তোমাদেরকে বলছি, পবিত্র স্থানটা ছিল মন্দিরের একটা অংশ। মন্দিরটা আবার দুই ভাগে বিভক্ত ছিল: পবিত্র স্থান আর অতি পবিত্র স্থান। প্রতিদিন পুরোহিতেরা ঈশ্বরের সেবা-পূজার জন্য পবিত্র স্থানে যেতেন। অন্য কারোর জন্য সেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কারণ অপবিত্র অবস্থায় কেউ সেখানে প্রবেশ করলে তৎক্ষণাৎ মারা যেত।
আমাদের প্রতি মহান দয়া আর ভালোবাসা থেকে, সৃষ্টিকর্তা সবসময় চেয়েছেন যেন আমরা তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। আগে আমাদের পাপ আর মন্দতার কারণে আমরা তাঁর কাছ থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু এখন যীশু খ্রীষ্ট আমাদের মহাপুরোহিত হিসেবে নিজেকে আমাদের পাপের জন্য একবারের জন্য বলিদান হিসেবে উৎসর্গ করেছেন।
এই বলিদানের ফলে, পবিত্র স্থান থেকে আমাদের আলাদা করে রাখা পর্দা ছিঁড়ে গেছে। এখন আর কোন বাধা নেই আমাদের স্বর্গীয় পিতার কাছে যাওয়ার, তাঁর মহিমায় মগ্ন হওয়ার। আমাদের ত্রাণকর্তার বলিদানের আগে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব ছিল। কিন্তু আজ আমরা সেই পবিত্রতায় বাস করার এবং কলগল্পের ক্রুশে ঝরানো তাঁর মূল্যবান রক্তে আমাদের পাপ ধুয়ে ফেলার সুযোগ পেয়েছি।
আমাদের সবার সাথে শান্তিতে এবং পবিত্রভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ পবিত্রতা ছাড়া কেউই প্রভুকে দেখতে পাবে না (হিব্রু ১২:১৪)। প্রিয় ত্রাণকর্তা, আমাদের সময়ে তোমার উপস্থিতি উপলব্ধি করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
সদাপ্রভুর সৈন্যের অধ্যক্ষ যিহোশূয়কে কহিলেন, তোমার চরণ হইতে পাদুকা খুলিয়া ফেল, কেননা যে স্থানে তুমি দাঁড়াইয়া আছ, ঐ স্থান পবিত্র।
যখন আমি তোমার নিকটে আর্তনাদ করি, যখন তোমার পবিত্র অন্তর্গৃহের দিকে অঞ্জলি উঠাই, তখন তুমি আমার বিনতির রব শ্রবণ করিও।
আর সাক্ষ্য-সিন্দুকের নিকটস্থ তিরস্করিণীর অগ্রদিকে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ পাপাবরণের সম্মুখে তাহা রাখিবে, সেই স্থানে আমি তোমার কাছে দেখা দিব।
আর তিনি অতি পবিত্র গৃহ নির্মাণ করিলেন, তাহার দীর্ঘতা গৃহের প্রস্থের ন্যায় বিংশতি হস্ত ও প্রস্থ বিংশতি হস্ত; এবং তিনি ছয়শত তালন্ত উত্তম স্বর্ণ দ্বারা তাহা মুড়াইলেন।
আর ঘুণ্টি সকলের নিচে তিরস্করিণী খাটাইয়া দিবে, এবং তথায় তিরস্করিণীর ভিতরে সাক্ষ্য-সিন্দুক আনিবে। সেই তিরস্করিণী পবিত্র স্থানের ও অতিপবিত্র স্থানের মধ্যে তোমাদের জন্য প্রভেদ রাখিবে।
আর বিংশতি হস্ত পরিমিত গৃহের যে পশ্চাদ্ভাগ, তাহা মেঝে অবধি দেওয়ালের ছাদ পর্যন্ত এরসকাষ্ঠের তক্তা দ্বারা আচ্ছাদন করিলেন, এবং ভিতরে অন্তর্গৃহের অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানের জন্য তাহা প্রস্তুত করিলেন।
বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা কহেন, আমি যখন এই লোকদের বন্দিদশা ফিরাইব, তখন তাহারা যিহূদা দেশে ও তথাকার সকল নগরে পুনর্বার এই কথা বলিবে, ‘হে ধর্মনিবাস, হে পবিত্র-পর্বত, সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন।’
আর ঘুণ্টি সকলের নিচে তিরস্করিণী খাটাইয়া দিবে, এবং তথায় তিরস্করিণীর ভিতরে সাক্ষ্য-সিন্দুক আনিবে। সেই তিরস্করিণী পবিত্র স্থানের ও অতিপবিত্র স্থানের মধ্যে তোমাদের জন্য প্রভেদ রাখিবে।আর অতিপবিত্র স্থানে সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখিবে।
আর আবাসের মধ্যে সিন্দুক আনিলেন এবং ব্যবধানের তিরস্করিণী টাঙ্গাইয়া সাক্ষ্য-সিন্দুক আড়াল করিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আজ্ঞা দিয়াছিলেন।
তুমি এই পাপাবরণ সেই সিন্দুকের উপরে রাখিবে, এবং আমি তোমাকে যে সাক্ষ্যপত্র দিব, তাহা ঐ সিন্দুকের মধ্যে রাখিবে।আর আমি সেই স্থানে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিব, এবং পাপাবরণের উপরিভাগ হইতে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ দুই করূবের মধ্য হইতে তোমার সঙ্গে আলাপ করিয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের প্রতি আমার সমস্ত আজ্ঞা তোমাকে জ্ঞাত করিব।
ঐ পরিমিত অংশের মধ্যে তুমি পঁচিশ সহস্র [হস্ত] দীর্ঘ ও দশ সহস্র [হস্ত] প্রস্থ ভূমি মাপিবে; তাহারই মধ্যে ধর্মধাম অতি পবিত্র স্থান হইবে।
অতি পবিত্র গৃহের মধ্যে তিনি নিকালকার্য দ্বারা দুই করূব নির্মাণ করিলেন; আর তাহা স্বর্ণে মুড়ান হইল।
পরে তিনি তাহার দীর্ঘতা বিংশতি হস্ত ও মন্দিরের অগ্রদেশে তাহার প্রস্থ বিংশতি হস্ত মাপিলেন, এবং আমাকে কহিলেন, ইহাই অতি পবিত্র স্থান।
আর দেখ, মন্দিরের তিরস্করিণী উপর হইতে নিচ পর্যন্ত চিরিয়া দুইখান হইল, ভূমিকম্প হইল, ও শৈল সকল বিদীর্ণ হইল,
ইহাতে পবিত্র আত্মা যাহা জ্ঞাপন করেন, তাহা এই, সেই প্রথম তাম্বু যাবৎ স্থাপিত থাকে, তাবৎ পবিত্র স্থানে প্রবেশের পথ প্রকাশিত হয় নাই।
সদাপ্রভু মোশিকে এই কথা কহিলেন, তুমি আপন ভ্রাতা হারোণকে বল, যেন সে অতিপবিত্র স্থানে তিরস্করিণীর ভিতরে, সিন্দুকের উপরিস্থ পাপাবরণের সম্মুখে সর্ব সময়ে প্রবেশ না করে, পাছে তাহার মৃত্যু হয়; কেননা আমি ঐ পাপাবরণের উপরে মেঘে দর্শন দিব।
তিনি সমস্ত গৃহ স্বর্ণে মুড়াইলেন, যে পর্যন্ত সমুদয় গৃহ সাঙ্গ না হইল, এবং অন্তর্গৃহের নিকটস্থ সমস্ত বেদিটি স্বর্ণে মুড়াইলেন।
