তোমার সাথে একটা অসাধারণ বিষয় শেয়ার করতে চাই। পরমেশ্বর এক, অথচ তিনি তিন ব্যক্তিতে বিরাজমান: পিতা, পুত্র (যীশু) এবং পবিত্র আত্মা। তারা সমান, অনন্তকালীন, কিন্তু তাদের ভূমিকা ভিন্ন। একটা ভালো উদাহরণ হল, যেমন একটা মোমবাতি থেকে তিনটা আলাদা আলো জ্বলতে পারে, আলো তিনটাই একই উৎস থেকে, ঠিক তেমনি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা একই পরমেশ্বর।
বাইবেলের প্রথমেই, আদিপুস্তক ১:১ পদে[1] লেখা আছে, "পৃথিবী অন্ধকার ও শূন্য ছিল; গভীর জলরাশির উপরে অন্ধকার ছিল এবং ঈশ্বরের আত্মা জলরাশির উপরে বিচরণ করছিলেন।" এখানে ঈশ্বর এবং তাঁর আত্মার কথা বলা হয়েছে।
আবার নতুন নিয়মে, যোহন ১৪:২০ পদে[2] যীশু বলেন, "সেই দিন তোমরা জানবে যে, আমি আমার পিতার মধ্যে আছি, তোমরা আমার মধ্যে আছ এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।" এটা তিন ব্যক্তির ঐক্যের কথা স্পষ্ট করে তোলে।
আদিপুস্তক ১:২৬ পদে[3] আমরা দেখি, ঈশ্বর বলছেন, "আমরা আমাদের রূপে, আমাদের মত মানুষ সৃষ্টি করি।" এই "আমরা" শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টির শুরুতেই পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এক। এটা অবশ্যই চিন্তা করার মত বিষয়। আশা করি এই বিষয়টা তোমাকে পরমেশ্বরকে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ, ও ঈশ্বরের প্রেম, এবং পবিত্র আত্মার সহভাগিতা তোমাদের সকলের সহবর্তী হউক।
আর আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিব, এবং তিনি আর এক সহায় তোমাদিগকে দিবেন, যেন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন; তিনি সত্যের আত্মা;জগৎ তাঁহাকে গ্রহণ করিতে পারে না, কেননা সে তাঁহাকে দেখে না, তাঁহাকে জানেও না; তোমরা তাঁহাকে জান, কারণ তিনি তোমাদের নিকটে অবস্থিতি করেন ও তোমাদের অন্তরে থাকিবেন।
দূত উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে; এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন, তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে।
যাঁহাকে আমি পিতার নিকট হইতে তোমাদের কাছে পাঠাইয়া দিব, সত্যের সেই আত্মা, যিনি পিতার নিকট হইতে বাহির হইয়া আইসেন- যখন সেই সহায় আসিবেন- তিনিই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দিবেন।
পরে যীশু বাপ্তাইজিত হইয়া যখন জল হইতে উঠিলেন; আর দেখ, তাঁহার নিমিত্ত স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং তিনি ঈশ্বরের আত্মাকে কপোতের ন্যায় নামিয়া আপনার উপরে আসিতে দেখিলেন।আর দেখ, স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত।’
দেহ এক, এবং আত্মা এক; আবার যেমন তোমাদের আহ্বানের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহূত হইয়াছ।প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক,সকলের ঈশ্বর ও পিতা এক, তিনি সকলের উপরে, সকলের নিকটে ও সকলের অন্তরে আছেন।
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;
তথাপি আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁহা হইতে সকলই হইয়াছে, ও আমরা যাঁহারই জন্য; এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, এবং আমরা যাঁহারই দ্বারা বিদ্যমান আছি।
ইনিই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি, সমুদয় সৃষ্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলই সৃষ্ট হইয়াছে;
কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।
পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।তিনি আমাকে মহিমান্বিত করিবেন; কেননা যাহা আমার, তাহাই লইয়া তোমাদিগকে জানাইবেন।পিতার যাহা যাহা আছে, সকলই আমার; এই জন্য বলিলাম, যাহা আমার, তিনি তাহাই লইয়া থাকেন, ও তোমাদিগকে জানাইবেন।
পরে ঈশ্বর কহিলেন, আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের সাদৃশ্যে মনুষ্য নির্মাণ করি; আর তাহারা সমুদ্রের মৎস্যদের উপরে, আকাশের পক্ষীদের উপরে, পশুগণের উপরে, সমস্ত পৃথিবীর উপরে, ও ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় সরীসৃপের উপরে কর্তৃত্ব করুক।
আইস, আমরা নিচে গিয়া সেই স্থানে তাহাদের ভাষার ভেদ জন্মাই, যেন তাহারা একজন অন্য জনের ভাষা বুঝিতে না পারে।
পরে আমি প্রভুর রব শুনিতে পাইলাম; তিনি বলিলেন, আমি কাহাকে পাঠাইব? আমাদের পক্ষে কে যাইবে? আমি কহিলাম, এই আমি, আমাকে পাঠাও।
তোমরা আমার নিকটে আইস, এই কথা শুন, আমি আদি অবধি গোপনে কহি নাই; যে অবধি সেই ঘটনা হইতেছে, সেই অবধি আমি তথায় বর্তমান। আর এখন প্রভু সদাপ্রভু আমাকে ও তাঁহার আত্মাকে প্রেরণ করিয়াছেন।
প্রভু সদাপ্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কেননা নম্রগণের কাছে সুসমাচার প্রচার করিতে সদাপ্রভু আমাকে অভিষেক করিয়াছেন; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমি ভগ্নান্তঃকরণ লোকদের ক্ষত বাঁধিয়া দিই; যেন বন্দি লোকদের কাছে মুক্তি, ও কারাবদ্ধ লোকদের কাছে কারামোচন প্রচার করি;
কিন্তু তাহারা বিদ্রোহী হইয়া তাঁহার পবিত্র আত্মাকে শোকাকুল করিত, তাহাতে তিনি ফিরিয়া তাহাদের শত্রু হইলেন, আপনি তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন।
“দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা যাইবে ইম্মানূয়েল;” অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, ‘আমাদের সহিত ঈশ্বর’।
কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা মন্দ-আত্মা ছাড়াই, তবে ত ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে আসিয়া পড়িয়াছে।
তিনি কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে দেখ, একখানি উজ্জ্বল মেঘ তাঁহাদিগকে ছায়া করিল, আর দেখ, সেই মেঘ হইতে এই বাণী হইল, ‘ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাঁতেই আমি প্রীত, ইহাঁর কথা শুন’।
তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।
আর তৎক্ষণাৎ জলের মধ্য হইতে উঠিবার সময়ে দেখিলেন, আকাশ দুইভাগ হইল, এবং আত্মা কপোতের ন্যায় তাঁহার উপরে নামিয়া আসিতেছেন।আর স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘তুমিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমাতেই আমি প্রীত’।
আর যখন সমস্ত লোক বাপ্তাইজিত হয়, তখন যীশুও বাপ্তাইজিত হইয়া প্রার্থনা করিতেছেন, এমন সময়ে স্বর্গ খুলিয়া গেল,এবং পবিত্র আত্মা দৈহিক আকারে, কপোতের ন্যায়, তাঁহার উপরে নামিয়া আসিলেন, আর স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, “তুমি আমার প্রিয় পুত্র, তোমাতেই আমি প্রীত।”
আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ।
কারণ ঈশ্বর যাঁহাকে প্রেরণ করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বরের বাক্য বলেন; কারণ ঈশ্বর আত্মাকে পরিমাণ-পূর্বক দেন না।পিতা পুত্রকে প্রেম করেন, এবং সমস্তই তাঁহার হস্তে দিয়াছেন।
এই কারণ যিহূদিগণ তাঁহাকে বধ করিতে আরও চেষ্টা করিল; কেননা তিনি কেবল বিশ্রামবার লঙ্ঘন করিতেন তাহা নয়, কিন্তু আবার ঈশ্বরকে নিজ পিতা বলিতেন, আপনাকে ঈশ্বরের সমান করিতেন।
কিন্তু যদি করি, আমাকে বিশ্বাস না করিলেও, সেই কার্যে বিশ্বাস কর; যেন তোমরা জানিতে পার ও বুঝিতে পার যে, পিতা আমাতে আছেন, এবং আমি পিতাতে আছি।
পিতঃ, যেমন তুমি আমাতে ও আমি তোমাতে, তেমনি তাহারাও যেন আমাদের মধ্যে থাকে; যেন জগৎ বিশ্বাস করে যে, তুমি আমাকে প্রেরণ করিয়াছ।আর তুমি আমাকে যে মহিমা দিয়াছ, তাহা আমি তাহাদিগকে দিয়াছি; যেন তাহারা এক হয়, যেমন আমরা এক;
আর তিনি তাঁহাদের সঙ্গে সমবেত হইয়া এই আজ্ঞা দিলেন, তোমরা যিরূশালেম হইতে প্রস্থান করিও না, কিন্তু পিতার অঙ্গীকৃত যে দানের কথা আমার কাছে শুনিয়াছ, তাহার অপেক্ষায় থাক।কেননা যোহন জলে বাপ্তাইজ করিতেন বটে, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজিত হইবে, বেশী দিন পরে নয়।
এই যীশুকেই ঈশ্বর উঠাইয়াছেন, আমরা সকলেই এই বিষয়ের সাক্ষী।অতএব তিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ হস্ত দ্বারা উচ্চীকৃত হওয়াতে, এবং পিতার নিকট হইতে অঙ্গীকৃত পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত হওয়াতে, এই যাহা তোমরা দেখিতেছ ও শুনিতেছ, তাহা তিনি সেচন করিলেন।
তখন পিতর কহিলেন, অননিয়, শয়তান কেন তোমার হৃদয় এমন পূর্ণ করিয়াছে যে, তুমি পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বলিলে, এবং ভূমির মূল্য হইতে কতকটা রাখিয়া দিলে?আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সেই যীশুকে উত্থাপন করিয়াছেন, যাঁহাকে আপনারা গাছে টাঙ্গাইয়া বধ করিয়াছিলেন;আর তাঁহাকেই ঈশ্বর অধিপতি ও ত্রাণকর্তা করিয়া আপন দক্ষিণ হস্ত দ্বারা উন্নত করিয়াছেন, যেন ইস্রায়েলকে মনপরিবর্তন ও পাপ মোচন দান করেন।এই সকল বিষয়ের আমরা সাক্ষী, এবং যে আত্মা ঈশ্বর আপন আজ্ঞাবহদিগকে দিয়াছেন, সেই পবিত্র আত্মাও সাক্ষী।এই কথা শুনিয়া তাঁহারা মর্মাহত হইলেন, ও উহাঁদিগকে বধ করিবার মনস্থ করিলেন।কিন্তু মহাসভায় গমলীয়েল নামে একজন ফরীশী, যিনি সকল লোকের নিকটে মান্য ব্যবস্থা-গুরু ছিলেন, তিনি উঠিয়া ঐ লোকদিগকে কিছুক্ষণের নিমিত্ত বাহির করিবার আজ্ঞা দিলেন।পরে তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, হে ইস্রায়েল-লোকেরা, সেই লোকদের বিষয়ে তোমরা কি করিতে উদ্যত হইয়াছ, তদ্বিষয়ে সাবধান হও।কেননা ইতিপূর্বে থুদা উঠিয়া আপনাকে মহাপুরুষ করিয়া বলিয়াছিল, এবং কমবেশ চারি শত জন তাহার সঙ্গে যোগ দিয়াছিল; সে হত হইল, এবং যত লোক তাহার অনুগত হইয়াছিল সকলে ছিন্নভিন্ন হইয়া পড়িল, কেহই রহিল না।সেই ব্যক্তির পরে নাম লিখিয়া দিবার সময়ে গালীলীয় যিহূদা উঠিয়া কতকগুলি লোককে আপনার পশ্চাৎ টানিয়া লইয়াছিল; সেও বিনষ্ট হইল, এবং যত লোক তাহার অনুগত হইয়াছিল, সকলে ছড়াইয়া পড়িল।এক্ষণে আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা এই লোকদের হইতে ক্ষান্ত হও, তাহাদিগকে থাকিতে দেও; কেননা এই মন্ত্রণা কিম্বা এই ব্যাপার যদি মনুষ্য হইতে হইয়া থাকে, তবে লোপ পাইবে;কিন্তু যদি ঈশ্বর হইতে হইয়া থাকে, তবে তাহাদিগকে লোপ করা তোমাদের সাধ্য নয়, কি জানি, দেখা যাইবে যে, তোমরা ঈশ্বরের সহিত যুদ্ধ করিতেছ।সেই ভূমি বিক্রয়ের পূর্বে কি তোমারই ছিল না? এবং বিক্রীত হইলে পর কি উহা তোমার নিজ অধিকারে ছিল না? তবে এমন বিষয় তোমার হৃদয়ে কেন ধারণ করিলে? তুমি মনুষ্যদের কাছে মিথ্যা কহিলে, এমন নয়, ঈশ্বরেরই কাছে কহিলে।
কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইয়া স্বর্গের প্রতি এক দৃষ্টে চাহিয়া দেখিলেন যে, ঈশ্বরের প্রতাপ রহিয়াছে, এবং যীশু ঈশ্বরের দক্ষিণে দাঁড়াইয়া আছেন,আর তিনি বলিলেন, দেখ, আমি দেখিতেছি, স্বর্গ খোলা রহিয়াছে, এবং মনুষ্যপুত্র ঈশ্বরের দক্ষিণে দাঁড়াইয়া আছেন।
যিনি পবিত্রতার আত্মার সম্বন্ধে মৃতগণের পুনরুত্থান দ্বারা সপরাক্রমে ঈশ্বরের পুত্র বলিয়া নির্দিষ্ট;
কেননা যত লোক ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তাহারাই ঈশ্বরের পুত্র।বস্তুতঃ তোমরা দাসত্বের আত্মা পাও নাই যে, আবার ভয় করিবে; কিন্তু দত্তকপুত্রতার আত্মা পাইয়াছ, যে আত্মাতে আমরা আব্বা, পিতা, বলিয়া ডাকি।আত্মা আপনিও আমাদের আত্মার সহিত সাক্ষ্য দিতেছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।আর যখন সন্তান, তখন দায়াদ, ঈশ্বরের দায়াদ ও খ্রীষ্টের সহদায়াদ- যদি বাস্তবিক আমরা তাঁহার সহিত দুঃখভোগ করি, যেন তাঁহার সহিত প্রতাপান্বিতও হই।
যেন আমি পরজাতীয়দের নিকটে খ্রীষ্ট যীশুর সেবক হইয়া, ঈশ্বরের সুসমাচারের যাজকত্ব করি, যেন পরজাতীয়েরা পবিত্র আত্মাতে পবিত্রীকৃত উপহাররূপে প্রাহ্য হয়।
ভ্রাতৃগণ, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নিমিত্ত এবং ঈশ্বরের আত্মার প্রেমের নিমিত্ত আমি তোমাদিগকে বিনতি করি, তোমরা ঈশ্বরের কাছে আমাদের নিমিত্ত প্রার্থনা দ্বারা আমার সহিত প্রাণপণ কর,
কারণ আমাদের কাছে ঈশ্বর তাঁহার আত্মা দ্বারা তাহা প্রকাশ করিয়াছেন, কেননা আত্মা সকলই অনুসন্ধান করেন, ঈশ্বরের গভীর বিষয় সকলও অনুসন্ধান করেন।কারণ মনুষ্যের বিষয়গুলি মনুষ্যদের মধ্যে কে জানে? কেবল মনুষ্যের অন্তরস্থ আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেহ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন।
আর তোমরা কেহ কেহ সেই প্রকার লোক ছিলে; কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মায় আপনাদিগকে ধৌত করিয়াছ, পবিত্রীকৃত হইয়াছ, ধার্মিক গণিত হইয়াছ।
অনুহ-দান নানা প্রকার, কিন্তু আত্মা এক;এবং পরিচর্যা নানা প্রকার, কিন্তু প্রভু এক;এবং ক্রিয়াসাধক গুণ নানা প্রকার, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সকলের মধ্যে সকল ক্রিয়ার সাধনকর্তা।
আর যিনি তোমাদের সহিত আমাদিগকে খ্রীষ্টে স্থির করিতেছেন, এবং আমাদিগকে অভিষিক্ত করিয়াছেন,তিনি ঈশ্বর; আর তিনি আমাদিগকে মুদ্রাঙ্কিতও করিয়াছেন, এবং আমাদের হৃদয়ে আত্মাকে বায়না দিয়াছেন।
কিন্তু কাল সম্পূর্ণ হইলে ঈশ্বর আপনার নিকট হইতে আপন পুত্রকে প্রেরণ করিলেন; তিনি স্ত্রীজাত, ব্যবস্থার অধীনে জাত হইলেন,যেন তিনি মূল্য দিয়া ব্যবস্থার অধীন লোকদিগকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তকপুত্রত্ব প্রাপ্ত হই।আর তোমরা পুত্র, এই কারণ ঈশ্বর আপন পুত্রের আত্মাকে আপনার নিকট হইতে আমাদের হৃদয়ে প্রেরণ করিলেন; ইনি “আব্বা, পিতা” বলিয়া ডাকেন।
কেননা তাঁহারই দ্বারা আমরা উভয় পক্ষের লোক এক আত্মায় পিতার নিকটে উপস্থিত হইবার ক্ষমতা পাইয়াছি।
এই জন্য, স্বর্গস্থ ও পৃথিবীস্থ সমস্ত পিতৃকূল যাঁহা হইতে নাম পাইয়াছে,সেই পিতার কাছে আমি জানু পাতিতেছি,যেন তিনি আপনার প্রতাপ-ধন অনুসারে তোমাদিগকে এই বর দেন, যাহাতে তোমরা তাঁহার আত্মা দ্বারা আন্তরিক মনুষ্যের সম্বন্ধে শক্তিতে সবলীকৃত হও;যেন বিশ্বাস দ্বারা খ্রীষ্ট তোমাদের হৃদয়ে বাস করেন; যেন তোমরা প্রেমে বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত হইয়া,
আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করিও না, যাঁহার দ্বারা তোমরা মুক্তির দিনের অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছ।
খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তাহা তোমাদের মধ্যেও হউক।ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না,
আমরাই ত ছিন্নত্বক্ লোক, আমরা যাহারা ঈশ্বরের আত্মাতে আরাধনা করি, এবং খ্রীষ্ট যীশুতে শ্লাঘা করি, মাংসে প্রত্যয় করি না।
ইনিই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি, সমুদয় সৃষ্টির প্রথমজাত; কেননা তাঁহাতেই সকলই সৃষ্ট হইয়াছে;স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যাহা কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;আর তিনিই সকলের অগ্রে আছেন, ও তাঁহাতেই সকলের স্থিতি হইতেছে।
এই জন্য যে ব্যক্তি অগ্রাহ্য করে, সে মনুষ্যকে অগ্রাহ্য করে তাহা নয়, বরং ঈশ্বরকেই অগ্রাহ্য করে, যিনি নিজ পবিত্র আত্মা তোমাদিগকে প্রদান করেন।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, প্রভুর প্রিয়তমেরা, আমরা তোমাদের নিমিত্ত সর্বদা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য; কেননা ঈশ্বর আদি হইতে তোমাদিগকে আত্মার পবিত্রতা প্রদানে ও সত্যের বিশ্বাসে পরিত্রাণের জন্য মনোনীত করিয়াছেন;এবং সেই অভিপ্রায়ে আমাদের সুসমাচার দ্বারা তোমাদিগকে আহ্বানও করিয়াছেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রতাপ লাভ করিতে পার।
আর ভক্তির নিগূঢ়তত্ত্ব মহৎ, ইহা সর্বসম্মত, যিনি মাংসে প্রকাশিত হইলেন, আত্মাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হইলেন, দূতগণের নিকট দর্শন দিলেন, জাতিগণের মধ্যে প্রচারিত হইলেন, জগতে বিশ্বাস দ্বারা গৃহীত হইলেন, সপ্রতাপে ঊর্ধ্বে নীত হইলেন।
কিন্তু যখন আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের মধুর স্বভাব এবং মানবজাতির প্রতি প্রেম প্রকাশিত হইল, তখন তিনি আমাদের কৃত ধর্মকর্মহেতু নয়,কিন্তু আপনার দয়ানুসারে, পুনর্জন্মের স্নান ও পবিত্র আত্মার নূতনীকরণ দ্বারা আমাদিগকে পরিত্রাণ করিলেন,সেই আত্মাকে তিনি আমাদের ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদের উপরে প্রচুররূপে ঢালিয়া দিলেন;
ঈশ্বর পূর্বকালে বহুভাগে ও বহুরূপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া, এই শেষ কালে পুত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন।আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; সেই সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে,তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় সেই সকল জড়াইবে, বস্ত্রের ন্যায় জড়াইবে, আর সেই সমস্তের পরিবর্তন হইবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ, এবং তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।” কিন্তু তিনি দূতগণের মধ্যে কাহাকে কোন্ সময়ে বলিয়াছেন, “তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পাদপীঠ না করি”? উঁহারা সকলে কি সেবাকারী আত্মা নহেন? যাহারা পরিত্রাণের অধিকারী হইবে, উঁহারা কি তাহাদের পরিচর্যার জন্য প্রেরিত নহেন?তিনি ইঁহাকেই সর্বাধিকারী দায়াদ করিয়াছেন, এবং ইঁহারই দ্বারা যুগকলাপের রচনাও করিয়াছেন।ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
তবে, যিনি অনন্তজীবী আত্মা দ্বারা নির্দোষ বলিরূপে আপনাকেই ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত তোমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ হইতে কত অধিক নিশ্চয় শুচি না করিবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করিতে পার!
কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন।
ইহাতে আমরা জানি যে, আমরা তাঁহাতে থাকি, এবং তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন, কারণ তিনি আপন আত্মা আমাদিগকে দান করিয়াছেন।আর আমরা দেখিয়াছি ও সাক্ষ্য দিতেছি যে, পিতা পুত্রকে জগতের ত্রাণকর্তা করিয়া প্রেরণ করিয়াছেন।
যোহন- এশিয়ায় স্থিত সপ্ত মণ্ডলীর সমীপে। যিনি আছেন, ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসিতেছেন, তাঁহা হইতে এবং তাঁহার সিংহাসনের সম্মুখবর্তী সপ্ত আত্মা হইতে, এবং যিনি “বিশ্বস্ত সাক্ষী,”মৃতগণের মধ্যে “পপথমজাত” ও “পৃথিবীর রাজাদের কর্তা,” সেই যীশু খ্রীষ্ট হইতে, অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক। যিনি আমাদিগকে প্রেম করেন, ও নিজ রক্তে আমাদের পাপ হইতে আমাদিগকে মুক্ত করিয়াছেন,
সেই চারি প্রাণীর প্রত্যেকের ছয় ছয়টি পক্ষ, এবং তাঁহারা চারিদিকে ও ভিতরে চক্ষুতে পরিপূর্ণ; আর তাঁহারা দিবারাত্র অবিরাম এই কথা কহিতেছেন, ‘পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু ঈশ্বর সর্বশক্তিমান, যিনি ছিলেন, ও যিনি আছেন, ও যিনি আসিতেছেন।’
আর তিনি আমাকে “জীবন-জলের নদী” দেখাইলেন, তাহা স্ফটিকের ন্যায় উজ্জ্বল, তাহা ঈশ্বরের ও মেষশাবকের সিংহাসন হইতে নির্গত হইয়া তথাকার চকের মধ্যস্থানে বহিতেছে;
কারণ পিতা কাহারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচার-ভার পুত্রকে দিয়াছেন,যেন সকলে যেমন পিতাকে সমাদর করে, তেমনি পুত্রকে সমাদর করে। পুত্রকে যে সমাদর করে না, সে পিতাকে সমাদর করে না, যিনি তাঁহাকে পাঠাইয়াছেন।
আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।
ফলতঃ নাসরতীয় যীশুর কথা, কিরূপে ঈশ্বর তাঁহাকে পবিত্র আত্মাতে ও পরাক্রমে অভিষেক করিয়াছিলেন; তিনি হিতকার্য করিয়া বেড়াইতেন, এবং দিয়াবল কর্তৃক পীড়িত সকল লোককে সুস্থ করিতেন; কারণ ঈশ্বর তাঁহার সহবর্তী ছিলেন।
তোমরা আপনাদের বিষয়ে সাবধান, এবং পবিত্র আত্মা তোমাদিগকে অধ্যক্ষ করিয়া যাহার মধ্যে নিযুক্ত করিয়াছেন, সেই সমস্ত পালের বিষয়ে সাবধান হও, ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পালন কর, যাহাকে তিনি নিজ রক্ত দ্বারা ক্রয় করিয়াছেন।
আর প্রত্যাশা লজ্জাজনক হয় না, যেহেতু আমাদিগকে দত্ত পবিত্র আত্মা দ্বারা ঈশ্বরের প্রেম আমাদের হৃদয়ে সেচিত হইয়াছে।
বস্তুতঃ ঈশ্বর খ্রীষ্টে আপনার সহিত জগতের সম্মিলন করাইয়া দিতেছিলেন, তাহাদের অপরাধ সকল তাহাদের বলিয়া গণনা করিলেন না; এবং সেই সম্মিলনের বার্তা আমাদিগকে সমর্পণ করিয়াছেন।
