অনেক সময় আমরা অপমানকে চরম লজ্জার একটা ব্যাপার মনে করি। মনে হয়, অপমানিত হলে আমাদের মান-ইজ্জত চলে যায়, আত্মসম্মানে লাগে, এমনকি অহংকারও ভেঙে যায়। অপমানের মুখোমুখি হওয়া সহজ নয়, সবাই এটা সহ্য করতে প্রস্তুত থাকে না। এই পৃথিবীতে, যে নিজেকে ছোট করে, তাকে হারিয়ে যাওয়া মানুষ, ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র বলে মনে করা হয়।
কিন্তু বাইবেল বলে, যে নিজেকে নম্র করে, ঈশ্বর তাকে উঁচু করবেন। ১ পিতর ৫:৬ পদে বলা আছে, "অতএব, ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নীরে নিজেদের নত কর, যেন তিনি সঠিক সময়ে তোমাদের উন্নত করেন।" নিজের পক্ষে নিজে লড়াই করো না, নিজের মতো করে সমাধানের চেষ্টা করো না, বরং নিজেকে নম্র করো এবং ঈশ্বরের প্রেম ও দয়া তোমাকে কাজে ও কথায় পথ দেখাক।
মানুষ হিসেবে আমরা খুব তারাতারি রাগ করে ফেলি, নিজের হাতে বদলা নেওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তুমি এমনটা করো না। বরং ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখো, সবকিছু তার হাতে ছেড়ে দাও। কারণ যে তার কাছে নিজেকে নম্র করে, ঈশ্বর তাকে উঁচু করবেন।
অপমান এবং লজ্জা যতই কষ্ট দিক না কেন, মনে রাখো ঈশ্বর তোমার জন্য যা করবেন, তার পুরস্কার তুমি পাবে। নিজের মতামত বা জ্ঞান দিয়ে তাড়াহুড়ো করে কথা বলো না, কারণ ঈশ্বর নম্রদের উঁচু করেন, কিন্তু অহংকারীদের ঘৃণা করেন। যারা নিজেদের বড় মনে করে, নিজেদের গর্ব করে, তারা অবশেষে এই পৃথিবীতে অপমানিত হবে।
এই উপদেশ মনে রাখো যাতে ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হাতের নীচে নিজেকে নম্র করে এবং তার ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে স্বীকার করে তুমি তার আশীর্বাদ পেতে পারো।
অতএব তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হস্তের নিচে নত হও, যেন তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদিগকে উন্নত করেন;
কেননা যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে, আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।
কেননা তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ জ্ঞাত আছ; তিনি ধনবান হইলেও তোমাদের নিমিত্ত দরিদ্র হইলেন, যেন তোমরা তাঁহার দরিদ্রতায় ধনবান হও।
আর যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; আর যে কেহ আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
তখন ঐ দর্প উছোট খাইয়া পড়িবে, কেহ তাহাকে উঠাইবে না; এবং আমি তাহার সকল নগরে আগুন লাগাইয়া দিব, তাহা তাহার চারিদিকের সকলই গ্রাস করিবে।
বস্তুতঃ যাহা কিছু গর্বিত ও উদ্ধত এবং যাহা কিছু উচ্চীকৃত, সেই সমস্তের প্রতিকূলে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর এক দিন আসিতেছে; সেই সকল নত হইবে।
ধন্য তোমরা, যখন লোকে আমার জন্য তোমাদিগকে নিন্দা ও তাড়না করে, এবং মিথ্যা করিয়া তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার মন্দ কথা বলে।
