তোমার ভেতরে একটা বিশেষ অনুগ্রহ ঈশ্বর রেখে দিয়েছেন, একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য। উনি চান তুমি সেটা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে বিকশিত করো, এই বিশ্বাস নিয়ে যে তোমার ভেতরে ঈশ্বরের অংশ আছে এবং তোমাকে যে কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সম্পন্ন করার ক্ষমতাও তোমার আছে।
মনে রাখতে হবে, সবার আগে তোমাকে নিজের উপর বিশ্বাস করতে হবে। এই মনোভাব তোমাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে, আর তুমি যা কল্পনা করেছো তা বাস্তব না হওয়া পর্যন্ত হার মানবে না।
দ্বিতীয়ত, তোমাকে তোমার ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কারণ ভয়, যদি তুমি তাকে নিয়ন্ত্রণ না করো, তাহলে সে তোমাকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলবে এবং ঈশ্বর তোমাকে যা করতে চান, তা থেকে তোমাকে দূরে সরিয়ে রাখবে।
শয়তান সবসময় চাইবে তুমি তোমার সন্দেহ, অভাব আর নিরাপত্তাহীনতার আড়ালে লুকিয়ে থাকো। তার লক্ষ্য তোমাকে অন্ধ করে দেওয়া, যাতে ঈশ্বর তোমার সম্পর্কে যা ভালো বলেন তা তুমি দেখতে না পাও, আর শুধু খারাপটাই দেখো। এমনকি সে তোমার স্বপ্ন, পরিকল্পনা এবং ধারণাগুলিকেও সীমিত করে ফেলতে চাইবে।
যীশু তোমার ভেতরে তার সৃজনশীলতা রেখে দিয়েছেন, আর তিনি চান না তুমি তোমার প্রকৃত সত্তা লুকিয়ে রাখো। তোমাকে যে প্রতিভা দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে অনেক মানুষকে আশীর্বাদ করার জন্য, নিজের জন্য জমিয়ে রাখার জন্য নয়। ঈশ্বরের সেবায় তোমার দক্ষতা ব্যবহার করো, তার হাতে একটা মূল্যবান হাতিয়ার হয়ে উঠো।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।
সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর উপর হইতে আইসে, জ্যোতির্গণের সেই পিতা হইতে নামিয়া আইসে, যাঁহাতে অবস্থান্তর কিম্বা পরিবর্তনের ছায়া নাই।
আর আমাদিগকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বর প্রাপ্ত হইয়াছি, তখন সেই বর যদি ভাববাণী হয়, তবে আইস, বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি;অথবা তাহা যদি পরিচর্যা হয়, তবে সেই পরিচর্যায় নিবিষ্ট হই; অথবা যে শিক্ষা দেয়, সে শিক্ষাদানে,কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক।
তোমার অন্তরস্থ সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা করিও না, যাহা ভাববাণী দ্বারা প্রাচীনবর্গের হস্তার্পণ সহকারে তোমাকে দত্ত হইয়াছে।
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।
অনুহ-দান নানা প্রকার, কিন্তু আত্মা এক;এবং পরিচর্যা নানা প্রকার, কিন্তু প্রভু এক;এবং ক্রিয়াসাধক গুণ নানা প্রকার, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সকলের মধ্যে সকল ক্রিয়ার সাধনকর্তা।কিন্তু প্রত্যেক জনকে হিতের জন্য আত্মার আবির্ভাব দত্ত হয়।
আমি দানপ্রাপ্তির চেষ্টা করিতেছি না, কিন্তু সেই ফলের চেষ্টা করিতেছি, যাহা তোমাদের হিসাবে বহু লাভজনক হইবে।
তোমরা জগতের দীপ্তি; পর্বতের উপরে স্থিত নগর গুপ্ত থাকিতে পারে না।আর লোকে প্রদীপ জ্বালিয়া ঢাকনার নিচে রাখে না, কিন্তু দীপাধারের উপরেই রাখে, তাহাতে তাহা গৃহস্থিত সকল লোককে আলো দেয়।তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।
