তোমাকে বলছি, নিজেকে বড়াই করলে কি লাভ? আসল প্রশংসা তো আসে প্রভুর কাছ থেকে। মুখে মুখে প্রশংসা করে, মনে যদি ঈশ্বর না থাকেন, তাহলে সে প্রশংসার কোনো মূল্য নেই। যিশুর নাম ছাড়া অন্য কিছুকে বড় করে দেখালে, আসলে ঈশ্বরের প্রকৃত প্রশংসা হয় না। ঈশ্বর তো সবার মনের ভেতরটা দেখেন, তাই এই ধরণের প্রশংসায় তিনি খুশি হন না।
তাই, মন থেকে ঈশ্বরের প্রশংসা করো। লোক দেখানো প্রশংসায় কোনো লাভ নেই। নম্র হও, মহান ঈশ্বরের নাম স্মরণ করো, নিজের পাপ স্বীকার করো, এবং তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করো। তোমার প্রশংসায় যেন ঈশ্বর খুশি হন, তোমাকে দেখেন, তোমার কথা শোনেন।
সত্য ও পবিত্রতার পথে চলো, মনকে পরিষ্কার রাখো। এটাই ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য। প্রথমে নিজের জীবনকে পরিষ্কার করো, তারপর ঈশ্বরের প্রকৃত প্রশংসা করো, যেন সমস্ত প্রশংসা কেবল তাঁরই প্রাপ্য হয়।
[তিনি কহিলেন,] তবে এখন আপনাদের মধ্যস্থিত বিজাতীয় দেবগণকে দূর করিয়া দেও, ও আপন আপন হৃদয় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে রাখ।
“এই লোকেরা ওষ্ঠাধরে আমার সমাদর করে, কিন্তু ইহাদের অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে থাকে;এবং ইহারা অনর্থক আমার আরাধনা করে, মনুষ্যদের আদেশ ধর্মসূত্র বলিয়া শিক্ষা দেয়।”*
কিন্তু স্বর্গাধিপতির বিরুদ্ধে আপনাকে উচ্চ করিয়াছেন; এবং তাঁহার গৃহের নানা পাত্র আপনার সম্মুখে আনীত হইয়াছে, আর আপনি, আপনার মহল্লোকেরা, আপনার পত্নীগণ ও আপনার উপপত্নীগণ সেই সকল পাত্রে দ্রাক্ষারস পান করিয়াছেন; এবং রৌপ্যময়, সুবর্ণময়, পিত্তলময়, লৌহময়, কাষ্ঠময় ও প্রস্তরময় যে দেবগণ দেখিতে পায় না, শুনিতে পায় না, কিছু জানিতেও পারে না, আপনি তাহাদের প্রশংসা করিয়াছেন; কিন্তু আপনার নিঃশ্বাস যাঁহার হস্তগত ও আপনার সকল পথ যাঁহার অধীন, আপনি সেই ঈশ্বরের সমাদর করেন নাই।
কেননা আপনার প্রশংসা যে করে, সে নয়, কিন্তু প্রভু যাহার প্রশংসা করেন, সেই পরীক্ষাসিদ্ধ।
অতএব তোমরা সময়ের পূর্বে, যে পর্যন্ত প্রভু না আইসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করিও না; তিনিই অন্ধকারের গুপ্ত বিষয় সকল দীপ্তিতে আনিবেন, এবং হৃদয়সমূহের মন্ত্রণা সকল প্রকাশ করিবেন; আর তৎকালে প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।
আমি সদাপ্রভু, ইহাই আমার নাম; আমি আপন গৌরব অন্যকে, কিম্বা আপন প্রশংসা ক্ষোদিত প্রতিমাগণকে দিব না।
আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক। তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তোমরা অবস্তু প্রতিমাগণের অভিমুখ হইও না, ও আপনাদের জন্য ছাঁচে ঢালা দেবতা নির্মাণ করিও না; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
তোমরা আমার প্রতিযোগী কিছু নির্মাণ করিও না; আপনাদের নিমিত্তে রৌপ্যময় দেবতা কি স্বর্ণময় দেবতা নির্মাণ করিও না।
তুমি তোমার জন্য ক্ষোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলে, যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
তোমরা আপনাদের জন্য অবস্তু প্রতিমা নির্মাণ করিও না, এবং ক্ষোদিত প্রতিমা কিম্বা স্তম্ভ স্থাপন করিও না, ও তাহার কাছে প্রণিপাত করিবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রাখিও না; কেননা আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
