আল্লাহর সৃষ্টির দিকে তাকালে, তাঁর হাতের অপূর্ব কাজ দেখলে, তাঁর অসীমতা আর নিখুঁত বিন্যাস দেখে আমরা অভিভূত হই। আদিকাল থেকেই মানুষ নানা দার্শনিক আর বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আর এর উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু বাইবেল আমাদের একটা অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
আদিপুস্তকের প্রথম কয়েকটা পদেই আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, পৃথিবী আর এর মধ্যে যা কিছু আছে সবকিছুর স্রষ্টা। "আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিলেন” (আদিপুস্তক ১:১)। এই সরল অথচ গভীর ঘোষণাটি প্রতিষ্ঠা করে যে, সমস্ত সৃষ্টির উৎপত্তি আল্লাহতে। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরম স্রষ্টার দ্বারা পরিকল্পিত ও বিন্যস্ত।
বাইবেল আমাদেরকে দৃশ্যমানের বাইরে তাকিয়ে সৃষ্টির পারলৌকিক উদ্দেশ্য বিবেচনা করতে বলে। গীতসংহিতা ১৯:১ পদে বলা হয়েছে, "আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব প্রচার করে, আর অনন্ত আকাশ তাঁর হস্তকৃত কর্ম্মের কথা ঘোষণা করে।" এখানে আমরা দেখি যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেবল ঐশ্বরিক মহিমার নীরব সাক্ষী নয়, বরং এটা মানুষের কাছে আল্লাহর উপস্থিতি এবং শক্তির কথাও জানান দেয়।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আমাদেরকে আল্লাহর মহিমা তাঁর সৃষ্টিতে প্রতিফলিত দেখতে অনুপ্রাণিত করে। আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, তা আমাদের স্রষ্টার ভালোবাসা, শক্তি এবং প্রজ্ঞার সাক্ষ্য, এটা বুঝতে আমাদের সাহায্য করে।
বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, যুগকলাপ ঈশ্বরের বাক্য দ্বারা রচিত হইয়াছে, সুতরাং কোন প্রত্যক্ষ বস্তু হইতে এই সকল দৃশ্য বস্তুর উৎপত্তি হয় নাই।
‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলই সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’
তিনি অব্রামকে আশীর্বাদ করিলেন, বলিলেন, অব্রাম স্বর্গমর্ত্যের অধিকারী পরাৎপর ঈশ্বরের আশীর্বাদপাত্র হউন,
আর হিষ্কিয় সদাপ্রভুর সম্মুখে প্রার্থনা করিলেন, কহিলেন, হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, করূবদ্বয়ে আসীন, তুমি, কেবলমাত্র তুমিই পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের ঈশ্বর; তুমিই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ।
কহিলেন, হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, করূবদ্বয়ে আসীন, তুমি, কেবল মাত্র তুমিই পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের ঈশ্বর; তুমিই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ।
তোমার মুক্তিদাতা এবং গর্ভাবধি তোমার গঠনকারী সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু সর্ববস্তু-নির্মাতা, আমি একাকী আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছি, আমি ভূতল বিছাইয়াছি; আমার সঙ্গী কে?