আমি ফিরিলে পর অনুতাপ করিলাম, ও শিক্ষা পাইলে পর ঊরুদেশে আঘাত করিলাম; আমি লজ্জিত ও নিতান্ত বিষণ্ন হইলাম, কেননা নিজ যৌবনকালের অপযশ বহন করিলাম।’
প্রতিযোগিতার কিম্বা অনর্থক দর্পের বশে কিছুই করিও না, বরং নম্রভাবে প্রত্যেক জন আপনা হইতে অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর;
আমি প্রহারকদের প্রতি আপন পৃষ্ঠ, যাহারা দাড়ি উপড়াইয়াছে, তাহাদের প্রতি আপন গাল পাতিয়া দিলাম, অপমান ও থুথু হইতে আপন মুখ আচ্ছাদন করিলাম না।
শাস্ত্রের যে কথা তিনি পড়িতেছিলেন, তাহা এই, “তিনি হত হইবার জন্য মেষের ন্যায় নীত হইলেন, এবং লোমচ্ছেদকের সম্মুখে মেষশাবক যেমন নীরব থাকে, সেইরূপ তিনি মুখ খুলেন না।তাঁহার হীনাবস্থায় তাঁহার সম্বন্ধীয় বিচার অপনীত হইল, তাঁহার সমকালীন লোকদের বর্ণনা কে করিতে পারে? যেহেতু তাঁহার জীবন পৃথিবী হইতে অপনীত হইল।”
কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এই ব্যক্তি ধার্মিক গণিত হইয়া নিজ গৃহে নামিয়া গেল, ঐ ব্যক্তি নয়; কেননা যে কেহ আপনাকে উচ্চ করে, তাহাকে নত করা যাইবে; কিন্তু যে আপনাকে নত করে, তাহাকে উচ্চ করা যাইবে।
কিন্তু বলবান যে আমরা, আমাদের উচিত, যেন দুর্বলদের দুর্বলতা বহন করি, আর আপনাদিগকে তুষ্ট না করি।
হে সদাপ্রভু, তুমি নম্রদের আকাঙ্ক্ষা শুনিয়াছ; তুমি তাহাদের চিত্ত সুস্থির করিবে, তুমি কর্ণপাত করিবে;
অতএব এমন বৃহৎ সাক্ষীমেঘে বেষ্টিত হওয়াতে আইস, আমরাও সমস্ত বোঝা ও সহজ বাধাজনক পাপ ফেলিয়া দিয়া ধৈর্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়াই;উঁহারা ত অল্পদিনের নিমিত্ত, উঁহাদের যেমন বিহিত বোধ হইত, তেমনই শাসন করিতেন, কিন্তু ইনি হিতের নিমিত্তই করিতেছেন, যেন আমরা তাঁহার পবিত্রতার ভাগী হই।কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়। সকলের সহিত শান্তির অনুধাবন কর, এবং যাহা ব্যতিরেকে কেহই প্রভুর দর্শন পাইবে না, সেই পবিত্রতার অনুধাবন কর; সাবধান হইয়া দেখ, পাছে কেহ ঈশ্বরের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হয়;পাছে তিক্ততার কোন মূল অঙ্কুরিত হইয়া তোমাদিগকে উৎপীড়িত করে, এবং ইহাতে অধিকাংশ লোক দূষিত হয়;পাছে কেহ ব্যভিচারী বা ধর্মবিরোধী হয়, যেমন এষৌ, সে ত এক বারের খাদ্যের নিমিত্ত আপন জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রয় করিয়াছিল।তোমরা ত জান, তৎপরে যখন সে আশীর্বাদের অধিকারী হইতে বাঞ্ছা করিল, তখন সজল নয়নে সযত্নে তাহার চেষ্টা করিলেও অগ্রাহ্য হইল, কারণ সে মনপরিবর্তনের স্থান পাইল না। কারণ তোমরা সেই স্পৃশ্য ও অগ্নিতে প্রজ্বলিত পর্বত, কৃষ্ণবর্ণ মেঘ, অন্ধকার, ঝড়, তূরীর ধ্বনি ও বাক্যের শব্দ এই সকলের নিকট উপস্থিত হও নাই।সেই শব্দ যাহারা শুনিয়াছিল, তাহারা প্রার্থনা করিয়াছিল, যেন তাহাদের কাছে আর কথা বলা না হয়;বিশ্বাসের আদিকর্তা ও সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি; তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্ত ক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।
