বিবাহ জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানগুলোর একটি। এই অভিযান সুন্দরভাবে পার করতে এবং পুরোপুরি উপভোগ করতে, ঈশ্বরকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা অপরিহার্য। তোমার স্বামীর প্রতি তোমার আচরণে পবিত্রতা, নৈতিকতা এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও। তোমার চিন্তাভাবনা এবং কাজকর্মে পরিচ্ছন্নতা, প্রজ্ঞা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখো।
পবিত্র বাইবেলে ইফিষীয় ৫:২২ পদে বলা হয়েছে, স্ত্রীরা যেন তাদের স্বামীদের সম্মান করে। ঈশ্বরের বাণী অনুযায়ী জীবনযাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সত্যিকারের জীবনসঙ্গী হতে ঈশ্বরের সাহায্য প্রার্থনা করো। খ্রীষ্টের চরিত্রকে তোমার জীবনে প্রতিফলিত করো এবং তাঁর উপর ভিত্তি করে তোমাদের বৈবাহিক জীবন গড়ে তোলো।
এভাবেই তুমি জীবনের সকল কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করতে পারবে এবং তোমার স্বামী এবং ঈশ্বর, উভয়কেই খুশি করতে পারবে। এতে তোমার পরিবারের জন্য আশীর্বাদের দ্বার উন্মুক্ত হবে।
নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও।কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা;
আর বিবাহিত লোকদিগকে এই আজ্ঞা দিতেছি- আমি দিতেছি তাহা নয়, কিন্তু প্রভুই দিতেছেন- স্ত্রী স্বামীর নিকট হইতে চলিয়া না যাউক-
তদ্রূপ, হে ভার্যা সকল, তোমরা আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হও;কারণ, “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়, ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়, সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে, ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।সে মন্দ হইতে ফিরুক ও সদাচরণ করুক, শান্তির চেষ্টা করুক, ও তাহার অনুধাবন করুক।কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।” আর যদি তোমরা সদাচরণের পক্ষে উদ্যোগী হও, তবে কে তোমাদের হিংসা করিবে?কিন্তু যদিও ধার্মিকতার নিমিত্ত দুঃখভোগ কর, তবু তোমরা ধন্য। আর তোমরা উহাদের ভয়ে ভীত হইও না, এবং উদ্বিগ্ন হইও না, বরং হৃদয়মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু বলিয়া পবিত্র করিয়া মান।যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,যেন যাহারা তোমাদের খ্রীষ্টগত সদাচরণের দুর্নাম করে, তাহারা তোমাদের পরিবাদ করণ বিষয়ে লজ্জা পায়।কারণ দুরাচরণের জন্য দুঃখভোগ করণ অপেক্ষা বরং- ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়- সদাচরণের জন্য দুঃখভোগ করা আরও ভাল।কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন।আবার আত্মাতে গমন করিয়া কারাবদ্ধ সেই আত্মাদের কাছে ঘোষণা করিলেন,যেন কেহ কেহ যদিও বাক্যের অবাধ্য হয়, তথাপি যখন তাহারা তোমাদের সভয় বিশুদ্ধ আচার-ব্যবহার স্বচক্ষে দেখিতে পায়, তখন কোন বাক্য বিহীনে আপন আপন ভার্যার আচার-ব্যবহার দ্বারা তাহাদিগকে লাভ করা হয়।
তাঁহারা যেন যুবতীদিগকে সংযত করিয়া তুলেন, যেন ইহারা পতিপ্রিয়া, সন্তানপ্রিয়া, সংযতা, সতী, গৃহকার্যে ব্যাপৃতা,
তোমার গৃহের অন্তঃপুরে তোমার স্ত্রী ফলবতী দ্রাক্ষালতার ন্যায় হইবে, তোমার মেজের চারিদিকে তোমার সন্তানগণ জলপাই বৃক্ষের চারার ন্যায় হইবে।
