তোমার সাথে একটা কথা শেয়ার করি। আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি তো সৃষ্টির জন্য কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দেননি, বরং প্রকৃতির শক্তিগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভৌত সূত্র স্থাপন করেছেন, যা তার ইচ্ছা অনুসারে কাজ করে চলেছে। এই প্রকৃতি নিজেই তো আমাদের প্রতি মুহূর্তে তার অস্তিত্বের প্রমাণ দিচ্ছে। গীতসংহিতা ১৯:১-এ বলা হয়েছে, "আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব প্রকাশ করে, আকাশ তার হস্তকর্ম ঘোষণা করে।"
বিশ্বাসী হিসেবে আমাদের বোঝা উচিত যে, ঈশ্বরের অদৃশ্য গুণাবলী, যেমন তার ঐশ্বর্য ও মহিমা, তার সৃষ্টির মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। আমরা যখন তার সৃষ্টি দেখে বিস্মিত হই, তখন তিনি খুশি হন। কারণ, আমাদের চারপাশের সবকিছুই তৈরি হয়েছে যাতে আমরা বুঝতে পারি তিনি আমাদের কতটা ভালোবাসেন, তিনি কত মহান। এই বোধ থেকেই তো আমরা আন্তরিকভাবে তার উপাসনা করতে পারি।
প্রকৃতিকে মন দিয়ে উপলব্ধি করা, সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া আমাদের কর্তব্য। প্রতিদিন সূর্য উঠলেই তো তার অসীম করুণা আমাদের জীবনে প্রকাশ পায়।
তাহা শুনিয়া সকলে এক চিত্তে ঈশ্বরের উদ্দেশে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিল, হে স্বামিন্, তুমি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং এই সকলের মধ্যে যাহা কিছু আছে, সমস্তের নির্মাণকর্তা;
হে সূর্য ও চন্দ্র, তাঁহার প্রশংসা কর; হে দীপ্তিময় সমস্ত তারা, তাঁহার প্রশংসা কর।হে স্বর্গের স্বর্গ, তাঁহার প্রশংসা কর। হে আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্থিত জলসমূহ, তোমরাও তাঁহার প্রশংসা কর।ইহারা সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা তিনি আজ্ঞা করিলেন, আর ইহারা সৃষ্ট হইল;
আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লসিত হউক; সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সকলই গর্জন করুক;ক্ষেত্র ও তথাকার সকলই উল্লসিত হউক; তখন বনের সমস্ত বৃক্ষ আনন্দে গান করিবে;
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।
‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলই সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’
পরে ঈশ্বর তাঁহার সৃষ্ট বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন, আর দেখ, সকলই অতি উত্তম। আর সন্ধ্যা ও প্রাতঃকাল হইলে ষষ্ঠ দিবস হইল।
আমিই আপনার মহাপরাক্রম ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা পৃথিবী, পৃথিবী-নিবাসী মনুষ্য ও পশু নির্মাণ করিয়াছি, এবং আমি যাহাকে তাহা দেওয়া বিহিত বুঝি, তাহাকে তাহা দিয়া থাকি।
তিনি সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্যন্ত যে সকল কার্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।
কেননা সৃষ্টির ঐকান্তিক প্রতীক্ষা ঈশ্বরের পুত্রগণের প্রকাশ প্রাপ্তির অপেক্ষা করিতেছে।কেননা খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের আত্মার যে ব্যবস্থা, তাহা আমাকে পাপের ও মৃত্যুর ব্যবস্থা হইতে মুক্ত করিয়াছে।কারণ সৃষ্টি অসারতার বশীকৃত হইল, স্বেচ্ছায় নয়, কিন্তু যিনি বশ করেন তাহার ইচ্ছায়;
আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম জ্ঞাপন করে।তাহা স্বর্ণ ও প্রচুর কাঞ্চন অপেক্ষা বাঞ্ছনীয়, মধু ও মৌচাকের রস হইতেও সুস্বাদু।তোমার দাসও তদ্দ্বারা সুশিক্ষা পায়; তাহা পালন করিলে মহা ফল হয়।ভ্রান্তির কার্য সকল কে বুঝিতে পারে? তুমি গুপ্ত দোষ হইতে আমাকে পরিষ্কার কর।দুঃসাহসজনিত [পাপ] হইতেও নিজ দাসকে পৃথক রাখ, সেই সকল আমার উপরে কর্তৃত্ব না করুক; তখন আমি সিদ্ধ এবং মহাপাতক হইতে শুচি হইব।আমার মুখের বাক্য ও আমার চিত্তের ধ্যান তোমার দৃষ্টিতে গ্রাহ্য হউক, হে সদাপ্রভু, আমার শৈল, আমার মুক্তিদাতা।দিবস দিবসের কাছে বাক্য উচ্চারণ করে, রাত্রি রাত্রির কাছে জ্ঞান প্রচার করে।বাক্য নাই, ভাষাও নাই, তাহাদের রব শুনা যায় না।তাহাদের মানরজ্জু সমস্ত পৃথিবীতে ব্যাপ্ত, তাহাদের বাক্য জগতের সীমা পর্যন্ত ব্যাপ্ত; তাহাদের মধ্যে তিনি সূর্যের নিমিত্ত এক তাম্বু স্থাপন করিয়াছেন।
ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;
হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।ঐ যে সমুদ্র, বৃহৎ ও চারিদিকে বিস্তীর্ণ, তথায় জঙ্গমেরা থাকে, তাহারা অগণ্য; ক্ষুদ্র ও প্রকাণ্ড কত জীবজন্তু থাকে।
তবে আমি যথাকালে তোমাদিগকে বৃষ্টি দান করিব; তাহাতে ভূমি শস্য উৎপন্ন করিবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সকল স্ব স্ব ফল দিবে।
আমি তোমার অঙ্গুলি-নির্মিত আকাশ-মণ্ডল, তোমার স্থাপিত চন্দ্র ও তারকামালা নিরীক্ষণ করি,[বলি,] মর্ত্য কি যে, তুমি তাহাকে স্মরণ কর? মনুষ্য-সন্তান বা কি যে, তাহার তত্ত্বাবধান কর?
কারণ তোমরা আনন্দ সহকারে বাহিরে যাইবে, এবং শান্তিতে তোমাদিগকে লইয়া যাওয়া হইবে। পর্বত ও উপপর্বতগণ তোমাদের সমক্ষে উচ্চৈঃস্বরে আনন্দগান করিবে, এবং ক্ষেত্রের সমস্ত বৃক্ষ হাততালি দিবে।কণ্টকবৃক্ষের পরিবর্তে দেবদারু, শ্যাকুলের পরিবর্তে গুলমেঁদি উৎপন্ন হইবে; আর তাহা সদাপ্রভুর কীর্তিস্বরূপ হইবে, লোপহীন নিত্যস্থায়ী চিহ্ন হইবে।
আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও?আর তোমাদের মধ্যে কে ভাবিত হইয়া আপন বয়স এক হস্ত মাত্র বৃদ্ধি করিতে পারে?আর বস্ত্রের নিমিত্ত কেন ভাবিত হও? ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেইগুলি কেমন বাড়ে;সেই সকল শ্রম করে না, সূতাও কাটে না; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটির ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না।
পৃথিবী ও তাহার সমস্ত বস্তু সদাপ্রভুরই; জগৎ ও তন্নিবাসিগণ তাঁহার।সেই প্রতাপের রাজা কে? বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তিনিই প্রতাপের রাজা। [সেলা]কেননা তিনিই সমুদ্রগণের উপরে তাহা স্থাপন করিয়াছেন, নদীগণের উপরে তাহা দৃঢ় করিয়া রাখিয়াছেন।
দেখ, স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থ যাবতীয় বস্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর।
ইহা কি তোমাদের কাছে তুচ্ছ বিষয় বোধ হয় যে, উত্তম চরাণিতে চরিতেছ, আবার আপনাদের অবশিষ্ট তৃণ পদতলে দলিত করিতেছ? এবং নির্মল জল পান করিতেছ? আবার অবশিষ্টকে পদ দ্বারা মলিন করিতেছ?