এ সকলই ত আমার হস্ত দ্বারা নির্মিত, তাই এই সকল উৎপন্ন হইল, ইহা সদাপ্রভু কহেন। কিন্তু এই ব্যক্তির প্রতি, অর্থাৎ যে দুঃখী, ভগ্নাত্মা ও আমার বাক্যে কম্পমান, তাহার প্রতি আমি দৃষ্টিপাত করিব।
আমার প্রজারা, যাহাদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হইয়াছে, তাহারা যদি নম্র হইয়া প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে, এবং তাহাদের কুপথ হইতে ফিরে, তবে আমি স্বর্গ হইতে তাহা শুনিব, তাহাদের পাপ ক্ষমা করিব ও তাহাদের দেশ আরোগ্য করিব।
ঈশ্বর স্বর্গ হইতে মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি নিরীক্ষণ করিলেন, দেখিতে চাহিলেন, বিবেচক কেহ আছে কিনা, ঈশ্বরের অন্বেষণকারী কেহ আছে কি না।
আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।
এবং জগতের যাহা যাহা নীচ ও যাহা যাহা তুচ্ছ, যাহা যাহা কিছু নয়, সেই সকল ঈশ্বর মনোনীত করিলেন, যেন, যাহা যাহা আছে, সেই সকল অকিঞ্চন করেন;যেন কোন মনুষ্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে শ্লাঘা না করে।
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।
কিন্তু তুমি কেন তোমার ভ্রাতার বিচার কর? কেনই বা তুমি তোমার ভ্রাতাকে তুচ্ছ কর? আমরা সকলেই ত ঈশ্বরের বিচারাসনের সম্মুখে দাঁড়াইব।
কেননা এমন কোন কোন লোকের সহিত আমরা আপনাদিগকে গণনা করিতে কি তুলনা দিতে সাহস করি না, যাহারা আপনারাই আপনাদের প্রশংসা করে; কিন্তু উহারা আপনাদের পরিমাপ-দণ্ডে আপনাদিগকে পরিমাণ করে, এবং আপনাদের সহিত আপনাদের তুলনা করে বলিয়া বুঝে না।
সত্য, আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন, আমাদের ব্যথা সকল তিনি বহন করিয়াছেন; তবু আমরা মনে করিলাম, তিনি আহত, ঈশ্বরকর্তৃক প্রহারিত ও দুঃখার্ত।
নম্রগণ ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে, সদাপ্রভুর অন্বেষীরা তাঁহার প্রশংসা করিবে; তোমাদের অন্তঃকরণ নিত্যজীবী হউক।
যে কেহ আমার নামে এই শিশুটিকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে; এবং যে কেহ আমাকে গ্রহণ করে, সে তাঁহাকেই গ্রহণ করে, যিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন; কারণ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র, সেই মহান।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
তদ্রূপ হে যুবকেরা, তোমরা প্রাচীনদের বশীভূত হও; আর তোমরা সকলেই একজন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
কেননা এই কথা যিনি বলিয়াছেন, তাঁহাকে আমরা জানি, “প্রতিশোধ দেওয়া আমারই কর্ম, আমিই প্রতিফল দিব;” আবার, “প্রভু আপন প্রজাবৃন্দের বিচার করিবেন।”
তোমরা যাহারা সদাপ্রভুর বাক্যে কম্পমান, তোমরা তাঁহার বাক্য শুন; তোমাদের যে ভ্রাতৃগণ তোমাদিগকে ঘৃণা করে, আমার নাম প্রযুক্ত তোমাদিগকে বাহির করিয়া দেয়, তাহারা বলিয়াছে, সদাপ্রভু মহিমান্বিত হউন, যেন আমরা তোমাদের আনন্দ দেখিতে পাই; কিন্তু উহারাই লজ্জিত হইবে।
তুমি এই দাসের প্রতি যে সমস্ত দয়া ও যে সমস্ত সত্যাচরণ করিয়াছ, আমি তাহার কিছুরই যোগ্য নই; কেননা আমি নিজ যষ্টিখানি লইয়া এই যর্দন পার হইয়াছিলাম, এখন দুই দল হইয়াছি।