আর ঈশ্বর সেই চারি জন যুবককে সমস্ত গ্রন্থে ও বিদ্যায় জ্ঞান ও পারদর্শিতা দিলেন; আর সমস্ত দর্শন ও স্বপ্নকথায় দানিয়েল বুদ্ধিমান হইলেন।
তোমরা যে যেমন অনুগ্রহদান পাইয়াছ, তদনুসারে ঈশ্বরের বহুবিধ অনুগ্রহ-ধনের উত্তম অধ্যক্ষের মত পরস্পর পরিচর্যা কর।যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
আর তিনিই কয়েক জনকে প্রেরিত, কয়েক জনকে ভাববাদী, কয়েক জনকে সুসমাচার-প্রচারক ও কয়েক জনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন,পবিত্রগণকে পরিপক্ব করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়,যাবৎ আমরা সকলে ঈশ্বরের পুত্র বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত, অগ্রসর না হই;
কারণ মনে কর, যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সমপত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে তখনই গেল, তাহা দিয়া ব্যবসা করিল, এবং আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিল।যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও তদ্রূপ করিয়া আর দুই তালন্ত লাভ করিল।কিন্তু যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সে গিয়া ভূমিতে গর্ত খুঁড়িয়া আপন প্রভুর টাকা লুকাইয়া রাখিল।দীর্ঘকালের পর সেই দাসদের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।তখন যে পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আসিয়া আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে দুই তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া বলিল, প্রভু, আপনি আমার নিকটে দুই তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন, আর দুই তালন্ত লাভ করিয়াছি।তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, বেশ! উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস; তুমি অল্প বিষয়ে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব; তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।পরে যে এক তালন্ত পাইয়াছিল, সেও আসিয়া কহিল, প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক; যেখানে বুনেন নাই, সেখানে কাটিয়া থাকেন, ও যেখানে ছড়ান নাই, সেখানে কুড়াইয়া থাকেন।তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম; দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।কিন্তু তাহার প্রভু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, দুষ্ট অলস দাস, তুমি নাকি জানিতে, আমি যেখানে বুনি নাই, সেখানে কাটি, এবং যেখানে ছড়াই নাই, সেখানে কুড়াই?তবে পোদ্দারদের হাতে আমার টাকা রাখিয়া দেওয়া তোমার উচিৎ ছিল; তাহা করিলে আমি আসিয়া আমার যাহা তাহা সুদের সহিত পাইতাম।অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, এবং যাহার দশ তালন্ত আছে, তাহাকে দেও;কেননা যে কোন ব্যক্তির নিকটে আছে, তাহাকে দত্ত হইবে, তাহাতে তাহার বাহুল্য হইবে; কিন্তু যাহার নাই, তাহার যাহা আছে, তাহাও তাহার নিকট হইতে নীত হইবে।কারণ যাহারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না;আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।