যদি সদাপ্রভুর সেবা করা তোমাদের মন্দ বোধ হয়, তবে যাহার সেবা করিবে, তাহাকে অদ্য মনোনীত কর; নদীর ওপারস্থ তোমাদের পিতৃপুরুষদের সেবিত দেবগণ হয় হউক, কিম্বা যাহাদের দেশে তোমরা বাস করিতেছ সেই ইমোরীয়দের দেবগণ হয় হউক; কিন্তু আমি ও আমার পরিজন আমরা সদাপ্রভুর সেবা করিব।
আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।তুমি তোমার জন্য ক্ষোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নিচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলে, যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্তি নির্মাণ করিও না;তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
কপটীরা, যিশাইয় তোমাদের বিষয়ে বিলক্ষণ ভাববাণী বলিয়াছেন,“এই লোকেরা ওষ্ঠাধরে আমার সমাদর করে, কিন্তু ইহাদের অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে থাকে;এবং ইহারা অনর্থক আমার আরাধনা করে, মনুষ্যদের আদেশ ধর্মসূত্র বলিয়া শিক্ষা দেয়।”*
আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা কহিলাম, সকল বিষয়ে সাবধান থাকিও। ইতর দেবগণের নাম উল্লেখ করিও না, তোমাদের মুখে যেন তাহা শুনা না যায়।
পরে এলিয় সমস্ত লোকের নিকটে উপস্থিত হইয়া কহিলেন, তোমরা কতকাল দুই নৌকায় পা দিয়া থাকিবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁহার অনুগামী হও; আর বাল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তাহার অনুগামী হও। কিন্তু লোকেরা তাঁহাকে কোন উত্তর দিল না।
যাহারা অন্য [দেবতাকে] উপহার দেয়, তাহাদের যাতনা বৃদ্ধি পাইবে; রক্তরূপ তাহাদের পেয় নৈবেদ্য আমি উৎসর্গ করিব না, আপন ওষ্ঠাধরে তাহাদের নাম লইব না।
তাহাতে ইস্রায়েলের রাজা উত্তর করিলেন, তোমরা তাঁহাকে বল, যে ব্যক্তি সজ্জা ধারণ করে, সে সজ্জাত্যাগীর ন্যায় শ্লাঘা না করুক।
পরন্তু সেই সময়ে তোমরা ঈশ্বরকে না জানিয়া, যাহারা স্বভাবতঃ ঈশ্বর নহে, তাহাদের দাস ছিলে;কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পাইয়াছ, বরং ঈশ্বরকর্তৃক পরিচিত হইয়াছ; তবে কেমন করিয়া পুনর্বার ঐ দুর্বল অকিঞ্চন অক্ষরমালার প্রতি ফিরিতেছ, আবার ফিরিয়া সেইগুলির দাস হইতে চাহিতেছ?
তাহারা আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ত্যাগ করিয়া আপনাদের জন্য ছাঁচে ঢালা প্রতিমা, দুই গোবৎস, নির্মাণ করিয়াছিল, আশেরা-মূর্তিও নির্মাণ করিয়াছিল, এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীর কাছে প্রণিপাত ও বালদেবের সেবা করিত।
তাহারা লোকদিগকে ডাকিলে লোকেরা দৃষ্টিপথ হইতে দূরে গেল, বাল দেবগণের উদ্দেশে যজ্ঞ করিল, এবং প্রতিমাগণের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাইল।
কারণ তাহারা মিথ্যার সহিত ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করিয়াছে, এবং সৃষ্ট বস্তুর পূজা ও আরাধনা করিয়াছে, কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে নয়, যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন।
