হিতোপদেশ ১৮:২১ আমাদের শেখায়, আমাদের কথার কত শক্তি! আমাদের মুখের কথায় জীবন আসতে পারে, আবার মৃত্যুও। তাই ভেবেচিন্তে কথা বলতে হবে। অন্যদের আশীর্বাদ করার জন্য কথা ব্যবহার করি, অভিশাপ দেওয়ার জন্য নয়। এভাবেই আমরা পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি হতে পারি।
মনে রাখতে হবে, মৃত্যু অনিবার্য। তাই প্রতিটি দিন যেন দায়িত্বের সাথে, মনোযোগ দিয়ে কাটাই। যীশু আমাদের মহৎ কাজের জন্য ডেকেছেন। তাই তাঁর সাথেই থাকি, আলোতে থাকি, অন্ধকারে নয়।
ঈশ্বর চান যেন আমরা আমাদের কথার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। কারণ আমাদের কথার মাধ্যমেই পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটে। তাই আসো, আমরা পাপের পথে না হেঁটে, যীশুর পথে হাঁটি, যিনিই হলেন জীবন।
আর তুমি এই লোকদিগকে বল, সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, তোমাদের সম্মুখে আমি জীবনের পথ ও মৃত্যুর পথ রাখিতেছি।
কারণ ঈশ্বরের মতানুযায়ী যে মনোদুঃখ, তাহা পরিত্রাণজনক এমন মনপরিবর্তন উৎপন্ন করে, যাহা অনুশোচনীয় নয়; কিন্তু জগতের মনোদুঃখ মৃত্যু সাধন করে।
কারণ আমরা জানি, মৃতগণের মধ্য হইতে উঠিয়াছেন বলিয়া খ্রীষ্ট আর কখনও মরিবেন না, তাঁহার উপরে মৃত্যুর আর কর্তৃত্ব নাই।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।
এবং এখন আমাদের ত্রাণকর্তা খ্রীষ্ট যীশুর প্রকাশ প্রাপ্তি দ্বারা প্রকাশিত হইল, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করিয়াছেন, এবং সুসমাচার দ্বারা জীবন ও অক্ষয়তাকে দীপ্তিতে আনিয়াছেন।
কারণ যাহারা পরিত্রাণ পাইতেছে ও যাহারা বিনাশ পাইতেছে, উভয়ের কাছে আমরা ঈশ্বরের পক্ষে খ্রীষ্টের সুগন্ধস্বরূপ।এক পক্ষের প্রতি আমরা মৃত্যুমূলক মৃত্যুজনক গন্ধ, অন্য পক্ষের প্রতি জীবনমূলক জীবনদায়ক গন্ধ। আর এই সকলের জন্য উপযুক্ত কে?
কেননা মনুষ্য দ্বারা যখন মৃত্যু আসিয়াছে, তখন আবার মনুষ্য দ্বারাই মৃতগণের পুনরুত্থান আসিয়াছে।
আর এই দুষ্ট গোষ্ঠীর অবশিষ্ট যে সমস্ত লোক থাকিবে যে সকল স্থানে আমি তাহাদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছি, সেই সমস্ত স্থানে থাকিবে তাহারা জীবন অপেক্ষা মরণই বাঞ্ছনীয় জ্ঞান করিবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন।
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন; যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে;আর যে কেহ জীবিত আছে, এবং আমাতে বিশ্বাস করে, সে কখনও মরিবে না; ইহা কি বিশ্বাস কর?