গুণবতী স্ত্রী কে পাইতে পারে? মুক্তা হইতেও তাঁহার মূল্য অনেক অধিক।তাঁহার স্বামীর হৃদয় তাঁহাতে নির্ভর করে, স্বামীর লাভের অভাব হয় না।তিনি জীবনের সমস্ত দিন তাঁহার উপকার করেন, অপকার করেন না।তিনি মেষলোম ও মসীনা অন্বেষণ করেন, প্রফুল্লভাবে আপন হস্তে কর্ম করেন।তিনি বাণিজ্য-জাহাজ সমূহের ন্যায়, তিনি দূর হইতে আপন খাদ্যসামগ্রী আনয়ন করেন।তিনি রাত্রি থাকিতে উঠেন, আর নিজ পরিজনদিগকে খাদ্য দেন, নিজ দাসীদিগকে নিরূপিত কর্ম দেন। তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে সঙ্কল্প করিয়া তাহা ক্রয় করেন, স্বহস্তের ফল দিয়া দ্রাক্ষার উদ্যান প্রস্তুত করেন।তিনি বলে কটি বন্ধন করেন, আপন বাহুযুগল বলশালী করেন।তিনি দেখিতে পান, তাঁহার ব্যবসায় উত্তম, রাত্রিতে তাঁহার দীপ নির্বাপিত হয় না।তিনি টেকুয়া লইতে আপন হস্ত প্রসারণ করেন, তাঁহার করদ্বয় পাঁজ ধরে।হে বৎস, কি বলিব? হে আমার গর্ভের সন্তান, কি বলিব? হে আমার মানতের পুত্র, কি বলিব?তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন, দীনহীনের প্রতি হস্ত প্রসারণ করেন।তিনি নিজ পরিবারের বিষয়ে তুষার হইতে ভয় পান না; কারণ তাঁহার সমস্ত পরিজন লাল বস্ত্র পরিধান করে।তিনি আপনার জন্য বুটিদার চাদর নির্মাণ করেন। তাঁহার পরিচ্ছদ শুভ্র মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনে বস্ত্র।তাঁহার স্বামী নগর-দ্বারে প্রসিদ্ধ হন, যখন দেশের প্রাচীনবর্গের সহিত বসেন।তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করেন, বণিকের হস্তে কটিবস্ত্র সমর্পণ করেন।বল ও সমাদর তাঁহার পরিচ্ছদ; তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাস্য করেন।তিনি প্রজ্ঞার সহিত মুখ খোলেন, তাঁহার জিহ্বাগ্রে দয়ার ব্যবস্থা থাকে।তিনি আপন পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন, তিনি আলস্যের খাদ্য খান না।তাঁহার সন্তানগণ উঠিয়া তাঁহাকে ধন্য বলে; তাঁহার স্বামীও বলেন, আর তাঁহার এইরূপ প্রশংসা করেন-“অনেক মেয়ে গুণবত্তা প্রদর্শন করিয়াছে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”তুমি নারিগণকে আপন শক্তি দিও না, যাহা রাজগণের বিনাশক, তাহাতে লিপ্ত হইও না।লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য অসার, কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন, তিনিই প্রশংসনীয়া।তোমরা তাঁহার হস্তের ফল তাঁহাকে দেও, নগর-দ্বারসমূহে তাঁহার ক্রিয়া তাঁহার প্রশংসা করুক।
নারী সম্পূর্ণ বশ্যতাপূর্বক মৌনভাবে শিক্ষা গ্রহণ করুক।আমি উপদেশ দিবার কিম্বা পুরুষের উপরে কর্তৃত্ব করিবার অনুমতি নারীকে দিই না, কিন্তু মৌনভাবে থাকিতে বলি।
কারণ যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন সধবা স্ত্রী ব্যবস্থা দ্বারা তাহার কাছে আবদ্ধ থাকে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে স্বামীর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত হয়।পরন্তু যাহা আমি ইচ্ছা করি না, তাহা যদি করি, তবে তাহা আর আমি সমপন্ন করি না, কিন্তু আমাতে বাসকারী পাপ তাহা করে।অতএব আমি এই ব্যবস্থা দেখিতে পাইতেছি যে, সৎকার্য করিতে ইচ্ছা করিলেও মন্দ আমার কাছে উপস্থিত হয়।বস্তুতঃ আন্তরিক মানুষের ভাব অনুসারে আমি ঈশ্বরের ব্যবস্থায় আমোদ করি।