পৃথিবীর সবচেয়ে মহান ব্যক্তি, তাঁকেও প্রতারণার শিকার হতে হয়েছিল। যাঁর হৃদয় ছিল একেবারে পবিত্র, যাঁর মধ্যে কোনো পাপ ছিল না, তিনিও অনেকের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছিলেন। তবুও তিনি তাঁর ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন। যীশু নাজিরী, তোমাকে আমাকে সবাইকে ভালোবেসেছিলেন, অথচ অনেকেই তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। আমিও, তুমিও হয়তো জেনে-অজান্তে তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি।
কিন্তু তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, ক্ষমা হচ্ছে প্রতারণার যন্ত্রণার একমাত্র প্রতিষেধক। মনের মধ্যে কোনো রাগ, বিদ্বেষ পুষে রেখো না। যীশুর পবিত্র পদাঙ্ক অনুসরণ করলে, পরমপিতা ঈশ্বর তোমাকে পুরস্কৃত করবেন।
ক্রুশের উপর যীশুর আত্মত্যাগ আর তাঁর অসীম ভালোবাসায় নিজেকে বিলিয়ে দাও। দেখবে, তোমার মন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে, নতুন প্রভাতের আলোয় তুমি আবার হাসতে পারবে। ঈশ্বরকে তোমার জীবনে কাজ করতে দাও।
আর ভ্রাতা ভ্রাতাকে ও পিতা সন্তানকে মৃত্যুতে সমর্পণ করিবে; এবং সন্তানেরা মাতা-পিতার বিপক্ষে উঠিয়া তাঁহাদিগকে বধ করাইবে।
কিন্তু এই সমস্ত ঘটিল, যেন ভাববাদিগণের লিখিত বচনগুলি পূর্ণ হয়। তখন শিষ্যেরা সকলে তাঁহাকে ছাড়িয়া পলাইয়া গেলেন।
কোন শত্রু যে আমাকে তিরস্কার করিয়াছে তাহা নয়, করিলে আমি তাহা সহিতে পারিতাম; বিদ্বেষীও আমার বিরুদ্ধে দর্প করে নাই, করিলে তাহা হইতে আপনাকে লুকাইতাম।কিন্তু, আমার সমকক্ষ মনুষ্য যে তুমি, আমার মিত্র ও আমার আত্মীয়, তুমিই তাহা করিয়াছ।আমরা একত্র হইয়া মধুর মন্ত্রণা করিতাম, আমরা সদলে ঈশ্বরের গৃহে গমন করিতাম।
যে অপবাদকারী হইয়া বেড়ায়, সে গুপ্ত কথা ব্যক্ত করে; যাহার মুখ আল্গা, তাহার সহিত ব্যবহার করিও না।
তখন বারো জনের মধ্যে একজন, যাহাকে ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা বলা যায়, সে প্রধান যাজকদের নিকটে গিয়া কহিল,আমাকে কি দিতে চান, বলুন, আমি তাহাকে আপনাদের হস্তে সমর্পণ করিব। তাহারা তাহাকে ত্রিশ রৌপ্যখণ্ড তৌল করিয়া দিল,আর সেই সময় অবধি সে তাঁহাকে সমর্পণ করিবার জন্য সুযোগ অন্বেষণ করিতে লাগিল।
বস্তুতঃ তোমার ভ্রাতৃগণ ও তোমার পিতৃকুল, তাহারাই তোমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে, তাহারাই তোমার পশ্চাতে ‘ধর ধর’ বলিয়া ডাকিতেছে; তাহারা তোমাকে ভাল ভাল কথা কহিলেও তাহাদের কথায় বিশ্বাস করিও না।
কেবলমাত্র তোমার এই অপরাধ স্বীকার কর যে, তুমি আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অধর্মাচরণ করিয়াছ, ও প্রত্যেক হরিৎপর্ণ বৃক্ষের তলে বিদেশীদের সহিত আপন আচার ভ্রষ্ট করিয়াছ, আর তোমরা আমার রবে অবধান কর নাই, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
