ভূমিকা
হগয় ও সখরিয়ের ভাববাণীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এবং সরুব্বাবিল ও যিহোশূয়ের তত্ত্বাবধানে, 516 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে জেরুশালেমের মন্দির পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়। নতুন এই মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল, তা হবে একটি জাতির প্রাণকেন্দ্র যেখানে থাকবে প্রকৃত ন্যায়বিচার এবং নির্ভেজাল উপাসনা। এইভাবেই ইস্রায়েল জাতি তাদের প্রতি ঐশ আহ্বানকে পূর্ণ করবে এবং জ্যোতিস্বরূপ হয়ে প্রতিটি জাতির কাছে ঈশ্বরকে প্রকাশ করবে।
দুর্ভাগ্যবশত, বছর যত গড়াতে লাগল, ততই লোকেরা এই আদর্শ থেকে ক্রমশ দূরে, আরও দূরে সরে যেতে লাগল। এইভাবে পরবর্তী শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ তাদের উপাসনা হয়ে উঠল ভ্রষ্টাচারী, অসৎ এবং তাদের সমাজ ভরে গেল অন্যায়-অবিচারে। মালাখি (“আমার বার্তাবাহক”) লোকদের হুঁশিয়ার করে দিলেন, তারা যেন তাদের আরাধনায় এবং পারস্পরিক সম্পর্কে ঈশ্বরকে যথার্থ সম্মান দেয়। কারণ একমাত্র তখনই সদাপ্রভুকে মহান ঈশ্বর বলে জগৎ জানতে পারবে।
মালাখি তাঁর তিরস্কার বা হুঁশিয়ারীকে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঙ্গিকে উপস্থাপিত করেছেন। তিনি প্রথমে অসংলগ্নভাবে অভিযোগগুলি পেশ করেছেন, আনুমানিক আপত্তিগুলিকে তুলে ধরেছেন এবং সবশেষে নিজেই সেইসব আপত্তি বা অনুযোগগুলির উত্তর দিয়েছেন। পুস্তকটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে, কিছু মানুষ এইসব অনুযোগ বা হুঁশিয়ারির প্রত্যুত্তরে অনুতাপ করেছিল ফলে ঈশ্বর বলেছিলেন, তিনি যখন জগতের বিচার করতে আসবেন তখন তিনি এইসব লোকদের ছাড় দেবেন। পুস্তকটি সমাপ্ত হচ্ছে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, যেখানে তিনি বলেছেন, সদাপ্রভুর সেই মহান ও ভয়ংকর দিন আসার আগে তিনি ভাববাদী এলিয়কে পাঠাবেন।