স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যাহা কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, যদি দিবস ও রাত্রি সম্বন্ধীয় আমার নিয়ম না থাকে, যদি আমি আকাশের ও পৃথিবীর বিধি সকল নিরূপণ না করিয়া থাকি,
সেই সময়ে যীশু এই কথা কহিলেন, হে পিতঃ, হে স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের নিকট হইতে এই সকল বিষয় গুপ্ত রাখিয়া শিশুদের নিকটে প্রকাশ করিয়াছ;
হা, প্রভু সদাপ্রভু! দেখ, তুমিই আপন মহাপরাক্রম ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছ; তোমার অসাধ্য কিছুই নাই।
কেবলমাত্র তুমিই সদাপ্রভু; তুমি স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তাহার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তথাকার সমস্ত এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ, আর তুমি তাহাদের সকলের স্থিতি করিতেছ, এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে প্রণিপাত করে।
আমি পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছি, ও পৃথিবীর উপরে মনুষ্যের সৃষ্টি করিয়াছি; আমি নিজ হস্তে আকাশমণ্ডল বিস্তীর্ণ করিয়াছি, এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীকে আজ্ঞা দিয়া আসিতেছি।
কেননা দেখ, তিনি পর্বতগণের নির্মাতা, ও বায়ুর সৃষ্টিকর্তা; তিনি মানুষের নিকটে তাহার চিন্তা প্রকাশ করেন; তিনি অরুণকে অন্ধকার করেন, ও পৃথিবীর উচ্চস্থলী সকলের উপর দিয়া গমনাগমন করেন; বাহিনীগণের ঈশ্বর সদাপ্রভু, এই তাঁহার নাম।
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।
যখন আমি পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করি, তখন তুমি কোথায় ছিলে? যদি তোমার বুদ্ধি থাকে তবে বল,যখন তাহারা গুহামধ্যে শয়ন করে, গুপ্ত স্থানে বসিয়া মৃগের অপেক্ষায় থাকে?কে দাঁড়কাককে আহার যোগাইয়া দেয়, যখন তাহার শাবকগণ ঈশ্বরের নিকটে আর্তরব করে, ও খাদ্যের অভাবে ভ্রমণ করে?তুমি কি জান, কে পৃথিবীর পরিমাণ নিরূপণ করিল? কে তাহার উপরে মানরজ্জু ধরিল?তাহার চুঙ্গী সকল কিসের উপরে স্থাপিত হইল? কে বা তাহার কোণের প্রস্তর বসাইল?তৎকালে প্রভাতীয় নক্ষত্রগণ একসঙ্গে আনন্দরব করিল, ঈশ্বরের পুত্রগণ সকলে জয়ধ্বনি করিল।
আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্মিত আকাশ-মণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি,[বলি,] মর্ত্য কি যে, তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্য-সন্তান বা কি যে, তাহার তত্ত্বাবধান কর?
সদাপ্রভু ঈশ্বর, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করিয়াছেন ও তাহা বিস্তার করিয়াছেন, যিনি ভূতল ও তদুৎপন্ন সমস্তই বিছাইয়াছেন, যিনি তন্নিবাসী সকলকে নিশ্বাস দেন, ও তথাকার সমস্ত জঙ্গমকে জীবাত্মা দেন, তিনি এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু ধর্মশীলতায় তোমাকে আহ্বান করিয়াছি,
ইহা পবিত্রতম কহেন। ঊর্ধ্বদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে? তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন; তাঁহার সামর্থের আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত তাহাদের একটিও অনুপস্থিত থাকে না।
পরে ঈশ্বর কহিলেন, রাত্রি হইতে দিবসকে বিভিন্ন করণার্থে আকাশমণ্ডলের বিতানে জ্যোতির্গণ হউক; সেই সমস্ত চিহ্নের জন্য, ঋতুর জন্য এবং দিবসের ও বৎসরের জন্য হউক;এবং পৃথিবীতে দীপ্তি দিবার জন্য দীপ বলিয়া তাহা আকাশমণ্ডলের বিতানে থাকুক; তাহাতে সেইরূপ হইল।ফলতঃ ঈশ্বর দিবসের উপরে কর্তৃত্ব করিতে এক মহাজ্যোতি ও রাত্রির উপরে কর্তৃত্ব করিতে তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এক জ্যোতি- এই দুই বৃহৎ জ্যোতি, এবং নক্ষত্রসমূহ নির্মাণ করিলেন।আর পৃথিবীতে দীপ্তি দিবার জন্য, এবং দিবস ও রাত্রির উপরে কর্তৃত্ব করণার্থে,এবং দীপ্তি হইতে অন্ধকার পৃথক করণার্থে ঈশ্বর ঐ জ্যোতিসমূূহকে আকাশমণ্ডলের বিতানে স্থাপন করিলেন এবং ঈশ্বর দেখিলেন যে, সেই সকল উত্তম।
যিনি বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল নির্মাণ করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি জলের উপরে ভূমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি বৃহৎ জ্যোতির্গণ নির্মাণ করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি দিনমানে কর্তৃত্ব করণার্থে সূর্য গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীরাত্রিতে কর্তৃত্ব করণার্থে চন্দ্র ও তারকামালা গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ যাবতীয় বস্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর।
হে সদাপ্রভু, স্বর্গ তোমার আশ্চর্য ক্রিয়ার, পবিত্রগণের সমাজে তোমার বিশ্বস্ততারও প্রশংসা করিবে।
[তাঁহার অন্বেষণ কর,] যিনি কৃত্তিকা ও মৃগশীর্ষ নির্মাণ করিয়াছেন, যিনি মৃত্যুচ্ছায়াকে প্রভাতে পরিণত করেন, যিনি দিনকে রাত্রির ন্যায় অন্ধকারময় করেন, যিনি সমুদ্রের জলসমূহকে আহ্বান করিয়া স্থলের উপর দিয়া বহান; তাঁহার নাম সদাপ্রভু।
সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন, বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি প্রাপ্ত হইবে।তাঁহার জ্ঞান দ্বারা গভীর জলধি সকল খুলিয়া গেল, আর আকাশ বিন্দু বিন্দু শিশির বর্ষণ করিল।
আমারই হস্ত পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছে, আমার দক্ষিণ হস্ত আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছে; আমি তাহাদিগকে ডাকিলে সেই সমস্ত একসঙ্গে দাঁড়ায়।
সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারা পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছেন, বুদ্ধি দ্বারা আকাশমণ্ডল অটল করিয়াছেন;
ইনি তাঁহার প্রতাপের প্রভা ও তত্ত্বের মুদ্রাঙ্ক, এবং আপন পরাক্রমের বাক্যে ধারণকর্তা হইয়া পাপ ধৌত করিয়া ঊর্ধ্বলোকে মহিমার দক্ষিণে উপবিষ্ট হইলেন।
তুমি পুরাকালে পৃথিবীর মূল স্থাপন করিয়াছ, আকাশমণ্ডলও তোমার হস্তের রচনা।সেই সকল বিনষ্ট হইবে, কিন্তু তুমি স্থির থাকিবে; সে সমস্ত বস্ত্রের ন্যায় জীর্ণ হইয়া পড়িবে, তুমি পরিচ্ছদের ন্যায় তাহাদিগকে খুলিবে, ও তাহাদের পরিবর্তন হইবে।কিন্তু তুমি যে সেই আছ, তোমার বৎসর সকল কখনও শেষ হইবে না।
তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; তন্নিবাসিগণ ফড়িঙ্গস্বরূপ; তিনি চন্দ্রাতপের ন্যায় আকাশমণ্ডল বিস্তার করেন, বাসতাম্বুর ন্যায় তাহা টাঙ্গাইয়া দেন।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্যন্ত যে সকল কার্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।
হে সূর্য ও চন্দ্র, তাঁহার প্রশংসা কর; হে দীপ্তিময় সমস্ত তারা, তাঁহার প্রশংসা কর।হে স্বর্গের স্বর্গ, তাঁহার প্রশংসা কর। হে আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্থিত জলসমূহ, তোমরাও তাঁহার প্রশংসা কর।ইহারা সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা তিনি আজ্ঞা করিলেন, আর ইহারা সৃষ্ট হইল;
পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার।সেই প্রতাপের রাজা কে? বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তিনিই প্রতাপের রাজা। [সেলা]কেননা তিনিই সমুদ্রগণের উপরে তাহা স্থাপন করিয়াছেন, নদীগণের উপরে তাহা দৃঢ় করিয়া রাখিয়াছেন।
কারণ ভূতল হইতে আকাশমণ্ডল যত উচ্চ, তোমাদের পথ হইতে আমার পথ, ও তোমাদের সঙ্কল্প হইতে আমার সঙ্কল্প তত উচ্চ।
পর্বতগণের জন্ম হইবার পূর্বে, তুমি পৃথিবী ও জগৎকে জন্ম দিবার পূর্বে, এমন কি, অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর।
দেখ, এই সকল তাহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জন কে বুঝিতে পারে?