কিন্তু আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অন্য প্রকার এক ব্যবস্থা দেখিতে পাইতেছি; তাহা আমার মনের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এবং পাপের যে ব্যবস্থা আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে আছে, আমাকে তাহার বন্দি দাস করে।দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি। অতএব আমি নিজে মন দিয়া ঈশ্বরের ব্যবস্থার দাসত্ব করি, কিন্তু মাংস দিয়া পাপ-ব্যবস্থার দাসত্ব করি।সুতরাং যদি সে স্বামী জীবিত থাকিতে অন্য পুরুষের হয়, তবে ব্যভিচারিণী বলিয়া আখ্যাত হইবে; কিন্তু স্বামী মরিলে সে ঐ ব্যবস্থা হইতে স্বাধীন হয়, অন্য স্বামীর হইলেও ব্যভিচারিণী হইবে না।
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, মনুষ্যের একাকী থাকা ভাল নয়, আমি তাহার জন্য তাহার অনুরূপ সহকারিণী নির্মাণ করি।
কিন্তু আমার ইচ্ছা এই, যেন তোমরা জান যে, প্রত্যেক পুরুষের মস্তকস্বরূপ খ্রীষ্ট, এবং স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মস্তকস্বরূপ ঈশ্বর।
নারীগণ, তোমরা যেমন প্রভুর, তেমনি নিজ নিজ স্বামীর বশীভূত হও।কেননা স্বামী স্ত্রীর মস্তক, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীর মস্তক; তিনি আবার দেহের ত্রাণকর্তা;কিন্তু মণ্ডলী যেমন খ্রীষ্টের বশীভূত, তেমনি নারীগণ, সর্ববিষয়ে আপন আপন স্বামীর বশীভূত হউক।
যেমন পবিত্রগণের সমস্ত মণ্ডলীতে হইয়া থাকে, স্ত্রীলোকেরা মণ্ডলীতে নীরব থাকুক, কেননা কথা কহিবার অনুমতি তাহাদিগকে দেওয়া যায় না, বরং যেমন ব্যবস্থাও বলে, তাহারা বশীভূতা হইয়া থাকুক।আর যদি তাহারা কিছু শিখিতে চায়, তবে নিজ নিজ স্বামীকে ঘরে জিজ্ঞাসা করুক, কারণ মণ্ডলীতে স্ত্রীলোকের কথা বলা লজ্জার বিষয়।
তখন আদম কহিলেন, এইবার [হইয়াছে]; ইনি আমার অস্থির অস্থি ও মাংসের মাংস; ইঁহার নাম নারী হইবে, কেননা ইনি নর হইতে গৃহীত হইয়াছেন।এই কারণ মনুষ্য আপন পিতা মাতাকে ত্যাগ করিয়া আপন স্ত্রীতে আসক্ত হইবে, এবং তাহারা একাঙ্গ হইবে।
তিনি কি একমাত্রকে গড়েন নাই? তাঁহার ত আত্মার অবশিষ্টাংশ ছিল। আর একমাত্র কেন? তিনি ঈশ্বরীয় বংশের চেষ্টা করিতেছিলেন। অতএব তোমার আপন আপন আত্মার বিষয়ে সাবধান হও, এবং কেহ আপন যৌবনকালীন স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা না করুক।
তথাপি তোমরাও প্রত্যেকে আপন আপন স্ত্রীকে তদ্রূপ আপনার মত প্রেম কর; কিন্তু স্ত্রীর উচিত যেন সে স্বামীকে ভয় করে।
মহারাজ যে আজ্ঞা দিবেন, তাহা যখন তাঁহার বৃহৎ রাজ্যের সর্বত্র প্রচারিত হইবে, তখন সমস্ত স্ত্রীলোক ক্ষুদ্র কি মহান আপন আপন স্বামীকে মর্যাদা করিবে।
যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী নিদ্রাগত হইলে পর সে স্বাধীন হয়, যাহাকে ইচ্ছা করে, তাহার সহিত বিবাহিতা হইতে পারে, কিন্তু কেবল প্রভুতেই।নিজ দেহের উপরে স্ত্রীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তদ্রূপ নিজ দেহের উপরে স্বামীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।তথাপি আমার মতানুসারে সে অমনি থাকিলে আরও ধন্যা। আর আমার বোধ হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পাইয়াছি।
পরে তিনি নারীকে কহিলেন, আমি তোমার গর্ভবেদনা অতিশয় বৃদ্ধি করিব, তুমি বেদনাতে সন্তান প্রসব করিবে; এবং স্বামীর প্রতি তোমার বাসনা থাকিবে; ও সে তোমার উপরে কর্তৃত্ব করিবে।