কিন্তু প্রত্যেক জন নিজ নিজ কর্মের পরীক্ষা করুক, তাহা হইলে সে কেবল আপনার কাছে শ্লাঘা করিবার হেতু পাইবে, অপরের কাছে নয়;কারণ প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।
কেননা যেমন দেহ এক, আর তাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, এবং দেহের সমুদয় অঙ্গ অনেক হইলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেইরূপ।ফলতঃ আমরা কি যিহূদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সকলেই এক দেহ হইবার জন্য একই আত্মাতে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, এবং সকলেই এক আত্মা হইতে পায়িত হইয়াছি।আর বাস্তবিক দেহ একটি অঙ্গ নয়, অনেক অঙ্গের সমষ্টি।
বস্তুতঃ আমাকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তাহার গুণে আমি তোমাদের মধ্যবর্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবার চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।
এই কারণ তোমাকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি যে, আমার হস্তার্পণ দ্বারা ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ-দান তোমাতে আছে, তাহা উদ্দীপিত কর।
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
তোমরা খ্রীষ্টের দেহ, এবং এক একজন এক একটি অঙ্গ।আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমতঃ প্রেরিতগণকে, দ্বিতীয়তঃ ভাববাদিগণকে, তৃতীয়তঃ উপদেশকগণকে স্থাপন করিয়াছেন; তৎপরে নানাবিধ পরাক্রমকার্য, তৎপরে আরোগ্যসাধক অনুগ্রহ-দান, উপকার, শাসনপদ, নানাবিধ ভাষা [দিয়াছেন]।সকলেই কি প্রেরিত? সকলেই কি ভাববাদী? সকলেই কি উপদেশক? সকলেই কি পরাক্রম-কার্যকারী?এই জন্য আমি তোমাদিগকে জানাইতেছি যে, ঈশ্বরের আত্মায় কথা কহিলে, কেহ বলে না, ‘যীশু শাপগ্রস্ত,’ এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ব্যতিরেকে কেহ বলিতে পারে না, ‘যীশু প্রভু’।সকলেই কি আরোগ্যসাধক অনুগ্রহ-দান পাইয়াছে? সকলেই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে? সকলেই কি অর্থ বুঝাইয়া দেয়?তোমরা শ্রেষ্ঠ দান সকল প্রাপ্ত হইতে যত্নবান হও। পরন্তু আমি তোমাদিগকে আরও উৎকৃষ্ট এক পথ দেখাইতেছি।
কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।
কিন্তু যে না জানিয়া প্রহারের যোগ্য কর্ম করিয়াছে, সে অল্প প্রহারে প্রহারিত হইবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে অধিক দত্ত হইয়াছে, তাহার নিকটে অধিক দাবি করা যাইবে; এবং লোকে যাহার কাছে অধিক রাখিয়াছে, তাহার নিকটে অধিক চাহিবে।
কেননা কে তোমাকে বিশিষ্ট করে? আর যাহা না পাইয়াছ, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পাইয়াছ, তখন যেন পাও নাই এইরূপ শ্লাঘা কেন করিতেছ?
যদি কেহ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলিতেছে; যদি পরিচর্যা করে, সে ঈশ্বর-দত্ত শক্তি অনুসারে করুক; যেন সর্ববিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ঈশ্বর গৌরবান্বিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগপর্যায়ের যুগে যুগে তাঁহারই। আমেন।
যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য কর, মনুষ্যের কর্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই কর্ম বলিয়া কর;কেননা তোমরা জান, প্রভু হইতে তোমরা দায়াধিকাররূপ প্রতিদান পাইবে;