কেননা যিনি রক্তপাতের অনুসন্ধান করেন, তিনি নিহতদিগকে স্মরণ করেন; তিনি দুঃখীদের ক্রন্দন ভুলিয়া যান না;
তুমি দুঃখীদিগকে নিস্তার করিবে, কিন্তু গর্বীদের উপরে তোমার দৃষ্টি আছে, তুমি তাহাদিগকে অবনত করিবে।
যে বেশী আকাঙ্ক্ষা করে, সে বিবাদ উত্তেজিত করে, কিন্তু যে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস করে, সে পুষ্ট হইবে।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।
বেশ কথা, অবিশ্বাস হেতুই উহাদিগকে ভাঙ্গিয়া ফেলা হইয়াছে, এবং বিশ্বাস হেতুই তুমি দাঁড়াইয়া আছ। উচ্চ উচ্চ বিষয় ভাবিও না, বরং ভয় কর;
বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; এই কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
অতএব তোমরা, ঈশ্বরের মনোনীত লোকদের, পবিত্র ও প্রিয় লোকদের, উপযোগী মতে করুণার চিত্ত, মধুর ভাব, নম্রতা, মৃদুতা, সহিষ্ণুতা পরিধান কর।পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।
কিন্তু তুমি যখন নিমন্ত্রিত হও, তখন নিম্নতম স্থানে গিয়া বসিও; তাহাতে যে ব্যক্তি তোমাকে নিমন্ত্রণ করিয়াছে, সে যখন আসিবে, তোমাকে বলিবে, বন্ধু, উচ্চতর স্থানে গিয়া বস; তখন যাহারা তোমার সহিত বসিয়া আছে, সেই সকলের সাক্ষাতে তোমার গৌরব হইবে।
কেননা কে তোমাকে বিশিষ্ট করে? আর যাহা না পাইয়াছ, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পাইয়াছ, তখন যেন পাও নাই এইরূপ শ্লাঘা কেন করিতেছ?
নম্রগণও সদাপ্রভুতে উত্তরোত্তর আনন্দিত হইবে, এবং মনুষ্যদের মধ্যবর্তী দরিদ্রগণ ইস্রায়েলের পবিত্রতমে উল্লাস করিবে।
কিন্তু যাহারা প্রতিযোগী, এবং সত্যের অবাধ্য ও অধার্মিকতার বাধ্য, তাহাদের প্রতি ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট বর্তিবে;
অতএব তোমরা শিথিল হস্ত ও অবশ হাঁটু সবল কর;এবং আপন আপন চরণের জন্য সরল পথ প্রস্তুত কর, যেন যাহা খঞ্জ, তাহা স্থানচ্যুত না হয়, বরং সুস্থ হয়।
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
তুমি তাহাদের সকলকে হেয়জ্ঞান করিয়াছ, যাহারা তোমার বিধি-পথ হইতে ভ্রমে চলে; কেননা তাহাদের প্রবঞ্চনা অসার।
তাহাদের পরিণাম বিনাশ; উদর তাহাদের ঈশ্বর, এবং নিজ লজ্জাতেই তাহাদের গৌরব; তাহারা পার্থিব বিষয় ভাবে।
একটি ক্ষুদ্র নগর ছিল, তাহাতে লোক অল্প ছিল; পরে মহান কোন রাজা আসিয়া তাহা বেষ্টন করিয়া তাহার বিরুদ্ধে বড় বড় দুর্গ নির্মাণ করিলেন।আর ঐ নগরের মধ্যে একজন জ্ঞানবান দরিদ্র লোককে পাওয়া গেল; সে আপন প্রজ্ঞা দ্বারা নগরটি রক্ষা করিল, কিন্তু সেই দরিদ্র লোকটিকে কেহই স্মরণ করিল না।তখন আমি কহিলাম, পরাক্রম হইতে প্রজ্ঞা উত্তম, তথাপি দরিদ্রের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয়, ও তাহার কথা কেহ শুনে না।
তিনি নিন্দিত হইলে প্রতিনিন্দা করিতেন না; দুঃখভোগ কালে তর্জন করিতেন না, কিন্তু যিনি ন্যায় অনুসারে বিচার করেন, তাহার উপর ভার রাখিতেন।
আমি দুঃখী ও দরিদ্র, প্রভুই আমার পক্ষে চিন্তা করেন; তুমি আমার সহায় ও আমার নিস্তারকর্তা; হে আমার ঈশ্বর, বিলম্ব করিও না।