কেবলমাত্র তুমিই সদাপ্রভু; তুমি স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ এবং তাহার সমস্ত বাহিনী, পৃথিবী ও তথাকার সমস্ত এবং সমুদ্র ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ, আর তুমি তাহাদের সকলের স্থিতি করিতেছ, এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার কাছে প্রণিপাত করে।
আর ভূমি চিরকালের নিমিত্ত বিক্রীত হইবে না, কেননা ভূমি আমারই; তোমরা ত আমার সহিত বিদেশী ও প্রবাসী।তোমরা তোমাদের অধিকৃত দেশের সর্বত্র ভূমি মুক্ত করিতে দিও।
তিনি তলভূমিতে প্রবাহ প্রেরণ করিয়া থাকেন; সেই সকল পর্বতগণের মধ্যে ভ্রমণ করে।সেই সকল মাঠের সমস্ত পশুকে জল দেয়; বনগর্দভেরা তৃষ্ণা নিবারণ করে।সেই সকলের তীরে আকাশের পক্ষিগণ বাসা করে, ডালের মধ্য হইতে নিজ নিজ রব শুনায়।তিনি আপন কক্ষ হইতে পর্বতে জল সেচন করেন; তোমার কার্যের ফলে পৃথিবী পরিতৃপ্ত হয়।তিনি পশুগণের জন্য তৃণ অঙ্কুরিত করেন; মনুষ্যের সেবার জন্য ওষধি অঙ্কুরিত করেন; এইরূপে ভূমি হইতে ভক্ষ্য উৎপন্ন করেন,
হে ইয়োব, আপনি ইহাতে কর্ণপাত করুন, স্থির থাকুন, ঈশ্বরের আশ্চর্য কার্য সকল বিবেচনা করুন।আপনি কি জানেন, ঈশ্বর কিরূপে এই সকলের উপরে ভার রাখেন, আর আপনি মেঘের দীপ্তি বিরাজমান করেন?আপনি কি মেঘমালার দোলন জানেন? পরম জ্ঞানীর আশ্চর্য ক্রিয়া সকল জানেন?
তিনি মেঘমালায় আকাশমণ্ডল আচ্ছন্ন করেন, তিনি পৃথিবীর জন্য বৃষ্টি প্রস্তুত করেন, তিনি পর্বতগণের উপরে তৃণ উৎপাদন করেন।তিনি পশুকে তাহার খাদ্য দেন, দাঁড়কাকের শাবকদিগকে দেন, যাহারা ডাকিয়া উঠে।
আর কেন্দুয়াব্যাঘ্র মেষশাবকের সহিত একত্র বাস করিবে; চিতাব্যাঘ্র ছাগবৎসের সহিত শয়ন করিবে; গোবৎস, যুবসিংহ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু একত্র থাকিবে; এবং ক্ষুদ্র বালক তাহাদিগকে চালাইবে।ধেনু ও ভল্লুকী চরিবে, তাহাদের বৎস সকল একত্র শয়ন করিবে, এবং সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে।আর স্তন্যপায়ী শিশু কেউটিয়া সর্পের গর্তের উপরে খেলা করিবে, ত্যক্তস্তন্য বালক কৃষ্ণসর্পের বিবরের উপরে হস্ত রাখিবে।সেই সকল আমার পবিত্র পর্বতের কোন স্থানে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে না; কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন, তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু-বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে।
যিনি জলের উপরে ভূমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি বৃহৎ জ্যোতির্গণ নির্মাণ করিয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীযিনি দিনমানে কর্তৃত্ব করণার্থে সূর্য গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ীরাত্রিতে কর্তৃত্ব করণার্থে চন্দ্র ও তারকামালা গড়িয়াছেন; তাঁহার দয়া অনন্তকালস্থায়ী
ঈশ্বর আরও কহিলেন, আমি তোমাদের সহিত ও তোমাদের সঙ্গী যাবতীয় প্রাণীর সহিত চিরস্থায়ী পুরুষ-পরম্পরার জন্য যে নিয়ম স্থির করিলাম, তাহার চিহ্ন এই।আমি মেঘে আমার ধনু স্থাপন করি, তাহাই পৃথিবীর সহিত আমার নিয়মের চিহ্ন হইবে।
কেননা আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু, স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি এই কথা কহেন, আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।
