ভূমিকা
পৌলের প্রচারে তীত খ্রীষ্টানুসারী হন, পরে কার্যকারীরূপে নিযুক্ত হন। তিনি জাতিতে গ্রিক ছিলেন। তিমথির মতোই তিনি পৌলের বিশিষ্ট পরিচারক হন এবং বিভিন্ন মণ্ডলীতে পৌলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই পত্রটি রচনাকালে তীত ক্রীট দ্বীপে পরিচর্যারত ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে পৌল সম্ভবত, করিন্থ থেকে এই পত্রখানি লেখেন।
পত্রটিতে সৎকর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা সৎকর্মের দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করিনি, কিন্তু সৎকর্ম পরিত্রাণপ্রাপ্তির অন্যতম প্রমাণ। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, ক্রীট দ্বীপের বিশ্বাসীবর্গ খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাসকে মৌখিকরূপে স্বীকৃতি দিয়েছিল, কিন্তু কর্মে রূপায়িত করেনি।
সম্ভাষণ জ্ঞাপনের পরে (1:1-4), পৌল প্রাচীনদের যোগ্যতা (1:5-9) এবং কর্তব্য (1:13-16) সম্বন্ধে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি স্থানীয় মণ্ডলীর সংগঠন তৈরি করে ভণ্ড শিক্ষকদের প্রতিরোধ করতে বলেছেন। এরপর পৌল পরামর্শ দিয়েছেন, কীভাবে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের মাঝে তীত মণ্ডলীতে পরিচর্যা করবেন (2:1–3:11)। শেষে ব্যক্তিগত কিছু সংবাদ পরিবেশন করে (3:12-14) ও বিদায়সম্ভাষণ (3:15) জানিয়ে তিনি পত্রটি সমাপ্ত করেছেন।
রচয়িতা: পৌল।
রচনার স্থান: সম্ভবত, করিন্থ।
রচনাকাল: আনুমানিক 63 খ্রীষ্টাব্দ।
মূল বিষয়বস্তু: বিশপ বা প্রাচীনদের কর্তব্য।