আর উহাদের প্রতিমা সকলের সেবা করিল, তাহাতে সেই সকল তাহাদের ফাঁদ হইয়া উঠিল;ফলে তাহারা আপনাদের পুত্রদিগকে, আর আপনাদের কন্যাদিগকে ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করিল;তাহারা নির্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।
প্রভু আরও কহিলেন, এই লোকেরা আমার নিকটবর্তী হয়, এবং আপন আপন মুখে ও ওষ্ঠাধরে আমার সম্মান করে, কিন্তু আপন আপন অন্তঃকরণ আমা হইতে দূরে রাখিয়াছে, এবং আমা হইতে তাহাদের যে ভয়, তাহাও মনুষ্যের আদেশ, মুখস্থ করা মাত্র।
উহাদের প্রতিমা সকল রৌপ্য ও স্বর্ণ, মনুষ্যের হস্তের কার্য।মুখ থাকিতেও তাহারা কথা কহে না; চক্ষু থাকিতেও দেখিতে পায় না;কর্ণ থাকিতেও শুনিতে পায় না; নাসিকা থাকিতেও ঘ্রাণ পায় না;হস্ত থাকিতেও স্পর্শ করিতে পারে না; চরণ থাকিতেও চলিতে পারে না; তাহারা কন্ঠে কথা কহিতে পারে না।যেমন তাহারা, তেমনি হইবে তাহাদের নির্মাতারা, আর যে কেহ সেগুলিতে নির্ভর করে।
বাহিরে রহিয়াছে কুকুরগণ, মায়াবিগণ, বেশ্যাগামীরা, নরঘাতকেরা ও প্রতিমাপূজকেরা, এবং যে কেহ মিথ্যা কথা ভালবাসে ও রচনা করে।
বরং পরজাতিগণ যাহা যাহা বলিদান করে, তাহা ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা নয় যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।
হে ইস্রায়েল-কুল, সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে যে কথা কহেন, তাহা শুন।কিন্তু সদাপ্রভু সত্য ঈশ্বর; তিনিই জীবন্ত ঈশ্বর ও অনন্তকালস্থায়ী রাজা; তাঁহার ক্রোধে পৃথিবী কম্পিত হয়, এবং তাঁহার কোপ জাতিগণ সহিতে পারে না।তোমরা উহাদিগকে এই কথা বল, ‘যে দেবগণ আকাশমণ্ডল ও ভূমণ্ডল গঠন করে নাই, তাহারা ভূমণ্ডল হইতে ও আকাশমণ্ডলের অধঃ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে’।তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।তিনি রব ছাড়িলে আকাশে জলরাশির শব্দ হয়, তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে বাষপ উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির নিমিত্ত বিদ্যুৎ গঠন করেন, তিনি আপন ভাণ্ডার হইতে বায়ু বাহির করিয়া আনেন।প্রত্যেক মনুষ্য পশুবৎ হইয়াছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার আপন প্রতিমা দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তাহার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তাহার মধ্যে শ্বাসবায়ু নাই।সেই সকল অসার, মায়ার কর্মমাত্র; তাহাদের প্রতিফল দানকালে তাহারা বিনষ্ট হইবে।যিনি যাকোবের অধিকার, তিনি সেইরূপ নহেন; কারণ তিনি সমস্ত বস্তুর গঠনকারী, এবং ইস্রায়েল তাঁহার অধিকাররূপ বংশ; তাঁহার নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু!হে অবরুদ্ধস্থান-নিবাসিনি! তুমি ভূমি হইতে আপন সামগ্রী কুড়াইয়া লও।কেননা সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি এই সময়ে দেশীয় লোকদিগকে ফিঙ্গার প্রস্তরের ন্যায় নিক্ষেপ করিব, এবং এমন সঙ্কটাপন্ন করিব যে, তাহারা টের পাইবে।হায় হায়, আমার কেমন ভঙ্গ! আমার ক্ষত অতি বেদনাযুক্ত; তথাপি আমি কহিলাম, ইহা আমার পীড়া, আমি ইহা সহ্য করিব।সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা জাতিগণের ব্যবহার শিখিও না, আকাশের নানা চিহ্ন হইতে ভীত হইও না; বাস্তবিক জাতিগণই তাহা হইতে ভীত হয়।