সদাপ্রভু রাজত্ব করেন; তিনি মহিমাতে সজ্জিত; সদাপ্রভু সজ্জিত, তিনি পরাক্রমে বদ্ধকটি; আর জগৎও অটল, তাহা বিচলিত হইবে না।
কেননা প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়, কিন্তু যিনি সকলই সংস্থাপন করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।
কারণ দেখ, আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।
কে আপন করতলে জলরাশি মাপিয়াছে, বিঘত দিয়া আকাশমণ্ডল পরিমাণ করিয়াছে, পৃথিবীর ধুলা পালিতে ভরিয়াছে, পাল্লাতে পর্বতগণকে, ও নিক্তিতে উপপর্বতগণকে তৌল করিয়াছে ?
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, স্বর্গ হইতে সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; ঊর্ধ্বস্থানে তাঁহার প্রশংসা কর।বন্য পশুগণ ও সমস্ত গৃহপালিত পশু; সরীসৃপ ও উড্ডীয়মান পক্ষী সকল;পৃথিবীর রাজগণ ও সমস্ত জাতি; লোকপালগণ ও পৃথিবীর সকল বিচারকর্তা;যুবকগণ ও যুবতী সকল; বৃদ্ধগণ ও বালক-বালিকাসমূহ;সকলে সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা কেবল তাঁহারই নাম উন্নত, তাঁহার প্রভা পৃথিবীর ও স্বর্গের উপরিস্থ।আর তিনি আপন প্রজাদের জন্য এক শৃঙ্গ উত্তোলন করিয়াছেন, তাহা প্রশংসা-ভূমি, তাঁহার সমস্ত সাধুর নিমিত্ত, ইস্রায়েল-সন্তানদের নিমিত্ত, যাহারা তাঁহার নিকটস্থ প্রজা। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।হে তাঁহার সমস্ত দূত, তাঁহার প্রশংসা কর; হে তাঁহার সমস্ত বাহিনী, তাঁহার প্রশংসা কর।হে সূর্য ও চন্দ্র, তাঁহার প্রশংসা কর; হে দীপ্তিময় সমস্ত তারা, তাঁহার প্রশংসা কর।হে স্বর্গের স্বর্গ, তাঁহার প্রশংসা কর। হে আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্থিত জলসমূহ, তোমরাও তাঁহার প্রশংসা কর।ইহারা সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা তিনি আজ্ঞা করিলেন, আর ইহারা সৃষ্ট হইল;তিনি চিরকালের জন্য তাহাদিগকে স্থাপন করিয়াছেন, তিনি এক বিধি দিয়াছেন, কেহ তাহা উল্লঙ্ঘন করিবে না।
তথাপি আমাদের জ্ঞানে একমাত্র ঈশ্বর সেই পিতা, যাঁহা হইতে সকলই হইয়াছে, ও আমরা যাঁহারই জন্য; এবং একমাত্র প্রভু সেই যীশু খ্রীষ্ট, যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, এবং আমরা যাঁহারই দ্বারা বিদ্যমান আছি।
তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।তিনি রব ছাড়িলে আকাশে জলরাশির শব্দ হয়, তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে বাষপ উত্থাপন করেন; তিনি বৃষ্টির নিমিত্ত বিদ্যুৎ গঠন করেন, তিনি আপন ভাণ্ডার হইতে বায়ু বাহির করিয়া আনেন।
আর পৃথিবী-নিবাসিগণ সকলে অবস্তুবৎ গণ্য; তিনি স্বর্গীয় বাহিনীর ও পৃথিবী-নিবাসীদের মধ্যে আপন ইচ্ছানুসারে কার্য করেন; এবং এমন কেহ নাই যে, তাঁহার হস্ত থামাইয়া দিবে, কিম্বা তাঁহাকে বলিবে, তুমি কি করিতেছ?
