১ পিতর 3 - বাংলা সমকালীন সংস্করণস্ত্রী ও স্বামীরা 1 একইভাবে স্ত্রীরা, তোমরা তোমাদের নিজ নিজ স্বামীর বশ্যতাধীন হও। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যদি বাক্যের অবাধ্য হয়, তবে কোনো বাক্য ছাড়াই তাদের স্ত্রীর আচার-আচরণের দ্বারা তাদের জয় করা যাবে, 2 যখন তারা তোমাদের জীবনের শুদ্ধতা ও সম্ভ্রমপূর্ণ মনোভাব লক্ষ্য করবে। 3 তোমাদের সৌন্দর্য যেন বাহ্যিক সাজসজ্জা, যেমন চুলের বাহার, সোনার অলংকার বা সূক্ষ্ম পোশাক-পরিচ্ছদের উপর নির্ভরশীল না হয়। 4 বরং সেই সৌন্দর্য হবে তোমাদের আন্তরিক সত্তার, শান্ত ও কোমল আত্মার অম্লান শোভায় ভূষিত, যা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মহামূল্যবান। 5 কারণ প্রাচীনকালের পবিত্র নারীরা, যাঁরা ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখতেন, এভাবেই নিজেদের সৌন্দর্যময়ী করতেন। তাঁরা নিজের নিজের স্বামীর বশ্যতাধীন থাকতেন, 6 যেমন সারা, তিনি অব্রাহামের বাধ্য ছিলেন এবং তাঁকে “প্রভু” বলে সম্বোধন করতেন। যদি তোমরা ন্যায়সংগত কাজ করো ও ভয়ভীত না হও, তাহলে তোমরা তাঁরই কন্যা হয়ে উঠেছ। 7 একইভাবে স্বামীরা, তোমরা তোমাদের স্ত্রীর সঙ্গে বাস করার সময় সুবিবেচক হও। তাদের দুর্বলতর সঙ্গী ও জীবনের অনুগ্রহ-রূপ বরদানের সহ-উত্তরাধিকারী জেনে, তোমরা তাদের সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্বক আচরণ কোরো, যেন কোনো কিছুই তোমাদের প্রার্থনায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে। সৎকর্মের জন্য কষ্টভোগ 8 সবশেষে বলি, তোমরা সবাই পরস্পরের সঙ্গে মিল রেখে বসবাস করো; তোমরা সহানুভূতিশীল, একে অপরকে ভালোবাসো, দরদি ও নতনম্র হও। 9 মন্দের পরিশোধে মন্দ বা অপমানের পরিশোধে অপমান কোরো না, বরং আশীর্বাদ কোরো; কারণ এর জন্যই তোমাদের আহ্বান করা হয়েছ, যেন তোমরা আশীর্বাদের অধিকারী হতে পারো। 10 কারণ, “কেউ যদি জীবন ভালোবাসতে চায়, মঙ্গলের দিন দেখতে চায়, সে অবশ্যই মন্দ থেকে তার জিভ ও ছলনাপূর্ণ বাক্য থেকে তার ঠোঁট রক্ষা করবে। 11 তারা মন্দ থেকে মন ফেরাবে আর সৎকর্ম করবে তারা অবশ্যই শান্তির সন্ধান করবে ও তা অনুসরণ করবে। 12 কারণ প্রভুর দৃষ্টি ধার্মিকদের প্রতি রয়েছে, আর তাদের প্রার্থনায় তিনি কর্ণপাত করেন, কিন্তু যারা দুষ্কর্ম করে প্রভুর মুখ তাদের বিরুদ্ধে।” 13 তোমরা যদি সৎকর্ম করতে আগ্রহী হও, কে তোমাদের ক্ষতি করবে? 14 কিন্তু ন্যায়সংগত কাজের জন্য যদি তোমরা কষ্টও ভোগ করো, তাহলে তোমরা ধন্য। “তাদের ভীতি প্রদর্শনে তোমরা ভয় পেয়ো না, তোমরা বিচলিত হোয়ো না।” 15 কিন্তু তোমাদের হৃদয়ের মধ্যে খ্রীষ্টকেই প্রভু বলে মান্য করো। তোমাদের অন্তরের প্রত্যাশার কারণ সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে, তাকে উত্তর দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থেকো। কিন্তু তা কোমলতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কোরো, 16 বিবেককে স্বচ্ছ রেখো, যেন তোমাদের খ্রীষ্টীয় সদাচরণ দেখে যারা বিদ্বেষপূর্ণভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা তাদের কটূক্তির জন্য লজ্জিত হয়। 17 যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়, তবে দুষ্কর্ম করে দুঃখকষ্ট ভোগ করার চেয়ে বরং সৎকর্ম করে কষ্টভোগ করা শ্রেয়। 18 কারণ খ্রীষ্টও পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য একবারই মৃত্যুবরণ করেছেন, সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের জন্য করেছেন, যেন তোমাদের ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে শরীরে হত্যা করা হলেও আত্মায় জীবিত করা হয়েছে, 19 যাঁর মাধ্যমে কারাগারে বন্দি আত্মাদের কাছে গিয়ে তিনি প্রচার করেছিলেন। 20 এই আত্মারা বহুপূর্বে অবাধ্য হয়েছিল, যখন ঈশ্বর নোহের সময়ে সহিষ্ণুতার সঙ্গে অপেক্ষা করেছিলেন এবং জাহাজ নির্মিত হচ্ছিল। এর মধ্যে মাত্র কয়েকজন, সর্বমোট আটজন জলের মধ্য থেকে উদ্ধার পেয়েছিল। 21 এই জলই হল বাপ্তিষ্মের প্রতীক, যা এখন তোমাদেরও রক্ষা করে—শরীর থেকে ময়লা দূর করার জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে এক সৎ বিবেক নিবেদন করার জন্য। এ যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদের পরিত্রাণ সাধন করে। 22 তিনি স্বর্গে গিয়েছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে আছেন—সব স্বর্গদূত, কর্তৃত্ব ও পরাক্রম তাঁরই বশ্যতাধীন রয়েছে। |
পবিত্র বাইবেল, বাংলা সমকালীন সংস্করণ™
সর্বস্বত্ব © 2007, 2017, 2019 Biblica, Inc.
অনুমতি সহ ব্যবহৃত। বিশ্বব্যাপী সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
The Holy Bible, Bengali Contemporary Version™
Copyright © 2007, 2017, 2019 by Biblica, Inc.
Used with permission. All rights reserved worldwide.
Biblica, Inc.