ভূমিকা
আসিরীয়দের হাত থেকে ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ার সন্ধিক্ষণে (খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে), ভাববাদী হবক্কূক ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সঙ্গে এক সুগভীর কথোপকথনে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাঁর এই পুস্তকটির আঙ্গিক হল, অভিযোগ বা বিলাপের সংক্ষিপ্ত একটি গুচ্ছ, যার পরিশেষে রয়েছে ঐশ প্রত্যুত্তর। হবক্কূকের ক্রন্দনের উত্তর যখন এল, তখন তিনি ঈশ্বরের প্রত্যাশিত বিজয়ের উপরে আস্থা জ্ঞাপন করে পরিশেষে একটি ধর্মগীত রচনা করলেন।
হবক্কূক শুরু করেছেন এই প্রশ্ন দিয়ে, ঈশ্বর আর কত দিন মন্দ লোকদের বিজয়ী হতে দেবেন। এর ঐশ উত্তর হল, ঈশ্বর তাঁর সমুচিত শিক্ষাদানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবিলনীয়দের উত্থান ঘটিয়েছেন। এই উত্তর পেয়ে হবক্কূক তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্নটি করলেন: কেন তুমি নীরব রয়েছ যখন দুষ্টরা তাদের থেকে যারা ধার্মিক তাদের গ্রাস করছে? ঈশ্বর আবার উত্তর দিলেন, ব্যাখ্যা করে বললেন, ঠিক আসিরীয়দের মতোই ব্যাবিলনীয়েরাও দণ্ড পাবে এবং ধার্মিক ব্যক্তিকে বিশ্বাস ও ধৈর্য সহকারে এই ঘটনার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে। ব্যাবিলনের ধ্বংস যে অবধারিত, তা তখনই বোঝা গেল, যখন ঈশ্বর ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে পাঁচ গুচ্ছ আঘাতের কথা ঘোষণা করলেন।
ঈশ্বরের সঙ্গে হবক্কূকের সংলাপ বিনিময় শেষ হবার পর এই পুস্তকের বিষয়টির শিরোনাম, হবক্কূকের প্রার্থনা। কিন্তু এর সাংগীতিক স্বরলিপিটি দেখলে বোঝা যায় যে, এটি স্পষ্টতই গীত গাওয়ার জন্য লেখা হয়েছিল। ঈশ্বর অতীতে ইস্রায়েলের জন্য যে নাটকীয় হস্তক্ষেপ করেছিলেন তার জন্য হবক্কূক আনন্দ প্রকাশ করলেন এবং প্রার্থনা করলেন যে ঈশ্বর তা পুনরায় করবেন। ভাববাদী সংকল্প করলেন, ততদিন তিনি ঈশ্বরের আগমনের জন্য ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করবেন।