ভূমিকা
যিহূদার ইতিহাসে রাজা মনঃশির শাসনকাল ছিল বৃহত্তম দুর্নীতি, অবিচার ও বিধর্মী প্রতিমাপূজার কাল। কিন্তু মনঃশির দৌহিত্র রাজা যোশিয় ঈশ্বরের প্রতি দেশবাসীর বিশ্বাস ও আজ্ঞাবহতা নতুন করে ফিরিয়ে আনলেন এবং বিদেশি সাম্রাজ্যগুলির অধীনতা থেকে তাদের মুক্ত করলেন। এর অন্যতম কারণ ছিল সম্ভবত, রাজসভার এক সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, ঈশ্বরের সঙ্গে স্থাপিত চুক্তি ভেঙে ফেলার জন্য যিহূদা ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে ব্যক্তি এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন তিনিই ভাববাদী সফনিয়।
পুস্তকের প্রস্তাবনা অংশে সফনিয়ের পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, তিনি হিষ্কিয়ের দৌহিত্রের দৌহিত্র। অন্য কোনো ভাববাদীর বংশতালিকায় এভাবে চার প্রজন্মের কথা উল্লিখিত হয়নি। যিহূদার মহত্তম সংস্কারক রাজার সঙ্গে সফনিয়কে যুক্ত করার উদ্দেশেই সম্ভবত এমনটি করা হয়েছিল। তবে সফনিয় বাস্তবিকই রাজবংশের লোক হতেও পারেন, কেননা তিনি জেরুশালেমের নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলা এবং রাজধানীর কর্মকাণ্ড বিষয়ে ভালোমতো ওয়াকিবহাল ছিলেন।
এই পুস্তকের ভাববাণীগুলি তিনটি মূল অংশে বিভক্ত। প্রথমটি, সদাপ্রভুর দিনের বর্ণনা, যা যিহূদা ও জেরুশালেমের বিরুদ্ধে আসন্ন। এরপর রয়েছে সমগ্র জাতিকে অনুতাপ করার আহ্বান এবং ফিলিস্তিনী, মোয়াবীয়, কূশীয় (ইথিয়পিয়ান), আসিরীয় এমনকি জেরুশালেমের ধ্বংস বিষয়ক ভাববাণী। একেবারে উপসংহারে সফনিয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঈশ্বর এক শক্তিশালী যোদ্ধারূপে ফিরে আসবেন এবং অবশিষ্ট দীনহীন লোকদের সংগ্রহ করে তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন।