ভূমিকা
পারস্যের অধীনে থাকার সময়ে ইহুদিরা কেনো পূরীম নামে এক নতুন পর্ব পালন করতে শুরু করল, ইষ্টের নামক এই পুস্তকে তা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর আগে মোশির ব্যবস্থায় বলা হয়েছিল যে, ঈশ্বরের পরাক্রমী উদ্ধার কাজ কীভাবে নিস্তারপর্ব ও সমাগম তাঁবু নামক ছুটির দিন তৈরির সহায়ক হয়েছিল। ইষ্টের পুস্তকে বলা হয়েছে, ঈশ্বর কীভাবে আর একবার ইহুদিদের রক্ষা করার জন্য হস্তক্ষেপ করলেন, যার ফলশ্রুতি, এই মহা উদ্ধারকাজের স্মৃতিরক্ষার্থে পূরীম উৎসব শুরু হয়েছিল।
দ্রুতগতির এই কাহিনি পারস্য-রাজ অহশ্বেরশের শাসনকালে ঘটেছিল। (সম্ভবত, প্রথম অহশ্বেরশ, 486–465 খ্রীষ্টপূর্ব) এখানে বর্ণনা করা হয়েছে সেই রোমাঞ্চকর কাহিনি, যখন নির্বাসনে থাকা ইষ্টের নামের এক ইহুদি নারী এবং তার খুড়তুতো দাদা তথা অভিভাবক মর্দখয় তাদের স্বাজাতিকে ধ্বংস করার এক চক্রান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করেছিলেন। এই কাহিনিতে ঈশ্বরের নাম কখনও উল্লিখিত না হলেও বিভিন্ন মুহূর্ত এবং ক্রমশ উন্মোচিত বিভিন্ন ঘটনায় ঈশ্বরের রক্ষাকারী হাতকে শনাক্ত করা যায়।
এই পুস্তকে একাধিক ভোজসভার কথা রয়েছে, যার মধ্যে শুরুর দুটির আয়োজক অহশ্বেরশ, মাঝের দুটির ইষ্টের আর শেষের দুটি কৃতজ্ঞ ইহুদিদের আনন্দোৎসব। যেহেতু এই কাহিনি ঠিক পূরীম উৎসবের সময় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বলা হচ্ছে তাই পাঠকদের ঘটনাপ্রবাহের একেবারে মাঝখানে আনা হয়েছে। যাতে যারা এটি পাঠ করবে তারা শুধু যে ঈশ্বরের উদ্ধারকাজের ঘটনায় আনন্দে মেতে উঠবে তাই নয়, সেই সঙ্গে তারা নিজেদের জিজ্ঞাসা করবে, যেভাবে মর্দখয় ইষ্টেরকে বলেছিল, কোনও মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য ঈশ্বর তাদের জীবনকে তাদের আপন পথে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।