পরে আমি “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।
দিবস তোমার, রাত্রিও তোমার; তুমিই জ্যোতিষ্ক ও সূর্য রচনা করিয়াছ।তুমিই পৃথিবীর সমস্ত সীমা স্থাপন করিয়াছ; তুমিই গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল করিয়াছ।
কেননা সদাপ্রভু আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সকলের মধ্যবর্তী সমস্ত বস্তু ছয় দিনে নির্মাণ করিয়া সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিলেন। এই জন্য সদাপ্রভু বিশ্রামদিনকে আশীর্বাদ করিলেন, ও পবিত্র করিলেন।
কেননা আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু, স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি এই কথা কহেন, আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
আর তোমার নির্মাতা সদাপ্রভুকে ভুলিয়া গিয়াছ, যিনি আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন, পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করিয়াছেন; এবং তুমি সমস্ত দিন অবিরত উপদ্রবীর ক্রোধ হেতু ভয় পাইতেছ, যখন সে বিনাশ করিতে প্রস্তুত হইয়াছে? উপদ্রবীর ক্রোধ কোথায়? ন্যুব্জ বন্দি শীঘ্রই মুক্ত হইবে;
পরে ঈশ্বর তাঁহার সৃষ্ট বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন, আর দেখ, সকলই অতি উত্তম। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে ষষ্ঠ দিবস হইল।
হে ইয়োব, আপনি ইহাতে কর্ণপাত করুন, স্থির থাকুন, ঈশ্বরের আশ্চর্য কার্য সকল বিবেচনা করুন।আপনি কি জানেন, ঈশ্বর কিরূপে এই সকলের উপরে ভার রাখেন, আর আপনি মেঘের দীপ্তি বিরাজমান করেন?আপনি কি মেঘমালার দোলন জানেন? পরম জ্ঞানীর আশ্চর্য ক্রিয়া সকল জানেন?
সদাপ্রভু এই কথা কহেন, স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পাদপীঠ; তোমরা আমার জন্য কিরূপ গৃহ নির্মাণ করিবে? আমার বিশ্রাম স্থান কোন্ স্থান?তোমরা যাহারা যিরূশালেমকে ভালবাস, তোমরা সকলে তাহার সহিত আনন্দ কর, তাহার বিষয়ে উল্লাস কর; তোমরা যাহারা তাহার জন্য শোকান্বিত, তোমরা সকলে তাহার সহিত অতিশয় প্রফুল্ল হও;যেন তোমরা তাহার সান্ত্বনারূপ স্তন চুষিয়া তৃপ্ত হও, যেন তাহাকে দোহন করিয়া তাহার প্রতাপ-বাহুল্যে আমোদিত হও।কারণ সদাপ্রভু এই কথা কহেন, দেখ, আমি তাহার দিকে নদীর ন্যায় শান্তি ও উত্থলিত বন্যার ন্যায় জাতিগণের প্রতাপ বহাইব, তাহাতে তোমরা স্তন্য পান করিবে, কক্ষদেশে করিয়া তোমাদিগকে বহন করা যাইবে, হাঁটুর উপরে নাচান যাইবে।মাতা যেমন আপন পুত্রকে সান্ত্বনা করে, তেমনি আমি তোমাদিগকে সান্ত্বনা করিব; তোমরা যিরূশালেমে সান্ত্বনা পাইবে।এই সকল দেখিলে তোমাদের হৃদয় প্রফুল্ল হইবে, তোমাদের অস্থি সকল নবীন তৃণের ন্যায় সতেজ হইবে; এবং সদাপ্রভুর হস্ত আপন দাসদের পক্ষে আত্ম পরিচয় দিবে, আর তিনি আপন শত্রুদের প্রতি কুপিত হইবেন।কারণ দেখ, সদাপ্রভু অগ্নিসহ আগমন করিবেন, তাঁহার রথ সকল ঘূর্ণবায়ুর ন্যায় হইবে; তিনি মহাতাপে আপন ক্রোধ, প্রজ্বলিত অগ্নি দ্বারা আপন ভর্ৎসনা কার্যে পরিণত করিবেন।কেননা সদাপ্রভু অগ্নি দ্বারা ও আপন খড়্গ দ্বারা সমস্ত মর্ত্যের সহিত আপনার বিবাদ নিষপন্ন করিবেন; আর সদাপ্রভু কর্তৃক অনেক লোক নিহত হইবে।যাহারা মধ্যবর্তী এক ব্যক্তির পশ্চাতে পশ্চাতে উদ্যানে [যাইবার জন্য] আপনাদের পবিত্র ও শুচি করে, শূকরের মাংস, ঘৃণ্য দ্রব্য ও মূষিক খায়, তাহারা একসঙ্গে বিনষ্ট হইবে, ইহা সদাপ্রভু কহেন।আমিই তাহাদের ক্রিয়া ও কল্পনা সকল [জানি]। [সেই সময়] উপস্থিত, যখন আমি সর্বজাতীয় ও সর্বভাষাবাদী লোককে সংগ্রহ করিব; তাহারা আসিয়া আমার প্রতাপ দর্শন করিবে।আর আমি তাহাদের মধ্যে এক চিহ্ন স্থাপন করিব; এবং তাহাদের মধ্য হইতে উত্তীর্ণ লোকদিগকে জাতিগণের কাছে, তর্শীশ, পূল ও ধনুর্ধর লূদ, এবং তূবল ও যবনের কাছে, যে দূরস্থ উপকূল সমূহ কখনও আমার খ্যাতি শুনে নাই ও আমার প্রতাপ দেখে নাই, তাহাদের কাছে প্রেরণ করিব; এবং তাহারা জাতিগণের মধ্যে আমার প্রতাপ জ্ঞাত করিবে।এ সকলই ত আমার হস্ত দ্বারা নির্মিত, তাই এই সকল উৎপন্ন হইল, ইহা সদাপ্রভু কহেন। কিন্তু এই ব্যক্তির প্রতি, অর্থাৎ যে দুঃখী, ভগ্নাত্মা ও আমার বাক্যে কম্পমান, তাহার প্রতি আমি দৃষ্টিপাত করিব।
কেননা যাঁহার কারণ সকলই ও যাঁহার দ্বারা সকলই হইয়াছে, ইহা তাঁহার উপযুক্ত ছিল যে, তিনি অনেক পুত্রকে প্রতাপে আনয়ন সম্বন্ধে তাহাদের পরিত্রাণের আদিকর্তাকে দুঃখভোগ দ্বারা সিদ্ধ করেন।
দেখ, জাতিগণ কলসের একটি জলবিন্দুর তুল্য, আর পাল্লাতে লগ্ন ধূলিকণার ন্যায় গণ্য; দেখ, তিনি দ্বীপ সকলকে একটি পরমাণুর ন্যায় তুলেন।
হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, তুমি অতি মহান; তুমি প্রভা ও প্রতাপ পরিহিত।তিনি তলভূমিতে প্রবাহ প্রেরণ করিয়া থাকেন; সেই সকল পর্বতগণের মধ্যে ভ্রমণ করে।সেই সকল মাঠের সমস্ত পশুকে জল দেয়; বনগর্দভেরা তৃষ্ণা নিবারণ করে।সেই সকলের তীরে আকাশের পক্ষিগণ বাসা করে, ডালের মধ্য হইতে নিজ নিজ রব শুনায়।তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,আর মর্ত্যের চিত্তানন্দ-জনক দ্রাক্ষারস, মুখের প্রফুল্লতা-জনক তৈল, ও মর্ত্যের চিত্তবল-সাধক ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন।পরিতৃপ্ত হইয়াছে সদাপ্রভুর বৃক্ষ সকল, লিবানোনের সেই এরস বৃক্ষরাজি, যাহা তিনি রোপণ করিয়াছেন।তাহার মধ্যে ক্ষুদ্র পক্ষিগণ বাসা করে; দেবদারু বৃক্ষ হাড়গিলার বাটী।উচ্চ পর্বত সকল বনচ্ছাগের আবাস, শৈল সকল শাফন পশুর আশ্রয়।তিনি ঋতুর জন্য চন্দ্র নির্মাণ করিয়াছেন, সূর্য আপন অস্তগমনের সময় জানে।তুমি বস্ত্রের ন্যায় দীপ্তি পরিধান করিয়াছ, আকাশমণ্ডলকে চন্দ্রাতপের ন্যায় বিস্তার করিয়াছ।