তাহার ভাববাদিগণ দাম্ভিক ও বিশ্বাসঘাতক, তাহার যাজকগণ পবিত্রকে অপবিত্র করিয়াছে, তাহারা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অত্যাচার করিয়াছে।
তিনি বলিলেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাইতেছি, আর মনুষ্যপুত্র প্রধান যাজক ও অধ্যাপকগণের হস্তে সমর্পিত হইবেন; এবং তাহারা তাঁহার প্রাণদণ্ড বিধান করিবে, এবং পরজাতীয়দের হস্তে তাঁহাকে সমর্পণ করিবে।আর তাহারা তাঁহাকে বিদ্রূপ করিবে, তাঁহার মুখে থুথু দিবে, তাঁহাকে কোড়া মারিবে ও বধ করিবে; আর তিন দিন পরে তিনি আবার উঠিবেন।
কেননা দীমা এই বর্তমান যুগ ভালবাসাতে আমাকে ত্যাগ করিয়াছে, এবং থিষলনীকীতে গিয়াছে; ক্রীষ্কেন্ত গালাতিয়াতে, তীত দাল্মাতিয়াতে গিয়াছেন;
কেননা আমার প্রজাবৃন্দ দুইটি দোষ করিয়াছে; জীবন্ত জলের উনুই যে আমি, আমাকে তাহারা ত্যাগ করিয়াছে; আর আপনাদের জন্য কূপ খনন করিয়াছে, সেইগুলি ভগ্ন কূপ, জলাধার হইতে পারে না।
রূবেণ, তুমি আমার প্রথমজাত, আমার বল ও আমার শক্তির প্রথম ফল, মহিমার প্রাধান্য ও পরাক্রমের প্রাধান্য।হিত্তীয় ইফ্রোণের ক্ষেত্রস্থিত গুহাতে আমার পিতৃপুরুষদের নিকটে আমার কবর দিও; সেই গুহা কনান দেশে মম্রির সম্মুখস্থ মক্পেলা ক্ষেত্রে স্থিত; অব্রাহাম হিত্তীয় ইফ্রোণের নিকট হইতে তাহা কবরস্থানের অধিকারের জন্য কিনিয়াছিলেন।সেই স্থানে অব্রাহামের ও তাঁহার স্ত্রী সারার কবর হইয়াছে, সেই স্থানে ইস্হাকের ও তাঁহার স্ত্রী রিবিকার কবর হইয়াছে, এবং সেই স্থানে আমিও লেয়ার কবর দিয়াছি;সেই ক্ষেত্র ও তাহার মধ্যবর্তী গুহা হেতের সন্তানদের নিকট হইতে ক্রয় করা হইয়াছিল।যাকোব আপন পুত্রদের প্রতি আদেশ সমাপ্ত করিলে পর শয্যাতে দুই চরণ একত্র করিলেন, ও প্রাণত্যাগ করিয়া আপন লোকদের নিকটে সংগৃহীত হইলেন।তুমি [তপ্ত] জলবৎ চপল, তোমার প্রাধান্য থাকিবে না; কেননা তুমি আপন পিতার শয্যায় গিয়াছিলে; তখন অপবিত্র কর্ম করিয়াছিলে; সে আমার শয্যায় গিয়াছিল।
পরে অবশালোম আপন চাকরদিগকে এই আজ্ঞা দিল, দেখিও, দ্রাক্ষারসে অম্নোনের চিত্ত প্রফুল্ল হইলে যখন আমি তোমাদিগকে বলিব, অম্নোনকে মার, তখন তোমরা তাহাকে বধ করিও, ভীত হইও না। আমি কি তোমাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই? তোমরা সাহস কর, বীর্যবান হও।পরে অবশালোমের চাকরেরা অম্নোনের প্রতি অবশালোমের আজ্ঞামত কর্ম করিল। তখন রাজপুত্রগণ সকলে উঠিয়া আপন আপন খচ্চরে চড়িয়া পলায়ন করিল।
ঐ ব্যক্তি আপন মিত্রদের বিরুদ্ধে হস্ত তুলিয়াছে, আপনার নিয়ম লঙ্ঘন করিয়াছে।তাহার মুখ নবনীতের ন্যায় কোমল, কিন্তু তাহার অন্তঃকরণ যুদ্ধময়; তাহার বাক্য সকল তৈল অপেক্ষা চিক্কণ, তথাপি সেই সকল বিকোষিত খড়্গস্বরূপ।
ভ্রাতৃগণ, আমি তোমাদিগকে বিনতি করিতেছি, তোমরা যে শিক্ষা পাইয়াছ, তাহার বিপরীতে যাহারা দলাদলি ও বিঘ্ন জন্মায়, তাহাদিগকে চিনিয়া রাখ ও তাহাদের হইতে দূরে থাক।কেননা এই প্রকার লোকেরা আমাদের প্রভু খ্রীষ্টের দাসত্ব করে না, কিন্তু আপন আপন উদরের দাসত্ব করে, এবং মধুর বাক্য ও স্তুতিবাদ দ্বারা সরল লোকদের মন ভুলায়।
তাহারা আমার উপরে হিতের পরিবর্তে অহিত, আমার প্রেমের পরিবর্তে দ্বেষ রাখিয়াছে।তুমি সেই ব্যক্তির উপরে দুর্জনকে নিযুক্ত কর; বিপক্ষ তাহার দক্ষিণে দাঁড়াইয়া থাকুক।বিচার সময়ে সে দোষীকৃত হউক, তাহার প্রার্থনা পাপরূপে গণিত হউক।তাহার আয়ু অল্প হউক, অন্য ব্যক্তি তাহার অধ্যক্ষপদ প্রাপ্ত হউক।
তুমি যে ধ্বংসিত না হইয়াও ধ্বংস করিতেছ, প্রতারিত না হইয়াও প্রতারণা করিতেছ, ধিক্ তোমাকে; ধ্বংস-কার্য সমাপ্ত করিলে পর তুমি ধ্বংসিত হইবে, প্রতারণা করিয়া শেষ করিলে পর লোকে তোমাকে প্রতারণা করিবে।
আমার সকল শত্রু হেতু আমি নিন্দাস্পদ, আমার প্রতিবাসীদের কাছে অতিশয় নিন্দাস্পদ, ও আমার পরিচিতদের কাছে ভয়ঙ্কর হইয়াছি; পথে আমাকে দেখিয়া লোকেরা পলায়ন করিয়াছে।
তোমরা ভ্রান্ত হইও না, ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না; কেননা মনুষ্য যাহা কিছু বুনে তাহাই কাটিবে।
আইস, আমাদের প্রত্যাশার অঙ্গীকার দৃঢ় করিয়া ধরি, কেননা যিনি প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তিনি বিশ্বস্ত;
কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে।কিন্তু তুমি আমার শিক্ষা, আচার-ব্যবহার, সঙ্কল্প, বিশ্বাস, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, প্রেম, ধৈর্য, নানাবিধ তাড়না ও দুঃখভোগের অনুসরণ করিয়াছ;আন্তিয়খিয়াতে, ইকনিয়ে, লুস্ত্রায় আমার প্রতি কি কি ঘটিয়াছিল; কত তাড়না সহ্য করিয়াছি। আর সেই সমস্ত হইতে প্রভু আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন।আর যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।কিন্তু তুমি যাহা যাহা শিখিয়াছ ও যাহার যাহার প্রমাণ জ্ঞাত হইয়াছ, তাহাতেই স্থির থাক; তুমি ত জান যে, কাহাদের কাছে শিখিয়াছ।আরও জান, তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সেই সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে।ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী,যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্মের জন্য সুসজ্জিভূত হয়।কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু,স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়, প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী,বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে।লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; তুমি এইরূপ লোকদের হইতে সরিয়া যাও।
সদাপ্রভু, ত্রাণ কর, কেননা সাধু লোপ পাইল; মনুষ্য-সন্তানদের মধ্যে বিশ্বসনীয় লোক শেষ হইল।প্রতিজন প্রতিবাসীর সহিত অলীক কথা কহে; চাটুবাদী ওষ্ঠাধরে ও দ্বিধাচিত্তে কথা কহে।
কারণ তাহারা পড়িলে একজন আপন সঙ্গীকে উঠাইতে পারে; কিন্তু ধিক্ তাহাকে, যে একাকী, কেননা সে পড়িলে তাহাকে তুলিতে পারে, এমন দোসর কেহই নাই।