কিম্বা যে উপদেশ দেয়, সে উপদেশ দানে নিবিষ্ট হউক; যে দান করে, সে সরল ভাবে, যে শাসন করে, সে উদ্যোগ সহকারে, যে দয়া করে, সে হৃষ্টচিত্তে করুক।
তুমি কি কোন ব্যক্তিকে তাহার ব্যাপারে তৎপর দেখিতেছ? সে রাজগণের সাক্ষাতে দাঁড়াইবে, সে নীচ লোকদের সাক্ষাতে দাঁড়াইবে না।
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।
অতএব, হে আমার প্রিয় ভ্রাতৃগণ, সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্যে সর্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।
আমাদের প্রত্যেক জন যাহা উত্তম, তাহার জন্য, গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত, প্রতিবাসীকে তুষ্ট করুক।
কিন্তু আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা,মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।
ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, তোমাদের অন্তরে যিনি উত্তম কার্য আরম্ভ করিয়াছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত তাহা সিদ্ধ করিবেন।
তোমরা শ্রেষ্ঠ দান সকল প্রাপ্ত হইতে যত্নবান হও। পরন্তু আমি তোমাদিগকে আরও উৎকৃষ্ট এক পথ দেখাইতেছি।
আর আমরা জানি, যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করে, যাহারা তাঁহার সঙ্কল্প অনুসারে আহূত, তাহাদের পক্ষে সকলই মঙ্গলার্থে একসঙ্গে কার্য করিতেছে।
তিনি আপন ইচ্ছা সাধনার্থে তোমাদিগকে সমস্ত উত্তম বিষয়ে পরিপক্ব করুন, আপনার দৃষ্টিতে যাহা প্রীতিজনক, তাহা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা, সমপন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁহার মহিমা হউক। আমেন।
আমার হৃদয়ে শুভকথা উথলিয়া উঠিতেছে; আমি রাজার বিষয়ে আপন রচনা বিবৃত করিব; আমার জিহ্বা দ্রুত লেখকের লেখনীস্বরূপ।
যাচ্ঞা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।
বীজ বপন করিবার জন্য কৃষক কি সমস্ত দিন হাল বহে, ও মাটি খুঁড়িয়া ভূমির ঢেলা ভাঙ্গে?ভূমিতল সমান করিলে পর সে কি মহুরী ছড়ায় না, ও জীরা বপন করে না? এবং শ্রেণী শ্রেণী করিয়া গম নিরূপিত স্থানে যব ও ক্ষেত্রের সীমাতে জনার কি বুনে না?কারণ তাহার ঈশ্বর তাহাকে যথার্থ শিক্ষা দেন; তিনি তাহাকে জ্ঞান দেন।
তাঁহাকেই আমরা ঘোষণা করিতেছি, সমস্ত জ্ঞানে প্রত্যেক মনুষ্যকে সচেতন করিতেছি ও প্রত্যেক মনুষ্যকে শিক্ষা দিতেছি, যেন প্রত্যেক মনুষ্যকে খ্রীষ্টে সিদ্ধ করিয়া উপস্থিত করি;আর তাঁহার যে কার্যসাধক শক্তি আমাতে পরাক্রমে নিজ কার্য সাধন করিতেছে, তদনুসারে প্রাণপণ করিয়া আমি সেই অভিপ্রায়ে পরিশ্রমও করিতেছি।
আর ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ,ও সদ্গুণে জ্ঞান ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য,ও ধৈর্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।
তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত, এবং আর একজনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে দিলেন, পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।
এই জন্য আইস, আমরা যেমন সুযোগ পাই, তেমনি সকলের প্রতি, বিশেষতঃ যাহারা বিশ্বাস-বাটীর পরিজন, তাহাদের প্রতি সৎকর্ম করি।
বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।
কিন্তু এখন ঈশ্বর অঙ্গ সকল এক এক করিয়া দেহের মধ্যে যেমন ইচ্ছা করিয়াছেন, সেইরূপ বসাইয়াছেন।
কিন্তু তোমরা “মনোনীত বংশ, রাজকীয় যাজকবর্গ, পবিত্র জাতি, [ঈশ্বরের] নিজস্ব প্রজাবৃন্দ যেন তাঁহারই গুণকীর্তন কর,” যিনি তোমাদিগকে অন্ধকার হইতে আপনার আশ্চর্য জ্যোতির মধ্যে আহ্বান করিয়াছেন।
আর এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি; যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
আর এক অঙ্গ দুঃখ পাইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই দুঃখ পায়, এবং এক অঙ্গ গৌরব প্রাপ্ত হইলে তাহার সহিত সকল অঙ্গই আনন্দ করে।
পীড়িতদিগকে সুস্থ করিও, মৃতদিগকে উত্থাপন করিও, কুষ্ঠীদিগকে শুচি করিও, ভূতদিগকে ছাড়াইও; তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।
কেননা তিনি তোমার দ্বারের অর্গল সকল দৃঢ় করিয়া দিয়াছেন, তিনি তোমার মধ্যে তোমার সন্তানগণকে আশীর্বাদ করিয়াছেন।তিনি তোমার পরিসীমা শান্তিময় করেন, তিনি সুগোধূমে তোমাকে তৃপ্ত করেন।
আর বাক্যে কি কার্যে যাহা কিছু কর, সকলই প্রভু যীশুর নামে কর, তাঁহার দ্বারা পিতা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতে করিতে ইহা কর।
আর ঈশ্বর তোমাদিগকে সর্বপ্রকার অনুগ্রহের উপচয় দিতে সমর্থ; যেন সর্ববিষয়ে সর্বদা সর্বপ্রকার প্রাচুর্য থাকায় তোমরা সর্বপ্রকার সৎকর্মের নিমিত্ত উপচিয়া পড়।
যোষেফ ত্রিশ বৎসর বয়সে মিসর-রাজ ফরৌণের সাক্ষাতে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। পরে যোষেফ ফরৌণের নিকট হইতে প্রস্থান করিয়া মিসর দেশের সর্বত্র ভ্রমণ করিলেন।
কেননা ফল দ্বারাই গাছ চেনা যায়। হে সর্পের বংশেরা, তোমরা মন্দ হইয়া কেমন করিয়া ভাল কথা কহিতে পার? কেননা হৃদয় হইতে যাহা ছাপিয়া উঠে, মুখ তাহাই বলে।ভাল মানুষ ভাল ভাণ্ডার হইতে ভাল দ্রব্য বাহির করে, এবং মন্দ মানুষ মন্দ ভাণ্ডার হইতে মন্দ দ্রব্য বাহির করে।
যে গ্রীষমকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান পুত্র; যে শস্য কাটিবার সময় নিদ্রিত থাকে, সে লজ্জাজনক পুত্র।
তোমার হস্ত যে কোন কার্য করিতে পায়, তোমার শক্তির সহিত তাহা কর; কেননা তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে কোন কার্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন,
আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রসন্নভাব আমাদের উপরে বর্তুক; আর তুমি আমাদের পক্ষে আমাদের হস্তের কর্ম স্থায়ী কর, আমাদের হস্তের কর্ম তুমি স্থায়ী কর।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।
তুমি আপনাকে ঈশ্বরের কাছে পরীক্ষাসিদ্ধ লোক দেখাইতে যত্ন কর; এমন কার্যকারী হও, যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।