তাঁহারা যেন যুবতীদিগকে সংযত করিয়া তুলেন, যেন ইহারা পতিপ্রিয়া, সন্তানপ্রিয়া, সংযতা, সতী, গৃহকার্যে ব্যাপৃতা,সুশীলা ও আপন আপন স্বামীর বশীভূতা হয়, এইরূপে যেন ঈশ্বরের বাক্য নিন্দিত না হয়।
স্বামী স্ত্রীকে তাহার প্রাপ্য দিউক; আর তদ্রূপ স্ত্রীও স্বামীকে দিউক।এবং যাহারা রোদন করিতেছে, তাহারা যেন রোদন করিতেছে না; যাহারা আনন্দ করিতেছে, তাহারা যেন আনন্দ করিতেছে না; যাহারা ক্রয় করিতেছে, তাহারা যেন কিছুই রাখে নাই;আর যাহারা সংসার ভোগ করিতেছে, যেন পূর্ণমাত্রায় করিতেছে না, যেহেতু এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে।কিন্তু আমার বাসনা এই যে, তোমরা চিন্তা-রহিত হও। যে অবিবাহিত, সে প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে প্রভুকে সন্তুষ্ট করিবে।কিন্তু যে বিবাহিত, সে সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করিবে;তাই তাহার স্বার্থের বিভক্তি ঘটে। আর অবিবাহিতা স্ত্রী ও কুমারী প্রভুর বিষয় চিন্তা করে, যেন দেহে ও আত্মাতে পবিত্র হয়; কিন্তু বিবাহিতা স্ত্রী সংসারের বিষয় চিন্তা করে, কিরূপে স্বামীকে সন্তুষ্ট করিবে।এই কথা আমি তোমাদের নিজের হিতের জন্য বলিতেছি; তোমাদের গলায় রজ্জু দিবার জন্য নয়, কিন্তু তোমরা যেন শিষ্টাচরণ কর, এবং একাগ্রমনে প্রভুতে আসক্ত থাক।কিন্তু যদি কাহারও বোধ হয় যে, সে তাহার কুমারী কন্যার প্রতি অশিষ্টাচরণ করিতেছে, যদি সৌকুমার্য অতীত হইয়া থাকে, আর এই প্রকার হওয়া আবশ্যক হয়, তবে সে যাহা ইচ্ছা করে, তাহা করুক; ইহাতে তাহার পাপ নাই, বিবাহ হউক।কিন্তু যে ব্যক্তি হৃদয়ে স্থির, যাহার কোন প্রয়োজন নাই, এবং আপনি আপন ইচ্ছা সম্বন্ধে কর্তা, সে যদি আপন কন্যাকে কুমারী রাখিতে হৃদয়ে স্থির করিয়া থাকে, তবে ভাল করে।অতএব যে আপন কুমারী কন্যার বিবাহ দেয়, সে ভাল করে; এবং যে না দেয়, সে আরও ভাল করে।যত দিন স্বামী জীবিত থাকে, তত দিন স্ত্রী আবদ্ধ থাকে, কিন্তু স্বামী নিদ্রাগত হইলে পর সে স্বাধীন হয়, যাহাকে ইচ্ছা করে, তাহার সহিত বিবাহিতা হইতে পারে, কিন্তু কেবল প্রভুতেই।নিজ দেহের উপরে স্ত্রীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্বামীর আছে; আর তদ্রূপ নিজ দেহের উপরে স্বামীর কর্তৃত্ব নাই, কিন্তু স্ত্রীর আছে।তথাপি আমার মতানুসারে সে অমনি থাকিলে আরও ধন্যা। আর আমার বোধ হয়, আমিও ঈশ্বরের আত্মাকে পাইয়াছি।তোমরা একজন অন্যকে বঞ্চিত করিও না; কেবল প্রার্থনার নিমিত্তে অবকাশ পাইবার জন্য উভয়ে এক পরামর্শ হইয়া কিছু কাল পৃথক থাকিতে পার; পরে পুনর্বার একত্র হইবে, যেন শয়তান তোমাদের অসংযমের কারণে তোমাদিগকে পরীক্ষায় না ফেলে।
অতএব আমার বাসনা এই, যুবতী [বিধবারা] বিবাহ করুক, সন্তান প্রসব করুক, গৃহে কর্তৃত্ব করুক, বিপক্ষকে নিন্দা করিবার কোন সূত্র না দিউক।
আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়,কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
সেইরূপে প্রাচীনাদিগকে বল, যেন তাঁহারা আচার ব্যবহারে ভয়শীলা হন, অপবাদিকা কি সুরার দাসী না হন, সুশিক্ষাদায়িনী হন;
সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা বিমল [হউক]; কেননা ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করিবেন।