রোমীয় 10 - পবিত্র বাইবেল1 ভাই ও বোনেরা, আমার হৃদয়ের একান্ত কামনা এই, যেন সমস্ত ইহুদী উদ্ধার পায়। ঈশ্বরের কাছে এই আমার কাতর মিনতি। 2 আমি ইহুদীদের বিষয়ে একথা বলতে পারি যে ঈশ্বরের বিষয়ে তাদের উৎসাহ আছে; কিন্তু এটা তাদের জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নেই। 3 যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন তারা সেই পথ জানে না। তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হতে চায়। তাই যে পথে ঈশ্বর মানুষকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করেন, তা তারা গ্রহণ করে নি। 4 খ্রীষ্টের আগমনে বিধি-ব্যবস্থার যুগ শেষ হয়েছে। এখন যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করে তারাই ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক প্রতিপন্ন হয়। 5 বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া সম্পর্কে মোশি বলে গেছেন, “যে ব্যক্তি এইসব বিধি-ব্যবস্থা পালন করবে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।” 6 যে ধার্মিকতা ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে জন্মায় সে সম্বন্ধে শাস্ত্রে বলেছে: “মনে মনে কখনও বলো না, ‘ওপরে স্বর্গে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “খ্রীষ্টকে কে পৃথিবীতে নামিয়ে আনবে?”) 7 “বা ‘নীচে পাতালে কে যাবে?’” (এর অর্থ, “মৃতদের মধ্য থেকে কে খ্রীষ্টকে উর্দ্ধে আনবে?”) 8 এ ব্যাপারে শাস্ত্র বলছে: “সেই শিক্ষা তোমার কাছেই তোমার মুখে ও হৃদয়ে আছে।” সে শিক্ষা হল বিশ্বাসের শিক্ষা যা আমরা লোকদের কাছে বলি। 9 তুমি যদি নিজ মুখে যীশুকে প্রভু বলে স্বীকার কর, এবং অন্তরে বিশ্বাস কর যে ঈশ্বরই তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন তাহলে উদ্ধার পাবে। 10 কারণ মানুষ অন্তরে বিশ্বাস করে ধার্মিকতা লাভ করার জন্য আর মুখে বিশ্বাসের কথা স্বীকার করে উদ্ধার পাবার জন্য। 11 শাস্ত্র এই কথাই বলে যে: “যে খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে সে কখনও লজ্জায় পড়বে না।” 12 এক্ষেত্রে ইহুদী ও অইহুদীদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, একই প্রভু সকলের প্রভু। যত লোক তাঁকে ডাকে সেই সকলের ওপর তিনি প্রচুর আশীর্বাদ ঢেলে দেন। 13 হ্যাঁ, শাস্ত্র বলে, “যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে ডাকবে সে উদ্ধার পাবে।” 14 কিন্তু যাঁকে তারা বিশ্বাস করে না তাঁকে ডাকবে কি কবে? আর যারা তাঁর কথা শোনেনি তাঁকে বিশ্বাসই বা কি করে করবে? কেউ প্রচার না করলে তারা শুনবেই বা কি করে? 15 যারা প্রচার করতে যাবে তারা প্রেরিত না হলে কি করে প্রচার করবে? হ্যাঁ, শাস্ত্রে কিন্তু লেখা আছে: “সুসমাচার নিয়ে যাঁরা আসেন তাঁদের চরণযুগল কি সুন্দর।” 16 কিন্তু ইহুদীদের মধ্যে সকলেই সেই সুসমাচার গ্রহণ করেনি। যিশাইয় ঠিকই বলেছেন, “প্রভু আমরা যা বলেছি তা ক’জনেই বিশ্বাস করেছে।” 17 সুতরাং সুসমাচার শোনার ভেতর দিয়েই বিশ্বাস উৎপন্ন হয় আর কেউ খ্রীষ্টের সুসমাচার শোনালে তখনই লোকরা সুসমাচার শুনতে পায়। 18 তাহলে আমিই জিজ্ঞাসা করি, “লোকে কি তাঁর সুসমাচার শুনতে পায় নি?” হ্যাঁ, তারা নিশ্চয়ই শুনেছে। এবিষয়ে শাস্ত্র বলছে: “তাদের রব পৃথিবীর কোণে কোণে পৌঁছেছে, তাদের বাক্য পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে গেছে।” 19 আবার আমি বলি, “ইস্রায়েলীয়রা কি বুঝতে পারে নি?” হ্যাঁ, তারা বুঝতে পেরেছিল। ঈশ্বরের হয়ে প্রথমে মোশি এই কথা বলেছেন: “যারা জাতি বলেই গন্য নয়, এমন লোকদের মাধ্যমে আমি তোমাদের ঈর্ষান্বিত করব। অজ্ঞ জাতির দ্বারা তোমাদের ক্রুদ্ধ করব।” 20 এরপর ঈশ্বরের মুখপাত্র হয়ে যিশাইয় যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে বললেন: “যারা আমায় খোঁজে নি তারাই কিন্তু আমাকে পেয়েছে; আর যারা আমাকে চায় নি তাদের কাছেই আমি নিজেকে প্রকাশ করেছি।” 21 কিন্তু ইহুদীদের সম্বন্ধে ঈশ্বর বলেন, “সমস্ত দিন ধরে দুহাত বাড়িয়ে আমি তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু তারা আমার অবাধ্য এবং তারা আমার বিরোধিতা করেই চলেছে।” |
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version
All rights reserved.
© 2001 Bible League International
Bible League International