আর দ্বিতীয় তিরস্করিণীর পরে অতি পবিত্র স্থান নামক তাম্বু ছিল;তাহা সুবর্ণময় ধূপধানী ও সর্বদিকে স্বর্ণমণ্ডিত নিয়ম-সিন্দুক বিশিষ্ট; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী স্বর্ণময় ঘট, ও হারোণের মঞ্জুরিত যষ্টি, ও নিয়মের দুই প্রস্তরফলক,
পরে সে লোকদের পাপার্থক বলির ছাগটি হনন করিয়া তাহার রক্ত তিরস্করিণীর ভিতরে আনিয়া যেমন গোবৎসের রক্ত ছিটাইয়া দিয়াছিল, সেইরূপ তাহারও রক্ত লইয়া করিবে, পাপাবরণের উপরে ও পাপাবরণের সম্মুখে তাহা ছিটাইয়া দিবে।আর ইস্রায়েল-সন্তানগণের নানাবিধ অশুচিতা ও অধর্ম, অর্থাৎ সর্ববিধ পাপপ্রযুক্ত সে পবিত্র স্থানের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিবে, এবং যে সমাগম-তাম্বু তাহাদের সহিত, তাহাদের নানাবিধ অশুচিতার মধ্যে বসতি করে, তাহার নিমিত্তে সে তদ্রূপ করিবে।
আর ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুক স্থাপনার্থে গৃহের ভিতরে তিনি এক অন্তর্গৃহ প্রস্তুত করিলেন।শলোমন রাজা সদাপ্রভুর উদ্দেশে যে গৃহ নির্মাণ করিলেন, তাহা দৈর্ঘ্যে ষাট হস্ত, প্রস্থে কুড়ি, ও উচ্চতায় ত্রিশ হস্ত।তিনি অন্তর্গৃহ ভিতরে বিংশতি হস্ত দীর্ঘ ও বিংশতি হস্ত প্রস্থ ও বিংশতি হস্ত উচ্চ করিয়া নির্মল স্বর্ণে মুড়াইলেন, এবং বেদি এরসকাষ্ঠে মুড়াইলেন।
আর আমি সেই স্থানে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিব, এবং পাপাবরণের উপরিভাগ হইতে, সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরিস্থ দুই করূবের মধ্য হইতে তোমার সঙ্গে আলাপ করিয়া ইস্রায়েল-সন্তানগণের প্রতি আমার সমস্ত আজ্ঞা তোমাকে জ্ঞাত করিব।
পরে যাজকেরা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক লইয়া গিয়া স্বস্থানে, গৃহের অন্তর্গৃহে, মহাপবিত্র স্থানে, দুই করূবের পক্ষের নিচে স্থাপন করিল।
পরে যাজকেরা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক লইয়া গিয়া স্বস্থানে, গৃহের অন্তর্গৃহে, মহাপবিত্র স্থানে, দুই করূবের পক্ষের নিচে স্থাপন করিল।
পরে তিনি সাক্ষ্যলিপি লইয়া সিন্দুকের মধ্যে রাখিলেন, সিন্দুকে বহন-দণ্ড দিলেন, এবং সিন্দুকের উপরে পাপাবরণ রাখিলেন,আর আবাসের মধ্যে সিন্দুক আনিলেন এবং ব্যবধানের তিরস্করিণী টাঙ্গাইয়া সাক্ষ্য-সিন্দুক আড়াল করিলেন; যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আজ্ঞা দিয়াছিলেন।
আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তাহা প্রাণের নোঙ্গরস্বরূপ, অটল ও দৃঢ়, এবং তিরস্করিণীর ভিতরে যায়।ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস, নানা বাপ্তিস্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতগণের পুনরুত্থান ও অনন্তকালার্থক বিচার।আর সেই স্থানে আমাদের নিমিত্ত অগ্রগামী হইয়া যীশু প্রবেশ করিয়াছেন, মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হইয়াছেন।