যখন আমি মৃত্যুচ্ছায়ার উপত্যকা দিয়া গমন করিব, তখনও অমঙ্গলের ভয় করিব না, কেননা তুমি আমার সঙ্গে সঙ্গে আছ, তোমার পাঁচনী ও তোমার যষ্টি আমাকে সান্ত্বনা করে।
আর আমি এক সময়ে ব্যবস্থা ব্যতিরেকে জীবিত ছিলাম, কিন্তু আজ্ঞা আসিলে পাপ জীবিত হইয়া উঠিল, আর আমি মরিলাম;
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, ও যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হইয়াছে, এবং বিচারে আনীত হয় না, কিন্তু সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে।
পৌল, কি আপল্লো, কি কৈফা, কি জগৎ, কি জীবন, কি মরণ, কি উপস্থিত বিষয়, কি ভবিষ্যৎ বিষয়, সকলই তোমাদের;
আমি অদ্য তোমাদের বিরুদ্ধে আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সাক্ষী করিয়া বলিতেছি যে, আমি তোমার সম্মুখে জীবন ও মৃত্যু, আশীর্বাদ ও শাপ রাখিলাম। অতএব জীবন মনোনীত কর, যেন তুমি সবংশে বাঁচিতে পার;
আর এই ক্ষয়ণীয় যখন অক্ষয়তা পরিহিত হইবে, এবং এই মর্ত্য যখন অমরতা পরিহিত হইবে, তখন এই যে কথা লিখিত আছে, তাহা সফল হইবে, “মৃত্যু জয়ে কবলিত হইল।”“মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”
দেখ, সদাপ্রভুর দৃষ্টি তাহাদের উপরে, যাহারা তাঁহাকে ভয় করে, যাহারা তাঁহার দয়ার প্রতীক্ষা করে,মৃত্যু হইতে তাহাদের প্রাণ রক্ষা করিবার জন্য, দুর্ভিক্ষে তাহাদিগকে বাঁচাইয়া রাখিবার জন্য।
কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত না হও।কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।
ভাল, সেই সন্তানগণ যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি নিজেও তদ্রূপ তাহার ভাগী হইলেন; যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন,
এক পক্ষের প্রতি আমরা মৃত্যুমূলক মৃত্যুজনক গন্ধ, অন্য পক্ষের প্রতি জীবনমূলক জীবনদায়ক গন্ধ। আর এই সকলের জন্য উপযুক্ত কে?
কারণ যে মরে, তাহার মরণে আমার কিছু সন্তোষ নাই, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; অতএব তোমরা মন ফিরাইয়া বাঁচ।
“মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”মৃত্যুর হুল পাপ, ও পাপের বল ব্যবস্থা।কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হউক, তিনি আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমাদিগকে জয় প্রদান করেন।
তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন; এবং সমস্ত পৃথিবী হইতে আপন প্রজাদের দুর্নাম দূর করিবেন; কারণ সদাপ্রভুই এই কথা কহিয়াছেন।
কারণ আমরা জানি, যদি আমাদের এই তাম্বুরূপ পার্থিব বাটী ভাঙ্গিয়া যায়, তবে ঈশ্বরদত্ত এক গাঁথনি আমাদের আছে, সেই বাটী অহস্তনির্মিত, অনন্তকালস্থায়ী ও স্বর্গে স্থিত।