আমার তাম্বু বিনষ্ট হইল; আমার সমস্ত রজ্জু ছিঁড়িয়া গেল; আমার সন্তানগণ আমার নিকট হইতে প্রস্থান করিল, তাহারা আর নাই। আমার তাম্বু পুনর্বার টাঙ্গাইতে ও আমার যবনিকা ঝুলাইতে একজনও নাই।কেননা পালকগণ পশুবৎ হইয়াছে, সদাপ্রভুর কাছে অন্বেষণ করে নাই, এই জন্য বুদ্ধিপূর্বক চলে নাই, তাহাদের সমস্ত পাল ছিন্নভিন্ন হইয়াছে।কোলাহলের রব! দেখ, তাহা উপস্থিত হইতেছে, উত্তর দেশ হইতে বড় কলরব আসিতেছে; যিহূদার নগর সকল ধ্বংসিত ও শৃগালদের বাসস্থান করা হইবে।হে সদাপ্রভু, আমি জানি, মনুষ্যের পথ তাহার বশে নয়, মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।হে সদাপ্রভু, আমাকে শাসন কর, কেবল বিচারপূর্বক কর; ক্রোধপূর্বক করিও না, পাছে তুমি আমাকে ক্ষীণ করিয়া ফেল।ঢালিয়া দেও তোমার কোপ সেই জাতিগণের উপরে, যাহারা তোমাকে জানে না; সেই গোষ্ঠী সকলের উপরে, যাহারা তোমার নামে ডাকে না; কেননা তাহারা যাকোবকে গ্রাস করিয়াছে, গ্রাস করিয়া সংহার করিয়াছে, তাহারা তাহার বাসস্থান শূন্য করিয়াছে।কেননা জাতিগণের বিধি সকল অসার; লোকে বনে যে কাষ্ঠ ছেদন করে, তাহাই বাটালি সহকারে কারুকরের হস্তকৃত কর্ম হইয়া উঠে।লোকে তাহা রৌপ্য ও সুবর্ণে অলঙ্কৃত করে; এবং যেন না নড়ে, তজ্জন্য হাতুড়ি দিয়া প্রেক মারিয়া তাহা দৃঢ় করে।সেই সকল খোদিত স্তম্ভস্বরূপ; কথা কহিতে পারে না; তাহাদিগকে বহন করিতে হয়, কারণ তাহারা চলিতে পারে না। তোমরা তাহাদের হইতে ভীত হইও না; কারণ তাহারা অহিত করিতে পারে না, হিত করিতেও তাহাদের সাধ্য নাই।
প্রত্যেক মনুষ্য পশুবৎ হইয়াছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার আপন প্রতিমা দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তাহার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তাহার মধ্যে শ্বাসবায়ু নাই।
বাস্তবিক সদাপ্রভু তাহাদের সহিত নিয়ম করিয়া এই আজ্ঞা দিয়াছিলেন, তোমরা অন্য দেবগণকে ভয় করিবে না, তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিবে না, তাহাদের সেবা করিবে না, বা তাহাদের উদ্দেশে বলিদান করিবে না;
অতএব তুমি উহাদের সহিত আলাপ করিয়া উহাদিগকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, ইস্রায়েল-কুলের যে কোন ব্যক্তি আপন পুত্তলিকে হৃদয়ে উঠিতে দেয়, ও আপন দৃষ্টির সম্মুখে আপনার অপরাধজনক বিঘ্ন রাখে, এবং ভাববাদীর কাছে আইসে, সেই ব্যক্তিকে আমি সদাপ্রভু তাহার যত পুত্তলিগণের বাহুল্যানুসারে তদ্বিষয়ে উত্তর দিব;যেন আমি ইস্রায়েল-কুলকে তাহাদের হৃদয়রূপ ফাঁদে ধরি, কেননা আপন আপন পুত্তলিগণের অনুরাগে তাহারা সকলে আমা হইতে সরিয়া গিয়াছে।
অতএব তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা ফির, তোমাদের পুত্তলিগণ হইতে বিমুখ হও, তোমাদের সমস্ত ঘৃণার্হ কার্য হইতে বিমুখ হও।
অতএব তুমি ইস্রায়েল-কুলকে বল, প্রভু সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা কি আপন আপন পিতৃপুরুষদের রীতিতে আপনাদিগকে অশুচি করিতেছ? তাহাদের ঘৃণার্হ বস্তু সকলের অনুগমনে ব্যভিচার করিতেছ?তোমরা যখন আপনাদের উপহার দেও, যখন আপন আপন সন্তানদিগকে অগ্নির মধ্য দিয়া গমন করাও, তখন অদ্য পর্যন্ত আপনাদের সমস্ত পুত্তলির দ্বারা কি আপনাদিগকে অশুচি করিতেছ? তবে, হে ইস্রায়েল-কুল, আমি কি তোমাদিগকে আমার কাছে অন্বেষণ করিতে দিব? প্রভু সদাপ্রভু কহেন, আমার জীবনের দিব্য, আমি তোমাদিগকে আমার কাছে অন্বেষণ করিতে দিব না।