প্রভু যীশুর ঈশ্বর ও পিতা, যিনি যুগে যুগে ধন্য, তিনি জানেন যে, আমি মিথ্যা কথা বলিতেছি না।
খ্রীষ্টের সহিত আমি ক্রুশারোপিত হইয়াছি, আমি আর জীবিত নই, কিন্তু খ্রীষ্টই আমাতে জীবিত আছেন; আর এখন মাংসে থাকিতে আমার যে জীবন আছে, তাহা আমি বিশ্বাসে, ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই, যাপন করিতেছি; তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন, এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন।
যেন আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর, প্রতাপের পিতা, আপনার তত্ত্বজ্ঞানে জ্ঞানের ও প্রত্যাদেশের আত্মা তোমাদিগকে দেন;
কেননা আমি জানি, তোমাদের প্রার্থনা এবং যীশু খ্রীষ্টের আত্মার যোগান দ্বারা ইহা আমার পরিত্রাণের সপক্ষ হইবে।
আমরা তোমাদের বিশ্বাসের কার্য, প্রেমের পরিশ্রম ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিষয়ক প্রত্যাশার ধৈর্য আমাদের ঈশ্বর ও পিতার সাক্ষাতে অবিরত স্মরণ করিয়া থাকি;কারণ, হে ভ্রাতৃগণ, ঈশ্বরের প্রেমপাত্রগণ, আমরা জানি, তোমরা মনোনীত লোক,কেননা আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে কেবল বাক্যে নয়, কিন্তু শক্তিতে ও পবিত্র আত্মায় ও অতিশয় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হইয়াছিল; তোমরা ত জান, আমরা তোমাদের কাছে তোমাদের নিমিত্ত কি প্রকার লোক হইয়াছিলাম।
কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।
শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের দাস ও প্রেরিত- যাঁহারা আমাদের ঈশ্বরের ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের ধার্মিকতায় আমাদের সহিত সমরূপ বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাঁহাদের সমীপে।অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা যে আহূত ও মনোনীত, তাহা নিশ্চয় করিতে অধিক যত্ন কর, কেননা এই সকল করিলে তোমরা কখনও উছোট খাইবে না;কারণ এইরূপে আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করিবার অধিকার প্রচুররূপে তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে।এই কারণ আমি তোমাদিগকে এই সকল সর্বদা স্মরণ করাইয়া দিতে প্রস্তুত থাকিব; যদিও তোমরা এই সকল জান, এবং বর্তমান সত্যে সুস্থিরও আছ।আর আমি যত দিন এই তাম্বুতে থাকি, ততদিন তোমাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিয়া জাগ্রত রাখা বিহিত জ্ঞান করি।কারণ আমি জানি, আমার এই দেহ পরিত্যাগ শীঘ্রই ঘটিবে, তাহা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টই আমাকে জানাইয়াছেন। আর তোমরা যাহাতে যাত্রার পরে সর্বদা এই সকল স্মরণ করিতে পার, এমন যত্নও করিব।কারণ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরাক্রম ও আগমনের বিষয় যখন তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছিলাম, তখন আমরা কৌশল-কল্পিত গল্পের অনুগামী হই নাই, কিন্তু তাঁহার মহিমার চাক্ষুষ সাক্ষী হইয়াছিলাম।ফলতঃ তিনি পিতা ঈশ্বর হইতে সমাদর ও গৌরব পাইয়াছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত প্রতাপ কর্তৃক তাঁহার কাছে এই বাণী উপনীত হইয়াছিল, “ইনিই আমার পুত্র, আমার প্রিয়তম, ইহাতেই আমি প্রীত।”আর স্বর্গ হইতে আগত সেই বাণী আমরাই শুনিয়াছি, যখন তাঁহার সঙ্গে পবিত্র পর্বতে ছিলাম।আর ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ; তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতী তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়।ঈশ্বরের এবং আমাদের প্রভু যীশুর তত্ত্বজ্ঞানে অনুগ্রহ ও শান্তি প্রচুররূপে তোমাদের প্রতি বর্তুক।
