষা করিতে সমর্থ।
তোমাদের আচার-ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ তিনিই বলিয়াছেন, “আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।”
ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা; তিনি নিজ বিপুল দয়া অনুসারে মৃতগণের মধ্য হইতে যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা, জীবন্ত প্রত্যাশার নিমিত্ত আমাদিগকে পুনর্জন্ম দিয়াছেন,অক্ষয়, বিমল ও অজর দায়াধিকারের নিমিত্ত দিয়াছেন; সেই দায়াধিকার স্বর্গে তোমাদের নিমিত্ত সঞ্চিত রহিয়াছে;
কারণ যাহা কিছু ঈশ্বর হইতে জাত, তাহা জগৎকে জয় করে; এবং যে জয় জগৎকে জয় করিয়াছে, তাহা এই, আমাদের বিশ্বাস।
সদাপ্রভু, তোমার করুণা ও দয়া স্মরণ কর, কেননা উভয়ই অনাদি।আমার যৌবনের পাপ ও আমার অধর্ম সকল স্মরণ করিও না, সদাপ্রভু, তোমার মঙ্গলভাবের অনুরোধে, তোমার দয়ানুসারে আমাকে স্মরণ কর।
তুমি আমার দৃষ্টিতে বহুমূল্য ও সম্ভ্রান্ত, আমি তোমাকে প্রেম করিয়াছি, তজ্জন্য আমি তোমার পরিবর্তে মনুষ্যগণকে, ও তোমার প্রাণের পরিবর্তে জাতিগণকে দিব।
কেননা, সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের পক্ষে যে সকল সঙ্কল্প করিতেছি, তাহা আমিই জানি; সেই সকল মঙ্গলের সঙ্কল্প, অমঙ্গলের নয়, তোমাদিগকে শেষ ফল ও আশাসিদ্ধি দিবার সঙ্কল্প!আর তোমরা আমাকে আহ্বান করিবে, এবং গিয়া আমার কাছে প্রার্থনা করিবে, আর আমি তোমাদের কথায় কর্ণপাত করিব।আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্বান্তঃকরণে আমার অন্বেষণ করিবে;
আর তোমরা আমার মেষ, আমার চরাণির মেষ; তোমরা মনুষ্য, আমিই তোমাদের ঈশ্বর; ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
হে ক্ষুদ্র মেষপাল, ভয় করিও না, কেননা তোমাদিগকে সেই রাজ্য দিতে তোমাদের পিতার হিতসংকল্প হইয়াছে।
এই সকল বিষয়ে আমরা কি বলিব? ঈশ্বর যখন আমাদের সপক্ষ, তখন আমাদের বিপক্ষ কে?যিনি নিজ পুত্রের প্রতি মমতা করিলেন না, কিন্তু আমাদের সকলের নিমিত্ত তাঁহাকে সমর্পণ করিলেন, তিনি কি তাঁহার সহিত সমস্তই আমাদিগকে অনুগ্রহপূর্বক দান করিবেন না?
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
হে আমার বৎসেরা, তোমাদিগকে এই সকল লিখিতেছি, যেন তোমরা পাপ না কর। আর যদি কেহ পাপ করে, তবে পিতার কাছে আমাদের এক সহায় আছেন, তিনি ধার্মিক যীশু খ্রীষ্ট।যে আপন ভ্রাতাকে প্রেম করে, সে জ্যোতিতে থাকে, এবং তাহার অন্তরে বিঘ্নের কারণ নাই।কিন্তু যে আপন ভ্রাতাকে ঘৃণা করে, সে অন্ধকারে আছে, এবং অন্ধকারে চলে, আর কোথায় যায় তাহা জানে না, কারণ অন্ধকার তাহার চক্ষু অন্ধ করিয়াছে।বৎসেরা, আমি তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ তাঁহার নামের গুণে তোমাদের পাপসমূহের ক্ষমা হইয়াছে।পিতারা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ যিনি আদি হইতে আছেন, তোমরা তাঁহাকে জান। যুবকেরা, তোমাদিগকে লিখিতেছি, কারণ তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করিয়াছ।শিশুগণ তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ তোমরা পিতাকে জান। পিতারা, তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ যিনি আদি হইতে আছেন, তোমরা তাঁহাকে জান। যুবকেরা, তোমাদিগকে লিখিলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের অন্তরে বাস করে, আর তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করিয়াছ।তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই।কেননা জগতে যাহা কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এই সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগৎ হইতে হইয়াছে।আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।শিশুগণ, শেষকাল উপস্থিত, আর তোমরা যেমন শুনিয়াছ যে, খ্রীষ্টারি আসিতেছে, তেমনি এখনই অনেক খ্রীষ্টারি হইয়াছে; ইহাতে আমরা জানি যে, শেষকাল উপস্থিত।তাহারা আমাদের হইতে বাহির হইয়াছে; কিন্তু আমাদের ছিল না; কেননা যদি আমাদের হইত, তবে আমাদের সঙ্গে থাকিত; কিন্তু তাহারা বাহির হইয়াছে, যেন প্রকাশ হইয়া পড়ে যে, সকলে আমাদের নয়। আর তিনিই আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত জগতেরও পাপার্থক।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাকে অনুসন্ধান করিয়াছ, আমাকে জ্ঞাত হইয়াছ।সেখানেও তোমার হস্ত আমাকে চালাইবে, তোমার দক্ষিণ হস্ত আমাকে ধরিবে।যদি বলি, ‘আঁধার আমাকে ঢাকিয়া ফেলিবে, আমার চারিদিকে আলোক রাত্রি হইবে’, বাস্তবিক অন্ধকারও তোমা হইতে গুপ্ত রাখে না, বরং রাত্রি দিনের ন্যায় আলো দেয়; অন্ধকার ও আলোক উভয়ই সমান।বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।হে ঈশ্বর, আমার পক্ষে তোমার সঙ্কল্প সকল কেমন মূল্যবান। তাহার সমষ্টি কেমন অধিক!গণনা করিলে তাহা বালুকা অপেক্ষা বহুসংখ্যক হয়; আমি যখন জাগিয়া উঠি, তখনও তোমার নিকটে থাকি।হে ঈশ্বর, তুমি নিশ্চয়ই দুষ্টকে বধ করিবে; হে রক্তপাতীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।তুমিই আমার উপবেশন ও আমার উত্থান জানিতেছ, তুমি দূর হইতে আমার সঙ্কল্প বুঝিতেছ।তাহারা দুষ্টভাবে তোমার নাম উচ্চারণ করে; তোমার শত্রুগণ তাহা অনর্থক লয়। হে সদাপ্রভু, যাহারা তোমাকে দ্বেষ করে, আমি কি তাহাদিগকে দ্বেষ করি না? যাহারা তোমার বিরুদ্ধে উঠে, তাহাদের প্রতি কি বিরক্ত হই না?আমি যার পর নাই দ্বেষে তাহাদিগকে দ্বেষ করি; তাহাদিগকে আমারই শত্রু মনে করি।হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর, আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও; আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না, এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও।তুমি আমার পথ ও আমার শয়ন তদন্ত করিতেছ, আমার সমস্ত পথ ভালরূপে জান।