আর উহাদের প্রতিমা সকলের সেবা করিল, তাহাতে সেই সকল তাহাদের ফাঁদ হইয়া উঠিল;ফলে তাহারা আপনাদের পুত্রদিগকে, আর আপনাদের কন্যাদিগকে ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করিল;তাহারা নির্দোষদের রক্তপাত, স্ব স্ব পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করিল, কনানীয় প্রতিমাগণের উদ্দেশে তাহাদিগকে বলিদান করিল; দেশ রক্তে অশুদ্ধ হইল।এইরূপে তাহারা আপনাদের কার্যে অশুচি, আপনাদের ক্রিয়াতে ব্যভিচারী হইল।
তখন আমি তাঁহাকে ভজনা করিবার জন্য তাঁহার চরণে পড়িলাম। তাহাতে তিনি আমাকে কহিলেন, দেখিও, এমন কর্ম করিও না; আমি তোমার সহদাস, এবং তোমার যে ভ্রাতৃগণ যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদেরও সহদাস; ঈশ্বরেরই ভজনা কর; কেননা যীশুর যে সাক্ষ্য, তাহাই ভাববাণীর আত্মা।
তোমরা যখন জগতের অক্ষরমালা ছাড়িয়া খ্রীষ্টের সহিত মরিয়াছ, তখন কেন জগজ্জীবীদের ন্যায় এই সকল বিধির অধীন হইতেছ,যথা, ধরিও না, আস্বাদ লইও না, স্পর্শ করিও না?সেই সকল বস্তু ত ভোগ দ্বারা ক্ষয় পাইবার নিমিত্তই হইয়াছে। ঐ সকল বিধি মনুষ্যদের বিবিধ আদেশ ও ধর্মসূত্রের অনুরূপ।আত্মপূজা, নম্রতা ও কৃচ্ছ্রসাধন এই সকল জ্ঞান নামে কীর্তিত বটে, তথাপি মাংসের পোষকতার বিরুদ্ধে কিছুর মধ্যে গণ্য নহে।
পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক যে, আমি মিদিয়নীয়দিগকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিব না; পাছে ইস্রায়েল আমার প্রতিকূলে গর্ব করিয়া বলে, আমি আপন বাহুবলে নিস্তার পাইলাম।
কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে।
অতএব আমরা যখন ঈশ্বরের বংশ, তখন ঈশ্বরের স্বরূপকে মনুষ্যের শিল্প ও কল্পনা অনুসারে ক্ষোদিত স্বর্ণের কি রৌপ্যের কি প্রস্তরের সদৃশ জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নহে।
‘আমি কি লইয়া সদাপ্রভুর সম্মুখে উপস্থিত হইব, ঊর্ধ্বস্থ ঈশ্বরের সম্মুখে প্রণত হইব? আমি কি হোমবলি লইয়া, একবর্ষীয় গোবৎসদিগকে লইয়া, তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইব?সহস্র সহস্র মেষে ও অযুত অযুত তৈলপ্রবাহে কি সদাপ্রভু প্রসন্ন হইবেন? আমি আপন অধর্মের নিমিত্ত কি আপনার প্রথমজাত পুত্রকে দিব? আমার প্রাণের পাপ প্রযুক্ত কি শরীরের ফল দান করিব?’হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
এইরূপে সেই পশুর সাক্ষাতে যে সকল চিহ্ন-কার্য করিবার ক্ষমতা তাহাকে দত্ত হইয়াছে, তদ্দ্বারা সে পৃথিবী-নিবাসীদের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবী-নিবাসীদিগকে বলে, ‘যে পশু খড়্গ দ্বারা আহত হইয়াও বাঁচিয়াছিল, তাহার এক প্রতিমা নির্মাণ কর।’আর তাহাকে এই ক্ষমতা দত্ত হইল যে, সে ঐ পশুর প্রতিমার মধ্যে নিশ্বাস প্রদান করে, যেন ঐ পশুর প্রতিমা কথা কহিতে পারে, ও এমন করিতে পারে যে, যত লোক সেই পশুর প্রতিমার ভজনা না করিবে, তাহাদিগকে বধ করা হয়।
অসার নৈবেদ্য আর আনিও না; ধূপদাহ আমার ঘৃণিত; অমাবস্যা, বিশ্রামবার, সভার ঘোষণা- আমি অধর্মযুক্ত পর্বসভা সহিতে পারি না।আমার প্রাণ তোমাদের অমাবস্যা ও নিরূপিত উৎসব সকল ঘৃণা করে; সেই সকল আমার পক্ষে ক্লেশকর, আমি সেই সকল বহন করিতে করিতে পরিশ্রান্ত হইয়াছি।তোমরা অঞ্জলি প্রসারণ করিলে আমি তোমাদের হইতে আমার চক্ষু আচ্ছাদন করিব; যদ্যপি অনেক প্রার্থনা কর, তথাপি শুনিব না; তোমাদের হস্ত রক্তে পরিপূর্ণ।
