ভূমিকা
কলসীয় মণ্ডলী ইপাফ্রা কর্তৃক স্থাপিত হয়। ইপাফ্রা পৌলের প্রচারে মন পরিবর্তন করেন এবং যীশুর অনুগামী হন। পৌল ব্যক্তিগতভাবে কখনও কলসী নগরে যাননি। রোমে বন্দি থাকার সময় পৌল সংবাদ পান যে এই মণ্ডলীতে ভ্রান্তশিক্ষা পরিবেশিত হয়েছে। তাই এই পত্র পাঠিয়ে তিনি বিশ্বাসীদের সচেতন এবং বিশ্বাসে সুদৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছেন।
এর মুখ্য প্রসঙ্গ হল, খ্রীষ্টের সর্বাধিপত্য, তথা সর্বোৎকৃষ্টতা। কারণ ভণ্ড শিক্ষকেরা খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের অন্যতম সৃষ্টি বলে ঘোষণা করছিল। তারা ইহুদি-আইন বিধান ও প্রাচ্যদেশীয় অতীন্দ্রিয়বাদের সঙ্গে খ্রীষ্টীয় সত্যের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছিল। পৌল তাই দৃঢ়রূপে প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বাসীরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টে সম্পূর্ণতা লাভ করেছে এবং ঈশ্বর তাদের কাছে পূর্ণরূপে উপলব্ধ (2:9,10)।
এই পত্রের 1ম ও 2 অধ্যায় শিক্ষামূলক। এতে প্রভু যীশুকে স্রষ্টা, পরিত্রাতা ও প্রভুরূপে উপস্থাপিত করা হয়েছে। 3য় ও 4 ব্যবহারিক। এতে প্রদর্শিত হয়েছে যে, খ্রীষ্টের পরম বৈশিষ্ট্য কীভাবে বিশ্বাসীদের দৈনন্দিন জীবনাচরণে প্রকাশিত হবে। ইফিষীয় ও কলসীয়দের প্রতি পত্রদ্বয় আনুমানিক একই সময়ে লিখিত হওয়ায়, উভয়ের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ইফিষীয়দের প্রতি পত্রে খ্রীষ্টের শরীর বা দেহ (অর্থাৎ মণ্ডলী) এবং কলসীয়তে দেহের মস্তক (অর্থাৎ প্রভু যীশু) এর উপরে গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে। উভয় পত্রই একে অন্যের পরিপূরক।
রচয়িতা: পৌল।
রচনার স্থান: রোম।
রচনাকাল: আনুমানিক 63 খ্রীষ্টাব্দ।
মূল বিষয়বস্তু: খ্রীষ্টে মণ্ডলীর সম্পূর্ণতা।