হে সদাপ্রভু, উঠ, তাহাকে প্রতিরোধ কর, তাহাকে পাড়িয়া ফেল, তোমার খড়্গ দ্বারা দুষ্ট লোক হইতে আমার প্রাণ বাঁচাও। সদাপ্রভু, তোমার হস্ত দ্বারা মনুষ্যদের হইতে, সাংসারিক মনুষ্যদের হইতে, আমাকে বাঁচাও, তাহাদের দায়াংশ এই জীবনে; তুমি নিজ ধনে তাহাদের উদর পূর্ণ করিতেছ; তাহারা সন্তানে তৃপ্ত হয়, আপন আপন শিশুদের নিমিত্ত আপনাদের অবশিষ্ট সমপত্তি রাখিয়া যায়।
তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন বন্ধু হইতে সাবধান থাক, কোন ভ্রাতাকেও বিশ্বাস করিও না, কেননা প্রত্যেক ভ্রাতা নিতান্তই প্রতারণা করে, প্রত্যেক বন্ধু পরিবাদ করিয়া বেড়ায়।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।
তখন যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, এই রাত্রিতে তোমরা সকলে আমাতে বিঘ্ন পাইবে; কেননা লেখা আছে, “আমি পালরক্ষককে আঘাত করিব, তাহাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হইয়া যাইবে।”কিন্তু উত্থিত হইলে পর আমি তোমাদের অগ্রে গালীলে যাইব।
কারণ এখন অবধি এক বাটীতে পাঁচ জন ভিন্ন হইবে, তিন জন দুই জনের বিপক্ষে,ও দুই জন তিন জনের বিপক্ষে; পিতা পুত্রের বিপক্ষে, এবং পুত্র পিতার বিপক্ষে; মাতা কন্যার বিপক্ষে, এবং কন্যা মাতার বিপক্ষে; শাশুড়ী বধূর বিপক্ষে, এবং বধূ শাশুড়ীর বিপক্ষে ভিন্ন হইবে।
কিন্তু কৈফা যখন আন্তিয়খিয়ায় আসিলেন, তখন আমি মুখের উপরেই তাঁহার প্রতিরোধ করিলাম, কারণ তিনি দোষী হইয়াছিলেন।ফলতঃ যাকোবের নিকট হইতে কয়েক জনের আসিবার পূর্বে তিনি পরজাতীয়দের সহিত আহার ব্যবহার করিতেন, কিন্তু উহারা আসিলে পর তিনি ছিন্নত্বক্দের ভয়ে পিছাইয়া পড়িতে ও আপনাকে পৃথক রাখিতে লাগিলেন।আর তাঁহার সহিত অন্য সকল যিহূদীও কপট ব্যবহার করিল; এমন কি, বার্ণবাও তাঁহাদের কাপট্যের টানে আকর্ষিত হইলেন।
আমি কহিলাম, আহা! যদি কপোতের ন্যায় আমার পক্ষ হইত, তবে আমি উড়িয়া গিয়া সুস্থির হইতাম;দেখ, আমি ভ্রমণ করিয়া দূরে যাইতাম, প্রান্তরে প্রবাস করিতাম; [সেলা]আমি ত্বরায় রক্ষার্থে পলায়ন করিতাম, প্রচণ্ড বায়ু ও ঝটিকা হইতে পলায়ন করিতাম।
কারণ আমার প্রজাদের মধ্যে দুষ্ট লোক পাওয়া যায়, তাহারা ব্যাধের ন্যায় হেঁট হইয়া লুকাইয়া থাকে, তাহারা ফাঁদ পাতে ও মানুষ ধরে।পিঞ্জর যেমন পক্ষীতে পরিপূর্ণ, তদ্রূপ তাহাদের বাটী ছলে পরিপূর্ণ; এই জন্য তাহারা উন্নত ও ধনবান হইয়াছে;তাহারা স্থূলকায় ও চাকচিক্যশালী হইয়াছে; হাঁ, তাহারা দুষ্টতার রীতি অপেক্ষাও পাপ করে, তাহারা বিচার করে না, পিতৃহীনের কল্যাণার্থে বিচার করে না, ও দরিদ্রদের বিচার নিষপত্তি করে না।
আমি অলীক লোকদের সঙ্গে বসি নাই, আমি ছদ্মবেশীদের সঙ্গে চলিব না।আমি দুরাচারদের সমাজ ঘৃণা করি, দুষ্টগণের সঙ্গে বসিব না।
কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক বিশ্বাস হইতে বিপথগামী হইয়াছে, এবং অনেক যাতনারূপ কণ্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।
সতী নগরী কেমন বেশ্যা হইয়াছে। সে ত ন্যায়বিচারে পূর্ণা ছিল। ধার্মিকতা তাহাতে বাস করিত, কিন্তু এখন হত্যাকারী লোকেরা থাকে।
মৃত মক্ষিকাদের দ্বারা বণিকের সুগন্ধি তৈল দুর্গন্ধ হয় ও মাতিয়া উঠে; প্রজ্ঞা ও সম্মান অপেক্ষা যৎকিঞ্চিৎ অজ্ঞানতা গুরুভার।
আর প্রজালোক যেমন আইসে, তেমনি তাহারা তোমার কাছে আইসে, আমার প্রজা বলিয়া তোমার সম্মুখে বসে, ও তোমার বাক্য সকল শুনে, কিন্তু তাহা পালন করে না; কেননা মুখে তাহারা বিলক্ষণ প্রেম দেখায়,
যে অধর্ম আচ্ছাদন করে, সে প্রেমের অন্বেষণ করে; কিন্তু যে পুনঃ পুনঃ এক কথা বলে, সে মিত্রভেদ জন্মায়।
কিন্তু হে ঈশ্বর, তুমিই উহাদিগকে বিনাশের কূপে নামাইবে; রক্তপাতী ও ছলপ্রিয়েরা আয়ুর অর্ধকালও বাঁচিবে না; কিন্তু আমি তোমার উপরে নির্ভর করিব।
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
ভ্রাতৃগণ, দেখিও, পাছে অবিশ্বাসের এমন মন্দ হৃদয় তোমাদের কাহারও মধ্যে থাকে যে, তোমরা জীবন্ত ঈশ্বর হইতে সরিয়া পড়।
কিন্তু তোমরা যদি পরস্পর দংশন ও গ্রাস কর, তবে দেখিও, যেন পরসপরের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হও।
আর বিচার পশ্চাতে হটিয়া পড়িয়াছে, এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়াইয়া রহিয়াছে; বস্তুতঃ চকে সত্য উছোট খাইয়া পড়িয়াছে, ও সরলতা প্রবেশ করিতে পায় না।সত্য হারাইয়া গিয়াছে, দুষ্কর্মত্যাগী লোক লুণ্ঠিত হইতেছে।
তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহার অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে।
কেননা সদাপ্রভু ন্যায়বিচার ভালবাসেন; তিনি আপন সাধুগণকে পরিত্যাগ করেন না; তাহারা চিরকাল রক্ষিত হয়; কিন্তু দুষ্টদের বংশ উচ্ছিন্ন হইবে।
কেননা তাহারা ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই লোভে লুব্ধ, ভাববাদী ও যাজক সকলেই কপটাচার করে।আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে।
আর তৎকালে অনেকে বিঘ্ন পাইবে, একজন অন্য জনকে সমর্পণ করিবে, একজন অন্য জনকে দ্বেষ করিবে।আর অনেক ভাক্ত ভাববাদী উঠিয়া অনেককে ভুলাইবে।আর অধর্মের বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হইয়া যাইবে।কিন্তু যে কেহ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকিবে, সেই পরিত্রাণ পাইবে।
উহারা কেবল তাহার উচ্চপদ হইতে তাহাকে নিপাত করিবার মন্ত্রণা করিতেছে; উহারা মিথ্যা কথায় আমোদ করে, উহারা মুখে আশীর্বাদ করে, কিন্তু অন্তরে শাপ দেয়। [সেলা]
তিনি কথা কহিতেছেন, এমন সময়ে দেখ, অনেক লোক, এবং যাহার নাম যিহূদা- সেই বারো জনের মধ্যে একজন- সে তাহাদের আগে আগে আসিতেছে; সে যীশুকে চুম্বন করিবার জন্য তাঁহার নিকটে আসিল।কিন্তু যীশু তাঁহাকে কহিলেন, যিহূদা, চুম্বন দ্বারা কি মনুষ্যপুত্রকে সমর্পণ করিতেছ?