পিতঃ, আমার ইচ্ছা এই, আমি যেখানে থাকি, তুমি আমায় যাহাদিগকে দিয়াছ, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে, যেন তাহারা আমার সেই মহিমা দেখিতে পায়, যাহা তুমি আমাকে দিয়াছ, কেননা জগৎ পত্তনের পূর্বে তুমি আমাকে প্রেম করিয়াছিলে।
যখন তিনি আকাশমণ্ডল প্রস্তুত করেন, তখন আমি সেখানে ছিলাম; যখন তিনি জলধিপৃষ্ঠের চক্রাকার সীমা নিরূপণ করিলেন,যখন তিনি ঊর্ধ্বস্থ আকাশ দৃঢ়রূপে নির্মাণ করিলেন, যখন জলধির প্রবাহ সকল প্রবল হইল,যখন তিনি সমুদ্রের সীমা স্থির করিলেন, যেন জল তাঁহার আজ্ঞা উল্লঙ্ঘন না করে, যখন তিনি পৃথিবীর মূল নিরূপণ করিলেন;
বস্তুতঃ সেই লোকেরা ইচ্ছাপূর্বক ইহা ভুলিয়া যায় যে, আকাশমণ্ডল, এবং জল হইতে ও জল দ্বারা স্থিতিপ্রাপ্ত পৃথিবী ঈশ্বরের বাক্যের গুণে প্রাক্কালে ছিল;
তিনি আকাশে আপন উচ্চ কক্ষ সকল নির্মাণ করিয়াছেন, পৃথিবীর ঊর্ধ্বে আপন চন্দ্রাতপ স্থাপন করিয়াছেন; তিনি সমুদ্রের জলসমূহকে ডাকিয়া স্থলের উপরে ঢালিয়া দেন; সদাপ্রভু তাঁহার নাম।
তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,
হে আকাশমণ্ডল, উপর হইতে শিশির বর্ষণ কর, মেঘমালা ধার্মিকতা বর্ষণ করুক; ভূমি বিদীর্ণ হউক, ও মেঘমালা পরিত্রাণ-ফল উৎপন্ন করুক, পৃথিবী সঙ্গে সঙ্গে ধার্মিকতা অঙ্কুরিত করুক, আমি সদাপ্রভু ইহার সৃষ্টিকর্তা।
তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।
আর যিনি যুগপর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত, যিনি আকাশ ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ বস্তু সকলের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তাঁহার নামে এই শপথ করিলেন”, আর বিলম্ব হইবে না;
আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।
যে কেহ আমার নামে আখ্যাত, যাহাকে আমি আমার গৌরবার্থে সৃষ্টি করিয়াছি [সেই ব্যক্তিকে আনিয়া দেও], আমি তাহাকে নির্মাণ করিয়াছি, আমি তাহাকে গঠন করিয়াছি।