কেননা এমন কোন কোন লোকের সহিত আমরা আপনাদিগকে গণনা করিতে কি তুলনা দিতে সাহস করি না, যাহারা আপনারাই আপনাদের প্রশংসা করে; কিন্তু উহারা আপনাদের পরিমাপ-দণ্ডে আপনাদিগকে পরিমাণ করে, এবং আপনাদের সহিত আপনাদের তুলনা করে বলিয়া বুঝে না।
তখন যীশু তাঁহাকে কহিলেন, দূর হও, শয়তান; কেননা লেখা আছে, “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রনাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে।”
নম্রতায় ও দূতগণের পূজায় স্বেচ্ছাচারী কোন ব্যক্তি তোমাদিগকে বিজয়-মুকুটে বঞ্চিত না করুক; সে যাহা যাহা দেখিয়াছে, সেই গুলিতেই বিচরণ করে, আপন মাংসময় মনের গর্বে বৃথা গর্বিত হয়,কিন্তু সেই মস্তক ধারণ করে না, যাঁহা হইতে সমস্ত দেহ, গ্রন্থি ও বন্ধন দ্বারা পরিপুষ্ট ও সংসক্ত হইয়া, ঈশ্বরীয় বৃদ্ধিতে বৃদ্ধি পাইতেছে।
প্রত্যেক মনুষ্য পশুবৎ হইয়াছে, সে জ্ঞানহীন; প্রত্যেক স্বর্ণকার আপন প্রতিমা দ্বারা লজ্জিত হয়। কারণ তাহার ছাঁচে ঢালা বস্তু, মিথ্যামাত্র, তাহার মধ্যে শ্বাসবায়ু নাই।সেই সকল অসার, মায়ার কর্মমাত্র; তাহাদের প্রতিফল দানকালে তাহারা বিনষ্ট হইবে।
আর তাহাকে এই ক্ষমতা দত্ত হইল যে, সে ঐ পশুর প্রতিমার মধ্যে নিশ্বাস প্রদান করে, যেন ঐ পশুর প্রতিমা কথা কহিতে পারে, ও এমন করিতে পারে যে, যত লোক সেই পশুর প্রতিমার ভজনা না করিবে, তাহাদিগকে বধ করা হয়।
তুমি যে ব্যভিচার করিতে নাই বলিতেছ, তুমি কি ব্যভিচার করিতেছ না? তুমি যে প্রতিমা ঘৃণা করিতেছ, তুমি কি দেবালয় লুট করিতেছ না?
আর পালের মধ্যে পুংপশু থাকিলেও যে প্রতারক মানত করিয়া প্রভুর উদ্দেশে সদোষ পশু উৎসর্গ করে, সে শাপগ্রস্ত; কেননা আমি মহান রাজা, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন; এবং জাতিগণের মধ্যে আমার নাম ভয়াবহ।
যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে।সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য করি নাই?তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তুমি যে জাতিগণকে অধিকারচ্যুত করিতে যাইতেছ, তাহাদিগকে যখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সম্মুখ হইতে উচ্ছিন্ন করিবেন, ও তুমি তাহাদিগকে অধিকারচ্যুত করিয়া তাহাদের দেশে বাস করিবে;তোমরা তাহাদের যজ্ঞবেদি সকল উৎপাটন করিবে, তাহাদের স্তম্ভ সকল ভগ্ন করিবে, তাহাদের আশেরা-মূর্তি সকল অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবে, তাহাদের ক্ষোদিত দেবপ্রতিমা সকল ছেদন করিবে, এবং সেই স্থান হইতে তাহাদের নাম লোপ করিবে।তখন সাবধান থাকিও, পাছে তোমার সম্মুখ হইতে তাহাদের বিনাশ হইলে পর তুমি তাহাদের অনুগামী হইয়া ফাঁদে পড়, এবং পাছে তাহাদের দেবগণের অন্বেষণ করিয়া বল, এই জাতিগণ আপন আপন দেবগণের সেবা কিরূপে করে? আমিও সেইরূপ করিব।তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি তদ্রূপ করিবে না; কেননা তাহারা আপন আপন দেবগণের উদ্দেশে সদাপ্রভুর ঘৃণিত যাবতীয় কুকার্য করিয়া আসিয়াছে; এমন কি, তাহারা সেই দেবগণের উদ্দেশে আপন আপন পুত্রকন্যাগণকেও অগ্নিতে পোড়ায়।