তবে আমি কি নীনবীর প্রতি, ঐ মহানগরের প্রতি, দয়ার্দ্র হইব না? তথায় এমন এক লক্ষ বিংশতি সহস্রের অধিক মনুষ্য আছে, যাহারা দক্ষিণ হস্ত হইতে বাম হস্তের প্রভেদ জানে না; আর অনেক পশুও আছে।
আমি তোমাদিগকে এই ফলবান দেশে আনিয়াছিলাম, যেন তোমরা এখানকার ফল ও উত্তম উত্তম সামগ্রী ভোজন কর; কিন্তু তোমরা প্রবেশ করিয়া আমার দেশ অশুচি করিলে, আমার অধিকার ঘৃণাস্পদ করিলে।
স্বর্গে ও পৃথিবীতে, দৃশ্য কি অদৃশ্য যাহা কিছু আছে, সিংহাসন হউক, কি প্রভুত্ব হউক, কি আধিপত্য হউক, কি কর্তৃত্ব হউক, সকলই তাঁহার দ্বারা ও তাঁহার নিমিত্ত সৃষ্ট হইয়াছে;আর তিনিই সকলের অগ্রে আছেন, ও তাঁহাতেই সকলের স্থিতি হইতেছে।
কেননা বনের সমস্ত জন্তু আমার, সহস্র সহস্র পর্বতীয় পশু আমার।আমি পর্বতগণের সমস্ত পক্ষীকে জানি, মাঠের প্রাণী সকল আমার সম্মুখবর্তী।
তুমি আপন ভূমিতে ছয় বৎসর যাবৎ বীজ বপন করিও, ও উৎপন্ন শস্য সংগ্রহ করিও।কিন্তু সপ্তম বৎসরে তাহাকে বিশ্রাম দিও, ফেলিয়া রাখিও; তাহাতে তোমার স্বজাতীয় দরিদ্রগণ খাইতে পাইবে, আর তাহারা যাহা অবশিষ্ট রাখে, তাহা বন্য পশুতে খাইবে। তোমার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের ও জলপাইবৃক্ষের বিষয়েও সেইরূপ করিও।
পৃথিবীর গভীর স্থান সকল তাঁহার হস্তগত, পর্বতগণের চূড়া সকলও তাঁহারই।সমুদ্র তাঁহার, তিনিই তাহা নির্মাণ করিয়াছেন, তাঁহারই হস্ত শুষ্ক ভূমি গঠন করিয়াছে।
পৃথিবী শোকান্বিত ও নিস্তেজ হইল, জগৎ ম্লান ও নিস্তেজ হইল, পৃথিবীস্থ লোকদের উচ্চতমেরা ম্লান হইল।আর পৃথিবী আপন নিবাসীদের পদতলে অপবিত্র হইল, কারণ তাহারা ব্যবস্থা সকল লঙ্ঘন করিয়াছে, বিধি অন্যথা করিয়াছে, চিরস্থায়ী নিয়ম ভঙ্গ করিয়াছে।
সেই দেশের প্রতি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোযোগ আছে; বৎসরের আরম্ভ অবধি বৎসরের শেষ পর্যন্ত তাহার প্রতি নিরন্তর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টি থাকে।
উচ্চ পর্বত সকল বনচ্ছাগের আবাস, শৈল সকল শাফন পশুর আশ্রয়।তিনি ঋতুর জন্য চন্দ্র নির্মাণ করিয়াছেন, সূর্য আপন অস্তগমনের সময় জানে।তুমি বস্ত্রের ন্যায় দীপ্তি পরিধান করিয়াছ, আকাশমণ্ডলকে চন্দ্রাতপের ন্যায় বিস্তার করিয়াছ।তুমি অন্ধকার করিলে রাত্রি হয়, তখন বনপশু সকল বিহার করে,যুবসিংহগণ মৃগের চেষ্টায় গর্জন করে, ঈশ্বরের কাছে তাহাদের খাদ্য অন্বেষণ করে।সূর্য উদিত হইলে তাহারা চলিয়া যায়, আপন আপন গহ্বরে শয়ন করে।মনুষ্য আপন কার্যে বাহির হয়, আর সায়ংকাল পর্যন্ত শ্রম করে।হে সদাপ্রভু, তোমার নির্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সেই সমস্ত নির্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।
তুমি আপন মেষপালের অবস্থা জানিয়া লও, আপন পশুপালে মনোযোগ কর;কেননা ধন চিরস্থায়ী নয়, মুকুট কি পুরুষানুক্রমে থাকে?ঘাস লইয়া গেলে পর নবীন তৃণ দেখা দেয়, এবং পর্বতগণের ওষধি সংগ্রহ করা যায়।মেষশাবকেরা তোমাকে বস্ত্র দিবে, ছাগেরা ক্ষেত্রের মূল্যস্বরূপ হইবে;তোমার খাদ্যের জন্য, তোমার পরিবারের খাদ্যের জন্য ছাগীরা যথেষ্ট দুগ্ধ দিবে, তোমার যুবতী দাসীদের প্রতিপালন করিবে।
তুমি ছয় দিন আপন কর্ম করিও, কিন্তু সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিও; যেন তোমার গরু ও গর্দভ বিশ্রাম পায়, এবং তোমার দাসীপুত্র ও বিদেশী লোক প্রাণ জুড়ায়।
তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর, স্বর্গ হইতে সদাপ্রভুর প্রশংসা কর; ঊর্ধ্বস্থানে তাঁহার প্রশংসা কর।বন্য পশুগণ ও সমস্ত গৃহপালিত পশু; সরীসৃপ ও উড্ডীয়মান পক্ষী সকল;পৃথিবীর রাজগণ ও সমস্ত জাতি; লোকপালগণ ও পৃথিবীর সকল বিচারকর্তা;যুবকগণ ও যুবতী সকল; বৃদ্ধগণ ও বালক-বালিকাসমূহ;সকলে সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা কেবল তাঁহারই নাম উন্নত, তাঁহার প্রভা পৃথিবীর ও স্বর্গের উপরিস্থ।আর তিনি আপন প্রজাদের জন্য এক শৃঙ্গ উত্তোলন করিয়াছেন, তাহা প্রশংসা-ভূমি, তাঁহার সমস্ত সাধুর নিমিত্ত, ইস্রায়েল-সন্তানদের নিমিত্ত, যাহারা তাঁহার নিকটস্থ প্রজা। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর।হে তাঁহার সমস্ত দূত, তাঁহার প্রশংসা কর; হে তাঁহার সমস্ত বাহিনী, তাঁহার প্রশংসা কর।হে সূর্য ও চন্দ্র, তাঁহার প্রশংসা কর; হে দীপ্তিময় সমস্ত তারা, তাঁহার প্রশংসা কর।হে স্বর্গের স্বর্গ, তাঁহার প্রশংসা কর। হে আকাশমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্থিত জলসমূহ, তোমরাও তাঁহার প্রশংসা কর।ইহারা সদাপ্রভুর নামের প্রশংসা করুক, কেননা তিনি আজ্ঞা করিলেন, আর ইহারা সৃষ্ট হইল;
কারণ দেখ, আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।কিন্তু আমি যাহা সৃষ্টি করি, তোমরা তাহাতে চিরকাল আমোদ ও উল্লাস কর; কারণ দেখ, আমি যিরূশালেমকে উল্লাসভূমি ও তাহার প্রজাদিগকে আনন্দভূমি করিয়া সৃষ্টি করি।
পরে আমি “এক নূতন আকাশ ও এক নূতন পৃথিবী” দেখিলাম; কেননা প্রথম আকাশ ও প্রথম পৃথিবী লুপ্ত হইয়াছে; এবং সমুদ্র আর নাই।
আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব; কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।
ঈশ্বর, যিনি জগৎ ও তন্মধ্যস্থ সমস্ত বস্তু নির্মাণ করিয়াছেন, তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু, সুতরাং হস্তনির্মিত মন্দিরে বাস করেন না;কোন কিছুর অভাব প্রযুক্ত মনুষ্যদের হস্ত দ্বারা সেবিতও হন না, তিনিই সকলকে জীবন, শ্বাস ও সমস্তই দিতেছেন।
তোমরা জানিও, সদাপ্রভুই ঈশ্বর, তিনিই আমাদিগকে নির্মাণ করিয়াছেন, আমরা তাঁহারই; আমরা তাঁহার প্রজা ও তাঁহার চরাণির মেষ।
দুইটি চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটিও ভূমিতে পড়ে না।ফিলিপ ও বর্থলময়, থোমা ও করগ্রাহী মথি, আল্ফেয়ের পুত্র যাকোব ও থদ্দেয়,কিন্তু তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে।অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।
আর পৃথিবী-নিবাসিগণ সকলে অবস্তুবৎ গণ্য; তিনি স্বর্গীয় বাহিনীর ও পৃথিবী-নিবাসীদের মধ্যে আপন ইচ্ছানুসারে কার্য করেন; এবং এমন কেহ নাই যে, তাঁহার হস্ত থামাইয়া দিবে, কিম্বা তাঁহাকে বলিবে, তুমি কি করিতেছ?
বস্তুতঃ তুমিই আমার মর্ম রচনা করিয়াছ; তুমি মাতৃগর্ভে আমাকে বুনিয়াছিলে।আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্যরূপে নির্মিত; তোমার কর্ম সকল আশ্চর্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।আমার দেহ তোমা হইতে লুক্কায়িত ছিল না, যখন আমি গোপনে নির্মিত হইতেছিলাম, পৃথিবীর অধঃস্থানে শিল্পিত হইতেছিলাম।তোমার চক্ষু আমাকে পিণ্ডাকার দেখিয়াছে, তোমার পুস্তকে সমস্তই লিখিত ছিল, যাহা দিন দিন গঠিত হইতেছিল, যখন সেই সকলের একটিও ছিল না।