তুমি আপন নিদেশমালা আদেশ করিয়াছ, যেন আমরা যত্নপূর্বক তাহা পালন করি।দেখ, আমি তোমার নিদেশ সকলের আকাঙ্ক্ষা করিয়া আসিতেছি, তোমার ধর্মশীলতায় আমাকে সঞ্জীবিত কর।আমার প্রতি তোমার দয়া বর্তুক, হে সদাপ্রভু, তোমার বচনানুসারে তোমার পরিত্রাণ বর্তুক।তবে আমি আমার দুর্নামকারীকে উত্তর দিতে পারিব, কেননা আমি তোমার বাক্যে নির্ভর করিতেছি।আর আমার মুখ হইতে সত্যের বাক্য নিঃশেষে হরণ করিও না, কেননা আমি তোমার শাসনকলাপের অপেক্ষা করিতেছি।আমি সতত তোমার ব্যবস্থা পালন করিব, যুগে যুগে চিরকাল করিব।আর আমি প্রশস্ত স্থানে যাতায়াত করিব, কেননা আমি তোমার নিদেশ সকলের অন্বেষণ করিয়াছি।আমি রাজগণের সাক্ষাতেও তোমার সাক্ষ্যকলাপের কথা বলিব, আর আমি লজ্জিত হইব না।আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে আমোদ করিব, সেই সকল আমি ভালবাসি।আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সেই সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব।তোমার দাসের পক্ষে সেই বাক্য স্মরণ কর, যদ্দ্বারা তুমি আমাকে প্রত্যাশাযুক্ত করিয়াছ।আহা! আমার পথ সকল সুস্থির হউক, যেন আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করি।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি;
অতএব খ্রীষ্ট যীশুকে, প্রভুকে, যেমন গ্রহণ করিয়াছ, তেমনি তাঁহাতেই চল;তাঁহাতেই বদ্ধমূল ও সংগ্রথিত হইয়া প্রাপ্ত শিক্ষানুসারে বিশ্বাসে দৃঢ়ীভূত হও, এবং ধন্যবাদ সহকারে উপচিয়া পড়।
প্রত্যাশার ঈশ্বর তোমাদিগকে বিশ্বাস দ্বারা সমস্ত আনন্দে ও শান্তিতে পরিপূর্ণ করুন, যেন তোমরা পবিত্র আত্মার পরাক্রমে প্রত্যাশায় উপচিয়া পড়।
ভোজন পান করা এবং নিজ পরিশ্রমের মধ্যে প্রাণকে সুখভোগ করানো ব্যতীত আর মঙ্গল মানুষের হয় না; ইহাও আমি দেখিলাম যে, তাহা ঈশ্বরের হস্ত হইতে হয়।আর আমা হইতে কে অধিক ভোজন করিতে কিম্বা অধিক সুখভোগ করিতে পারে?
যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাক। কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎবিবেক রক্ষা কর,
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহূত হইয়াছ; কেবল দেখিও, সেই স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ করিও না, বরং প্রেমের দ্বারা একজন অন্যের দাস হও।
তোমরা তাহাদের ফল দ্বারাই তাহাদিগকে চিনিতে পারিবে। লোকে কি কাঁটা গাছ হইতে দ্রাক্ষাফল, কিম্বা শিয়ালকাঁটা হইতে ডুমুর ফল সংগ্রহ করে?সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে।ভাল গাছে মন্দ ফল ধরিতে পারে না, এবং মন্দ গাছে ভাল ফল ধরিতে পারে না।যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তাহা কাটিয়া আগুনে ফেলিয়া দেওয়া যায়।কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে।অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে চিনিতে পারিবে।
আর আমাদিগকে যে অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, তদনুসারে যখন আমরা বিশেষ বিশেষ বর প্রাপ্ত হইয়াছি, তখন সেই বর যদি ভাববাণী হয়, তবে আইস, বিশ্বাসের পরিমাণ অনুসারে ভাববাণী বলি;
কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
আমি সর্বান্তঃকরণে ডাকিয়াছি; হে সদাপ্রভু, আমাকে উত্তর দেও, আমি তোমার বিধিকলাপ পালন করিব।আমি তোমাকে ডাকিয়াছি; আমাকে পরিত্রাণ কর, তাহাতে আমি তোমার সাক্ষ্যকলাপ পালন করিব।
কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, তোমাদের আহ্বান দেখ, যেহেতু মাংস অনুসারে জ্ঞানবান অনেক নাই, পরাক্রমী অনেক নাই, উচ্চপদস্থ অনেক নাই;কিন্তু ঈশ্বর জগতীস্থ মূর্খ বিষয় সকল মনোনীত করিলেন, যেন জ্ঞানবানদিগকে লজ্জা দেন; এবং ঈশ্বর জগতের দুর্বল বিষয় সকল মনোনীত করিলেন, যেন শক্তিমন্ত বিষয় সকলকে লজ্জা দেন;এবং জগতের যাহা যাহা নীচ ও যাহা যাহা তুচ্ছ, যাহা যাহা কিছু নয়, সেই সকল ঈশ্বর মনোনীত করিলেন, যেন, যাহা যাহা আছে, সেই সকল অকিঞ্চন করেন;যেন কোন মনুষ্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে শ্লাঘা না করে।
হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের নিমিত্ত শান্তি নিরূপণ করিবে, কেননা আমাদের সমস্ত কার্যই তুমি আমাদের নিমিত্ত সাধন করিয়া আসিতেছ।
হে অবোধেরা, চতুরতা শিক্ষা কর; হে হীনবুদ্ধি সকল, সুবুদ্ধিচিত্ত হও।শুন, কেননা আমি উৎকৃষ্ট কথা কহিব, আমার ওষ্ঠাধরের বিকাশ ন্যায়-সঙ্গত।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের নানা করুণার অনুরোধে আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা আপন আপন দেহকে জীবিত, পবিত্র, ঈশ্বরের প্রীতিজনক বলিরূপে উৎসর্গ কর, ইহাই তোমাদের চিত্ত-সঙ্গত আরাধনা।
তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।
অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সর্বদা যেমন আজ্ঞাবহ হইয়া আসিতেছ, তেমনি আমার সাক্ষাতে যেরূপ কেবল সেইরূপ নয়, বরং এখন আরও অধিকতররূপে আমার অসাক্ষাতে, সভয়ে ও সকমেপ আপন আপন পরিত্রাণ সমপন্ন কর।কারণ ঈশ্বরই আপন হিতসঙ্কল্পের নিমিত্ত তোমাদের অন্তরে ইচ্ছা ও কার্য উভয়ের সাধনকারী।
যদি আমি মনুষ্যদের, এবং দূতগণেরও ভাষা বলি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি শব্দকারক পিত্তল ও ঝম্ঝম্কারী করতাল হইয়া পড়িয়াছি।কিন্তু যাহা পূর্ণ তাহা আসিলে, যাহা অংশমাত্র তাহার লোপ হইবে।আমি যখন শিশু ছিলাম, তখন শিশুর ন্যায় কথা কহিতাম, শিশুর ন্যায় চিন্তা করিতাম, শিশুর ন্যায় বিচার করিতাম; এখন মানুষ হইয়াছি বলিয়া শিশুভাবগুলি ত্যাগ করিয়াছি।কারণ এখন আমরা দর্পণে অস্পষ্ট দেখিতেছি, কিন্তু তৎকালে সম্মুখাসম্মুখি হইয়া দেখিব; এখন আমি কতক অংশে জানিতে পাই, কিন্তু তৎকালে আমি নিজে যেমন পরিচিত হইয়াছি, তেমনি পরিচয় পাইব।আর এখন বিশ্বাস, প্রত্যাশা, প্রেম এই তিনটি আছে, আর ইহাদের মধ্যে প্রেমই শ্রেষ্ঠ।আর যদি ভাববাণী প্রাপ্ত হই, ও সমস্ত নিগূঢ়তত্ত্বে ও সমস্ত জ্ঞানে পারদর্শী হই, এবং যদি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যাহাতে আমি পর্বত স্থানান্তর করিতে পারি, কিন্তু আমার প্রেম না থাকে, তবে আমি কিছুই নহি।আর যথাসর্বস্ব যদি দরিদ্রদিগকে খাওয়াইয়া দিই, এবং পোড়াইবার জন্য আপন দেহ দান করি, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম না থাকে, তবে আমার কিছুই লাভ নাই।
আর প্রেরিত না হইলে কেমন করিয়া প্রচার করিবে? যেমন লিখিত আছে, “যাহারা মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করে, তাহাদের চরণ কেমন শোভা পায়।”
যে শিথিল হস্তে কর্ম করে, সে দরিদ্র হয়; কিন্তু পরিশ্রমীদের হস্ত ধনবান করে।যে গ্রীষমকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান পুত্র; যে শস্য কাটিবার সময় নিদ্রিত থাকে, সে লজ্জাজনক পুত্র।
যে কেহ আমার নামে আখ্যাত, যাহাকে আমি আমার গৌরবার্থে সৃষ্টি করিয়াছি [সেই ব্যক্তিকে আনিয়া দেও], আমি তাহাকে নির্মাণ করিয়াছি, আমি তাহাকে গঠন করিয়াছি।