অতএব আইস, আমরা তাঁহারই দ্বারা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি, অর্থাৎ তাহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি।
সদাপ্রভু বলিতেছেন, তোমাদের বলিদান বাহুল্যে আমার প্রয়োজন কি? মেষের, হোমবলিতে ও পুষ্ট পশুর মেদে আমার আর রুচি নাই; বৃষের কি মেষের, কি ছাগের রক্তে আমার কিছু সন্তোষ নাই।তোমরা যে আমার সাক্ষাতে উপস্থিত হইয়া আমার প্রাঙ্গণ সকল পদতলে দলিত কর, ইহা তোমাদের কাছে কে চাহিয়াছে?অসার নৈবেদ্য আর আনিও না; ধূপদাহ আমার ঘৃণিত; অমাবস্যা, বিশ্রামবার, সভার ঘোষণা- আমি অধর্মযুক্ত পর্বসভা সহিতে পারি না।আমার প্রাণ তোমাদের অমাবস্যা ও নিরূপিত উৎসব সকল ঘৃণা করে; সেই সকল আমার পক্ষে ক্লেশকর, আমি সেই সকল বহন করিতে করিতে পরিশ্রান্ত হইয়াছি।তোমরা অঞ্জলি প্রসারণ করিলে আমি তোমাদের হইতে আমার চক্ষু আচ্ছাদন করিব; যদ্যপি অনেক প্রার্থনা কর, তথাপি শুনিব না; তোমাদের হস্ত রক্তে পরিপূর্ণ।
হে জাতিগণের মধ্য হইতে উত্তীর্ণ লোক সকল, তোমরা একত্র হইয়া আইস, একসঙ্গে নিকটে আইস, তাহারা কিছুই জানে না, যাহারা আপনাদের প্রতিমার কাষ্ঠ বহিয়া বেড়ায়, যাহারা এমন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে, যে পরিত্রাণ করিতে পারে না।তোমরা সংবাদ দেও, কথা উপস্থিত কর; হাঁ, সকলে পরস্পর মন্ত্রণা করুক। পূর্ব হইতে এই কথা কে জ্ঞাত করিয়াছে? সেকাল হইতে কে সংবাদ দিয়াছে? আমি সদাপ্রভু কি করি নাই? আমি ব্যতীত অন্য ঈশ্বর নাই; আমি ধর্মশীল ও ত্রাণকারী ঈশ্বর; আমি ব্যতীত অন্য নাই।
অতএব অকমপনীয় রাজ্য পাইবার অধিকারী হওয়াতে, আইস, আমরা সেই অনুগ্রহ অবলম্বন করি, যদ্দ্বারা ভক্তি ও ভয় সহকারে ঈশ্বরের প্রীতিজনক আরাধনা করিতে পারি।কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নিস্বরূপ।
বরং পরজাতিগণ যাহা যাহা বলিদান করে, তাহা ভূতদের উদ্দেশে বলিদান করে, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়; আর আমার এমন ইচ্ছা নয় যে, তোমরা ভূতদের সহভাগী হও।প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র, তোমরা এই উভয় পাত্রে পান করিতে পার না; প্রভুর মেজ ও ভূতদের মেজ, তোমরা এই উভয় মেজের অংশী হইতে পার না।
তাহারা বিজাতীয় দেবগণ দ্বারা তাঁহার অন্তর্জ্বালা জন্মাইল, ঘৃণার্হ বস্তু দ্বারা তাঁহাকে অসন্তুষ্ট করিল।তাহারা বলিদান করিল ভূতগণের উদ্দেশে, যাহারা ঈশ্বর নয়, দেবগণের উদ্দেশে, যাহাদিগকে তাহারা জানিত না, নূতন, নবজাত দেবগণের উদ্দেশে, যাহাদিগকে তোমাদের পিতৃগণ ভয় করিত না।
আর প্রতিমাদের সহিত ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সমপর্ক? আমরাই ত জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, যেমন ঈশ্বর বলিয়াছেন, “আমি তাহাদের মধ্যে বসতি করিব ও গমনাগমন করিব; এবং আমি তাহাদের ঈশ্বর হইব, ও তাহারা আমার প্রজা হইবে।”অতএব “তোমরা তাহাদের মধ্য হইতে বাহির হইয়া আইস, ও পৃথক হও, ইহা প্রভু কহিতেছেন, এবং অশুচি বস্তু স্পর্শ করিও না; তাহাতে আমিই তোমাদিগকে প্রহণ করিব,
হে ব্যভিচারিণীগণ, তোমরা কি জান না যে, জগতের মিত্রতা ঈশ্বরের সহিত শত্রুতা? সুতরাং যে কেহ জগতের মিত্র হইতে বাসনা করে, সে আপনাকে ঈশ্বরের শত্রু করিয়া তুলে।
কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।