অতএব এখন, যাহারা খ্রীষ্ট যীশুতে আছে তাহাদের প্রতি কোন দণ্ডাজ্ঞা নাই।আর যদি খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে থাকেন, তবে দেহ পাপ প্রযুক্ত মৃত বটে, কিন্তু আত্মা ধার্মিকতা প্রযুক্ত জীবন।আর যিনি মৃতগণের মধ্য হইতে যীশুকে উঠাইলেন, তাঁহার আত্মা যদি তোমাদের মধ্যে বাস করেন, তবে যিনি মৃতগণের মধ্য হইতে খ্রীষ্ট যীশুকে উঠাইলেন, তিনি তোমাদের অন্তরে বাসকারী আপন আত্মা দ্বারা তোমাদের মর্ত্য দেহকেও জীবিত করিবেন।অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা ঋণী, কিন্তু মাংসের কাছে নয় যে, মাংসের বশে জীবন যাপন করিব।কারণ যদি মাংসের বশে জীবন যাপন কর, তবে তোমরা নিশ্চয় মরিবে, কিন্তু যদি আত্মাতে দেহের ক্রিয়া সকল মৃত্যুসাৎ কর, তবে জীবিত থাকিবে।কেননা যত লোক ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তাহারাই ঈশ্বরের পুত্র।বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকি।আত্মা আপনিও আমাদের আত্মার সহিত সাক্ষ্য দিতেছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।আর যখন সন্তান, তখন দায়াদ, ঈশ্বরের দায়াদ ও খ্রীষ্টের সহদায়াদ- যদি বাস্তবিক আমরা তাঁহার সহিত দুঃখভোগ করি, যেন তাঁহার সহিত প্রতাপান্বিতও হই।কারণ আমার মীমাংসা এই, আমাদের প্রতি যে প্রতাপ প্রকাশিত হইবে, তাহার সঙ্গে এই বর্তমান কালের দুঃখভোগ তুলনার যোগ্য নয়।কেননা সৃষ্টির ঐকান্তিক প্রতীক্ষা ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ প্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে।কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।
তোমাদের মধ্যে সেইরূপ হইবে না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে;এবং তোমাদের মধ্যে যে কেহ প্রধান হইতে চায়, সে তোমাদের দাস হইবে;যেমন মনুষ্যপুত্র পরিচর্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।
আর অধিক কি বলিব? গিদিয়োন, বারক, শিম্শোন, যিপ্তহ এবং দায়ূদ ও শমূয়েল ও ভাববাদিগণ, এই সকলের বৃত্তান্ত বলিতে গেলে সময়ের অকুলান হইবে।বিশ্বাস দ্বারা ইঁহারা নানা রাজ্য পরাজিত করিলেন, ধার্মিকতার অনুষ্ঠান করিলেন, নানা প্রতিজ্ঞার ফলপ্রাপ্ত হইলেন, সিংহদের মুখ বদ্ধ করিলেন,অগ্নির তেজ নির্বাপিত করিলেন, খড়্গের মুখ এড়াইলেন, দুর্বলতা হইতে বলপ্রাপ্ত হইলেন, যুদ্ধে বিক্রান্ত হইলেন, অন্যজাতীয়দের সৈন্যশ্রেণী তাড়াইয়া দিলেন।
আর তিনি আমাকে বলিয়াছেন, আমার অনুগ্রহ তোমার পক্ষে যথেষ্ট; কেননা আমার শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধি পায়। অতএব আমি বরং অতিশয় আনন্দের সহিত নানা দুর্বলতায় শ্লাঘা করিব, যেন খ্রীষ্টের শক্তি আমার উপরে অবস্থিতি করে।
আমাদের প্রত্যেক জন যাহা উত্তম, তাহার জন্য, গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত, প্রতিবাসীকে তুষ্ট করুক।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
নম্রগণ তাহা দেখিয়া আনন্দ করিবে; ঈশ্বরান্বেষিগণ! তোমাদের হৃদয় সঞ্জীবিত হউক।কেননা সদাপ্রভু দরিদ্রদের কথা শ্রবণ করেন, তিনি আপনার বন্দিগণকে তুচ্ছ করেন না।