যে সময়ে হারোণ পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিবে, তৎকালে সদাপ্রভুর সম্মুখে নিয়ত স্মরণ করাইবার জন্য সে বিচারার্থক বুকপাটাতে ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম আপন হৃদয়ের উপরে বহন করিবে।
আর দ্বিতীয় তিরস্করিণীর পরে অতি পবিত্র স্থান নামক তাম্বু ছিল;তাহা সুবর্ণময় ধূপধানী ও সর্বদিকে স্বর্ণমণ্ডিত নিয়ম-সিন্দুক বিশিষ্ট; ঐ সিন্দুকে ছিল মান্নাধারী স্বর্ণময় ঘট, ও হারোণের মঞ্জুরিত যষ্টি, ও নিয়মের দুই প্রস্তরফলক,এবং তাহার উপরে প্রতাপের সেই দুই করূব ছিল, যাহারা পাপাবরণ ছায়া করিত; এই সকলের সবিশেষ কথা বলা এখন নিষপ্রয়োজন।
তুমি বেদির নিমিত্তে সাত দিন প্রায়শ্চিত্ত করিয়া তাহা পবিত্র করিবে; তাহাতে বেদি অতি পবিত্র হইবে; যে কেহ বেদি স্পর্শ করে, তাহার পবিত্র হওয়া চাই।
কিন্তু দ্বিতীয় তাম্বুতে বৎসরের মধ্যে একবার মহাযাজক একাকী প্রবেশ করেন; তিনি আবার রক্ত বিনা প্রবেশ করেন না, সেই রক্ত তিনি আপনার নিমিত্ত ও প্রজা লোকদের অজ্ঞানকৃত পাপের নিমিত্ত উৎসর্গ করেন।
কিন্তু খ্রীষ্ট, আগত উত্তম উত্তম বিষয়ের মহাযাজকরূপে উপস্থিত হইয়া, যে মহত্তর ও সিদ্ধতর তাম্বু অহস্তকৃত, অর্থাৎ এই সৃষ্টির অসমপর্কীয়, সেই তাম্বু দিয়া- ছাগদের ও গোবৎসদের রক্তের গুণে নয়,কিন্তু নিজ রক্তের গুণে- একবারে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিয়াছেন, ও অনন্তকালীয় মুক্তি অর্জন করিয়াছেন।
কেননা খ্রীষ্ট হস্তকৃত পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেন নাই- এ ত প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপ মাত্র- কিন্তু স্বর্গেই প্রবেশ করিয়াছেন, যেন তিনি এখন আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হন।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, যীশু আমাদের জন্য ‘তিরস্করিণী’ দিয়া, অর্থাৎ আপন মাংস দিয়া, যে পথ সংস্কার করিয়াছেন,যদি পারিত, তবে ঐ যজ্ঞ কি শেষ হইত না? কেননা আরাধনাকারীরা একবার শুচিকৃত হইলে তাহাদের কোন পাপ-বিবেক আর থাকিত না।আমরা সেই নূতন ও জীবন্ত পথে, যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি;
এই জন্য আইস, আমরা সত্য হৃদয় সহকারে বিশ্বাসের কৃতনিশ্চয়তায় [ঈশ্বরের] নিকটে উপস্থিত হই; আমরা ত হৃদয়প্রোক্ষণ-পূর্বক মন্দ হইতে মুক্ত, এবং শুচি জলে স্নাত দেহবিশিষ্ট হইয়াছি;
পরে ঈশ্বরের স্বর্গস্থ মন্দিরের দ্বার মুক্ত হইল, তাহাতে তাঁহার মন্দিরের মধ্যে তাঁহার নিয়ম-সিন্দুক দেখা গেল, এবং বিদ্যুৎ ও রব ও মেঘধ্বনি ও ভূমিকম্প ও মহাশিলাবৃষ্টি হইল।