অতএব তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর- যথা বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কুঅভিলাষ, এবং লোভ, ইহা ত প্রতিমাপূজা।
কেননা ভাক্ত খ্রীষ্টেরা ও ভাক্ত ভাববাদীরা উঠিবে, এবং এমন মহৎ মহৎ চিহ্ন ও অদ্ভুত অদ্ভুত লক্ষণ দেখাইবে যে, যদি হইতে পারে, তবে মনোনীতদিগকেও ভুলাইবে।
প্রিয়তমেরা, তোমরা সকল আত্মাকে বিশ্বাস করিও না, বরং আত্মা সকলের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তাহারা ঈশ্বর হইতে কি না; কারণ অনেক ভাক্ত ভাববাদী জগতে বাহির হইয়াছে।
সদাপ্রভু বলিতেছেন, তোমাদের বলিদান বাহুল্যে আমার প্রয়োজন কি? মেষের, হোমবলিতে ও পুষ্ট পশুর মেদে আমার আর রুচি নাই; বৃষের কি মেষের, কি ছাগের রক্তে আমার কিছু সন্তোষ নাই।তোমরা যে আমার সাক্ষাতে উপস্থিত হইয়া আমার প্রাঙ্গণ সকল পদতলে দলিত কর, ইহা তোমাদের কাছে কে চাহিয়াছে?অসার নৈবেদ্য আর আনিও না; ধূপদাহ আমার ঘৃণিত; অমাবস্যা, বিশ্রামবার, সভার ঘোষণা- আমি অধর্মযুক্ত পর্বসভা সহিতে পারি না।আমার প্রাণ তোমাদের অমাবস্যা ও নিরূপিত উৎসব সকল ঘৃণা করে; সেই সকল আমার পক্ষে ক্লেশকর, আমি সেই সকল বহন করিতে করিতে পরিশ্রান্ত হইয়াছি।
পরে তিনি আমাকে সদাপ্রভুর গৃহের ভিতর-প্রাঙ্গণে আনিলেন, আর দেখ, সদাপ্রভুর মন্দিরের প্রবেশস্থানে , বারান্দার ও যজ্ঞবেদির মধ্যস্থানে, অনুমান পঁচিশ জন পুরুষ, তাঁহারা সদাপ্রভুর মন্দিরের দিকে পৃষ্ঠ ও পূর্বদিকে মুখ ফিরাইয়া পূর্বমুখে সূর্যের কাছে প্রণিপাত করিতেছে।তখন তিনি আমাকে বলিলেন, হে মনুষ্য-সন্তান, তুমি কি ইহা দেখিলে? এখানে যিহূদা-কুল যে সকল ঘৃণার্হ কার্য করিতেছে, তাহাদের পক্ষে কি তাহা করা লঘু বিষয়? কারণ তাহারা দেশকে দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ করিয়াছে; এবং আবার ফিরিয়া আমাকে বিরক্ত করিয়াছে; আর দেখ, তাহারা আপন আপন নাসিকায় পল্লব দিতেছে।অতএব আমিও কোপাবেশে কার্য করিব, চক্ষুলজ্জা করিব না, দয়াও করিব না; তাহারা যদ্যপি আমার কর্ণগোচরে উচ্চৈঃস্বরে চেঁচায়, তথাপি তাহাদের কথা শুনিব না।
কেহই দুই কর্তার দাসত্ব করিতে পারে না; কেননা সে হয় ত একজনকে দ্বেষ করিবে, আর একজনকে প্রেম করিবে, নয় ত একজনের প্রতি অনুরক্ত হইবে, আর একজনকে তুচ্ছ করিবে; তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।
তোমরা কি জান না যে, আজ্ঞা পালনার্থে যাহার নিকটে দাসরূপে আপনাদিগকে সমর্পণ কর, যাহার আজ্ঞা মান, তোমরা তাহারই দাস; হয় মৃত্যুজনক পাপের দাস, নয় ধার্মিকতাজনক আজ্ঞা পালনের দাস?
আমার আশ্চর্য বোধ হইতেছে যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তোমরা এত শীঘ্র তাঁহা হইতে অন্যবিধ সুসমাচারের দিকে ফিরিয়া যাইতেছ।তাহা আর কোন সুসমাচার নয়; কেবল এমন কতকগুলি লোক আছে, যাহারা তোমাদিগকে অস্থির করে, এবং খ্রীষ্টের সুসমাচার বিকৃত করিতে চায়।কিন্তু আমরা তোমাদের নিকটে যে সুসমাচার প্রচার করিয়াছি, তাহা ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেহ প্রচার করে- আমরাই করি, কিম্বা স্বর্গ হইতে আগত কোন দূতই করুক- তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।আমরা পূর্বে যেরূপ বলিয়াছি, তদ্রূপ আমি এখন আবার বলিতেছি, তোমরা যাহা গ্রহণ করিয়াছ, তাহা ছাড়া আর কোন সুসমাচার যদি কেহ তোমাদের নিকটে প্রচার করে, তবে সে শাপগ্রস্ত হউক।