কর্ণেজপ, পরীবাদক, ঈশ্বর-ঘৃণাকারী, দুর্বিনীত, উদ্ধত, আত্মশ্লাঘী, মন্দ বিষয়ের উৎপাদক, পিতামাতার অনাজ্ঞাবহ,
কারণ সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পাইলে পর যদি আমরা স্বেচ্ছাপূর্বক পাপ করি, তবে পাপার্থক আর কোন যজ্ঞ অবশিষ্ট থাকে না,কেবল থাকে বিচারের ভয়ঙ্কর প্রতীক্ষা এবং বিপক্ষদিগকে গ্রাস করিতে উদ্যত অগ্নির চণ্ডতা।
যাহার দৃষ্টিতে পামর তুচ্ছনীয় হয়; যে সদাপ্রভুর ভয়কারীদিগকে মান্য করে, দিব্য করিলে ক্ষতি হইলেও অন্যথা করে না;
ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে, তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।
আমি প্রহারকদের প্রতি আপন পৃষ্ঠ, যাহারা দাড়ি উপড়াইয়াছে, তাহাদের প্রতি আপন গাল পাতিয়া দিলাম, অপমান ও থুথু হইতে আপন মুখ আচ্ছাদন করিলাম না।
যে দ্বেষ করে, সে ওষ্ঠাধরে ভাণ করে, কিন্তু মনের মধ্যে ছল রাখে;তাহার রব মধুময় হইলে তাহাকে বিশ্বাস করিও না, কারণ তাহার হৃদয়মধ্যে সাতটা ঘৃণার্হ বস্তু থাকে।যদিও তাহার দ্বেষ কপটতায় আচ্ছন্ন, তাহার দুষ্টামি সমাজে প্রকাশিত হইবে।
যে জন গোপনে প্রতিবাসীর পরীবাদ করে, তাহাকে আমি উচ্ছেদ করিব; যাহার সাহংকার দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়, তাহাকে সহ্য করিব না।
তখন যে তাঁহাকে সমর্পণ করিবে, সেই যিহূদা বলিল, রব্বি, সে কি আমি? তিনি তাঁহাকে কহিলেন, তুমিই বলিলে।
অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের আচার-ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করিব, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। তোমরা ফির, আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম হইতে মন ফিরাও, তাহাতে তাহা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হইবে না।তোমরা আপনাদের কৃত সমস্ত অধর্ম আপনাদের হইতে দূরে ফেলিয়া দেও, এবং আপনাদের জন্য নূতন হৃদয় ও নূতন আত্মা প্রস্তুত কর; কেননা, হে ইস্রায়েল-কুল, তোমরা কেন মরিবে?কারণ যে মরে, তাহার মরণে আমার কিছু সন্তোষ নাই, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; অতএব তোমরা মন ফিরাইয়া বাঁচ।
কেননা যাহারা একবার দীপ্তিপ্রাপ্ত হইয়াছে, ও স্বর্গীয় দানের রসাস্বাদন করিয়াছে, ও পবিত্র আত্মার ভাগী হইয়াছে,এবং ঈশ্বরের মঙ্গলবাক্যের ও ভাবী যুগের নানা পরাক্রমের রসাস্বাদন করিয়াছে,পরে ধর্মভ্রষ্ট হইয়াছে, মনপরিবর্তনার্থে আবার তাহাদিগকে নূতন করিতে পারা যায় না; কেননা তাহারা আপনাদের বিষয়ে ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশে নিন্দাসপদ করে।
মনুষ্যে নির্ভর করণাপেক্ষা সদাপ্রভুর শরণ লওয়া উত্তম। প্রধানবর্গে নির্ভর করণাপেক্ষা সদাপ্রভুর শরণ লওয়া উত্তম।
যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