আর তাহাদের মস্তকের উপরিস্থ বিতানের ঊর্ধ্বে এক সিংহাসনের, নীলকান্তমণিবৎ আভাবিশিষ্ট এক সিংহাসনের মূর্তি ছিল; সেই সিংহাসন-মূর্তির উপরে মনুষ্যের আকৃতিবৎ এক মূর্তি ছিল, তাহা তাহার ঊর্ধ্বে ছিল।তাঁহার কটির আকৃতি অবধি উপরের দিকে আমি প্রতপ্ত ধাতুর ন্যায় আভা দেখিলাম; অগ্নির আভা যেন তাহার মধ্যে চারিদিকে ছিল; এবং তাঁহার কটির আকৃতি অবধি নিচের দিকে অগ্নিবৎ আভা দেখিলাম, এবং তাঁহার চারিদিকে তেজ ছিল।বৃষ্টির দিনে মেঘে উৎপন্ন ধনুকের যেমন আভা, তাঁহার চারিদিকের তেজের আভা সেইরূপ ছিল। ইহা সদাপ্রভুর প্রতাপের মূর্তির আভা। আমি তাহা দেখিবামাত্র উবুড় হইয়া পড়িলাম, এবং বাক্যবাদী এক ব্যক্তির রব শুনিতে পাইলাম।
যিনি বৃহৎ জ্যোতির্গণ নির্মাণ করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি দিনমানে কর্তৃত্ব করণার্থে সূর্য গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীরাত্রিতে কর্তৃত্ব করণার্থে চন্দ্র ও তারকামালা গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
তিনি উচ্চ রবে এই কথা কহিলেন, ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহাকে গৌরব প্রদান কর, কেননা তাঁহার বিচার-সময় উপস্থিত; যিনি স্বর্গ, পৃথিবী, সমুদ্র ও জলের উনুই সকল উৎপন্ন করিয়াছেন, তাঁহার ভজনা কর।
আর যাহারা বুদ্ধিমান, তাহারা বিতানের দীপ্তির ন্যায়, এবং যাহারা অনেককে ধার্মিকতার প্রতি ফিরায়, তাহারা তারকাগণের ন্যায় অনন্তকাল দেদীপ্যমান হইবে।
হে সদাপ্রভু, দেবগণের মধ্যে কে তোমার তুল্য? কে তোমার ন্যায় পবিত্রতায় আদরণীয়, প্রশংসায় ভয়ার্হ, আশ্চর্য ক্রিয়াকারী?
সদাপ্রভুর গৌরব অনন্তকাল থাকুক, সদাপ্রভু আপন কার্য সকলে আনন্দ করুন।তিনি পৃথিবীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে তাহা কাঁপে; তিনি পর্বতরাজিকে স্পর্শ করিলে তাহারা ধূমায়মান হয়।
তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী; তুমি পৃথিবীকে স্থাপন করিয়াছ, তাহা স্থির রহিয়াছে।অদ্যাপি তোমার শাসনানুসারে সকলই স্থির রহিয়াছে, কেননা সমস্তই তোমার দাস।
পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন।
সদাপ্রভুর কর্ম সকল মহৎ; তৎপ্রীত সকলে সেই সকল অনুশীলন করে।তাঁহার ক্রিয়া প্রভা ও প্রতাপস্বরূপ, তাঁহার ধর্মশীলতা নিত্যস্থায়ী।
তিনি ধূলি হইতে দীনহীনকে তুলেন, সারের ঢিবি হইতে দরিদ্রকে উঠান, কুলীনদের সঙ্গে বসাইয়া দেন, প্রতাপ-সিংহাসনের অধিকারী করেন। কেননা পৃথিবীর স্তম্ভ সকল সদাপ্রভুর; তিনি সেই সকলের উপরে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন।
কেননা আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি উপস্থিত বিষয় সকল, কি ভাবী বিষয় সকল, কি পরাক্রম সকল,কি ঊর্ধ্ব স্থান, কি গভীর স্থান, কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু, কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক করিতে পারিবে না।
কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।