মনুষ্য, অবলাজাত সকলে, অল্পায়ু ও উদ্বেগে পরিপূর্ণ।কিন্তু মনুষ্য মরিলে ক্ষয় পায়; মনুষ্য প্রাণত্যাগ করিয়া কোথায় থাকে?সমুদ্র হইতে জল চলিয়া যায়, নদী শুষ্ক হইয়া মরিয়া যায়;তদ্রূপ মনুষ্য শয়ন করিলে আর উঠে না, যাবৎ আকাশ লুপ্ত না হয়, সে জাগিবে না, নিদ্রা হইতে জাগরিত হইবে না।হায়, তুমি আমাকে পাতালে লুকাইয়া রাখিও, গুপ্ত রাখিও, যাবৎ তোমার ক্রোধ গত না হয়; আমার জন্য সময় নিরূপণ কর, আমাকে স্মরণ কর।মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে? আমি আপন সৈন্যবৃত্তির সমস্ত দিন প্রতীক্ষা করিব, যে পর্যন্ত আমার দশান্তর না হয়।পরে তুমি আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব। তুমি আপন হস্তকৃতের প্রতি মমতা করিবে।কিন্তু এখন তুমি আমার পাদবিন্যাস গণিতেছ; আমার পাপের প্রতি কি লক্ষ্য রাখ না?আমার অধর্ম থলিতে বদ্ধ ও মুদ্রাঙ্কিত, তুমি আমার অপরাধ বাঁধিয়া রাখিতেছ।সত্যই পর্বত পড়িয়া বিলুপ্ত হয়, শৈলও আপন স্থান হইতে সরিয়া যায়,জল পাষাণকেও ক্ষয় করে, তাহার বন্যা ভূমির ধূলি ভাসাইয়া লইয়া যায়; তদ্রূপ তুমি মর্ত্যের আশা ক্ষয় করিতেছ।সে পুষ্পের ন্যায় প্রস্ফুটিত হইয়া ম্লান হয়, সে ছায়ার ন্যায় চলিয়া যায়, স্থির থাকে না;
সদাপ্রভু, আমার অন্তকাল আমাকে জানাও, আমার আয়ুর পরিমাণ কি, জানাও, আমি জানিতে চাহি, আমি কেমন ক্ষণিক।দেখ, তুমি আমার আয়ু কতিপয় মুষ্টি পরিমিত করিয়াছ, আমার জীবনকাল তোমার দৃষ্টিতে অবস্তুবৎ; সত্য, প্রত্যেক মনুষ্য স্থিরীকৃত হইলেও নিতান্ত অসার। [সেলা]
আর যাহারা শরীর বধ করে, কিন্তু আত্মা বধ করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না; কিন্তু যিনি আত্মা ও শরীর উভয়ই নরকে বিনষ্ট করিতে পারেন, বরং তাঁহাকেই ভয় কর।
তুমি ঘর্মাক্ত মুখে আহার করিবে, যে পর্যন্ত তুমি মৃত্তিকায় প্রতিগমন না করিবে; তুমি তো তাহা হইতে গৃহীত হইয়াছ; কেননা তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।
আমাদের আয়ুর পরিমাণ সত্তর বৎসর; বলযুক্ত হইলে আশি বৎসর হইতে পারে; তথাপি তাহাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখমাত্র, কেননা তাহা বেগে পলায়ন করে, এবং আমরা উড়িয়া যাই।
কেননা যদি আমরা জীবিত থাকি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে জীবিত থাকি; এবং যদি মরি, তবে প্রভুরই উদ্দেশে মরি। অতএব আমরা জীবিত থাকি বা মরি, আমরা প্রভুরই।
কেননা “মর্ত্যমাত্র তৃণের তুল্য ও তাহার সমস্ত কান্তি তৃণপুষ্পের তুল্য; তৃণ শুষ্ক হইয়া গেল, এবং পুষ্প ঝরিয়া পড়িল,কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর ইহা সেই সুসমাচারের বাক্য, যাহা তোমাদের নিকটে প্রচারিত হইয়াছে।
কিন্তু আমি জানি, আমার মুক্তিকর্তা জীবিত; তিনি শেষে ধূলির উপরে উঠিয়া দাঁড়াইবেন।আর আমার চর্ম এইরূপে বিনষ্ট হইলে পর, তবু আমি মাংসবিহীন হইয়া ঈশ্বরকে দেখিব।
ভাল, সেই সন্তানগণ যখন রক্তমাংসের ভাগী, তখন তিনি নিজেও তদ্রূপ তাহার ভাগী হইলেন; যেন মৃত্যু দ্বারা মৃত্যুর কর্তৃত্ববিশিষ্ট ব্যক্তিকে অর্থাৎ দিয়াবলকে শক্তিহীন করেন,এবং যাহারা মৃত্যুর ভয়ে যাবজ্জীবন দাসত্বের অধীন ছিল, তাহাদিগকে উদ্ধার করেন।
কিন্তু ঈশ্বর পাতালের হস্ত হইতে আমার প্রাণ মুক্ত করিবেন; কেননা তিনি আমাকে গ্রহণ করিবেন। [সেলা]
তুমি কি মৃতগণের পক্ষে আশ্চর্য ক্রিয়া করিবে? প্রেতগণ কি উঠিয়া তোমার স্তব গান করিবে? [সেলা]কবরের মধ্যে কি তোমার দয়া, বিনাশস্থানে কি তোমার বিশ্বস্ততা প্রচারিত হইবে?অন্ধকারে কি তোমার আশ্চর্য ক্রিয়া, বিস্মৃতির দেশে কি তোমার ধর্মশীলতা জানা যাইবে?
এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কেননা যে দণ্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্র আসিবেন।
তবে কাহাকে ভয় করিবে, তাহা বলিয়া দিই; বধ করিয়া পশ্চাৎ নরকে নিক্ষেপ করিতে যাঁহার ক্ষমতা আছে, তাঁহাকেই ভয় কর; হাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তাঁহাকেই ভয় কর।
ধার্মিক বিনষ্ট হইতেছে, কিন্তু কেহ সেই বিষয়ে মনোযোগ করে না; সাধু মনুষ্যগণকে চয়ন হইয়া যাইতেছে, কিন্তু কেহ বিবেচনা করে না যে, বিপদের সম্মুখ হইতে ধার্মিককে চয়ন করা যাইতেছে।তোমার যাতায়াতের আধিক্য প্রযুক্ত পথশ্রান্তা হইয়াছিলে, তথাপি ‘আশা নাই’ ইহা বল নাই; তোমার হস্তের নাড়ী টের পাইয়াছ, এই জন্য তুমি ক্লান্তা হও নাই।বল দেখি, কাহা হইতে এমন ত্রাসযুক্তা ও ভীতা হইয়াছ যে, মিথ্যা কথা বলিতেছ, এবং আমাকে ভুলিয়া গিয়াছ, মনে স্থান দেও নাই? আমি কি চিরকালাবধি নীরব রহি নাই, তাই বুঝি আমাকে ভয় কর না?আমি তোমার ধার্মিকতার তত্ত্ব দেখাইব! আর তোমার কার্য সকল! সেই সকল তোমার উপকারী হইবে না।তুমি যখন ক্রন্দন কর, তখন তোমার সঞ্চিত [পুত্তলিগণ] তোমাকে উদ্ধার করুক। কিন্তু বায়ু তাহাদিগকে উড়াইয়া লইবে, একটি নিশ্বাস সেই সকলকে লইয়া যাইবে; কিন্তু যে ব্যক্তি আমার শরণাপন্ন সে দেশাধিকার পাইবে, ও আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করিবে।আর বলা হইবে, উচ্চ কর, উচ্চ কর, পথ পরিষ্কার কর, আমার প্রজাগণের পথ হইতে বিঘ্ন দূর কর।কেননা যিনি উচ্চ ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁহার নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা কহেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্রাত্মা মনুষ্যের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্রদের আত্মাকে সঞ্জীবিত করি ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।কারণ আমি নিত্য বিবাদ করিব না, সর্বদা ক্রোধ করিব না; করিলে আত্মা, এবং আমার নির্মিত প্রাণী সকল, আমার সম্মুখে মূর্চ্ছাপন্ন হইবে।তাহার লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হইলাম ও তাহাকে আঘাত করিলাম, আপন [মুখ] লুকাইয়া ক্রোধ করিলাম, তথাপি সে বিমুখ হইয়া আপন মনের মত পথে চলিল।আমি তাহার পথ সকল দেখিয়াছি, আর তাহাকে সুস্থ করিব; আমি তাহার পথপ্রদর্শকও হইব, এবং তাহাকে ও তাহার শোকাকুলদিগকে সান্ত্বনারূপ ধন দিব।আমি ওষ্ঠাধরের ফল সৃষ্টি করি; শান্তি নিকটবর্তী ও দূরবর্তী উভয়েরই শান্তি, ইহা সদাপ্রভু কহেন; হাঁ, আমি তাহাকে সুস্থ করিব!সে শান্তিতে প্রবেশ করে; সরলপথ-গামীরা প্রত্যেকে আপন আপন শয্যার উপরে বিশ্রাম করে।
কেননা তাঁহার ক্রোধ নিমেষমাত্র থাকে, তাঁহার অনুগ্রহেতেই জীবন; সন্ধ্যাকালে রোদন অতিথি রূপে আইসে, কিন্তু প্রাতঃকালে আনন্দ উপস্থিত হয়।
আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রের মধ্যে আছে।পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।ফলতঃ আপন মাংসের উদ্দেশে যে বুনে, সে মাংস হইতে ক্ষয়রূপ শস্য পাইবে; কিন্তু আত্মার উদ্দেশে যে বুনে, সে আত্মা হইতে অনন্ত-জীবনরূপ শস্য পাইবে।
তাহার আয়ুর দিন নিরূপিত, তাহার মাসের সংখ্যা তোমার কাছে আছে, তুমি তাহার অলঙ্ঘনীয় সীমা স্থাপন করিয়াছ।