গুপ্তরূপে আনীত সেই কয়েক জন ভাক্ত ভ্রাতার জন্য এইরূপ হইল; খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের যে স্বাধীনতা আছে, তাহার ছিদ্রান্বেষণ করিবার জন্য তাহারা গুপ্তরূপে প্রবেশ করিয়াছিল, যেন আমাদিগকে দাস করিয়া রাখিতে পারে।
আমার শত্রুগণ আমার বিরুদ্ধে হিংসার কথা কহে- ‘সে কখন মরিবে? কখন তাহার নাম লুপ্ত হইবে?’আর যদি কেহ আমাকে দেখিতে আইসে, তবে সে অলীক কথা কহে; তাহার হৃদয় তাহার জন্য অধর্ম সঞ্চয় করে, সে বাহিরে গিয়া তাহা বলিয়া বেড়ায়।
আর, হে আমার বন্ধুরা, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যাহারা শরীর বধ করিয়া পশ্চাৎ আর কিছু করিতে পারে না, তাহাদিগকে ভয় করিও না।তোমরাও প্রস্তুত থাক; কেননা যে দণ্ড মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্র আসিবেন।তখন পিতর বলিলেন, প্রভু, আপনি কি আমাদিগকে, না সকলকেই এই দৃষ্টান্ত বলিতেছেন?প্রভু কহিলেন, সেই বিশ্বস্ত, সেই বুদ্ধিমান গৃহাধ্যক্ষ কে, যাহাকে তাহার প্রভু নিজ পরিজনদের উপরে নিযুক্ত করিবেন, যেন সে তাহাদিগকে উপযুক্ত সময়ে খাদ্যের নিরূপিত অংশ দেয়?ধন্য সেই দাস, যাহাকে তাহার প্রভু আসিয়া সেইরূপ করিতে দেখিবেন।আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, তিনি তাহাকে আপন সর্বস্বের অধ্যক্ষ করিয়া নিযুক্ত করিবেন।কিন্তু সেই দাস যদি মনে মনে বলে, আমার প্রভুর আসিবার বিলম্ব আছে, এবং সে দাস-দাসীদিগকে প্রহার করিতে, ভোজন পান করিতে ও মত্ত হইতে আরম্ভ করে,তবে যে দিন সে অপেক্ষা না করিবে, ও যে দণ্ড সে না জানিবে, সেই দিন সেই দণ্ডে সেই দাসের প্রভু আসিবেন, এবং তাহাকে দ্বিখণ্ড করিয়া অবিশ্বস্তদের মধ্যে তাহার অংশ নিরূপণ করিবেন।আর সেই দাস, যে নিজ প্রভুর ইচ্ছা জানিয়াও প্রস্তুত হয় নাই, ও তাঁহার ইচ্ছানুযায়ী কর্ম করে নাই, সে অনেক প্রহারে প্রহারিত হইবে।কিন্তু যে না জানিয়া প্রহারের যোগ্য কর্ম করিয়াছে, সে অল্প প্রহারে প্রহারিত হইবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে অধিক দত্ত হইয়াছে, তাহার নিকটে অধিক দাবি করা যাইবে; এবং লোকে যাহার কাছে অধিক রাখিয়াছে, তাহার নিকটে অধিক চাহিবে।আমি পৃথিবীতে অগ্নি নিক্ষেপ করিতে আসিয়াছি; আর এখন যদি তাহা প্রজ্বলিত হইয়া থাকে, তবে আর চাই কি?তবে কাহাকে ভয় করিবে, তাহা বলিয়া দিই; বধ করিয়া পশ্চাৎ নরকে নিক্ষেপ করিতে যাঁহার ক্ষমতা আছে, তাঁহাকেই ভয় কর; হাঁ, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তাঁহাকেই ভয় কর।
কারণ যখন দুষ্টদের কল্যাণ দেখিয়াছিলাম, তখন গর্বিতদের প্রতি ঈর্ষা করিয়াছিলাম।কেননা তাহারা মৃত্যুকালে যন্ত্রণা পায় না, বরং তাহাদের কলেবর হৃষ্টপুষ্ট।
কিন্তু আত্মা স্পষ্টই বলিতেছেন, উত্তরকালে কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদের মধ্যে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া বিশ্বাস হইতে সরিয়া পড়িবে।কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি; কেননা যিনি সমস্ত মনুষ্যের, বিশেষতঃ বিশ্বাসীবর্গের ত্রাণকর্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রত্যশা করিয়া আসিতেছি।তুমি এই সকল বিষয় আজ্ঞা কর ও শিক্ষা দেও।তোমার যৌবন কাহাকেও তুচ্ছ করিতে দিও না; কিন্তু বাক্যে, আচার ব্যবহারে, প্রেমে, বিশ্বাসে ও শুদ্ধতায় বিশ্বাসিগণের আদর্শ হও।আমি যত দিন না আইসি, তুমি পাঠ করিতে এবং প্রবোধ ও শিক্ষা দিতে নিবিষ্ট থাক।তোমার অন্তরস্থ সেই অনুগ্রহ-দান অবহেলা করিও না, যাহা ভাববাণী দ্বারা প্রাচীনবর্গের হস্তার্পণ সহকারে তোমাকে দত্ত হইয়াছে।এই সকল বিষয়ে চিন্তা কর, এই সকলে একনিষ্ঠ হও, যেন তোমার উন্নতি সকলের প্রত্যক্ষ হয়।আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এই সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।ইহা এমন মিথ্যাবাদীদের কপটতায় ঘটিবে, যাহাদের নিজ বিবেক তপ্ত লৌহের দাগের মত দাগযুক্ত হইয়াছে।
যে শাসন অমান্য করে, সে তাহার প্রাণকে তুচ্ছ করে; কিন্তু যে অনুযোগ শুনে, সে বুদ্ধি উপার্জন করে।
তাহারা ধার্মিকের প্রাণের বিরুদ্ধে দল বাঁধে, নির্দোষের রক্তকে দোষী করে।কিন্তু সদাপ্রভু আমার উচ্চ দুর্গ হইয়াছেন, আমার ঈশ্বর আমার আশ্রয়-শৈল হইয়াছেন।তিনি তাহাদের অধর্ম তাহাদেরই উপরে বর্তাইয়াছেন, তাহাদের দুষ্টতায় তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন; সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, তাহাদিগকে উচ্ছিন্ন করিবেন।
তাহা দূরে থাকুক, বরং ঈশ্বরকে সত্য বলিয়া স্বীকার করা যাউক, মনুষ্যমাত্র মিথ্যাবাদী হয়, হউক; যেমন লেখা আছে, “তুমি যেন তোমার বাক্যে ধর্মময় প্রতিপন্ন হও, এবং তোমার বিচারকালে বিজয়ী হও।”
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক;
প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,মাৎসর্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ। এই সকলের বিষয়ে আমি তোমাদিগকে অগ্রে বলিতেছি, যেমন পূর্বে বলিয়াছিলাম, যাহারা এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।
কিন্তু তোমাদের অপরাধ সকল তোমাদের ঈশ্বরের সহিত তোমাদের বিচ্ছেদ জন্মাইয়াছে, তোমাদের পাপ সকল তোমাদের হইতে তাঁহার শ্রীমুখ আচ্ছাদন করিয়াছে, এই জন্য তিনি শুনেন না।
এই ছয়টি বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সাতটি বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ;উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত,দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ,যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত করে।