আর যে ব্যক্তি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করে, সে তাঁহাতে থাকে, ও তিনি তাহাতে থাকেন; আর তিনি আমাদিগকে যে আত্মা দিয়াছেন, তাঁহার দ্বারা আমরা জানি যে, তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন।
আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রের মধ্যে আছে।
আমি আল্ফা এবং ওমিগা, আদি এবং অন্ত, ইহা প্রভু ঈশ্বর কহিতেছেন, যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসিতেছেন, যিনি সর্বশক্তিমান।
আর লায়দিকেয়াস্থ মণ্ডলীর দূতকে লিখ- যিনি আমেন, যিনি বিশ্বাস্য ও সত্যময় সাক্ষী, যিনি ঈশ্বরের সৃষ্টির আদি, তিনি এই কথা কহেন;
পরে স্বর্গে ও পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচে ও সমুদ্রের উপরে যে সকল সৃষ্ট বস্তু, এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তেরই এই বাণী শুনিলাম, ‘যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার প্রতি ও মেষশাবকের প্রতি ধন্যবাদ ও সমাদর ও গৌরব ও কর্তৃত্ব যুগপর্যায়ের যুগে যুগে বর্তুক।’
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর কহিলেন, দেখ, মনুষ্য সদসদ্-জ্ঞান প্রাপ্ত হইবার বিষয়ে আমাদের একের মত হইল; এখন পাছে সে হস্ত বিস্তার করিয়া জীবনবৃক্ষের ফলও পাড়িয়া ভোজন করে ও অনন্তজীবী হয়।
কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্তৃত্বভার থাকিবে, এবং তাঁহার নাম হইবে- ‘আশ্চর্য মন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ’।
সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের রাজা, তাহার মুক্তিদাতা, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমিই আদি, আমিই অন্ত, আমি ভিন্ন আর কোন ঈশ্বর নাই।
হে যাকোব, হে আমার আহূত ইস্রায়েল, আমার বাক্যে কর্ণপাত কর; আমিই তিনি, আমি আদি, আবার আমি অন্ত।
তুমি কি অব্রাহামকে দেখিয়াছ? যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, অব্রাহামের জন্মের পূর্বাবধি আমি আছি।
কেননা তাঁহাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েক জন কবিও বলিয়াছেন, ‘কারণ আমরাও তাঁহার বংশ’।
পিতৃপুরুষেরা তাহাদের, এবং মাংস অনুসারে তাহাদেরই মধ্য হইতে খ্রীষ্ট উৎপন্ন হইয়াছেন, যিনি সর্বোপরিস্থ ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন।
দেহ এক, এবং আত্মা এক; আবার যেমন তোমাদের আহ্বানের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহূত হইয়াছ।প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক,
ইহাতে আমরা জানি যে, আমরা তাঁহাতে থাকি, এবং তিনি আমাদের মধ্যে থাকেন, কারণ তিনি আপন আত্মা আমাদিগকে দান করিয়াছেন।
তাঁহাকে দেখিবামাত্র আমি মৃতবৎ হইয়া তাঁহার চরণে পড়িলাম। তখন তিনি আমার গাত্রে দক্ষিণ হস্ত দিয়া কহিলেন, ভয় করিও না, আমি প্রথম ও শেষ ও জীবন্ত;আমি মরিয়াছিলাম, আর দেখ, আমি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যুর ও পাতালের চাবি আমার হস্তে আছে।